Author: user

  • Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ষষ্ঠ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ‘খেলা হবে, কঠিন খেলা হবে’-এই স্লোগান দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড (Post Poll Violence) চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদ, স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, পিতা হারানো সন্তানের বেদনা আপামর বঙ্গবাসীর কাছে ছিল জাতীয় বিভীষিকা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। না হলে শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন বলে এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়!

    কে এই অরূপ রুইদাস?

    অরূপ রুইদাস ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের তফশিলি সমাজের মানুষ। বাবা গণেশ রুইদাস এবং মা কাঞ্চন রুইদাস দুজনই বৃদ্ধ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন অরূপ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কলকাতায় একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন অরূপ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ গিয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়েছিলেন। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হিসাবেও বসেছিলেন অরূপ। আর তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাঁকে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

    কীভাবে হল নির্মম হত্যা!

    পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ ৩ মে সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়িতে এসে ৫-৬ জন প্রথমে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তারপর ৪ মে ঠিক দুপরবেলা ‘খেলা হবে খেলা হবে/ ঠিক ঠিক খেলা হবে’ ডিজে গান আর অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু হয়। দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি তখনও, এমন সময় প্রায় ১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপরই অরূপের গায়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় একটা লাল গামছা বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় খামারের দিকে। এরপর আর অরূপকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মে সকালে বর্ধমানের বল্লভপুর এবং দিগল গ্রামের মাঝের এক বটগাছে ঝুলন্ত দেহ (Post Poll Violence) খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহ শনাক্ত করে। বৃদ্ধ নিরুপায় বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    একইসঙ্গে চলেছিল লুটপাট 

    সেই হামলা ছিল ভয়াবহ। পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, মাটির ঘরের সিমেন্টের সব চাল ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে পায়খানা, রান্নাঘরের গেট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। লোহার করাত দিয়ে বাঁশ-বেত কেটে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির চাল, ডাল, শাক-সবজি, গচ্ছিত টাকা, গয়না সব লুট করে নিয়ে চলে যায় তারা। হত্যার (Post Poll Violence) পর অরূপের কাকা প্রায় ৬ মাস ঘরছাড়া ছিলেন।

    পুলিশ উল্টে বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করল

    পরিবারের অভিযোগ, খুনের (Post Poll Violence) বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি। উল্টে পুলিশ বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে বলে অভিযোগ মায়ের। পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছিল। পুলিশের প্রতি পরিবারের কোনও আস্থাই নেই বলে পরিবারের লোকজন সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন।

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    নির্যাতনের সময় এবং পরে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে বলে অভিযোগ। পরিবার বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করে। চাপে পড়ে পুলিশ বাড়িতে একজন রক্ষী নিযুক্ত করে। মায়ের দাবি, প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল শেখ সইফুদ্দিন, শেখ হামিদ, শেখ নাসের, শেখ কালু, ফকির আহম্মদ শেখ, শেখ বাবু। এই খুনের পিছনে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই খুনের (Post Poll Violence) তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে হবে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩ : ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে! 

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতের কর্মবিরতি ১১ দিনে পড়ল। আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতির ফলে বিচার প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারের লোকদের যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গেট বন্ধ রেখে আইনজীবীরা আন্দোলন করছেন। এর আগে একাধিকবার মিছিলও করেছেন তাঁরা। যে দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের থেকে এখনও না পাওয়ায় কর্মবিরতি জারি রেখেছে।

    কেন আন্দোলনে আইনজীবীরা?

    সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন কোর্ট বারাসত আদালত থেকে বারাকপুর (Barrackpore) কোর্টে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া পকসো আদালতে স্পেশাল বিচারক, এনডিপিএস-এর জন্য পৃথক কোর্ট, ক্যান্টিন, বিচার প্রার্থীর বাড়ির লোকদের জন্য শৌচালয়, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ, আদালত চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আইনজীবীরা এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে টাইপিস্ট, ল ক্লার্করাও আন্দোলনের সামিল হয়েছেন।

    হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল?

