Author: user

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। বুধবার তাঁদের জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভা থেকে বেশ কয়েকজন আধিকারিক নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ২ টোর পরই তাঁরা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

    কী বললেন শান্তিপুর পুরসভার কর্মী?

    সূত্রের খবর, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। হুগলি থেকে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) প্রতিনিধি দল। এরপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীলের সংস্থা পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল বলে জানা যায়। সেখানেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল বলে তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যকে সামনে রেখে গত ৭ জুন কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালিয়ে তারা কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। গতকাল সিবিআই দফতর থেকে দুই পুরসভার কাউন্সিলারের কাছে ফোন করে তাদের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই দুই পুরসভার আধিকারিকরা সিবিআই অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার প্রধান করণিক উদয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, মূলত ২০১৮ সালের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই প্রতিনিধি দল তদন্ত করতে এসেছিল শান্তিপুর পুরসভায়। কিন্তু সেই সময় আমাদের কোনও নিয়োগ হয়নি। আমরা সেদিনও সিবিআই প্রতিনিধি দলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আজও তাঁরা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং যে সাহায্য আমাদের কাছে চাইবেন আমরা পুরোটাই তাঁদের জানাব।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার কাউন্সিলার সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আমাদের পুরসভায় এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস থেকে আমাকে ফোন করা হয় এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের এদিন ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আমরা সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল যেন ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর! যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল!

    Nadia: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল যেন ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর! যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই জেলার হাসপাতাল। অপরিচ্ছন্নতার কারণে সেই হাসপাতালই যেন হয়ে উঠেছে ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমরিয়াল (জেএনএম) হাসপাতালের ঘটনা। রোজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী। অথচ হাসপাতালের মধ্যেই নোংরা, আবর্জনা এবং জমা জলের অপরিচ্ছন্নতায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল পাননি। ফলে সাংবাদিকদের সামনে বেহাল পরিস্থিতির কথা বলে সরব রোগীর পরিবার। আজ কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নদিয়ার হাঁসখালি গ্রামের আরও এক ১১ বছরের বালকের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারাগেছে বলে জানা গেছে।  

    কেমন অবস্থা হাসপাতালের (Nadia)?

    হাসপাতালের (Nadia) ভিতরে ঢুকতেই গেলে দেখা যাবে, যত্রতত্র পড়ে আছে আবর্জনা ও জমা জল। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। একদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের, অন্যদিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একাধিক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গোটা হাসপাতাল চত্বর ভরে গেছে জলা জঙ্গলে। আর সেখান থেকেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। হাসপাতালের শৌচালয়গুলির এতটাই ভগ্নদশা যে ব্যবহারের যোগ্য নয়। দুর্গন্ধে ভিতরে প্রবেশ যায় না। যদিও রোগীরা ভর্তি থাকার কারণে অব্যবস্থার মধ্যেই হাসপাতালে রাত্রিবাস করতে হয় পরিবারদের। এখন দেখার হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষে। নাকি এভাবেই অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হবে হাসপাতাল।

    রোগীর পরিবারদের বক্তব্য

    হরিণঘাটা (Nadia) থেকে স্বামীকে নিয়ে আসা এক রোগীর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস বলেন, গতকাল ৩ টের সময় আমি আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার স্বামী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। রাত ৯ টার সময় ডাক্তার স্বামীকে দেখে গেছেন। এদিকে হাসপাতালের টয়লেট খুব নোংরা, ভিতরে ঢোকা যায় না। তিনি আরও বলেন, রোগীর আত্মীদের যেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই প্রচুর ময়লা আর জল জমে রয়েছে। সংক্রমণের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। রোগী সুস্থ হবে কম, রোগী অসুস্থ হবে বেশি এই হাসপাতালে।  

    উল্লেখ্য গতকাল একই দিনে ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে নদিয়ার দুই বাসিন্দার। এর মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর এক মহিলার। প্রত্যেকেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যে এই বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার দাপট শুরু হতেই হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়াচ্ছে পুরসভার ২৯ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ এখনও অনেকটাই কম। বৃষ্টি বাড়লে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন।

    কী বলছে হাওড়া (Howrah) পুরসভার তথ্য?

