Author: user

  • World Population Day 2023: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস! প্রথম দশে কোন দেশগুলি?

    World Population Day 2023: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস! প্রথম দশে কোন দেশগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day 2023)। অনেক দেশের কাছেই জনসংখ্য়া হল জনসম্পদ। আবার জনবিস্ফোরণের তত্ত্বও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গেই উঠে আসে। এতে বাড়ে বেকারত্ব, কমে জীবন জীবিকার মান। তবে এসব বিতর্ক সরিয়ে রেখেই প্রতিবছর  সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটিকে জনসংখ্যা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে শীর্ষে রয়েছে ভারত।

    বিশ্বের জনসংখ্যা (World Population Day 2023)

    ২০২২ সালের এমন সময় ওয়ার্ল্ডওমিটার বিশ্বের জনসংখ্যা গণনা করে জানিয়েছিল, ৭৯৫ কোটি। চলতি বছরের হিসেব অনুযায়ী  বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৪ কোটিতে পৌঁছেছে  বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে নয় কোটি। ওয়ার্ল্ডওমিটারের ক্যালকুলেটর দ্রুত গণনা করতে থাকে সবসময়ই, এবং তা এখনও কাজ করে চলেছে, সামনের বছরের হিসাব দেওয়ার জন্য। এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে পৃথিবীতে প্রায় ২৪০টি শিশু জন্মায়

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩-এর থিম

    সারা বিশ্বে যে কোনও দিবস উদযাপনের পিছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে। প্রতিবছর সেই উদ্দেশ্য পালন এবং প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট থিমও থাকে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩ এর থিম হল ‘Imagine a world where everyone all 8 billion of us has a future bursting with promise and potential.’ 

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের নানা কর্মসূচি

    জনসংখ্যা দিবসে লিঙ্গ সমতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার এবং যৌন সম্পর্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রচারের আলোয় আনা হয়। প্রতিবেদনের শুরুতেই যে কথা বলা হয়েছে, জনসম্পদ ও জনবিস্ফোরণ তত্ত্ব। এনিয়েও মানুষকে সচেতন করা হয়। এদিনে বিভিন্ন স্থানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। 

    জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের প্রথম দশটি দেশ

    ১) ভারত: জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বে এখন শীর্ষে ভারত। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্ট অনুসারে ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১,৪২.৫৮ কোটি। 

    ২) চিন: দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমাদেরই প্রতিবেশী চিন। তাদের জনসংখ্যা ১,৪২.৫৭ কোটি।

    ৩) আমেরিকা: তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। মার্কিন দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৩৩.১৯ কোটি।

    ৪) ইন্দোনেশিয়া: তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এই দেশটির জনসংখ্যা ২৭.৩৮ কোটি।

    ৫) পাকিস্তান: তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। বর্তমানে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৩.১৪ কোটি।

    ৬) ব্রাজিল: ব্রাজিল রয়েছে তালিকায় ছয় নম্বর স্থানে। ব্রাজিলের জনসংখ্যা ২১.৪৩ কোটি।

    ৭) নাইজিরিয়া: নাইজিরিয়া রয়েছে তালিকায় সাত ‌‌নম্বরে। ২১.৩৪ কোটি জনসংখ্যা এই দেশের।

    ৮) বাংলাদেশ:  তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এই দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬.৯৪ কোটি।

    ৯) রাশিয়া: রাশিয়া রয়েছে নবম স্থানে। রুশ দেশের জনসংখ্যা ১৪.৩৪ কোটি।

    ১০) মেক্সিকো: তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে মেক্সিকো। এই দেশের জনসংখ্যা ১২.৬৭ কোটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Team India Jersey: ‘টিম ইন্ডিয়া নাকি টিম ড্রিম ১১?’ রোহিতদের নতুন জার্সি দেখে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা

