Author: user

  • Vidyasagar: ২৯ জুলাই বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস! জানুন তাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপলব্ধি

    Vidyasagar: ২৯ জুলাই বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস! জানুন তাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপলব্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে মহাপ্রয়াণ হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar)। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ঋত্বিক ছিলেন তিনি। ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর জীবনভর সংগ্রাম ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। বিধবা বিবাহ প্রচলনের তিনিই ছিলেন অন্যতম হোতা।  বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, কথামালা, চরিতাবলী, ঋজুপাঠ প্রভৃতি অসংখ্য গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন ।  এছাড়াও রঘুবংশ, সর্বদর্শ সংগ্রহ, কুমারসম্ভব , কাদম্বরী, মেঘদূত, উত্তররামচরিত, অভিজ্ঞান শকুন্তলম প্রভৃতি গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবতী দেবীর সন্তান পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (Vidyasagar) ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বিদ্যাসাগরের বর্ণনা

    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগর (Vidyasagar) সম্পর্কে বলছেন, ‘‘গোপালের জীবনী লেখকের নিজের জীবনে, গোপালের সহিত কোনও কোনও অংশে এবং রাখালের সহিত বেশীরভাগ অংশের মিল পাওয়া যেত, প্রতিবেশী মথুর মণ্ডলের স্ত্রীকে রাগানোর জন্য যে প্রকার সভ্য বিগর্হিত আচরণ তিনি করেছিলেন, বর্ণপরিচয়ে সর্বজননিন্দিত রাখাল বেচারাও বোধহয় সেরুপ আচরণ কখনও করেনি। এই ক্ষীণতেজ দেশে আর কতগুলো রাখাল এবং তার জীবনী লেখকের আবির্ভাব ঘটলে বাঙালি জাতির শীর্ণ চরিত্রের অপবাদ ঘুচে যেতে পারতো।’’ কবিগুরুর আরও সংযোজন , ‘‘এই তার্কিক, দাম্ভিক, হৃদয়হীন জাতির প্রতি বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) ছিল এক তীব্র ঘৃণা , তিনি নিজের মধ্যে যা উপলব্ধি করতেন , চারপাশে আর কারও মধ্যে খুঁজে পেতেন না। তাঁর চারপাশের লোকজনেরা ভুরি পরিমাণ  বাক্য রচনা করতে পারত কিন্তু তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ করতে পারতো না। বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) চরিত্র সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয় লাভ করেছে । যে অবস্থায় মানুষ নিজের নিকট নিজেই প্রধান দয়ার পাত্র সে অবস্থায় তিনি অন্যদের দয়া করতেন।  স্কলারশিপের টাকার পুরোটাই ব্যয় করতেন সহপাঠীদের মিষ্টি খাওয়াতে। প্রচুর সম্পত্তি নিয়েও কোনও রাজপুত্র যা পাননি এই দরিদ্র পিতার দরিদ্র সন্তান পেলেন সেই সর্বোচ্চ সম্মান ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: এবার বন দফতর বোমা ফাটিয়ে “সবুজ বিপ্লব” ঘটাবে শুশুনিয়া পাহাড়ে

    Bankura: এবার বন দফতর বোমা ফাটিয়ে “সবুজ বিপ্লব” ঘটাবে শুশুনিয়া পাহাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) ব্যাগ ভর্তি রাশি রাশি বোমা। এই বোমা হল “বীজ বোমা”। এই “বীজ বোমা” ফাটাতে বন বিভাগের কর্মীরা শুশুনিয়া পাহাড়ের পথ বেয়ে উঠছেন দলবেঁধে। সেখানে বোমা ফাটাবেন তাঁরা। পাহাড়ের সেই অংশটা পাথুরে, ফলে গাছ গজায়নি। এই অংশটা পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত। এই ন্যাড়া অঞ্চলেই বোমা ফাটিয়ে “সবুজ বিপ্লব” ঘটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বন দফতর।

    কীভাবে বীজ বোমা ফাটানো হবে (Bankura)?

