Tag: মাধ্যম

  • Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পরে বঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁকে স্বাগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ (West Bengal)। আজ রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে রয়েছে তাঁর। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পরে প্রথম রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় কয়েক মিনিট থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত থেকে আবার ফের গাড়িতে ওঠেন শাহ। তার পরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় বাইপাসের ধারের এক হোটেলে।

    পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, রবিবার তিনটি কর্মসূচি রয়েছে শাহের। এরমধ্যে সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। ওই বৈঠকে বিধানসভার রণকৌশল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিশা দেখাবেন তিনি (Amit Shah)। বিজেপির পাখির চোখ যে পশ্চিমবঙ্গ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেই ইঙ্গিতই করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিউটাউনের বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটের (West Bengal) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিস্তারিতভাবেই।

    কলকাতার উদ্দেশে বিজেপি পদাধিকারীরা (Amit Shah)

    ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (Amit Shah)। তাঁরা প্রত্যেকেই নেতাজি ইন্ডোরে শাহি সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পদাধিকারীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কলকাতায়। এই সভায় বাংলার সাংসদ, বিধায়করাও হাজির থাকবেন। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি পদাধিকারীরা যাচ্ছেন কলকাতার উদ্দেশে।বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে কোনঠাসা শাসক দল।বিজেপি সূত্রে খবর, নেতাজি ইন্ডোরের কর্মসূচির আগে অবশ্য রাজাহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে সিএফএসএলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর সেখান থেকেই তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে। সাংগঠনিক সভা শেষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেটি আয়োজিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয়।

  • Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন! আর সেই উৎসবের তালিকায় অন্যতম হলো জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। বাঙালির আর পাঁচটা উৎসবের মতোই এই উৎসবেও থাকে দেদার খানাপিনা! ভুরিভোজ বাদ দিয়ে বাঙালির কোনো উৎসবের উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে সুস্থ শরীরের জন্য খাবারে বিশেষ রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে পরিমাণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উৎসব উপভোগ সম্ভব।

    জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন দিকে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    পরিমাণে বাড়তি রাশ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বারবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, যত সুস্বাদু খাবার থাকুক না কেন, একসঙ্গে না খেয়ে, সারাদিনে ভাগ করে খেলেই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে।

    কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বাঙালির ভুরিভোজে লুচি, পোলাও, ভাত আর আলুর দম, এগুলো‌ বাদ দেওয়া খুব মুশকিল (Jamai Sasthi)। বেশিরভাগ বাঙালির পছন্দের এই খাবার কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা এই তিন সমস্যা এখন প্রায় দেখা যায়। তাই খাদ্যাভাস নিয়ে মানুষের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, ডায়েবেটিস এবং স্থুলতার মতো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই লুচি, ভাত কিংবা পোলাওয়ের মতো‌ খাবার একসঙ্গে একেবারেই খাওয়া চলবে না বলে‌ই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের দিনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যেকোনও একটি পদ অত্যন্ত কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

    প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে নজরদারি জরুরি!

    হরেক পদের মাছ কিংবা মাংস ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া অসম্পূর্ণ! তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জামাইষষ্ঠীর মেনুতে ইলিশ (Jamai Sasthi), চিংড়ির মতো মাছের পাশপাশি মটন কারির মতো পদ রাখেন। আর এর জেরেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার মটনে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট (Jamai Sasthi Special)। একসঙ্গে এত রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পরিমিত পরিমাণে যেকোনও এক রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। তবে কখনোই যথেচ্ছ নয়।