    Team India Jersey: ‘টিম ইন্ডিয়া নাকি টিম ড্রিম ১১?’ রোহিতদের নতুন জার্সি দেখে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের (Test Cricket) জার্সি মানেই সাদা, এমনটাই জানে ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই বদলে গেল টিম ইন্ডিয়ার জার্সি (Team India Jersey)। তবে রোহিতদের এই নয়া জার্সি দেখে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন। টিম ইন্ডিয়ার এই নয়া জার্সিতে কোথাও ভারতের নাম উল্লেখ করা হয়নি। দেশের জার্সি নাকি ড্রিম ১১ এর জার্সি তা বুঝতে পারছেন না সমর্থকেরা।

    নতুন জার্সি কেমন

    কয়েকদিন আগেই ভারতের জার্সির (Team India Jersey) প্রধান স্পনসর হিসেবে ফ্যান্টাসি ক্রিকেট অ্যাপ ড্রিম ১১ এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিসিআইয়ের। এই সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ৩৫০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। এবার তাই টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সির সামনে জ্বলজ্বল করছে ড্রিম-১১ -এর লোগো। টিম ইন্ডিয়ার এই নতুন টেস্ট জার্সিতে কাঁধের উপর তিনটে নীল রংয়ের স্ট্রাইপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বুকের উপর লাল রংয়ে লেখা রয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের জার্সিতে লাল রং দেখেই সমর্থকেরা বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তাঁদের কথায়, এই লাল রংয়ের কারণে টেস্ট জার্সিটা একটু বেশিই রঙিন লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে যে এটা টেস্ট নয়, যেন একদিনের ক্রিকেট দলের জার্সি।

    আরও পড়ুন: দলে নেই রিঙ্কু! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি২০-র স্কোয়াড ঘোষণা ভারতের

    ড্রিম ১১ লেখাতে আপত্তি

    সম্প্রতি ট্যুইটারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নতুন টেস্ট জার্সিতে (Team India Jersey) ফটোশুটের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে নেটিজেনদের বক্তব্য, বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম ও পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাডিডাস ভারতের নতুন জার্সি বানিয়েছে। কিন্তু তাতে  লাল রংয়ের ড্রিম ১১ লেখা ভীষণ দৃষ্টিকটু লাগছে।

    তাই এক সমর্থক লিখেছেন, ‘অ্যাডিডাস সুন্দর জার্সি বানিয়েছিল, তাতে ড্রিম ১১ লেখাটা পুরো জল ঢেলে দিল।’ টিম ইন্ডিয়ার এক সমর্থক লিখেছেন, ‘ড্রিম ১১ এর থেকে স্টার, বাইজুস লেখা জার্সি অনেক ভালো ছিল। পুরনো সাহারা জার্সিও ফিরিয়ে আনলে ভালো হত।।’

    চলতি বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে কোনও স্পনসর ছাড়াই খেলেছিল ভারত। সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে বড় করে লেখা ছিল ইন্ডিয়া। একাধিক ক্রিকেট সমর্থক নতুন ড্রিম ১১ লেখা জার্সি দেখে স্পনসর ছাড়া ওই জার্সিটিকে বেশি ভালো বলছেন। যদিও চুক্তি অনুসারেই নতুন জার্সি তৈরি করা হয়েছে। আসলে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির সামনে সবসময়ই স্পনসরের নাম উল্লেখ থাকে। কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে নামলে তখন দেশের নাম উল্লেখ করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ার নেতাজি কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) ক্যাম্প অফিসে বিধায়কের সামনেই কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির লোকজনের গাড়ি এবং মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়। ইট, পাথর ছোড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    নিয়ম মেনেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। আর গণনা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্যাম্প অফিস করা হয়। সেখানে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি সহ বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক মজুত ছিলেন। ক্যাম্প অফিসের পাশে রাখা ছিল গাড়ি, একাধিক বাইক। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা দল বেঁধে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমাদের গাড়ি, বাইকে ভাঙচুর চালায়। ওরা কার্যত এলাকায় তাণ্ডব চালায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শালতোড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, বিজেপির লোকজন গণনা কেন্দ্র থেকে ৪০০ মিটার দূরে ক্যাম্পে বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয়। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায়  চন্দনা দেবী হামলার হাত থেকে বাঁচেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শালতোড়ার ব্লক সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, চন্দনা বাউরির আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বিজেপির (BJP) নিজেদের দলীয় কোন্দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে চাপাতে চাইছে। বরং ওরাই আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা করে। পাথর ছোঁড়ে। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের উপর ওরা এখন দায় চাপাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জয়ী নির্দলকে হারাতে ব্যালট পুকুরে ফেলে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী

