Author: user

  • Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র| তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির আর আসানসোলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রইল না। আদালতের নির্দেশে তিনি এই শহরে ঢুকতে পারতেন না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে আসানসোলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। তাঁকে হাইকোর্টের তরফে এই ছাড় দেওয়ার যদিও ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যা তাঁকে মেনে চলতে হবে।

    বিজেপি নেতাকে কী কী শর্ত দিল হাইকোর্ট?(Asansol)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের (Asansol) রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে কম্বল বিতরণ করার সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মৃত এক মহিলার ছেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থেকে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তাঁর স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলার চৈতালি তেওয়ারি,একাধিক কাউন্সিলর সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। কয়েক মাস পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি হয়ে আনা হয়েছিল আসানসোলে। তারপর তাঁকে পরে কলকাতা  হাইকোর্ট জামিন দিলেও আসানসোলের ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তাঁকে শুনানির দিনে আসানসোল জেলা আদালতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এসে হাজিরা দিতে হত। পরে আসানসোলে আসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জিতেন্দ্র তেওয়ারি আবেদন জানিয়েছিলেন।

    কী বললেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি?

    এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,  এদিন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন আসানসোলে (Asansol) আমার আসার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকল না। এখানেই আমার আবাসনও  আছে। কোনও কর্মসূচি করার ক্ষেত্রেও আর অসুবিধা নেই। তবে, প্রতি ১৫ দিন পর পর একবার করে আমাকে এই মামলার তদন্তকারী জ অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। আদালতের সব নির্দেশ আমি মেনে চলব। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই তাঁর স্ত্রী এবং একাধিক কাউন্সিলররা যুক্ত থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই ‘স্পিড প্রোগ্রাম’ চালু করার কথা ভেবেছেন আচার্য। একই সঙ্গে রাজভবনে রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল চালু করার কথাও বলা হয়েছে।

    রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা

    মঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বকেয়া কাজগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করার জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি গড়ার কথাও জানিয়েছেন আচার্য। থাকবে ২৫ সদস্যের শিক্ষক নির্বাচন কমিটিও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজের মূল্যায়নের জন্য রাজভবনে একটি ‘রিয়েলটাইম মনিটরিং সেল’ও স্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্যেরা যে কোনও সময় আচার্য বোসের ওই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে ওই টেলিফোন নম্বর (০৩৩-২২০০১৬৪২) পাশাপাশি ই-মেলে (aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com) অভিযোগ জানাতে পারা যাবে ওই মনিটরিং সেলকে। 

    আরও পড়ুন: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে মামলা

    বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে মরিয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। এদিকে উপাচার্য নিয়োগ বিল মামলায় রাজ্যপালের অফিসের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালে জুন মাস উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। এরপর রীতিমাফিক সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া ওই বছরের ২৫ জুন। কিন্তু বিলে স্বাক্ষর করা তো দুরঅস্ত, রাজ্যপাল কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১৩/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১৩/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ভেবেচিন্তে কথা বলুন, তখনই সম্মান পাবেন।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর জন্য কোনও উপহার পেতে পারেন, এর ফলে সম্পর্ক মধুর হবে।

    বৃষ

    ১) রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আপনার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর জন্য সময় অনুকূল।   

    মিথুন

    ১) অনৈতিক কাজ এড়িয়ে যান।

    ২) সামাজিক কাজে মনোনিবেশ করুন।

    কর্কট

    ১) শুভ কাজে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) ভেবেচিন্তে কাজ করুন, না-হলে ভবিষ্যতে আর্থিক পরিস্থিতি নষ্ট হতে পারে।

    সিংহ 

    ১) আত্মীয়দের সঙ্গে বিবাদ চললে তা-ও সমাপ্ত হবে।

    ২) কারও কাছ থেকে ঋণ নেবেন না। কারণ শোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

