Author: user

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ৩০/০৮/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ৩০/০৮/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) রাতে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন।

    বৃষ

    ১) যাত্রায় যাওয়ার আগে ভালো ভাবে চিন্তাভাবনা করে নিন। তা না-হলে পায়ে আঘাত পেতে পারেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে। এর ফলে মন প্রসন্ন হবে।     

    মিথুন

    ১) অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে যান। তখনই অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।

    ২) শারীরিক রোগগ্রস্ত থাকলে কষ্ট বাড়তে পারে। তবে সন্ধ্যা নাগাদ তা থেকে স্বস্তি পাবেন।

    কর্কট

    ১) কারও প্রতি নিজের মনে খারাপ অনুভূতি রাখবেন না।

    ২) মায়ের কাছ থেকে স্নেহ ও ভালোবাসা পেতে পারেন।

    সিংহ 

    ১) ভাইদের সহযোগিতায় ব্যবসায় লাভান্বিত হতে পারেন। জীবনসঙ্গীর জন্য উপহার কিনতে পারবেন।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করবেন।

    কন্যা

    ১) পরিশ্রমের জোরে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথে আগত বাধা দূর হবে।

    ২) মা-বাবা আনন্দিত থাকবেন। তাঁদের সহযোগিতা লাভ করবেন।       

    তুলা 

    ১) ব্যবসায় আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন। এর ফলে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ২) পরিবারের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হবে।
     
    বৃশ্চিক

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ ধৈর্য ও প্রতিভার জোরে শত্রুদের পরাজিত করবেন। এর ফলে আপনার মন প্রসন্ন থাকবে।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ বাধলে নিজের বাণীর মাধুর্য বজায় রাখুন। তা না-হলে নতুন শত্রু উৎপন্ন হতে পারে। 
     
    ধনু

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ভেবেচিন্তে টাকা ধার দিন। তা না-হলে সম্পর্কে তিক্ততা আসতে পারে।

    ২) রোজগারের উদ্দেশ্যে কাজ করছেন যে জাতকরা, তাঁরা সোনালী সুযোগ পেতে পারেন। এর ফলে আপনার মন আনন্দিত হবে। 
      
    মকর

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে সম্মানিত হবেন।
     
    ২) কোনও নতুন কাজে লগ্নির পরিকল্পনা করে থাকলে, তার জন্য দিন শুভ।     

    কুম্ভ

    ১) পরিবারে বোনের বিয়েতে আগত বাধা সমাপ্ত হবে।

    ২) বোনের জন্য কোনও ভালো বিবাহ প্রস্তাব পাবেন।

    মীন

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এর ফলে তাঁদের জনসমর্থন বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে পার্টি করবেন।
     
         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • South 24 Parganas: পোলট্রি ফার্মের আড়ালে চলত অবৈধ বাজির কারবার! পুলিশ পৌঁছাতেই ব্যাপক শোরগোল

    South 24 Parganas: পোলট্রি ফার্মের আড়ালে চলত অবৈধ বাজির কারবার! পুলিশ পৌঁছাতেই ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোলট্রি ফার্মের আড়ালেই নিষিদ্ধ বাজি কারখানা। দিনের পর দিন গোপনেই চলছিল নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় বারুইপুর (South 24 Parganas) থানার পুলিশ প্রশাসন। আর এরপর উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি। গতকাল দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে একের পর এক মোট ৯ জনের মৃত দেহ উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলে, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।

    কীভাবে চলত অবৈধ বাজির কারখানা (South 24 Parganas)?  

    পোলট্রি ফার্মের আড়ালে নিষিদ্ধ বাজির ব্যবসা চলত বারুইপুরে (South 24 Parganas)। দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণের পর যেভাবে মৃত্যু মিছিল হয়েছে, সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই বারুইপুর থানার পুলিশ হানাদেয় চম্পাহাটির হারালে। দেখা যায়, সেখানে পোলট্রি ফার্মের আড়ালে তৈরি হচ্ছে বস্তা বস্তা নিষিদ্ধ বাজি ও মশলা। বহু মহিলারা এই বাজি কারখানায় নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কাজ চলছিল বলে জানা গেছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমকে দেখে ভয়ে পালিয়ে যান ওঁই মহিলারা।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বারুইপুরের এসডিপিও অতীন বিশ্বাস ও  বারুইপুর থানার আইসি সমীজিৎ রায়ের নেতৃত্বে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি। পোলট্রি ফার্মের আড়ালে অবৈধ বাজি তৈরির সরঞ্জামের বস্ত বস্তা উপাদান উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