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতের অবস্থা দেখতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জোনাল জাজ অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যান। তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আইনজীবীদের দাবি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জোনাল জাজ জানিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সভা ডেকে সকলকে অবহিত করেন।

    কী বললেন বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি?

    বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত রায় বলেন, আমরা যে দাবির ভিত্তিতে কর্মবিরতি শুরু করেছি তা লিখিত আকারে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছি। এদিনের বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, এখনও কোনও আশ্বাস পাইনি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এখনই পিছু হটছি না। আমরা শনিবার পর্যন্ত কর্মবিরতি চালাব। ওইদিন আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্র, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারের চূড়ান্ত কালা অধ্যায় ছিল ভোট-পরবর্তী মাসগুলি। এমনটাই মনে করেন বিরোধীরা। তা না হলে কৃষ্ণনগরের অত্যন্ত সাধারণ এবং সামান্য দিনমজুর পলাশ মণ্ডলকে কেবলমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করা এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়!

    কে এই পলাশ মণ্ডল? কীভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে?

    পলাশ মণ্ডলের জন্ম ১৯৭৬ সালের ২ জুন এবং মৃত্যু হয় ২০২১ সালের ১৪ জুন। বাড়ি কৃষ্ণনগরের মনীন্দ্রপল্লি, বারইহুদায়। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। ঘটনার একদিন আগে রাত এগারোটা নাগাদ আচমকা হামলা করে খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে দরজায় প্রথমে আঘাত করে। তারপর খুলতে না পেরে উপরের টিন কেটে রড, দা, কাঁচি, চাকু, তলোয়ার ইত্যাদি নিয়ে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। দলে তারা ছিল প্রায় ২০০ জন। বাড়িতে টিভি, বাসনপত্র, শাড়ি, গয়না আসবাবপত্র লুট করে গুন্ডারা। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে কোপ দেয়। ভয়ে পলাশ নিজের জীবন বাঁচাতে ঘরের খাটের নীচে আশ্রয় নেন। কিন্তু হিংস্র গুন্ডারা ঘরে ঢুকে রড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে মারতে খাটের নিচ থেকে বের করে তাকে। এরপর ঘর থেকে বের করে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে এবং পরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে কানের কাছে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার। উল্লেখ্য, সবটাই পলাশবাবুর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীর সামনে ঘটে। স্ত্রী শেফালি মণ্ডল কৃষ্ণনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
    এত নির্মমভাবে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় যে আশপাশের মানুষ বাঁচানোর সাহস করেনি। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পলাশবাবুর দোষ একটাই ছিল, উনি বিজেপির পতাকা-পোস্টার লাগাতেন এবং বিজেপির মিটিং-মিছিলে যেতেন। বাড়ির দেওয়ালে তারপরেও ছিল রক্তের দাগ। দরজায় ছিল দা দিয়ে বড় বড় কোপের দাগ। পলাশবাবু গেঞ্জির রিপ কাটার কাজ করতেন। ঘটনার দিন খুন করে আততায়ীরা রিপকাটার মেশিনটিও তুলে নিয়ে চলে যায়।

    পরিবার ঘরছাড়া, দিন কেটেছে অসহায় অবস্থায়

    পরিবারে উপার্জনের একটা বড় দায়িত্ব ছিল পলাশের উপর। পলাশবাবুর মেয়ে পম্পা মণ্ডল তখন দশম ক্লাসের ছাত্রী। শক্তিনগর গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করত। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী কলকাতায় গিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। পলাশবাবুর মায়ের কথা সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁরা পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। দেশ ছেড়ে এসে ছেলেকে এইভাবে মরতে হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। শুধু খুন (Post Poll Violence) করেই আততায়ীরা ক্ষান্ত হয়নি। এলাকায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে অপরাধীদের আত্মীয়রা প্রভাতী দেবনাথ, মাম্পী দেবনাথ, মান্তু দেবনাথ রোজ হুমকি দিয়ে যেত বলে অভিযোগ। গালিগালাজ এবং লোক লাগিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি চলেছিল প্রতিনিয়ত।