    কন্যা

    ১) সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনবৃদ্ধি সম্ভব।

    ২) দৈনন্দিন ব্যবসায় ধন লাভ সম্ভব।

    তুলা 

    ১) চাকরিজীবীদের গোপন শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ব্যবসায় কঠিন পরিশ্রমের পর সাফল্য লাভ সম্ভব।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরিতে বাণী মাধুর্যের জোরে বড়সড় সমস্যার সমাধানে সফল হবেন। এর ফলে আর্থিক লাভ সম্ভব।

    ২) পরিবারে ভাই বা বোনের বিয়েতে আগত বাধা পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে দূর হবে।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় হঠাৎই বড়সড় অর্ডার পেতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    মকর

    ১) রোজগারের উদ্দেশে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁরা আজ ভালো সুযোগ পাবেন।
     
    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার জন্য নতুন পরিকল্পনা করতে চাইলে তার জন্য দিন ভালো।

    ২) ভাইদের সঙ্গে বিবাদের সমাধান হবে।

    মীন

    ১) স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নিন।

    ২) প্রেম জীবনে মাধুর্য থাকবে। আজ স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল। ইডি তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর কয়েকদিন আগে ডায়মন্ডহারবার পুরসভাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি নোটিস করেছিল। এবার সেই তালিকা চলে এল ঝালদা পুরসভা।

    ইডি (ED) নোটিস প্রসঙ্গে কী বললেন পুরসভার প্রধান করণিক?

    এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোন নম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি (ED)। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, আমরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছিলাম। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমাদের বিশ্বাস, ইডি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joka-Taratala Metro: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো! আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের জন্য চলছে কাজ 

    Joka-Taratala Metro: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো! আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের জন্য চলছে কাজ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যেই মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রো (Joka-Taratala Metro) রুট। এই লাইনে মেট্রো জোকা থেকে এসপ্লানেড অবধি চলার কথা। মাঝেরহাট রেল স্টেশনের মাধ্যমে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই মেট্রো। এর ফলে যাত্রীরা মাঝেরহাট স্টেশনে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেন অথবা মেট্রো বদল করতে পারবেন। 

    মেট্রোর কাজ আর কত দূর

    মেট্রো রেল সূত্রে খবর, মাঝেরহাট স্টেশনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। এই মেট্রোয় (Joka-Taratala Metro) তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশে উড়ালপথ তৈরির কাজ আগেই শেষ হয়েছে। নতুন স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরে বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজ সম্পূর্ণ করার পর্ব চলছে এখন। আপাতত প্ল্যাটফর্মের ছাদে পিভিসি শিট লাগানোর কাজ চলছে। বসানো হচ্ছে চলমান সিঁড়ি।  বয়স্ক যাত্রীদের জন্য লিফট বসানোর কাজও হচ্ছে। স্টেশনের দেওয়ালে নানারকম গ্রাফিতি, ছবিও করা হবে। সবমিলিয়ে মাঝেরহাট স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছেন না মেট্রো কর্তারা। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘দ্রুত মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা চালুর চেষ্টা চলছে।’’ এতদিন জোকা থেকে তারাতলা অবধিই কিছুটা রাস্তায় মেট্রো চলাচল করছিল। এবার তা আরও একটু বাড়িয়ে মাঝেরহাট (Majherhat Metro) অবধি চালু হবে বলে ঠিক হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মেট্রো হলে কী সুবিধা

    মাঝেরহাট মেট্রো (Joka-Taratala Metro) স্টেশন তৈরি হচ্ছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইনের উপরে আড়াআড়ি ভাবে। মাঝেরহাট সেতুর সঙ্গে সমান্তরালে থাকা এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে রেললাইনের উপরে ইস্পাতের গার্ডার বসিয়ে। চালু রেললাইনের উপরে রেল স্টেশন, প্রতীক্ষালয়, লাউঞ্জ ইত্যাদি থাকলেও মেট্রো স্টেশন তৈরি হওয়ার নজির সেই অর্থে বিরল বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। এই মেট্রো চালু হলে বেহালাবাসীর সুবিধা হবে। বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, আলিপুর থেকে যাঁরা বেহালার দিকে যান, তাঁদের অটো এবং বাস-নির্ভরতাও কমাবে এই মেট্রো। শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু যাত্রী মাঝেরহাট স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন। 

