Author: user

  • Jadavpur University: ‘‘র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন’’, উপাচার্যকে বললেন রাজ্যপাল

    Jadavpur University: ‘‘র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন’’, উপাচার্যকে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University) এই আবহের মধ্যেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সূত্রের খবর, ছাত্রমৃত্যুর কারণ খুঁজতে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে বৈঠকে উপাচার্যকে তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না, র‍্যাগিং আটকাতে যা যা করণীয় তাই করবেন।’’ পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা বসানো যায় কিনা সে বিষয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে রাজ্যপাল এবং উপাচার্যের  (Jadavpur University) মধ্যে। এদিনই যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল। সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরে এই বৈঠক শুরু হয় এবং উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য প্রমুখ।

    বৃহস্পতিবার ফের ৫ জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ

    এদিনই আবার যাদবপুর  (Jadavpur University) মেন হস্টেলের পাঁচ আবাসিককে থানায় তলব করে পুলিশ। ওই পাঁচজনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার রাতে তাদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত যাদবপুরকাণ্ডে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন এবং পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের নজরে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মেন হস্টেলের  (Jadavpur University) রাঁধুনিকেও।

    অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    বিশ্ববিদ্যালয়ের  (Jadavpur University) গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য পদে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। এবার এ নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে। মামলাকারী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর রাজেশ দাস। তাঁর দাবি, ইউজিসির আইন অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও নিয়ম নেই। অথবা উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা গেলেও তাঁকে কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। 

    যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া নাগরিক সমাজের মিছিল

    অন্যদিকে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর ইঙ্গিত উপাচার্য  (Jadavpur University) গতকালই দিয়েছিলেন। এবার এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে খানিকটা মেজাজ হারালেন বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, ‘‘বারবার একই প্রশ্ন! আমি কি সব মুখস্থ করে রেখেছি?’’ জানা গিয়েছে, একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়ে সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার যাদবপুর  (Jadavpur University) ক্যাম্পাস থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত বিশাল নাগরিক মিছিল দেখা যায়। সেখানে শিক্ষাকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক সমেত রাজ্যের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রদেরও হাঁটতে দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Update: আধারের তথ্য বিনিময়ে হতে পারে প্রতারণা! বিপদ এড়াতে কী করবেন?

    Aadhaar Update: আধারের তথ্য বিনিময়ে হতে পারে প্রতারণা! বিপদ এড়াতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড (Aadhaar Update) সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করা নিয়ে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নাগরিকদের বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সাইবার চোরাকারবারিরা হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেলে নানা রকম বার্তা পাঠিয়ে তথ্য জানতে চায়। আর সেই তথ্য যাচাই করতে গিয়েই নাগরিক সমাজকে বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই আধার-দুর্নীতি নিয়ে সতর্ক করল আধার আপডেট সংস্থা ইউআইডিএআই।

    কীভাবে হয় প্রতারণা (Aadhaar Update)?

    আধারের (Aadhaar Update) ক্ষেত্রে নাগরিকরা সংশোধনের বিষয় নিয়ে আবেদন করেই থাকেন। আর এই সংশোধনের ফাঁকেই চোরাকারবারিরা বিভিন্ন রকমের ফাঁদ পেতে থাকে। তাই এই সাইবার চোরাকারবারিদের থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে বিশেষ সতর্কতা জারি করল ইউআইডিএআই।

    ইউআইডিএআই-এর বক্তব্য

    আধার (Aadhaar Update) সংস্থা ইউআইডিএআই থেকে জানানো হয়েছে, তারা কখনই এমন ভাবে ই-মেলে বা মেসেজ করে আপডেট করার পিআইও PIO বা POA চায় না। তাই গ্রাহকদের এই সংক্রান্ত যে কোনও বার্তা উপেক্ষা করতে হবে। এই সংস্থা থেকে আরও বলা হয়, প্রয়োজন হলে মাইআধার ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহক নিজের আধার আপডেট করতে পারেন। এছাড়াও নিকটবর্তী আধার কেন্দ্রে গিয়ে এই আপডেটের কাজ করাতে পারেন। অপরিচিত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে কোনও প্রকার মেসেজ এলে, তাকে উপেক্ষা করাটাই একমাত্র কাজ। আধার সংস্থা আরও জানিয়েছে, আধার ডকুমেন্ট আপডেট করার সময় ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    বিনামূল্যে আধার আপডেট কীভাবে?

