Category: বিনোদন

Get updates on Entertainment News Celebrities, Hollywood, Bollywood, Tollywood Movies, Web series, OTT from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরের লাজারাস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভেরর সময় খিঁচুনির শিকার হন। যা শেষপর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। মৃত্যুকালে জুবিন গর্গের বয়স হয়েছিল ৫২।

    কী ঘটেছিল

    প্রয়াত গায়কের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ জানিয়েছেন, “জুবিন প্রায় সাত-আট জনের একটি দলের সঙ্গে ইয়ট করে লাজারাস দ্বীপে গিয়েছিলেন। দলের মধ্যে ছিলেন ড্রামার শেখর ও সিদ্ধার্থ সহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটেন এবং পরে ইয়টে ফিরে আসেন। কিন্তু জুবিন আবার একা সাঁতারের জন্য নামেন এবং সেই সময়েই খিঁচুনির আক্রমণ হয়।” তিনি আরও জানান, “জুবিন আগেও একাধিকবার খিঁচুনির সমস্যায় পড়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এবারও সহযাত্রীরা কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দু’ঘণ্টা আইসিইউ-তে রাখা হয়।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জুবিন।

    বলিউডে পরিচিত নাম জুবিন

    জন্মসূত্রে অসমের হলেও বলিউডে বেশ পরিচিত নাম জুবিন। গান গেয়েছেন ‘ফিজা’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘রাজ’, ‘থ্রিডি’, ‘কৃষ থ্রি’র মতো সিনেমায়। বাংলা চলচ্চিত্রেও একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। রংবাজ, খিলাড়ি, খোকা ৪২০-এর মতো সিনেমায় দিয়েছেন কণ্ঠ। অসমিয়া ছবিতে গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে বছরখানেক ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না জুবিনের। গায়কের ঘনিষ্ঠমহলও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অত্যধিক মদ্যপানের অভিযোগ তুলেছে। যার জেরে তাঁর একাধিক শো-ও বাতিল সাম্প্রতিক অতীতে। একসময়ে যে গায়কের কণ্ঠে ‘ইয়া আলি…’ শুনে গোটা দেশে ঝড় উঠেছিল, সেই গায়কের এহেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অনুরাগীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। খিঁচুনি একটি জিনঘটিত রোগ হলেও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই রোগে অনুঘটকের কাজ করে।

    খিঁচুনি কী?

    খিঁচুনি হল মস্তিষ্কে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ইলেকট্রিক্যাল ক্রিয়াকলাপের ফলে ঘটে যাওয়া সাময়িক অস্বাভাবিকতা, যা আচরণ, অনুভূতি কিংবা চেতনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি খিঁচুনির ধরন একরকম হয় না। কেউ হঠাৎ থেমে গিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারেন, আবার কারও দেহে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি দেখা দিতে পারে। একজন ব্যক্তি হয়তো জীবনে একবারই খিঁচুনি অনুভব করবেন, আবার কেউ প্রতিদিন একাধিকবার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ জীবনে অন্তত একবার খিঁচুনির অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

    খিঁচুনির ধরন

    জেনারেলাইজড সিজার (Generalized Seizure): এ ধরণের খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের উভয় পাশেই একযোগে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়। এতে দেহে প্রবল ঝাঁকুনি দেখা যায় অথবা ব্যক্তি হঠাৎ স্থির হয়ে যায়। সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনও বয়সে এটি হতে পারে।

    ফোকাল সিজার (Focal Seizure): এতে খিঁচুনির সূত্রপাত মস্তিষ্কের একটি পাশে হয় এবং দেহের একদিকে লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় ব্যক্তি এই খিঁচুনির অভিজ্ঞতা মনে রাখতে পারেন না। ফোকাল সিজার ধীরে ধীরে উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়তেও পারে।

    খিঁচুনির লক্ষণসমূহ

    খিঁচুনির লক্ষণ ধরণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে, জ্ঞান হারানো, শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি, মাংসপেশির টান, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, দাঁত শক্ত করে চেপে ধরা, লালা পড়া, চোখে অস্বাভাবিক নড়াচড়া, প্রস্রাব বা পায়খানা ধরে রাখতে না পারা, অজানা শব্দ তৈরি হওয়া, হঠাৎ আবেগের পরিবর্তন – ভয়-বিভ্রান্তি-আনন্দ বা উদ্বেগ।

    খিঁচুনির কারণ কী?

