Author: user

  • West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটনে (West Bengal Tourist Places) বরাবরই এক বিশেষ স্থান রয়েছে এই প্রান্তিক উপকূল পর্যটন কেন্দ্র বকখালির। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বকখালি যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে নামখানা অবধি বাসে বা ট্রেনে গিয়ে তারপর ফেরি নৌকায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে আবার গাড়ি বা বাসে পৌঁছতে হত বকখালি। কিন্ত এখন নদীর ওপর সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ায় সেই ঝক্কি আর সামলাতে হয় না। ফলে পর্যটকরা সরাসরি বাসে বা গাড়ি নিয়েই পৌঁছে যেতে পারেন কলকাতা থেকে মাত্র ১২৮ কিমি দূরের এই মনোরম সমুদ্র সৈকত বকখালিতে। একদিকে বঙ্গপোসাগরের নীল তরঙ্গমালার অমোঘ আহ্বান, অপরদিকে সোনালী বালুকাবেলার দুরন্ত হাতছানি, মাথার ওপর সুনীল আকাশ, তটভূমি জুড়ে সারি সারি ঝাউগাছের বাঙ্ময়, অথচ নিঃশব্দ আমন্ত্রণ-প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের হৃদয় হরণের জন্য আর কী চাই? মূলত এই সাগর আর এই অসাধারণ প্রকৃতির টানেই হাজার হাজার মানুষ বারবার ছুটে আসেন বকখালিতে। সমুদ্র ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি কুমির প্রকল্প। কুমির ছাড়াও আছে বেশ কয়েকটি হরিণ।

    ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে মাত্র ৪-৫ কিমি দূরে আর একটি সুন্দর স্থান হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places)। প্রকৃতপক্ষে এটি পঃ বঃ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের একটি প্রকল্প। এই মৎস্য উন্নয়ন নিগম বা দি ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগেই এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বেশ কয়েকটি সুবিশাল জলাশয়ে করা হচ্ছে মাছের চাষ। পর্যটকদের চারপাশের শোভা দর্শনের জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। একটু এগিয়ে গেলেই ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্য। তারপরেই সমুদ্র। অপূর্ব পরিবেশ। মৎস্য উন্নয়ন নিগম এখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও করেছে। এদের এখানে আছে  দুটি থাকার ব্যবস্থা- ১) সুন্দরী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স এবং ২) ম্যানগ্রোভ ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স।

    নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে প্রায় ৪ কিমি পথ গেলে আর এক  সুন্দর, নিরালা, নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (কলকাতার দিক থেকে যাওয়ার সময় আগে পড়বে এই ফ্রেজারগঞ্জ)। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেনফিশের হোটেল। এছাড়াও আছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল (West Bengal Tourist Places) ।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতার ধর্মতলা থেকে বর্তমানে সরাসরি বাস যাচ্ছে বকখালি (West Bengal Tourist Places)। অন্যথায় শিয়ালদা থেকে ট্রেনে নামখানা এসে সেখান থেকে ফেরি নৌকায় নদী পেরিয়ে নামখানা-বকখালি বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় বকখালি। বকখালিতে থাকার জন্য আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা ডব্লিউবিটিডিসি (WBTDC)-এর বকখালি ট্যুরিস্ট লজ। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কিছু বিভিন্ন মানের ও বিভিন্ন দামের বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kota Suicide: ফের কোটায় এক আইআইটি-জেইই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    Kota Suicide: ফের কোটায় এক আইআইটি-জেইই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজস্থানের কোটায় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার (kota suicide) ঘটনা ঘটল। বিহারের গয়ায় মৃত পড়ুয়ার বাড়ি। নাম বাল্মীকি প্রসাদ। বয়স হয়েছিল ১৮। পরীক্ষার প্রস্তুতির চাপ এবং হতাশা মৃত্যুর কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (kota suicide)?

