Author: user

  • JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যুর কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এখন ঘরে-বাইরে আলোচনার শিরোনামে। পরের সপ্তাহে আসতে চলেছেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুর আইওইউ বা Institutions of Eminence (IoE) এর তকমা কি হারাবে? এই প্রশ্নই উঠছে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে। 

    ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স বা বিশিষ্টতার তকমা কী (JU Student death)?

    ২০১৮ সাল থেকে ইউজিসি বিশেষ প্রকল্পের সুচনা করেছিল। তাতে বলা হয়, দেশের মোট ১০ টি সরকারি এবং ১০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশিষ্টর তকমা দিয়ে বড় অনুদান দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা এবং উন্নত ক্লাসের সুবিধার জন্য এই অনুদান মিলবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে। সেই সঙ্গে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এই ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স-এর জন্য বিশেষ প্রচার অভিযান চালায়। উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এবং রাজ্যকে বিশিষ্টতার জন্য সহযোগিতা এবং বিশেষ অনুদান পাওয়ার জন্য প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই তকমা নিয়ে খুব একটা সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

    কেন এই তকমা বাতিল হতে পারে?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) সম্পর্কে ইউজিসির এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাদবপুর ৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার বাজেট জমা দিয়েছে ইউজিসির কাছে। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে অনুদানের ১০০০ কোটি টাকা বহন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতর সক্রিয়তা দেখায়নি। প্রস্তাবকে সংশোধন করে রাজ্য শিক্ষা দফতর পাঠালেও, সেখানে বাজেটের পরিমাণ কম করা হয় বলে ইউজিসিকে জানানো হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক যাদবপুরের ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স তকমা বাতিল করার সুপারিশ করে। একই ভাবে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্টতার তকমা হারাবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকার যদি অনুদানের একটা অংশ বহন না করে, তাহলে এই বিশেষ তকমার অনুদান না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে যাদবপুর এখন সরগরম। মৃত্যুর কারণ হিসাবে র‍্যাগিং এবং কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিয়েও উঠছে প্রশ্না। ইউজিসি আসার পর এখন তদন্তের গতি কোন পথে এগোয় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Independence Day 2023: প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপেলের চাটনি পাঠিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণপত্র!

    Independence Day 2023: প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপেলের চাটনি পাঠিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণপত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির জন্য আপেলের চাটনি তৈরি করে পাঠিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করলেন উত্তরাখণ্ডের এক সাধারণ গৃহবধূ সুনীতা রৌতেলা। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর তৈরি করা চাটনির প্রশংসা করে পাঠালেন বিশেষ নিমন্ত্রণপত্র (Independence Day 2023)।

    কীসের নিমন্ত্রণ পেলেন?

    একেবারে ভারত সরকারের স্ট্যাম্প দেওয়া বিশেষ আমন্ত্রণপত্র (Independence Day 2023) এসে পৌঁছাল উত্তরাখণ্ডের অতি সাধারণ গৃহিণীর কাছে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে সুনীতা দেবী ভীষণ উৎফুল্ল। এই চিঠি হল, সুনীতাদেবীকে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের বিশেষ নিমন্ত্রণপত্র। পরিবারের বক্তব্য, আমরা এই আমন্ত্রণপত্র পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

    কেন আমন্ত্রণপত্র?

    এই আমন্ত্রণ (Independence Day 2023) পত্রের মধ্যে বিশেষ একটা দিক রয়েছে। তা হল সুনীতা দেবী আজ থেকে চার মাস আগে এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য আপেলের চাটনি তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। এই চাটনির ‘রিটার্ন গিফট’ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানালেন তাঁকে। এই আমন্ত্রণ সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল সুনীতা দেবীর কাছে। তিনি বলেন, হয়তো চাটনিটা ভালো হয়েছিল, আর সেই সঙ্গে আমার পরিশ্রম কাজে দিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরের নজরে পড়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণে আমি অত্যন্ত খুশি।

