Author: user

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদারের সঙ্গে যুব সংগঠনের বিবাদ। যার জেরে মাদার সংগঠনের নির্বাচিত সদস্য সদস্যাসহ অঞ্চল সভাপতি গণ ইস্তফা দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্ণিশ অঞ্চলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন দলীয় বিভিন্ন পদ থেকে  ইস্তফা দিয়েছেন। 

    কেন ইস্তফা?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসনে জয় পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। গত বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের দিন এই গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির সংঘর্ষ হয়। ওই দিন রাতে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। দলের এক অংশের অভিযোগ, প্রধান পদের জন্য অঞ্চল কমিটির থেকে সর্বসন্মতিক্রমে বৈঠক করে ৩ জনের নাম জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হলেও সেই তালিকার বাইরে থাকা বিগত দশ বছরের প্রধান কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান করার জন্য জেলা নেতৃত্বের থেকে খামবন্ধ চিঠি দিয়ে অঞ্চলে নাম পাঠানো হয়। কিন্তু,কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে মানতে নারাজ ছিলেন অধিকাংশ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। বোর্ড গঠনের দিন পুলিশ ও ব্লক প্রশানের উপস্থিতিতে কয়েক জন তৃণমূলের নেতা ও কর্মী বেআইনিভাবে অঞ্চল অফিসের ভিতর প্রবেশ করে কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে সমর্থন করার জন্য হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। ওই দিন যুব তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা এক অংশের হাতে প্রকাশ্যে আক্রান্ত হন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। মারধর করা হয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের দাদা ক্ষুদিরাম রায় ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী সদানন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজনকে। এর প্রতিবাদে ময়নাগুড়ি রোড দুর্গাবাড়িতে জড়ো হন বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বড় অংশ। তাদের সঙ্গে এই অঞ্চলের শতাধিক তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অঞ্চলের মোট ২১ জন বুথ সভাপতির প্রত্যেকে, তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, অঞ্চল কমিটির ৪২ জন সদস্যের প্রত্যেকে দল থেকে পদত্যাগ করেন। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিগ্রহের সঙ্গে যুক্তদের শাস্তির দাবিতে  বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বললেন ইস্তফা দেওয়া জয়ী সদস্য এবং তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা অভিযোগ করেন, “দলের কিছু কর্মী আমাকে প্রতিনিয়ত বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের হুমকি ও আমার স্বামীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এভাবে দল করা যায় না। তাই ইস্তফা দিলাম।” বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। দেবদুলালবাবু বলেন, “জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। এত বছরে বিরোধীরা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও দুর্নীতির অভিযোগ করেনি। সেখানে দলের কিছু কর্মীর হাতে প্রকাশ্যে হেনস্থা হওয়ায় মানসিকভাবে অত্যন্ত বিদ্ধস্ত অবস্থায় আছি। আমার নিজেরই কোনও নিরাপত্তা নেই। কর্মীদের নিরাপত্তা দেব কীভাবে? তাই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। গণ ইস্তফার ঘটনায় জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা জুড়়ে চর্চা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে প্রধান, উপ প্রধানদের নাম পাঠানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের থেকে কিছু ঠিক হয়নি। এই নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে কর্মীদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি আছে। যে সমস্যা রয়েছে তা দলের সৈনিকদের দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। দলের ভাবমূর্তিকে রাস্তায় নিয়ে এসে এইভাবে প্রতিবাদ করা শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যেপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বাঢরা। আর এরপরেই তাঁর বিতর্কিত অভিযোগের উপর মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে, থানায় এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করল বিজেপি। বিজেপির লিগ্যাল সেলের কনভেনর নীমেশ পাঠক এই এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    মূল অভিযোগ কী (Priyanka Gandhi Vadra FIR)?