    মৃত বাল্মীকি প্রসাদ আইআইটি-জেইইর পরীক্ষার্থী ছিলেন। দু বছর ধরে কোটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। চলতি মাসে এই নিয়ে কোটায় আত্মহত্যায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল চার। এই বছরে মোট সংখ্যা ২০। জানা গেছে বাল্মীকি প্রসাদ যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিক তাঁকে দেখে পুলিশকে প্রথমে খবর দেন। এরপর মৃতদেহ (kota suicide) পুলিশ নিয়ে যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় পাশের এক ছাত্র বাল্মীকিকে ডাকতে গেলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এরপর বাড়ির মালিককে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির মালিক দরজা ভেঙে দেখতে পান বাল্মীকি প্রসাদ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। পুলিশে খবর দিলে মৃতদেহকে (kota suicide) তারা দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, পরিবারের লোকদের খবর পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত কোনও রকম নোট পাওয়া যায়নি। আপাতত পুলিশ বাড়ির মালিক এবং এলাকার ছাত্রদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ শুরু করেছে। আরও জানা গেছে মোটামুটি ভাবে গত ২ বছর ধরে এই ছাত্র এখানেই আইআইটি-জেইই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্য না আসার কারণে হতাশা কাজ করছিল বলেও জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে।

    কোটা প্রশাসনের ভূমিকা

    কোটা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ছাত্রদের আত্মহত্যা (kota suicide) নিয়ে সচেতনতার অভিযান শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের বিশেষ আদেশের ভিত্তিতে জেলায় আগত পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে, বিশেষ কাউন্সেলিং এবং হেল্পলাইন চালু করার কথা প্রশাসন ঘোষণা করেছে। যে কোনও সাহায্যের জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯৯৬৬৬৫৫৫ এবং help@vandrevalafoundation.com নামে মেইল আইডি প্রকাশ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানের মালিকানার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ। এখানেই রয়েছে হংকং মার্কেট। পাহাড়, জঙ্গল ঘুরতে এসে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও হংকং মার্কেটে আসেন বিদেশি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও দোকানের মালিকানা না পেয়ে এদিন ব্যবসা বনধ ডাকার পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এই মিছিলে পা মেলান সমস্ত ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা। সুবিশাল মিছিল বিধান মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল রাস্তা পরিক্রমা করে।

    কেন এই ব্যবসা বনধ?

    দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেই মতো এই বাজারের নামকরণ করা হয় বিধান মার্কেট। কিন্তু, এতদিন পরেও বংশানুক্রমে ব্যবসা করে আসা ১৬২০ জন ব্যবসায়ী দোকানের মালিকানা তথা জমির সত্ত্ব পাননি। দোকানের মালিকানার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিধান মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিলিগুড়ি- জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এস জে ডি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও ব্যবসায়ীরা দোকানের মালিকানা পাননি। অবশেষে ধর্মঘটের পথে হাঁটেন ব্যাবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, এরপরেও এসজেডিএ যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

    ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও তাঁর দল। দোকানের মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সবরকমভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজু বিস্তা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে  প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি রোহিঙ্গাদের পাট্টা দেওয়া হয়, তাদের ভারতের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কেন দোকানের পাট্টা দেওয়া হবে না?

    কী বলছে এসজেডিএ?

    এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এদিনই বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পরই অশান্তি হুগলি জেলার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার খানাকুলে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার গুলির খোল ও তিনটি তাজা বোমা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। রাতভর বোমাবাজির জেরে আতঙ্কিত ঠাকুরানিচক এলাকার বেরাপাড়া। বাড়ির গৃহবধূ থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলের ঠাকুরানিচকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেড়ার বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পুরো এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। এই বিষয়ে ওই এলাকার এক গৃহবধূ মিতা বেরা বলেন, পুরো পাড়া বোমা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে আছে। গভীর রাতে গুলি চলে। ভয়ে গোটা পাড়ার মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা তপন মণ্ডল বলেন, খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হক ও বিদায়ী প্রধান শীতল মণ্ডলের নেতৃত্বে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেরার বাড়িতে হামলা হয়। গুলি ও বোমা ছোঁড়া হয়। লাগাতার সন্ত্রাস চলে। বাড়িতে গর্ভবতী বোন ছিল। তাঁর মাথার উপর দিয়ে গুলি চলে যায়। বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূল নেতা নইমুল হক বলেন, লোকের বাড়িতে ঝামেলা করা আমাদের দলের এই সব নীতি আদর্শ নয়। বিজেপি দুষ্কৃতীকারী দল। বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। তৃণমূলের নাম খারাপ করার জন্য বিজেপি চক্রান্ত করেছে। সবমিলিয়ে পুলিশ বোমা ও গুলির খোল গুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর এবং ওজন নিয়ে সতর্ক তরুণ প্রজন্ম! তাই ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়ার পরিমাণ কমাচ্ছেন! কম বয়সীদের অনেকেই স্থূলতা এড়াতে ডায়েটিং (Obesity and Diet) করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হয় অপরিকল্পিত। অর্থাৎ, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নয়, নিজের মতোই তৈরি করেন ডায়েট চার্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ডায়েট প্ল্যান শুনে, অনেকে নিজেদের ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ! শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। এমনকি প্রাণসংশয়ও দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের কুফল ভুগতে হবে দীর্ঘদিন।

    কোন ধরনের ডায়েট (Obesity and Diet) বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়েট প্ল্যান সম্পূর্ণ ব্যক্তিবিশেষে তৈরি হয়। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির শরীর ঠিক রাখতে, স্থূলতা রুখতে কিংবা ওজন কমাতে কী করা দরকার, সেটা সকলের জন্য এক হবে না। একেক জনের জন্য, একেক ধরনের ডায়েট হয়। প্রত্যেকের যেমন রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা এক হয় না। একেক জনের ওজন, উচ্চতা একেক রকম হয়। ঠিক তেমনি ডায়েট প্ল্যান প্রত্যেকের আলাদা হয়। উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল সব কিছু মাপকাঠির নিরিখে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হয়। তবেই তা ঠিকমতো উপকারী হবে। পাশপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্থূলতা কমাতে হঠাৎ সম্পূর্ণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। ভাত কিংবা রুটি একদম খাচ্ছেন না। যা শরীরের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক। কারণ, কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগানে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকা থেকে হঠাৎ ভাত কিংবা রুটি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিলে, শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে। যা সমস্যা তৈরি করবে। আবার অনেকেই প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দেন। ফলে, পেশির মজবুতি কমতে থাকে। এগুলির জেরে নানা রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুই ডায়েট শরীর সুস্থ রাখতে পারে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মনে করেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলেই ওজন কমে যাবে (Obesity and Diet)। শরীর সুস্থ থাকবে। এ ধারণা ভুল। খাবারে রাশ ওজন কমাবে। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখবে না। শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শারীরিক কসরত, যোগাভ্যাস! তার সঙ্গে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার। এই দুইয়ের সমন্বয় না থাকলে বিপদ মারাত্মক।

    অপরিকল্পিত ডায়েট (Obesity and Diet) কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়? 

    অপরিকল্পিত ডায়েট শরীরে ডেকে আনে একাধিক রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ত্বকের রোগের মতো একাধিক রোগের কারণ হয় অপরিকল্পিত ডায়েট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের (Obesity and Diet) জন্য অনেক সময়ই শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়। অনেকেই প্রয়োজনের কম মিষ্টি খান। শরীরে মিষ্টির প্রয়োজন আছে কিনা, তা না জেনেই সিদ্ধান্ত নেন। ফলে, সুগার কমে যায়। যার জেরে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। এছাড়া, অপরিকল্পিত ডায়েটের জন্য হৃদরোগ হতে পারে। কারণ, রক্তচাপের উপরে অপরিকল্পিত ডায়েটের খারাপ প্রভাব পড়ে। রক্তচাপ মারাত্মক ওঠা-নামা করে। ফলে, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া, অতিরিক্ত কম খাবার খাওয়ার জেরে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। নানা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। 
    পাশপাশি, ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে ত্বকে রুক্ষতা দেখা দেয়। চুল পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, পুষ্টির অভাব শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়ে। ফলে, শরীরে দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Ayush: প্রথাগত ঔষধি নিয়ে ‘হু’ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা

    Ayush: প্রথাগত ঔষধি নিয়ে ‘হু’ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হু’ এবং কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের (Ayush) যৌথ উদ্যোগে প্রথাগত ঔষধির উপর হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আগামী ১৭ এবং ১৮ অগাস্ট গুজরাটের গান্ধীনগরে তা হবে বলে দিল্লিতে ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় আয়ুষ (Ayush) মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের (Ayush) প্রতিমন্ত্রী মুঞ্জপারা মহেন্দ্রভাই কালুভাই ওই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই সম্মেলনের প্রধান আয়োজক ‘হু’। সেই সঙ্গে ভারতের আয়ুষ মন্ত্রক সহকারী আয়োজক হিসাবে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই সঙ্গে বলেন, ভারতীয় প্রথাগত ঔষধি এবং চিকিৎসা পদ্ধতির এই আলোচনাচক্র বিশেষভাবে লাভজনক হবে। হু ভারতের প্রথাগত ঔষধি এবং চিকিৎসা পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন এই মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, গত বছর গুজরাটের জামনগরে প্রথাগত ঔষধির একটি বিশেষ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে দেশের প্রথাগত ঔষধিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে বেশ ভালো কাজ করছে। এই সম্মেলন ভারতের প্রথাগত ঔষধির আন্তর্জাতিক বাজার তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ এবং সেই সঙ্গে অনুশীলন-সবটা মিলিয়ে ভারতের বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার কথাও সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

    সম্মেলন কেমন হবে?

    ডব্লুএইচও (হু)-এর মহা নির্দেশক ডঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া এবং আয়ুষের (Ayush) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর চিকিৎসক, অধ্যাপক, ছাত্র, গবেষক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিভিন্ন সামজিক সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞরা যোগদান করবেন। এই সম্মেলনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথাগত ঔষধির ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। যোগা, মেডিটেশনের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের কথাও জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে, কখনও পরীক্ষা ঘিরে নানা অব্যবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। আবার কখনও বদলির প্রক্রিয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রকম পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। কিন্তু পদ চলে যাওয়ার পরেই সক্রিয় তিনি। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের পদচ্যুত হওয়া ও তারপরে তাঁর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনাকে অন্তত এভাবেই কটাক্ষ করছে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ।

    কী অভিযোগ উঠছে উপাচার্যের (West Bengal Health University) বিরুদ্ধে? 

    সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, নিয়োগ থেকে বদলি, কিছুই নিয়ম মতো হচ্ছে না। একের পর এক সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মাফিক মেডিক্যাল পড়ানোর কোনও পরিকাঠামো সেখানে গড়ে উঠেছে না। আর সে নিয়ে কোনও রকম সক্রিয়তা দেখাননি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্য সুহৃদা পাল। অভিযোগ, একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। ফলে, এমবিবিএস পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। 
    এছাড়াও বদলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ। নির্দিষ্ট সময় মেনে বদলির রীতি কার্যত উঠে গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ নিয়ে উপাচার্যকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনও হেলদোল হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হলে তবেই কলকাতা বা বড় শহরের মেডিক্যাল কলেজে পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ।

    সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ (West Bengal Health University) কী?