    মিষ্টির ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন! (Jamai Sasthi)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। ডায়বেটিস এবং স্থুলতার মতো রোগ রুখতে নিয়মিত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি। বাঙালির ভুরিভোজে মিষ্টি থাকেই। শেষ পাতে মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা, সন্দেশের নানান পদ। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে, মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তবে ডায়বেটিস না থাকলেও‌ মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়বেটিস। তাই কমবেশি সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    স্বাস্থ্যকর কোন পদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারেও উৎসব উদযাপন সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) নানান রকমের পদ তৈরি করে সাজিয়ে খাবার দেওয়ার রেওয়াজ জারি থাকুক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাঁদের পরামর্শ, নানান রকমের মিষ্টিতে প্লেট সাজানোর পরিবর্তে, নানান রকমের ফল দেওয়া যেতে পারে। আপেল, আম, বেদানা, জামের মতো নানান রঙের ফল একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে, দেখতেও ভালো লাগবে আবার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। ফলে সমস্যা হবে না।
    দুপুরের ভুরিভোজে ময়দার তৈরি লুচির পরিবর্তে বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাগি, মিলেট কিংবা বাজরার তৈরি রুটির ভিতরে বিভিন্ন সব্জির পুর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নানান স্বাদ এবং রঙের খাবার হবে। এগুলো স্বাস্থ্যকর। শরীরে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। বরং এই সব দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা পরোটা শরীরের জন্য উপকারি। পেশি মজবুত করতে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার রকমারি পদ ও হবে।
    মটন কিংবা চিকেনের অতিরিক্ত মশলা দেওয়া পদের পরিবর্তে গ্রিলড‌ কিংবা বেকড করা পদ‌ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে তেল ও মশলা কম লাগবে। আবার প্রাণীজ প্রোটিনের গুণ শরীরে পৌঁছবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে।

  • Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মে জন্মদিন লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai)। ৩০০ বছর আগে ১৭২৫ সালে আজকের দিনেই জন্ম নেন লোকমাতা অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণের কারণে তাঁর শাসন ব্যবস্থা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের শাসন ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এভাবেই তাঁর রাজত্বে প্রতিধ্বনিত হত প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর শাসনব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি সুশাসন ছিল না, উপরন্ত একটি পবিত্র জনকল্যাণমূলক পরিষেবা ছিল। যার ভিত্তি ছিল প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিকতা। প্রতিদিন ভোর ৪টেতে উঠতেন রানি। শৈব, বৈষ্ণব এই দুই মতে সারতেন পুজো। তারপর বসতেন নিজের দরবারে।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ।

    নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির। সামরিক অভিযানে স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর মালহার, হোলকার সাম্রাজ্যকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে শুরু করেন।

    রাজধানী ছিল মাহেশ্বর (Ahilyabai)

    অহল্যা বাঈ হোলকারের রাজধানী ছিল মাহেশ্বর। এই জনপদকেই তিনি সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং সুশাসনের কেন্দ্র ভূমিতে পরিণত করেন। তাঁর রাজত্বে ছিল সুবিচার, জনকল্যাণ ও অহিংসা- এই সমস্ত কিছুরই প্রাণকেন্দ্র। অহল্যা বাঈকে জানতে গেলে আগে বুঝতে হবে, তাঁর মাহেশ্বর সাম্রাজ্যকে। কীভাবে তিনি তাঁর এই রাজধানীকে গড়ে তুলেছিলেন নর্মদা নদীর ধারে। এটি পরিণত হয়েছিল একটি কর্মভূমিতে। যেখানে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা প্রতিধ্বনিত হত। সহাবস্থান করত প্রাচীন ভারতীয় নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতা। তাঁর দরবারে ছিলেন বিদ্বান, জ্ঞানী, পণ্ডিত, শিল্পী, সাধু সন্তরা এবং কূটনীতিকরা।

    জনগণ তাঁর দরবারে আসতে উৎসাগহিতবোধ করত

    তাঁর প্রতিদিনকার শাসনের মধ্যে থাকত তন্ত্র চুক্তি এবং রাজধর্ম। এই দুই নীতির উপর ভিত্তি করেই তিনি রাজত্ব চালাতেন। যেটি তিনি অর্থশাস্ত্রের মতো গ্রন্থগুলি থেকে নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের জীবনোন্নয়নের মানকে তিনি অনেক ওপরে তুলতে পেরেছিলেন। তাঁর দরবারে আসতে জনগণ উৎসাহিত বোধ করত। কারণ তারা জানত এখানেই মিলবে সুবিচার। এখানেই মিলবে সুশাসন। তিনি তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন যে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক পদক্ষেপে যেন নৈতিকতা এবং সুবিচারের আবরণ থাকে। অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন। তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    সংস্কারমূলক কাজ

    অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai Holkar) শাসন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কার। যেসময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছে এবং ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করছে। আফগান আক্রমণ হচ্ছে ও মারাঠা সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ছে। সেই সময় তিনি নতুনভাবে এই ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাঁথার কাজ শুরু করেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার সাধু মহাত্মাদের জন্য আশ্রম তৈরি করে দিতেন। ভগ্ন মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করতেন। যে মন্দিরগুলিকে ইসলামিক আক্রমণকারীরা বারবার হামলা করে ভেঙে দিয়ছিল। এর পাশাপাশি তিনি অনেক বাণিজ্য পথ তৈরি করেছিলেন, মধ্য ভারতের ওপর দিয়ে। অহল্যা বাঈয়ের আগে যেভাবে ভারতবর্ষ শাসন হয়েছে, সেখানে ইসলামিক আমলে মধ্যযুগের শুধুমাত্র ধ্বংস এবং হিংসার রাজনীতির দেখা দিয়েছে।

    আগ্রাসনে বিশ্বাস রাখতেন না

    দেশীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে তিনি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন। শুধু তাই নয়, সেখানে তিনি দূত নিয়োগও করতেন। তিনি কখনও আগ্রাসনকারীর ভূমিকা নেননি। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক তত্ত্বগুলিতে যে ধরনের কূটনীতি দেখা যায়, অহল্যা বাঈ হোলকার (Ahilyabai Holkar) সম্পূর্ণ তার বিপরীত পথে হেঁটেছিলেন এবং তাঁর কূটনীতিতে একেবারেই ব্রাত্য ছিল আগ্রাসন।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

  • ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে পেহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির (ISI Assets) হাতে কমপক্ষে ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক হয়েছে। এদের প্রত্য়েকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং পাঞ্জাবে থেকেই বেশিরভাগকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ট্রাভেল ব্লগার তো কেউ সরকারি কর্মচারী, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার।

    সিআরএফ কর্মী মতি রাম জাট (ISI Assets)

    সম্প্রতি, গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের একজন জওয়ান মতি রাম জাটকে। জানা গিয়েছে, সে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিল না কিন্তু কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক জায়গাতেই তার যাতায়ত ছিল। একেই কাজে লাগাতে শুরু করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এন আই এর সূত্রে জানা গিয়েছে মতিরাম যার ২০২৩ সাল থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য সে পাচার করতে থাকে। ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতেই দিল্লি থেকে মতি রামকে গ্রেফতার করা হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মা (ISI Assets)

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এটিএস গ্রেফতার করে ২৭ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মাকে। মুম্বাইয়ের একটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করত এই ইঞ্জিনিয়ার। দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভারতের নৌ ঘাঁটিতে রবীন্দ্রের যাতায়াত ছিল বলে জানা যায়। সে সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কিত নানা কাজে যুক্ত ছিল। নৌ বাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন স্কেচ, ডায়াগ্রাম এবং অডিও শেয়ার করতে শুরু করে সে পাক এজেন্টদের সঙ্গে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে রবীন্দ্র পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে বলে জানা গিয়েছে।

    ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা (ISI Assets)

    দেশের মধ্যে সবচেয়ে চর্চা শুরু হয় পাকিস্তানের গুপ্তচর জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে। হরিয়ানার এই ট্রাভেল ব্লগার সরাসরি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের তথ্য সরবরাহ করত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয় জ্যোতি দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করে (ISI)। পাকিস্তান সফরের সময় আইএসআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। এছাড়াও চিনসহ একাধিক বিদেশ ভ্রমণের জন্য তার টাকার যোগান দেয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

    স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল

    পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (ISI) করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সহদেব সিং গোহিলকে। জানা গিয়েছে, সহদেব সিং গোহিল ২৮ বছর বয়সি এবং সে গুজরাটে একটি নবনির্মিত বিমান ঘাঁটি এবং বিএসএফের গোপন ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানি এজেন্ট এর সঙ্গে শেয়ার করেছিল। ২০২৩ সালেই সে হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আছে। আসলে এই অদিতি ছিল পাকগুপ্তচর। ছদ্মনাম ব্যবহার করত।

