Tag: Aadhaar

Aadhaar

  • AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর (AADHAAR Deactivation)। এগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। এই আধার নম্বরগুলি মৃত ব্যক্তিদের। মোদি সরকারের গত বছর শুরু হওয়া পরিস্কার অভিযানের অংশ হিসেবে ইউআইডিএআই এই পদক্ষেপ করেছে, যাতে করে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সঠিক ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় এবং মৃত ব্যক্তিদের নামে কোনও ভুয়ো দাবি না করা যায়।

    ভুবনেশ কুমারের বক্তব্য (AADHAAR Deactivation)

    ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা প্রয়োজন, যাতে সরকারি কল্যাণ প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে। এর ফলে সরকারি অর্থ প্রতারণামূলক দাবি বা পরিচয় জালিয়াতির পেছনে নষ্ট হবে না।” মনে রাখতে হবে, ৩৩০০–এরও বেশি সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আধার। ইউআইডিএআইয়ের লক্ষ্য হল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের প্রায় ২ কোটি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা (AADHAAR Deactivation)। ইউআইডিএআইয়ের আধিকারিকদের মতে, এই অভিযানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধনে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর নথিতে আধার নম্বর একেবারেই লেখা হয় না, অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ লেখা হয়। তথ্য বিভিন্ন আর্থিক এবং অ–আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। তাই তথ্য যাচাই ও মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।

    মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে!

    প্রসঙ্গত, সরকার লক্ষ্য করেছে যে, অতীতে একাধিকবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইউআইডিএআই (UIDAI) ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে চলেছে। ইউআইডিএআই নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনা এমআধার (mAadhaar) পোর্টালে রিপোর্ট করেন। সিইও কুমার বলেন, “সঠিক ও আপডেটেড ডেটাবেস বজায় রাখা লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য এবং এটি ভারতের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে (AADHAAR Deactivation)।”

  • ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে বড় উদ্যোগ নিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। যেহেতু এবার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ভোটার কার্ড নিয়ে (Online Voter), তাই আর ভোট চুরির অভিযোগ তোলা যাবে না, ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না আর কোনও ভোটারের নাম। এবার জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তটা ঠিক কী, ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য ভোটারদেরই বা কী করতে হবে।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (ECI)

    কর্নাটকে ভোট চুরি হয়েছে বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভায় অন্তত ৬ হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে ভোট চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। যদিও রাহুলের অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যখন তুঙ্গে, তখনই নয়া নিয়ম আনল নির্বাচন কমিশন। বিতর্কের আবহেই নিজেদের পোর্টালে ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় একমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়া কিংবা তথ্য সংশোধন করা যাবে।

    কমিশনের নয়া নিয়ম

    কমিশনের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে যদি কোনও ভোটার তাঁর নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন (ECI), তখন তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬, নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফর্ম ৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম ৮ ফিল-আপের সময় এপিক নম্বর দিতে হত ভোটারদের। আলাদাভাবে আর কোনও তথ্য যাচাই করা হত না। এবার ফর্ম ফিলআপের সময় আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশনও করতে হবে।

    মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে নয়া নিয়ম। নতুন এই ব্যবস্থায় তিনটি ফর্ম ফিল-আপের সময়ই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে তথ্য যাচাই করা হবে। দেখা হবে, যাঁর নাম বাদ যাবে, তিনি নিজেই আবেদন করছেন, না কি তাঁর হয়ে অন্য কেউ?

    জানা গিয়েছে, ভোট দিতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। সেটি জমা দিতে গেলেই খুলবে একটি ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল। সেখানে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। তাতে ওই আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই সম্পূর্ণ হবে যাচাই প্রক্রিয়া (Online Voter) এবং আবেদনকারীর আবেদন সঠিকভাবে জমা পড়বে (ECI)।

  • Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার (AADHAAR) কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার দাবি তুলেছিল বিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আইন অনুসারে আধারের মর্যাদা নির্ধারিত হয়েছে। সেই মর্যাদা বাড়ানো সম্ভব নয়।”

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) সংক্রান্ত মামলায় এর আগে জানিয়েছিল, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। সোমবারের শুনানিতে তা আরও স্পষ্ট করে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যাচাইয়ের জন্য অনেক নথির মধ্যে আধারও একটি নথি হতে পারে। আধার আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আধার নম্বর বা অথেনটিকেশন ধারকের নাগরিকত্ব বা বাসস্থানের প্রমাণ হবে না। ২০১৮ সালেও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ পুত্তস্বামী মামলায় জানিয়েছিল, “আধার নম্বর কারও নাগরিকত্বের অধিকার অধিষ্ঠিত করতে পারে না।”