    তবে প্রশ্ন উঠছে, বারুইপুর থানা পুলিশ মাইক নিয়ে প্রচার করা সত্ত্বেও কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই নিষিদ্ধ শব্দ বাজি! যেখানে শব্দবাজি নিষিদ্ধ, সেখানে দিনের পর দিন এইভাবে বস্ত বস্তা বাজি তৈরি হচ্ছে! অন্যদিকে বিরোধীরা কটাক্ষ করে এও বলে যে দত্তপুকুরের ঘটনায় কী এবার টনক নড়ল পুলিশের! দত্তপুকুরের মতন ঘটনা হারালে যেন না ঘটে, তার জন্য নজর রাখছে বারুইপুর থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ্য যে আসানসোলের বার্নপুরে এক বন্ধ গুদাম ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচন নিয়ে শাসক দলের কোন্দল  চলছেই। এবাবের এই নির্বাচনে দলের কিছু নেতা কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হননি। তারমধ্যে প্রধান মুখ মিতালি রায়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১সালেও বিধায়ক পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি আর জিততে পারেন নি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হওয়াতে সেই আসনে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন হবে। আর তৃণমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বিজেপি প্রার্থী পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক

    এবার উপ নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূলের মিতালী রায়। আর তাতেই তাল কেটেছে তৃণমূলের ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। এবারের প্রচারের থেকে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছেন মিতালীদেবী। ভোটের বাকী মাত্র হাতে কয়েকটা দিন। কিন্ত, প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি। উলটে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। শুধু পরিকল্পনাই নয় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে একপ্রকার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের ঠিক আগের দিন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মিতালী রায়কে বুঝিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত করেন। তারপরেও মিতালী রায়কে কোনও প্রচারে দেখা যায়নি। যেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্ব  ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের পালা করে প্রচারে আসছেন, সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক কোনও প্রচারে সামিল হচ্ছেন না।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে জোট প্রার্থীর বৈঠক

    অন্যদিকে, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় মিতালী রায়ের বাড়িতে গিয়ে একান্তে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তবে, ওই বৈঠকে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দুজনেই জানিয়েছেন এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাৎকার মাত্র। এদিকে মিতালীদেবী দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। তিনি ভোটের প্রচারে না যাওয়ায় তাঁর অনুগামীদের ভোট খুব স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল পাবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো ধূপগুড়ির (Dhupguri) তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়কে ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি প্রচারে বের হতে পারছি না। তার ব্যক্তিগত কারণ, নাকি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করায় গোঁসা? সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুরিয়ে আসছে আয়ু। তাই শেষ করতে হবে হাতের কাজ। ইতিমধ্যেই চাঁদে ছ’ দিন কাটিয়ে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ‘শিবশক্তি পয়েন্টে’ ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। ছ’ চাকায় ভর করে চন্দ্রালোকে তথ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। সংগৃহীত তথ্য প্রজ্ঞান পাঠাচ্ছে বিক্রমকে। বিক্রম সেই তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে চন্দ্রযান ২-র আঁতুড় ঘর ইসরোয়।

    চন্দ্রযান ৩

    ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টি ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান ৩। যে এলাকায় পা রেখেছে ভারত, সেই অঞ্চলে বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পৌঁছতেও পারেনি। তাই চাঁদ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করবেন, তাঁদের কাছে চাঁদের এই অঞ্চলের রহস্যের দুয়ার খুলে দেবে প্রজ্ঞান। সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতি প্রজ্ঞানের। তাতেই বাজিমাত করে চলেছে সে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের খনিজ পরীক্ষা করছে প্রজ্ঞান। চন্দ্রভূমে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং টাইটানিয়াম রয়েছে। চাঁদের যে অংশে পা রেখেছে বিক্রম, তার চারপাশের শিলাগুলিও পরীক্ষা করে চলেছে প্রজ্ঞান।

