Tag: মাধ্যম

  • PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যবাসীকে এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ দিচ্ছে মোদি সরকার (PM Modi)। এমাসেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি, তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ওই দিনই তিনি পরিবর্তন সংকল্প সভাতেও বক্তব্য রাখবেন।

    কোন কোন পথে ছুটবে নতুন মেট্রো?

    রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল:

    শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড (West Bengal)

    বেলেঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন (West Bengal)

    ২২ অগাস্টের একই অনুষ্ঠানে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রো পরিষেবা নিতে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে তৈরি এই সাবওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাজমাধ্যমে এই খবর ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। এই উদ্যোগকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন (PM Modi)। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটেই পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১৩,৯৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে রাজ্যে রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৮৩,৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে।

    ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রূপে পুনর্নির্মাণ

    ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেন চালু

    পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প

    আরও বিস্তৃত হচ্ছে কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্ক

    এই নতুন তিনটি রুট চালুর মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে হিন্দু মন্দির ও দেবদেবীর বিশাল মূর্তি নির্মিত হয়েছে। এসব মূর্তি ও মন্দির শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (Sanatan Dharma)। প্রতিটি মন্দির ও মূর্তির নকশা সেখানে হিন্দু সংস্কৃতি ও প্রাসঙ্গিক পৌরাণিক আখ্যানকে ধারণ করে তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আলোচিত হল ভারতের বাইরে নির্মিত ১১টি বিশাল হিন্দু দেব মূর্তি নিয়ে।

    ১. কানাডায় ৫১ ফুট প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তি (২০২৫)

    ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট কানাডার হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ৫১ ফুট উচ্চতার প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় রামের মূর্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১০,০০০-এর বেশি ভক্ত (Sanatan Dharma)।

    ২. টেক্সাস, আমেরিকায় ৯০ ফুট হনুমান মূর্তি (২০২৪)

    ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আমেরিকার টেক্সাসের সুগারল্যান্ডে অবস্থিত অস্ত্রাক্ষী মন্দিরে ৯০ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তির উদ্বোধন হয়। এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন শ্রী চিন্না জেয়ার স্বামীজি।

    ৩. ইন্দোনেশিয়ায় ১২১ মিটার গরুড় মূর্তি (২০১৮)

    ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গরুড়ের ১২১ মিটার দীর্ঘ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মূর্তি। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে গরুড়কে (Sanatan Dharma) ভগবান বিষ্ণুর বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    ৪. মরিশাসে ১০৮ ফুট দুর্গা মূর্তি (২০১৭)

    ২০১৭ সালে মরিশাসে উদ্বোধন করা হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্গা মূর্তি। এই মূর্তির উচ্চতা ১০৮ ফুট, যা হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যাও বটে।

    ৫. থাইল্যান্ডে ৩৯ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১২)

    ২০১২ সালে থাইল্যান্ডে স্থাপন করা হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণেশ মূর্তি, যার উচ্চতা ৩৯ মিটার।

    ৬. ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৪৬ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১১)

    ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার তামান সাফারি বালিতে ৪৬ মিটার উচ্চতার গণেশ মূর্তির উদ্বোধন হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় গণেশ প্রতিমা।

    ৭. নেপালে ৪৪ মিটার কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তি (২০১০)

    ২০১০ সালের ২১ জুন নেপালের সাঙ্গায় কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। ৪৪ মিটার উচ্চতার এই মূর্তিটি বিশ্বের বৃহত্তম শিব মূর্তিগুলোর একটি।

    ৮. মরিশাসে ১০৮ ফুট মঙ্গল মহাদেব (২০০৭)

    ২০০৭ সালে মরিশাসে গঙ্গা তালাও এলাকায় স্থাপন করা হয় ১০৮ ফুট উচ্চতার মঙ্গল মহাদেব মূর্তি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।

    ৯. মালয়েশিয়ায় ৪২.৭ মিটার মুরুগান মূর্তি (২০০৬)

    ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরের বাতু কেভসে উদ্বোধন করা হয় ৪২.৭ মিটার উচ্চতার ভগবান মুরুগানের মূর্তি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরুগান মূর্তি।