    প্রথমে আধার (Aadhaar Update) নম্বর দিয়ে https://myaadhaar.uidai.govt.in লগ ইন করতে হবে। এরপর ‘প্রসিড টু আপডেট অ্যাড্রেস’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপরে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে একটা ওটিপি চাইবে। সেটা হলে ডকুমেন্ট আপলোড করে তথ্য দিতে হবে। এবার তথ্যগুলি যাচাইয়ের পর হাইপার লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিজের পরিচয় এবং ঠিকানাগুলিকে ঠিক করতে হবে। এরপর ঠিকানার তথ্য সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আপলোড করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরই আবেদন গ্রহণ করে সংস্থা থেকে ১৪ সংখার একটি আবেদন নম্বর প্রদান করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ খ্যাতির শিখরে! কে এই হস্তশিল্পী?

    Success Story: রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ খ্যাতির শিখরে! কে এই হস্তশিল্পী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কর্মই তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করে। ভালো কর্ম যে কোনও মানুষের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে সক্ষম। আজকের প্রতিবেদন তেমনই একজনকে নিয়ে, যিনি তাঁর কর্ম প্রতিভায় নিজেকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি রুমা দেবী (Success Story)।

    কে এই রুমা দেবী?

    রুমা দেবী রাজস্থানের বারমের জেলার একজন বাসিন্দা। রাজস্থান হস্তশিল্প যেমন শাড়ি, বিছানার চাদর, কুর্তা এবং অন্যান্য পোশাক তৈরিতে উন্নত এক রাজ্য। দেশ-বিদেশের সমস্ত জায়গায় রাজস্থান আজ তার হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। এই রাজস্থানী হস্তশিল্পের একজন কারিগর তথা শিল্পী হলেন রুমা দেবী। তাঁর নিজস্ব একটি গ্রুপ আছে যারা বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত বারমের, জেলমের এবং বিকানের জেলার প্রায় ৭৫টি গ্রামের ২২ হাজার মহিলাকে কর্মসংস্থান প্রদান করছে (Success Story) এবং তাঁদের শিল্প সিঙ্গাপুর, জার্মানি এবং কলম্বোর ফ্যাশন উইকেও প্রদর্শিত হয়েছে।

    সাফল্যের রাস্তা মোটেও সহজ ছিল না (Success Story)

    বর্তমানে অনেক মহিলাই তাঁদের নিজস্ব শিল্পীসত্তা এবং কাজের নিরিখে দেশ-বিদেশ জুড়ে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। কিন্তু আর কয়েকজন সাধারণ মানুষের মতো রুমা দেবীর সফলতার রাস্তা (Success Story) কখনও সহজ ছিল না। এর পিছনে আছে এক কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনি। ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে রাজস্থানের বারমের জেলার রাতওয়াসার গ্রামে পিতা খেতারাম এবং মাতা ইমরাতি দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রুমা দেবী। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। তার পর তাঁর পিতা আবার একটি বিয়েও করেন। রুমা বেড়ে ওঠেন তাঁর ৭ বোন ও এক ভাইয়ের সাথে। রুমাদেবী তাঁর মামার কাছে বড় হন। সেই গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। রাজস্থানে পানীয় জলের খুব সমস্যা থাকায় রুমা দেবী ১০ কিলোমিটার দূর থেকে গরুর গাড়িতে বসে পানীয় জল নিয়ে আসতেন। এরপর মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয় বারমের জেলার মঙ্গল বেরি গ্রামের বাসিন্দা টিকুরামের সাথে।

    কীভাবে তিনি সফলতা (Success Story) অর্জন করেন?

    ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ বিকাশ এবং চেতনা সংস্থা তৈরি হয়েছিল। এই এনজিওর লক্ষ্য ছিল গ্রামের হস্তশিল্পগুলির মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করা। ২০০৮ সালে রুমা দেবী এই এনজিওর সাথে যুক্ত হন। এরপর শুরু হয় তাঁর কঠোর পরিশ্রম। নতুন নতুন ডিজাইন এবং আরও নানা হস্তশিল্পের এক খ্যাতনামা শিল্পী হিসেবে রুমা দেবী নাম অর্জন করেন। এর পর তাঁকে সেই এনজিওর চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে সেই এনজিওর সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার মহিলা যুক্ত৷ এইসব নারীরা ঘরে বসেই তাঁদের হস্তশিল্প তৈরি করেন। রুমা দেবী তাঁদের হস্তশিল্প তৈরি করা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে সব রকম সহায়তা করে থাকেন। সেইসব নারীদের ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় কোটি  টাকা (Success Story)।

