Author: user

  • Balurghat: ত্রিশূল দিয়ে ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ নাতির বিরুদ্ধে, কেন জানেন?

    Balurghat: ত্রিশূল দিয়ে ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ নাতির বিরুদ্ধে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুমাকে খুন করার অভিযোগ উঠল নাতির বিরুদ্ধে। পরে, নিজেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করল অভিযুক্ত নাতি। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শোবরা শ্যামপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুশীলা বর্মন (৫১)। আর অভিযুক্ত যুবকের নাম নয়ন বর্মন। সে বর্তমানে বালুরঘাট (Balurghat) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকলেও পরিবারের কেউই তার সঙ্গে দেখা করতে যায়নি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, হাসপাতালে পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক। সুস্থ হলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বালুরঘাট ব্লকের শ্যামপুর এলাকার  সুশীলাদেবীর স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ছেলে অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। পুত্রবধূ অন্যত্র সংসার পেতেছেন। ছোটবেলা থেকে তাই এক নাতি ও নাতনিকে নিজের সন্তানের মতো করেই মানুষ করেছেন সুশীলাদেবী। বেশ কয়েক বছর আগে নাতি-নাতনির বিয়েও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু নাতি নয়ন বর্মন প্রায় নিয়মিত মদ খেয়ে এসে বাড়িতে অশান্তি করে বলে অভিযোগ। ৪ মে রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে নয়ন তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। নাতবউকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ঠাকুমা। আর ওই সময়ই পাশের মন্দির থেকে ত্রিশূল তুলে এনে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। পরে, মেঝেতে ফেলে বেধড়ক মারধর চলে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ মে সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত নয়ন বর্মন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজর আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট (Balurghat) জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

    কী বললেন অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    অভিযুক্ত যুবকের বোন সনেকা বর্মন শনিবারই দাদার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন তিনি  বলেন, দাদা মদ্যপ অবস্থায় মাঝে মাঝেই আমার বউদি ও ঠাকুমাকে মারধর করত। ঘটনার দিন রাতে দাদা বাড়িতে এসে বউদিকে মারছিল। সেই সময় আমার ঠাকুমা প্রতিবাদ করলে ঠাকুমাকেই ত্রিশূল দিয়ে হামলা চালায় দাদা। যার জেরে ঠাকুমার মৃত্যু হয়েছে। আমি  দাদার কঠোর শাস্তি চাই। তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। শুনেছি, সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা দেখতে যাইনি। যাবও না। অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী আশা রায় বলেন, খুব ভালো মানুষ ছিলেন ঠাকুমা। তিনিই কষ্ট করে মানুষ করলেন, আর তাঁকেই যদি ও মেরে ফেলতে পারে, তাহলে তো সকলকেই মেরে ফেলতে পারে। তাই আমি চাই, ও যেন সারাজীবন জেলেই থাকে। স্বামীর জন্য একটুও আফশোস হবে না আমার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kohli and Ganguly: ম্যাচের পর করমর্দন সৌরভ-কোহলির! সম্পর্কের বরফ কি আদৌ গলবে? 

    Kohli and Ganguly: ম্যাচের পর করমর্দন সৌরভ-কোহলির! সম্পর্কের বরফ কি আদৌ গলবে? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ-কোহলির (Kohli and Ganguly) সম্পর্কের বরফ কি গললো শনিবার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে। শনিবার ফের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও RCB, দিল্লির ঘরের মাঠে। ম্যাচের পর দুই দলের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখা গেল বিরাট কোহলি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Kohli and Ganguly) একে অপরের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলালেন। শুধু হাত মেলানোই নয়, কাঁধে হাত দিয়ে কিছু বলতেও দেখা যায়। অর্থাৎ, প্রায় একমাস আগে যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল, সেটা এবার বদলে গেল। ক্রীড়াপ্রেমীরা এবার আশাবাদী, গম্ভীরের সঙ্গেও একইভাবে সম্পর্কের উন্নতি হবে কোহলির। তবে কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বারবার সিনিয়রদের সঙ্গে বিতর্কে কেন জড়াচ্ছেন কোহলি? এক্ষেত্রে তাঁরা উদাহরণ দিচ্ছেন কোহলির পূর্বসূরি মহেন্দ্র সিং ধোনির। যিনি দেশকে তিন রকমের ক্রিকেটে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি কখনও বিতর্কে জড়াননি। প্রসঙ্গত,  ১ মে লখনউয়ের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ চলাকালীন, লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত নানা রকমের অঙ্গভঙ্গি করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভালভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেছিলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে এসেছিলেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে গিয়েছিল।  

    চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ঘটনা…

    প্রসঙ্গত একমাস আগে ১৫ এপ্রিল চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচের পর আলোচনায় উঠে আসে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই প্রাক্তন অধিনায়কের মধ্যে সম্পর্ক। দেখা যায় ম্যাচের পর করমর্দনের সময় বিরাট ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Kohli and Ganguly) হাত মেলাননি একে অপরের সঙ্গে। এই নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। এরপর একে অপরকে ইন্সটাগ্রাম থেকে আনফলো করে দেন। তবে শনিবারের পর একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করবেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! অনুব্রত মেয়ের মুখোমুখি হলেন সেই তিহাড় জেলে

    Anubrata Mondal: ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! অনুব্রত মেয়ের মুখোমুখি হলেন সেই তিহাড় জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হয়েছিলেন গত বছরের অগাস্ট মাসে। চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রেফতার হন কন্যা সুকন্যা। সূত্রের খবর, ২৬ এপ্রিল কন্যার গ্রেফতারির খবর শুনেই ভেঙে পড়েন অনুব্রত। জানা গেছে, ইডি অফিসারদের কেষ্ট বলেন, শেষ অবধি মেয়েকেও গ্রেফতার করলেন? তখনই মেয়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানান কেষ্ট। শনিবার বাবা-মেয়ের দেখা হল, তবে তিহাড় জেলে।

    আরও পড়ুন: দুমাসও বিয়ে হয়নি! রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাংলার সিদ্ধান্তর

    বাবা মেয়ের দেখা তিহাড়ে

    জানা গেছে, এদিন দেখা হওয়ার সময় বাবা-মেয়ে দুজনেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কথা বলার সময়সীমাও বেঁধে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। মোট ১৫ মিনিট কথা হয় দুজনের। প্রসঙ্গত, জেলে ৬ নম্বর মহিলা সেলে রয়েছেন সুকন্যা, আর কেষ্ট রয়েছেন তার পরের ৭ নম্বর সেলে। একই জেলে থাকলেও গ্রেফতারির পর থেকে এতদিন পর্যন্ত বাবা বা-মেয়ের দেখা বা কথা কিছুই হয়নি। বৃহস্পতিবারই আদালতে যখন কেষ্ট মন্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই জানা যায়, শনিবার তাঁর সঙ্গে দেখা হবে সুকন্যার। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দেখা করব। ও তো আমার মেয়ে। একশোবার দেখা করব।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    সুকন্যার জামিনের আবেদন

    অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় জামিনের আবেদন করলেন কেষ্ট কন্যা। জানা গিয়েছে, তাঁর আইনজীবী অমিত কুমার এদিন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সুকন্যার জামিনের আবেদন করেন। ৩১ বছরের কেষ্টকন্যার জামিনের আবেদনে তাঁর আইনজীবী শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন। জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে ১২ মে। শোনা যাচ্ছে, সুকন্যার জামিনের বিরেধিতা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। কারণ তদন্তকারী অফিসারদের যুক্তি হল, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গরু পাচার সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেন নিজেই দেখাশোনা করতেন সুকন্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রিয়তমার কাছে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন কাশ্মীরে নিহত বাংলার জওয়ান

    Army: প্রিয়তমার কাছে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন কাশ্মীরে নিহত বাংলার জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে মৃতদেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তি এলাকা। গ্রামের গর্ব শহিদ সেনা (Army) জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে রবিবার সকাল থেকেই ব্যস্ত পাহাড়ি এই গ্রাম। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। কারও মুখে কথা নেই। সবার দু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি হামলায় নিহত সেনা (Army) জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রী প্রায় দুমাস আগে বিয়ে করেছেন। সংসার গোছানোর আগেই ভেঙে গেল। স্বামীর শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন স্ত্রী প্রজ্ঞাদেবী। আর ছেলের মৃতদেহ আঁকড়ে কেঁদে চলেছেন বাবা খরকাবাহাদুর ছেত্রী ও  মা দেওকুমারী দেবী।

