Tag: মাধ্যম

  • Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেফতার বা আটক হয়ে ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলে চলে যাবে মন্ত্রিত্ব। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী রেয়াত করা হবে না কাউকেই। ৫ বছরের বেশি কারাবাসের সাজা হতে পারে এমন ফৌজদারি মামলায় ৩০ দিনের বেশি জেলবন্দি থাকলেই যাবে মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি (Indian Constitution) পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর ইতিমধ্যেই তা নিয়ে রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। আর সেই তাণ্ডবের পুরভাগে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদি সরকারের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বিরোধীদের তাণ্ডবে প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের চুরি, জোচ্চুরি, দুর্নীতি এবং অপরাধের মামলায় জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারাই বিলের বিরোধিতায় সরব?

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। সংবিধান (Indian Constitution) সংশোধন করে অপরাধে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের পদ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছে তারা। আর তাতেই সবচেয়ে বেশি জ্বালা ধরেছে সেই বিরোধীদের। যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অপরাধের অভিযোগ ভুরি ভুরি। ভেবে দেখুন যে কোনও সরকারি কর্মচারী যদি ২৪ ঘণ্টা জেলবন্দি থাকেন, তাহলে তাঁর পরিণতি ঠিক কী হতে পারে। আইন অনুসারে চাকরি হারাতে হয় সেই সরকারি কর্মীকে। তবে মন্ত্রীরা বাদ যাবেন কেন? নৈতিকতা কি শুধু সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য? ভোটে জিতলে কি নৈতিকতা পকেটে করে নিয়ে ঘোরা যায়? গ্রেফতারির ৩০ দিনের মধ্যে যদি কাউকে আদালত জামিন না দেয় তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পক্ষে ধর্তব্যযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

    সংবিধান নির্মাতাদের কল্পনারও বাইরে ছিল, চুরির দায়ে মন্ত্রীরা জেলে যেতে পারেন

    এদেশের সংবিধান তৈরির (Indian Constitution) জন্য গঠিত হয়েছিল গণপরিষদ, যার সভাপতি ছিলেন ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ। খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাবাসাহেব বি আর আম্বেদকর। ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে, যার সভাপতিত্ব করেন সচ্চিদানন্দ সিনহা। এইভাবে ধাপে ধাপে চলতে থাকে সংবিধানের কাজ। ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন পরে সংবিধান রচনা শেষ হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদের সংবিধান গৃহীত হয়। দেশে সংবিধান লাগু হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এই এত দীর্ঘ সময় ধরে সংবিধান নির্মাতারা বসে বসে সংবিধানকে নির্মিত করেন। কিন্তু তখনও সংবিধান নির্মাতারা এটা বুঝতে পারেননি যে অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য জেলে যেতে হত নেতাদের স্বাধীনতার আগে, আর স্বাধীনতার পরে দুর্নীতি-অপরাধের দায়ে নেতারা জেলে যাবেন, মন্ত্রীরা জেলে যাবেন, তার পরেও তারা নিজেদের পদ ছাড়বেন না।

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    খুব সাম্প্রতিক উদাহরণ দেওয়া যায়— দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও ইস্তফা দেননি রাজধানীর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে বসে দিনের পর দিন রাজ্য শাসন করেছেন তিনি। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও বনমন্ত্রীর পদে বহাল ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই উঠছে নৈতিকতার প্রশ্ন। দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি দশাতেও কি রাজ্য শাসন করা যায়? চালানো যায় মন্ত্রক বা দফতর? তাছাড়া এই ধরণের নজিরে জনমানসে ধারণা তৈরি হতে পারে যে একবার ভোটে জিতলে জেলে গেলেও ক্ষমতার সুখ যাবে না। এই জায়গাটাতেই আঘাত হেনেছে মোদী সরকার। যে গুরুতর অপরাধ করে কোনও মন্ত্রী জেলে গেলে ৩০ দিনের মধ্যে আদালত তাঁকে জামিন না দিলে চলে যাবে তাঁর মন্ত্রী পদ। হতে পারে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারবেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা থাকছে রাষ্ট্রপতির হাতে। রাজ্যের মন্ত্রীদের সরাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁদের বিধায়ক ও সাংসদ পদ বহাল থাকবে।

    কেন বিলের বিরোধিতায় বিরোধীরা (130th Constitution Amendment Bill)