    বিরোধী দলগুলির দাবি

    এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিহারের বিরোধী দলগুলির আইনজীবীরা একাধিকবার শুনানির সময় সওয়াল করেছিলেন এই বলে যে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য একমাত্র আধারকেই প্রমাণ হিসেবে ধরা হোক। এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আধারে এত জোর দেওয়া হচ্ছে কেন নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ আধার – আমরা কখনওই সেই নির্দেশ দেব না।” নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধারকে (AADHAAR) প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ বিহারের কয়েকটি জেলায় আধার কার্ড রয়েছে ১৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে, বহু বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে আধার কার্ড বানিয়েছে কিছু রাজ্যে।

    ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ

    প্রসঙ্গত, বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে মামলা শুনছে শীর্ষ আদালত। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। তালিকায় বাদ পড়া ভোটারদের অভিযোগ জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিহারের বিরোধী দলগুলি (Supreme Court)। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয় সেই মামলার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ নাম বাদ গিয়েছে (AADHAAR)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, আধারকে পরিচয়ের একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে না (Supreme Court)।”

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

  • Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কিংবা ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত নথি হতে পারে না। অন্যান্য নথির সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Supreme Court On SIR) ইস্যুতে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, সেই সময় কার্যত বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল, তালিকা ত্রুটিমুক্ত করাই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের উদ্দেশ্য, এতে কমিশনের কোনও ভুল নেই।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court On SIR) বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ভারতের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আধার আইনের ৯ ধারা দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করে লাখ লাখ নাম বাতিল করেছে। এই মর্মে বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, আধার কখনও স্থায়ী বাসিন্দার উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না। তাই আধার কার্ড থাকলেই ভোটদানের অধিকার থাকতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কমিশনের সেই যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে, মূলত বিশ্বাসের অভাবে এসআইআর নিয়ে বিবাদের এই ইস্যুটি তৈরি হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা বাতিলের অধিকার রয়েছে কমিশনের।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে কমিশনের এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তার শুনানিতে কমিশন জানায়, বিহারের ভোটার সংখ্যা ৭.৯ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি ভোটারকেই নিজেদের বা বাবা-মায়ের কোনও নথি পেশ করতে হয়নি।’ এর প্রেক্ষিতেই আবেদনকারী আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত জানায়, ৭.৯ কোটির মধ্যে যদি ৭.২৪ কোটি ভোটার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়ার তত্ত্ব খাটে না।’ সিব্বলের যুক্তি, বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন বলেন, ‘বিহারে কারও নথি নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি। বিহারে এই অবস্থা হলে দেশের অন্যান্য অংশে কী ঘটবে?’ শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম তুলবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। তার কারণ কমিশন জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়েছে।

    আধার পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক

    আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন যে, আধার, রেশন এবং সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট আধিকারিকরা সেগুলি কোনও প্রমাণ বলেই গ্রহণ করতে চাইছেন না। এর জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এই নথিগুলি প্রমাণ করে যে আপনি ওই এলাকায় বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে আধার বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কোনও আবেদনকারী বা ভোটার আধার দেখিয়ে নিজেকে নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক।’

    বুধবার ফের শুনানি

    এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আপত্তি জানান প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক সিংভি ও প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে মৃত, স্থানান্তর বা অন্য কেন্দ্রে নাম রেজিস্টার করা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও তোলেন। কমিশনের তালিকায় মৃত হিসেবে নাম থাকা ভোটারদের এদিন আদালতে হাজির করেন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। সিবাল যুক্তি দেন, একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, ১২ জনকে কমিশন মৃত হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁরা জীবিত। কমিশনের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, খসড়া তালিকায় এধরনের কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তা শুধরে নেওয়া যাবে। আজ, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

  • Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই বিহারে ভোট (Bihar Election)। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি মায়ানমারের বহু নাগরিক বর্তমানে বিহারে বসবাস করছেন এবং তাঁরা অবৈধভাবে নিজেদের নামে আধার কার্ড, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ব্লক ধরে ধরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বহু বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে এই অবৈধ ভোটারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত ও অভিযান চালানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যাঁরা অবৈধ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে

    বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (Bihar Election) সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু বাংলাদেশি, নেপালি ও মায়ানমারের বাসিন্দা বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে এদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা।

    মোট ভোটার ৭ কোটি ৮০ লাখ (Bihar Election)

    ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট ৭.৮ কোটি ভোটারের বৈধতা যাচাই করবে বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড বা রেশন কার্ড যথেষ্ট নয়। জন্ম সনদ বা সরকারি স্বীকৃত জন্ম-পরিচয়ের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার আরও বেশি  কঠোর নির্বাচন কমিশন।

  • E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইউআইডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)। জানা গিয়েছে, কিউআর কোডের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে (E AADHAAR) ডিজিটাল আধার সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (AADHAAR Card) ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধার কার্ড শেয়ার করা যাবে। আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণি বাদ দিয়ে আধার কার্ডের বাকি যাবতীয় পরিবর্তনও ডিজিটাল মাধ্যমেই করা যাবে।

    কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন (E AADHAAR)

    আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়ে যাবে। এর ফলে আর কোথাও আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। দেশবাসী তাঁদের আধারের ডিজিটাল ভার্সন শেয়ার করতে পারবেন — পুরো বা আংশিকভাবে গোপন ফরম্যাটে, যেমন তাঁদের পছন্দ। নভেম্বরের মধ্যে ইউআইডিএআই একটি সহজ প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি চালু হলে আধার আপডেট করতে কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার প্রয়োজন অনেকটাই কমে যাবে।জীবনধারণের প্রমাণ হিসেবে বায়োমেট্রিক তথ্য বাদে, ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্যের আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করা যাবে। কারণ এটি বিভিন্ন সরকারি ডেটাবেসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে জন্মের শংসাপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার রেকর্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, রেশন ব্যবস্থা (PDS) এবং এমএনআরইজিএ (MNREGA) সিস্টেম।

    ইউআইডিএআই-র সিইওর বক্তব্য

    এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের ঝুট-ঝামেলা পোহানো বন্ধ করা এবং আধার রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতা কমানো। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের সুবিধা বাড়াতে বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ডও যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ইউআইডিএআই-র সিইও (E AADHAAR) ভুবনেশ কুমার জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই পুরোপুরিভাবে চালু হয়ে যাবে ই-আধার প্রকল্প। নয়া এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। তার বদলে সাধারণ মানুষ আধার কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন জমা দিতে পারবেন। চাইলে আধার কার্ডের মাস্কড ভার্সনও জমা দিতে পারবেন (AADHAAR Card)।  নতুনভাবে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে তিনি জানান, এক লাখ যন্ত্রের মধ্যে প্রায় ২ হাজার যন্ত্র ইতিমধ্যেই এই নয়া সিস্টেম ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “আঙুলের ছাপ ও আইরিস (চোখের স্ক্যান) দেওয়া ছাড়া বাকি সব কিছু আপনি খুব শীঘ্রই বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।”

    ঝামেলা পোহানোর দিন শেষ

    এখন আধার কার্ড আপডেট করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে আধার কেন্দ্রে যেতে হয়। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হোক না কেন, প্রতিটি আপডেটের জন্য ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হয়।   চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এই ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। তখন ব্যবহারকারীদের কেবলমাত্র একটি ওটিপি-র প্রয়োজন হবে, যার মাধ্যমে তাঁরা বাড়িতে বসেই তাঁদের আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে পারবেন (E AADHAAR)। যাঁরা ব্যস্ততার কারণে আধার কেন্দ্রে যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই পরিবর্তন বিশেষভাবে উপকারী হবে।

    এক নজরে সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া এই অ্যাপ্লিকেশনে কী কী সুবিধা মিলবে।

    এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, নাম এবং জন্মতারিখ সংশোধনের মতো তথ্য আপডেট করার সুবিধা দেবে। মোবাইল ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কিউআর কোড-ভিত্তিক আধার স্থানান্তর চালু করাকে অপব্যবহার রোধের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করা হচ্ছে। এর ব্যবহার হতে পারে হোটেলে চেক-ইন থেকে শুরু করে রেলভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র যাচাই পর্যন্ত। কুমার বলেন, “এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং শুধুমাত্র সম্মতির ভিত্তিতে তা শেয়ার করা যাবে (E AADHAAR)।”