    দরিদ্র যুবকদের টার্গেট

    এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, হরিয়ানা সমেত দেশের অন্যত্র অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল, সেই সমস্ত যুবকদের টার্গেট করছে আইএসআই এবং এজেন্ট বানানোর চেষ্টা চলছে। পাতিয়ালাতে ২৫ বছর বয়সি এক ছাত্র দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সে পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছিল।

    ২৪ বছর বয়সি নওমান ইলাহিকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেখা যায় সে তার শ্যালকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আইএসআই হ্যান্ডেলারদের কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছে।হরিয়ানাতেই ২৩ বছর বয়সি আরমান এবং তারিফ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    আমলা যখন পাক গুপ্তচর

    রাজস্থানের সরকারি আধিকারিক সাকুর খানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ৪৯ বছর বয়সি সাকুর খান, অশোক গেহলটের জমানায় এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত বলে জানা যায়। সে ৭ বার পাকিস্তান সফর করে, এরপরেই তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    সিমকার্ড সরবরাহকারী

    দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি রাজস্থানের এক ৩৪ বছর বয়সি যুবক কাসিমকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে পাকিস্তানের এজেন্টদেরকে মোবাইলের সিম কার্ড সরবরাহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সে দুবার পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছে।

    ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তিবিদ

    উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যার নাম শাহজাদ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই এজেন্ট একাধিকবার সে দেশে সফর করে এবং গুপ্তচরদের হাতে বিভিন্ন তথ্য তুলে দেয়। জলন্ধরে আর এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুরতাজাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গুপ্তচরদের সাহায্য করার।

  • Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা। এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরকারি ভবনের দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিএলএ বা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ঘোষণা করেছে যে শহরে পুলিশ স্টেশন, প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস সহ পুরো সুরাব শহরকেই তারা দখল করেছে। বালোচ কমান্ডাররা দাবি করেছেন যে তাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী পিছু হঠে। অভিযানের সময় একজন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হত্যার দায়ও তারা নিয়েছে (Balochistan Liberation Army)। পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্রও তারা কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

    কী বললেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচ (Balochistan)

    সুরাব শহরকে দখলের পরেই বিবৃতি সামনে আসে বিএলএ মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যোদ্ধারা সুরাবের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পাশাপাশি কোয়টা ও করাচির যে জাতীয় সড়ক, সেই সড়কের চেকপোস্টগুলি এবং টহলদারি ব্যবস্থাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

    শুক্রবার সন্ধ্যাতে চলে হামলা (Balochistan)

    প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গোটা শহর। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সড়ক যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তারা সিল করে দিয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যাতে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলিতে হামলা শুরু করে। পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

    জোর করে বালোচিস্তান দখল করে পাকিস্তান (Balochistan)

    বালোচিস্তান (Balochistan) হল পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং ইউরেনিয়াম সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় এই প্রদেশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান জোরপূর্বক এই অঞ্চলটি দখল করে। সেই থেকেই শুরু বিদ্রোহ।বর্তমানে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধরাণ করে। পাকিস্তানি সেনা ও সরকার কোনওভাবেই নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

  • NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক মাইলফলক এল দেশের সামরিক ইতিহাসে। পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হল ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ (NDA)। এর পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট হলেন পুরুষ বিভাগেরও ৩০০ জন। ত্রি-সেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রপাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘Antim Pag’ (শেষ ধাপ) পেরিয়ে যান এই ক্যাডেটরা। ২৯ মে পাসিং আউট প্যারেডের রিভিউ অফিসার হিসাবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং ও মিজোরামের বর্তমান রাজ্যপাল।

    ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় (NDA)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২২ সালে এনডিএ-র ১৪৮তম কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ক্যাডেটের এই প্রথম ব্যাচ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের আবেদনের অনুমতি দেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। এরপরেই অ্যাকাডেমি ক্যাডেট ক্যাপ্টেন উদয়বীর নেগি ১৪৮ তম কোর্সের প্যারেডের নির্দেশ দেন।

