Category: বিনোদন

Get updates on Entertainment News Celebrities, Hollywood, Bollywood, Tollywood Movies, Web series, OTT from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ”, মোদির ডাকে তারকার মেলা

    PM Modi: “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ”, মোদির ডাকে তারকার মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে শুরু হল বিশ্বমানের সিনেসম্মেলন ‘ওয়েভস’ (WAVES)। বিশ্বের বিনোদুনিয়ার মানচিত্রে ভারতকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন যুগান্তকারী উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন অক্ষয় কুমার থেকে শাহরুখ খান। ‘ওয়ার্ল্ড অডিও-ভিডিও সামিট – ওয়েভস ২০২৫’ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বলিউড থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই সূচনা হল এই সামিটের। বিশ্বের ৯০টি দেশের প্রায় দশ হাজার ব্যক্তিত্বরা অংশ নিয়েছেন এই সম্মেলনে।

    অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা

    বলিউডের বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে এদিন সম্মেলন শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন, শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, দীপিকা পাড়ুকোন, সইফ আলি খান, হেমা মালিনী, অনিল কাপুর, আমির খানদের মতো সিনে তারকারা। এই সম্মেলনে নজর কাড়লেন নাগা চৈতন্য, শোভিতা ধুলিপালার মতো দক্ষিণী তারকারা। শুধু তাই নয়, এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশের বহু ডিজিটাল ক্রিয়েটার ও ৩০০ সংস্থা। উপস্থিত দেশের জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা প্রধানমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন। তিনি জানান দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। আগামিদিনে ‘ওয়েভস’ (WAVES) অ্যাওয়ার্ড চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন সম্মেলনের শুরুতে বলেন, “আজ ১০০টিরও বেশি দেশের শিল্পী থেকে বিনিয়োগকারীরা মুম্বইতে এক ছাদের নীচে একত্রিত হয়েছেন। আজ এখানে সারা বিশ্বের প্রতিভা এবং সৃজনশীলতার একটি ইকো-সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপিত হচ্ছে। এ যেন সত্যিই এক তরঙ্গ (Wave)।”

    ভারতীয় চলচ্চিত্র দেশকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিয়েছে

    মোদির কথায়, ‘ওয়েভস’ (WAVES) প্রতিটি স্রষ্টার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ।” মে দিবসের কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ ১ মে। ১১২ বছর আগে, ১৯১৩ সালের ৩ মে, ভারতে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পায়। সেই ছবির প্রযোজক ছিলেন দাদাসাহেব ফালকে। গতকাল ছিল তাঁর জন্মবার্ষিকী। গত শতাব্দীতে, ভারতীয় চলচ্চিত্র দেশকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।”

    ডাকটিকিট প্রকাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই প্ল্যাটফর্মে, আমরা ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমার অনেক কিংবদন্তীকে স্মরণ করেছি। বিগত বছরগুলিতে, আমি গেমিং জগতের, সঙ্গীত জগতের, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে দেখা করেছি।” সকলের প্রচেষ্টা আগামী বছরগুলিতে ‘ওয়েভস’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট সামিট (ওয়েভস)-এর কথা উল্লেখ করেন। সেই সময়েই তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সিনেমা এবং বিনোদন শিল্প কেবল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, তার পাশাপাশি অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করছে।

    সৃজনশীল ভারত

    বরাবরই ভারতীয় সংস্কৃতিকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে আরও বেশি জনপ্রিয় করার জন্য এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্যোগেরই বহিঃপ্রকাশ ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল এন্টারটেনমেন্ট সামিট। এই সামিটের (WAVES) উদ্দেশ্যই হল কীভাবে ভারতীয় সিনে ইন্ডাস্ট্রি তথা বিনোদুনিয়াকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় আরও উচ্চস্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়। বৃহস্পতিবার মোদির এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড় অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে মঞ্চে ডেকে নিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ প্রথম থেকেই সৃজনশীলতায় ভরপুর। আমাদের কাছে বিজ্ঞান, কল্প-কাহিনী সব রকমের গল্পগাঁথা রয়েছে। আমাদের সম্পদের ঝুড়ি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম শক্তি হল, আমরা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান করি। যা আমাদের সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।”

  • Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সলমন খান একের পর এক হুমকি পেয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Bishnoi Gang) থেকে। শুধু তাই নয় বলিউডের এই তারকার বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’ লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিল বিষ্ণোইয়ের দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে হুমকি পেতে হয়েছিল সলমনের বাবা সেলিম খানকেও। তার পর থেকেই এঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। সলমনের বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’র জানলায় বসানো হয় বুলেটপ্রুফ কাচও। এ বার সলমনের মতোই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একই রকমের হুমকি পেলেন অভিনেতা অভিনব শুক্লা (Abhinav Shukla)। অভিনেতার দাবি, হুমকিদাতা নিজেই জানিয়েছে সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোক।

    তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব (Bishnoi Gang)

    ওই হুমকিদাতা জানিয়েছে, সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি চালানো হয়েছিল, সেই একই কায়দায় অভিনবের বাড়িতেও গুলি চালানো হবে। এমনটাই দাবি করেছেন অভিনব (Abhinav Shukla)। ছোট পর্দার অভিনেতা অভিনব তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন। অঙ্কুশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি অভিনবকে ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত ভাবে সেই হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই হুমকি বার্তায় লেখা ছিল, “আমি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোক। তোর বাড়ির ঠিকানা আমার জানা আছে। আসব নাকি? সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি করেছিলাম। তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব।” শুধু তাই নয়, এই হুমকি বার্তার মধ্যে একাধিক অশালীন শব্দও জুড়ে দিয়েছিল অঙ্কুশ। এমনটাই অভিযোগ অভিনবের।

    অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি

    প্রসঙ্গত, সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি (Bishnoi Gang) অভিনবের প্রতি দিনের চলাফেরার বিষয়ে ওয়াকিবহাল বলেও জানিয়েছে। অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি । হুমকিবার্তা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে অভিনব লেখেন, “আমার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, এই ব্যক্তি চণ্ডীগড় বা মোহালির বাসিন্দা (Bishnoi Gang)। যাঁরা এই ব্যক্তিকে চিনতে পারছেন, তাঁরা পদক্ষেপ করুন।” তবে এখানেই শেষ নয়। অভিনবের স্ত্রী রুবিনা দিলাইকও এমন হুমকিবার্তা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে সেই হুমকিদাতা আবার নিজেকে ‘বিগ বস্‌’ খ্যাত আসিম রিয়াজের অনুরাগী বলে দাবি করেছে নিজেকে।

  • Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বলিউডের (Bollywood) কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার (Manoj Kumar)। আজ শুক্রবার ভোর ৪:০৩ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স মাধ্যমে নিজের পোস্টে মনোজ কুমারকে ভারতীয় সিনেমার আইকন বলে উল্লেখ করেন মোদি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। লিভার সিরোসিস ও হৃদরোগজনিত অসুস্থতাও ছিল তাঁর।

    অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন

    এক্ষেত্র বলা দরকার, মনোজ কুমার (Manoj Kumar) ভারতীয় সিনেমার অন্যতম দেশপ্রেমিক অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন। অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বলিউডের এই মহান শিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বহু তারকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

    ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবটাবাদে (Manoj Kumar) জন্ম

    জানা যায়, ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তান) জন্ম নেন মনোজ কুমার। তাঁর আসল নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী। ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এরপর একের পর সফল ছবি করেন তিনি। ‘কাচ কি গুড়িয়া’ (১৯৬১) ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। প্রসঙ্গত, মনোজ কুমার সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর জন্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি, কাপড়া অউর মাকান’ (১৯৭৪), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১)।

    পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল (Bollywood)

    অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক (Manoj Kumar) হিসেবেও তিনি দারুণ সফল ছিলেন। ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ও কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোদ মে’, ‘দো বদন’, ‘পাত্থার কে সনম’, ‘নীল কমল’, ‘ক্রান্তি’- এই সমস্ত ছবি তাঁর পরিচালনায় খুবই সফল হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।

  • Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ছবি ‘লুসিফার ২: এমপুরন’-এর (Empuraan) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা সরথ এধাথিল। তাঁর অভিযোগ, এই সিনেমায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মানহানি করা হয়েছে। অভিযোগ, এ ছবিতে এমন কিছু মন্তব্য রয়েছে যাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর ফলে নতুন করে গোষ্ঠীসংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেছেন, “ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে, গুজব ছড়াচ্ছে এবং ক্রমাগত এ ছবির প্রদর্শন চলতে থাকলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সন্ত্রাসের বার্তা প্রচার