    কাঁদছে গোটা গ্রাম

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল বিয়ের পর সবাইকে হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত। পৌঁছে ফোন করে বাড়ির সকলের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। কাশ্মীরের রিজৌরি সীমান্তে অভিযানে যাওয়ার আগে পর্যন্তও ফোনে কথা  হয়েছিল স্ত্রী ও পরিবারের সকলের সঙ্গে। শেষ ফোনে জানিয়েছিলেন, অভিযান থেকে ফিরে শনিবার ফোন করবেন। একদিন আগেই তাঁর ইউনিট থেকে ফোন আসে দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তির ছেত্রীবাড়িতে। কিন্তু সেই ফোনের অপরপ্রান্তে সিদ্ধান্তের গলা শোনা যায়নি। সেনা (Army) দফতরের এক আধিকারিকের কন্ঠে ভেসে আসে সেই মর্মান্তিক সংবাদ, জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছেন ২৫ বছরের তরতাজা জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রী। শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে রাতে কিজোমাবস্তিতে সিদ্ধান্তের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছতে গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। গ্রামের গর্ব সিদ্ধান্তকে শেষবারের জন্য একটু দেখা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই সেই শোক মিছিল ক্রমশ লম্বা হতে শুরু করে। শুধু কিজোমাবস্তিই নয়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশ এলাকা থেকেও আসেন বহু মানুষ।

    কী বললেন নিহত সেনা (Army)  জওয়ানের পরিবারের লোকজন?

    সিদ্ধান্তের জামাইবাবু বিক্রম থাপা বলেন, এর আগেও সিদ্ধান্ত বহুবার অভিযানে গিয়েছে। সফল হয়ে ফিরেই আমাদের সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। দুমাস আগে বিয়ে হয়েছিল। সবার সঙ্গে মিশে হাসি-ঠাট্টা করে গত ১৪ এপ্রিল কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বলেছিল, মাসখানেক বাদে আবার ফিরে আসবে। সেই আশাতেই আমরা ছিলাম। আর সদ্য বিবাহিতা প্রজ্ঞা এক বুক স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর প্রত্যাশায় বসেছিলেন। সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। সিদ্ধান্তের দিদি চন্দ্রকলা ছেত্রী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমার ভাই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এ তো আমাদের গর্ব। কিন্তু এত অল্প বয়সে, সদ্য সংসার পাতার পরপর এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল শেষকৃত্য

    শনিবার বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে কফিনবন্দি হয়ে সিদ্ধান্তের দেহ পৌঁছতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও সেনা (Army) বিভাগের তরফে গান স্যালুট দিয়ে সিদ্ধান্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর কফিনবন্দি দেহ রওনা হয় পাহাড়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তির উদ্দেশে। রাতে মৃতদেহ পৌঁছতেই শোকস্তব্ধ গ্রাম কান্নায় ডুকরে ওঠে। সিদ্ধান্তের বাবা খরকাবাহাদুর, মা দেওকুমারী দেবী সারা রাত ছেলের কফিনবন্দি দেহ আগলে বসেছিলেন। এদিন সকালেও তাঁদের সেখান থেকে সরানো যায়নি। এদিকে সেনা (Army) ও জেলা প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই চিরতরে হারিয়ে যাবে সিদ্ধান্ত। গান স্যালুট, তোপধ্বনি এই পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ছড়িয়ে দেবে শেষ শোকবার্তা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narad Jayanti: জানেন কি প্রাচীন ভারতে বার্তাবাহক বা সাংবাদিকতার কাজ করতেন নারদ মুনি?

