Category: গ্যাজেট

Get updated Gadget related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ লঞ্চ করল অ্যাপল (iPhone 17)। এ বছর মোট চারটি মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে এই সংস্থা। সবচেয়ে বড় কথা হল, দীর্ঘদিনের প্লাস মডেলকে বাদ দিয়ে আনা হয়েছে একেবারে নতুন আইফোন এয়ার (iPhone)। ফলে এ বছরের লাইনআপে রয়েছে আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ প্রো, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স এবং নতুন আইফোন এয়ার।

    আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    নতুন সিরিজের (iPhone 17) দামও এবার বেশ চোখে পড়ার মতো। আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে। তবে এ বছর আর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট থাকছে না। সরাসরি ২৫৬ জিবি স্টোরেজ দিয়ে শুরু হচ্ছে মডেল। অন্যদিকে ৫১২ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা (iPhone)।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    প্রো সিরিজের (iPhone 17) ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টে পৌঁছেছে ২ টেরাবাইটে, যার দাম ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা। এভাবে সংস্থার সবচেয়ে দামী আইফোন হয়ে উঠেছে এই নতুন প্রো ম্যাক্স।

    নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে

    সবচেয়ে নজর কেড়েছে নতুন আইফোন এয়ার। এটি এসেছে প্রিমিয়াম নকশা এবং প্রো-মানের হার্ডওয়্যার নিয়ে। দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বাধিক এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা। সংস্থার ধারণা, এয়ার মডেল প্লাসের বিকল্প হলেও তার মান অনেকটাই প্রো সিরিজের কাছাকাছি। ফলে দামও প্রো স্তরের কাছেই রাখা হয়েছে (iPhone 17)। অ্যাপলের দাবি, নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে নতুন এয়ার মডেল এ বছরের লাইনআপে বড় সংযোজন হিসেবে বাজারে নজর কাড়তে প্রস্তুত।

  • Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ দেশিয় মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ‘বিক্রম ৩২০১’ (Vikram 3201) লঞ্চ করল ইসরো (ISRO)। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাইক্রোচিপকে ‘ডিজিটাল হিরে’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, “যদি বিগত শতক তেলের দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে, তবে এই শতক গঠিত হবে মাইক্রোচিপ দ্বারা।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিপ উপহার

    মঙ্গলবার ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ তুলে দেন। অশ্বিনী জানান, “ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন চালুর পর থেকে গোটা বিশ্বের আস্থা ভারতের প্রতি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ উপহারও দেন। মন্ত্রী আরও জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি নতুন উৎপাদন ইউনিট চালু হতে চলেছে।

    সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’

    ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025) সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “গত শতক গড়ে উঠেছিল তেলের উপর। আর বর্তমান যুগ দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি চিপের উপর (Oil Was Black Gold, Chips Are Digital Diamonds)।” তিনি বলেন, তেলকে যেমন একসময় ‘কালো সোনা’ (Black Gold) বলা হত, তেমনই সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’ (Digital Diamond)। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব আজ ভারতের উপর আস্থা রাখছে, বিশ্বাস রাখছে। ইতিমধ্যেই ২০২১ সালের পর থেকে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। “ভারতই গড়ে তুলবে ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর দুনিয়া,” জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫ সম্মেলন আগামী তিন দিন ধরে চলবে এবং দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গতি দিতে গবেষণা, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং নীতিনির্ধারণী দিক থেকে এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলাবে দুনিয়া

    মোদি আরও জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের পরবর্তী ধাপে কাজ শুরু করেছে। নতুন ‘ডিজাইন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (DLI)’ প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। তাঁর কথায়, “দূরে নয় সেই দিন, যেদিন ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলে দেবে গোটা দুনিয়া।” শুধু চিপ উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সেমিকন্ডাক্টরকে ঘিরে গোটা এক ইকোসিস্টেম তৈরি করছে ভারত। এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, এই উদ্যোগ ভারতের শিল্পকে করবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক এবং আত্মনির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনে উপযুক্ত খনিজ পদার্থের জোগান নিশ্চিত করতে ভারত ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেলস মিশন’-এর উপর কাজ করছে।

    মাইক্রোচিপ ‘বিক্রম’ আদতে কী?