    চন্দ্রযান ৩-র আয়ু

    পৃথিবীর হিসেবে চাঁদে (Chandrayaan 3) ১৪ দিন দিন থাকে। বাকি ১৪ দিন থাকে রাত। বর্তমানে চাঁদে চলছে দিন। সূর্য অস্ত যেতে বাকি আর মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলতে হবে প্রজ্ঞানকে। কারণ চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে। সূর্য যতক্ষণ কিরণ দেবে, ততক্ষণই কাজ করবে এই প্যানেল। সূর্য অস্ত গেলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে চন্দ্রযান ৩। যেহেতু আট দিন পরে সূর্য অস্ত যাবে চাঁদে, তাই চন্দ্রযান ৩-র আয়ুও ওই ক’ দিন। তার পর কী ফের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে চন্দ্রযান ৩-র?

    আরও পড়ুুন: অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন বেজিংয়ের! চিনা আগ্রাসনে রুষ্ট ভারত

    বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, “ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি ঠিকই। তবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের চলাফেরার ক্ষমতা নির্ভর করছে অনেকগুলি ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। ১৪ দিনের সকাল শেষে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাত। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির (Chandrayaan 3) একটি কণাও পৌঁছবে না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সেই সময় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান ৩-র যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রাজ্যের দুই জেলায় একই সময়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশ-দুষ্কৃতী খণ্ডযুদ্ধ, চলল গুলিও

    Dacoits: রাজ্যের দুই জেলায় একই সময়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশ-দুষ্কৃতী খণ্ডযুদ্ধ, চলল গুলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের দুই প্রান্তে একই সময়ে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটে। একটি পুরুলিয়ায় ঘটেছে। অন্যটি নদিয়া জেলার রানাঘাটে। হিন্দি সিনেমার কায়দায় প্রকাশ্যে রানাঘাটে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলি বিনিময় হয়। যা দেখে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। রানাঘাটের সেনকো গোল্ড এর শোরুমে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। বন্দুক দেখিয়ে কর্মীদের মারধর এবং কোটি কোটি টাকা সোনার গয়না লুট করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই চলে। গুলিতে জখম হয় ২ জন দুষ্কৃতী। ঘটনায় গ্রেফতার হয় চারজন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নদিয়ার রানাঘাট থানা এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুলিয়াতেও সেনকো গোল্ডের শো রুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)  

    এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ হঠাৎ ৮ জন দুষ্কৃতী এক এক করে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ঢোকে। ভিতরে ঢুকেই সকলেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। পাশাপাশি কয়েকজন কর্মীকে মারধর করতে শুরু করে। এরপর মহিলা এবং পুরুষ কর্মীদের চুপচাপ বসে থাকতে বলে। কুড়ি মিনিটের মধ্যে কোটি কোটি টাকার সোনা লুট করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় তারা। সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেওয়ার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রানাঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। পরবর্তীকালে বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের তরফ থেকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালানো হয়। পুলিশের গুলি লেগে ঘটনাস্থলে এই দুই দুষ্কৃতী জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি আরও দুই দুষ্কৃতীকে হাতনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ধরনের ভর দুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) মত ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। যার কারণে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রানাঘাট থানার পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান। অন্যদিকে, পুরুলিয়া শহরে সেনকো গোল্ডের দোকানে এদিন দুপুরে দুই জন দুষ্কৃতী প্রথমে ক্রেতা সেজে ওই বহুজাতিক সোনার দোকানে প্রবেশ করে। সোনার গয়না কেনার নাম করে সোনার দোকানের কর্মীকে বিল করতে বলে। সেই মুহূর্তে দুই জনের মধ্যে একজন দুষ্কৃতী হটাৎ জলের বোতল কেনার নাম করে বাইরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে দোকানে ঢুকে পর পাঁচ-ছয় জন দুষ্কৃতী। দোকানে থাকা কর্মীদের মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে অন্য একটি ঘরে তাঁদের সেলোটেপ দিয়ে বেঁধে দেয়। তার পর অবাধে দোকানে সোনার লুট চালায়। দোকানের ৯০ শতাংশ সোনা লুট করে পালায়।

    কী বললেন সেনকো গোল্ডের এক কর্মী?