    সাধারণত মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানের ফলে খিঁচুনি হয়। এই সংকেত মস্তিষ্কের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে সামগ্রিক বৈদ্যুতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এটি প্রধানত দুই ধরনের।

    প্রোভোকড সিজার (Provoked Seizure): যেটি কোনও সাময়িক অবস্থার কারণে ঘটে। যেমন: জ্বর, রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মাথায় আঘাত।

    আনপ্রোভোকড সিজার (Unprovoked Seizure): যেগুলি নিজে নিজেই ঘটে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি মৃগী বা এপিলেপসির লক্ষণ হতে পারে।

    সাঁতারের সময় খিঁচুনি কেন বিপজ্জনক?

    জলের মধ্যে খিঁচুনি হলে ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারেন, ফলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাইফ জ্যাকেট থাকলেও হঠাৎ শরীরের কাঁপুনি ও অঙ্গ সঞ্চালনে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও ব্যক্তি আগে খিঁচুনির শিকার হলে, সাঁতারের সময় তাঁর সবসময় নজরদারির মধ্যে থাকা উচিত। জলে একা নামা একেবারেই উচিত নয়।

    জুবিনের জনপ্রিয়তা

    ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন বোর ঠাকুর। পরে তিনি তাঁর পরিবারের গোত্র থেকে গর্গ উপাধিটি গ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তাঁর বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন। তিনি কপিল ঠাকুর নামে লিখতেন। তাঁর মা হলেন ইলি বোরঠাকুর, তিনিও একজন গায়িকা। অভিনেত্রী তথা গায়িকা জংকি বোরঠাকুর তাঁর বোন। তিনি ২০০২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর আর এক বোন, ডঃ পাম বোরঠাকুর। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো উপজাতি ভাষা সহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন। তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগত শোকাহত। তাঁর স্মৃতি, গান এবং অবদান শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।

  • Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) ও তাঁর গানের দল ‘হুলি গান ইজম’। গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মনে ছাপ ফেলেছে। তবে গানের মাধ্যমে তিন ঘোষকে বিঁধলেও, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে। তার পরেই অনির্বাণকে একহাত নিলেন বিজেপির তারকা-রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

    সনাতন ধর্মকে আক্রমণ (Rudranil Ghosh)

    তিন ‘ঘোষ’কে নিয়ে ছড়া কেটে বাজার মাত করেছে অনির্বাণের দল। এই তিন ঘোষ হলেন কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ। এঁদের বিঁধতে গিয়েই গায়করা টেনে এনেছেন সনাতন ধর্মকে। গাইছেন, “সনাতন এসে গেছে… আর সনাতনী?… সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলেছি… আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে…সবাই এগিয়ে যায়…আমরা পিছিয়ে যাব।” ছড়া-গানটির এই অংশ শুনেই অনির্বাণকে তোপ দাগল বিজেপি।

    ক্ষমা চাওয়ার দাবি রুদ্রনীলের

    দলের তারকা-নেতা রুদ্রনীলের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অনির্বাণকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনির্বাণকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসচেতন, জ্ঞানহীন বক্তব্যের। …ভাই অনির্বাণ, পৃথিবীর চূড়ান্ত মুর্খ ব্যক্তিও জানেন সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদিতম ধর্ম বা জীবনচর্চা। তারপর বাকি সব ধর্মের জন্ম। আর আপনি বললেন, সনাতন এসে গেছে? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে! আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে, তাঁরা এতক্ষণে আপনাকে কোন জায়গায় রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন!” রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) সাফ কথা, “ভাই অনির্বাণ (Anirban Bhattacharjee), যদি সত্যিই নিজের অজ্ঞানতা থেকে এই বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে জানান। দেখবেন সনাতনীরা দল-মত-ঝান্ডা ভুলে আপনাকে ক্ষমা করবেন ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার অনুরোধ করবেন। আর যদি সজ্ঞানে থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সনাতন ধর্ম আদি ও অনন্ত। আপনি আমি দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, সনাতন-সনাতনী ছিল, আছে এবং থাকবেও। ভালো থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।”