    ছবিতে সন্ত্রাসবাদকে ন্যায়সঙ্গত প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বলেও অভিযোগ। ছবির গল্পের একটি চরিত্রকে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করতে দেখা যায়। চরিত্রটি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়। অভিযোগে আরও বলা হয় যে, সিনেমার কিছু পটভূমি গান আরবি ও উর্দু ভাষায় ছিল, যা সন্ত্রাসবাদী বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগকারীর মতে, সিনেমায় এনআইএ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও, সিনেমাটির একটি দৃশ্যে ২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি একপেশে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

    সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি

    এছাড়াও, সিনেমায় কিছু বিতর্কিত সংলাপ রয়েছে, যেমন ‘কেরালার দীর্ঘ উপকূলরেখা ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি মাদক পাচারের জন্য সহায়ক হতে পারে’ এবং ‘মুল্লাপেরিয়ার বাঁধে বোমা হামলার হুমকি’, যা অভিযোগকারীর মতে উগ্রপন্থীদের জন্য উস্কানি হতে পারে। অভিযোগকারী আরও দাবি করেছেন যে সিনেমাটিতে এক গোয়েন্দা কর্তার নৃশংস হত্যা দেখানো হয়েছে, যা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। অভিযোগের পাশাপাশি, সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। গত ২৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন পরিচালিত মোহনলাল অভিনীত বড় বাজেটের ছবি। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

  • Chhaava: ‘‘গোটা দেশে ঝড় তুলেছে ছাবা’’, আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Chhaava: ‘‘গোটা দেশে ঝড় তুলেছে ছাবা’’, আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে ‘ছাবা’ (Chhaava)। ৭ দিনেই এই ছবি ভারতে ৩০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের সর্বাধিক আয় করা সিনেমা বর্তমানে হল ‘ছাবা’। মারাঠা ছত্রপতি সম্ভাজিকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ছবি। এবার এই সিনেমা দেখে আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পাশাপাশি এই ছবির ভূয়সী প্রশংসাও করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই সিনেমা। মুম্বই-সহ সমগ্র মহারাষ্ট্র, হিন্দি সিনেমাকেও উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছে মারাঠি। আর আজকাল তো ‘ছাবা’ (Chhaava) নিয়ে ঝড় চলছে। শিবাজি সাওয়ান্তের মারাঠি উপন্যাসে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছিল।’’

    কী বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, দেশের দুই রাজ্যে, মধ্যপ্রদেশ ও গোয়াতে করমুক্ত করা হয়েছে ভিকি কৌশলের এই ছবিকে। সম্প্রতি ‘ছাবা’র (Chhaava) প্রশংসা করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বলেছিলেন, ‘‘বহু দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। ইতিহাসকে বিকৃত না করে মারাঠা সাম্রাজ্যের গৌরবগাথাকে যে এভাবে দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তার জন্য আমি ভীষণ খুশি। যদিও আমার দেখা হয়নি সিনেমাটা, তবে লোকমুখে দারুণ রিভিউ শুনছি।’’

    ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘ছাবা’

    ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর নির্ভর করে বানানো ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘ছাবা’ (Chhaava)। এই ছবির পরিচালক হলেন লক্ষ্মণ উতেকার। ঐতিহাসিক নাটক ছাবা-তে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের ভূমিকায় ভিকি কৌশল এবং মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে অক্ষয় খান্নাকে দেখা গিয়েছে। ছবিতে সম্ভাজির স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতের নায়িকা রশ্মিকা মান্দানা। শিবাজি সবন্তের মারাঠি উপন্যাস ‘ছাওয়া’ অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি, এমনটাই জানা গিয়েছে। ছবিতে মোগল বাহিনী কী ভাবে সম্ভাজির উপর অত্যাচার করেছিল, তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে সম্ভাজিকে সমস্ত দুর্গ এবং ধনসম্পদ সমর্পণ করে অবশেষে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলেছিলেন ঔরঙ্গজেব। কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। এর ফলস্বরূপ, তাঁকে দেওয়া হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিও প্রশংসায় ভরালেন টিম ‘ছাবা’কে (Chhaava)।

  • Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস থেকে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মারাঠি রাজা শিবাজি মহারাজের ছেলে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্ব, তাঁর যুদ্ধের কাহিনি ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি “ছভা” বলিউডে পরিবর্তনের ধারা নিয়ে আসছে। এর পথ ধরে শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে আর একটি ছবি, “কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথ” (Kesari Veer and Chhavaa)। এই দুই ছবিই বলিউডের ঐতিহ্যগত ইসলামিক প্রভাব থেকে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হিন্দু বীরদের কাহিনি নতুন করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    বলিউডে নতুন গল্প বলার ধরন

    দীর্ঘদিন ধরে বলিউড, “দাউদউড” হিসেবে সমালোচিত হয়েছে তার হিন্দু-বিরোধী (Hindutva in Bollywood) মনোভাবের জন্য। সেই বলিউডই এখন বীর হিন্দু যোদ্ধাদের গল্প বলতে শুরু করেছে। “ছভা” এবং “কেশরী বীর” সিনেমাগুলোর মাধ্যমে, একেবারে নতুন ধরনের গল্প বলার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলি-দুনিয়ায়। যদিও এই সিনেমাগুলি হিন্দুত্বের মূল আদর্শ অনুসরণ করে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এগুলোর মাধ্যমে হিন্দু ইতিহাসের ভুলে যাওয়া বীরদের কাহিনি নতুন করে উন্মোচিত হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিনেমাগুলি হিন্দু বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরে, বলিউডের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প বলছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বলিউডের সেই পুরনো ধারা ভাঙছে, যেখানে হিন্দু ইতিহাস প্রায়শই উপেক্ষিত বা বিকৃত করা হয়েছে।

    ইতিহাসে উপেক্ষিত চরিত্র

    সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মোঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মোঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘল সম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। ওদের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। একেবারে যাকে বলে গেরিলা যুদ্ধ, প্রায় সেইরকম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সম্ভাজির সেনারা (লক্ষ্মণ উতরেকরের নির্দেশে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার) আরও কতই না ভেলকি দেখিয়েছেন। তাঁরা মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। আখের ক্ষেতে ছদ্মবেশে আখ গাছ হয়েছে। চিত্রনাট্যে মহারাষ্ট্র ও সমগ্র মারাঠি জাতির প্রাণপুরুষ শিবাজি মহারাজ, উপস্থিত না থেকেও যেভাবে রয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সংলাপে অনর্গলভাবে ওঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে।

    মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়

    সম্ভাজি ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে ফাইনাল যুদ্ধটি হয় পুণের কাছে ভীম নদীর পাড়ে তুলাপুর নামের একটি জায়গায়। যেখানে ঔরঙ্গজেব সম্ভাজি ও তাঁর অন্যতম অমাত্য কবি কালাশকে বন্দি করে নিয়ে যান। বন্দিদশায় কবির জিভ কেটে দেওয়া হয়। আর চোখ উপড়ে নেওয়া হয় সম্ভাজির। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মারাঠিরাজ একা লড়ে যান শতাধিক মোঘল সৈন্যের সঙ্গে। সে লড়াই সত্যি অসম্ভব এবং অমানসিক। হিন্দুত্বের জয়গান, মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়, এই ছবি। এক সংলাপে সম্ভাজি বলেই ফেলেন “তুমি আমার সঙ্গে যোগ দিয়ে মারাঠি হয়ে যাও, তোমাকে সেজন্য ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। সুখে থাকবে!” বলিউড অতীতে সাধারণত ইসলামি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হিন্দু বীরদের গল্প বলতে পিছপা থেকেছে, বরং ওই সময়ের আক্রমণকারীদের মঙ্গলময় রূপে উপস্থাপন করত। সম্ভাজি মহারাজের এই কাহিনী বহুদিন ধরেই ইতিহাস থেকে উপেক্ষিত ছিল, যদিও তিনি ছিলেন এক মহান যোদ্ধা।