    ‘বিক্রম-৩২০১’ একটি ৩২-বিট মাইক্রোপ্রসেসর, যার নিজস্ব ইনস্ট্রাকশন সেট আর্কিটেকচার রয়েছে। এটি একসঙ্গে ৩২ বিট ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ পালন করতে সক্ষম। প্রসেসরটি বিশেষভাবে সমর্থন করে এডিএ প্রোগ্রামিং ভাষাকে—যা উপগ্রহ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, লঞ্চ ভেহিকলসহ উচ্চ-নির্ভরযোগ্য সিস্টেমে বহুল ব্যবহৃত। কঠিন পরিবেশ মাথায় রেখেই এটি তৈরি হয়েছে। মাইনাস ৫৫ থেকে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে এটি। এর ফলে মহাকাশ মিশনের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

    আত্মনির্ভরতার পথে এক ধাপ

    শুধু তাই নয়, এই অগ্রগতি বেসামরিক খাতেও দেশিয় চিপ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। স্থানীয়ভাবে উচ্চমানের চিপ পাওয়া গেলে বিদেশি ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইল জায়ান্টরা ভারতেই উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত হবে। ফলে এটিকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় ভারতের এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটি আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রেও এটি দেশকে এগিয়ে রাখবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ছিল প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৪৫-৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাজার আরও দ্বিগুণ হয়ে ১০০-১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে জানানো হয়েছে, ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025)  এই মহাসম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২০,৭৫০ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪৮টি দেশের ২,৫০০-র বেশি প্রতিনিধি। বক্তব্য রাখছেন ১৫০-রও বেশি বক্তা, তার মধ্যে ৫০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পনেতা। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান।

     

  • TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকটক (TikTok) কি আবার চালু হয়েছে ভারতে? এই নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে এবং এ নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় নেট নাগরিকদের মধ্যে। কেউ কেউ আবার লিখছেন যে ওয়েবসাইট খুলছে, কেউবা জানান ভিডিও দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে। শেষমেশ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে এ দেশে টিকটক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং বিভ্রান্তিকর। যেভাবে হঠাৎ টিকটক-এর ওয়েবসাইট প্রবেশযোগ্য হয়ে উঠেছিল, তা আসলে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা (Central Government)। কারণ, গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর — কোথাও দেখা যাচ্ছে না টিকটক অ্যাপ (TikTok)।

    ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার

    এরই মধ্যে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করতে থাকেন যে চিনের অনলাইন কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম আলি এক্সপ্রেস নাকি ব্যবহার করা যাচ্ছিল। তবে এই আলি এক্সপ্রেসকেও নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন,পাঁচ বছর আগে — ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। তার পরে ভারতের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপগুলির (TikTok) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ব্যবহারকারীদের (TikTok) ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এবং তা গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করে।

    ৩১ অগাস্ট চিন সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বহু দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চিনের তৈরি টিকটক এবং আলি এক্সপ্রেস সংক্রান্ত নতুন করে জল্পনা ফের একবার কৌতূহল বাড়িয়ে দিল। তবে সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এখনই তুলে নেওয়া হচ্ছে না।

  • WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসছে একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং সময়-সাশ্রয়ী ফিচার, যার নাম কুইক রিক্যাপ (Quick Recap)। এই ফিচারের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা একাধিক চ্যাট থেকে না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার দেখে নিতে পারবেন সহজেই।

    সর্বাধিক ৫টি চ্যাটের অপঠিত মেসেজের সংক্ষিপ্তসার দেখা যাবে

    ইতিমধ্যেই Android বিটা সংস্করণ ২.২৫.১৯.১৪-তে চালু হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ফিচার (WhatsApp), যেখানে না-পড়া মেসেজগুলোর সারাংশ দেখা যাচ্ছিল। এবার এই ফিচারে যুক্ত হচ্ছে আরও অত্যাধুনিক সুবিধা, না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার একসঙ্গে দেখা যাবে। এই ফিচারটির মাধ্যমে যদি ব্যবহারকারীদের ফোন বন্ধ থাকে বা ইন্টারনেটেও কোনও সমস্যা থাকে, তবুও জমে থাকা মেসেজগুলি দ্রুত পড়ে ফেলা সম্ভব হবে। এই ফিচারের মাধ্যমে একসঙ্গে সর্বাধিক ৫টি চ্যাট নির্বাচন করে সেখানকার না-পড়া মেসেজগুলির সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    বজায় থাকবে গোপনীয়তা (WhatsApp)