    আসলে অনেকটা বোমের মতো দেখতে এই গোলাকার মন্ড “বীজ বোমা”। যাকে বন দফতরের কথায় “বীজ বোমা” বলা হয়। এই “বীজ বোমা” তৈরী করা হয় বীজ, গোবর সার, এবং জৈব সার দিয়ে। এই সব কিছুর মিশ্রণে গোলাকার আকৃতির বল বানানো হয়। যা হুবহু দেখতে বোমার মতোই। এই বোমা ফাটিয়ে দেওয়ার পর সুর্যের আলো, বৃষ্টির জল পেলে এই বোমা থেকেই ঘটবে বীজের অঙ্কুরোদগম। ধীরে, ধীরে চারা বড়ো হয়ে বৃক্ষে পরিণত হবে৷ ফলে শুশুনিয়া (Bankura) পাহাড়ের ন্যড়া অঞ্চল ন্যাড়ার তকমা ঘুচিয়ে সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। এমনই টাই মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

    বন দফতরের বক্তব্য

    বন দফতরের ছাতনা রেঞ্জের আধিকারিক এষা বোস জানান, শুশুনিয়া (Bankura) পাহাড়ে সবুজ ফেরাতেই বন দফতর এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। পাহাড়ের যে জায়গাতে গাছপালা নেই, সেই জায়গাটা দিন দিন ক্রমশ্য ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে। মূলত ক্ষয়রোধ করার জন্য এই বীজ বোমার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষাকালকেই নির্বাচন করে নিয়েছেন বন দফতর। ফলে বীজগুলি বৃষ্টির জল পেয়ে নতুন গাছ জন্মাবে। এই “বীজ বোমা”র মাধ্যমে ওই ক্ষয়িষ্ণু অঞ্চলে আকাশমণি, বাবলা সহ তিনটি গাছের বীজ ছড়ানো হচ্ছে। এর ফলে পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল সবুজ গাছে ভরে যাবে বলে আশাবাদী বন দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা ও গয়না লুট! তদন্তে পুলিশ

    Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা ও গয়না লুট! তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) প্রণামী বাক্স থেকে চুরি গেল টাকা ও মূল্যবান গয়না। জগন্নাথ মন্দিরের চুরি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রণামী বাক্স থেকে এই টাকা লুট হয়েছে।  স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবি, মন্দিরের দক্ষিণ দ্বারে রাখা ছিল একটি প্রণামী বাক্স। সেটি ভেঙেই লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে কত টাকা খোয়া গিয়েছে তা জানা যায়নি।

    খালি প্রণামী বাক্স পড়ে থাকতে দেখেন সেবায়েতরা

    শুক্রবার নৃসিংহ মন্দিরের (Jagannath Temple) পিছন থেকে খালি প্রণামী বাক্স পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পরই চুরির বিষয়টি সামনে আসে। একটি সূত্রের দাবি, বিষয়টি শুক্রবার সকালে প্রথমে দেখেন সেবায়েতদের। এদিন পুজোর সময় নৃসিংহ মন্দিরে প্রবেশ করেই হাঁ হয়ে যান সেবায়েতদের। তাঁরা দেখেন প্রণামী বাক্স খালি এবং তা ভাঙা। তখনই বোঝা যায় যে প্রণামীর টাকা এবং গয়না চুরি গিয়েছে। ঘটনা সামনে আসতেই ছুটে আসেন সকল সেবায়েত, পুলিশ কর্মী এবং জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কমিটির সদস্যরা।

