Author: user

  • TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল প্রার্থীর নাম মহম্মদ শাহেনশা। এই ঘটনায় আরও ১৫ জন জখম হয়েছেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ভোটের দিনও জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  তবে, এদিন দিনভর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটলেও তৃণমূল প্রার্থী খুন হওয়ার নজির নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ভোটে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশার বাড়ি চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামে। তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় ভোট ঠিক মতোই চলছিল। ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশা যান। তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছাতেই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে যায়। এরপরই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি প্রথমে তাঁকে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহম্মদ শাহেনশার অবস্থা অবনতি হয়। পরে, তাঁকে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল  বলেন, “বুথ চত্বরে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থী শাহেনশাকে কুপিয়ে খুন করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুপুর পর্যন্ত ১৩০০-র বেশি অভিযোগ! জেরবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন

    Panchayat Election 2023: দুপুর পর্যন্ত ১৩০০-র বেশি অভিযোগ! জেরবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা আশঙ্কা ছিল বিরোধীদের, বাস্তবে তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল (Panchayat Election 2023)। সকাল থেকেই দিকে দিকে রক্ত ঝরল রাজ্যে। বেলা ১২ টা পর্যন্ত হিসাবে, রাজ্যে খুন হয়েছেন ৯ জন। কমিশনের হিসাবে, মৃত্যু হয়েছে নদিয়ায়-১, কোচবিহার-২, উত্তর ২৪ পরগণা-১, পূর্ব বর্ধমান-১, মুর্শিদাবাদ-৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (ভাঙড়)-১। তার পরও প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনার যেন বিরাম নেই। পরে খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সংখ্যাটা ১২ তে পৌঁছে যায় নিমেষে। আর তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বুথ দখল, ছাপ্পা, বাধা পেলে মারধর, হুমকি এসব যেন রাজ্যরাসীর গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক অভিযোগ আসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। দুপুর পর্যন্তই সেখানে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৩০০ রও বেশি। কমিশনের কর্তাদের দাবি, তাঁরা নাকি ৬০০ অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছেন। কী নিষ্পত্তি হল, তার অবশ্য ব্যাখ্যা মেলেনি। তাহলেও প্রশ্ন, বাকি ৭০০ অভিযোগের কী পরিণতি হল? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ।

    কমিশন (Panchayat Election 2023) কী যুক্তি খাড়া করল?

    কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, কেউ কেউ ব্যালট বক্স নিয়ে পালিয়ে গেছে, কেউ কেউ ছাপ্পা ভোট দিয়েছে ইত্যাদি (Panchayat Election 2023)। কমিশনের সাফাই, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে। যেখানে যেখানে অভিযোগ আসছে, আমরা সেখানে সমাধান করার চেষ্টা করছি। পুলিশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযোগগুলো দেখছে, তদন্ত করছে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, কোথায় কোথায় গন্ডগোল হয়েছে তার সমাধানসূত্র বের করার জন্য। গতকাল রাত পর্যন্ত যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছেছে, তাদেরকে মোতায়েনের কাজ করা হয়ে গেছে। আগামীকাল এই নির্বাচনের স্ক্রুটিনি হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রিটার্নিং অফিসাররা থাকবে এবং এই ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে সমস্ত কার্যকলাপ যুক্ত আছে, সবটাই আলোচনায় তুলে ধরা হবে।
    উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এই কয়েকটা জেলাতে গন্ডগোল (Panchayat Election 2023) হয়েছে। আজ সারাদিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। জেলা থেকে বিভিন্ন অভিযোগ এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আমাদের কাছে অর্থাৎ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে পৌছছে। যেখানে যেখানে বেশি গন্ডগোল হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

    কমিশন যাই বলুক, মানুষের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। কার্যত কমিশনের মদতেই রাজ্য জুড়ে শাসক দল তাণ্ডবলীলা চালিয়ে গেছে, এমন অভিযোগই দিনভর শোনা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার মহেশনগর গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করতে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে ধরে ফেলে। তাদের মধ্যে একজনকে বেধড়ক মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। দুষ্কৃতীদের তিনটি মোটর বাইক ভাঙচুর করে। বাকি দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৩০ জন এসেছিল বাইকে করে ভোট লুট করতে এবং ছাপ্পা মারতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    নাকাশিপাড়ায় (Nadia) ধারালো অস্ত্রের আঘাত

    বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠছে নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। নাকাশিপাড়া ব্লকের তেঁতুলবেড়িয়া ৩০৮ নং বুথ দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন সিপিআইএম কর্মী। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    চাপড়ায় চলল ছাপ্পা

    নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া হাইস্কুলের ১০০ নম্বর বুথে ছাপ্পা মারার অভিযোগের পাশাপাশি শাসকদলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। রীতিমতো বুথ দখল করে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এই ভোট লুটের অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। 

    শান্তিপুরে চলল কোপাকুপি

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলাডাঙ্গা ৮ এবং ৯ নম্বর বুথে নির্দল-তৃণমূলের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক কর্মীর মাথায় কোপের আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০ জন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হরিণঘাটার বইকরায় শাসক-বিরোধীদের ব্যাপক বোমাবাজি হয়। আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শিশু সহ দুজন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    হেমায়েতপুরে ছাপ্পা

    হেমায়েতপুর (Nadia) ২১৯ নম্বর বুথে ছাপ্পার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকে চলছিল ছাপ্পা, বের করে দেওয়া হয় সাধারণ ভোটারদের। বুথগুলিকে সকাল থেকেই দখলে নেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে, আর সেই সঙ্গে চলছিল ছাপ্পা। বুথের ভেতরে নিদ্রায় মগ্ন ছিল পুলিশ। এরপরে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করে। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা গোটা গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট করতে এসে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে বহিরাগতরা। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল দুটি বাইকে। বাইক দুটি জনতার তাড়া খেয়ে ফেলে পালিয়ে যায় বহিরগতরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত আমলাজোড়া অঞ্চলের বাবনাবেড়া অঞ্চলের ৪৭১ নম্বর বুথের কাছে। উত্তেজিত জনতাকে সমর্থন দেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। অভিযোগ, ভোট লুট করতে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রানিগঞ্জ জেমারী পঞ্চায়েতের চলবলপুর ৩২ এবং ৩৩ নম্বর বুথে বুথ লুট করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরূদ্ধে। ভোট (Panchayat Election 2023) লুট রুখতে আসে সিপিএম। লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। পরে পুনরায় আবার ভোট লুট করতে আসে শাসক দলের লোক। ভোট লুট রুখতে গেলে হামলা চালায় শাসক দল। দু’জন সিপিএম কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ (Panchayat Election 2023)

    রানিগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হারাভাঙ্গা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ১৪০, ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথে সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলা প্রার্থীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হানা দেয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সিপিআইএমের নির্বাচনী এজেন্ট তথা প্রার্থী ময়না কর্মকারের স্বামী কল্লোল কর্মকার জানান, শাসক দলের কিছু দুষ্কৃতী এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাম পোলিং এজেন্টের কলার ধরে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সীমানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী ছন্দা গোপের স্বামী নির্মল গোপ দাবি করেন, অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে। কল্লোলবাবুর অভিযোগ, প্রার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি এজেন্ট নির্মল কর্মকারের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে ফোন করে জানানো হলে পুলিশ পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও আবারও অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: বাসন্তী, কাটোয়া, চাপড়া ও লালগোলায় ফের চারজন খুন