    না-পড়া বা অপঠিত মেসেজের এই সারসংক্ষেপ তৈরি হবে Private Processing-এর মাধ্যমে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নিজেও ব্যবহারকারীর বার্তা কোনওভাবেই পড়তে পারবে না। এর ফলে প্রাইভেসি বজায় থাকবে—ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া কারোর পক্ষেই বার্তার কোনও রকম তথ্য দেখা সম্ভব নয়।

    আপনা আপনি চালু হবে না এই ফিচার

    তবে এই ফিচারটি আপনা-আপনি চালু হবে না। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটিংসে গিয়ে এটি চালু করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ-এর (WhatsApp) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং শুধুমাত্র বেটা ব্যবহারকারীরাই এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। সফলভাবে পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ হলে সকলের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর এই নতুন ফিচার (Quick Recap) ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত সুফল নিয়ে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, অনেকেই আছেন যাঁরা দিনভর ব্যস্ত থাকেন—তাদের জন্য এক ঝটকায় সমস্ত চ্যাটের সারসংক্ষেপ দেখে নেওয়া সম্ভব হবে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মূল বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া যাবে। প্রযুক্তি প্রয়োগ করে একটি উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে চলেছে মার্ক জুকারবার্গ-এর হোয়াটসঅ্যাপ।

  • YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে (YouTube Monetisation) কনটেন্ট বানিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা এখন আর সহজ নয়। আগামী সপ্তাহ থেকেই বদলে যাচ্ছে ইউটিউবের পলিসি। ১৫ জুলাই থেকে একটি নতুন মানিটাইজেশনে পলিসি নিয়ে আসছে গুগল। মূলত, একই ধরনের বা কম খাটনির ভিডিও ক্রিয়েটরদের আয় কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম

    নতুন ইউটিউবের মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নীতিতে ইউটিউব বলেছে, “ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP) এর অংশ হিসাবে এবার মানিটাইজেশনের জন্য, ইউটিউব ক্রিয়েটরদের ‘মূল’ এবং ‘আসল’ ভিডিয়ো আপলোড করতে বাধ্য করা হবে। ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব এই নির্দেশিকা অনুযায়ী আপডেট করবে। যাতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত ও একই ধরনের কনটেন্ট আরও ভালভাবে সনাক্ত করা যায়। এই আপডেটের ফলে যাচাই না করা কনটেন্টগুলি কেমন দেখাতে পারে তাও বোঝা যাবে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে ইউটিউব মানিটাইজেশন অনুমোদনের জন্য ক্রিয়েটরদের ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ্যতার মান পূরণ করতে হবে। একটি চ্যানেলের অবশ্যই কমপক্ষে ১,০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত বছরে ৪,০০০ ঘণ্টা বৈধ পাবলিক ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। অথবা গত ৯০ দিনে ১ কোটি বৈধ পাবলিক শর্টস ভিউ থাকতে হবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের।

    নতুন কী কী পরিবর্তন আনছে ইউটিউব

    প্রথমত, অন্যান্য সোর্স থেকে ধার করা কনটেন্টকে মৌলিক হিসেবে বিবেচনা করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে হবে নতুন কনটেন্টে। দ্বিতীয়ত, বার বার দেখানো কনটেন্টকে ভিউ অর্জনের বাইরেও একটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। এটি অবশ্যই বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক হতে হবে। এই নীতিটি ক্লিকবেট, টেমপ্লেট এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের উপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যে ভিডিওগুলি এআই-জেনারেটেড ভয়েসের উপর নির্ভর করে বা ন্যূনতম সম্পাদনা সহ অন্যান্য নির্মাতাদের উপকরণ পুনরায় ব্যবহার করে তাদের সমস্যা বাড়বে। মূলত ইউটিউবের এই নিয়মের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন থেকে ইউটিউব এমন নির্মাতাদের প্রাধান্য দেবে যারা বিশ্বাসযোগ্য ও আবেগপ্রবণ কনটেন্ট তৈরি করে এবং নিজের চিন্তা ও মেধা দিয়ে ভিডিও বানায়।

    নিয়ম না মানলে কী হবে

    নতুন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নির্মাতারা কী পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন তা অবশ্য ইউটিউব নির্দিষ্ট করেনি। আপডেট করা শর্তাবলীর অধীনে জরিমানা, সাসপেনশন বা স্ট্রাইকের কোনও উল্লেখ নেই। কোম্পানি জানিয়েছে নতুন পদ্ধতি তার মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নিয়মগুলিকে বর্তমান প্রবণতা ও কনটেন্ট কৌশলগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন আপডেট অনুযায়ী ইউটিউব ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের প্রাপ্তবয়স্কদের তত্ত্বাবধান ছাড়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং দেখা নিষিদ্ধ করেছে।