    ১০. সুইজারল্যান্ডে ২ মিটার ব্রোঞ্জ নির্মিত নটরাজ মূর্তি (২০০৪)

    ২০০৪ সালের ১৮ জুন সুইজারল্যান্ডে উদ্বোধন করা হয় ২ মিটার উচ্চতার ব্রোঞ্জের নটরাজ মূর্তি।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ৮৫ ফুট হনুমান মূর্তি (২০০৩)

    ২০০৩ সালের ৯ জুন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর দরাত্রেয় মন্দিরে উদ্বোধন করা হয় ৮৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তি। এটি ভারতের বাইরে সবচেয়ে বড় হনুমান মূর্তিগুলোর একটি (Statues)। এই মূর্তিগুলো শুধু ধর্মীয় ভক্তির নিদর্শন নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি স্থাপনাই হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস, ও কল্পচিত্রের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

  • PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং যানজট ও বায়ুদূষণ হ্রাস করতে তৈরি হওয়া দুটি বৃহৎ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার, উদ্বোধনের আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং অংশ নেন একটি রোড শো-তে।

    দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, ব্যয় ৫,৩৬০ কোটি টাকা

    এ দিন প্রধানমন্ত্রী দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে (দিল্লি অংশ) এবং UER-II করিডর-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১০.১ কিলোমিটার, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৩৬০ কোটি টাকা। ভাষণে মোদি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ের নাম দ্বারকা, অনুষ্ঠান হচ্ছে রোহিণীতে। আর চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে জন্মাষ্টমীর আনন্দ।”

    UER-II করিডরের মাধ্যমে দুই হাইওয়ের সংযোগ

    প্রায় ৫,৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি UER-II করিডর এখন থেকে এনএইচ-৪৪ এবং এনএইচ-৪৮ হাইওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই সংযোগ ব্যবস্থার ফলে রাজধানী দিল্লির মধ্যে যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরো দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থাও আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে (PM Modi)।

    ২ ঘণ্টার পথ এখন মাত্র ৪০ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী জানান (PM Modi), আগে সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগত। নতুন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এখন এই পথ মাত্র ৪০ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাও অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।

    দূষণ কমানোর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ

    মোদি (PM Modi) দাবি করেন, দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ রোধেও এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যানজট কমার ফলে গাড়ির ইঞ্জিন সচল থাকার সময় কমবে, যা সরাসরি দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে।

    ৫০ হাজার কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্পের অংশ

    এই দুটি ফ্লাইওভার, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চলের যানজট কমাতে গৃহীত ৫০ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই মেগা প্রকল্পে আরও বহু রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে ও করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

  • Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটাই জানা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখোয়া

    সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজ জোরকদমে চলছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গম এলাকা থেকেও মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তাতে পাঁচজন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ও গিলগিট-বালতিস্তানে প্রাণহানি

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে নয় জন এবং উত্তরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

    দুর্যোগপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত

    পাকিস্তান সরকারের (Pakistan) তরফে জানানো হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একজন বন্যা থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম, যেন পুরো পাহাড়টা ধসে পড়ছে। আমি ছুটে বাইরে বেরিয়ে দেখি, পুরো এলাকা কাঁপছে। মনে হচ্ছিল পৃথিবীর শেষ সময় এসে গেছে।”

    জম্মু ও কাশ্মীরেও হড়পা বান, নিহত ৬০

    অন্যদিকে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে একই রকম দুর্যোগ। শুক্রবার হঠাৎ হড়পা বানের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

    বর্ষাকালেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি

    উল্লেখযোগ্য যে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই সময় দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় (Flood)। জম্মু-কাশ্মীর সহ পাহাড়ি এলাকাগুলিতে এই সময় ভূমিধস এবং হড়পা বান নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে দেশটির অর্ধেক জনগণ বাস করে, সেখানে এই বছর গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভূমিধস, বন্যা এবং রেকর্ড সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

  • Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চরমে উঠেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজ্যে সম্প্রতি জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করতেই বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক পদত্যাগ শুরু করেন কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। ৭১ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয় ব্যাপক অসন্তোষ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোপাল, ইন্দোর, উজ্জয়িন, বুরহানপুর—প্রায় সর্বত্র দেখা যায় বিক্ষোভ।

    বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে (Madhya Pradesh)

    এই তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও নেতাদের কুশপুতুলিকা দাহও করা হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Congress) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের পুত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী জয়বর্ধন সিংয়ের সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ঋতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর কুশপুতুলিকা দাহ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। অভিযোগ ছিল, ঋতু পাটোয়ারি জয়বর্ধন সিংয়ের মর্যাদায় আঘাত করেছেন।

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ (Madhya Pradesh)

    ভোপালে জেলা সভাপতি হিসেবে (Madhya Pradesh) প্রবীর সাক্সেনার নাম ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মনোজ কেনা প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন এবং দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন। ইন্দোরের নতুন শহর সভাপতি হিসেবে চিন্টু চৌক্সির নাম ঘোষণার পরেও শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। এর ফলে বর্তমান জেলা সভাপতি বিপিন ওয়ানখেরকে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়। উজ্জয়িনেও দেখা দেয় অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সেখানে মহেশ পারমারের নাম জেলা সভাপতি হিসেবে ঘোষণার পর, অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামে। উজ্জয়িনীর জেলার মুখপাত্র ও রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েত সেলের সভাপতি হেমন্ত পাতিল এরপর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

    তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন

    কংগ্রেস যে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে (Madhya Pradesh), সেখানে দেখা যাচ্ছে ২১ জনকে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন তালিকায় মোট ৩৭ জনকে সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন সাধারণ শ্রেণির প্রতিনিধি, ১২ জন ওবিসি, ১০ জন এসটি, ৮ জন এসসি, ৪ জন মহিলা এবং ৩ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। এছাড়া জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বর্তমান বিধায়ক, ৮ জন প্রাক্তন বিধায়ক এবং ৩ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। এইসব সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতে, তৃণমূলের যোগ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে এবং কেবলমাত্র প্রভাবশালী ও পদাধিকারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

  • Lieutenant Asha Sahay: প্রয়াত হলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের আশা সহায়

    Lieutenant Asha Sahay: প্রয়াত হলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের আশা সহায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দু’দিন আগে, ২০২৫ সালের ১৩ আগস্ট প্রয়াত হলেন নেতাজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সাহসী সৈনিক লেফটেন্যান্ট আশা সহায় (Lieutenant Asha Sahay)। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টের অন্যতম লেফটেন্যান্ট।

    আশা সহায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি (Lieutenant Asha Sahay)

    আশা সহায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, জাপানের কবে শহরে। তিনি কিশোরীবয়সেই আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর প্রয়াণে ইতিহাসের এক যুগের অবসান ঘটেছে—এমনটাই মনে করছেন ইতিহাসবিদরা ও দেশপ্রেমিক মহল। কারণ তিনি ছিলেন সেই শেষ কয়েকজন জীবিত সদস্যের অন্যতম, যাঁরা সরাসরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ ও নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবলমাত্র ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক পরিসরেও। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল জাপান, যেখানে রাসবিহারী বসু গঠন করেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। পরবর্তীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সেই বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন (Asha Sahay)।

    আশা সহায়ের পিতা আনন্দমোহন সহায় ছিলেন জাপানে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

    আশা সহায়ের (Asha Sahay) পিতা আনন্দমোহন সহায় ছিলেন জাপানে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সেক্রেটারি (Lieutenant Asha Sahay)। তিনি আজাদ হিন্দ সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন এবং নেতাজির অন্যতম ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা। মা সতীসেন সহায়-ও একটি দেশপ্রেমিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। আশা সহায় নিজেও খুব অল্প বয়সেই রানী ঝাঁসি রেজিমেন্ট-এ যোগ দেন এবং শীঘ্রই একজন লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। তিনি জাপানে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন—অস্ত্র পরিচালনা, যুদ্ধ কৌশল, সামরিক শৃঙ্খলা সবই তিনি দক্ষতার সঙ্গে রপ্ত করেন। সেই সময় একজন কিশোরী মেয়ে হিসেবে তাঁর এই সাহসিকতা এবং আত্মনিবেদন ছিল অভাবনীয়। জাপানের সোয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটি (টোকিও-স্থিত) থেকে তিনি স্নাতক হন। লেফটেন্যান্ট আশা সহায়, রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু—এই মহৎ মানুষদের মূল বিশ্বাস ছিল, “স্বাধীনতা কেউ দয়া করে দেয় না, তা ছিনিয়ে নিতে হয়”। উপনিবেশিক শাসনের অবসান কেবলমাত্র অনুরোধে নয়, সংগ্রামে সম্ভব (Lieutenant Asha Sahay)।