    তদন্ত করছে পুলিশ

    জানা গিয়েছে ভাঙা ওই প্রণামী বাক্সটি (Jagannath Temple) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে নবীন পট্টনায়েকের পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে গোটা ঘটনার। মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাটো। মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে কোনও ভক্ত সেই প্রাঙ্গণে থাকতে পারেন না, মন্দিরের ভিতরে ছবি তোলাও নিষিদ্ধ। ড্রোনের মাধ্যমে চলে সর্বক্ষণের নজরদারি। তারপরেও কীভাবে এই চুরি হল সেটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। পুলিশের একাংশ বলছে, দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যদিও মন্দির কমিটি (Jagannath Temple) এখনও কোনও লিখিত অভিযোগা দায়ের করেনি বলেই জানা গিয়েছে। কত পরিমাণ টাকার সম্পত্তি চুরি গিয়েছে তার কোনও সঠিক হিসেব প্রকাশ্যে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, ভাল পরিমাণেই ক্ষতিই হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    Nadia: নদিয়ায় নির্দল সমর্থককে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দল করার অপরাধে, এক ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে, বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়ে খুন করল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নাকাশীপাড়া থানার বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রাজ্যের ভোট পরবর্তীকালে নির্দল সমর্থকের খুনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেন খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    সুত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) বীরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারবাড়ি এলাকায় খুন হওয়া নির্দল সমর্থকের নাম খবির শেখ। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি ওই এলাকার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেছিলেন। সেই কারণে ওই এলাকার শাসকদলের দুষ্কৃতীদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন খবির। আরও জানা যায়, আগেও একাধিকবার খুনের হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা তাঁকে। কিন্তু তৃণমূল না করে, ভোটের সময় কেবল নির্দল প্রার্থীকেই সমর্থন করেছেন খবির শেখ।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতো ঘরে বসে সকলে মিলে ভাত খেতে বসেছলেন খবির। ঠিক তখনই ১০-১২ জনের তৃণমূল আশ্রিত এক দুষ্কৃতী দল, তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর তাঁকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। এরপরই চলে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর। মারধর করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন খবির। আতঙ্কিত পরিবারের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এলে, ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় (Nadia) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    নির্দল সমর্থক খবির শেখের মৃত্যুর বিষয়ে ওই এলাকার এক বাসিন্দা আসমান শেখ বলেন, তিনি নির্দলএর কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাড়ি (Nadia) থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে। আর এই মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রশাসন অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা রীতিমতো শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। ভোট পরবর্তী কালে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের প্রাণ গেছে। গতকাল নদিয়ায় আরও এক জনের প্রাণ গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Yuge Yugeen Museum: বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর! মোদি জমানায় দিল্লিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘যুগে যুগেন ভারত’

    Yuge Yugeen Museum: বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর! মোদি জমানায় দিল্লিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘যুগে যুগেন ভারত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর তৈরি হচ্ছে ভারতে। জাদুঘরের নাম হতে চলেছে ‘যুগে যুগেন ভারত’(Yuge Yugeen Museum)। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে জাতীয় জাদুঘরের ভার্চুয়াল ওয়াক উদ্বোধন করেন। প্রসঙ্গত, ৪৭তম জাতীয় জাদুঘর দিবসে এই উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লক জুড়ে হতে চলেছে এই মিউজিয়াম।

    দেশের ৫ হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে (Yuge Yugeen Museum)

    জানা গিয়েছে, এই জাদুঘরের (Yuge Yugeen Museum) আয়তন হতে চলেছে ১ লাখ ১৭ হাজার বর্গমিটার। দেশের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হবে ৯৫০টি কক্ষে। প্রাচীন সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা থেকে শুরু হবে ইতিহাসের লিপিবদ্ধকরণ। এদেশ প্রকৃতি পুজোয় বিশ্বাস করে। পাহাড়,সমুদ্র,গাছ এবং নদীকে আজও পুজো করা হয়, এগুলিও স্থান পাচ্ছে জাদুঘরে। বেদ, উপনিষদ যুগের কথা, সমাজ ব্যবস্থা সবকিছুরই উল্লেখ থাকবে জাদুঘরে।

    মৌর্য-সাতবাহন-গুপ্ত, ভারতের স্বর্ণযুগ থাকছে মিউজিয়ামে  

    চন্দ্রগুপ্ত ও চাণক্য গড়ে তুলেছিলেন প্রথম অখণ্ড সাম্রাজ্য। সেই মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থান ও বিস্তারও ঠাঁই পেতে চলেছে জাদুঘরে। পাশাপাশি প্রাচীন ভারতে সাতবাহন, পল্লব ও কুষাণ, গুপ্ত রাজবংশ, রাষ্ট্রকূট,চালুক্য, চেরা,পান্ড্য রাজবংশ সমেত সবকিছুরই উল্লেখ থাকছে জাদুঘরে (Yuge Yugeen Museum)। জানা গিয়েছে, মধ্য যুগের ভারতে রাজপুতদের ইতিহাসও সংকলিত হচ্ছে এখানে। চৌহান,প্রতিহার,পারমার, সোলাঙ্কি,সিসোদিয়া এবং রাজপুত রাজাদের বীরত্বগাথার পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্প,নৈপুণ্য ও সংস্কৃতিরও অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছিল। জাদুঘরে এ সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া যাবে।

    ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের সূচনাও থাকছে মিউজিয়ামে

    জানা গিয়েছে, মিউজিয়ামে দেখতে পাওয়া যাবে কীভাবে পলাশি ও বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিস্তার শুরু হয়েছিল। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে উল্লেখ করেছিলেন বীর সাভারকর। সেই মহাবিদ্রোহের প্রতিটি কাহিনীও ছাঁই পাচ্ছে মিউজিয়ামে (Yuge Yugeen Museum)। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সংকলিত হচ্ছে এখানে।

    স্বাধীন ভারতে সংবিধান নির্মাণ

    স্বাধীন ভারতে কীভাবে সংবিধান প্রণয়ন হয়েছিল, সেই ইতিহাসও সংকলিত হচ্ছে। আধুনিক ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়েও নানা তথ্য থাকছে এই জাদুঘরে। একবিংশ শতকের ডিজিটাল ইন্ডিয়াও থাকছে জাদুঘরে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের অবদান, বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে ভারতের বর্তমান স্থান। এসব কিছুই থাকছে জাদুঘরে (Yuge Yugeen Museum)। অতীত থেকে আধুনিক ভারতের ঝলক দেখা যাবে জাদুঘরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: প্রি-পেইড বুথ চিরতরে বন্ধ, হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পেতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা

    Howrah Station: প্রি-পেইড বুথ চিরতরে বন্ধ, হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পেতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী দুর্ভোগ এবং ট্যাক্সি চালকদের যথেচ্ছাচার কমাতে কয়েক বছর আগে হাওড়া (Howrah Station), শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন, এমনকী কলকাতা বিমানবন্দরে চালু হয় প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ। সেখান থেকে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ট্যাক্সিতে চড়তেন যাত্রীরা। এবার সেই দিন শেষ। তার বদলে রাজ্য সরকারের তৈরি করা ওলা-উবেরের মতো ‘অ্যাপ’-এ (Yatri Sathi) বুকিং করে তবেই ট্যাক্সি চড়তে পারবেন যাত্রীরা। এর ফলে চড়া দামের টিকিট কেটে ট্যাক্সিতে চড়তে হবে বলে যাত্রীদের আশঙ্কা। গত পাঁচ জুলাই থেকে রাজ্য সরকার এই সমস্ত জনবহুল স্টেশনে এই পরিষেবা চালু করেছে। তার বদলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ। এতে একদিকে যেমন চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা, একইভাবে বেশি ভাড়া দিয়ে তাঁদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাওড়া স্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্সের বাইরে দুটি করে চারটি এই ধরনের প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথ ছিল। যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্যাক্সি বুকিং করে গন্তব্যে যেতেন। বর্তমানে সেখানে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথে তালা লাগানো। তার বদলে যাত্রীদের নিজেদেরই মোবাইল ফোনে ‘অ্যাপ’ ইন্সটল করে বুকিং করতে হচ্ছে ট্যাক্সি।

    অনেকেই পড়ছেন সমস্যায় (Howrah Station)

    যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই। ফলে তাঁরা ট্যাক্সি বুকিং (Howrah Station) করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন এবং বাসে করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তাতে তাঁরা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। অন্যদিকে যাঁরা ওই অ্যাপ দিয়ে ট্যাক্সি বুকিং করছেন তাঁরা জানিয়েছেন, আগে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথে একটি নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা ছিল। সেই অনুযায়ী ভাড়া দিতে হত। কিন্তু বর্তমানে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও গন্তব্যে গেলে যে ভাড়া দেখাচ্ছে, একই সময় সেই গন্তব্য থেকে হাওড়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ড পর্যন্ত আলাদা ভাড়া দেখাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে রাতের দিকে ভাড়ার অনেকটাই তারতাম্য দেখা যাচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, তাঁদের স্বার্থে নিদিষ্ট ভাড়ার তালিকা তৈরি করা হোক।

    কীভাবে চলছে কাজ (Howrah Station)?

