Tag: মাধ্যম

  • SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রেলওয়ে (Indian Railways) অ্যাপ চালু করল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রী পরিষেবাকে আধুনিক এবং সহজতর করে তুলতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে স্বরেল (SwaRail App)। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বেশ কিছু পরিষেবা আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট, ইউটিএস ইত্যাদি অ্যাপে পাওয়া যেত। এবার থেকে স্বরেল অ্যাপে এই সমস্ত পরিষেবা একজায়গাতেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল।

    স্বরেল অ্যাপের (SwaRail App)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স

    ১. সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার (CRIS) এই অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। সমস্ত ধরনের রেল যাত্রীরাই এই অ্যাপের সহায়তা পাবেন।

    ২. ট্রেনের তালিকা, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাবে এই অ্যাপেই। SwaRail অ্যাপের My Bookings সেকশনে গিয়ে পূর্বের ভ্রমণের ইতিহাসও দেখা যাবে।

    ৩. অ্যাপে রয়েছে একটি সিঙ্গল-অন-সিস্টেম। একসঙ্গে অজস্র ফিচার্সের সুবিধে রয়েছে অ্যাপটিতে। আইআরসিটিসির লগ ইন তথ্য দিয়ে এই অ্যাপে লগ ইন করা যাবে।

    ৪. ট্রেনের সমস্ত তথ্যই এই অ্যাপে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল। ট্রেন যদি দেরি করে তাহলে সেই তথ্যও মিলবে এখানে।

    ৫. ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীর কোচ কোনদিকে তাও দেখিয়ে দেবে এই অ্যাপ। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৬. এর পাশাপাশি ট্রেন (Indian Railways) সফরে থাকাকালীন নির্দিষ্ট ভেন্ডরের থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে এই অ্যাপ থেকেই।

    ৭. অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হিসেবে এই অ্যাপে রয়েছে রেল মদদ এর সাহায্যে রেল সফরকালীন যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।

    ৮. অ্যাপে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল আর-ওয়ালেটের সুবিধাও। বাতিল যাত্রা, বাতিল টিকিটের রিফান্ড চাইলে এখান থেকেই মিলবে টাকা। এই ওয়ালেট দিয়ে টিকিটও বুক করা যাবে।

    ৯. জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় দেখা যাবে এই অ্যাপের ইন্টারফেস। ফলে ভাষাজনিত সমস্যাও দূর হবে।

  • Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের (Modi 3.0) এক বছর পূর্তি হতে চলেছে আগামী মাসেই। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার সামনে উড়ে যায় বিরোধী দলগুলি। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বছরে অনেক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি দলীয় কর্মী এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ, এই বার্তা পৌঁছে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে তাঁরা অন্তত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন।

    মোদি সরকারের (Modi 3.0) সাফল্যগাথা তুলে ধরবে বিজেপি

    এই পদযাত্রায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0)। এই সময়ে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য তাঁর করা একাধিক প্রকল্প তুলে ধরবেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্কেও জনগণকে বোঝাবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। কীভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আগামী ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপির সংরক্ষণ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৪৩টির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেতে ২৯৩টি আসনে। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক জেতে ২৩৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) একাই পায় ২৪০টি আসন। কংগ্রেস পায় ৯৯টি আসন। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0) তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে জল বন্ধ করতে চলেছে আফগানিস্তান? বিপুল ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নদীর ওপর বাঁধ তৈরি করে পাকিস্তানে জল যাওয়া বন্ধ করতে চাইছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান সরকার। এই জল বন্ধ হলে পাকিস্তানকে (Pakistan) অতিরিক্ত ২২৫০ কোটি টাকা বহন করতে হবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রেখেছে নয়াদিল্লি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আফগানিস্তানের সঙ্গে নদীর জলবণ্টন নিয়ে ইসলামাবাদের কোনও চুক্তি নেই। এর ফলে যে কোনও নদীর ওপর ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ করতেই পারে তালিবান সরকার। কোনও চুক্তি না থাকায় এ ক্ষেত্রে কাবুলের উপর আন্তর্জাতিক চাপও পাকিস্তান করতে পারবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কোন কোন নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে পাকিস্তানে?