    সিবিআই তদন্ত চলছে, বিচার সময়ের অপেক্ষা

    বর্তমানে ওই হত্যার (Post Poll Violence) তদন্ত সিবিআই করছে। প্রধান অভিযুক্ত হল আজাহার শেখ, কুষাই দাস, পাপ্পু মুখার্জি, বলরাম দাস, অপু দেব, বাবু সোনা মুখার্জি, আনন্দ সরকার, হারান চাকি, হুদা চাকি, অখিল ভৌমিক, সুরেষ পারসি, তাপস দেবনাথ। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তৎকালীন তৃণমূলের কাউন্সিলর নিত্য প্রামাণিকের পরোক্ষ ইন্ধন আছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তদন্ত এখনও চলছে। হত্যার বিচার এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩–৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Police Superintendent: তিনমাসের মধ্যে ফের পুলিশ সুপার বদল বীরভূমে! কাকে আনা হল ওই পদে?

    Police Superintendent: তিনমাসের মধ্যে ফের পুলিশ সুপার বদল বীরভূমে! কাকে আনা হল ওই পদে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনমাসে দুবার। বীরভূমে পুলিশ সুপার (Police Superintendent) বদল যেন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে শীঘ্রই বীরভূমে পা রাখবেন ‘যুবরাজ’ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল এখন স-কন্যা দিন কাটাচ্ছেন তিহার জেলে। এরকম একটা অবস্থায় ফের বদল করা হল জেলার পুলিশ সুপারকে। এতদিন এই পদে ছিলেন ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। এবার সেই পদে আসছেন রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। ভাস্করবাবুকে পাঠানো হল বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের দায়িত্ব দিয়ে। সেখানকারই পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।

    এখানে অনেকেই বেশিদিন স্থায়ী হননি

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গোটা রাজ্যের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে বরাবরই থাকে অনুব্রতর গড় বলে পরিচিত এই বীরভূম। এখানে সংঘর্ষ, বোমাবাজির মতো ঘটনা লেগেই থাকে। বিভিন্ন ঘটনায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হন বিরোধীরা। প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন পুলিশ সুপার (Police Superintendent) মিরাজ খালিদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশেই প্রশাসন ওই পদক্ষেপ করেছিল। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। উল্লেখ্য, বগটুইকাণ্ডের মতো সাড়া জাগানো ঘটনার পরও তাঁকে সরানো হয়নি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে সরিয়ে ওই পদে আনা হয় ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে। তারপর তিনমাসও কাটলো না। ফের বদল। 

    কেন ঘন ঘন পুলিশ সুপার বদল?

    এই জেলায় ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়া শ্যাম সিংহ দু বছরেরও বেশি সময় পুলিশ সুপার (Police Superintendent) পদে ছিলেন। কিন্তু তিনি যাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন, সেই কুণাল আগরওয়াল ওই পদে ছিলেন ভাস্করবাবুর মতোই, মাত্র চার মাস। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে এই জেলায় চার বছরে সাতবার পুলিশ সুপার বদলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে অনেকেই বলছেন, এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্করবাবুর ডিআইজি হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাই মাসেই তাঁর পদোন্নতি হতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তিনিই নাকি এই পদে থাকতে চাননি। যদিও অন্য সূত্র বলছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বদলি-পর্ব সেরে নিতে চাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল, নতুন সুপারকে এখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল করে তোলা, যাতে ভোটে কোনও অসুবিধা না হয়। অন্যদিকে, এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার পদের দায়িত্ব সামলেছেন ভাস্করবাবু। তাই নিজের চেনা জায়গাতেই কি তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল? সবকিছুই এখন ধোঁয়াশার মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা (West Bengal Road) হয়নি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে। লাল মাটির রাস্তা, তাও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশ পথ। পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও যা অযোগ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতাল যাওয়ার ২ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। 