  • India’s lithium-ion battery: ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে, ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় সরকার

    India’s lithium-ion battery: ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে, ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত প্রতিদিন ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। এই আবহে ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহন (EV), স্টেশনারি স্টোরেজ এবং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের দ্রুত বিকাশ ঘটছে। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (LiB) চাহিদা ১১৫ গিগাওয়াট-ঘন্টা (GWh)-তে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাসেনচার (Accenture) ও ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর যৌথভাবে প্রস্তুত করা রিপোর্টে এমনই পূর্বাভাস মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ইভি খাতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (India’s lithium-ion battery) চাহিদা বার্ষিক ৪৮% হারে বাড়বে, যেখানে স্টেশনারি স্টোরেজে ১৪% এবং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সে ৩% হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বৃদ্ধির কারণ

    ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (India’s lithium-ion battery) চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ হল বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি। এছাড়াও সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার বাড়ছে। গ্রিড-ভিত্তিক এবং অন্যান্য শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার জন্য লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের জন্য এই ব্যাটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি।

    সরকারের সাহায্য

    সরকারের প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের ফলে দেশে ব্যাটারি উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ২২০ গিগাওয়াট-ঘন্টা-তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric), রিলায়েন্স নিউ এনার্জি সোলার (Reliance New Energy Solar), ও রাজেশ এক্সপোর্ট (Rajesh Exports) এই স্কিমের আওতায় ৪০ গিগাওয়াট-ঘন্টা উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদা মেটাতে শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, পুনর্ব্যবহার যোগ্য ব্যাটারির পরিমাণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতে ব্যবহৃত ব্যাটারির মাত্র ১% পুনর্ব্যবহার হয়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশগত ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে একটি সম্ভাব্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সুযোগ। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মোহিন্দরু বলেন, “টেকসইতা হলো এই সময়ের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সুযোগগুলির একটি… ভারত যদি এখনই পদক্ষেপ নেয়, তাহলে একটি শক্তিশালী চক্রাকার ব্যাটারি অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং ভারত বিশ্বে ক্লিন টেকনোলজির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।”

  • Changes For UPI Users: অগাস্ট থেকে বড় পরিবর্তন! ইউপিআই সিস্টেমে নতুন নিয়ম, ১০টি এপিআই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা

    Changes For UPI Users: অগাস্ট থেকে বড় পরিবর্তন! ইউপিআই সিস্টেমে নতুন নিয়ম, ১০টি এপিআই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আগামী ১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ১০টি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API)-এর ব্যবহারে কড়া নিয়ম জারি করা হচ্ছে। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) গত ২১ মে একটি সার্কুলারে এই নির্দেশিকা জারি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (PSP) আগামী ৩১ জুলাই, ২০২৫-এর মধ্যে এই ১০টি এপিআই-এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এর মাধ্যমে ইউপিআই (Changes For UPI Users) ব্যবস্থায় অতিরিক্ত লোড কমিয়ে সার্ভার আউটেজ প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ?

    ব্যালান্স অনুসন্ধান (Balance Enquiry): একজন ব্যবহারকারী প্রতিটি অ্যাপে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ বার ব্যালান্স চেক করতে পারবেন। যেমন, পেটিএম (Paytm) বা ফোন পে (PhonePe) দুটোতেই আলাদা করে ৫০ বার করে ব্যালান্স দেখা যাবে।

    লিঙ্কড অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান: প্রতিটি অ্যাপে দিনে ২৫ বার পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট-এর তথ্য জানা যাবে। এর জন্য ব্যবহারকারীর স্পষ্ট সম্মতি দরকার হবে।

    অটোপে ম্যান্ডেট: সকাল ১০টা থেকে ১টা এবং সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ৯:৩০-র মধ্যে এই পরিষেবা কাজ করবে না। একটি ম্যান্ডেটের জন্য ১টি প্রচেষ্টা এবং সর্বাধিক ৩টি পুনঃচেষ্টা করা যাবে, তাও সীমিত গতিতে।

    লেনদেন স্ট্যাটাস চেক: অথেন্টিকেশন হওয়ার পর কমপক্ষে ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। একটি লেনদেনে ২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক ৩ বার চেক করা যাবে।