    ১. কাবুল নদী – এই নদীটি হিন্দুকুশ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, এর প্রধান উপনদীটি পাকিস্তানের পেশোয়ার এবং নওশেরা অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।

    ২. কুনার নদী – আফগানিস্তানের (Afghanistan) এই নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার অঞ্চলেক কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের অন্যতম বড় নদী হল কুনার। ৪৮০ কিলোমিটার লম্বা এই নদীটির জন্ম হিন্দুকুশের চিয়ানতার হিমবাহ থেকে। কুনার নদী মিশেছে কাবুল নদীতে। এই কুনার নদীর ওপর বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তালিবানের।

    ৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদী যেগুলির জলপ্রবাহ বন্ধ হতে পারে সেগুলি হল – গোমাল, পিশিন-লোরা, কান্দাহার-কান্দ।

    সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খানের কুনার পরিদর্শন

    সূত্রের খবর সম্প্রতি পূর্ব আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের বিশেষ একটি এলাকা পরিদর্শনে যান সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মুবিন খান। এর পরই জেনারেল মুবিন সম্ভাব্য বাঁধ নির্মাণের এলাকা ঘুরে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বালোচ আন্দোলনকারী তথা লেখন মীর ইয়াব বালোচের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের শেষের শুরু হল। ভারতের পর এ বার জল বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তান।’’

    জল বন্ধ হলে প্রভাব পড়বে কোন কোন ক্ষেত্রে?

    কৃষিতে জল সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেবে।

    শহরগুলিতে (Pakistan) জল সংকট তৈরি হবে। কাবুল নদীর ওপর নির্ভরশীলগ গোটা পেশোয়ার এবং নওশেরার মতো শহর।

    তারবেলা বাঁধের মতো প্রকল্পগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    পাক অর্থনীতিও (Pakistan) ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

  • ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    ATS: দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ হারুনকে। অন্যদিকে, বারাণসী থেকে তুফায়েল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাতে আঘাত হানা, দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    পহেলগাঁও হামলার সময় পাকিস্তানেই ছিল হারুন

    দিল্লির সিলামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া হারুন পাকিস্তান দূতাবাসের এক আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দূতাবাসের আধিকারিক মোজাম্মেল হোসেনকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গুপ্তচর হারুন মোজাম্মেল হোসেনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে (ATS)।

    পাক দূতাবাসের কর্মীর নির্দেশে টাকা তুলত হারুন

    সূত্রের খবর, মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশেই পাকিস্তানের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত হারুন। হারুনের কথায় অনেক লোকই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছে বলে খবর। এই টাকা ভারত বিরোধী কাজে সেইসব টাকা ব্যবহার হত বলে জানা গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য হল, হারুনের দু’জন স্ত্রী রয়েছে। একজন থাকে পাকিস্তানে। তার সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই পাকিস্তানে যেত হারুন। পহেলগাঁওয় হামলার সময় সে পাকিস্তানেই ছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন (ATS), ৫ এপ্রিল পাকিস্তানে যায় হারুন, সে ফেরে ২৫ তারিখ।

    ৬০০-এর বেশি পাকিস্তানের নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের

    অন্যদিকে বারাণসী থেকে গ্রেফতার হওয়া তুফায়েল ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাকিস্তানে পাচার করেছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন (ATS) শাখা বলছে, রাজঘাট, জ্ঞানবাপী মসজিদ, লাল কেল্লা ও দেশের একাধিক রেল স্টেশনের ছবি তুলে পাকিস্তানের নম্বরে পাঠিয়েছে তুফায়েল। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি পাকিস্তানি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তুফায়েলের। ফেসবুকে এক পাক সেনাকর্তার স্ত্রীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল তুফায়েলের। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রচারেও যুক্ত ছিল তুফায়েল।

  • Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে সেদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদও ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা এবং সরকারের পক্ষে এই প্রবণতা দমন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পশতুন প্রভৃতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। পাকিস্তানি সেনা তাদের ওপর নির্মম অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাক সরকার এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই উন্নয়ন করেনি বলে অভিযোগ। এই আন্দোলনগুলি পাকিস্তান সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাকিস্তানজুড়ে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে অনেকেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছায়া দেখছে। সেই সময় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখে মনে হচ্ছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।

    ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে গতি পেয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ। সম্প্রতি, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সরকার ও তার সেনার ওপরে ব্যাপক আঘাতে হেনেছে। এই আবহে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও ঘোষণা করে দিয়েছে। বালোচিস্তান তার স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই সিন্ধু প্রদেশ থেকে একইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়ে সিন্ধ প্রদেশে। এই সময় সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার দাবি ওঠে এবং পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিভিন্ন সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনগুলিকে দমন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বালোচিস্তানের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে পশতুনদের আবাসভূমি। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা নিজেদের জন্য পশতুনস্তানের দাবি জানিয়েছে।এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে।

    স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি বালোচিস্তানের (Pakistan)

    ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan News) যুদ্ধ আবহে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন জানায় তাদেরকে যেন গণতান্ত্রিক একটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হল পাকিস্তানের এই প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রদেশকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান সরকার, এমনটাই অভিযোগ। বালোচিস্তান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল কিন্তু ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে জোর করে পাকিস্তান এই বালোচিস্তানকে দখল করে বলে অভিযোগ। বালোচিস্তানের শাসক ছিলেন কালাত খান। কালাত খান চাপের মুখে পড়ে এবং বালোচিস্তানের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এই পাঁচটি বড় বিদ্রোহ দেখা দেয় বালোচিস্তানে। ১৯৪৮, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৩ থেকে ৭৭, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয় পাকিস্তান ও বালোচিস্তানের মধ্যে। এই সময় বালোচিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপরে হামলা শুরু করে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা। অপহরণ , লুট, হত্যা এই সমস্ত কিছুই ঘটতে থাকে।

    সিন্ধু রাজ্যের পৃথক দাবি

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে, সিন্ধু দেশ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে আসছে সেখানকার জনগণ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, একটি স্বাধীন সিন্ধু রাষ্ট্রের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। তারা জোর করে তাদের ওপরে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, সেখানকার জমি দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। পাকিস্তানের সেনা বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ।

    পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবিদের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হল পশতুনরা। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ, তাদেরও নানারকম অভিযোগ রয়েছে যে পাকিস্তান তাদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আবহে তারাও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পশতুনরা ১৮৯৩ সালে যে ডুরান্ড লাইন- এর মাধ্যমে সীমা নির্ধারণ করা হয়, তার বিরোধিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলনের নাম পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন।

    গিলগিট-বালটিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    একই চিত্র দেখা গিয়েছে গিলগিট-বালটিস্তানেও। সেখানেও পাকিস্তানের সেনা তথা সরকারকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই গিলগিট-বালটিস্তান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধশালী অঞ্চলটিকে পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত রেখেছে। উত্তরে রয়েছে আফগানিস্তানের সীমা, উত্তর-পশ্চিমে চীনের সীমা, পূর্বে রয়েছে লাদাখ এবং দক্ষিণ দিকটি কাশ্মীর দ্বারা বেষ্টিত। পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কারণে এই অঞ্চলের মানুষজন পাকিস্তান (Pakistan News) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে।

  • Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। মাঝেমধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের। আর আবহাওয়ার এই রকম ফেরে বাড়ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। তার সঙ্গে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড (Typhoid)। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় কমবেশি টাইফয়েড আক্রান্ত দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ভরা গরমেই বাড়ছে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে, বাড়তি সতর্কতা (Expert Health Tips) জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গরমে কেন বাড়ছে টাইফয়েড (Typhoid) আক্রান্তের সংখ্যা?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড জলবাহিত রোগ। মূলত দূষিত জল থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এবছরেও টাইফয়েডের দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ জল। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমে সাময়িক আরামের জন্য অনেকেই নানান রঙিন সরবত নিয়মিত খান। আর সেখান থেকেই বিপদ বাড়ে‌। অপরিশ্রুত জল থেকে সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে তা আশপাশের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে।