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ স্কুলের ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে থমকে যাচ্ছেন। একজন বা দুজন নয়, স্কুলের আশপাশে থাকা অনেকেই সেই আওয়াজ নিজের কানে শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা শংকরী বিদ্যায়তন হাইস্কুলে। কোনও বাচ্চা আটকে রয়েছে ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন অনেকে। কিন্তু, স্কুল গেটের তালা খুলে সকলেই হতবাক। কোনও কান্নার আওয়াজ নেই। কোনও বাচ্চাও নেই। ঘটনায় চমকে যান অনেকেই। তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এল কোথা থেকে? সেই উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Paschim Medinipur)

    স্কুলের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কোতোয়ালি থানার পুলিশ আসে। দীর্ঘক্ষণ স্কুলে খোঁজাখুঁজির পরও স্কুলের ভেতর কোনও বাচ্চার উপস্থিতি নজরে আসেনি পুলিশ ও এলাকাবাসীদের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় এলাকাবাসী ও পুলিশ কর্মীরা। স্কুলের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা বিকেলের পর থেকেই ওই স্কুলের ভেতর থেকে একটা আওয়াজ পাই। আওয়াজটা শুনে মনে হবে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আমরা ভাবি, কোনও বাচ্চা হয়তো বন্ধ স্কুলের মধ্যে আটকে পড়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ডেকেও খোঁজ হয়। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি।  আদৌ কোনও বাচ্চার কান্নার আওয়াজ নাকি অন্য কিছু সে সম্বন্ধে পরিষ্কার কোনও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশও। ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে বিকেলের দিকে একবার খবর দেওয়া হয়। আমি স্কুলের একজনকে নিয়ে এসে তালা খুলে সমস্ত জায়গায় খুঁজে দেখি। কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর আমি ফিরে যাই। ফের সন্ধ্যার পর এরকম আওয়াজ পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশের সঙ্গেও আরেক দফা স্কুলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। স্কুলের বন্ধ ঘর থেকে কেন ওই আওয়াজ এল তা বুঝতে পারলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rat Tourism: স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে পিছনে ফেলে নিউইয়র্কের নয়া আকর্ষণ ইঁদুরের উৎপাত

    Rat Tourism: স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে পিছনে ফেলে নিউইয়র্কের নয়া আকর্ষণ ইঁদুরের উৎপাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণস্থল হয়ে উঠেছে। তবে কোনও দর্শনীয় স্থান দেখতে নয়, শহরের রাস্তায় ইঁদুরের উৎপাত (Rat Tourism) দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের অভিযোগ যে শহরে এই ইঁদুরের সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এভাবে ইঁদুরের সমস্যা বাড়তে থাকলে নানা অসুখ-বিসুখ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয় ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া জীবাণু শিশুদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তবে সেসব কিছু তোয়াক্কা না করে ইঁদুর সমস্যাকেই এই রোজগারের উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শহরে শুরু হয়েছে ইঁদুর পর্যটন (Rat Tourism)।

    নিউইউর্কে ইঁদুর পর্যটন (Rat Tourism)

     আবার পর্যটকদের ইঁদুরের দৌরাত্ম্য দেখাতে গাইডের ভূমিকাও পালন করছেন অনেকজন। মোটা টাকা উপার্জন হচ্ছে শুধুমাত্র ইঁদুরকে কেন্দ্র করে। রিপোর্ট বলছে নিউইয়র্ক শহরে বর্তমানে ইঁদুর রয়েছে ১ কোটিরও বেশি। পর্যটকরা জানিয়েছেন যে নিউইয়র্কের আকর্ষণীয় স্থান বলতে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, টাইম স্কোয়ার ইত্যাদি। ইঁদুরের দৌরাত্ম্য পর্যটক টানার ক্ষেত্রে যেন স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকেও অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে এই শহরে ১ কোটিরও বেশি ইঁদুর (Rat Tourism) রয়েছে।