    এই বিলের যাঁরা বিরোধিতা করছে, তাঁরা কি বলতে চাইছে যে তাঁরা অপরাধ করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁরা দুর্নীতি করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁদের এই ভয় যে, অপরাধ এবং দুর্নীতির দায়ে তাদের জেল হতে পারে, এটা তাঁরা জানেন। কিন্তু কোনওভাবে তাঁরা মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না (Indian Constitution)। ঠিক যেমনটা অরবিন্দ কেজরিওয়াল করেছিলেন। বুধবার, সংসদে যখন বিরোধীদের হট্টগোল চরমে তাখন তাঁদের চুপ করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্য। শাহ বলেন, “আমরা এতটাই নির্লজ্জ হতে পারি না যে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকার পরেও সাংবিধানিক পদ (130th Constitution Amendment Bill)
    দখল করে থাকব।”

    গর্জে উঠলেন অমিত শাহ

    এ নিয়ে আবার কংগ্রেস সাংসদ কে. সি. বেনুগোপালকে অমিত শাহের ইতিহাস টানতে দেখা যায়। অমিত শাহও গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন জেলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কে. সি. বেনুগোপাল বলেন, “এই বিল সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন করতে পারি? গুজরাটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” এরই পাল্টা হিসেবে গর্জে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা দৃঢ় হোক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমাকে গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।” প্রসঙ্গত, ওই মামলায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অমিত শাহকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অমিত শাহ যে নজির দেখিয়েছেন, সেই নজির কি ভারতবর্ষের অন্যান্য দলের নেতা-মন্ত্রীরা দেখানোর সাহস, হিম্মত রাখেন? সেই নজির কি দেখাতে পেরেছেন রাজ্যের রেশন কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়া নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল? এনারা পারেননি। বিজেপির রাজনীতিতে সর্বোপরি থেকেছে মূল্যবোধ। একাত্মমানববাদেই যার উল্লেখ রয়েছে। সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মোদি সরকারের নয়া সংবিধান সংশোধনীতে। এতেই আপত্তি বিরোধীদের।

  • MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের জামাত এবং বিএনপি’র প্রত্যক্ষ মদতে দখল হয় বাংলাদেশের গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশে তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর নিষিদ্ধ করা হয় শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League)। এই আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের অদ্ভুত দাবি যে ভারতের মাটিতে নাকি কার্যকলাপ চালাচ্ছে আওয়ামি লিগ। শুধু তাই নয়, তারা নাকি দিল্লি এবং কলকাতায় অফিস খুলে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এই বিবৃতি জারি করেছে বুধবার অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। যার পাল্টা হিসাবে বিবৃতি দিয়েছে নয়া দিল্লিও। বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ঢাকার এই বিবৃতি তারা ভুল জায়গায় পাঠিয়েছে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?

    বাংলাদেশের তোলা দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।  বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে আওয়ামি লিগের সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে ভারত সরকার অবহিত নয়। ভারতের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন কিছুও করা হচ্ছে না। ভারতের মাটি থেকে অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদন করে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তা ভুল জায়গায় পাঠানো হয়েছে।’’ বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করে বিবৃতিতে (MEA) এর পর বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের আশা পুনর্ব্যক্ত করছে ভারত সরকার। আশা করছি, দেশটিতে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’’

    অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে

    প্রসঙ্গত ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার (MEA) তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে। কখনও তা বিবৃতির মাধ্যমে দিচ্ছে, কখনও বা চিন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে তারা কূটনৈতিকভাবে তা দিচ্ছে। আবার বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে মৌলবাদীরা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আগের চেয়ে আরও বেশি বেড়েছে — এমনটাই গোয়েন্দা তথ্য বলছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা অনেক পরিমাণে বেড়েছে এবং ইউনূস জমানাতে বাংলাদেশের মাটিতে যে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে — নয়াদিল্লি কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। এনিয়ে নয়াদিল্লিতে একাধিকবার কড়া বিবৃতিও দিয়েছে। এই আবহে ভারতের বিরুদ্ধে এক অদ্ভুত অভিযোগ তুলেছে অন্তর্বর্তী সরকার, এবং সেখানে তারা ভারতের মাটিকে ব্যবহার করে আওয়ামি লিগ (Awami League) কাজ চালাচ্ছে।