    সিস্টেম-প্রচলিত (non-user-initiated) এপিআই কল: এই ধরনের কলগুলি পিক আওয়ারে (সকাল ১০টা–১টা ও সন্ধ্যা ৫টা–৯:৩০টা) বন্ধ থাকবে।

    নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তি

    এনপিসিআই (NPCI) স্পষ্ট জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা অমান্য করলে এপিআই (API) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা, নতুন গ্রাহক যুক্তিকরণে স্থগিতাদেশ বা আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সমস্ত ব্যাঙ্ককে ৩১ অগাস্ট, ২০২৫-এর মধ্যে একটি অঙ্গীকারপত্র জমা দিতে হবে, যেখানে জানাতে হবে তারা এপিআই কল যথাযথভাবে দেখছে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতি বছর সিইআরটি-ইন (CERT-In) অনুমোদিত অডিটর দ্বারা সিস্টেম নিরীক্ষা করাতে হবে। এর শুরু ৩১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে। এনপিসিআই (NPCI)-র মতে, এই নতুন নিয়মগুলি ব্যস্ত সময়ে ইউপিআই ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। ইউজারদের কিছুটা ব্যবহার বদলাতে হলেও, সামগ্রিকভাবে এটি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও মজবুত করবে।

  • Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সাইবার জগতে তীব্র চাঞ্চল্য। সামনে এল ইতিহাসের বড় তথ্য চুরির ঘটনা (Mega Data Breach)। সাইবার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ১৬ বিলিয়ন (১৬০০ কোটি) লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। ফাঁস হওয়া এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি সংস্থা গুলোর অ্যাক্সেস ক্রেডেনশিয়াল, যার প্রভাব পড়তে পারে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ওপর।

    কী বলছে ফোর্বস পত্রিকা (Mega Data Breach)

    ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই তথ্যে অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবার লগইন ও পাসওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করছেন, এই ঘটনার ফলে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়ে যেতে পারে।

    ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডসহ অরক্ষিত ডেটাবেস (Mega Data Breach)

    একটি অসুরক্ষিত ওয়েব সার্ভারে পাওয়া গিয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডের এক রহস্যময় ডেটাবেস। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গবেষকরা এখনও পর্যন্ত ৩০টি পৃথক ডেটাসেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেগুলোর প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড রয়েছে। এসব ডেটায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামাজিক মাধ্যম, ভিপিএন, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস তথ্য।

    শুধু তথ্য ফাঁস নয়, সাইবার অপরাধের ব্লুপ্রিন্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল একটি ‘ডেটা ব্রিচ’ (Mega Data Breach) নয় বরং একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের নীল নকশা। পূর্ববর্তী ফাঁস হওয়া তথ্য নয়, বরং এটি একেবারে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য তথ্য। যা ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই তথ্য ব্যবহার করে চালানো হতে পারে অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক এবং ব্যবসায়িক ইমেল কম্প্রোমাইজ। এই প্রসঙ্গে কিপার সিকিউরিটির সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড্যারেন গুসিওন জানিয়েছেন, এই ডেটা বহু অনলাইন পরিষেবার মূল অ্যাক্সেস তথ্য ধারণ করে, যার ফলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য।

    পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে বলছে গুগল (Google)

    গুগল (Google) এই ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনার কারণেই ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মত পুরনো সাইন-ইন পদ্ধতি থেকে সরে আসতে বলছে। এর পরিবর্তে জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল। ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণের জন্য গুগল তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে পাসকি এবং সোশ্যাল সাইন-ইনে আপগ্রেড করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। গুগলের (Google) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত করে এবং জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার হুমকির মোকাবিলায় আরও প্রস্তুত হতে এবং দেশের সাইবার ইকোসিস্টেমকে (Digital Ecosystem) সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ চলবে ১০ দিন, যার দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাইবার সুরক্ষা’ (Cyber Suraksha)।

    কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কী? (Cyber Suraksha)

    এমন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল জাতীয় স্তরের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাইবার হুমকি প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একশোরও বেশি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, যাঁরা প্রত্যেকেই সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

    কী শেখানো হয় এই প্রশিক্ষণে? (Cyber Suraksha)

    এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের (Digital Ecosystem) আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার হুমকি কীভাবে সনাক্ত ও প্রতিহত করতে হয়, তা হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। এছাড়া জটিল সাইবার হুমকিগুলোর মোকাবিলা কীভাবে করতে হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার ব্যবহার নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    দক্ষতা বৃদ্ধি পেল অংশগ্রহণকারীদের (Cyber Suraksha)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রশিক্ষণের ফলে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সাইবার হামলার সময় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। মনে করা হচ্ছে এমন প্রশিক্ষণের (Cyber Suraksha) ফলে দেশের সামরিক ও অসামরিক দুই ক্ষেত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে।

    বাড়ছে সাইবার অপরাধ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়মিতভাবেই আয়োজন করা হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বের সাইবার পরিকাঠামো যত উন্নত হচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার অপরাধ ও হুমকির সম্ভাবনা। ভারতের ক্ষেত্রেও সাইবার সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে এবার ছোট ছোট গ্রুপেও ভয়েসচ্যাট, নতুন ফিচার কীভাবে ব্য়বহার করবেন?

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে এবার ছোট ছোট গ্রুপেও ভয়েসচ্যাট, নতুন ফিচার কীভাবে ব্য়বহার করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেটা তাদের জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) একটি নতুন ফিচার চালু করল ৷ যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গ্রুপ চ্যাটে লাইভ অডিওর সাহায্য়ে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন ৷ গ্রুপ চ্যাটে কথা বলার সময় সহজেই ভয়েস কলে স্যুইচ করতে পারবেন। এতদিন এটি শুধু বড় গ্রুপের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন থেকে যেকোনও গ্রুপেই এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এটি এক ধরনের গ্রুপ কলের মতো হলেও, আলাদা করে সবাইকে কল করে বিরক্ত না করেই চুপচাপ চ্যাটে একটি পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এতে যোগ দিতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভয়েস চ্যাটে নতুন কী?

    হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) জানিয়েছে, আপডেটের ফলে এখন সব গ্রুপেই সদস্যরা লাইভ অডিও চ্যাটে যুক্ত হতে পারবেন এবং একইসঙ্গে লিখিত বার্তাও পাঠাতে পারবেন। যে কেউ সহজেই গ্রুপ চ্যাটে স্ক্রিনের নিচের দিক থেকে ওপরের দিকে সোয়াইপ করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখলেই ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারবেন। এতে কারও ফোনে রিং বাজবে না বা বিরক্তিকর নোটিফিকেশন আসবে না, ফলে কম-বিরক্তির একটি অভিজ্ঞতা দেবে এই ফিচার। ভয়েস চ্যাটেও টেক্সট চ্যাটের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে। চ্যাটটি শুরু হলে, এটি গ্রুপ চ্যাটের নিচে পিন হয়ে থাকবে। এতে সহজেই দেখা যাবে কারা অংশ নিচ্ছেন এবং কেউ চাইলেই মাঝখানে জয়েন বা বের হতে পারবেন। ভয়েস চ্যাটে অংশ নেওয়ার জন্য চ্যাট থেকে বের হয়ে আলাদা কোনও কল স্ক্রিনে যাওয়ার দরকার হবে না।

    এই ফিচারটি কীভাবে ব্যবহার করবেন

    স্টেপ ১: হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে

    স্টেপ ২: যে গ্রুপে ভয়েস চ্যাট শুরু করতে চান সেই গ্রুপে ট্যাপ করতে হবে

    স্টেপ ৩: চ্যাটের নীচের অংশে আসতে হবে

    স্টেপ ৪: উপরে সোয়াইপ করে এবং কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে, যতক্ষণ না নীচে ”Keep holding to talk” এই মেসেজটি দেখা যায় ৷

    স্টেপ ৫: কানেক্ট বোতাম এবং নীচে ‘Release to talk’ লেখা একটি মেসেজ দেখতে পাবেন, তখন হোল্ডটি ছেড়ে দিতে হবে।

    স্টেপ ৬: এখন আপনি বৈশিষ্ট্যটি সেট আপ করতে পারেন এবং ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারেন

    হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) এই ভয়েস চ্যাট ফিচার গ্রুপ কমিউনিকেশনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। নতুন বৈশিষ্ট্যটি হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় সংস্করণেই উপলব্ধ। ব্যবহারকারীদের তাদের অ্যাপটি আপডেট রাখতে এবং যদি এটি ইতিমধ্যেই চালু না থাকে তবে বৈশিষ্ট্যটির জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

LinkedIn
Share