    পরিবহণ কর্মীরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনে প্রথমে যাত্রীকে ওই যাত্রী সাথী (Yatri Sathi) নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর বুকিং করলে একটি ওটিপি নম্বর পাওয়া যাবে। সেই ওটিপি নম্বর ড্রাইভারকে দেখালে তবেই গাড়িতে ওঠা যাবে। আপাতত এই ধরনের সিস্টেম চালু হয়েছে হাওড়া স্টেশন (Howrah Station), শিয়ালদা স্টেশন, কলকাতা বিমানবন্দর, সাঁতরাগাছি স্টেশন এবং কলকাতা স্টেশনে। এখন সমস্যা দেখা দেওয়ায় ওই বুথ থেকেই যাত্রীদের স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বুথের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যাত্রীদের বুকিং পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। আবার যদি কোনও যাত্রীর স্মার্টফোন না থাকে, তাহলে বুথ থেকেই ট্যাবের মাধ্যমে বুকিং করে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেই ওটিপি নাম্বার ড্রাইভারকে দিয়ে যাত্রীদের ট্যাক্সিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওই কাজে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্রাফিক অফিসার এবং কনস্টেবল ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করছেন। অনেক যাত্রী প্রি-পেইড সিস্টেম ভালো ছিল বলে মন্তব্য করলেও বেশিরভাগ যাত্রী জানিয়েছেন, এতে তাঁদের ভালো হয়েছে। চালকরাও জানিয়েছেন, তাঁদের সুবিধা হয়েছে। তবে এই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রী ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি চলছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতেও। এবার এই মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাল ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্জি জানিয়েছে, তাদের এবং সিবিআইয়ের করা মামলাটি এক জায়গায় আনা হোক এবং তা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই চলুক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ১৯ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর হলে সাক্ষ্যগ্রহণও দিল্লিতে হবে। অর্থাৎ এখানকার সাক্ষীদের শুনানির দিনগুলিতে দিল্লি উড়ে যেতে হবে।

    কী বলছেন কেষ্টর আইনজীবী?

    শুক্রবার কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘গরু পাচারের যে মামলাটি চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতে, সেটি স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে যেখানে ইডির মামলা চলছে সেখানে স্থানান্তরিত হবে মামলাটি।’’ তবে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘আমরা আপত্তি জানাব। তার কারণ, এই মামলা দিল্লিতে চলে গেলে সাক্ষীদের দিল্লিতে যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। সমস্ত নথিও দিল্লিতে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমরা আপত্তি জানাব। সরকার মনে করলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে ইডির (CBI-ED) বিশেষ আদালত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যদি তাই হয়, তা হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। এখন দেখার আসানসোলের বিচারক কী রায় দেন বা সরকার কী পদক্ষেপ করে।’’

    তিহাড় জেলে বন্দী রয়েছেন কেষ্ট

    গত বছরের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার (CBI-ED) হন অনুব্রত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লিতে। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একদা তাঁর সহকারী সায়গল। তিহাড়ে রয়েছেন গরু পাচার মলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং ধৃত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। পাশাপাশি কেষ্ট কন্যাও বর্তমানে রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২৯/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২৯/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে।

    ২) চাকরিজীবীদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।  
         
    বৃষ

    ১) পারিবারিক ব্যবসায় ভাইদের সহযোগিতা লাভ করবেন। 

    ২) দাম্পত্য জীবনের জন্য অনুকূল ও রোম্যান্টিক দিন।  

    মিথুন

    ১)  প্রেমী ও জীবনসঙ্গীকে কোনও উপহার দিতে হতে পারে। 

    ২) সন্তানকে ভালো কাজ করতে দেখে মন আনন্দিত হবে।  

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের সাহায্য ও সহযোগিতায় মনে আনন্দ জাগবে। 

    ২) বিবাহযোগ্য জাতকরা বিয়ের প্রস্তাব পাবেন।              

    সিংহ 

    ১) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে হবে, তা না-হলে লক্ষ্যচ্যুত হতে পারেন।

    ২) বন্ধু বা আকস্মিক কাজের কারণে পরিকল্পনা পাল্টে যেতে পারে।         

    কন্যা

    ১) অংশীদারীত্বের ব্যবসার পরিকল্পনা করে থাকলে দিন ভালো। 
     
    ২) শিক্ষা ও প্রতিযোগিতায় ভালো প্রদর্শন করবেন এই রাশির জাতক।        

    তুলা 

    ১)  কোনও জরুরি কাজের পরিকল্পনা করে তা বাতিল করে দিতে পারেন।

    ২) বাচ্চাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন।   

    বৃশ্চিক

    ১) ভৌতিক সুখ-সাধন লাভ করবেন। 

    ২) প্রেম জীবনে রোম্যান্স থাকবে।        

    ধনু

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও কারণে কথা কাটাকাটি হতে পারে।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্কে কোনও অবসাদ চলতে থাকলে তা সমাপ্ত হবে।

    মকর

    ১) পরিবারের কোনও সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদে সময় কাটবে।           

    কুম্ভ

    ১) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    ২) প্রেম জীবনে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।

    মীন

    ১) পারিবারিক সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
     
    ২) জীবনসঙ্গীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গতকাল একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এই তালিকায় এবার ৬০৯ নম্বরে নাম পাওয়া গেছে হুগলির (Hooghly) জেলা পরিষদে নব নির্বাচিত সাইনা সুলতানার। এই নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কে এই সাইনা সুলতানা (Hooghly)?