    অতি সাধারণ পরিবারের গৃহবধূ

    অতি সাধারণ ঘরের গৃহিণী সুনীতা রৌতেলা। মূলত আপেল চাষ করে জীবন চালান। আপেল থেকে প্রস্তুত করেন চাটনি, জ্যাম যা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। মূলত তাঁদের বাড়ি হল উত্তরাখণ্ডের ঝালা এলাকায়। সুনীতা এবং তাঁর স্বামী মিলে একটি খাদ্য উৎপাদনের স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেন। এই গোষ্ঠীর মধ্যে তাঁদের গ্রামের মোট ১৬২ জন যুক্ত হয়েছেন। তাঁর স্বামী ভরত রৌতেলা বলেন, আমাদের অনেক উৎপাদিত ফল বাগানে নষ্ট হয়ে যায়। কখনও কীটনাশকের অভাব, কম দামে বিক্রি, দ্রুত সরবরাহের যানের অভাব ইত্যাদি কারণে। কিন্তু যখন জানলাম যে সরকারের খাদ্য উৎপাদনের বিশেষ প্রকল্প রয়েছে, তখন থেকে আমরা আমাদের উৎপাদিত ফলকে ব্যবহার করে স্বনির্ভর হতে শুরু করলাম। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্টে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষক সহ মোট ১৮০০ জন বিশিষ্টকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ (Independence Day 2023) করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) হিংসা ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী কেরলে দাঁড়িয়ে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বলেন যে মণিপুরে সেনাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি তার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালে আইজলে বায়ু সেনাকে বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়ে কী লাভ হয়েছিল? রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করে রবি শঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি আশা করেন যে উত্তপ্ত মণিপুরের (Manipur) সেনাবাহিনী ভারতীয়দের উপর গুলি চালাবে? শান্তি সম্প্রীতি ফেরাবে?  

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা দিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন যে মণিপুরে (Manipur) ভারত মাতাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে তখন লোকসভার ভিতরে প্রধানমন্ত্রী মোদিও সরব হন। এবং বলেন, ‘‘এক নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে ভারতবর্ষের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।’’  রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, ‘‘সংসদে রাহুল গান্ধী বলেছেন যে মণিপুরে ভারত মাতা খুন হয়েছে, ও না বোঝে দেশ, না বোঝে রাজনীতি! এমনকি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ।

    মণিপুর (Manipur) ইস্যু 

    এদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে একের পর এক গণহত্যার উদাহরণও টেনে আনেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং তিনি বলেন, ‘‘ ১৯৮৪ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির মধ্যে দিয়ে কীভাবে দিল্লিতে শিখ দাঙ্গা করা হয়েছিল। এটাই হল কংগ্রেস, যা সবসময় ভাগ করে ভারতকে। বিরোধীরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথা। রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন আরও বলেন, ‘‘মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছেন লোকসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ১ ঘণ্টার উপরে বক্তব্য রেখেছেন। মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে বিরোধীরা প্রথমে অভিযোগ জানিয়েছিল যে মোদির কিছু বলা উচিত! যখন নরেন্দ্র মোদি বলতে লাগলেন, তখন বিরোধী নেতারা তাঁর বক্তব্যের মাঝে বাধা দিতে থাকলো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের যাত্রী টার্মিনাল তৈরির পাশাপাশি এবার দেশজুড়ে বেশ কিছু বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যের ডানকুনি গুডস শেডকে আধুনিকীকরণ করে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখতে ডানকুনি গুডস শেড পরিদর্শনে যান হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার ও রেলের অন্যান্য অফিসাররা। তারা গুডস শেড পরিদর্শন করে তার নকশা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, টার্মিনাল তৈরির জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিশ্বমানের টার্মিনালে তৈরির জন্যে কী কী কাজ করা হবে?

    ডিআরএম রেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে  অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ কিভাবে এগোবে সে ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যাতে এটিকে বিশ্বমানের পণ্য শেড করা যায়। পুর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেই সব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিশ্বমানের গুডস শেড তৈরির জন্যে ডি আর এম যে সব প্রস্তাব দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হল লোডিং বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লাইন তৈরি করা। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যে আলাদা  স্থান তৈরি করা। পৃথক পৃথক প্রবেশ পথ এবং বের হওয়া পথের সুবিধা। পণ্য চালান ব্যবহারকারীদের জন্য কভারড পার্কিং। টু-হুইলারের জন্যে বিশেষ স্থান। যথাযথ ট্রাক পার্কিং সুবিধা। লেবারদের বসার জন্যে শেডে বসার আলাদা বেঞ্চ। যান্ত্রিকভাবে আনলোড করার সুবিধা।

    কী বললেন বাসিন্দারা?