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ ইউনূসের

    প্রসঙ্গত, গত পাঁচ অগাস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে এবং তিনি তখন জানান যে আগামী বছর রমজান মাস শুরুর আগেই, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদে নির্বাচন করতে চান।অর্থাৎ তিনি বলতে চান যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোট হবে। একাধিক রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপিও রয়েছে। ভোট দেরিতে হওয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এই আবহে গত ১১ অগাস্ট আওয়ামি লিগের যে সামাজ মাধ্যমের পেজে একটি লম্বা পোস্ট করা হয়েছে এবং সেখানে শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি বদলের জন্য ২১ দফা পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্যে মহম্মদ ইউনূসকে ফ্যাসিস্ট এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে জনশত্রু বলা হয়েছে।

  • West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত, আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

    West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত, আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের বিরতি কাটিয়ে ফের দুর্যোগের মেঘ রাজ্যে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে. বঙ্গে ফের সক্রিয় হয়েছে বর্ষা। পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে হবে ভারী বৃষ্টি। ফলে আবারও জল বাড়ার আশঙ্কা বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে। যার জেরে বাড়তে চলেছে ভোগান্তি।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্ত

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাব রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায়। মৌসুমী অক্ষরেখা ক্রমশ উত্তর দিকে সরছে সক্রিয়ভাবে। এর প্রভাবেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। ফলে, আগামী তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলাতেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। উপকূলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুই জেলা— দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ওই জেলাগুলির পাশাপাশি শনিবার পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় রবি ও সোমবারও দুর্যোগ চলবে। সমুদ্রে হাওয়ার গতি পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারে। সাগর উত্তাল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মৎস্যজীবীদের আগামী তিনদিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার ও রবিবার ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা মালদা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি কোনও কোনও জায়গায় হতে পারে।

    এক নজরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    বৃহস্পতিবার – পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার
    শুক্রবার – পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, জলপাইগুড়ি
    শনিবার – পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর
    রবিবার – বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর

  • Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারির পরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য যেন আরও বাড়ছে (Russia)। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মূলত আমদানি হচ্ছে — অর্থাৎ ভারত কিনছে (Free Trade), অথচ ভারত থেকে সে অর্থে রফতানি হচ্ছে না। ফলে বাণিজ্য অনুপাতে একটি ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, যা নিয়ে কথা বলাই যায়। এই ভারসাম্যহীনতা নিরসনের জন্য মস্কোতে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র ওপর জোর দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি রাশিয়ান সংস্থাগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভারত থেকে পণ্য ও পরিষেবা কেনে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    রাশিয়ার (Russia) প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ-এর সঙ্গে মস্কোতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বলেন, দুই দেশকেই বাণিজ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং নিজেদের উদ্যোগগুলি সম্প্রসারিত করতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় জয়শঙ্কর বলেন, “শুল্ক এবং অন্য বাধার অপরাসণে সরবরাহ সহজ করতে হবে। আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর, উত্তর সমুদ্রপথ এবং চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্তক করিডরের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উভয় সংস্থাগুলির আর্থিক বিনিময় মসৃণ করতে হবে।” নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরও বেশি করে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে হবে।”

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (Free Trade) শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে রাশিয়া

    প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী এ দিনই নিশ্চিত করেছেন যে, মস্কোতে তাঁর এই বৈঠকের সময় রাশিয়ার (Russia) কর্তৃপক্ষ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে, আমেরিকাকে কূটনৈতিকভাবে আরও জোরালো জবাব দেওয়া যাবে এবং ভারতের বহু পণ্য ও পরিষেবা রাশিয়াতে রফতানি করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বিগত চার বছরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য পাঁচ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কই চক্ষুশূল হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই তিনি ভারতের উপর শুল্ক বাড়িয়েছেন।

    বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে (Russia)

    ২০২১ সালে বাণিজ্য ছিল ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রাশিয়া থেকে ভারত মূলত হাইড্রোকার্বন আমদানি করে। নয়া দিল্লিতে রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই একটি বড় ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন — রাশিয়া থেকে কেবল আমদানি হচ্ছে, কিন্তু রফতানি বাড়ছে না। তাই জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় পণ্য ও পরিষেবার রফতানির জন্য মস্কোকে তাদের বাজার আরও বিস্তৃত করতে হবে। পরবর্তীকালে ভারত–রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরাম-এ তিনি বলেন, “ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে আপনারা বিনিয়োগ করুন এবং নতুনভাবে কাজ শুরু করুন। কারণ, এভাবেই একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।”