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা (West Bengal Road) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির জেলা সফরের আগেই এবার রাস্তার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। এই গ্রামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ২০০১ সালে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেটাও লাল মাটির। তারপরে আজ পর্যন্ত একটা ইটও পড়েনি। এমনকী লালমাটিও নয়। যাওয়ার মতো অবস্থাই ছিল না। ক্লাবের ছেলেরা নিজেরা পয়সা খরচ করে গর্তগুলো বুজিয়েছে। এখান থেকে চাঁচল অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে হলে তুলসীহাট্টা হয়ে দশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অথচ এই রাস্তা ধরে গেলে সেটা মাত্র দু কিলোমিটার। দুপাশের জমিতে চাষবাস হয়। তাই পাট নিয়ে কেউ শহরে যাবে, তার কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতেও খুবই অসুবিধায় পড়ছে। নেতারা তো ভোট এলে বলে রাস্তা করে দেবো। কিন্তু এরকম যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমরা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেব না।  

    এখানেও রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত হওয়ায় সেখানে উন্নয়ন হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক সাফাই দিয়েছেন, এনআরজিএস প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার (West Bengal Road) কাজ শুরু করা যায়নি। তাই এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইসলামপুর শহরে মিটিং করলেও দলীয় বিধায়কের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি যুবরাজ। দিনভর অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি অপমানিতও হয়েছিলেন। তারপর অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিলেন না ইসলামপুরের এই বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী নিয়ে বৈঠক?

    সোমবার ইটাহারের দুর্গাপুর ফুটবল ময়দানে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সেখানে দলীয় পদাধিকারী ও জেলার সমস্ত বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। সাংগঠনিক বৈঠকে পঞ্চায়েতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকল বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অভিষেক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েও ছিলেন। শুধু ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে দলের মধ্যেই জোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের সভায় যাওয়ার জন্য করিমসাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু ইসলামপুর নয়, অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  কোনও জনসভাতে করিমসাহেব যোগ দেননি। এবার অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জেলা সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমাকে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টা দেখবার জন্য।  বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরা বিষয়টা মিটিয়ে নেব।”  যদিও এ বিষয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে দুই বন্ধু মিলে গঙ্গার ঘাটে স্নানে নেমেছিল। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে অন্য বন্ধু তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) লিচুবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী হয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম শুভম দে ( ১৮) এবং সুজল সাউ ( ১৭)। শুভমের বাড়ি নৈহাটির (Naihati) মক্রেশ্বর ঘাট রোডে। সে এবছর নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। নৈহাটির সঞ্জীব চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা সুজল। সে মহেন্দ্র হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তারা দুজনে খেলা করতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ওরা মাঠে খেলাও করে। পরে, তারা বঙ্কিমঘাটে আসে। সেখানে দুজনেই একসঙ্গে স্নান করতে নামে। সুজল একটু বেশি জলে গিয়ে স্নান করছিল। আর শুভম ঘাটের সামনের দিকে ছিল। আচমকা সুজল তলিয়ে যেতে থাকে। সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করতে থাকে। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে শুভম তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ঘাটের আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের দুজনের হদিশ মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একজন গঙ্গার অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল। আর সে ফিরতে পারেনি। অন্যজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এবং নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান যান। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু. তাদের আর হদিশ মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, গঙ্গার ঘাট সংস্কার না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গায় ড্রেজিং করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এই ঘাটের সংস্কার করার প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের যে হার্মাদরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করেছে, তারা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মতলায় ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করল বিজেপি (BJP)। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের উপর শাসক শিবিরের অত্যাচারের অভিযোগের কথা তুলে ধরলেন সুকান্ত। এদিন ট্যুইটেও ঝড় তোলেন তিনি। ২০২১ ভোট পরবর্তী হিংসার কথা স্মরণ করে তৃণমূল ও তার সঙ্গীদের রাজ্য থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান সুকান্ত।