    ডানকুনি গুডস শেড কলকাতা থেকে সড়কপথে প্রায় ২০ কিমি দূরে। কলকাতার এত কাছে হওয়ার জন্যে কলকাতা শহরে জিনিস আমদানি রপ্তানির জন্যে এটিকে একটি বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল বা হাব হিসাবে গড়ে উঠলে একদিকে যেমন শহরের যানজট কমবে, তেমনি ভিন রাজ্যের জিনিসপত্র দ্রুত পৌঁছে যাবে শহর কলকাতায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত এই বিশ্বমানের এই শেড তৈরির কাজ এগোবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ শেষ করা হবে। শহরের বাসিন্দারা জানান, কলকাতার কাছেই ডানকুনি থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে খিদিরপুর ডক। ডকে জাহাজে আসা মাল দ্রুত জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যাবে ডানকুনি গুড শেডে। তারপর তা যেমন ভিন রাজ্যে রেলপথে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ডানকুনিতে আসা মালপত্র খিদিরপুর বন্দর দিয়েও রপ্তানিতে সুবিধা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংগঠনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন শাখা সংগঠনগুলির এক বৈঠক আয়োজিত হয় কলকাতায়, যার পোশাকি নাম ছিল সংযুক্ত মোর্চা সম্মেলন। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তার আগে সকালে দক্ষিণশ্বরে তিনি পুজোও দেন।

    মমতাকে তোপ বিজেপি সভাপতির

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এদিন বলেন, ‘‘গতকালও বলেছি আজকেও বলছি, কয়েকটি সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুর্নীতি কোথায়! আমি জানতে চাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কোথায়? কোথায় আজ অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে? তৃণমূলের নেতারা বহু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত! তবু আপনি প্রমাণ চাইছেন মমতা দিদি?’’
     
     এদিন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার কথা উঠে আসে জেপি নাড্ডার ভাষণে (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য ১২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এমনকি সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে যে হিংসা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আর মমতা দিদি আপনি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলছেন! আগে আপনি বাংলার দিকে তাকান।’’  

      অন্যদিকে মোদি সরকারের উন্নয়নের গতিকেও রোধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগও তোলেন নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুতে সরকারিভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২১ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে চেয়েছিল, আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে বাধা দেয়।’’ জেপি নাড্ডার (JP Nadda) আরও সংযোজন, ‘‘বিগত ৪০-৫০ বছরে বাংলায় কংগ্রেস শাসন হোক বা কমিউনিস্ট শাসন হোক বা তৃণমূল শাসন হোক কেউই বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে কোনও কিছু বাকি রাখেনি। যে বাংলা বিশ্বকে একসময় পথ দেখিয়েছিল, সেই বাংলা আজ মমতা সরকারের অধীনে এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত গত চার পাঁচ দশকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি।’’

     প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ভালো ফল করবে তাও এদিন জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণে উঠে আসে এবং তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আপনারা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। আসুন আমাদের সংগঠনের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করি। আমি এখানে যে উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখছি তাতে আমি নিশ্চিত যে বাংলায় পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি আসবে।’’ এই সময় সভাগৃহ করতালিতে ফেটে পড়ে, সেটার উল্লেখ করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘করতালির বজ্রধ্বনি বলছে আপনারা অঙ্গীকার নিয়েছেন যে আপনারা দলকে সফল করবেন এবং বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন।’’

    সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা (JP Nadda)

    বিজেপির দু’দিনের পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবারই রাজ্যে পা রেখেছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা। মন্দির থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই মন্দির স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জায়গা। এখানে এসে দলের মঙ্গল চাইলাম, দেশের ভাল চাইলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ভগবানের আর্শীবাদ চাইলাম, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ভারত গঠিত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের (UGC) অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যরা। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ কমিটির (ICC) বিশেষ বৈঠক হবে। এরপর ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। যাদবপুরের মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যুর (JU Student death) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে এবার ইউজিসি তদন্তে নেমে পড়ল। কীভাবে হয়েছে ছাত্রের মৃত্যু! র‍্যাগিং ক্যাম্পাসে কতটা সক্রিয়! হস্টেলগুলিতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কতটা সুরক্ষিত! সব কিছুর তদন্ত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদের একাংশ। তবে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা যে ইউজিসির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভিসি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরির বিশেষ ভাবনাচিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    কার মা বললেন আমার ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার (JU Student death)?