  • Madan Lal Dhingra: কখনও যোগ্য সম্মান দেয়নি কংগ্রেস! ১৭ অগাস্ট ব্রিটেনে ফাঁসি হয় মদনলাল ধিংরার

    Madan Lal Dhingra: কখনও যোগ্য সম্মান দেয়নি কংগ্রেস! ১৭ অগাস্ট ব্রিটেনে ফাঁসি হয় মদনলাল ধিংরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন লাল ধিংরা (Madan Lal Dhingra) নামটি আজ অনেকের কাছেই অচেনা, ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠে আসে। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা যায়, মদন লাল ধিংরা ছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকারের ছাত্র এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের ভাবধারায় দীক্ষিত একজন বিপ্লবী। ১৮৮৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, পাঞ্জাবের অমৃতসরে মদন লাল ধিংরার জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম ছিল বিদ্যামাল ধিংরা, যিনি ছিলেন একজন সিভিল সার্জন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘রায় সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। মদন লালের পরিবার ছিল অমৃতসরের অন্যতম ধনী পরিবার—তাঁদের ছিল ২১টি বাড়ি ও ৬টি বাংলো। অমৃতসরে প্রথম মোটরগাড়ি এসেছিল মদন লালের বাড়িতে।

    জাতীয়তাবাদের প্রভাব (Madan Lal Dhingra)

    ধিংরা উপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী মন্ত্রে দীক্ষিত হন। ব্রিটিশদের ‘সম্পদ নির্গমন তত্ত্ব’—অর্থাৎ ভারতে উৎপাদিত সম্পদ লুটপাট করে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া—তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তিনি গবেষণা করে বুঝতে পারেন যে, ভারতের মানুষের দারিদ্র্যের মূল কারণ এই উপনিবেশিক শোষণ। এর একমাত্র সমাধান হলো “স্বরাজ” (স্বশাসন) ও “স্বদেশী” (দেশীয় পণ্যের ব্যবহার)।

    ঐতিহাসিক ভি.এন. দত্ত কী বলছেন

    ঐতিহাসিক ভি.এন. দত্ত লিখছেন, মদন লাল ধিংরা (Madan Lal Dhingra) লাহোরের স্বদেশী আন্দোলনে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি লালা লাজপত রায় এবং অজিত সিং-এর মতাদর্শে আকৃষ্ট হন। ১৯০৪ সালে ধিংরা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ শুরু করেন। সে সময় ব্রিটিশরা বাধ্যতামূলকভাবে তাদের তৈরি পোশাক—বিশেষ করে কলেজের ব্লেজার—পরার নির্দেশ জারি করে। মদন লাল এটিকে উপনিবেশিক কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে দেখেন এবং এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানান।

    ১৯০৬ সালের জুন মাসে লন্ডনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান লন্ডনে

    এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তাঁকে লাহোর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে, তাঁর পরিবার তাঁকে ১৯০৬ সালের জুন মাসে লন্ডনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠায়। তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভর্তি হন, কিন্তু সেখানেও হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন (Madan Lal Dhingras Death Anniversary)
    । শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা পরিচালিত ইন্ডিয়া হাউস-এ তিনি বাস করতে শুরু করেন, যেখানে ভারতীয় ছাত্রদের মধ্যে হিন্দু জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হতো।