    Narad Jayanti: জানেন কি প্রাচীন ভারতে বার্তাবাহক বা সাংবাদিকতার কাজ করতেন নারদ মুনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে হিন্দু সমাজে। ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণভাব এটাই সনাতন ধর্মের চিরাচরিত প্রথা। হিমালয়ের উপত্যকা সারা ভারতবর্ষের সাধু সন্ন্যাসীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান। সাধনার উপযুক্ত স্থান। তাই অনেকে হিমালয় উপত্যকাকে বলেন দেবভূমি। ঋষি অষ্টবক্র, দেবর্ষি নারদ, মহর্ষি ব্যাস, পরশুরাম, গুরু গোরক্ষনাথ আরও অনেকেই এই তালিকায় আছেন।

    শনিবার ছিল নারদ জয়ন্তী (Narad Jayanti) 

    হিন্দু সংস্কৃতিতে দেবর্ষি নারদের (Narad Jayanti) একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। যদি আমরা ভারতীয় সাহিত্যগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো যে অনেক শাস্ত্র এবং পুরাণে দেবর্ষি নারদের (Narad Jayanti) উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ মতে, তিনি হলেন ব্রহ্মার পুত্র। ভগবান বিষ্ণুর একজন পরম ভক্ত এবং দেবগুরু বৃহস্পতির শিষ্য। পুরাণ অনুযায়ী তিনি একজন বার্তাবাহক এবং যিনি জন সংযোগ করে থাকেন। প্রাচীন আমলে ভাব এবং তথ্যের আদান-প্রদান করতেন। বর্তমানকালে আমরা যাকে সাংবাদিকতা বলে থাকি। দেবর্ষি নারদ (Narad Jayanti) একজন পন্ডিত ছিলেন, সঙ্গীতের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ ছিল। তিনি রহস্য বিদ্যা সম্পর্কেও আগ্রহী ছিলেন বলে জানা যায়। ৮৪টি ভক্তি সূত্র তিনি রচনা করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ এই নারদ ভক্তি সূত্রের ওপর ভাষ্যও দিয়েছেন। আমাদের হিন্দু ধর্মে আলাদা আলাদা দেবতাকে আমরা এক বিশেষ বিশেষ কাজের দেবতা হিসেবে মান্যতা দিয়েছি। বিদ্যারস দেবী সরস্বতী, ধনের দেবী লক্ষ্মী, শক্তির জন্য আমরা উপাসনা করে থাকি হনুমানজি এবং মা দুর্গার। ঠিক একইভাবে সম্পাদনার কাজে নারদ মুনিকে স্মরণ করা উচিত। কারণ তিনিই ছিলেন বার্তাবাহক বা প্রাচীন ভারতের সাংবাদিক। ভারতের প্রথম হিন্দি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘উদন্ত মারটেন্ড’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ৩০ মে ১৮২৬ সালে। ঘটনাক্রমে, সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় তিথি যা নারদজয়ন্তী নামে প্রসিদ্ধ। বার্তাবাহক হিসেবে দেবতা-মানব-অসুর এই তিনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতেন তিনি।

    নারদ পুরাণ, নারদ স্মৃতি, নারদ ভক্তি সূত্র এই সমস্ত কিছু পড়লে জানা যাবে সাংবাদিকতার নীতি এবং পদ্ধতি। দৈত্য থেকে মানব, মানব থেকে দেবতা প্রত্যেকের দরবারেই মহর্ষি নারদকে যেতে হতো খবর সংগ্রহের জন্য। এবং তাঁর কাজ ছিল, যে বার্তা তিনি পেতেন এবং যাঁর উদ্দেশ্যে পেতেন সেটা সেই নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত পৌঁছানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও দুই তৃণমূল কর্মী

    BJP: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও দুই তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে নতুন করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর আগে মিলন ভৌমিক নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    ধৃতদের কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হল?

    কয়েকদিন আগে বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে স্ত্রী, সন্তানের সামনে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই  খুনের ঘটনায় তপ্ত হয়ে ওঠে ময়না এলাকা। বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ময়নায় এসে ১২ ঘণ্টা বনধ ঘোষণা করেছিলেন। পরে, শুভেন্দুর নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও হয়। এরপরই পুলিশ মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করে। তবে, বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারমধ্যে একজন গ্রেফতার হওয়ায় বিজেপি (BJP) কর্মীরা আন্দোলনের হুমকি দেয়। এরইমধ্যে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনেরই বাড়ি ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামাহাল গ্রামে। তারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে তারা বাগচায় একটি ইটভাটাতে লুকিয়ে ছিল। শনিবারই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে গ্রেফতার করে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা খুন হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি ব্যক্তিগত কারণে বা বিজেপি-র দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিন আরও দুজন গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সংগ্রাম দলুই বলেন, তৃণমূল কোনও দুর্নীতি বা খুনিদের সমর্থন করে না। কেউ দোষ করে থাকলে তার সাজা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব ?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US Firing: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা! ভিড়ে ঠাসা শপিং মলে বন্দুকবাজের গুলিতে হত শিশু সহ ৯