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার বিশেষ দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগের কথা বলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এক্স ট্যুইটারে একটি চিঠি বিনিময় করেন। এই চিঠিতে জ্ঞানেন্দ্র অবস্তি নামক এক ব্যক্তির ভুয়ো বার্তালাপ সামজিক মাধ্যে ব্যাপক ভাইরাল করেন বলে অভিযোগ। এই বার্তালাপে বলা হয় সরকারি কাজের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা কমিশন দিতে হবে। যে সকল কনট্রাকটর সরকারি কাজের ঠিকাদারি করেন, তাঁদের সকলকেই এই টাকা দিতে হবে। কর্ণটাকেও ৪০ শতাংশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য এই ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার চিঠিটি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, অরুণ যাদবও সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করেন। শ্রীমতী গান্ধি বঢরা আরও অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যের কনট্রাকটাররা হাইকোর্টে ন্যায়ের জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন। পাল্টা এই চিঠিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিজেপি থেকে ইন্দোরে কংগ্রেস নেত্রী এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় জালিয়াতি এবং ৪৬৯ ধারায় মানহানির বিশেষ অভিযোগ করে এফআইআর করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি লিগ্যাল সেলের নেতা নীমেশ পাঠক বলেন, সামজিক মাধ্যমে কংগ্রেসের নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। বিজেপির ভাবমূর্তি এবং সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। আর এই সম্মানহানির বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করা হয়েছে। অপর দিকে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা বলেন, কোনও বিষয় এখন কংগ্রেস কর্মীদের কাছে নেই, তাই অপ্রচার করছেন প্রিয়ঙ্কা। রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা প্রথমে রাহুল গান্ধিকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছেন। এখন আবার প্রিয়ঙ্কাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলাচ্ছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন চলাকালীনও ফের খুনের ঘটনা ঘটল। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব আলি। সামলা বাজার এলাকায় ঢুকতেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁকে টেনে নামানো হয় মোটরবাইক থেকে। তারপর মাটিতে ফেলে পর পর গুলি করা হয় তাঁকে। পালাবার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, গুলি লাগতেই ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাহেব আলি। দুটি গুলি লাগে তাঁর মোটরবাইকেও। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেন হাড়োয়া থানায়। জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) শনিবার প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন ছিল। সেই পদে দাবিদার ছিলেন সাহেব আলি। কিন্তু, তিনি জয়ী হতে পারেননি। তারপর ভোরে বাড়ি ফেরার পথে সামলাবাজার এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, আট রাউন্ড গুলি চলে। সাহেবকে রীতিমতো ঘিরে ধরে গুলি করা হয়। আর তারপর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল?‌ তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজনীতিই। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে তাঁর দলের লোকজনকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচারে (Drug seizure chart) বিএসএফ (BSF) চার রাজ্যের নাম সবার শীর্ষে রেখেছে। এরা হল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ। উল্লেখ্য, চার রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। বাকি পঞ্জাবে আপ সরকার, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার। সব মিলিয়ে এই চার রাজ্যে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে সীমা সুরক্ষা বলের এই প্রতিবেদনে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিবেদন রাজ্যসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ হল ২০২০ সালে ৬০৮২ কেজি ১৩১ গ্রাম, ২০২১ সালে ৫৭০৫ কেজি ৯৯৫ গ্রাম, ২০২২ সালে ৯০৯৬ কেজি এবং ২০২৩ সালে ৩৬৬৫ কেজি ৫৪৩ গ্রাম। 

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কী বললেন রাজ্যসভায় (Drug seizure chart)?

    রাজ্যসভায় গত ৯ই অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিশেষ প্রশ্নের জবাবী ভাষণ মাদক (Drug seizure chart) উদ্ধার বিষয়ে বলেন, ২০২০ সালে পঞ্জাব থেকে ৫০২ কেজি ২৪১ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর আগে ২০২১ সালে ৪৮৫ কেজি ৫৮১ গ্রাম, ২০২২ সালে ৩২০ কেজি ৮৮৪ গ্রাম এবং ২০২৩ সালে ২৪৮ কেজি ১০৩ গ্রাম করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতীয় সীমা সুরক্ষা বল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবথেকে বেশি গাঁজা উদ্ধার করেছে এই বছর। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরেও বিএসএফ হেরোইন উদ্ধার করেছে ২০২০ সালে ৬১ কেজি, ২০২১ সালে ৩৭ কেজি ৯৪৫ গ্রাম, ২০২০ সালে ৪৯ কেজি ৪০০ গ্রাম। গুজরাট থেকে ৬৯ কেজি চরস উদ্ধার করা হয়েছে এই বছর। ত্রিপুরা থেকে ২০২৩ সালে ১১৩৩২ কেজি ৮১০ গ্রাম গাঁজা, আসাম থেকে এই বছর ১৮১ কেজি ৩৯৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।