    বিনায়ক দামোদর সাভারকারের প্রভাব ধিংরার উপর ছিল গভীর

    বিনায়ক দামোদর সাভারকারের প্রভাব ধিংরার (Madan Lal Dhingra) উপর ছিল গভীর। এরপর তিনি সাভারকারের গঠিত ‘অভিনব ভারত’ গোপন বিপ্লবী সংগঠনে যোগ দেন এবং বিপ্লবী কার্যক্রমে যুক্ত হন। তাঁর টার্গেট ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা—বিশেষত লর্ড কার্জন এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর ফুলার। ১৯০৯ সালের ১ জুলাই, লন্ডনের ইন্ডিয়ান অফিসে ধিংরা ব্রিটিশ কর্মকর্তা কার্জন ওয়াইলি-কে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনার বিচার শুরু হয় ১৯০৯ সালের ২৩ জুলাই, ওল্ড বেইলি আদালতে। বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। দুঃখজনকভাবে, মদন লাল ধিংরার মতো বিপ্লবীকে ভারতের মূলধারার রাজনীতিতে তেমনভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। কংগ্রেস তাঁকে প্রায়ই উপেক্ষা করেছে, কারণ তিনি ছিলেন এক আপাদমস্তক হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী।

  • Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। আজ, রবিবার (১৭ অগাস্ট), কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব (Nandotsav)। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হওয়ার আনন্দে নন্দদেব এই দিন সকল ব্রজবাসীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেছিলেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ আচার

    এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাঁদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব (Nandotsav) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়। নন্দোৎসবের দিন বাড়িতে কীর্তন দেওয়ার প্রথা আছে। বাড়িতে কীর্তন দিতে না পারলেও এই দিন অবশ্যই বাড়িতে গীতা পাঠ করতে হয়। কথিত আছে, নন্দদেব এই দিনে সকল ব্রজবাসীদের প্রচুর দান করতেন। আপনিও এই দিন নিজের সাধ্যমতো কিছু দান করতে পারেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ খাবার

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) উপবাস যাঁরা পালন করেন, তাঁদের নন্দোৎসবের (Nandotsav) দিন বিশেষ কিছু খাবার খেতে হয়। নন্দোৎসবে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় এবং অনেক বাড়িতে এই উৎসব জন্মাষ্টমীর থেকেও বড় আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয়। বলা হয়, এদিন কাঁচকলার তৈরি যে কোনও খাবার তৈরি করে খেতে হবে। নন্দোৎসবের দিন ঠাকুরকে খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। পুজোর পর ভোগের প্রসাদ নিজে গ্রহণ করতে হয় এবং বাড়ির সকল সদস্যদেরও এই খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। খিচুড়ি ভোগের সঙ্গে যে কোনও মিষ্টি কিছু ভোগও দিতে হয়।

  • The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পরে শনিবারেও বাধা দেওয়া হয় ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে। শুক্রবারই একটি ভিডিও শেয়ার করে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, কলকাতায় নির্ধারিত ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল বাতিল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আমাদের টিম নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি সিনেমা হলে ট্রেলার লঞ্চের পরিকল্পনা করেছিলাম। তাঁরা সব অনুমতিও দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়।” পরিচালক আরও বলেন, “শুরুতে আমাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল। সেই কারণে আমরা কলকাতায় এসেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

    শনিবারেও বাধা, কেটে দেওয়া হয় তার (The Bengal Files)

    শুধু শুক্রবার নয়, শনিবারও ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেলার দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তার কেটে দেয় জায়ান্ট স্ক্রিনের। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী এবং প্রযোজক পল্লবী জোশীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এই ছবি আটকাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”

    ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে?

    বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই তারা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে? এক ভারতীয়দের জন্য, আরেকটা কি পশ্চিমবঙ্গের জন্য?” উল্লেখ্য, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

    কেউ এই ছবির মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না

    পরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দেরি করব না। খুব শীঘ্রই কলকাতাতেই ট্রেলার লঞ্চ করব।” শুক্রবার তিনি নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, “কলকাতায় নামার পর জানতে পারলাম, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার লঞ্চের ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে—আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে। কিন্তু আমাকে থামানো যাবে না, কারণ সত্যকে চুপ করিয়ে রাখা যায় না। সব কলকাতাতেই হবে। দয়া করে এই ভিডিও শেয়ার করুন এবং বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করুন।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে দেবীর দর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমি মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। কেউ এই ছবি মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না।”

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশীর তোপ (The Bengal Files)