    কী বললেন ভিকে সিং

    জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘‘আজ অ্যাকাডেমির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ, NDA থেকে বেরোল মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষমতায়নের দিকে আমাদের সম্মিলিত যাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই তরুণীরা “নারী শক্তি”র অনিবার্য প্রতীক, যা কেবল নারী উন্নয়নই নয়, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নেরও প্রতীক। আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করি, খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে এই তরুণীদের মধ্যে একজন তাঁদের (Women Cadets) সেবার সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হচ্ছেন।’’

    কী বললেন শ্রীতি দক্ষ

    ১৭ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩৯ জন ক্যাডেটেরই দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন ক্যাডেট পেয়েছেন বিএসসি ডিগ্রি। ৮৫ জনকে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি, ৫৯ জনকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ও ১১১ জন বি.টেক ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্যাচেলর অফ আর্টস স্ট্রিমে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন শ্রীতি দক্ষ। অ্যাকাডেমিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দক্ষ বলেন, ‘‘এখানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ আবেগের মিশ্রণ। প্রাথমিকভাবে এখানে আয়ত্ত করতে একটু সময় লেগেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ইন্সট্রাক্টর, স্টাফদের সাহায্যে অ্যাকাডমির (NDA) সঙ্গে একাত্মবোধ করি।’’

    প্রসঙ্গত, একই স্কোয়াড্রনের এক্স-এনডিএ হলেন শ্রীতি দক্ষের বাবা । তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, বি টেক স্ট্রিম থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের যথাক্রমে তাঁদের নিজ নিজ প্রাক-কমিশনিং প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি- ভারতীয় নৌ অ্যাকাডেমি এবং বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাঁদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

  • AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর অবশেষে গতি পেতে চলেছে দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণের কাজ। এবার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের অ্যামকা যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরি করবে। প্রথম ধাপ হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমানের পাঁচটি প্রোটোটাইপ।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক!

    মূল উৎপাদন শুরু করার আগে, অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (অ্যামকা) ৫টি প্রোটোটাইপ উৎপাদন করবে ভারত। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘অ্যামকা প্রকল্পের (AMCA Programme) অধীনে পাঁচটি প্রোটোটাইপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যা পরবর্তীতে সিরিজ উৎপাদনে যাবে।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকার ইতিমধ্যেই অ্যামকা-র জন্য একজিকিউটিভ বা কার্যকারী মডেল অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মাত্র দুই দিন আগে, অ্যামকা প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণরূপে ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরির জন্য কার্যকারী মডেল অনুমোদিত হয়েছে।’’ রাজনাথ (Rajnath Singh) যোগ করেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ প্রথম বার, দেশের একটি মেগা প্রতিরক্ষা প্রকল্পে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাকে হাতে হাত মিলিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।’’ এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) ও একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অ্যামকা তৈরি করছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, প্রথম প্রোটোটাইপটি ২০২৮ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে উন্মোচিত হওয়ার কথা। আর সিরিজ উৎপাদন ২০৩২ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা।

    অন্যদের থেকে প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকবে অ্যামকা!

    অ্যামকা (AMCA Programme) নির্মাণে একাধিক বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এটি হতে চলেছে স্টেলথ মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার। বিভিন্ন মিশনে বিভিন্ন সম্ভাব্য ভূমিকার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হবে এই ভবিষ্যতের জেটকে। যেমন— এয়ার সুপ্রিমেসি (ডগফাইটে ওস্তাদ) থেকে শুরু করে ভূমিতে-আক্রমণ (বম্বার)। আবার শত্রু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া (সিড) থেকে শুরু করে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তছনছ করা (ইলেকট্রনিক যুদ্ধকৌশল)— এক হাতে সব সামলাতে পারবে অ্যামকা (AMCA Programme)। অর্থাৎ, এক কথায় সর্বগুণস্পন্ন হতে চলেছে ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা অন্য দেশের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় কয়েক কদম এগিয়ে। এমনকি, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুল্যমূল্য হবে অ্যামকা। যে কারণে, অ্যামকার নকশায় একাধিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বদল আনা হয়েছে। যেমন— টুইন-টেইল লেআউটের মাধ্যমে স্টেলথ রেডার, প্ল্যাটফর্ম এজ অ্যালাইনমেন্ট অ্যান্ড সেরেশন, বডি কনফর্মাল অ্যান্টেনা অ্যান্ড লো ইন্টারসেপ্ট রেডার, ডাইভার্টারলেস সুপারসনিক ইনলেট (DSI) সার্পেন্টাইন ডাক্ট যা ইঞ্জিন ফ্যান ব্লেডকে আড়াল করবে, ইন্টার্নাল ওয়েপন্স বে, এবং এয়ারফ্রেমে কম্পোজিটের (কার্বনের যৌগ দিয়ে তৈরি) ব্যাপক ব্যবহার।