    সুকান্তর ট্যুইট

    ট্যুইটে সুকান্ত দাবি করেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে বাংলার বিজেপি কর্মীরা দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে, তাঁদের কাজকে কুর্নিশ।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার কথাও বলেন তিনি।

    শুভেন্দুর দাবি

    তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল যা অত্যাচার করেছে, ব্রিটিশরাও করেনি।’ এদিন ‘সন্ত্রাস নিয়ে’ ফের বিরোধী দলনেতার নিশানায় শাসকদল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, আপনার চার-পাঁচ প্রজন্ম রাজ্য শাসন করবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। অত্যাচারীদের যেতেই হবে। আবার খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন। গত ১০-১২ দিনে ৩ জন বিজেপি নেতা-কর্মী খুন।’ শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে চম্বলের রাজত্বে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ময়নার (Moyna) বাকচায় বিজেপি নেতা খুন প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ময়নায় বনধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করাটাই কি ছিল এই রাজ্যের মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ? বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মে মাস জুড়ে রাজ্যজুড়ে যে হত্যালীলা চলেছে, তাতে এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। তাদের আরও অভিযোগ, একদিকে যখন একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তখন পুলিশ-প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ফলে নিরুপায় এবং অসহায় সাধারণের একমাত্র আশ্রয় ছিল সাংবিধানিক বিচার বিভাগ।

    মে মাসে ভোট-পরবর্তী হত্যালীলার খতিয়ান

    ২ মে ভোট গণনার সময় বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সোনারপুরের প্রতাপনগরে হারান অধিকারীকে বোমা মেরে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। জামদার বস গ্রামে গুলিতে খুন হন হারাধন রায়। সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার আনন্দে মত্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চাকদায় বিজেপি দাবি করে, তাদের কর্মী উত্তম ঘোষকে গুলি করে হত্যা করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। ফলাফল প্রকাশের পর আক্রমণ এবং হিংসা যে হয়েছে, একথা বার বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও বিবৃতি এবং এলাকা পরিদর্শন করে সেই সময় জানিয়েছিলেন।

    ৩ মে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের উলাগ্রামে খুন হন বিজেপি সদস্য মহম্মদ আলি। শীতলকুচিতে হত্যা করা হয় মানিক মৈত্রকে। মগরাহাটে খুন হন সৌরভ বর, বর্ধমানের রায়নায় খুন হন দুর্গাবালা বাগ, জগদ্দলে মৃত্যু হয় শোভারানী মণ্ডলের। ভাঙড়ে হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা একমাত্র বিরোধী দল করায় বল্লম, চাকু, তলোয়ার দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই সঙ্গে হাসানুজ্জামানের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পেটে লাথি মেরে গুরুতর জখম করে।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    ৪ মে বাঁকুড়ার ইন্দাসে খুন হন অরূপ রুইদাস। বুথে বিজেপির এজেন্ট হওয়াটাই তাঁর একমাত্র অন্যায় ছিল। একই দিনে দিনহাটায় খুন হন বিজেপি সমর্থক হারাধন রায়।  

    ৫ মে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় বিজেপি কর্মী রসিদুল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শ্রীপুরে বলরাম মাঝিকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মেদিনীপুরের সবংয়ের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মার্কণ্ডচক গ্রামের বিশ্বজিৎ মহেশ নির্মমভাবে খুন হন। ঝাড়গ্রাম কিষাণ মোর্চার জাম্বনির ভাডুয়া গ্রামের কিশোর মাণ্ডিকে খাটসুরা এলাকার মহুয়াচকের কাছে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। 