    Panchayat Poll: বাসন্তী, কাটোয়া, চাপড়া ও লালগোলায় ফের চারজন খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভোটের দিন (Panchayat Poll) হিংসার বলি হলেন চারজন রাজনৈতিক কর্মী। চাপড়া,বাসন্তী, কাটোয়া এবং লালগোলায় শনিবার ভোটকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে  তৃণমূল কর্মী আনিসুর ওস্তাগর নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। তিনি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বুথে সংঘর্ষ হয় বাম-তৃণমূলের। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাম সমর্থকের। অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গৌতম রায়। অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। আর নদিয়ার চাপড়ার কল্যাণদহে পিটিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ভোটের (Panchayat Poll) লাইনে দাঁড়িতে থাকার সময় বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। আইএসএফ প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ  জানিয়েছে, মৃতের নাম আনিসুর ওস্তাগর (৫০)। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, নদিয়ার চাপড়া থানার কল্যাণদহ এলাকায় এবার পিটিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম হামজাদ আলি হালসানা (৩০)। চাপড়া থানার কল্যাণদহ এলাকায় ভোটগ্রহণ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ে। সেখানেই অভিযোগ ওঠে সিপিএম এবং কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। লাঠি দিয়ে হামলা চালানোর জেরে এক তৃণমূল কর্মী ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। বাকিদের জখম অবস্থায় চাপড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ বিষয়ে চাপড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক রুখবানুর রহমান বলেন, অনেকদিন আগে থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করছিল। আমরা এর আগেও পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এদিন তারাই হঠাৎ করে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সকাল থেকেই উত্তেজনা ছেড়েছিল কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন বুথে। আধা সামরিক বাহিনীর পর্যাপ্ত না থাকায় উত্তেজনা ছিল বিভিন্ন এলাকায়। কাটোয়া দু’নম্বর ব্লক এর নন্দীগ্রামে সিপিএমের দাপুটে নেতা হরিনারায়ণ সামন্তের সঙ্গে বচসা বাঁধে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট গৌকম রায়ের। এরপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। তারপর হরিনারায়ণ সামন্ত গৌতম রায়কে ধাক্কা মারেন এবং লাঠি নিয়ে চড়াও হন তাঁর ওপর। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কতীদের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের লালগোলার ছাইটুনি এলাকায় রওশন আলি (৪০) নামে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়। অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় বুথগুলিকে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভোটের দিন সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত। সামসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় ১৬ নম্বর বুথে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। বেলডাঙ্গা, ডোমকলে ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে মারধর করে বের দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ডোমকলে বোমাবাজির ঘটনায় জখম ৪। জেলা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক।

    সামশেরগঞ্জে (Murshidabad) কী ঘটেছে?

    ভোটের দিন সকালে শুলিতলায় (Murshidabad) এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সেই যুবকের নাম জানা গিয়েছে সানাউল শেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। ঘটনায় খবর পেয়ে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কী কারণে গুলি করা হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

    ডোমকলে বিরোধী এজেন্টদের মারধর

    ডোমকল (Murshidabad) ব্লকের গড়াইমারী অঞ্চলে সিপিএম এজেন্টদেরকে বুথেরর ভেতর ঢোকার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। এরপর তাঁদের লাঠি, কিল, ঘুষি মেরে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বোটারডাঙায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব

    বোটারডাঙায় (Murshidabad) ভোট দিতে যাওয়ার সময় ২ জন তৃণমূল কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। আহতের নাম নাসিম শেখ ও সাদিকুল শেখ।

    বেলডাঙায় বোমাবাজি

    বেলডাঙার (Murshidabad) ২ ব্লকের নওপুকুরিয়া এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় এক ব্যক্তি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে। আর সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় একজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! স্পর্শকাতর বুথে শুধুই সিভিক

    Panchayat Vote: হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! স্পর্শকাতর বুথে শুধুই সিভিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এছাড়া কয়েক মাস আগে সিভিক পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও কাজেও লাগানো যাবে না বলে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। তবে হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ২২ নম্বর বুথে ২ জন সিভিক দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ। নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী, নেই রাজ্য পুলিশের কোনও কর্মী। বিরোধীদের অভিযোগ, এখানে তাদের এজেন্টও বসতে দেয়নি শাসক দল। জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোট হচ্ছে। তাহলে এক্ষেত্রেই বা নিয়ম কেন আলাদা হবে, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

    জেলায় জেলায় স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ

    বালুরঘাট থানা এলাকার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর হালদার পাড়ার ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে উত্তেজনার খবর পাওয়া গিয়েছে। সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা এখানে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান বালুরঘাট থানার আইসি সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বালুঘাট থানার আইসির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় বিজেপি কর্মীদের-সমর্থকদের। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তারাচাদ বাড়ে ৬৭, ৬৮ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী।

    শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অবস্থান বিজেপির

    হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কথা। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় রাত ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা না পাওয়ায় আন্দোলনে নামে বিজেপি নেতৃত্ব। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এদিন রাতে  বিজেপি নেতৃত্ব তাদের দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে এনজেপি থানায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তাদের রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করে দেদার ভোট লুট ও গণনায় কারচুপি করে বিজেপিকে জিততে দেয়নি। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট না করালে তৃণমূল তাদের মর্জি মতো ভোট লুট করে নিজেদের জয় নিশ্চিত করবে। এই দাবিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের নিয়ে এনজেপি থানায় ধর্নায় বসে।

    শুক্রবার রাতে ডোমকলেও বিক্ষোভ বিজেপির

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ডোমকলে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে শুক্রবার রাতে ধর্নায় বসে বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার সকালেও হাতিনগরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ধর্নায় বসে। তাদের দাবি ডোমকলে কেন্দ্র বাহিনী থাকা সত্ত্বেও তাদের কোনও রকম ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোমকলের হেরামপুর নতুনপাড়া ১৪৩ ও ১৪৪ নং বুথে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ হয়ে গেল। কারণ ভিতরে তখন চলছে দেদার ছাপ্পা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনগণ। রাস্তা অবরোধ করে পুনরায় ভোট চান ভোটাররা। রাত থেকেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়, ভোর ৫ টা নাগাদ মারা হয় বোমা।  তাতে জখম হন ৪ জন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার মহিলারা রাস্তায় বসে অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুনরায় ভোট করতে হবে। এ ভোট তাঁরা মানছেন না। উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

    সুতির অরঙ্গাবাদ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৩২ নং বুথেও দেদার ছাপ্পা। হাতেনাতে ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার। ভাঙচুর করা হয়েছে দরজা জানালা, চেয়ার টেবিল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট কর্মীরা (Panchayat Election 2023) আতঙ্কে বেরিয়ে যান ভোট কেন্দ্র থেকে। সুতির খানাবাড়ি এলাকার ঘটনা। ভোট কর্মীদের দাবি, দরজা-জানালা বন্ধ করে আটকে দেদার ছাপ্পা চলেছে। দীর্ঘক্ষণ বলার পরেও আসেননি সেক্টর অফিসাররা।

    বীরভূমেও চলল ছাপ্পা (Panchayat Election 2023)

    বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের (Panchayat Election 2023) অভিযোগ বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার সন্তোষপুর হাইস্কুলের বুথে। কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীর এজেন্টদের বুথে ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর লোকজনদের বিরূদ্ধে। বোমা মেরে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজাগ্রামের ১৫ নম্বর আসনে। এদিন নির্দিষ্ট সময়ে ভোট শুরু হয় গ্রামের দুটি বুথে। ১৫ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী রয়েছেন সামাইল শেখ। তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন আবাদি মল্লিক। আবাদির অভিযোগ, নির্দলের দুষ্কৃতীরা চারটি বোমা ফাটায়। বুথের ভিতর ঢুকে ব্যালট বক্স বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ভাংচুর করা হয় ভোটের জিনিসপত্র। মারধর করা হয় আবাদিকে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) ভাঙর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। পরিস্থিতি এতাটাই খারপ ছিল যে রাজ্যপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করেছিলেন। আজ পঞ্চায়েত ভোটের দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর এলাকা। এলাকায় বোমা ফেটে দুই শিশু আহত হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানে বাধা দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করে এলাকার মানুষ রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে চলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের মারামারি

    বোমা ফেটে আহত দুই শিশু (South 24 Parganas)

    নির্বাচনের দিনে ভাঙড়ের (South 24 Parganas) ছয়ানিতে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু। আহত ৭ বছর ও ৪ বছরের দুই শিশুকে জিরানগাছা হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। দুজেই খুব গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