    রাজস্থানে কত মদক উদ্ধার

    প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, রাজস্থান থেকে বিএসএফ ২০২০ সালে ৮ কেজি ৯৬০ গ্রাম, ২০২১ সালে ৬৪কেজি  ৬৪০ গ্রাম, ২০২২ সালে ২৩ কেজি ৯৭৮ গ্রাম, ২০২৩ সালে ৪৪ কেজি ৫৯৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি আফিম উদ্ধার (Drug seizure chart) হয়েছে ২০২০ সালে ৭০ কেজি, ২০২১ সালে ২৩ কেজি, ২০২২ সালে ১০৬ কেজি। এই উদ্ধার কৃত মাদক রাজ্য পুলিশ, মাদক দমন শাখা (নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরো) দের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    কোন আইনে মাদক দমন কার্যকর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, বিএসএফ, এসএসবি, অসম রাইফেলস এবং ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে স্থল ও সমুদ্র সীমান্তে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করার জন্য নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইন ১৯৮৫ দ্বারা মাদক (Drug seizure chart)  নিয়ন্ত্রণে  বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার  জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এক অসহায় প্রৌঢ়া। খোদ রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের কাছেই শিবপুরে (Shibpur) ওই অসহায় প্রৌঢ়ার দোকান ঘর দখল করে রাখার অভিযোগ উঠল শাসক দলের হাওড়ার এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাওড়ার শিবপুর (Shibpur) মন্দিরতলার ক্ষেত্রমোহন ব্যানার্জি লেনে বসবাস করেন পঞ্চাশোর্ধ কৃষ্ণা সেন ও তাঁর দিদি মীরা সেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁদের পৈত্রিক বাড়ি ভেঙে বহুতল তৈরি হয়। নতুন বাড়িতে চুক্তিমতো দুটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ঘর পান তাঁরা। গত বছর ২০২২ সালের জুন মাসে স্থানীয় প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি ও বর্তমান হাওড়া পৌর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দিলীপ ঘোষ সাধারণ মানুষকে ত্রিপল বিতরণ করার কথা বলে এক মাসের জন্য কৃষ্ণা দেবীর থেকে দোকান ঘরটি নেন। তারপর থেকে বছর ঘুরে গেলেও আজও সেই দোকান ফেরত পাননি কৃষ্ণাদেবী। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই নিয়ে তিনি দিলীপবাবুকে বললেও তিনি দোকান ছাড়তে চাননি। বরং দোকানটিতে দিলীপ বাবু নিজের হাতে তালা লাগিয়ে দেন। এমনকী দোকান ঘরের তালা খোলার জন্য স্থানীয় এক তালাচাবি তৈরির শ্রমিকের সঙ্গে কৃষ্ণাদেবী যোগাযোগ করলে সেই তালাচাবি বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় দিলীপবাবুর অনুগামীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন কৃষ্ণা সেন। পুলিশ গিয়ে ঘুরে গেলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।

    কী বললেন অসহায় প্রৌঢ়া?

    কৃষ্ণাদেবী বলেন, ওই তৃণমূল নেতা একমাসের জন্য ঘরটি নিয়েছিল। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ঘর ছাড়ার কোনও নাম নেই। আমার ঘর ও তালা দিয়ে রেখেছে। শিবপুর (Shibpur) এলাকাজুড়ে দাদাগিরি চালাচ্ছে। জোর করে আমার দোকান ঘর ও দখল করে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমার শেষ জীবনের সম্বলটুকু যদি তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, কৃষ্ণাদেবী চাইলেই তিনি তাঁর দোকান তাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তবে, তিনি কেন দোকানে তালা দিয়েছেন অথবা কেন তিনি নিজেই এক মাসে পর দোকানটি ছেড়ে দিলেন না তা নিয়ে কোনও সদুত্তর তিনি দেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Har Ghar Tiranga: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Har Ghar Tiranga: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই দেশজুড়ে পালিত হবে ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালনের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক কর্মসূচি পালন করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) রবিবার ১৩ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে এই কর্মসূচি। যার সমারোপ হবে ১৫ অগাস্ট।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? 

    এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘ভারতের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার উদ্যম এবং জাতীয় একতার প্রতীক। জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রত্যেকের নিজের একটি ছবি তুলুন। আর সেটি আপলোড করে ফেলুন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ওয়েবসাইটে। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার এনিয়ে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে লেখেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসীর দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি বিশেষ আবেগ জড়িত রয়েছে। কঠোর পরিশ্রম এবং ভবিষ্যতের অগ্রগতির পথে এই জাতীয় পতাকা আমাদের উদ্যোগ এবং অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করব ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন।’’ 

    কীভাবে আপলোড করবেন ‘তিরঙ্গা’-র সঙ্গে তোলা ছবি?

    প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিতভাবে বলে দিয়েছেন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিতে কীভাবে আপলোড করা যাবে তেরঙ্গার সঙ্গে ছবি। জানা গিয়েছে,  https://harghartiranga.com এই ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করা যাবে। প্রসঙ্গত ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে ১৮০০ বিশেষ বিশেষ অতিথি হাজির থাকবেন এবং লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত বছর বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা। ঘরে ঘরে তিরঙ্গার (Har Ghar Tiranga) ছবি উঠেছিল। ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’-এর হিসাব বলছে, এই অভিযানের ফলে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে না, শনিবার কলকাতায় এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সিবিআই এবং ইডি (ED-CBI) সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত রাজ্যে একাধিক দুর্নীতিতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী জেলে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে, বলতে গেলে জেলে রয়েছে তৃণমূল সরকারের গোটা শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডি-সিবিআইকে। এদিন কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সেই অভিযোগকেই খণ্ডন করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।

    কী বললেন জিতেন্দ্র সিং? 

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এদিন বলেন, ‘‘পূর্বতন ইউপিএস সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করত। যাঁরা এখন বলছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার, তাঁরা মনগড়া কথা বলছেন।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ইউপিএ সুরেই তাঁরা কথা বলছেন, যাঁরা মনে করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।’’  জিতেন্দ্র সিং এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউপিএ জমানাতে যেভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করা হতো, সেই কারণেই মহামান্য  সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে খাঁচা বন্দি তোতা পাখি বলে উল্লেখ করেছিল।’’

    মোদি জমানায় দেশ এগিয়ে চলেছে

    জিতেন্দ্র সিং এদিন আরও বলেন, ‘‘মোদি জমানায় দেশ নতুনভাবে, নতুন পথে এগিয়ে চলেছে। সম্পূর্ণভাবে সংবিধানকে মর্যাদা দিয়ে সমস্ত রকম কাজ করা হচ্ছে। সিবিআই-ইডির (ED-CBI) মতো সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।’’ প্রসঙ্গত, কলকাতায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা মনে করুন ২০১৪ সালের আগে সিবিআই কিভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করত!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২, ধৃতদের মধ্যে স্বপ্নদীপের রুমমেটও

    Ju Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২, ধৃতদের মধ্যে স্বপ্নদীপের রুমমেটও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডে (Ju Student Death) আরও দু’ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। এরা দুজনেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। শুক্রবার রাতেই সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হস্টেলের প্রাক্তনী সৌরভকে জেরা করেই এই দুজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার রাতভর জেরা করা হয় মনোতোষ এবং দীপশেখরকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা, তার বয়স ১৯ বছর। যাদবপুরে তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্যদিকে মনোতোষ হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা। তার বয়স কুড়ি বছর। হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে মনোতোষ থাকেন এবং এখানেই থাকছিলেন স্বপ্নদীপ।

    ঘটনার রাতে স্বপ্নদীপের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Ju Student Death) হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। শুক্রবার রাতেই এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয় হস্টেলের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। শনিবারে আলিপুর আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে বুধবার রাতে স্বপ্নদীপকে তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এবং তার ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। স্বপ্নদীপের বাবা অভিযোগ করেন, এসব কিছুর নেপথ্যে সৌরভই ছিল। বুধবার রাতে স্বপ্নদীপকে ফোন করেছিলেন তাঁর মা। কিন্তু সেই ফোন তাকে তুলতে দেওয়া হয়নি। তা সৌরভের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা। কিন্তু যতক্ষণ স্বপ্নদীপ কথা বলতে পেরেছিল ফোনে, ততক্ষণে সে আর্তনাদ করে গিয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। সে বারবার বলছিল আমি এখানে ভালো নেই (Ju Student Death)। আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো। আমার ভয় করছে।