    North 24 Parganas: জয়ী নির্দলকে হারাতে ব্যালট পুকুরে ফেলে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন জেলা জুড়ে অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার গণনার পর পুনরায় গণনা করতে গেলে তৃণমূলের এজেন্ট ব্যালট নিয়ে ফেলে দিল পুকুরে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় অশোকনগর (North 24 Parganas) বয়েজ স্কুলের গণনা কেন্দ্রে।

    কীভাবে ঘটল এই মারাত্মক ঘটনা (North 24 Parganas)?

    এবার গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে পালাল তৃণমূলের এক দুষ্কৃতী। সরাসরি ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড়ে ঝাঁপ দিল পাশের পুকুরে‌। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলের গণনা কেন্দ্রে। ভুরকুন্ডা (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ১৮ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন, নির্দল প্রার্থী শওকত মণ্ডলের কাছে হেরে যান। কিন্তু গণনায় ভুল হয়েছে বলে দাবি করে দ্বিতীয়বার গণনা করতে বলেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর গণনা শুরু হতেই ব্যালট পেপার নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট মুন্না মণ্ডল। এরপর এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সিপিআইএম ও আইএসএফ কর্মীরাই ব্যালট পেপারওগুলো উদ্ধার করেন। জয়ী নির্দল প্রার্থী অবশ্য সিপিএম, আইএসএফের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলের জয় আটকাতে ব্যালট ফেলা হল পুকুরে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করল নির্দল প্রার্থী।

    নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ভরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া ১৮ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী আম চিহ্নে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আম চিহ্নের নির্দল প্রার্থীর সওকাত মণ্ডল বলেন, গণনার শেষে তাঁর জয় নিশ্চিত হতেই পুনরায় গণনার দাবি তোলে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ও তাঁর অনুগামীরা। এরই মধ্যে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে একটি পুকুরে ছুড়ে ফেলা হয়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (North 24 Parganas) এক ব্যক্তি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, এক যুবক দৌড়ে এসে আমাকে ধাক্কা মেরে ব্যালট পেপারগুলিকে পুকুরে ছুড়ে ফেলে। যে ফেলেছিল তার হাতে অনেকগুলি ব্যালট পেপার ছিল। অনেকেই ধরার জন্য চিৎকার করেছিল, কিন্তু ধাক্কা মারায় আমি ধরতে পারিনি। অপর আরেকজন স্থানীয় সালাম মণ্ডল বলেন, আম প্রার্থী জিতে গিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ব্যালট নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। তিনি আরও বলেন, যে ছেলেটা ব্যালট ফেলেছে পুকুরে, তাকে পরে ধরলেও সে আবার পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য জল থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যালট গুলোকে।

    এছাড়াও আইএসএফ প্রার্থীকে বেরাবেরি পঞ্চায়েতের ৫৬ /৫৭ নম্বর বুথে বুথের গণনা কেন্দ্র থেকে টেনে হিচঁড়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। কিন্তু নিঃশ্চুপ প্রশাসন।  ভোট গণনার সময় কেন্দ্র থেকে টেনে বের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন নিজেরাই সরে গেছে, পুলিশের কোনও খোঁজ নেই গণনা কেন্দ্রে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের একের পর এক এলাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এই জেলায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে বেলডাঙায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কান্দি, খড়গ্রাম থেকে সালার, ভরতপুর, বেলডাঙা, রানিনগর, হরিহরপাড়া, ডোমকল সহ একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এই জেলার ভরতপুর বিধানসভার আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সকেট বোমা একটি পরিত্যক্ত জায়গাতে রাখা ছিল। মূলত একটি বাড়ি লাগোয়া পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেই পরিত্যক্ত ঘরটি এলাকার মানুষ শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করত। পাশেই রাস্তা রয়েছে। সেই ঘরে বোমাগুলি মজুত ছিল। সেখানেই এদিন আচমকা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির কিছু সরঞ্জাম। বোমা বিস্ফোরণের ফলে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ আমলাই গ্রামে পৌঁছায়। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের গ্রাম শান্তিপূর্ণ। এখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। এদিন আচমকা বিকট আওয়াজে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। সকলেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি, পরিত্যক্ত ওই ঘরটির অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) বড় বিপদ হতে পারত। লোহাদহ গ্রামের বাসিন্দা শরদিন্দু মণ্ডল বলেন, আমলাইয়ের মতো গ্রামে এত বোমা কারা মজুত করল। পুলিশের তদন্ত করা দরকার। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে নিজের খাস তালুকে হারলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। হারের পর ভাঙড়ের গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ছাতছাড়া হল তৃণমূলের। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল জমি কমিটি। উচ্ছ্বাস জমি কমিটির কর্মীদের মধ্যে।