  • Menstrual Cycle: সময়ের ‘আগে’ ঋতুমতী হচ্ছে ভারতীয় মেয়েরা! বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    Menstrual Cycle: সময়ের ‘আগে’ ঋতুমতী হচ্ছে ভারতীয় মেয়েরা! বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়ঃসন্ধিকালে (Adolescence) বদলে যায় শরীরের গঠন। শরীরে সক্রিয় হয় একাধিক হরমোন। আর তার ফলেই নানান পরিবর্তন হয়। শরীর এবং মনের বদলের প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। প্রাকৃতিক নিয়মেই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েরা ঋতুমতী (Menstrual Cycle) হয়। পরবর্তী জীবনে মা হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ। তবে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মেয়েরা ‘সময়ের আগেই’ ঋতুমতী হচ্ছে।‌ যা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই বাড়তি যত্নও জরুরি (Menstrual Health Hygiene) বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ‘সময়ের আগে’ ঋতুমতী (Early Age Periods) কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বারো কিংবা তেরো হলে শরীরে নানান হরমোনের পরিবর্তন ঘটে‌। আর তার জেরেই মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। ঋতুচক্র (Menstrual Cycle) শুরু হয়। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে, মেয়েদের আট থেকে ন’বছর বয়সের মধ্যেই ঋতুচক্র শুরু হয়ে যাচ্ছে। বয়স দশ বছর পার হওয়ার আগেই মেয়েদের প্রথম ঋতুস্রাব হচ্ছে। এর ফলে, শরীর ও মনের পরিবর্তন ও শুরু হয়ে যাচ্ছে। একেই সময়ের আগে ঋতুমতী হওয়া বোঝানো হচ্ছে।

    কেন সময়ের আগে ঋতুমতী হচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশের পরিবর্তনের জেরেই এমন বদল হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল আগেই শুরু হচ্ছে। খাদ্যাভাস, জীবন যাপনে বদল এবং পরিবেশ দূষণের জেরেই নানান পরিবর্তন ঘটছে। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে নানান বদল ঘটছে। বয়ঃসন্ধিকাল এগিয়ে আসাও তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কেন বাড়তি যত্নের প্রয়োজন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম বয়সে ঋতুমতী (Early Age Periods) হলে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, আট থেকে দশ বছরের মেয়ে ঋতুমতী হলে, তাকে ছয় থেকে সাত বছর বয়সেই এই বিষয়ে সচেতন (Menstrual Awareness) করা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই পরিবার, শিশুকন্যাকে এই বিষয়ে বোঝানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। তার আগেই শিশু কন্যা ঋতুমতী হচ্ছে। এর ফলে তার কাছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তাই দশ-বারো বছরের মেয়েদের মতো নয়। পরিবারের সদস্যদের ছয় থেকে সাত বছরের শিশুকে‌ ঋতুস্রাব (Menstrual Cycle) সম্পর্কে বোঝানোর প্রশিক্ষণ জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হরমোনের পরিবর্তনের জেরেই এই ঘটনা। ঋতুস্রাব কোনও অসুখ নয়। পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের উপায় সম্পর্কেও সাত বছরের পরেই মেয়েদের বোঝানো‌ জরুরি।
    তার পাশপাশি, শিশুর বাড়তি যত্ন জরুরি। অর্থাৎ দ্রুত ঋতুস্রাব হলে, শরীরে আয়রনের বাড়তি জোগান জরুরি। তাই কন্যা শিশুকে নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা, মাছ খাওয়ানো জরুরি। তাতে শরীরে আয়রনের জোগান ঠিকমতো থাকবে। শরীর দূর্বল হবে না।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অধিকাংশ স্কুলে শৌচালয়ের স্বাস্থ্যবিধি (Menstrual Health Hygiene) মেনে চলা হয় না। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষত ঋতুস্রাব চলাকালীন শৌচালয়ের বাড়তি পরিচ্ছন্নতা জরুরি। সে ব্যাপারেও শিশুকে সচেতন করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর ছয় কিংবা সাত বছর বয়স হলেই সে বিষয়ে জানানো দরকার। সতর্ক করাও দরকার। যাতে ঋতুস্রাব হলে শৌচালয় সংক্রান্ত সংক্রমণ এড়ানো যায়। সে সম্পর্কেও সচেতন করা জরুরি।