    রুমা দেবীর অর্জিত সম্মান (Success Story)

    রুমা দেবী ভারতের মহিলাদের জন্য সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘নারী শক্তি পুরস্কার ২০১৮’ তে পুরস্কৃত হন। এমনকি রুমা দেবীকে ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনের হাওয়ার্ড ইন্ডিয়া সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখান থেকে হাওওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুদের হস্তশিল্পের পণ্য তৈরি শেখানোর সুযোগ পান। সেখানে পাশাপাশি তাঁর পণ্য প্রদর্শনেরও সুযোগ  পেয়েছিলেন। রুমা দেবী সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক লাখ। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। ট্যুইটারে তাঁকে অনুসরণ করেন ৬ হাজার ৫০০ মানুষ। 
    সম্প্রতি রুমা দেবী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একসাথে তাঁর কুঁড়েঘরে থাকার ছবি এবং তার ইউরোপ ভ্রমণের ছবি প্রকাশ করেছেন। ২০১৫-১৬ সালে অনুষ্ঠিত জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা, যেখানে অংশগ্রহণের জন্য ফি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, সেখানে রুমা দেবী ও তাঁর গ্রুপকে বিনামূল্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল (Success Story)।

    রুমা দেবীকে নিয়ে লেখা হয় একটি বইও

    সম্প্রতি নিধি জৈন নামক এক লেখিকা ‘হাউসলে কা হুনার’ নামক একটি বই প্রকাশ করেন, যা রুমা দেবীকে নিয়ে লেখা। বইটিতে রুমা দেবীর সংগ্রাম এবং তাঁর সাফল্যের পুরো কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। কীভাবে তিনি একটি গ্রাম থেকে উঠে এসে বিদেশেও তাঁর শিল্পকে তুলে ধরেছেন এবং বিদেশে পৌঁছে হাজার হাজার নারীকে স্বাবলম্বী করেছেন (Success Story), তার উল্লেখ এই বইতে আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের টিকিট কবে থেকে, কীভাবে মিলবে? আইসিসি জানালো সমস্ত খুঁটিনাটি

    Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের টিকিট কবে থেকে, কীভাবে মিলবে? আইসিসি জানালো সমস্ত খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে ভারতে বসতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর (Cricket World Cup 2023)। এবার সেই ইভেন্টের টিকিট কোথায় মিলবে তা জানিয়ে দিল আইসিসি। জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেনা যাবে এবং ‘বুক মাই শো’ ওয়েবসাইট থেকে সব ম্যাচের (Cricket World Cup 2023) টিকিট মিলবে। প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে www.cricketworldcup.com/register এই ওয়েবসাইটে। যে কোনও ম্যাচের টিকিট মিলবে রাত আটটা থেকে। জানা গিয়েছে, মোট ৫৮টি ম্যাচ হতে চলেছে চলতি বছরের বিশ্বকাপে (Cricket World Cup 2023)। খেলা হবে দেশের ১২টি স্টেডিয়ামে। অনলাইনে টিকিট কেটে খেলা দেখতে আগ্রহী দর্শকরা আগেভাগে বিশ্বকাপের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কেনা হলেও ছাপা টিকিট সংগ্রহ করেই মাঠে ঢুকতে  হবে।

    একসঙ্গে সব ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে না

    জানা গিয়েছে, সমর্থকদের (Cricket World Cup 2023) সুবিধা অনুযায়ী, সব ম্যাচের টিকিট একসঙ্গে ছাড়া হবে না। এতে কী হয়, প্রচুর লোক একসঙ্গে টিকিট বুকিং শুরু করতে থাকে। এর ফলে ওয়েবসাইটে বিকল হয়ে যেতে পারে। ধাপে ধাপে দুটি বা তিনটি করে ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে এবং সবশেষে ছাড়া হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের (Cricket World Cup 2023) টিকিট। হাইভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট নিয়ে ব্যাপক চাহিদা থাকবে।

    কোন দিন কোন ম্যাচের টিকিট মিলবে? 