    US Firing: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা! ভিড়ে ঠাসা শপিং মলে বন্দুকবাজের গুলিতে হত শিশু সহ ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা (US Firing)। শপিং মলে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বন্দুকবাজও। টেক্সাসের (Texas) ঘটনায় চাঞ্চল্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে টেক্সাসের ডালাসে একটি শপিং মলে ব্যাপক ভিড় ছিল। সপ্তাহান্তে বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন ক্রেতারা। আচমকাই কান ফাটানো গুলির আওয়াজ। ভয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন ক্রেতারা। কান্না জুড়ে দেন শিশুরা। ব্যাপক ভিড় হওয়ায় এদিন শপিং মলটিতে ছিল পুলিশও।

    রক্তাক্ত আমেরিকা (US Firing)…

    পুলিশের দাবি, বন্দুকবাজ ওই যুবকের গুলিতে ১৬ জন জখম হন। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে বছর পাঁচেকের এক শিশুও। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আরও ৭ জন। দমকল সূত্রে খবর, মৃতদের (US Firing) বয়স ৫ থেকে ৬১ বছর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দমকলের আশঙ্কা।

    টেক্সাস পুলিশ বিভাগের প্রধান ব্রায়ান হার্ভি জানান, গুলি চালানোর খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শপিং মলে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে আনা হয়। আহতদের কয়েকজনকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বন্দুকবাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজের। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জানার চেষ্টা চলছে হামলার কারণও। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট গণহত্যার এই ঘটনাকে অভাবনীয় বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: নিভল অশান্তির আগুন, শান্তি ফিরল মণিপুরে, নিট ইউজি ২০২৩ স্থগিত

    আমেরিকায় (US Firing) যে কেউই নিজের কাছে বন্দুক রাখতে পারেন। তাই প্রায়ই বন্দুকবাজের হামলা খবর প্রকাশ্যে আসে। কখনও বন্দুকবাজ হামলা চালায় স্কুলে, কখনও বা শপিং মলে। জনবহুল বিভিন্ন স্থানেও হামলা চালায় বন্দুকবাজরা। তাদের নিশানা থেকে বাদ যায় না শিশু কিংবা বৃদ্ধ। কেবল টেক্সাসই নয়, আমেরিকার অন্যত্রও কানে আসে এই ঘটনার খবর। তাই গুলিবিদ্ধ হয়ে এ দেশে মৃত্যুর ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি-ই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪,  স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    Manipur Clash: ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে মণিপুরে, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫৪, স্থগিত নিট ইউজি ২০২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন প্রচুর মানুষ। রিমস এবং জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

    উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Clash)…

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার জওয়ান। হিংসা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের পাঠানো হয়েছে সেনা ক্যাম্পে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করেছে। তাঁর দাবি, চূড়াচাঁদপুর, কাংপোকপি, মোরে ও কাকচিংয়ের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, শনিবার দোকানপাট ও বাজার খুলেছে। মানুষ কেনাকাটা (Manipur Clash) করেছেন। রাস্তায় বেরিয়েছে যানবাহন। এদিনই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম আইয়োবি উত্তেজনা কমাতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে সহমত পোষণ করেছেন।

    এদিকে, মণিপুরে যাঁদের নিট ইউজি ২০২৩ এর সিট পড়েছিল, তাঁদের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতির কারণেই স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। হিংসার কারণে পরীক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন না বলেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা। পাহাড়ে থাকা মেইতেই (Manipur Clash) এবং ইম্ফল উপত্যকায় থাকা কুকিদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হিংসাদীর্ণ এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত কয়েক দিনে আটটি পুলিশ পোস্ট থেকে যেসব অস্ত্র লুঠ হয়েছে, সেগুলি ফেরত দিতেও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার সরকারকে ‘টাইট’ দেওয়ার পথ বাতলালেন ডিএ আন্দোলনকারীদের, কী বললেন শুভেন্দু?