    অনির্বাণকে আক্রমণ রুদ্রনীলের

    অনির্বাণের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়ও করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে এবার এই একটি শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। রুদ্রনীল লেখেন, “সবাই জানে, টলিউড মাফিয়ারা আপনার কাজ কেড়ে নিয়েছে, তাই গান গেয়ে আপনাকে পেটের ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক!! কিন্তু যে হুলি গানরা আপনার পেটের ভাত কেড়ে নিল, তা নিয়ে বা আরজি কর ডাক্তার হত্যা নিয়ে বা শিক্ষক পেটানো-শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আপনার মুখে কুলুপ! অথচ অকারণ ছোট করছেন নিজের ধর্মকে? সনাতন ও সনাতনীকে? কাকে খুশি করতে?”

    অনির্বাণকে বয়কটের ডাক

    ‘গোঁত্তা’ (Rudranil Ghosh) খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ। তবে তাঁকে বয়কটের ডাক উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একজন লিখেছেন, “এদের শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন (Anirban Bhattacharjee)। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে করুক, ওকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে, সনাতন ধর্ম নিয়ে এসব করা খুবই সহজ, বয়কট অনির্বাণ।” অন্য একজন আবার লিখেছেন, “শহিদ দিবসের মঞ্চে পিসির পাশে চেয়ার নেবার জন্য অনির্বাণ এইসব বলছে। ঠিক যেমনটা নচিকেতা করেছে।” আর একজন লিখেছেন, “বাঁমঘেঁষা আঁতেলদের এই একটা সমস্যা। নিজেদের চূড়ান্ত শিক্ষিত মনে করে। সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ভালোভাবে জানতে মার্কস পড়ার আগে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত পড়ুন ভাই। টেক্সট পড়ে বুঝতে না পারলে, পণ্ডিতরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেগুলি পড়ুন।”

    থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    এদিকে, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,  ‘হুলি গান ইজম’-এর সদস্যরা ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সনাতন ধর্মের উপাসক হিসেবে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। ওই কথাগুলোর জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ও সনাতনীদের আবেগে আঘাত লেগেছে।” এতে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপওটিও সেঁটে দিয়েছেন।

    এর আগে তরুণজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অনির্বাণের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতার মধ্যে ততক্ষণ পড়ে, যতক্ষণ না আপনি (Anirban Bhattacharjee) কাউকে আঘাত করছেন। কিন্তু গানের মধ্যে সনাতনী টানার মানে কী ছিল? এগুলি নিয়ে খিল্লি করার কারণ কী?” তাঁর প্রশ্ন, “সাহস হবে নাকি ইসলাম নিয়ে বলার? বললে স্লোগান হবে সর তন…। আর বললাম না (Rudranil Ghosh)!”

  • Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। সোমবার ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Tollywood Actor)। শেষ সময়ে অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট জয়কে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৭ অগাস্ট তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। এদিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘণ্টাচারেক হাসপাতালেই থাকবে অভিনেতার মরদেহ।

    বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান (Joy Banerjee)

    ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয়ের। ছোট থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয় ‘অপরূপা’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। দ্রুত ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়ে যান সুপুরুষ জয়। পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পান জয়। অঞ্জন চৌধুরীর ‘হীরক জয়ন্তী’ ছবি বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয় তাঁকে। জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও হিট করে। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জয়কে। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’-সহ বহু ছবির নায়ক ছিলেন সুপুরুষ জয়।

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন

    অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন জয়। যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে বীরভূম ও উলুবেড়িয়া লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জয়। বীরভূমে তিনি হেরে যান তৃণমূলের তারকা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের কাছে। হেরে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও। বিজেপির হয়ে একাধিকবার ভোটের ময়দানে নামলেও, প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন জয়। শেষমেশ ২০২১ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির হয়ে আর প্রতিনিধিত্ব করবেন না।