    ইঁদুরের উৎপাতের ভিডিও করছেন অনেকে 

    তবে শুধুমাত্র পর্যটকরাই যে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য দেখছেন এমনটা নয়। ভিডিও করে বিভিন্ন রিলস বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ইঁদুরের উৎপাত। এই ভিডিওগুলির ভিউও হচ্ছে ব্যাপক (Rat Tourism)। শহরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য বিগত বছরগুলির তুলনায় বেশ কিছুটা কমেছে। তবে তা খুব বেশি কমেনি। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যেমন বর্জ্য পদার্থ সঠিক জায়গায় ফেলার জন্য নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দশভূজা দুর্গা মায়ের পুজো (Durga Puja 2023) আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মৃৎশিল্পীদের কাজের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আকাশে বাতাসে বইতে শুরু করেছে আগমনীর বার্তা। কিন্তু মা দশভূজার দশ হাতে অসুর বধের জন্য যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তার তাৎপর্য কী? অস্ত্রের বাহ্যিক এবং অন্তর্নিহিত মাহাত্ম্য কী? অশুভ শক্তিকে জয় করে, শুভ শক্তির জাগরণে এই অস্ত্রের গুরুত্ব কেমন? আসুন জানি এই অস্ত্রের উৎস এবং গুরুত্ব।

    ১. ত্রিশূল

    পুরাণে কথিত রয়েছে যে মহাদেব নিজে ত্রিশূল দিয়েছিলেন। এই ত্রিশূলের তিন মাথায় তিন রকম গুণ রয়েছে। সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ। দেবী দুর্গা এই ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন।

    ২. সুদর্শন চক্র

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2023) হাতে আরেক অস্ত্র হল সুদর্শন চক্র। ভগবান বিষ্ণু ত্রিকালজয়ী মহিষাসুরকে বিনাশ করার জন্য এই চক্র প্রদান করেন। জগতের সকল সৃষ্টি এবং বিনাশের ভার অর্পিত থাকে এই সুদর্শন চক্রের উপর।

    ৩. পদ্ম ফুল

    সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা স্বয়ং নিজে দেবী দুর্গার হাতে পদ্ম ফুল তুলে দেন। এই পদ্ম ফুল হল মহাজ্ঞান বা প্রজ্ঞার প্রতীক। পদ্ম মনের আধ্যাত্মিক ভাব জাগরণে বিশেষ ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৪. তীর-ধনুক

    তীর-ধনুক শক্তির গতিময়তাকে বিশেষ গতি দান করে। দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) পবনদেব এবং সূর্যদেব উভয়ে মিলে এই অস্ত্র প্রদান করেন। মহাজগতে সকল শক্তির আধার হল দেবী দুর্গা। তাই এই অস্ত্র বিশেষ ভাবে শক্তির আধার।

    ৫. তলোয়ার

    তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    ৬. বজ্র

    দেবরাজ ইন্দ্র স্বয়ং দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) এই অস্ত্র প্রদান করেন। মেঘ থেকে বজ্র ঘর্ষণ হলে যেমন শক্তি অর্জন হয়, সেই রকম ভাবে অশুভকে জয় করতে শক্তির উদ্ভব করে বজ্র। মহিষাসুরকে বধ করতে দেবী দুর্গা যখন নানান অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছিলেন, সেই সময় দেবী বজ্র অস্ত্রে সজ্জিত হন। এই বজ্র হল দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। জীবন লক্ষ্যকে অবিচল রাখার জন্য এই অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়।

    ৭. বর্শা

    আগ্নিদেব নিজে দেবী দুর্গার হাতে বর্শা প্রদান করেন। সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের জন্য বর্শা অস্ত্র কাজ করে থাকে। এই বর্শা প্রজ্বলিত শক্তিকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে ব্যাপক ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৮. সর্প

    নাগ দেবতা শেষনাগ নিজে অসুরকে দমন করতে নাগপাশ দিয়েছেন। মনের ভাবকে শুদ্ধ করতে চেতনার প্রয়োজন হয়, তাই হল সাপ অস্ত্রের প্রতীক। এই চেতনা সর্প দেবতার গুণে সাধকের নিজের সাধনা নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের দিকে এগিয়ে যায়।