    আইসিসি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের (Cricket World Cup 2023) যে ম্যাচগুলি রয়েছে তার টিকিট বিক্রি হবে ৩১ অগাস্ট থেকে। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে (Cricket World Cup 2023)। দক্ষিণ আফ্রিকার নেদারল্যান্ড ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের টিকিট মিলবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। আইসিসি প্রথমেই জানিয়েছে যে অনলাইন টিকিটে (Cricket World Cup 2023) মাঠে ঢোকা যাবে না। অফলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অফলাইনে বড় লাইন দেওয়ার অসুবিধায় যাঁরা পড়তে চান না তাঁরা বাড়িতে বসেই টিকিট পেয়ে যাবেন। কীভাবে পাবেন? এক্ষেত্রে আইসিসি বলছে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ১৪০ টাকা। তাহলেই কুরিয়ারের মাধ্যমে টিকিট বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তবে এক্ষেত্রে যে ম্যাচ আপনি দেখতে চাইবেন তার ৭২ ঘণ্টা আগে টিকিট কাটতে হবে। এই সুবিধা শুধুমাত্র ভারতে বসবাসরত দর্শকদের (Cricket World Cup 2023) ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর বানানো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) অরবিটার নেই। শুধু ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞান নিয়েই চাঁদ জয় করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবারের রোভার অনেক বেশি উন্নত। রোভারের চারদিকেই সোলার প্যানেল লাগানো। সেই সঙ্গেই রোভার প্রজ্ঞানে আছে হাই-রেজলিউশন ক্যামেরা। প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা যে টিম তৈরি করেছে তার অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। বুধবার ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনেও দেখা গিয়েছিল জয়ন্তকে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখতে উচ্ছাসে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল বাংলার এই সন্তানকে।

    ‘চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যে খুশি বিজ্ঞানী জয়ন্ত লাহার মা, কী বললেন? (Chandrayaan-3)

    উত্তরপাড়ার সরকারি হাইস্কুলে পড়াশোনা জয়ন্তর। ছোট থেকেই মেধাবী। শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে খড়্গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন জয়ন্ত। তারপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত লাহা। তাঁর সাফল্যে এখন গোটা উত্তরপাড়ায় উৎসবের মেজাজ। জয়ন্তের বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্তবাবুর বানানো নেভিগেশন ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটি দেখবে, ছবি তুলবে চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে কাজ শুরু করার পরেই সক্রিয় হবে প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখতে আনন্দে মেতে ওঠেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। টিভির পর্দায় বিজ্ঞানীদের ভিড়ে ছেলেকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন গর্বিত বাবা-মা। জয়ন্তবাবুর মা চন্দনা লাহা বলেন, ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। অসুস্থ ছিল। আমরাও ওকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে, খুব পড়তে ভালবাসত। পড়াশুনাতেও ভাল ছিল। ছেলে আরও বড় হোক এই আশীর্বাদ করি।

    চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের ছবি তোলা, দিকনির্ণয়ের কাজটা পরিচালনা করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম

    চাঁদের মাটিতে এখনও কাজ শুরু করেনি প্রজ্ঞান। অবতরণ স্থলের চারপাশ ভাল করে পরীক্ষা করার পরেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) তার কাজ শুরু হবে। ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রজ্ঞানকে পরিচালনা করবেন বিজ্ঞানীরা। রোভারের চাকা গড়ালেই অ্যাকটিভ হবে নেভিগেশন ক্যামেরা। চাঁদের মাটির ছবি তোলা, দিকনির্ণয় করে এগিয়ে যাওয়ার কাজ করবে নেভিগেশন টুল। প্রজ্ঞানের এই কাজটা পরিচালনা করবেন জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু কিংবা শেষে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ রোগে (Monsoon Diseases) ভোগে অসংখ্য শিশু। কিন্তু এ বছর বর্ষার মরশুমেও দেখা দিয়েছে এই ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। না হলে, এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকবে। বাড়বে ভোগান্তি।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) এক ধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। কক্সেকি ভাইরাসের জেরে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত শিশুদের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। দু-তিন বছর থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) রোগের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের (Monsoon Diseases) উপসর্গ স্পষ্ট। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে অধিকাংশ আক্রান্ত হয় শিশুরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে জ্বর হয়। তার সঙ্গে হয় সর্দি-কাশি। পাশপাশি, হাত, পা এবং মুখে লাল রঙের গুটি হয়। গুটিগুলোর ভিতরে এক ধরনের রস থাকে, যা রোগ সংক্রমণ বাড়ায়। তাছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মুখ থেকে লালা ফেলার মতো উপসর্গ হয়।