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, “ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ঘিরে যা হয়েছে তা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে না, বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা তৈরি হওয়া দরকার ছিল। দেখুন কী হচ্ছে বাংলায়। সেই কারণে এই ধরনের সিনেমা এখনকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই সিনেমার দেখার জন্য অনুরোধ করব৷ যাতে তারা বাংলার আসল রূপ দেখতে পারে৷” তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না৷ কিন্তু যেভাবে আমাদের সিনেমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা আমি মেনে নেব না৷ আমার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগেনি৷ কোনও পরিচালক বা অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া সেই রাজ্যের দায়িত্ব৷ আর এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই রাজ্যে কি মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা আছে? একজন অভিনেতা, নির্মাতা হিসাবে আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকু নেই যে সেখানে ট্রেলার দেখানো যাবে৷ একটা সিনেমাকে কেন এত ভয় পাচ্ছে সরকার?”

    ট্রেলার না দেখাতে দেওয়া অনৈতিক, এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি

    পল্লবীর কথায়, “ট্রেলার না দেখাতে (The Bengal Files) দেওয়া অনৈতিক ৷ এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি। আমরা তো কাশ্মীরে গিয়েও শুটিং করেছি৷ এখন তো মনে হচ্ছে কাশ্মীরের অবস্থা হয়তো বাংলার থেকেও ভালো৷ এই রাজ্যে কী এইভাবে চলতে হবে? আর আমার মনে হয়, এই কারণে দ্য বেঙ্গল ফাইলস গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি গোটা যুব সমাজকে আহ্বান জানাবো, এই সিনেমা দেখার জন্য ৷ বোঝার জন্য যে বাংলায় কী চলছে!”

    এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি, বললেন প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল

    প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “এখানে অনুমতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ তাহলে কেন যখন টেস্টিং চলছিল, তখন বারণ করা হয়নি? এতবড় পাঁচতারা হোটেলে অনুমতি ছাড়া কী কোনও কাজ চলতে পারে? গতকাল রাত থেকে সেটআপ তৈরি করা হচ্ছিল ৷ আজ ট্রেলার লঞ্চ করার কথা ছিল৷ থিয়েটারে অনুমতি বাতিল করার পর হোটেল ব্য়বস্থা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি। সেই সমস্যা অনেক কম ছিল। তবে বাংলার এসে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা প্রথম ৷ ট্রেলার চলতে চলতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পরিচালক বিবেকের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ৷ একটা ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে এত পুলিশ ৷ এত ভয় কেন?”

  • RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভয়ার বাবা-মায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে সাড়া দিল রাইসিনা হিলস (RG Kar Victim)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-এর সময় অভয়ার মাকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি চিঠি, যেখানে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে—কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতেও বলা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতিকে মেইল করেন অভয়ার বাবা (RG Kar Victim)

    গত ১৩ অগাস্ট, রাষ্ট্রপতিকে (Draupadi Murmu) মেইল করেন অভয়ার বাবা। তিনি লেখেন, “আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাঁচান (RG Kar Victim)। আমরা সব হারিয়েছি। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার আমরা মেইল করলাম। আমাদের অনুরোধ এবার উত্তর দিন।” ১৪ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে অভয়ার বাবার কাছে একটি ইমেইল পৌঁছায়, যেখানে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নিজে জানান, তাঁর আপ্তসহায়ক পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং যেসব সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে।

    চিঠিতে কী জানানো হল?

    চিঠিতে জানানো হয়েছে (RG Kar Victim), রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক শিগগিরই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের সমস্যাগুলির সমাধানে যথাযথ প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই ইমেল পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক অভয়ার বাবা-মা। অন্ধকারে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির এই সহযোগিতায় তাঁরা নতুন করে ন্যায়বিচারের আশা করছেন।

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯ অগাস্ট ছিল আরজি কর কাণ্ডের একবছর। সেই উপলক্ষে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা (RG Kar Victim)। অভিযানের মাঝপথেই অভয়ার মাকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ। ক্যামেরায় দেখা যায়, মারের চোটে তাঁর কপাল ফুলে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওই হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি ইমেইল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। তার পরেই এল রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্দেশ।

LinkedIn
Share