    জলের পাশাপাশি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রাস্তার অপরিচ্ছন্ন কাটা ফলের স্যালাড খান। এগুলো অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয় না। ফলে নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সেখান থেকেও টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগ ছাড়তে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অর্থাৎ হাত পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহারের মতো অভ্যাস না থাকলেও যথেষ্ট বিপদ বাড়ে। টাইফয়েডের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে।

    কোন উপসর্গ দেখলে বাড়তি সতর্কতা দরকার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্তের প্রথম পর্বেই ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব (Expert Health Tips)। তাই এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাবে। অর্থাৎ রোগীর হাই-ফিভার থাকবে। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা অনুভব হবে। ক্লান্তি বোধ হবে। কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যাবে না।‌ মানসিক ভাবেও একধরনের আচ্ছন্নতা বোধ হবে। অনেক সময়েই বারবার বমি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে দেরি করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের দাপট রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শৌচালয় পরিষ্কার করা জরুরি। গরমের এই আবহাওয়ায় নানান ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই শৌচালয় থেকে নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। বাইরে শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শৌচালয় ব্যবহারের পরে ভালোভাবে হাত ও মুখ ধোয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    পাশপাশি খাবারের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের সংক্রমণ খাবার থেকেই হয়। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা সব্জি বা ফলের স্যালাড এড়িয়ে চলা দরকার। কম তেলমশলায় তৈরি ভালোভাবে সেদ্ধ করা খাবার খেলে হজমের ঝুঁকি কমে। আবার নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Expert Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে রঙিন ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের হানা দিচ্ছে করোনা (Covid-19)! বাড়ছে আতঙ্ক! করোনা ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে এক অতিপরিচিত নাম! কয়েক বছর আগে অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এর মাঝেই ফের করোনা আতঙ্ক! দেশ জুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। ২০২০ সালের মতোই কি আবার করোনা অতিমারির আকার ধারণ করবে? আবার কি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে?! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। করোনা (Coronavirus) দাপট বাড়ালেও এই মুহূর্তে অতিমারির আকার ধারণ করতে পারবে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অযথা আতঙ্ক পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।

    উদ্বেগ নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের (Covid-19) দাপট বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশের অধিকাংশ জায়গায় তীব্র গরম। আবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা শুরু হবে। অর্থাৎ, আবহাওয়ায় রকমফের হতে চলেছে। তাপমাত্রায় ওঠানামা চলতে থাকবে। এই সময়ে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত অসুখের দাপট বাড়ে। ফলে সর্দি-কাশি-জ্বরের জেরে ভোগান্তি বাড়ে। তাই জ্বর হলেই বা সর্দি-কাশি হলেই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্কতা জরুরি। সাধারণ জ্বর হোক কিংবা করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত, এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, টানা তিন-চার দিন সর্দি-কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে যেকোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। তাতে করোনা আক্রান্ত কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার। তারপরে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করতে হবে। সর্দি-কাশি হলেই আইসোলেশন জরুরি। অর্থাৎ করোনা (Covid-19) আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই আলাদা ঘরে থাকা জরুরি। কারণ এতে সহজেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হয়। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ, বাইরে থেকে ফিরে হাত পরিষ্কার করা, নিয়মিত ঘর ও আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, বাইরে বিশেষত ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনা সংক্রমণ সহজেই আটকানো যাবে। ভোগান্তি ও কমবে।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা (Covid-19) দাপট বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে কিছুক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কো-মরবিটি থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে তাঁদের এই পরিস্থিতি বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত যাদের ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, অর্থাৎ হাঁপানি রোগী কিংবা কোনো অ্যালার্জিতে ভুগলে, তাঁদের এই সময় মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করা দরকার, এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। কোনও ভাবেই যাতে সর্দি-কাশি বা জ্বর না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া, হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা থাকলেও বাড়তি সতর্কতা দরকার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে জটিল অসুখ থাকলে, করোনা শরীরকে সহজেই কাবু করে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি। তাহলে করোনা (Covid-19) নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ থাকবে না।

  • Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার পারদ ক্রমেই চড়ছে। আর তার ফলে দেখা দিচ্ছে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি (Summer Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে গরমের দাপট বাড়তেই ফুসফুস কিংবা পেটের নানান অসুখের মতোই হানা দিচ্ছে মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময়েই সংক্রমণ প্রাথমিক ভাবে কমে গেলেও, ফের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বারবার সংক্রমণের জেরে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কেন গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমের জেরে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের অভাবেই মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া লাগামহীন এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকছেন আবার কিছু সময় থাকার পরেই ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন।

    এর ফলে শরীরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস এবং পেটে নানান ধরনের সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ছে। আর তার থেকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এড়াতে শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশপাশি গরমে শরীরে যাতে বাড়তি জলের চাহিদা পূরণ হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি (Summer Health Problems)।

    এই রোগের উপসর্গ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection) হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বারবার জ্বর হয়। এর পাশপাশি পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত মূত্রত্যাগের সময় আরও বেশি যন্ত্রণা শুরু হয়। পায়ে খিঁচ ব্যথাও অনুভব হতে পারে।‌ এই সমস্যা দেখা দিলে বারবার বমি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। যাতে পেটে এবং মূত্রনালিতে কোনও রকম সংক্রমণ না হয়।

    ● নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। এতে শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাবে। পেটের সমস্যা কমবে। এমনকি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে‌।

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে নিয়মিত সবুজ সব্জি খাওয়া জরুরি। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ফলে যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা (Summer Health Problems) সহজ‌ হয়। তাই নিয়মিত অন্তত এক গ্লাস লেবুর সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ● বারবার চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গরমে বারবার চা কিংবা কফি জাতীয় পানীয় খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    ● শৌচাগার পরিষ্কারভাবে রাখার পাশপাশি নিজেও সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়মগুলো মেনে চললে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য স্নাতক হওয়া আইনের পড়ুয়ারা বিচারক হতে চাইলে এবার থেকে তাঁদের তিন বছরের প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবেই। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা না থাকা আইন স্নাতকরা বিচারক হলে আদালতের কাজকর্মে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সুপ্রিম কোর্ট তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করল। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে আইন পাশ করার বছর থেকেই জুডিশিয়াল সার্ভিস দেওয়া যেত, তা এবার সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশিকায় বন্ধ হল।

    ২০০২ সাল পর্যন্ত থাকা নিয়মকেই পুনরায় ফিরিয়ে আনল শীর্ষ আদালত

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত ন্যূনতম তিন বছর প্র্যাকটিস করলে তবেই বিচারক (Judicial Service) হওয়ার পরীক্ষায় বসা যেত। ২০০২ সালে সেই নিয়ম তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তীকালে আবার ২৩ বছর পরে তা ফের একবার লাগু হল। মঙ্গলবারই দেশের প্রধান (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এজি মাসিহ এবং বিচারপতি কে বিনোদচন্দ্রনের এই বেঞ্চ এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে।

    বর্তমানে যে নিয়োগ চলছে সেখানে কার্যকর হবে না নয়া নিয়ম

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, আইনে স্নাতক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জুডিশিয়াল সার্ভিসে বসা যাবে না। এর জন্য তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার কারণ কোর্টের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিন এমন নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য সরকারকে নিয়ম সংশোধন করতেও নির্দেশ দিয়েছে। যাতে সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ যাঁরা করবেন, তাঁদের ন্যূনতম তিন বছরের প্র্যাকটিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তার উপরে কোন প্রভাব ফেলবে না এই নির্দেশিকা (Judicial Service)। পরবর্তীকালে যে নিয়োগগুলি হবে সেখানেই লাগু হবে এই নয়া নিয়ম।

LinkedIn
Share