    ভোট দানে বাধা অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কাশীপুরে (South 24 Parganas)। সেই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কাশীপুরে রাস্তা অবরোধ করল আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। মূলত তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যখন আইএসএফ কর্মীরা অবরোধ করছিল সেই সময় এক তৃণমূল কর্মী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। আর তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

    তিন কোম্পানি বাহিনী পৌঁছাল ভাঙড়ে

    ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানা (South 24 Parganas) এলাকায় মোট ১৬১টি বুথ রয়েছে। সেই বুথের নিরাপত্তার জন্য দু কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান এসেছে বলে জানা গেছে। এর আগে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আর আজ সকালে দু কোম্পানি মোট তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: রক্তাক্ত খানাকুল! মাথা ফাটল বিজেপি সমর্থকের, পুকুরে ব্যালট বক্স

    Panchayat Vote: রক্তাক্ত খানাকুল! মাথা ফাটল বিজেপি সমর্থকের, পুকুরে ব্যালট বক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিপিএমের আমল থেকেই আরামবাগের ভোটের চর্চা রাজ্যজুড়ে হতো। তৎকালীন সিপিএম সাংসদ অনিল বসুর জমানায় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, লাগামছাড়া সন্ত্রাসে ভোট হয়না আরামবাগে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরেও বিন্দুমাত্র কমেনি সন্ত্রাস। আরামবাগ আছে আরামবাগেই। ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে খানাকুলে দেখা গেল সন্ত্রাসের চিত্র। বিজেপির অভিযোগ কোথাও বুথ দখল তো কোথাও তাদের ভোটারদের (Panchayat Vote) মারধর করেছে তৃণমূল। আবার কোথাও ব্যালট বক্স উদ্ধার হল পুকুর থেকে। আরামবাগের ধামসা এলাকায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে গ্রামবাসীরা পুকুরে ব্যালট বক্স ফেলে দেয়। সবমিলিয়ে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন দেখল রাজ্যবাসী।

    সন্ত্রাসের খণ্ডচিত্র

    গোঘাটের বদনগঞ্জের ১৪-১৫ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আরামবাগে নির্দল প্রার্থী জাহানারা বেগমের এজেন্টকে গুলি করার অভিযোগ শাসকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরাণ্ডি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমাসা ২৭৩ বুথে। ঘটনায় এলাকায়  ব্যাপক উত্তেজনা। গুলিবিদ্ধ ওই এজেন্টের নাম কায়মুদ্দিন মল্লিক। বুথে যাওয়ার পথে গুলি করে বলে অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার ভোটের (Panchayat Vote) আগের রাত থেকেই খানাকুলের হরিশ্চক এলাকায় রাতভর উত্তেজনা, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ, এলাকায় ঢুকলেই নজরে পড়ছে ইটবৃষ্টির চিহ্ন। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমুল সমর্থকদের দাবি, মদ্যপ হয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি। রাতভর তান্ডব চললেও এলাকায় পুলিশের দেখা মেলেনি । অন্যদিকে খানাকুল ১ ব্লকের ঠাকুরানিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০,৭২ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। ঘটনা জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভোট দান বন্ধ থাকে, এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আরামবাগ ব্লকের গড়বাড়িতে ব্যাপক উত্তেজনা। তৃণমূলের যুব সভাপতি পলাশ রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। খানাকুল ১নং ব্লকের শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬৪ এবং ১৬৮ নং বুথে দফায় দফায় উত্তেজনা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে জেরে ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা (Panchayat Vote)।

    বিজেপি সমর্থকরা কী বলছেন?

    খানাকুলের বিজেপি সমর্থক দিপালী দাস বলেন, ‘‘ভোট কেন্দ্রে সকালে পৌঁছেছিলাম নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করব বলে, কিন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যাওয়া মাত্রই বাধা দেয়, বলে ভোট হয়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে হুমকি দিতে থাকে।’’ অন্যদিকে অপর এক বিজেপি সমর্থক মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া এবং তাঁর স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া বলেন, ‘‘আমরা ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখনই তৃণমূল লাঠিসোঁটা, বাঁশ নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।’’ সবমিলিয়ে খানাকুল দেখল রক্তাক্ত ভোট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share