    কীভাবে হারল তৃণমূল (South 24 Parganas)?

    ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে হারল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে জয় পেল জমি কমিটির প্রার্থী। জয়ের প্রবণতা স্পষ্ট হতেই গণনা কেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল ইসলাম। পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলে হার হয়েছে বলে স্বীকারও করে নেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল। পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪। সব আসনেই এবার প্রার্থী দিয়েছিল জমি কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনটি এবং জেলা পরিষদের একটি আসনেও মনোনয়ন দাখিল করেছিল জমি কমিটি।

    জয় জমি কমিটির

    ২০১৬ সালে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় তৈরি হয়েছিল জমি, জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি বা জমি কমিটি। গতবারও পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করেছিল তারা। তাদের মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জমি কমিটির সদস্যরা। এবার অবশ্য তেমন অভিযোগ ওঠেনি। সংবাদ মাধ্যমে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেছিলেন,’ প্রথম দিন বাধা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম, আমাদের উপরে হামলা হলে পাওয়ার গ্রিডই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেব।’ ২০১৮ সালেও পোলেরহাটে দাপট দেখিয়েছিল জমি কমিটি। সেবার পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জিতেছিল। বাকি ৮টিতে জমি কমিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি আসন পেয়েছিল জমি কমিটি। তৃণমূল জিতেছিল ৩টি আসনে। তৃণমূল ১৬টির মধ্যে ১১টি আসন জিতলেও পঞ্চায়েত অফিসে কার্যত ঢুকতে পারেননি জয়ীরা। প্রধান, উপ প্রধানদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার সময় বাধা দিয়েছিল জমি কমিটির সদস্যরা।

    পিছনে কি আইএসএফ?

    ২০১৮ সালের সঙ্গে এবার অনেকটাই ফারাক রয়েছে। কারণ ২০২১ সালে ভাঙড়ে জয়লাভ করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তারপর থেকে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) দাপট বেড়েছে আইএসএফের। এবারও ভাঙড়ে মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছিল আইএসএফের। তার ফলে জমি কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ আর নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফল বলছে, পোলেরহাটে এখনও জমি কমিটির একটা বড় সমর্থন রয়েছে।

    প্রক্তন বিধায়কের বক্তব্য?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, ভাঙড় কেন্দ্রে জিতেছি। কিন্তু পোলেরহাটে (South 24 Parganas) হেরেছি। আমাদের ৭জন প্রার্থী মাত্র ৫, ৭, ১০টি করে ভোটে হেরেছে। দেখা যাক কী হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাজারে এসেছে ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ্লিকেশন “মেটা থ্রেডস”(Threads)। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল। চারপাশে কী ঘটছেে, তা জানা থেকে শুরু করে প্রিয়জনকে বার্তা প্রদান-সব কিছু আজ এই সোশ্যাল মিডিয়া-নির্ভর। আর এসবের মাঝেই মেটা নিয়ে এসেছে আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘থ্রেডস’। অ্যাপটি লঞ্চ হতেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। লঞ্চ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর ইউজার সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। কী এই অ্যাপ? কীভাবে এই অ্যাপ কাজ করে? সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।

    কী এই মেটা থ্রেডস অ্যাপ?