    জয়ের প্রথম স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ফের বিয়ে করেন জয় (Joy Banerjee)। এবার তাঁর ঘরণী হন অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর সময় তিনিই ছিলেন পাশে। আর ছিলেন জয়ের মা। প্রয়াত অভিনেতার সহকারী ছোটু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জয়। সম্প্রতি (Tollywood Actor) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Joy Banerjee)। তাঁর জীবনাবসানের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাংস্কৃতিক সেলের কো-কনভেনর সুরজিৎ চৌধুরী।

  • The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পরে শনিবারেও বাধা দেওয়া হয় ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে। শুক্রবারই একটি ভিডিও শেয়ার করে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, কলকাতায় নির্ধারিত ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল বাতিল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আমাদের টিম নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি সিনেমা হলে ট্রেলার লঞ্চের পরিকল্পনা করেছিলাম। তাঁরা সব অনুমতিও দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়।” পরিচালক আরও বলেন, “শুরুতে আমাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল। সেই কারণে আমরা কলকাতায় এসেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

    শনিবারেও বাধা, কেটে দেওয়া হয় তার (The Bengal Files)

    শুধু শুক্রবার নয়, শনিবারও ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেলার দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তার কেটে দেয় জায়ান্ট স্ক্রিনের। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী এবং প্রযোজক পল্লবী জোশীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এই ছবি আটকাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”

    ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে?

    বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই তারা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে? এক ভারতীয়দের জন্য, আরেকটা কি পশ্চিমবঙ্গের জন্য?” উল্লেখ্য, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

    কেউ এই ছবির মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না

    পরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দেরি করব না। খুব শীঘ্রই কলকাতাতেই ট্রেলার লঞ্চ করব।” শুক্রবার তিনি নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, “কলকাতায় নামার পর জানতে পারলাম, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার লঞ্চের ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে—আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে। কিন্তু আমাকে থামানো যাবে না, কারণ সত্যকে চুপ করিয়ে রাখা যায় না। সব কলকাতাতেই হবে। দয়া করে এই ভিডিও শেয়ার করুন এবং বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করুন।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে দেবীর দর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমি মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। কেউ এই ছবি মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না।”

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশীর তোপ (The Bengal Files)

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, “ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ঘিরে যা হয়েছে তা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে না, বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা তৈরি হওয়া দরকার ছিল। দেখুন কী হচ্ছে বাংলায়। সেই কারণে এই ধরনের সিনেমা এখনকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই সিনেমার দেখার জন্য অনুরোধ করব৷ যাতে তারা বাংলার আসল রূপ দেখতে পারে৷” তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না৷ কিন্তু যেভাবে আমাদের সিনেমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা আমি মেনে নেব না৷ আমার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগেনি৷ কোনও পরিচালক বা অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া সেই রাজ্যের দায়িত্ব৷ আর এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই রাজ্যে কি মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা আছে? একজন অভিনেতা, নির্মাতা হিসাবে আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকু নেই যে সেখানে ট্রেলার দেখানো যাবে৷ একটা সিনেমাকে কেন এত ভয় পাচ্ছে সরকার?”

    ট্রেলার না দেখাতে দেওয়া অনৈতিক, এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি

    পল্লবীর কথায়, “ট্রেলার না দেখাতে (The Bengal Files) দেওয়া অনৈতিক ৷ এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি। আমরা তো কাশ্মীরে গিয়েও শুটিং করেছি৷ এখন তো মনে হচ্ছে কাশ্মীরের অবস্থা হয়তো বাংলার থেকেও ভালো৷ এই রাজ্যে কী এইভাবে চলতে হবে? আর আমার মনে হয়, এই কারণে দ্য বেঙ্গল ফাইলস গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি গোটা যুব সমাজকে আহ্বান জানাবো, এই সিনেমা দেখার জন্য ৷ বোঝার জন্য যে বাংলায় কী চলছে!”

    এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি, বললেন প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল

    প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “এখানে অনুমতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ তাহলে কেন যখন টেস্টিং চলছিল, তখন বারণ করা হয়নি? এতবড় পাঁচতারা হোটেলে অনুমতি ছাড়া কী কোনও কাজ চলতে পারে? গতকাল রাত থেকে সেটআপ তৈরি করা হচ্ছিল ৷ আজ ট্রেলার লঞ্চ করার কথা ছিল৷ থিয়েটারে অনুমতি বাতিল করার পর হোটেল ব্য়বস্থা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি। সেই সমস্যা অনেক কম ছিল। তবে বাংলার এসে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা প্রথম ৷ ট্রেলার চলতে চলতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পরিচালক বিবেকের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ৷ একটা ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে এত পুলিশ ৷ এত ভয় কেন?”

  • Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয় জেসিকা র‍্যাডক্লিফ (Jessica Radcliffe Orca Attack) নামে এক ২৩ বছর বয়সি মেরিন ট্রেনার ঘাতক তিমির (killer whale) আক্রমণে নিহত হয়েছেন। ভিডিওতে দাবি করা হয়, পারফরম্যান্স চলাকালীন ওই দাঁতাল তিমি বা অরকা তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ভিডিওটি মূলত টিকটক এবং ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, জেসিকা নামে কোনও মেরিন ট্রেইনারের অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই খবর অস্বীকার করেছে। ভিডিওটি এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি বলেও মনে করেন অনেকে।

    পুরনো অরকা আক্রমণের ঘটনা

    এই গুজব (Jessica Radcliffe Orca Attack) ছড়ানোর পেছনে বাস্তব কিছু ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে, টিলিকাম নামে একটি অরকা সি-ওয়ার্ল্ড, অরল্যান্ডোতে পারফরম্যান্স চলাকালীন ডন ব্রাঞ্চো নামে এক অভিজ্ঞ ট্রেইনারকে হত্যা করে। এই ঘটনা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হয় বিখ্যাত তথ্যচিত্র ব্ল্যাকফিশ। ২০০৯ সালে, স্পেনের এক ট্রেইনার আলেক্সিস মার্টিনেজ প্রশিক্ষণ চলাকালীন কেটো নামের এক অরকার আঘাতে নিহত হন। ১৯৯১ সালে, কানাডার এক ব্যক্তিকে তিনটি তিমি একসঙ্গে জলে টেনে নিয়ে যায়। এইসব সত্য ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে, বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অরকা কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক

    অরকা বা “কিলার হোয়েল” বা ঘাতক তিমি (Jessica Radcliffe Orca Attack) মূলত অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তারা একসঙ্গে দু-তিনজন করে থাকে। এরা সাধারণত সামুদ্রিক শিকারি। যদিও বন্য অরকা দ্বারা মানুষের উপর হামলার ঘটনা খুবই বিরল, কিন্তু বদ্ধ অবস্থায় রাখা অরকাদের দ্বারা কিছু মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর প্রমাণ মেলে। ভারতের পশ্চিম উপকূল এবং আন্দামান সাগরে মাঝে মাঝেই অরকা দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় অরকার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে জেসিকার যে ভিডিওটি সমাজ-মাধ্যমে ভাইরাল, তা ভুয়ো বলেই দাবি করছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।

  • Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে দায়ের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Union Government)। ৬ অগাস্ট সরকারি নির্দেশে মন্ত্রক জানায়, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ৫৫টি সংশোধন প্রয়োগ করার পর চলচ্চিত্রটিকে ছাড়পত্র দেয়। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, প্রযোজকরা সিবিএফসি নির্দেশিত সংশোধনের বাইরেও অতিরিক্ত সম্পাদনা করেছেন। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, যারা চলচ্চিত্রটির মুক্তির বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা এমন কোনও যুক্তিসম্মত কারণ দেখাতে পারেননি যাতে মন্ত্রক আরও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

    দ্য উদয়পুর ফাইলস’: কেন্দ্রের বক্তব্য (Udaipur Files)

    মন্ত্রকের পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি সন্তোষ কুমার মৌর্য বলেন, “উপরোক্ত তথ্য ও প্রাপ্ত ফলের নিরিখে, এবং ১ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে দিল্লি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যিনি সিনেমাটোগ্রাফ আইন, ১৯৫২-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন) মনে করেন যে, এই আইনের ধারা ৬(২) প্রয়োগের কোনও উপযুক্ত ভিত্তি নেই। অতএব, পুনর্বিবেচনা আবেদন ও অন্যান্য উপস্থাপনাগুলি খারিজ করা হল।”

    দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ

    এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files)  ছবিটি পুনরায় পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিল, যখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, মন্ত্রক পূর্বের কাটছাঁট সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসারে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে (Union Government)। আদালত কেন্দ্রের এমন সম্পাদনার নির্দেশ দেওয়ার কর্তৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। চলচ্চিত্রটির প্রযোজকরা ৮ অগাস্ট ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করায় আদালত মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় যে ৭ অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, ‘উদয়পুর ফাইলস’ ছবিটির মুক্তির বিরোধিতায় দায়ের করা কয়েকটি মামলার শুনানি করছিল দিল্লি হাই কোর্ট। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মওলানা আরশাদ মাদানি এবং কানহাইয়া লাল হত্যা মামলার এক অভিযুক্ত। তাঁদের যুক্তি, এই চলচ্চিত্রটিতে মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অভিযুক্তের ন্যায্য বিচারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে (Udaipur Files)।

    কানহাইয়া লাল নামে উদয়পুরের এক দর্জিকে ২০২২ সালের জুন মাসে নৃশংসভাবে খুন করে দুই আততায়ী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন (Union Government)। নূপুর শর্মা পূর্বে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছিল ১১ জুলাই (Udaipur Files)।

  • National Film Awards: ৭১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা অভিনেত্রী রানি, সেরা অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ও শাহরুখ

    National Film Awards: ৭১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা অভিনেত্রী রানি, সেরা অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ও শাহরুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হলো ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা হয় (National Film Awards)। ২০২৩ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির জন্য জাতীয় সম্মান পেলেন শাহরুখ খান, রানী মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত সেন, বিক্রান্ত ম্যাসির মতো বলিউড জগতের ব্যক্তিত্বরা। প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আরও একবার প্রমাণ করল যে ভালো সিনেমা কোনো ভাষার বিভেদ মানে না (National Film Awards 2025) এবং যেকোনও আঞ্চলিক ছবিও পেতে পারে জাতীয় পুরস্কার।

    এক নজরে দেখে নিন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কারা কারা পেলেন—

    সেরা অভিনেতা হয়েছেন জওয়ান সিনেমার জন্য শাহরুখ খান এবং টুয়েলভ সিনেমার জন্য বিক্রান্ত ম্যাসি (National Film Awards)।
    সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন রানী মুখোপাধ্যায়, তাঁর মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবির জন্য।
    সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে সন্দীপ ও পিঙ্কি ফারার।
    সেরা পরিচালক হয়েছেন দ্য কেরালা স্টোরি খ্যাত পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
    সেরা মিউজিক ডিরেকশন-এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন জি. ভি. প্রকাশ কুমার,  তেলুগু ছবি বাথির জন্য (National Film Awards)।

    সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডিরেক্টর এর পুরস্কার পেয়েছেন হর্ষবর্ধন ও রমেশ্বর, অ্যানিমেল ছবির জন্য।
    সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার (পুরুষ) এর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পি. ভি. এন. এস. রোহিত, বেবি সিনেমার জন্য এবং (নারী) শিল্পা রাও, জওয়ান ছবির জন্য।

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শুধুমাত্র কোনও একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত। এই অনুষ্ঠানে স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং প্রতিভা বিচার করেই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চালায়, এবং চিত্র বাছাইয়ের কাজ করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বা সিবিএফসি। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তারা এরপর সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (National Film Awards) ঘোষণা করে।

    হিন্দি ভাষায় সেরা ছবি হয়েছে কাঁঠাল: দ্য জ্যাকফ্রুট মিস্ত্রি।
    তেলুগু ভাষায় সেরা ছবি ভাগভন্ত কেসরী,
    তামিল ভাষায় পার্কিং,
    পাঞ্জাবি ভাষায় গুড ডে গুড ডে চা,
    ওড়িয়া ভাষায় ম্যায় ঘর ফির আয়ি,
    বাংলা ভাষায় সেরা ছবি হয়েছে ডিপ ফ্রিজ।

  • Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলিউডের তাবড় তারকাদের পিছনে ফেললেন বাংলার গায়ক অরিজিত্‍ সিং (Arijit Singh)। সঙ্গীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে ফলোয়ারের সংখ্যায় তিনিই এখন বিশ্বের সেরা শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত অরিজিৎ সিংয়ের ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ, এমনকী কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়েও এগিয়ে দিয়েছে।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে কোথায় কারা

    ২০১৯ সালে ভারতে এসেছে স্পটিফাই। ছয় বছর সময় পেয়েছেন ভারতের শিল্পীরা। তার মধ্যে অরিজিত্‍ (Arijit Singh) যেভাবে এশিয়া থেকে উঠে এলেন তালিকার শীর্ষে, তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান মানেই মানুষের উপচে পড়া মানুষের ভিড়। তাঁর গানের মূর্ছনায় মুহূর্তে ভাসেন অনুরাগীরা। তাঁর গান যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই অবলীলায় আবেগে ভাসাতে পারে। বিশ্বের সংগীতমঞ্চে ইতিহাস গড়লেন অরিজিৎ সিং। আন্তর্জাতিক পপ আইকনদের পিছনে ফেলে স্পটিফাই (Spotify)-র সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারের মালিক এখন বাংলার ছেলে! এই মুহূর্তে স্পটিফাই-তে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫১ মিলিয়ন—যেখানে আমেরিকান সুপারস্টার টেলর সুইফট রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে (১৩৯.৬ মিলিয়ন) এবং ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান তৃতীয় (১২১ মিলিয়ন)। সপ্তাহের শুরুতেই চার্টমাস্টার্স (Chartmasters) এবং ভোল্ট।এফএম (Volt.fm)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিলি আইলিশ (১১৪ মিলিয়ন), আর পঞ্চম স্থানে দ্য উইকেন্ড (১০৭.৩ মিলিয়ন)। এই শীর্ষ দশের তালিকায় আছেন আরও কিছু হেভিওয়েট নাম—আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, এমিনেম, ড্রেক, ব্যাড বান্নি এবং জাস্টিন বিবার।

    অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে

    বিশ্বমানের শিল্পী, জগৎজোড়া খ্যাতি। তবু থাকেন মাটির কাছাকাছি। শিকড়ের টানে মুম্বই ছেড়ে আসেন জন্মভিটে জিয়াগঞ্জে। সেখানেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সাফল্য ও অর্থ নাকি মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানেই সকলের থেকে আলাদা অরিজিৎ (Arijit Singh)। তাঁকে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন সমসাময়িকরা। অর্থ, প্রতিপত্তি কম নেই, কিন্তু দেখনদারি নেই অরিজিতের। জিয়গঞ্জের বাড়ি ছাড়া নাভি মুম্বইয়ে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে তাঁর এ ছাড়াও প্রায় ৩ কোটির গাড়ি রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সময় স্কুটি করেই ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। পোশাকেও নেই কোনও বাহুল্য। মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন গায়ক। ২০২৪ সালে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া কেশরিয়া, তুম কেয়া মিলে, ধুন, জানে তু গানগুলো স্থান পেয়েছে বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং হওয়া গানের তালিকায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

  • Sardaar Ji 3: ছবিতে ভারত-বিরোধী পাক অভিনেত্রীকে নিয়োগ, অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

    Sardaar Ji 3: ছবিতে ভারত-বিরোধী পাক অভিনেত্রীকে নিয়োগ, অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরদারজি ৩’ (Sardaar Ji 3) সিনেমায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে (Hania Aamir) নেওয়ার কারণে, সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িস। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হল।

    কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানানো হল প্রধানমন্ত্রীর কাছে (Sardaar Ji 3)

    সরদারজি ৩-তে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে (Hania Aamir) নিয়োগ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (FWICE)। এই সংস্থা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখে অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, প্রযোজক গুরবীর সিং সিধু এবং পরিচালক অমর হুন্ডালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। FWICE-এর দাবি, ওই তিনজনকে অবিলম্বে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প থেকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক। একইসঙ্গে তাঁদের পাসপোর্ট ও ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল করার আবেদনও জানানো হয়েছে। ফেডারেশন তাঁদের বিরুদ্ধে সব রকম সরকারি সুবিধা ও অধিকার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে (Sardaar Ji 3)।