    কেন বর্ষায় এই রোগের (Monsoon Diseases) প্রকোপ বাড়ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতের সময়ই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু এ বছর বর্ষাতেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের হাঁচি-কাশি-সর্দি হয়। আর এর জেরেই সক্রিয় হচ্ছে কক্সেকি ভাইরাস। একজনের দেহ থেকে সহজেই আরেকজনের দেহে বাসা বাঁধছে। তাছাড়া পেটের সমস্যা হলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বর্ষায় পরিশ্রুত জলের অভাবে বাড়ছে পেটের সমস্যা। তাই শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যেহেতু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই এই রোগ (Monsoon Diseases) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

    কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে সবচেয়ে বেশি নজরদারি জরুরি। শিশুদের খেলনা অনেক সময়ই ঘরে পড়ে থাকে। তাই বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়খানা করার পরে ভালোভাবে শিশুকে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া, হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সংক্রমণের (Monsoon Diseases) আশঙ্কা কমবে।

    কোন দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ (Monsoon Diseases) থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। চিকিৎসা শুরুর দিন সাতেকের মধ্যে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে, চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্তের খাবারের উপর বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত হলে ভাইরাসের দাপটে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে, শিশুদের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, যাতে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয়। তবে, এই রোগে যেহেতু পেটের সমস্যা হয়, তাই যাতে সহজেই হজম হয়ে যায়, এমন খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Mamata’s ‘Rakesh Roshan’ Comment: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    Mamata’s ‘Rakesh Roshan’ Comment: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন কবে চাঁদে গেলেন, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। এর সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকেই। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন, এখান থেকেই ভুল তথ্য দেওয়া শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধী চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন। এখন যন্ত্র গিয়েছে। রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়ে ইন্দিরা গান্ধী জানতে চেয়েছিলেন, সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগছে। রাকেশ রোশন বলেছিলেন, সারে জাহা সে আচ্ছা।’’ কথা বলার সময় ভুল হতে পারে। কিন্তু তা শোধরাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই বক্তব্য ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। হৃতিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশনের মহাকাশচারী রূপের ছবিও ভাইরাল হয়।

    সুকান্তর কটাক্ষ

    মমতার এই মন্তব্যের রেশ ধরে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী কী বলতে চেয়েছেন, সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী আদতে কী বলতে চেয়েছেন, সেটার ব্যাখ্যা তাঁর থেকেই চান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। সুকান্ত লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলতে চান (চাইছিলেন)? উনি যেটা বলেছেন, সেটার তো কোনও অর্থ খুঁজে পাচ্ছি না আমি। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।’

    শুভেন্দুর তির

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অশিক্ষিত, মূর্খ মুখ্যমন্ত্রী। রাকেশ রোশন অভিনেতা, মহাকাশে যাননি। রাকেশ শর্মা গিয়েছিলেন। কোনটা মহাকাশ, কোনটা চন্দ্রমা, কোনটা শুক্র তা জানেন না মুখ্যমন্ত্রী। ব্রহ্মাণ্ড, জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নেই। সে কারণে আগে ডক্টরেট লিখতেন, এখন লেখেন না। করুণা ছাড়া আর কী করব? ভগবান করুণা করুন।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের দেশে আমরা একজন অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়েছি। যিনি রাকেশ শর্মাকে বলেন রাকেশ রোশন। মহাকাশকে চন্দ্র বলছেন।’’ 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম

    মমতার মন্তব্য নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কবে রাকেশ রোশন মহাকাশচারী হলেন? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। একজন হৃতিক রোশনের একটি বিখ্য়াত গানের নাচ শেয়ার করে লিখেছেন, বাবা মহাকাশচারী শোনার পর থেকেই হৃতিক এখন এমন — 

    আরেকজন রাকেশ রোশন অভিনীত একটি পুরনো ছবির গানের কলি শেয়ার করে লিখেছেন, মহাকাশচারী হওয়ার কৃতিত্ব এভাবেই পালন করছেন রাকেশ—