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি মেটা তাদের নতুন অ্যাপ Threads লঞ্চ করেছে। এটি মূলত একটি মাইক্রো ব্লগিং অ্যাপ। এটি ট্যুইটারের বিকল্প হিসাবে ইউজাররা ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে ব্যবহারকারীরা ট্যুইটারের মতো সমগ্র ইন্টারফেস এবং ফিচারগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। নিজের মতামত থেকে শুরু করে ছবি, ভিডিও সমস্তই এখানে আপলোড করা যাবে এবং সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন অন্যান্য ইউজারদের সাথে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, Meta অনেকদিন ধরেই এই Threads অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এটি এখন সমগ্র ইউজারদের ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেয়েছে। এটি (Threads) বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও IOS উভয় ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। এই অ্যাপের ইন্টারফেসটি অনেকটা ইনস্টাগ্রাম-এর মতো। আর ব্যবহারের দিক থেকে অনেকটা ট্যুইটারের মতো। যাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে, তারা সরাসরি ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমেই এই অ্যাপে sing in করতে পারেন।

    কীভাবে এই Threads অ্যাপে লগ-ইন করবেন এবং ব্যবহার শুরু করবেন?

    এই অ্যাপটির ইন্টারফেস খুবই সহজ এবং সাধারণ রাখা হয়েছে। অ্যাপটি (Threads) প্রথমে ডাউনলোড করার পর শুরুতেই ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমে লগ-ইন করার সুযোগ আসবে। ইতিমধ্যে যদি আপনার কোনও instagram অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই একটি সিঙ্গল ট্যাপ ও ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনি লগ-ইন করতে পারবেন। এর পর প্রোফাইলটি নিজের পছন্দ মতো সেট-আপ করতে পারবেন। চাইলে ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত বায়ো এবং লিংক দিয়েই আপনার প্রোফাইল সেট-আপ করতে পারেন। সব শেষে ‘Join Threads’ তে ক্লিক করলেই ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।

    এই Threads কি Twitter কে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে?

    সাম্প্রতিক ট্যুইটার অ্যাপ ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে, যা অনেক ব্যবহারকারীর পছন্দ হয়নি। যেমন আগে দিনে সীমাহীন ভাবে যত খুশি ট্যুইট দেখতে পেতেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এখন তাকে একটি সীমার আওতায় আনা হয়েছে। আবার আগে লগ-ইন না করেই ব্যবহারকারীরা ট্যুইট দেখতে পেতেন। কিন্তু এখন লগ-ইন না করে ট্যুইট দেখতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা। এর জন্য লগ-ইন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সবের কারণেই অনেকে এই অ্যাপ থেকে সরে আসতে চেয়েছেন। আর এই সময়ে Threads app এর আবির্ভাবে নতুন একটি বিকল্পকে বেছে নিতে পিছপা হননি ইউজাররা। এতে সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা ইউজারদের খুব পছন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এইসব দিক থেকে বিচার করলে ট্যুইটারের ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে Threads, এমনটা আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। অথচ এতদিন এই গ্রামে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেরও নজরে রয়েছে তাঁর মামার বাড়ি। সেখানেই ঘাসফুলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। এই গ্রামে এবার পদ্মফুলের জয় জয়কার।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ির গ্রামে কটি আসন দখল করল বিজেপি?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এখনও এই গ্রামে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন সপরিবারের রয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হল। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ির গ্রামে এভাবে পদ্মফুল ফোটায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। জয়ী বিজেপি প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা বলেন, লোকসভা ভোটে আমাদের বিনা কারণে তৃণমূল জেল খাটিয়েছিল। এলাকার মানুষ তার সাক্ষী। এই ঘটনা তারা মেনে নিতে পারেনি। আর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে তার বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছে। আমার স্ত্রী পাশের বুথে দাঁড়িয়েছিল। সেই বুথেই মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ি। সেই বুথেও আমার স্ত্রী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে। আর এভাবে তৃণমূলকে হারাতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মানুষের জন্য কাজ করব। মানুষের রায়ে জয়ী হয়েছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা তৃণমূলে যাব না। ৩১ নম্বর আসনের বিজেপি জয়ী প্রার্থী অর্চনা হাজরা বলেন, এই জয়, মানুষের জয়। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে তৃণমূলকে হারাতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গণনার দিনেও ভাঙড়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    South 24 Parganas: গণনার দিনেও ভাঙড়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের (South 24 Parganas) কাঁঠালিয়া হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্রে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার তিনি ভাঙড়ের ওই গণনা কেন্দ্রের সামনে পরিদর্শনে যান। তিনি এদিন গণনা কেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে যান। এরপর তিনি এখান থেকে বেরিয়ে ক্যানিং, বাসন্তী যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