    তবে, সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এমবিবিএস পড়ুয়ারা মেডিক্যাল কলেজে নানা কুকর্ম করলেও কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পরীক্ষার সময়েও প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় করছে না বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক তৃণমূল নেতা মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরেও সেই পরীক্ষা বাতিল কিংবা সেই ঘটনার তদন্তের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কল্যাণী জেএনএম, একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় নজরদারি করা যায় না। এমনকি পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো নিয়েও শিক্ষক-চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতেই পদ আগলে রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুহৃদা পাল। আর তারপরেই চিকিৎসকদের একাংশের মন্তব্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাতে যদি এতখানি তৎপর হতেন, তাহলে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়াশোনার মান অনেক ভালো হতো। সর্বপরি রাজ্যের মানুষ সুদক্ষ চিকিৎসক পেতেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)? 

    সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টি আদালতের অধীনে রয়েছে। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে জেলে ঢোকানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যুজুড়়ে তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিজেপিও এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার তমলুক জেলা পরিষদের জয়ী বিজেপি সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের অন্য কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কি হচ্ছে কোনও খবর আছে? তিনি অভিযোগ করেন, কোন কলেজ হোস্টেলগুলোতে সিসিটিভি কিংবা সুপার আছে? আসল সমস্যার সমাধান না করে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। একে ধরছে, ওকে ধরছে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা উচিৎ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। যেখানেই হাত দেবেন পচা গন্ধ বের হবে কোনও দফতরই ভালো না। যাদের যোগ্যতা নেই তাঁদের রেজিষ্টার, প্রো ভিসি করা হয়েছে। অ্যাডমিশন বেচে খেয়েছে। যারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালেক্টর ছিল। ডিয়ার লটারি ও মদ খাইয়ে যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাই আজ কলেজে অনার্স বিভাগে ৫০ শতাংশ সিট খালি থাকে।

     বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, জেলা পরিষদের বিজেপির ১৪ জন জয়ী সদস্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে। কিন্তু, সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিগত বোর্ডের সময় জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের সৌজন্যে জেলা পরিষদ পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল। আমরা তা আর হতে দেবোনা। দলের ১৪ জন সদস্য দক্ষ বিরোধী দলনেতা ঠিক করবে। সেই সুদক্ষ বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের স্বচ্ছভাবে কাজ যাতে হয় তা দেখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nehru Museum and Library: নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীদের মিউজিয়াম

    Nehru Museum and Library: নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীদের মিউজিয়াম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির (Nehru Museum and Library) নতুন নাম রাখা হল প্রধানমন্ত্রীদের মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরি (PMML)। প্রধানমন্ত্রীদের নামাঙ্কিত এই নতুন মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরির সহ সভাপতি সূর্য প্রকাশ ট্যুইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, এই নতুন নামকরণ গত ১৪ অগাস্ট সোমবার থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে।

    কী বললেন সংস্থার (Nehru Museum and Library) সহ সভাপতি?

    সংস্থার সহ সভাপতি বলেন, ১৪ অগাস্ট, দেশের স্বাধীনতার ৭৬ তম বর্ষপূর্তিতে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের স্মরণে সংগ্রহশালা এবং বিশেষ গ্রন্থাগার নামে পরিচিত হবে। সেই সঙ্গে তিনি নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে ট্যাগ করে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। এই (Nehru Museum and Library) সোসাইটি গত জুন মাসের মাঝামঝি সময়ে এ ব্যাপারে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর সংস্থার নামকরণ, নেহরুর পরিবর্তে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীদের নামে করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্র সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিষয়ে জানিয়েছে, সোসাইটির পক্ষ থেকে বিশেষ মিটিং করে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে এনএমএমএল (NMML) নিজেদের ১৬২ তম মিটিংয়ে প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দেয়। গত বছর এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ থেকে সবার জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।