    ১৪ বছর আগে বাংলা ছবির সংলাপও ভাইরাল

    উল্লেখ্য, মমতা যে কথা আজ বলেছেন হুবহু বাংলা ছবিতে ১৪ বছর আগে সেই সংলাপ ছিল। সিঙ্গুর আন্দোলনের পটভূমিতে অনিন্দিতা সর্বাধিকারী রাজ্যে পালাবদলের আগে আলোর নিশানা বলে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। যেখানে অভিনয় করা কাঞ্চন মল্লিক, যিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, তাঁর মুখেই ছিল ওই সংলাপ। ছবিটির একটি অংশে অভিনেতা কাঞ্চনকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “রাকেশ রোশন যখন চাঁদে গেছিল তখন ইন্দিরা গান্ধী রাকেশ রোশনকে জিজ্ঞেস করল যে, উপর থেকে পৃথিবী ক্যায়সা লাগতা। তখন রাকেশ রোশন বলেছিল সারে জাহা সে আচ্ছা।” তখন অপর অভিনেতা বলেন, “রাকেশ রোশন তো হৃতিক রোশনের বাবা, সে চাঁদে যাবে কী করে? রাকেশ শর্মা মহাকাশ গিয়েছিল।” এরপরই কাঞ্চন ওই অভিনেতাকে চড় কষিয়ে বলেন, “দিদি যখন বলেছে তখন রাকেশ রোশনই। জ্ঞান কপচাবি না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: আসছে কিং খানের ‘জওয়ান’, হু হু করে বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিট!

    Shah Rukh Khan: আসছে কিং খানের ‘জওয়ান’, হু হু করে বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই কিং খান (Shah Rukh Khan) তাঁর ‘পাঠান’ দিয়ে বক্স অফিস মাতিয়ে রেখেছিলেন। ভারত থেকে বিদেশ, ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পাঠান। এবার পাঠান ঝড়ের পর আসতে চলেছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘জওয়ান’। আবার একটি অ্যাকশন ও বিনোদনমূলক ছবি নিয়ে ফিরে আসছেন তিনি। ছবির অফিসিয়াল পোস্টার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শাহরুখ ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এখানে নাকি সম্পূর্ণ নতুন রূপে শাহরুখকে দেখা যাবে। গত ১০ জুলাই ছবির প্রিভিউ মুক্তি পাওয়ার পর ভক্তদের মধ্যে সেই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পেতে চলছে ‘জওয়ান’। ভক্তরা এখন থেকে দিন গুনতে শুরু করে দিয়েছেন। হাতে মাত্র দুই সপ্তাহ, তার পরেই আবার ঝড় তুলবেন বাদশা কিং খান। ইতিমধ্যেই আরব আমিরশাহি থেকে শুরু করে আমেরিকাতে টিকিটের অগ্রিম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মুক্তির আগেই চরম সাড়া জাগিয়েছে এই ছবি।

    কোথায় কোথায় এবং কতগুলি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ‘জওয়ান’ (Shah Rukh Khan)?

    বছরের শুরুতেই ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার পর তা দারুণ সাফল্য লাভ করে ভারত থেকে শুরু করে সুদূর বিদেশেও। আমেরিকাতেও একটি এই ধরনের ভারতীয় ছবি নিয়ে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসী ভারতীয়রা সেখানে তো ছিলেনই, সঙ্গে বিদেশিদের মধ্যেও উন্মাদনা কম ছিল না। এবার আগের বারের মতোই ‘জওয়ান’ ছবিটিও মুক্তি পাবে বিদেশের বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে। আমেরিকার মোট ৩৬৭ টি জায়গায় ১৬০০ স্ক্রিনে মুক্তি পাবে এই ছবিটি। তাছাড়াও ভারতের প্রায় সব সিনেমা হলেই মুক্তি পাবে এই ছবিটি (Shah Rukh Khan)। ইতিমধ্যে ৯৭০০ রও বেশি টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যার থেকে মোট আয় এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৩ কোটি টাকারও বেশি অগ্রিম বুকিং হতে পারে।

    ছবির (Shah Rukh Khan) প্রচারে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা?