    কোন খাবার নিয়মিত দেওয়া দরকার?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সময়ের আগে ঋতুমতী (Early Age Menstruation) হওয়ার জেরে মেয়েদের বাড়তি যত্ন জরুরি। যাতে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যা বা সংক্রমণ না ঘটে। তাই নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারে নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি (Menstrual Health Hygiene)।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ রুখতে হলুদ বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত হলুদ শরীরে পৌঁছলে মেয়েদের নানান সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সময়ের আগে ঋতুস্রাব (Menstrual Cycle) হলে শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন। তাই শিশুদের নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া দরকার। যাতে শরীরে রোগ‌ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। তাই লেবু, কিউই, ডিম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    এর পাশপাশি আয়রন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার মেয়েদের ছোটো থেকেই নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মাছ, বেদানা, আপেল, মোচা খাওয়ার পাশপাশি নিয়মিত দুধ কিংবা টক দই খাওয়া দরকার (Menstrual Health Hygiene)।‌ এতে হাড় মজবুত থাকে। শরীরে আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    নিয়মিত এক মুঠো তিল (Sesame Seeds), আর তাতেই হবে বাজিমাত। একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। আধুনিক জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হাড়ের রোগের মতো সমস্যা এখন খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দিচ্ছেন, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক এক মুঠো তিল। তাতেই একাধিক রোগের (Medicinal Benefits) সমস্যা কমবে।

    হাড়ের সমস্যা কমাবে তিল (Sesame Seeds)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বাড়লে হাড়ের সমস্যা। কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণার জেরে, অনেকের নিয়মিত কাজেও প্রভাব পড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই হাড়ের রোগ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই বয়স তিরিশের‌ চৌকাঠে পৌঁছলেই নিয়মিত তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমবে।

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক নানান সমস্যা বাড়ছে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাজের চাপ এবং পারিপার্শ্বিক নানান কারণে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। এই মানসিক চাপ কমাতেও তিল সাহায্য করে। তাই তিরিশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তিল (Sesame Seeds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিল খেলে শরীরে সেরোটোনিন তৈরি হয়। এই সেরোটোনিনের অভাবেই মস্তিষ্কে উদ্বেগ বাড়ে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই নিয়মিত তিল খেলে এই উদ্বেগ কমবে। মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের হৃদরোগ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত তিল খেলে এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের (Sesame Seeds) মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও যৌগ রয়েছে। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া তিলের বীজে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Medicinal Benefits)।

    হজমের গোলমাল কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এখন তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়মিত খাওয়া এবং অধিকাংশ সময়েই চটজলদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন হজমের গোলমালের জেরে লিভার এবং অন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এর দীর্ঘপ্রসারি ফল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।‌ তিলে (Sesame Seeds) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

    অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাবে তিল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলারা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। আয়রনের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তিলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই হিমোগ্লোবিন কম থাকলে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।

    কীভাবে তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিলের বীজ থেকে তিলের তেল তৈরি করা যায়। রান্নায় ওই তিল নিয়মিত অল্প ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া তিলের বীজ (Sesame Seeds) থেকে নাড়ু বা লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, চিনি বা গুড় ব্যবহার করা যাবে না। তিলের বীজ গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে কাঠবাদাম কিংবা পেস্তা গুঁড়ো মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে, নিয়মিত একটা করে খেলে প্রচুর উপকার (Medicinal Benefits) পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share