    সোমনাথ মন্দির রক্ষার লড়াই

    সুনীল শেঠি, সুরজ পাঞ্চোলি এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ঐতিহাসিক বায়োপিক, কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথের বহুল প্রতীক্ষিত টিজারও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিটি হামিরজি গোহিলের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে, যিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন। পবিত্র সোমনাথ মন্দিরে পাহারা দিতেন তিনি। শক্তিশালী তুঘলক সাম্রাজ্যের হাত থেকে হিন্দু মন্দিরকে রক্ষা করেছিলেন হামিরজি। ছবিটি গোহিলের সাহস, ত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে। ১৪০০ শতাব্দীতে আক্রমণকারীদের হাত থেকে সোমনাথ মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং জীবন উৎসর্গ করা অজ্ঞাত পরিচয় যোদ্ধাদের এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি। হামিরজি গোহিলের মতো হিন্দু বীরের গল্পও এখন আলোচনায় আসছে। গোহিল রাজপুত বংশের এক বীর যোদ্ধা। তিনি সোমনাথ মন্দির রক্ষার জন্য আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়েছিলেন, তাঁর কাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল।

    বলিউডে পরিবর্তন

    বহুদিন ধরে বলিউডকে তার হিন্দু-বিরোধী এবং প্রো-ইসলামিস্ট অবস্থানের জন্য সমালোচিত করা হয়েছে। তবে “ছভা” এবং “কেশরী বীর” (Kesari Veer and Chhavaa) সিনেমাগুলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের শুরু, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন গল্প নিয়ে আসবে। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক বিশেষ প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা কেবল আড়ালে রাখা বীরদের কাহিনী সামনে আনছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কি বলিউড একটি বাস্তবিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন করছে, নাকি এটি কেবল হিন্দু অনুভূতির প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া? যাই হোক, যে কথাগুলো এতদিন চাপা ছিল, সেগুলো এখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসছে—এটা নিজেই একটি বড় পরিবর্তন।

  • Chandrika Tandon: বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের অভিনব মিশেল! গ্র্যামি জয় চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের

    Chandrika Tandon: বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের অভিনব মিশেল! গ্র্যামি জয় চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬৭তম গ্র্যামির আসরে বেস্ট নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট বা চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার (Grammy Awards) পেলেন চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon)। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের Crypto.com অ্যারেনায় বসেছিল বড় মিউজিক্যাল অ্যাওয়ার্ড নাইটের আসর। সেখানেই এই পুরস্কার পেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁশিবাদক ওয়াউটার কেলারম্যান এবং জাপানি চেলিস্ট ইরু মাতসুমোটোর সঙ্গে এই পুরষ্কার জিতে নেন চন্দ্রিকা। গ্র্যামি জয়ের পরেই তিনি এক সাক্ষাৎকার দেন। চেন্নাইয়ে বেড়ে ওঠা এই সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘দারুণ লাগছে।’ গ্র্যামি জয়ী চন্দ্রিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    কী বললেন চন্দ্রিকা?

    গত বছর ৩০ নভেম্বর, ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল। এই অ্যালবামে ভারতের প্রাচীন বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক বিশ্ব সঙ্গীতের এক অভিনব মিশেল ঘটিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।  চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon) বলেন, ‘‘এই ক্যাটেগরিতে আমাদের সঙ্গে দুর্দান্ত সব শিল্পীরা মনোনীত ছিলেন। আমরা যে এটা জিতেছি, এটা সত্যিই আমাদের জন্য বাড়তি বিশেষ মুহূর্ত। আমাদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন অসাধারণ সব মিউজিশিয়ানরা।’’ গ্র্যামি আসরেও নিজের শিকড়কে ভুললেন না চন্দ্রিকা। ভারতীয় পোশাকেই হাতে নিলেন পুরস্কার। সবুজ রঙা লম্বা ঝুলের সালোয়ারের সঙ্গে গোলাপি জ্যাকেটে পাওয়া গেল তাঁকে। চেন্নাইয়ে জন্ম হয় চন্দ্রিকার। তাঁর পরিবার সনাতন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে সম্পৃক্ত বলেই জানা যায়। সামবেদকে অনুসরণ করে চলে তাঁর পরিবার। সঙ্গীতের (Grammy Awards) পরিবেশেই চন্দ্রিকার বেড়ে ওঠা। শৈশবে তাঁর কেটেছে বৈদিক স্তোত্র শুনেই।