    এই মাসেই ৬ মে কোতুলপুরে কুশ ক্ষেত্রপাল, ৭ মে নলহাটিতে মনোজ জসওয়াল, ১০ মে সন্দেশখালিতে আস্তিক দাস, ১১ মে আমডাঙায় রঞ্জিত দাস, ১২ মে বারাসতে জ্যোৎস্না মল্লিক, ১৩ মে নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি, ১৬ মে নদিয়ার চাপড়ায় ধর্ম মণ্ডল, ২০ মে নির্মল মণ্ডল, ২৩ মে রাজারহাটে প্রসেনজিৎ দাস, ৩০ মে কোচবিহারের সিতাইয়ে অনিল বর্মনকে হত্যা করা হয়। এই নিরীহ মানুষগুলিকে হত্যা করার দায় কার, মানবাধিকার কর্মীরা সেই প্রশ্ন তুলছেন। বিরোধীরা এই হত্যার পিছনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদেরই দায়ী করছেন। প্রত্যেকটি কেস এখন সিবিআই তদন্তের অধীনে।  

    ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন! 

    বিভিন্ন সূত্রের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ভোট-পরবর্তী তিন-চার মাসে প্রায় ৬২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছিল সাধারণ নাগরিক সমাজ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গড়া বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ভোট পরবর্তী হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনেক কেসে সিবিআই লুক আউট নোটিস জারি করেছে। বর্তমানে ন্যায় বিচারের আশায় নিহতদের পরিবারগুলি দিন গুনছে। সেই বিচার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। (চলবে)

     

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haridevpur: পথের কাঁটা! পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মায়ের

    Haridevpur: পথের কাঁটা! পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে পথের কাঁটা মেয়ে। তাই পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বছর ষোলোর মেয়েকেই আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের (Haridevpur) মতিলাল গুপ্তা রোড এলাকায়। অভিযুক্ত মা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সোনালি চন্দ ও প্রসূন মান্না। ধৃত প্রেমিক ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল।

    মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সোনালির স্বামী কৌশিক চন্দ পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁদের একটি মেয়ে। মহিলার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য সমস্যা। ডিভোর্স না হলেও মহিলা মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন। কৌশিকবাবুর মৃত্যুর পর খাদ্য দফতরে চাকরি পান অভিযুক্ত মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বারাসতের পুলিশ লাইনের কনস্টেবল প্রসূন মান্নার সঙ্গে আলাপ হয় সোনালির। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে যায় সোনালির মেয়ে। মায়ের সঙ্গে তার এই নিয়ে ঝামেলাও হয় একাধিকবার। তাই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই মেয়েকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে মা। অভিযোগ, গতকাল ভোর ৪ টে নাগাদ ফ্ল্যাটে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। কোনওরকমে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে এসে প্রাণে বাঁচে মেয়েটি। পুলিশ-দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের কথোপকথন শুনতে পায় কিশোরী মেয়ে।

    আরও পড়ুুন: এনসিপি-র সভাপতি পদে ইস্তফা পাওয়ারের, উত্তরসূরি কে?

    মেয়ের দাবি

    পুলিশের কাছে ১৬ বছরের কিশোরী দাবি করে, বাথরুম থেকে কাউকে ফোন করছিল তার মা। মাকে সে ফোনে বলতে শোনে, “ঘরে আগুন লাগলেও মেয়ে বেঁচে গিয়েছে।” পরে মায়ের মোবাইল ঘেঁটে ওই কিশোরী জানতে পারে যে, মা প্রেমিকের কথামতো তাকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করছে। টেলিগ্রামে চ্যাট থেকে ওই স্কুল ছাত্রী জানতে পারে, তার মা প্রেমিকের কথামতো তাকে খুনের চেষ্টা করছে। এই সব চ্যাটের স্ক্রিনশট এবং সেগুলির প্রিন্টআউট নিয়ে এসে ওই কিশোরী হরিদেবপুর থানায় সোমবার দুপুরে অভিযোগ জানায়। তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। আর তাকে এই খুনের চেষ্টায় সাহায্য করার অভিযোগে চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিককেও। ধৃতদের জেরা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share