    হাওড়া পুরসভার তথ্যই বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে যেভাবে ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় গত এক মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। দ্বিগুণের থেকেও বেশি। যদিও হাওড়া পুরসভার হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এর প্রায় চারগুণ। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিজে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিতে হরে, কোথাও জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল নিয়মিত স্প্রে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নর্দমাগুলি যাতে ঠিকমতো পরিষ্কার হয়, সে ব্যাপারে সাফাই কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।

    কী অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা (Howrah)?

    যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বারের বৃষ্টির জল নেমে গেলেও শহরে নোংরা-আবর্জনা নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা সুধাকর দুবে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকার পার্কগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসক মণ্ডলীর পরিচালনায় পুরসভা চলছে। বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে ভরে গেছে। আবাসন, পার্ক এমনকী রাস্তার দু’ধারে আগাছা ও জঞ্জাল জমা হয়। সেখানেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ফলে নাগরিকরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়ার পাশাপাশি যাতে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিংলা (Paschim Medinipur) থানা এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দু’জনের ফাঁসি এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ মে এক ২১ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর, অন্তর্বাস গলায় জড়িয়ে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার দিনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং দু’ বছর পর আজ আদালতে শাস্তি ঘোষণা হল।

    কীভাবে শাস্তি ঘোষণা হল (Paschim Medinipur)?

    ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে দু’জনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি কুসুমিকা দে (মিত্র)। ধর্ষণ করে খুনের আসামীদের নাম হল, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু (তখন বয়স ২৭), পিংলার তেমাথানির তপতী পাত্র। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের সাপেক্ষে মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনানো হয় আদালতের তরফ থেকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হওয়ায় এই রায়ে খুশি মৃতের পরিবার। পিংলায় (Paschim Medinipur) ধর্ষণকাণ্ডে মৃত তরুণীর বাবা চাষ করেন আর মা আশা কর্মী। তরুণীর মা বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশুনা করত মেয়ে। ডেবরা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল আমার মেয়ে। মৃতের মা আরও জানান, মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না। কিন্তু দোষীরা শাস্তি পেল, এতে কিছুটা খুশি।

    সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবাশিষ মাইতি বলেন, “২০২১ সালের পিংলা থানার ঘটনায় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন। এই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মামালায় অভিযুক্ত এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটির দিনই পিংলা (Paschim Medinipur) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে দোষীরা” ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই সর্দি-কাশি আর জ্বরে অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত, শিশুদের জ্বর আর সর্দি নিয়ে জেরবার অধিকাংশ পরিবার। জ্বর কমে গেলেও থাকছে সর্দি-কাশি। আবার দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের ফিরে আসছে জ্বর! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) শক্তি বাড়ছে। এক সপ্তাহে কলকাতায় তিনজন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু, আরও বিপদের জানান দিচ্ছে। সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ একাধিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিন্তু, ডেঙ্গির (Dengue Fever) দাপটের জেরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বর ভেবে অবহেলা করা হয়। যার জেরে সময় মতো ডেঙ্গির চিকিৎসা করা হয় না। তাই বিপদ বাড়ে। এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সময় মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তিন দিন একটানা জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিত। তবেই সময় মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

    কোন কোন উপসর্গ ডেঙ্গির (Dengue Fever) ইঙ্গিত দেয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও ডেঙ্গির জানান দেয় বিশেষ কিছু উপসর্গ। সেগুলো নজরে রাখলেই প্রথম থেকে সতর্ক হওয়া যাবে। বড় বিপদ হয়তো আটকানো যাবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রায় ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠে। ফলে, অতিরিক্ত তাপ জানান দেয়, রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারেন। 
    গোটা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব হয়। ডেঙ্গি (Dengue Fever) আক্রান্ত হলে বিশেষত হাত ও পায়ের পেশিতে, কোমরের হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। শুয়ে থাকলেও সেই যন্ত্রণা থাকে। তাই জ্বরের সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা হলে, তা ডেঙ্গির লক্ষণ। 
    ডেঙ্গির আরেক ইঙ্গিত হল বমি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে বার বার বমি হয়। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের মাথার যন্ত্রণা এমনকী মাঝেমধ্যে চিনতে না পারার মতো লক্ষণও দেখা যায়। তাই জ্বরের মধ্যে জ্ঞান হারানো বা চিনতে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
    শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার লাল দাগ দেখা দিলে, তা ডেঙ্গির (Dengue Fever) লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই জ্বরের সময় ত্বকে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) পার্টি ক্যাডার। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ তোলে। এটা যে শুধু অভিযোগ নয়, তা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রমাণিত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৮ জুলাই তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে টিএমসিপি। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে ২ জনের নাম রয়েছে শেখ আসিফ ইকবাল কাজি এবং মোশারফ হোসেন। এই আসিফ ইকবাল কাজি হলেন নন্দীগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা?