    পরিস্থিতি যাতে ফের হাতের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী। আরও ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। গত কয়েক দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায়ই সংখ্যা গরিষ্ঠ। এই মেইতেই গোষ্ঠীর তফশিলি জনজাতি তকমার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার পরেই সে রাজ্যে হিংসার সূত্রপাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা সফরে আসছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই কর্মসূচি সফল করতে শনিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়। জেলা নেতৃত্বের যখন বৈঠক চলছে, তখন এই জেলার মোহনপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুনে জ্বলছে। দলীয় কোন্দল এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে  রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলেন তৃণমূলের (TMC) এক গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

     মোহনপুর ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির সঙ্গে সিয়ালশাই-২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বশরুল আলি,  মাজেদ মল্লিকের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন আগে মানিকবাবুর হাত ধরে বেশ কয়েকজন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই নব্য তৃণমূলীরা (TMC)  এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত মাজেদসাহেবরা তার প্রতিবাদও করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে শনিবার মাজেদসাহেবের এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে মানিকবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করা কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন আঁতলা- মোহনপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। জখম তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য খলিল মল্লিক বলেন, আমরা বহুদিন ধরে দল করি। এখন নব্য তৃণমূলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আমাদের দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

     পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি । তিনি বলেন, কয়েকটি ব্লকের মধ্যে ওই মোহনপুরে দলীয় নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মিটিয়ে ফেলা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

     বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, তৃণমূলের দুই পক্ষ দেখাতে চাইছে কাদের কাছে কত বোমা-বন্দুক আছে, তারই লড়াই চলছে । পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, তৃণমূলের (TMC) কোন্দল তত প্রকাশ্যে আসবে। এসব করে ওরা সাধারণ মানুষের থেকে আরও দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Sing: রাজৌরিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং! কী বার্তা দিলেন?

    Rajnath Sing: রাজৌরিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং! কী বার্তা দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই রাজৌরির কান্দির জঙ্গলে চলছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে সেখানে নিহত হয়েছেন পাঁচজন জওয়ান। শুক্রবার সকালে গোপন সূত্রে সেনা খবর পায় যে, রাজৌরির কান্দির জঙ্গলের গুহাতে আত্মগোপন করে রয়েছে ৮ থেকে ৯ জনের একটি জঙ্গি দল। অভিযানের সময় জঙ্গিদের ছোড়া বোমার অভিঘাতে মারা যান দুজন। গুরুতর জখম চারজনকে উধমপুর সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে আরও তিনজন মারা যান। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার সিদ্ধান্ত ছেত্রী। প্রসঙ্গত, জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আন্তজার্তিক মহলে ভারতের সম্মানকে ক্ষুন্ন করতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গীরা এই সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজৌরিতে শনিবার পৌঁছান দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing)। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এতে তিনি সরাসরি সন্ত্রাসবাদী এবং পাকিস্তানকে তিনি বার্তা দিতে চাইলেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন: দুমাসও বিয়ে হয়নি! রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাংলার সিদ্ধান্তর

    লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে এদিন রাজৌরি পৌঁছান রাজনাথ সিং (Rajnath Sing)

    শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং সেনাবাহিনীর প্রধান মনোজ পান্ডের সঙ্গে রাজৌরিতে পৌঁছান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing)। কমান্ডিং-ইন-চিফ নর্দান কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, কান্দি জঙ্গলের জঙ্গি হামলা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেন রাজনাথ সিংকে (Rajnath Sing)। সূত্র মারফত জানা গেছে, রাজনাথ সিং (Rajnath Sing) সেনা সেনা আধিকারিকদের বার্তা দিয়েছেন, যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের জওয়ানদের হত্যা করেছে তাদেরকে খুব দ্রুত হত্যা করতে হবে যে কোনও মূল্যে। পাশাপাশি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও তিনি তোপ দেগে তিনি বলেন, যেকোনও মূল্যে জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখা হবে।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share