    এ বিষয়ে রানাঘাট সেনকো গোল্ড-এর এক কর্মী বলেন, আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। প্রথমে ওরা এক এক করে শোরুমে ঢুকে। দুষ্কৃতীদের ব্যাগে এবং পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রথমে আমাকে মারধর করে। এরপর সকল কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে তারা লুটপাট চালায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চাঁচলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম সইদুল আলি (৩০)। বাড়ি চাঁচলের (Malda) জালালপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। একে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চাঁচলের জালালপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলেও অভিযোগ।

    কেন খুন (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে জমি বিবাদের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় সইদুল আলিকে। এই জমিতে বহুদিন ধরে সইদুলরা দখল ভোগসত্ত্ব করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ বিবাদ হয় এই জমি নিয়ে। পাল্টা প্রতিবেশীদের দাবি, এই জমি তাঁদের। এরপর বাদানুবাদ থেকে আজ সকালে বন্দুকের গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষকে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলে, পুলিশকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে জানা গেছে। পরিবার এবং গ্রামবাসীদের বক্তব্য একটাই, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    মৃতের পরিবারের বক্তব্য

    মৃতের মামা আকসার আলি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে এলাকায় বিবাদ চলছিল। জমির মালিকানা সত্ত্বর উপর নির্ভর করে এই বিবাদ কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। জমিতে গেলে প্রায় মারধর করে অন্যপক্ষের গুন্ডারা। তাঁর অভিযোগ ঠিক এমনিই। গত সপ্তাহেও এমনই মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও বলেন, মোস্তফা, আহত আলি, দুলাল এবং নিজামুল মেম্বার মিলে আমার ভাগ্নাকে গুলি করে খুন করছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কীভাবে গুলি করে খুন করতে পারে! এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের পক্ষ থেকে মামা। দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পরিবার (Malda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি  নিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইডির কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি

    দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি। তার পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে। ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর প্রাক্তন সিইও হিসেবে রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রসঙ্গত ইডির দাবি এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাকে কাজে লাগানো হতো নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার সাদা করার কাজে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর কাজ অবশ্য জানা গিয়েছে, পরামর্শদানে নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা নেওয়া। তবে কী ধরনের পরামর্শ ঠিক দেওয়া হতো, তা অবশ্য জানা যায়নি। যে সমস্ত কোম্পানিকে পরামর্শ দানের ভিত্তিতে তারা টাকা নিয়েছে সেই কোম্পানি বা সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাটি যে তাঁরই এটা কার্যত মেনে নিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেও। সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ আমার সংস্থা।  

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ যে ইডির বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হচ্ছে ঐ সংস্থার মারফত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র একবারই তলব করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তলব কেন করা হয়নি সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার (Calcutta High Court)পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা এদিন জানিয়েছেন যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির। পাশাপাশি আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলবে এই দুর্নীতির তদন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গার (River Ganga) দুই পাড় জবরদখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হকারদের স্টল, বড় বড় অট্টালিকা, কারখানা, এমনকী হোটেল। হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গার ধার বরাবর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের দিকে এগোলে দেখা মেলে, কীভাবে গঙ্গার পাড় দখল করে একের পর এক হোটেল ব্যবসা চলছে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর এই জবরদখল চললেও তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। একরকম বহাল তবিয়তে গঙ্গার পাড় দখল করে ব্যবসা চলছে। শুধু গঙ্গার পাড়ে সারি সারি হোটেল বা হকারদের স্টল নয়, কোথাও কোথাও গঙ্গার ঘাটে নামার সিঁড়িও দখল করে দোকানদাররা বসে পড়েছে জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে। এবার হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে হাওড়া গঙ্গার ঘাট ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে দেখা মিলল নতুন দৃশ্য। কাঠের পাটাতন তৈরি করে গঙ্গার জলের নিচে থাম লাগিয়ে তার উপরে গড়ে উঠেছে হোটেল।

    যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা (River Ganga)

    যাত্রীরা জানান, এতদিন শুধুমাত্র গঙ্গার (River Ganga) পাড় দখল করে হোটেল তৈরি হয়েছিল। এবার হাওড়া স্টেশনের দিকে আর হোটেল বাড়ানোর জায়গা না পেয়ে মালিকরা গঙ্গার ভিতরের দিকে পাড় বুজিয়ে, কোথাও গঙ্গার জলের মধ্যেই থাম দিয়ে তৈরি করেছে হোটেল। ফলে এতে যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট ক্রমশ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এক নিত্যযাত্রী তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জি বলেন, তিনি নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন। ভাটার সময় গঙ্গার পাড়ের দিকে লঞ্চের জেটি থেকে তাকালেই এটা পরিস্কার বোঝা যায়, কীভাবে গঙ্গার নিচে বাঁশ ও কাঠের থাম পুঁতে তাতে কাঠের পাটাতন তৈরি করে তার ওপর হোটেল ও দোকান তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে যে শুধুমাত্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, যে কোনও সময় গঙ্গার জলের তোড়ে ওই কাঠ ও বাঁশের থাম হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
    আরেক লঞ্চের যাত্রী বাবলু সান্যাল বলেন, যখন গঙ্গায় (River Ganga) জোয়ার আসে, তখন প্রচণ্ড ঢেউ ওই পাড়ে ধাক্কা মারে। এমনকী লঞ্চ জেটিগুলিও দুলতে থাকে। তখন যে কোনও সময় জোয়ারের ধাক্কায় কাঠের থাম ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দিন যাচ্ছে, তত জবরদখল আরও বেড়ে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, গঙ্গার পাড়ের উপরের অংশে হাঁটার জায়গা নেই, এত হকার সেখানে বসে পড়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই হকারি গঙ্গার জলের দিকেও বেড়ে চলছে। এখনই প্রশাসনের উচিত এ ধরনের জবরদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।

    কাজ হয়নি পুলিশকে বারবার বলেও

    কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখার্জি বলেন, জবরদখল (River Ganga) সরানোর কাজ পুলিশ-প্রশাসনের। বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁরা পুলিশকে বারবার জানিয়েছেন এ ব্যাপারে। পুলিশকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি জানান।

    তৃণমূলের মদতেই জবরদখল, তোলাবাজি

    নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন গঙ্গার ধারে এভাবে অবৈধ হোটেল তৈরি করে সেখান থেকে বরাবরই তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাম আমলেও স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলারের মদতে গঙ্গার পাড় বুজিয়ে এভাবে বড় বড় হোটেল তৈরি হয়েছে। সেই সব বাম নেতারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গা দখল করেই তৈরি হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং তাদের মদতেই এভাবে জবরদখল চলছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ডকাণ্ডে রাজ্য থেকে ফের গ্রেফতারি। এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হলেন চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্কিমের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই চক্র গ্রুপ। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্র গ্রুপের দুটি হোটেল চলত। তারমধ্যে তারাপীঠে দুটি এবং নিউটাউনে একটি। গতকালই তলব করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    ২০০৭ সালেও গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী 

    তবে পার্থ চক্রবর্তীর এই গ্রেফতারি নতুন নয় বলেই জানা যাচ্ছে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল এই চিটফান্ড কর্ণধারকে। সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী। পরে দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্বল্প সময়ে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার লোভে প্রচুর মানুষ তাঁর সংস্থায় টাকা রাখতেন। প্রতারিত মানুষরা (ED) কলকাতার একাধিক থানায় পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে শুধুমাত্র চিটফান্ড ব্যবসা বা হোটেল ব্যবসাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না পার্থ চক্রবর্তী। এক সময় একটি সংবাদপত্রও তিনি চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। আবার বিভিন্ন মানুষকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পার্থ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে (ED)।

    চিটফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ED)