    কী কী থাকবে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ে  

    এই মিউজিয়ামের (Nehru Museum and Library) নতুন ভবনে সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের জীবন সংক্রান্ত নানা তথ্যচিত্র সম্বলিত প্রদর্শনী থাকবে। তাঁরা দেশের কোন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দেশের বিশেষ বিশেষ সমস্যায় কীভাবে কাজ করছেন, সেই বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। উল্লেখ্য, পণ্ডিত নেহরু শেষ জীবন এই বাড়িতে জীবন কাটিয়েছিলেন। তাঁর জীবনস্মৃতির নানান কথা এখানে সংগ্রহ করা রয়েছে। গান্ধী পরিবার থেকে দেশের তিন জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীও এই তালিকায় রয়েছেন। কিন্তু দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে কংগ্রেস এই নতুন নামকরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: র‍্যাগিং রুখতে শিক্ষক-পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ যাদবপুরে নেই কেন? কাদের স্বার্থে?

    Jadavpur University: র‍্যাগিং রুখতে শিক্ষক-পড়ুয়ার সরাসরি যোগাযোগ যাদবপুরে নেই কেন? কাদের স্বার্থে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও হস্টেলে, আবার কখনও কলেজ ক্যাম্পাসে। সিনিয়র পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে একাধিক বার হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে নানা ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে র‍্যাগিং রোগের ছবি! কিন্তু গত কয়েক বছরে পড়ুয়া-শিক্ষক সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পোক্ত করে অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ রুখেছে র‍্যাগিং রোগ! প্রশ্ন উঠছে, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ পারলে, রাজ্যের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কেন শিক্ষক-পড়ুয়ার সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে পারল না? কেন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার জন্য এখনও লাল ফিতের গেড়োয় আটকে থাকতে হয় সাধারণ পড়ুয়াদের? মুক্তচিন্তার প্রাঙ্গণে কেন সহজ নয় পড়ুয়া ও কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের মাধ্যম?

    কীভাবে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যোগাযোগ সহজ হয়েছে? 

    রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে বিভিন্ন জেলা থেকে পড়ুয়ারা আসেন। বিভিন্ন সময়েই এই হস্টেলগুলিতেও প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে র‍্যাগিং রুখতে নতুন পন্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। অধিকাংশ কলেজে তৈরি হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ভর্তির পরেই তাদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি হয়। সেই গ্রুপে থাকেন কলেজের একাধিক বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী, হস্টেলের সুপার। কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হলেই পড়ুয়া ওই গ্রুপে লিখতে পারবেন। একাধিক ব্যক্তি তাঁর সমস্যার কথা জানতে পারবেন। দ্রুত পদক্ষেপ সহজ হবে। আর তাতেই কাজ হচ্ছে বলে জানাচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজ ক্যাম্পাস হোক কিংবা হস্টেল, সরাসরি কলেজের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা পাওয়ায় পঠনপাঠন থেকে অন্যান্য সমস্যা সহজেই জানানো যাচ্ছে। ফলে, হেনস্তা কমছে।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন কোথায়? 

    দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে উদ্ধার হয়। অভিযোগ, সিনিয়র ছাত্ররা তাঁকে র‍্যাগিং করে। আর তার জেরেই ওই ছাত্র মারা যান। এরপরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেল সুপার, ডিন অব স্টুডেন্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেন একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক হস্টেলে থাকতে পারলেন না, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কোনও রকম হেনস্তার অভিযোগ করতে হলে ই-মেল মারফত করতে হয়। কিন্তু রাতে হস্টেলে একাধিকবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও রকম উপায় নেই। কার্যত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাধারণ পড়ুয়ার যোগাযোগ করা বেশ কঠিন। আর তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে, মুক্তমনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন থাকবে এই লাল ফিতের গেড়ো?

    কী বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ? 

    সাম্প্রতিক পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক সে কথা জানালেও কেন এমন ঘটনা ঘটলো এবং তার দায় কতখানি কর্তৃপক্ষের, সে নিয়ে মুখে কুলুপ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের! হস্টেল সুপার এবং ডিন অব স্টুডেন্টের ভূমিকা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন! আর এসবের কোনও উত্তর দিতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share