    হিংসা রুখতে রাজ্যপাল (South 24 Parganas) জেলায়

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই হিংসার বিরুদ্ধে কলকাতার রাজভবনকে মোবাইল রাজভবনে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাহাড়, কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এবং ভাঙড় থেকে বাসন্তী-সর্বত্র হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল। নিপীড়িত, আর্ত এবং স্বজনহারা পরিবারের মানুষের সঙ্গে দেখা করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের বিষয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। ভোটের দিনে যেমন সক্রিয় ছিলেন রাজ্যপাল, ঠিক তেমনি ভোট গণনার দিনেও দক্ষিণের (South 24 Parganas) জেলাগুলিতে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। 

    দিল্লি থেকে ফিরেই গণনা কেন্দ্রে পরিদর্শন  

    ভোটের আগে-পরে ঘটনা এবং রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনার বিশেষ রিপোর্ট নিয়ে ৯ই জুলাই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। দিল্লিতে নেমেই কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, হিংসার বাতাবরণ থেকে মুক্ত বাতাস নিতে চান! এরপর গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। আর বৈঠক শেষ করেই দিল্লি থেকে ফিরে সরাসরি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে পৌঁছান। হিংসা এবং অশান্তির বাতাবরণ থেকে বাংলার গণতন্ত্রকে সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ সক্রিয়তা দেখিয়েছেন তিনি। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেন। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে ঘটা হিংসার জন্য অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ভোটের দিন সব থেকে বেশি প্রাণহানি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদে। রাজ্যপাল বার বার নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে রাজধর্ম পালনের কথা মনে করিয়ে দেন। বন্দুক-গুলি নয়, গণতন্ত্রে মত প্রকাশের উপর জোর দিয়েছেন বেশি করে। আর তাই মানুষের মন ভয়মুক্ত করে প্রশাসনের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাসকে ফেরানোর উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আর এই জন্যই দক্ষিণের জেলা পরিদর্শনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাসে ধুলোকণার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যার জেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা। বিশেষত ফুসফুস ঘটিত রোগের (Lungs Disease) সমস্যা আরও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো রোগের পাশপাশি একটানা কাশির সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ছে ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো রোগের দাপট বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা জরুরি। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    সম্প্রতি, এক সর্বভারতীয় সংস্থা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বড় শহরগুলোর শিশুদের বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা (Lungs Disease)। বড় শহরগুলোর ৫৩ শতাংশ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় ভোগে। যে তিনটি ফুসফুস ঘটিত সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি হচ্ছে, সেগুলো হলো, অ্যাস্থমা বা হাঁপানি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। সিওপিডি অর্থাৎ, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। এই রোগের জেরে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা আরও বেশি হয়। আর সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নিউমোনিয়ার জেরে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা শেষ হতে পারে। এছাড়াও বাড়ছে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ। সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যাও বড় বিপদ তৈরি করছে। 

    কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস (Lungs Disease) সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবার সুস্থ রাখে ফুসফুস। তাই শিশুদের সেই সব খাবার নিয়মিত দিলে অনেকটাই প্রতিষেধক (Lungs Disease) গড়ে তোলা যাবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ানো দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। দুধে থাকে একাধিক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। তাই এই দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। 
    নিয়মিত মধু ও তুলসি পাতা খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে। ফুসফুসও সুস্থ থাকে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের বাদাম ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ উপাদান ফুসফুসকে (Lungs Disease) সুস্থ রাখে। 
    পাশপাশি, যে কোনও রান্নায় আদা ও রসুন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, আদা ও রসুনে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের কার্যক্রম বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, শারীরিক জটিলতা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share