    হানিয়া আমির ভারত বিরোধী অভিনেত্রী

    FWICE-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরদারজি ৩-এর (Sardaar Ji 3) জন্য পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে নেওয়া ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অপমানজনক। এর ফলে দেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, FWICE হানিয়া আমিরকে ভারতবিরোধী বলে অভিহিত করেছে। তাদের অভিযোগ, তিনি একাধিকবার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার FWICE কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন-এর কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে সরদারজি ৩ ছবিকে কোনওভাবে ভারতে মুক্তির সার্টিফিকেট (Sardaar Ji 3) না দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আমূল বদলে গেছে। এই ঘটনার জেরে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সমালোচনা করা কয়েকজন পাক শিল্পীকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতের সাংস্কৃতিক জগৎ থেকে। এই তালিকায় অন্যতম নাম হলেন অভিনেত্রী হানিয়া আমির।

  • Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বস্তার, নাম শুনলেই ভেসে ওঠে গোলাগুলি-বন্দুক। মাও-সন্ত্রাসের ছবি। সেই বস্তার (Bastar Girl Lavanya Das) থেকেই নৃত্যের তালে সকলের মন কাড়লেন ১৬ বছরের কিশোরী। নাচ করতে পছন্দ করে সে। কিন্তু আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। বরং পড়াশোনার ফাঁকে নিজে থেকেই নাচ শিখত লাবণ্য দাস মানিকপুরী। সেই নাচের কারণে এবার তার দিকে নজর পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের।

    একা একা নাচ শিখত লাবণ্য

    চলতি মাসে প্রিয়ঙ্কা তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি নাচের ভিডিয়ো অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেই ভিডিয়োয় এক কিশোরীকে ‘বেলি ডান্স’ করতে দেখা গিয়েছে। কিশোরীর নৃত্যকলার প্রশংসা করেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। তার পর থেকেই তার নাম-পরিচয় নিয়ে কৌতূহল জেগেছে নেটপাড়ায়। ওই কিশোরীর নাম লাবণ্য দাস। ছত্তিশগড়ের বস্তারের বাসিন্দা। ছ’বছর আগে ২০১৯ সালে মারা যান লাবণ্যের বাবা। তার পর থেকে মায়ের কাছেই বড় হয়ে ওঠা তার। সেখানকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে সে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লাবণ্যের মা কত্থকে পারদর্শী। শৈশব থেকে মাকে নাচ করতে দেখত লাবণ্য। সেখান থেকেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। মায়ের কাছে নাচ শিখতে শুরু করে লাবণ্য। আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়নি তাকে। নিজে থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি সময় বার করে একা একা নাচ শিখত সে। লাবণ্যের দাদু থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। নাচ ছাড়াও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ রয়েছে লাবণ্যের। ভবিষ্যতে নাচ এবং অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চায় সে।

    বেলি ডান্স-এর প্রতি আগ্রহ

    মায়ের কাছে কত্থক শিখলেও লাবণ্যের আগ্রহ জন্মায় ‘বেলি ডান্স’-এর প্রতি। জুন মাসের গোড়ায় নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘বেলি ডান্স’ করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সে। তার পরেই তার জীবনের মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। আশা ভোঁসলের গলায় জনপ্রিয় গান ‘পিয়া তু অব তো আজা’। এই গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘বেলি ডান্স’-এর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল লাবণ্য। তার পর কেটে যায় এক সপ্তাহ। লাবণ্যের নাচের সেই ভিডিয়োটি নজরে পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের। লাবণ্যের নাচের প্রশংসা করে ভিডিয়োটি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভাগ করে নেন প্রিয়ঙ্কা। তার পরেই লাবণ্যের অনুগামীর সংখ্যা তরতর করে বাড়তে শুরু করে।ইতিমধ্যেই লাবণ্যের ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা ১২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।

LinkedIn
Share