    সুত্রের খবর, প্রথমে সাইনা সুলতানা বাঁকুড়ার রাঙামাটি উদ্বাস্তু কলোনি হাইস্কুলে চাকরি করতেন। কিন্তু পরে হুগলির (Hooghly) রাজহাটি বন্দর হাইস্কুলে যোগদান করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হুগলি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য ছিলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির যে ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এই তৃণমূল নেত্রীর নাম রয়েছে। সূত্রের খবর আরও পাওয়া গেছে, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী সাইনা সুলতানা।

    কী বলছেন সাইনা সুলতানা

    সাইনা সুলতানা (Hooghly) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমার নাম তালিকায় কীভাবে এল, আমি জানি না। আমি তৃণমূল করি বলে আমার সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

    তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আর কার নাম রয়েছে?

    এসএসসিতে কার্যত চুরি করে যে চাকরি হয়েছে, তা সিবিআইয়ের তদন্তে খুব স্পষ্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশন ৯০৭ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে যেমন হুগলির (Hooghly) তৃণমূল নেত্রীর নাম এসেছে, তেমনি আবার ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মণেরও। ২০১৮ সাল থেকে জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন তিনি। বালিজান হাই স্কুলের কবিতা বর্মণ বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি করছি। তিনি, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১২৮ নম্বর র‍্যাঙ্ক করেন। ৫৫ নম্বরের মধ্যে ৫৩ পেয়েছেন তিনি। সিবিআই তদন্ত করে জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে কমিশনের দেওয়া চাকরির প্রার্থীদের ওএমআর সিটে নম্বর বদল করে, দুর্নীতি করে চাকরিতে নিয়োগ করছে। এছাড়াও এমন অনেকেই রয়েছেন যারা, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশনের দেওয়া তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম ক্রমশ প্রকাশ হওয়ায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।    

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    Nadia: ৫৫ দিন উপাচার্যহীন! বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ, উত্তাল ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দ্বিতীয় দিন। মোহনপুর (Nadia) বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলছে। গেটের বাইরে আটকে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রায় ৫৫ দিন উপাচার্যহীন হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অধিকাংশ বিভাগ খোলা থাকলেও ক্লাস হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের দাবি ঘিরে উত্তাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

    কেন অচলাবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Nadia)?

    উপাচার্য নেই, তাই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Nadia)। ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও উপাচার্য না থাকায় কোনও বিভাগের ক্লাস ঠিকঠাক হচ্ছে না। তাই গতকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপাচার্য নিয়োগ এবং আরও একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করেছেন। আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের কাছে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান ছাত্ররা। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু আধিকারিক, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। ছাত্ররা যখন ক্যাম্পাসের গেটের কাছে অবস্থান করছিলেন, সেই সময় অন্য কেউই ভিতর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। আর তার ফলেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ছাত্রদের দাবি, যতক্ষণ না লিখিত আকারে আশ্বাস দেওয়া হবে এবং দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

    ছাত্রদের মূল দাবি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা বিবেকান্দ মাইতি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) প্রত্যেক ছাত্রই সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা দিয়ে এখানে পড়াশুনা করতে এসেছেন। এই বছর যাঁরা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা ঠিক সময়ে মার্কশিট পাচ্ছেন না। বিভিন্ন বিভাগে প্রত্যেক দিনের গবেষণার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। হস্টেলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক নেই। তাই অবিলম্বে এই অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যপালের কাছে আমরা উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাই।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nadia) এক সরকারি আধিকারিক বলেন, সত্যি অনেকদিন ধরে ক্যাম্পাসে উপাচার্য নেই। প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে একপ্রকার অসুবিধাই হচ্ছে। আমরাও সরকারকে বলেছি, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share