    অন্যদিকে চলতি মাসের ২১ তারিখ ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন চিটফান্ড কর্তা বিশ্বপ্রিয় গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে দেড় হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। পার্থ চক্রবর্তীর মতো বিশ্বপ্রিয়ও পুলিশকর্তাদের হাতে এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ কর্তারা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি (ED) রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    অন্যদিকে প্রীতিময় চক্রবর্তী নামের আরও এক চিটফান্ড কর্তাকে দশদিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের ধৃত ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়ের সংস্থা থেকে ১৩৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রীতিময় এবং এই পুরো টাকাটাই তিনি নেন ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এরকমই ছাত্রমৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-তে ছাত্র সংঘর্ষ ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনা। অভিযোগ, ২০০৬ সালের আগে বারবার র‍্যাগিং ও ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগ আসত হাওড়ার শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৬ সালে তৎকালীন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র ১১ নম্বর হস্টেলের দোতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সৌমিক বসু নামে তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের। সেই সময় বেসুতে এসএফআই  এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন নামে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ প্রায়শই লেগে থাকত। মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসত র‍্যাগিংয়েরও।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সৌমিক বসুর?

    সৌমিক বসু এসএফআই-এর সমর্থক ছিলেন। ২০০৬ সালের ৭ই অগাস্ট রাতে ১১ নম্বর হস্টেলে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৮ ই অগাস্ট যখন ততকালীন রেজিস্ট্রার ইন্দ্রনাথ সিনহা (বর্তমানে মাইনিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক) হস্টেলে ঢুকছিলেন, সেই সময় ওই ছেলেটি মনে করেন যে ইন্দ্রনাথবাবু পুরো ব্যাপারটা জেনে গেছেন। তখন তিনি ছুটে পালাতে যান। তখন ছিল বর্ষাকাল। বারান্দা ভিজে ছিল। পা পিছলে দোতলা থেকে নিচে পড়ে যান ওই যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। প্রথমে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা দ্রুত তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গ্রিন করিডোর করে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বাঁচানো যায়নি। ১২ তারিখ অর্থাৎ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।

    কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল র‍্যাগিং?

    সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়। সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পরে পরশমণি চট্টোপাধ্যায় কমিশন গঠন করা হয়। পরশমণি চট্টোপাধ্যায় বেসু-র প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন। তিনি এই ক্যাম্পাসে গন্ডগোল এবং র‍্যাগিং রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার ফলে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেসু রূপান্তরিত হয় শিবপুর আইআইইএসটি-তে। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসে বেসু। শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বর্তমানে ইউজিসি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে।

    এরপর ‍র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা রুখতে আইআইইএসটির অধ্যাপকরা উদ্যোগী হন। ‍র‍্যাগিং এবং ছাত্র সংগঠনের ঘটনা বন্ধে যেমন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে সক্রিয় করা হয়, এর পাশাপাশি ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হয়। ক্যাম্পাস চত্বরে সিসিটিভি, অ্যান্টি রাগিং হেল্পলাইন চালু করা, বাইরের রাজনীতি থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি বন্ধ করা, আইআইইএসটি-র গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোনও রকম আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়া, এই সমস্ত নানা পদক্ষেপের ফলে র‍্যাগিং ও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    আইআইইএসটির এক ছাত্র বলেন, যাদবপুরে যেমন বহিরাগত রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনেক বেশি দেখা যায়, সে দিক থেকে শিবপুর আইআইইএসটি সম্পূর্ণ ভাবে বাইরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। কেন্দ্র সরকারের অধীনে সরাসরি চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তাঁদের লিডার নির্বাচন করেন। এছাড়া হস্টেল ক্যাম্পাসে পাশ আউট ছাত্রদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। হস্টেল, লাইব্রেরি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিভাগ থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিলে তবেই ছাত্রদের হাতে মার্কশিট দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আইআইইএসটি-তে বহিরাগত বা পাশ আউট ছাত্রছাত্রীরা থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই।

    কী বলছেন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার? 

    বর্তমান জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) নির্মাল্যকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপলব্ধি হয় যে অযথা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। তারপর থেকে নিজেরাই আস্তে আস্তে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে র‍্যাগিং বলে কিছু নেই। উল্টে তাঁরা সিনিয়রদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান অনেক বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share