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পন্ডা বলেন, প্রশাসনিক কাজে যুক্ত, সে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারে? তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি যাকে করা হয়েছে, তিনি রেলে চাকরি করেন। ফলে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যে পার্টি ক্যাডার, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের তমলুক (TMC) সাংগঠনিক জেলার  জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া বলেন, তৃণমূলের  ছাত্র সংগঠন স্বাধীনভাবে কাজ করে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দায়িত্ব দিয়ে থাকলে অসুবিধার কিছু নেই। এর সঙ্গে মাদার সংগঠনের কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটি দায়িত্ব দিয়ে থাকলে থাকতে পারে। তারা স্বাধীনভাবে সমস্ত কিছু দেখাশোনা করে।

    থানা সূত্রে কী জানা গেল?

    একজন প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হতে পারেন, সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় নন্দীগ্রামে। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তৃণমূল (TMC)  ছাত্র পরিষদের নেতা শেখ আসিফ ইকবাল কাজির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে খবর, ইকবাল কাজি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে এখনও কাজ করছেন। কোনও পদত্যাগপত্র তাঁর কাছ থেকে থানায় জমা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার। জমি জটে আপাতত থমকে গেল দাসপুরে নির্মীয়মাণ সোনার হাবের (Gold Hub) কাজ। খেলার মাঠ ও শ্মশান বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা। ফলে, এই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। দ্রুত জট কেটে মিলবে সমাধান, আশাবাদী প্রশাসন।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ?

    কয়েক বছর আগে খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাসপুরে গোল্ড হাব (Gold Hub) গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই শুরু হয় জমি চিহ্নিতকরণ সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া। দাসপুর-২ নম্বর ব্লকের ফরিদপুর মৌজায় চিহ্নিত করা হয় জমি। ১ একর  ৮০ শতকের এই জমি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে হস্তান্তর করা হয়। ভবন তৈরির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। চলতি বছরের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি গোল্ড হাবের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাস কয়েক আগে শুরু হয় কাজও। তবে এরই মাঝে বেঁকে বসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, সরকারি এতবড় প্রকল্প করার আগে জমিটিতে কী হয়, তা প্রশাসনের কর্তাদের নজরে এল না। আসলে গোল্ড হাবের জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, খাতায়-কলমে সেই জমির চরিত্র শ্মশান। জমির একাংশ খেলার মাঠ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দুর্গাপুজো সহ গ্রামের একাধিক অনুষ্ঠান হয় এই জমিতেই। এই কারণেই গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনও জমিতে সোনার হাব তৈরির দাবি তোলা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে গোটা বিষয় নিয়ে।

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, প্রথম দিকে এনিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এখন অভিযোগ এসেছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই জট কেটে গোল্ড হাব (Gold Hub) তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর দু’দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে মধ্য়রাত অবধি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

    রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন,  তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন সুকান্ত। দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল মঙ্গলবার রাতে। আগে রাত দশটা থেকে বৈঠক শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রাজস্থানের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় সময় পিছিয়ে ১১টা করা হয়। সেই মতো রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার ফলাফলের নিরিখে সাংগঠনিক পর্যালোচনা হয়। মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে।

    আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক!

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। ইতিমধ্যে বাংলায় আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়েকঘণ্টার শাহি-বৈঠকে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সেবার ২ থেকে একলাফে তাদের আসন বেড়ে হয়েছিল ১৮। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share