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে (JU Student death) র‍্যাগিং-এর অভিযোগে ধৃত সৌরভ চৌধুরীও শিকার হয়েছিল র‍্যাগিং-এর! এমন চাঞ্চল্যকর দাবি যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর মা প্রণতি চৌধুরীর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি র‍্যাগিংয়ের আঁতুড় ঘর? সৌরভের মায়ের মন্তব্যে উঠছে এমনই প্রশ্ন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কার্যত তোলপাড় সারা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে হস্টেলে অত্যাচারের তত্ত্ব। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চন্দ্রকোনার সৌরভ চৌধুরী সহ আরও দুজন। আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকায়, এমন তথ্য যখন প্রকাশ্যে আসছে, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই সৌরভের ওপরও হয়েছে র‍্যাগিং। কর্তৃপক্ষকে তৎকালীন সময়ে জানিও মেলেনি কোনও সুরাহা। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজ স্বপ্নদীপের মতো তাঁর ছেলেকে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হতে হতো না! সাফ দাবি সৌরভের মায়ের।

    কী বললেন মা?

    ধৃত সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী রবিবার চন্দ্রকোনায় দাঁড়িয়ে বলেন, “ছেলে যখন পড়াশোনা করত তখন ফোন করলেই বলতো র‍্যাগিং এর কথা, সহ্য করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তার কাছে।” উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডের (JU Student death) ধৃত সৌরভ বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও যথেষ্ট ভালো ফল করেছে সৌরভ। মেদিনীপুর কলেজে প্রথমে অংক নিয়ে পড়াশোনা, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ। ডাব্লু বিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

    ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Independence Day 2023: ভারতের সঙ্গে আরও ৫টি দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৫ অগাস্ট

    Independence Day 2023: ভারতের সঙ্গে আরও ৫টি দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৫ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা (Independence Day 2023) লাভ করে। এই স্বাধীনতা হল ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে কলোনি সাম্রাজ্য থেকে মুক্তির স্বাধীনতা। উল্লেখ্য আরও ৫টি দেশের একই স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট। একই দিনে পরাধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাধীনতা লাভ করেছিল নর্থ কোরিয়া, সাউথ কোরিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, বাহারিন এবং লিচেনস্টেইন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষের সময়কে ভারত সরকার অমৃত মহোৎসব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    ভারত কীভাবে স্বাধীন হয়েছিল (Independence Day 2023)?

    ভারতবর্ষ ব্রিটিশদের ২০০ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতে, অনেক স্বাধীনতা (Independence Day 2023) সংগ্রামীদের নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। ব্রিটিশদের সঙ্গে হয়েছে সশস্ত্র লড়াই। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ভারত স্বাধীনের একটি বিল ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ হাউসে পেশ করে। ওই বছরেই ১৪ অগাস্ট ভারতবর্ষকে ভারত এবং পাকিস্তান বিভাজনের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের দেশের শাসন ভার দিয়ে প্রত্যাগমন করে। ১৫ই অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা হয়। এরপর দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    পাঁচটি দেশের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট

    সাউথ কোরিয়া এবং নর্থ কোরিয়া প্রথমে এক সঙ্গেই অখণ্ড ছিল। এই দেশ ভারতের মতো পরাধীন ছিল। অ্যামেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে ছিল। পরে জাপান দখল করেছিল। এরপর ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্বাধীনতা লাভ করে কোরিয়া। কিন্তু তারও ৩ বছর পর ১৯৪৮ সালে কোরিয়া যথা ক্রমে সাউথ এবং নর্থ কোরিয়াতে ভাগ হয়ে যায়। বাহারিন দেশ ১৯৭১ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ কলোনি থেকে মুক্তি লাভ করে। কঙ্গো ১৯৬০ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনই কঙ্গোর জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে তাঁদের স্বাধীনতা দিবসকে। উল্লেখ্য কঙ্গো ফ্রান্স সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। লিচেনস্টেইন একটা সময় জার্মানের অধীনে ছিল। এই দেশটি হল ইউরোপের অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যবর্তী একটি ছোট্ট দেশ। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত জার্মান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। তাঁদেরও স্বাধীনতা (Independence Day 2023) দিবস ১৫ অগাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পেরিয়ে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরুর সময় অনেক নতুন ধাপ আসে! আর তার মধ্যে কমবেশি সকলের কাছেই পরিচিত হয়ে ওঠে একটি শব্দ, সেটা হল র‍্যাগিং! কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে র‍্যাগিংয়ের শিকার হন নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন এই র‍্যাগিং প্রক্রিয়াকে মজা বলা হলেও, তাকে কেবল মজা বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত, ভারতের মতো দেশে যেখানে প্রতি বছর কয়েকশো পড়ুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্থার শিকার হন। এ রাজ্যের পরিস্থিতি দেশের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছে ইউজিসি’র (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন) রিপোর্ট। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ দাসের মৃত্যু (JU Student Death) ফের প্রকাশ্যে আনল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্তার পিছনে থাকে মানসিক বিকার!