    র‍্যাগিং নিয়ে কী বলছেন স্বপ্নদীপের সহপাঠী

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) এমন পরিণতি হতেই র‍্যাগিং নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল র‍্যাগিং বিরোধী কমিটি গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। র‍্যাগিং নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বপ্নদীপের সহপাঠী। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সেই সহপাঠীর দাবি, হস্টেলের ভিতরে সিসিটিভি না থাকার সুবিধা নিয়ে মদ-গাঁজায় আসক্ত থাকতেন সিনিয়ররা। জুনিয়রদের ফাই ফরমাস খাটানো হতো। জুনিয়ররা বড় চুল বা দাড়ি রাখতে পারতেন না। নিজের ঘর ছাড়া অন্য কোথাও ফোনে কথা বলার সুযোগ ছিল না। সিনিয়রদের জন্য মদ, খাবার, সিগারেট এনে দিতে হতো।  ওই পড়ুয়ার আরও দাবি যে স্বপ্নদীপের সঙ্গে তাকেও একদিন ইন্ট্রোতে ডাকা হয়েছিল। রাত এগারোটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা অবধি জাগিয়ে রাখা হতো। সিনিয়ররা কেউ নিজের নাম বা রুম নাম্বার বলতেন না। সেটা জেনে নিতে হতো। হাতে বিয়ারের খালি বোতল ধরিয়ে তাতে জল আনতে বলা হতো এবং সেই জলভরা বিয়ারের বোতল হাতে ছবি তোলা হতো। তারপর ব্ল্যাকমেইল করা হতো তা ফেসবুকে পোস্ট করা হবে বলে। মাঝরাতে খাবার আনতে বলা হতো। বাইরে থেকে সেই খাবার নিয়ে স্বপ্নদীপের সহপাঠী যখন আসে তখন তাকে মদ খেতে বলা হয়। সে অস্বীকার করলে বলা হয় এবার মাথায় ঢেলে দেব।

    ঠিক কী হয়েছিল স্বপ্নদীপের সঙ্গে

    ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে স্বপ্নদীপের র‍্যাগিং নিয়ে একটি চ্যাট (মাধ্যম এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি)। ওই চ্যাট অনুযায়ী স্বপ্নদীপের সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। তাকে শুধু গামছা পরিয়ে রাখা হতো এবং তার পুরুষাঙ্গ উত্থিত করতে বলা হতো (Ju Student Death)। চাপে পড়ে স্বপ্নদীপের তাই করে। কিন্তু তারপরেও সিনিয়ররা হাসাহাসি করতে থাকে। এর পরেই সহ্য করতে না পেরে ঝাঁপ দেয় সে (Ju Student Death)। আরও জানা গিয়েছে, প্রতি রাতে নিয়মিতভাবে সিনিয়রদের কাছে ইন্ট্রো দিতে হতো। হোস্টেলের এক একটি ব্লকে এক একদিন সময় আসতো ইন্ট্রো দেওয়ার। এই সময় কাছে মোবাইল ফোন রাখা যেত না। বিবস্ত্র হয়ে কিংবা শুধুমাত্র অন্তর্বাসটুকু পড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এর পাশাপাশি চলতো নানান ধরনের গালিগালাজ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Kedarnath: বৃষ্টির জেরে ধস, কেদারনাথ যাত্রায় প্রাণ গেল ৫ তীর্থযাত্রীর

    Kedarnath: বৃষ্টির জেরে ধস, কেদারনাথ যাত্রায় প্রাণ গেল ৫ তীর্থযাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথের (Kedarnath) যাত্রাপথে বড়সড় দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে কেদারনাথ যাত্রা করতে যাওয়ার সময় রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। এবং তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫ তীর্থযাত্রীর। তাঁরা প্রত্যেকেই গাড়ির ভিতরে ছিলেন। শুক্রবার সকালে ৫ জনেরই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং শনিবার রুদ্রপ্রয়াগের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একথা জানানো হয়। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল এই উদ্ধারকার চালায়।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা 