    ‘জওয়ান’ মুক্তির আগেই ‘পাঠান’ এর যেভাবে সাফল্য এসেছিল, সেই মন্ত্রেই বিশ্বাস রাখছেন বাদশা। পাঠান মুক্তির আগে কোনও রকম প্রচার মূলক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি শাহরুখকে। শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়া এবং পোস্টারের মাধ্যমেই প্রচার চালিয়েছিলেন। ঠিক এবারও একই পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অ্যাটলি কুমার, এটি তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি। মুখ্য চরিত্রে শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ছাড়াও দেখা যাবে বিজয় সেথুপতি ও নয়নথারাকে। ছবি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান -৩ (Chandrayaan 3) এর সাফল্যের নেপথ্যে এবার নাম জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। মূলত, চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের হাতে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষের বাবা পেশায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেচ দফতরের কর্মচারী, মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। চন্দ্রযান -৩ এর সাফল্যে খুশি সকলেই।

    চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কী বললেন বিজ্ঞানী পীষূষ পট্টনায়েক? (Chandrayaan 3)

    পীষূষের হাতে খড়ি হয় গ্ৰামেরই একটি স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে। এরপর, কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক পাশ করেন। ২০১৩ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এম টেক পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। পীযূষ বলেন, চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হতেই সাময়িক মুষড়ে পড়েছিলাম। তারপর এই ব্যর্থতাকে রসদ করে নতুন করে পুরোদমে নেমে পড়়েছিলাম। চার বছর ধরে আমাদের সকলের পরিশ্রম এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমার মূলত চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল। মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তাপমাত্রা হয়ে থাকে। যন্ত্রপাতির কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক তাপমাত্রার। সেই বিষয়টি আমাদের টিমের দায়িত্ব ছিল। অবশেষে সাফল্য আসায় খুবই আনন্দ লাগছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) বুধবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশির আমেজ নেমে এসেছে উত্তর কোটালের পীযূষকান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়িতে। পীযূষের সফলতায় খুশি পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী। পীযূষের দাদা প্রদ্যুৎ পট্টনায়েক বলেন, ভাইয়ের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর নতুন করে ওরা চেষ্টা চালিয়েছিল। বুধবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পা রাখতে গর্বে মন ভরে যায়। এমনিতেই দেশবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব হচ্ছে। পাশাপাশি আমার ভাই এই অভিযানের অন্যতম শরিক জেনে খুবই ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর দু’ মাসও নেই। তার পরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো (Durga Puja 2023)। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে, শুরু হয়েছে মণ্ডপ নির্মাণ, প্রতিমা তৈরি। আর এই সবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পশ্চিমবঙ্গের পুজো কমিটিগুলির জন্য অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোটা পুজো জুড়ে যা বিদ্যুৎ খরচ হবে কমিটিগুলির, তার এক-চতুর্থাংশ বিল মেটালেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর খুশির মেজাজে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। কিন্তু ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, ভাঁড়ে মা ভবানীর দশা যেখানে, সেখানে এই বাহুল্য কি না দেখালেই নয়? এর আগেও এই অনুদানের ওপর ভিত্তি করে সরকারের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল সহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। আর এবারও রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন নামজাদা বাংলা পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

    কে এই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়?

    কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি সিনেমা পরিচালক এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা সূত্রে একজন চিকিৎসক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অন্য পেশায় নিযুক্ত হন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৬ টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার মধ্যে, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘উড়ো চিঠি’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘ককপিট’, ‘আমাজন অভিযান’, ‘ক্ষত’ অন্যতম।

    কী লিখেছেন তিনি এই অনুদানের (Durga Puja 2023) বিরুদ্ধে?

    এই অনুদান দেওয়ার খবর প্রকাশ হতে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই ৭০০০০ টাকাতে দুঃস্থ সরকারি স্কুলে কিছু বই বিতরণ করা যেত। সব বড় ক্লাবের পুজোর (Durga Puja 2023) বাজেট লক্ষ বা কোটিতে হয়। আর পুজোর দাদার খাটের নীচেই কয়েকশো কোটি থাকে।’ কারও নাম উল্লেখ না করলেও তিনি কাকে লক্ষ্য করে কথাটি বলেছেন তা আর কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি চরম কটাক্ষ করেছেন সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    অনুদান নেবে না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Durga Puja 2023)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যেমন খুশির হাওয়া অনেক পুজো কমিটির মধ্যে, ঠিক অপরদিকে এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর তুলেছেন বিরোধী পক্ষরা। প্রসঙ্গত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি এই অনুদান (Durga Puja 2023) নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অনেকেরই বক্তব্য এই বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোন খাতেও খরচ করা যেতেই পারত। অনুদান হিসেবে এত টাকা দেওয়াটাকে যুক্তিহীন ব্যাপার হিসাবেই দেখেছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share