    শুল্ক চাপানো অনৈতিক, বললেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন

    অন্যদিকে, ভারতের উপর যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন (Russia)। তিনি বলেন, “আমেরিকার বাজারে ঢুকতে সমস্যা হলে, রাশিয়া ভারতকে রফতাবিতে স্বাগত জানাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। ভারতের জন্য পরিস্থিতি কঠিন। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আস্থা আছে আমাদের। জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বজায় থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী আমরা।”

  • Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Agni-5: শত্রুর বুকে কাঁপুনি! অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সামরিক শক্তি দেখাল ভারত। বুধবার সফলভাবে দেশের সেরা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘অগ্নি-৫’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হল। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ অগ্নি-৫ পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র

    ওড়িশার চাঁদিপুরের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে অগ্নি-৫ সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্র চিনের রাজধানী বেজিং‌ঙে আঘাত হানতে পারে! আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া আর কোনও দেশের হাতে এই পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নেই। বর্তমানে, এটিই হল ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মিসাইলটিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও। পরীক্ষার সময় ভারত মহাসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ, শক্তিশালী রেডার দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতি, দিশা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত সহ রিয়েল-টাইম ফ্লাইট অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষায় সব কার্যকরী ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে ছিল বাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড। এই বাহিনীই ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য কৌশলগত অস্ত্রের দায়িত্বে থাকে। আকাশের বুক চিরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের যাওয়ার দৃশ্য দিঘা, এমনকী বাংলাদেশ থেকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য চলতি মাসের গোড়ার দিকেই ভারত মহাসাগরে ৪,৭৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিমানবাহিনীর জন্য নোটাম জারি করেছিল কেন্দ্র। অসামরিক বিমান ও সামুদ্রিক যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাইভ-ফায়ার পরীক্ষার সময় যেসব এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে তা চিহ্নিত করতে নোটাম জারি করা হয়।

    অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব

    ৫০ টন ওজনের প্রায় সাড়ে ১৭ মিটার লম্বা এবং ২ মিটার চওড়া অগ্নি-৫ একটি থ্রি-স্টেজ সলিড-ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্র। মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (MIRV) প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ, একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, এটি একই সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে। অগ্নি-৫ এর দেড় টন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। রি-এন্ট্রির সময় এর গতি হয় ম্যাক ২৪। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২৪ গুণ। ফলে, একে রোখা কার্যত অসাধ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ক্যানিস্টার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই কারণেই এটি সহজেই যেকোনও জায়গায় পরিবহণ করা যেতে পারে। এমনকী, রেলে করেও নিয়ে যাওয়া যায়। যে কারণে ‘অগ্নি ৫’ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ বলে মনে করা হয়।

    আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ

    ভারতের এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার ওপর জোর দেওয়া আদতে তার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ অভিযান এবং আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এ ধরনের উৎক্ষেপণ বারবার প্রমাণ করেছে যে, ভারত শুধু প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নয়, সামরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও দ্রুত এগোচ্ছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই ভারত ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বা সিস্টেম পরীক্ষা চালিয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম প্রলয় কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং জুলাই মাসে আকাশ প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা।

  • Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের প্রথম বিমানবন্দর সংযোগকারী মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। নয়া রুটে মেট্রোয় সওয়ারি হবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট কলকাতায় এসে তিনটি নতুন মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি রুটে সফর করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মাঝে মেট্রো চলাচলের সূচনা করে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেড় বছর পর ফের একবার কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন তিনি। আগামী ২২ তারিখে তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সারবেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা।

    এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস

    বিমানবন্দর স্টেশনে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। স্টেশনটি ৫৫০ মিটার লম্বা ও ৪১.৬ মিটার চওড়া। এই স্টেশন নির্মাণের সময় ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ বিশেষ কারণে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, সেই সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনটি হওয়ার কথা ছিল মাটির উপর। তাছাড়া, বিমানবন্দরের এত কাছে স্টেশনের বিশাল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মাটির নীচেই মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমোদন মেলে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে ১৫০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে দেশের গভীরতম এই অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। এই পথ সাবওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’র মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন। ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছিল সেই বছর ১৫ মার্চ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি…

    শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি তিনটি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রথম ট্রেনটিতে করে নিজেই যশোর রোড স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা জয়হিন্দ স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। তারপরে জয়হিন্দ স্টেশন থেকে আবার মেট্রোয় করেই যশোর রোড স্টেশনে ফিরবেন। সেখান থেকে সড়কপথে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে যাবেন। ওই মাঠেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা।

    ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে, রাজ্যের জমি-নীতিকে দুষলেন শমীক

    অন্যদিকে, রাজ্যে ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’

  • Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিমানের ঘাটতি নিয়ে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান বারবার আশঙ্কার কথা তুলছেন, ঠিক সেই সময় দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ৬২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত ৯৭টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই বিমানগুনি তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি যেমন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তেমনই প্রকল্পটি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকেও আরও শক্তিশালী করবে।

    ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ বিমান পাবে বায়ুসেনা

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল। এই অর্ডার আসত, এমন সম্ভাবনা ছিলই। এখন কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ায় তা নিশ্চিত হল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক

    জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বরাতের তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের ব্যবহারের হার আরও অনকটাই বৃদ্ধি পাবে। নতুন তেজস বিমানগুলিতে দেশীয় উপকরণের ব্যবহার হবে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    পুরনো মিগের জায়গা নেবে তেজস

    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) শেষ মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলি অবসর নেবে। নতুন বিমানগুলি পুরনো মিগ-এর জায়গা পূরণ করবে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

  • Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    বিপদ বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা পেরিয়ে এখন স্কুল পড়ুয়ার শরীরেও অসুখ হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস আর শুধুই প্রৌঢ়ত্বের সঙ্গে হাজির হচ্ছে না। বরং খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়ারাও টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছে। জীবনভর তাদের এই রোগের বোঝা নিয়েই চলতে হচ্ছে। এর ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত ভারতে গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়েছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের চিহ্নিত করতে পারলেই বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ থাকবে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই সতর্কতা জরুরি। কে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সহজ হতে পারে।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী চিহ্নিত হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলেই সহজেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতকে ডায়াবেটিস রোগের ক্যাপিটাল বলা হয়। গত কয়েক বছরে এ দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। কমবেশি সব পরিবারেই কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, তার পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরিবারের অন্যদের ও বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস পরীক্ষা একেবারেই খরচ সাপেক্ষ। তাই সে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার দরকার নেই। সহজ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত কিনা সেটা বোঝা যায়। তাই বয়স বছর তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করালেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে কিনা!

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস বংশানুক্রমিক ভাবে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখায়। তাই বাড়িতে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকলে, অন্যদের সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা সহজেই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় থাকতে পারেন। এছাড়াও, যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁরাও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় সহজেই থাকেন। তাঁদের ও বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্থুলতার সমস্যা থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরের ওজন নিয়েও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস শরীরে নানান রোগের কারণ। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। আবার ডায়াবেটিস হলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ ও অনেক সময় ডায়াবেটিস হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যাতে এই রোগের প্রকোপে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত না হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ দিনে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। হাঁটলে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নিয়মিত হাঁটলে সহজেই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। ফলে স্থূলতাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়মিত হাঁটাচলা করা জরুরি।

    খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন

    ধারাবাহিক ভাবে কয়েক বছরের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী যদি কেউ প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হিসাবে চিহ্নিত হয়, তবে তাঁকে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনি একেবারেই খাওয়া চলবে। চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। যেকোনও ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মিষ্টি বিপজ্জনক। তাছাড়া, পাকা আম, কলা জাতীয় ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজর দেওয়া জরুরি। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পনীর, টক দই, করলা, পটল, লেবুর মতো খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি খুব জরুরি। তাই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এছাড়াও একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। তাই নিয়মিত অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যাতে ঘুম হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে, রোগ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি’র মাধ্যমে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্যানেল থেকে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন (SSC Recruitment Scam) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৩ এপ্রিল ঘোষিত মূল রায় ঘোষণার আগে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছিল। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন গত ৪ মে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আদালতের মতে, সেই রায়ই চূড়ান্ত এবং এতে পুনরায় শুনানির প্রয়োজন নেই (Supreme Court)।