    জানা গিয়েছে, গাড়িটি (UK07 TB 6315) সোনপ্রয়াগের দিকে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতেই তারসালি এলাকায় ধস নামে। এই ধসের জেরে হাইওয়ের প্রায় ৬০ মিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এবং রাস্তায় পাথরের স্তূপও তৈরি হয়ে যায়। সেই সময়ে ওই তীর্থযাত্রী বোঝাই গাড়িটি কেদারনাথের (Kedarnath) দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে পাথর মাটিতে এসে পড়তে থাকে। এতেই তীর্থযাত্রীদের গাড়ি চাপা পড়ে যায় (Kedarnath)। মৃত্যু হয় ৫ জনেরই। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা। উত্তরাখণ্ডের ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয় উদ্ধার কাজ চালাতে। এই উদ্ধার কার চালাতে জেসিবি পর্যন্ত নামাতে হয়। এবং বড় বড় পাথরের খণ্ডগুলিকে সরানোর কাজ চলতে থাকে। দেখা যায় একটি ‘সুইফট কার’ ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে। শনিবার সকালেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাস্তাতে যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে বলেন।

    উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয় চলছেই

    এই দুর্ঘটনার কারণে গুপ্তকাশি থেকে গৌরিকুণ্ডের হাইওয়ে দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় (Kedarnath)। রাস্তা সারাইয়ের কাজ তারপর থেকেই শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। প্রসঙ্গত, বর্ষার পর থেকেই বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের। সেখানে হড়পাবান, মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির খবর তো মিলছেই এবং কিছুদিন অন্তর অন্তর একাধিক জেলায় লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করতে হচ্ছে প্রশাসনকে বৃষ্টির কারণে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় যান চলাচলও বন্ধ থাকছে বৃষ্টির কারণে ধস নামায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pm Modi: ‘পিছিয়ে পড়া সমাজের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হয়েছে তাঁর সরকারের আমলে’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    Pm Modi: ‘পিছিয়ে পড়া সমাজের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হয়েছে তাঁর সরকারের আমলে’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi) শনিবার বলেন যে দেশের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলি যেমন দলিত, ওবিসি এবং উপজাতি সমাজ সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে তাঁর সরকারের আমলে। তাঁদের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হয়েছে। যেখানে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই সময়ে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলি অবহেলার শিকার হয়েছিল। তাদের কথা শুধুমাত্র ভোট এলেই ভাবত ইউপিএ সরকার।’’ পূর্বতন মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেখে প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) আরও সংযোজন, ‘‘ইউপিএ আমলে পিছিয়ে পড়া সমাজ বা সম্প্রদায়গুলির কাছে পানীয় জলের সুবিধা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে জল জীবন মিশন প্রকল্পের সৌজন্যে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলির বাড়িতে বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’

    সন্ত রবিদাসের মন্দিরের ভূমিপূজন 

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi) শনিবার মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলাতে একটি জনসভা করেন। জনসভার আগে তিনি ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পে একটি মন্দির তথা সমাজ সংস্কারক সন্ত রবিদাসের স্মৃতিসৌধের ভূমিপূজনও করেন স্থানীয় বাড়টুমা গ্রামে। মোট ১১ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে প্রকল্পটি। সেখানে রবি দাসের মূর্তিতে প্রণাম করে, এই ভূমিপূজন অনুষ্ঠান শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘হাজারেরও বেশি গ্রাম থেকে মাটি এবং তিনশোর বেশি নদীর জল দিয়ে তৈরি হবে সন্ত রবিদাসের মন্দির তথা স্মৃতিসৌধ।’’  এদিন প্রধানমন্ত্রী সন্ত রবিদাসের স্মৃতিচারণাও করেন এবং তিনি বলেন যে মুঘল আমলে জন্ম নেওয়া এই মহান মানুষটি সমাজের বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন সারা জীবন ধরে।

    প্রসঙ্গ ফ্রি রেশন 

    প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে লকডাউনের সময়কার কথাও। তিনি বলেন, ‘‘করোনার সময় আমাদের সরকার মনে করেছিল যে কোনও মানুষ যেন ক্ষুধার্তভাবে না ঘুমাতে যায়। এবং সে কথা ভেবে ফ্রি রেশন স্কিম আমরা চালু করেছিলাম গরিব মানুষের জন্য।’’  প্রসঙ্গত গত ২৫ জুলাই থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যপ্রদেশ রাজ্য শাখা শুরু করেছিল ‘সমরসতা যাত্রা’ এবং সেই যাত্রার সমারোপ হল এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) ভাষণের মধ্য দিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share