    রাজ্যে র‍্যাগিং রোগ কতখানি ভয়াবহ? 

    ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগের নিরিখে দেশের প্রথম তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ তালিকার উপরের দিকে রয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ (JU Student Death) আরও বেড়েছে। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর গড়ে ৪৭৫-৫০০টি অভিযোগ জমা পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগও জানান ভুক্তভোগীরা। তাই পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র‍্যাগিং রোগ জাঁকিয়ে বসেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    র‍্যাগিং কাকে বলে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং হল এক ধরনের হেনস্তা। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন পড়ুয়াদের পরিচয় পর্বের নামে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনকেই র‍্যাগিং বলা হয়। এটা এক ধরনের কুপ্রথা। যেমন, নানান সামাজিক হেনস্তা দীর্ঘদিন ধরে মজা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক সেরকমই এই কুপ্রথাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের নিছক মজা বলেই চালানো হয়। কিন্তু র‍্যাগিং হল এক ধরনের অপরাধ।

    মানসিক সমস্যা থেকেই হেনস্তার ইচ্ছে তৈরি হয়? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অপরাধ মনস্ক মানসিকতা থেকেই তৈরি হয় হেনস্তার ইচ্ছে। নতুন ভর্তি হওয়া অধিকাংশ পড়ুয়ার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। নতুন পরিবেশে তুলনামূলক তারা দুর্বল। তাই তাদের উপর নানান অত্যাচার (JU Student Death) করা যাবে, এই ভাবনা থেকেই র‍্যাগিং হয়। আর এই ভাবনা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয় বলেই মনে করছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেমন অনেকেই শিশুদের মারধর করেন। অনেক ধরনের রাগ কিংবা হতাশার বহিপ্রকাশ ঘটান বাড়িতে শিশুদের মারধর করে। শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সেই মারধরের তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করতে পারবে না, সেই ভাবনা থেকেই অনেকেই বাড়ির শিশুদের মারধর করেন। র‍্যাগিং অনেকটাই সেরকম। নানান হতাশা ও অবসাদ থেকে একটা পাল্টা আক্রমণের ইচ্ছে তৈরি হয়। আর তুলনামূলক দুর্বলের উপরে তা প্রয়োগ সহজ। তাই সদ্য আসা পড়ুয়ারাই হয় টার্গেট।

    র‍্যাগিংয়ের প্রভাব কতখানি সুদূরপ্রসারী হতে পারে? 

    যেসব পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ভয়ানক অভিজ্ঞতা (JU Student Death) ভোগ করেন, সাধারণত তাদের মনে এর ভয়ঙ্কর গভীর প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকের মানসিক স্থিতি চিরকালের জন্য চলে যায়। আর যারা পরিস্থিতি সাময়িক সামলে নেন, তাদের মনেও এই হেনস্তার দীর্ঘপ্রসারী প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়। অনেকের চিরকালীন ট্রমা তৈরি হয়। যা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়।

    র‍্যাগিং হলে কী আইনি অধিকার রয়েছে? 

    আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের হেনস্তার (JU Student Death) করা যেতেই পারে। কারণ, তারা দুর্বল, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। র‍্যাগিং হলে পড়ুয়ারা কী ধরনের আইনের সাহায্য পাবেন এবং যারা র‍্যাগিং করবে, তারা কী শাস্তি পেতে পারেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। আইন অনুযায়ী, কোনও ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কিংবা হস্টেলে কোনও রকম হেনস্তার শিকার হলে, তা শারীরিক হোক কিংবা মানসিক, লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে। শুধুমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেই নয়। প্রয়োজনে সরাসরি ইউজিসি-র অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলে যোগাযোগ করবেন। সেখানেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যায়। এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের উচ্চশিক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রেজাল্ট আটকে রাখা যেতে পারে। এমনকি জেলও হতে পারে। অভিযুক্তের পাশপাশি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি। আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং সামাজিক ব্যাধি এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সে সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। সেই সচেতনতা প্রসারের দায়িত্ব সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের। সেই দায়িত্ব পালনে ঘাটতি থাকলে এই সামাজিক ব্যাধি আরও প্রকট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share