    চন্দ্রিকার পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে

    জানা যায়, চন্দ্রিকার (Chandrika Tandon) পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে। এর পরবর্তীকালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএম আমেদাবাদ থেকেও ডিগ্রি নেন। পরে যোগ দেন বাণিজ্যের জগতে। কর্পোরেট জগতে অনেক বড় বড় পদ সামলেছেন তিনি। কিন্তু কখনও সঙ্গীতকে ছেড়ে যাননি। সঙ্গীত, আধ্যাত্মিকতা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রতি তাঁর যে অদম্য ভালোবাসা, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর গ্র্যামি (Grammy Awards) জয়ে। পুরস্কার পাওয়ার পরেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বক্তব্য রাখেন ট্যান্ডন। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গীত আমার ভালোবাসা। সঙ্গীতে আমাদের অন্তরে আলো জ্বালায়। অন্ধকার এবং কালো দিনগুলোতেও সঙ্গীতের মাধ্যমে আমরা হাসিখুশিতে থাকতে পারি।’’

  • Don: বলিউড কাঁপানো ডনের রিমেক হচ্ছে হলিউডে, কী বললেন  অভিনেতা কাল পেন?

    Don: বলিউড কাঁপানো ডনের রিমেক হচ্ছে হলিউডে, কী বললেন  অভিনেতা কাল পেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড কাঁপানো ছবি ‘ডন’ (Don)। তোলপাড় ফেলেছিল তামাম ভারতে। বিদেশেও ভীষণভাবে সমাদৃত হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই ছবিটি। বলিউডের পর এবার এই ছবিটিরই রিমেক হবে টলিউডে। যিনি রিমেক করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তিনিও বিশ্বশ্রুত অভিনেতা আমেরিকার ‘কাল পেন’।

    কাল পেনের ইচ্ছে (Don)

    দ্য ‘নেমশেক’ ছবিতে আত্মসচেতন গোগোলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ‘হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অভিনয় করেছিলেন স্টোনার কুমার প্যাটেলের ভূমিকায়। অমিতাভ বচ্চনের ফ্যানেদের মধ্যে রয়েছেন সেই কাল পেনও। তিনিই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ‘ডন’ ছবিটি রিমেক করবেন। পেনের বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ভারতীয় অভিবাসী পরিবারে। তিনিই নতুনভাবে তৈরি করতে চান বচ্চনের আইকনিক চলচ্চিত্র ‘ডন’। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করতে চান তিনি।

    কী বললেন বিশ্বশ্রুত অভিনেতা

    শুক্রবার জয়পুর সাহিত্য উৎসবে ‘ইউ ক্যান্ট বি সিরিয়াস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন ‘হাউস’ অভিনেতা পেন। সেখানেই বছর সাতচল্লিশের এই অভিনেতা বলেন, “আমার ওপর যে প্রভাবগুলো পড়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল আমেরিকান, যেমন টম হ্যাঙ্কস, ডেনজেল ওয়াশিংটন, এবং অবশ্যই মীরা নায়ার—শৈশব থেকেই, বিশেষ করে যখন তিনি ‘মিসিসিপি মসালা’ করেছিলেন। তাঁকে দেখে আমি ভাবতাম, যদি এই নারী এটি করতে পারেন, তবে হয়তো আমার জন্যও একটি পথ রয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এখনও… মানে, কে না অমিতাভ বচ্চনের বিশাল ভক্ত? আসল ডন-এর রিমেক করতেই আমি ভালোবাসব। তবে এটি এখনও বিনোদনমূলক হতে পারে। এটি এখনও একইভাবে, একই রঙের প্যালেটে থাকতে পারে, কেবল (Don) ব্রুকলিন বা ওহাইওতে সেট করা যেতে পারে।”