    ওএমআর শিট জমা দিতে ব্যর্থ এসএসসি, নিয়োগ বাতিল ছিল অনিবার্য

    আদালত (Supreme Court) জানায়, কলকাতা হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট, কোনও আদালতেই এসএসসি ২০১৬ সালের পরীক্ষার মূল ওএমআর শিট বা তার প্রতিলিপি জমা দিতে পারেনি। আদালতের ভাষায়, এটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গুরুতর ব্যর্থতা। সেই কারণেই গোটা নিয়োগ বাতিল করা ছাড়া আদালতের আর কোনও উপায় ছিল না। বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। পাশাপাশি সিবিআই এবং বিচারপতি রনজিৎ বাগ কমিটির রিপোর্টে যে অনিয়মের তালিকা রয়েছে, তা থেকেই পরিষ্কার— গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই দুর্নীতিগ্রস্ত (SSC Recruitment Scam)। মূল ওএমআর শিট না রাখা বা জমা না দেওয়ার ঘটনা পুরো ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে নতুন নিয়োগ

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে এসএসসি ৩০ মে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির এবং ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দু’টি তারিখই রবিবার পড়েছে। তবে রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে এদিনও বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন চাকরিহারা প্রার্থীরা।

  • Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি যশস্বী জয়সওয়াল এবং শ্রেয়স আয়ারের। দেশের অন্যতম সেরা এই দুই ব্যাটার বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বর্তমান দলে ইনিংস শুরু করতে পারেন এমন তিনজন রয়েছেন—শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। সহ-অধিনায়ক শুভমনের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই। সঞ্জু উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ওপেনারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অভিষেক এবং যশস্বীর মধ্যে। এখানে পিছিয়ে পড়েছেন যশস্বী (Asia Cup)।

    যশস্বীর বাদ পড়া নিয়ে কী বলছেন আগরকর

    এ বিষয়ে আগরকর বলেন, “যশস্বীর না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। তবে অভিষেকের পারফরম্যান্স অগ্রাহ্য করা কঠিন ছিল। আমরা জানি টি-টোয়েন্টিতে ওর পারফরম্যান্স কতটা ভালো। অভিষেক বল করতে পারে, যা অধিনায়কের জন্য একটি বাড়তি বিকল্প। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বসতেই হত।” অর্থাৎ, অভিষেকের অলরাউন্ডার দক্ষতা যশস্বীর থেকে তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। যশস্বীর বল না করতে পারার বিষয়টি তাঁর পক্ষে যায়নি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, যখন অক্ষর পটেলের মতো একজন বাঁহাতি স্পিনার দলে রয়েছেন, তখন আরেকজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন আদৌ আছে কি না। তাছাড়া, আইপিএল ২০২৫-এ যশস্বী ১৪ ম্যাচে ৪৩ গড় এবং ১৫৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৯ রান করেন। এই পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের মন জিততে পারেনি।

    শ্রেয়স বাদ পড়ায় কী যুক্তি দিচ্ছেন আগরকর (Asia Cup 2025)

    শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় আগরকর কোনও যুক্তি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “শ্রেয়সকে দলে না রাখা আমাদের দোষ নয়, আবার ওরও দোষ নয়। কারণ ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখা যায় না। কার জায়গায় ওকে নিতাম?” শ্রেয়স দেশের সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি গত দুই আইপিএলে সফল অধিনায়ক হিসেবেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। ২০২৫ আইপিএলে তিনি ১৭টি ম্যাচে ৫০.৩৩ গড় এবং ১৭৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ৬০৪ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি অর্ধশতরান। এত কিছু সত্ত্বেও জাতীয় দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় বিস্মিত ক্রিকেট মহলের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন ব্যাটারকে আর কী করলে জাতীয় দলে নেওয়া হবে?

    ১৫ সদস্যের স্কোয়াড (Asia Cup 2025)

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ভারতের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড: সূর্য কুমার যাদব (সি), শুভমান গিল (ভিসি), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (ডব্লিউকে), জসপ্রিত বুমরা, আরশদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (ডব্লিউকে), হর্ষিত রানা ও রিঙ্কু সিং। ভারতীয় দল তাদের (Asia Cup) প্রথম ম্যাচ ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে।

LinkedIn
Share