    ৯. কুঠার

    সমাজের জন্য যা হিতকর নয়, তাকে ধ্বংস করতে কুঠার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই অস্ত্র প্রদান করেন। সকল ভয় ভীতিকে দূর করতে কুঠার অস্ত্রের প্রয়োজন।

    ১০. গদা

    যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় অনেক জেলাতেই তাদের নিজস্ব জনপ্রিয় মিষ্টি (Bengali Sweet) আছে। যেমন বীরভূমের মোরব্বা, বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগ, বাঁকুড়ার মেচা সন্দেশ সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু অনেকেরই অজানা বীরভূমের মোরব্বা ছাড়াও আরও একটি মিষ্টি জনপ্রিয়। সেটি হল সিউড়ির তাঁতিপাড়ার বিউলির ডালের জিলিপি। যা কিনা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়। তাই এই মিষ্টিটি সিউড়ির মোরব্বার পাশাপাশি নিজস্ব একটি ঐতিহ্য বহন করে। কিন্তু তা এখনও থেকে গিয়েছে অনেকের অজানা।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপির ইতিহাস কী? কেন এটি জনপ্রিয়?

    প্রায় এক শতক পেরিয়ে গেলেও আজও এই জিলিপি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বীরভূমের একটি স্বনামধন্য মুসলিম ধর্মীয় স্থান “পাথর চাপুরি”। এখানে দাতাবাবার উদ্দেশে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তা বর্তমানে সমগ্র দেশ এমনকী বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। এই মেলা থেকেই জনপ্রিয় হয় তাঁতিপাড়ার দে পরিবারের জিলিপি (Bengali Sweet)। এই পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ও বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য অমৃতলাল দে জানান, তাঁতিপাড়া থেকে খাঁকি বাবার মাধ্যমেই পাথর চাপুরির জন্য মিষ্টির দোকান ডেকে এনেছিলেন স্বয়ং দাতাবাবা। এই খাঁকি বাবা ছিলেন বীরভূমের বক্রেশ্বরের একজন সাধক। তিনি তাঁতিপাড়া থেকে জিলিপি নিয়ে দাতাবাবাকে উপহার দেন। দু’জনের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল বলে জানা যায়। তার পর থেকেই দাতাবাবার আমন্ত্রণে পাথর চাপুরি মেলায় এই দে পরিবারের বিখ্যাত জিলিপির দোকান খোলা হয়। আর ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথম জিলিপি দাতাবাবাকে তুলে দিয়ে তারপরে মেলায় বেচাকেনা করত দে পরিবার। এখনও পর্যন্ত সেই রীতি চলে আসছে ১০০ বছর ধরে। প্রথমে দাতাবাবার মাজারে জিলিপি উৎসর্গ করে তবেই মেলাতে সাধারণের জন্য বিক্রি শুরু হয়।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপি কতটা আলাদা?

    সাধারণত এই জিলিপি অন্যান্য জিলিপির থেকে অনেকটাই আলাদা। এই জিলিপি তৈরি হয় বিউলির ডাল আর চালগুঁড়ো সহযোগে। মেলাতে দোকান করার এক মাস আগে থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। প্রথমে বিউলির ডাল, আতপ চালের গুঁড়ো তৈরি করতে হয়। ডাল ও চাল যোগে তৈরি হয় এই অনন্য জিলিপি (Bengali Sweet), যা দূর দূরান্তের অনেক মানুষের পছন্দের খাবার। মেলা ছাড়াও বারো মাস পাওয়া যায় এই জিলিপি।

    কোথায় এই তাঁতিপাড়া?

    বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত সতীর একান্ন পিঠের অন্যতম পিঠ বক্রেশ্বর ধাম। এর কাছে অবস্থিত তাঁতিপাড়া। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে বাস সহযোগে পৌঁছানো যায় এখানে। যেখানে সকাল সকাল এই বিউলির ডালের জিলিপির (Bengali Sweet) দেখা মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share