    পেনকে সম্প্রতি জনপ্রিয় হিন্দি কমেডি শো ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র সেটে দেখা গিয়েছে। হিন্দি ভাষায় সড়গড় হতে তিনিসাথ নিভানা সাথিয়াসিরিয়াল দেখতে দেখতে “আসক্ত” হয়ে পড়েন। বলেন, “যখনই আমি ভারতে কাজ করি, আমি চেষ্টা করি দুমাস আগে থেকেই স্ক্রিপ্ট পেতে। হিন্দি শেখার এবং এই ভাষায় তাল মিলিয়ে চলার একটি উপায় হল সিরিয়াল দেখা। তাই আমি সাথ নিভানা সাথিয়া-তে আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। যেমন, কোকিলা বেন একেবারে দুর্দান্ত! তুমি ওঁকে অতিক্রম করতে চাইব না। আর গোপী তো স্পষ্টতই একটা মিম—গোপী ল্যাপটপ ধোয়ার দৃশ্যটাই ধরো।” তিনি বলেন এগুলোই আমার সাম্প্রতিক কিছু অনুপ্রেরণার অংশ (Don)।”

  • Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারীর পরিচয় জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতী বাংলাদেশের (Bangladeshi) নাগরিক। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নিজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয় নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে বিজয় দাস নাম নিয়েছে। তার কাছে কোনও বৈধ পরিচয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতের বাংলাদেশি পরিচয়ে এখন এই হামলাকাণ্ড নয়া মোড় নিল। 

    ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত (Saif Ali Khan)

    লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহত অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan)  সম্পর্কে জানিয়েছেন, তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অপর দিকে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক শাহজাদকে রবিবার বান্দ্রা আদালত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতের আইনজীবী বলেন, “এই গ্রেফতার সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। আগে থেকে পুলিশ কোনও রকম নোটিশ দেয়নি। আমার মক্কেল অনেক দিন যাবত মুম্বই শহরে বসবাস করছেন। সেই জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করেছি আদালতে। তিনি কোনও পেশাদারি দুষ্কৃতী (Bangladeshi) নন। তাঁর একটি অল্পবয়স্ক ছেলে রয়েছে। মামলাটি যেহেতু বলিউড অভিনেতা সম্পর্কিত, তাই চক্রান্ত চলছে।” অপর দিকে তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানিয়েছেন, “ঘটনায় যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তার একটি অংশ অভিনেতার ঘাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে, একটি অংশ অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে এবং বাকি আর একটি অংশ কোথাও ফেলে দিয়েছে অভিযুক্ত।” মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালেও পাওয়া গিয়েছে।

    একাধিক অপরাধকাণ্ডে জড়িত বাংলাদেশিরা

    ভারতের নানা প্রান্তে বাংলাদেশি (Bangladeshi) অনুপ্রবেশকারীরা নানা রকম অপরাধ কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি তামিলনাড়ু থেকে ৩১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। আবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। বর্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-ও বাংলাদেশি ছিল। মালদায় তৃণমূল পঞ্চায়েতর এক প্রধানের পরিচয় জানা গিয়েছে। তিনিও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বাড়িতেই ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানো হল বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan)। জখম অভিনেতাকে হাসপাতালে (Lilavati Hospital) ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বুধবার রাত ২টো নাগাদ সইফের বাড়িতে আক্রমণ চালায় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তারপরে ওই দুষ্কৃতী অভিনেতা সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। এরপরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

    কীভাবে হামলা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় যে আবাসনে অভিনেতা (Saif Ali Khan) থাকেন, সেটির নাম ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’। এই আবাসনেই থাকেন সইফের স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর। সঙ্গে থাকেন তাঁর সন্তান, আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জাহাঙ্গির। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী যখন অভিনেতার বাড়িতে হানা দেয়, সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন অভিনেতা এব‌ং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। জানা গিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতি বাড়িতে ঢোকে। এরপর আলমারি খুলে চুরি করতে থাকে, এমন সময় শব্দ হয়। তাতেই জেগে যান পরিচারকরা। এরপর চিৎকার করলে দুষ্কৃতি পালানোর চেষ্টা করে। তখনই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সইফ। দুষ্কৃতীর সঙ্গে একেবারে মুখোমুখি হয়ে যান তিনি। তখনই ভয় পেয়ে দুষ্কৃতী সইফের ওপরে হামলা করে। তাঁকে ছুরি মেরে পালায়।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জানা গিয়েছে, বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সইফ (Saif Ali Khan) আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, না কি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।”

    ৬ জায়গায় আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা

    লীলাবতী হাসপাতালের ডাক্তার নীরজ উত্তমানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ সইফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানিয়েছেন নীরজ। শিরদাঁড়াতেও অভিনেতা আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share