    এই ব্যবস্থা উপ-রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রারদের দ্বারা সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় প্রতারণামূলক কাজকর্ম রোধেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। কুমার জানান, ইউআইডিএআই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ করছে যাতে সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় আধার যাচাইকরণ অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং জালিয়াতির ঘটনা কমানো যায় (AADHAAR Card)।

    ইউআইডিএআই ইতিমধ্যেই সিবিএসই এবং অন্যান্য পরীক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যাতে শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য আপডেট করা যায়। এই আপডেট দুটি বয়সসীমার মধ্যে করতে হবে – পাঁচ থেকে সাত বছর, এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর। এই বিষয়ে তারা একটি বিশেষ প্রচারের পরিকল্পনা করছে, যাতে প্রথম আপডেটের (৫-৭ বছর বয়সী শিশুদের) জন্য ৮ কোটি এবং দ্বিতীয় আপডেটের (১৫-১৭ বছর বয়সীদের) জন্য ১০ কোটি সমস্যার সমাধান করা যায় (E AADHAAR)। এছাড়াও ইউআইডিএআই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন নিরাপত্তা সংস্থা এবং হসপিটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করছে, যেখানে আধার ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তার পরিষেবা বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

  • Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো। আধার ও ইউপিআই-এর সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করতে চলেছে দেশের এক অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল গভর্নেন্স উদ্যোগ — ডিজিপিন বা ডিজিটাল পোস্টাল ইন্ডেক্স নম্বর (Digital Postal Index Number)। এটি দেশের প্রতিটি বাড়ি, দোকান, অফিস এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও একটি ইউনিক ডিজিটাল ঠিকানা দেবে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে ডাক বিভাগ, আর গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তত্ত্বাবধানে চলছে। লক্ষ্য একটাই — ভারতের অগোছালো ও অপরিকল্পিত ঠিকানা ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট, নিরাপদ ও সঠিক ডিজিটাল কাঠামোয় রূপান্তর করা।

    ডিজিপিন কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    ডিজিপিন একটি ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড, যা উপগ্রহ চিত্রভিত্তিক অবস্থানের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো — যেমন বাড়ি, দোকান, সরকারি অফিস ইত্যাদি — চিহ্নিত করবে। এটি প্রচলিত পিনকোডের মতো নয়, যেখানে একটি এলাকা জুড়ে একই পিনকোড ব্যবহৃত হয়। বরং, এটি প্রতিটি স্থাপনার নিজস্ব ডিজিটাল ঠিকানা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতও ডিজিটাল ব্যবস্থার মূল স্রোতে আসবে। যেসব এলাকা আগে ঠিকানা না থাকার কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো — যেমন জঙ্গলমহল, পাহাড়ি এলাকা, বা বস্তি অঞ্চল — সেখানেও পৌঁছবে সরকারি পরিষেবা, জরুরি উদ্ধার, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি।

    গোপনীয়তা ও আইনি সুরক্ষা

    ডিজিপিন হবে ব্যক্তি সম্মতিভিত্তিক ব্যবস্থা। কোনো ব্যক্তি তাঁর ডিজিটাল ঠিকানা কেবল তখনই শেয়ার করবেন, যখন তিনি নিজে সম্মতি দেবেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানে প্রচলিত ঠিকানা ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, যেখানে ই-কমার্স ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ঠিকানা সংগ্রহ ও বিক্রি করে থাকে। ডিজিপিন চালুর ফলে এই অনিয়ন্ত্রিত ঠিকানা ব্যবহারের প্রথার উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ আসবে। একইসঙ্গে ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে অপরাধ, দুর্নীতি কিংবা সীমান্তে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা রুখতেও সাহায্য করবে এটি।

    অর্থনৈতিক সাশ্রয়

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের বর্তমান অপর্যাপ্ত ঠিকানা ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর ১০–১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় — যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ। ডিজিপিন চালুর ফলে পরিষেবা প্রদান, পণ্য ডেলিভারি, সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও জরুরি সেবায় অভূতপূর্ব গতি আসবে। ডাক বিভাগ ইতিমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করছে। এ নিয়ে গঠিত হবে একটি বিশেষ ডিজিটাল অ্যাড্রেস বা ডিপি অথরিটি, যা পুরো ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণ করবে। এ নিয়ে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আইন পেশ করা হতে পারে। যেভাবে আধার ভারতবাসীকে একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয় দিয়েছে, এবং ইউপিআই ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে — ঠিক সেইভাবে ডিজিপিন ভারতের প্রতিটি বাড়িকে ডিজিটাল জাতির অংশ করে তুলবে। এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার এক সাহসী পদক্ষেপ।

  • Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) আধারের (Aadhaar) নতুন অ্যাপের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এই নতুন অ্যাপটি ফেসিয়াল ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই এই কথাগুলি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই অ্যাপ চালু হওয়ার পর হোটেল-দোকানে আধারের ফটোকপি আর দিতে হবে না। বর্তমানে যেমন ভারতের সর্বত্র ইউপিআই পেমেন্টের জন্যে কিউআর কোড দেখা যায়, তেমনই শীঘ্রই আধার যাচাইকরণ কিউআর কোড ভেরিফিকেশন পয়েন্টগুলিতে উপলব্ধ হবে।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘এই নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে আধার ভেরিফিকেশনের (Aadhaar Verification) প্রক্রিয়া, ইউপিআই পেমেন্টের মতো কাজ সহজ করা যাবে।’’ এবিষয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্টও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, ফেস আইডি যাচাইকরণ (Aadhaar) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সংযুক্ত করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল আধার পরিষেবা চালু করতে চলেছে সরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় তৈরি করা এই অ্যাপটিতে প্রমাণীকরণের জন্য কিউআর কোড-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন এবং রিয়েল-টাইম ফেস আইডি ব্যবস্থাও রয়েছে।

    নতুন আধার অ্যাপে কী কী সুবিধা মিলবে?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নয়া আধার অ্যাপ (Aadhaar) চালু হওয়ার পরে ভ্রমণের সময় ট্রেনে, হোটেল চেক-ইন ইত্যাদি কাজে আধার কার্ড সঙ্গে নিতে হবে না বা এর ফটোকপি জমা দিতে হবে না।

    এই অ্যাপ চালু হলে তা কিউআর কোড স্ক্যান করার পরেই যে কোনও ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করতে সক্ষম হবে। এর ফলে নতুন করে আধারের কপি দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না।

    নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যই শেয়ার করতে পারবেন। ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবেন।

    ফেস আইডি-ভিত্তিক প্রমাণীকরণ তো এই অ্যাপটিতে থাকছেই। এর পাশাপাশি, নতুন আধার অ্যাপটিতে একটি কিউআর কোড যাচাইকরণ বৈশিষ্ট্যও থাকবে। এরফলে আধার যাচাইকরণকে আরও দ্রুত এবং সহজ হবে বলে জানা যাচ্ছে।

  • Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে জাল আধার কার্ড চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস (Aadhaar scam) করল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal Police) প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে তারা। এত বড় চক্রের পর্দা ফাঁস করে উত্তরপ্রদেশের বাহজয়ী পুলিশ স্টেশন। গত ২ মার্চ এই থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেন ওই থানার অন্তর্গত বাহারওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রসেন। এই অভিযোগ দায়ের করা হয় বিনোদ সিংয়ের বিরুদ্ধে। বিনোদ ছিলেন পঞ্চম সিংয়ের ছেলে। ওই বিনোদ প্রতারণা করে একটি ট্রাক্টর নেন তাঁর অসুস্থ সন্তানের নামে। কিন্তু তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পরে ওই ট্রাক্টরটি তিনি অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন অন্য একজনকে। এরপরে বিনোদ তাঁর বাবার আধার কার্ড জাল (Aadhaar scam) করে আর্থিক লাভ নেওয়া শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনজ্যোতি বিমার আওতায়।

    গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ডে তথ্য সংগ্রহ করত এই চক্র

    এরপরই অভিযোগ সামনে আসে এবং বাহজয়ী পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয় তদন্ত। সেখানেই ধরা পড়ে চক্র। একটি গ্যাংয়ের কথা উঠে আসে। যারা দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ড ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত নানা সংগ্রহ করত (Aadhaar scam)। এগুলিই তারা ব্যবহার করত বিভিন্ন প্রতারণার কাজে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ এবং আমরোহা জেলাতে। ধৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিস্টেম ডিভাইস, বায়োমেট্রিক ডেটা, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম এই সমস্ত কিছু উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে রবার (নকল) ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জাল পাসপোর্ট, ১৩টি রাজ্যের ৪২ টি জাল জন্মের শংসাপত্র, মোবাইল ফোন, ৩৬টি প্যান কার্ড, ৪০০টি আধার এনরোলমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন উদ্ধার হয়েছে।

    আধারের ফেক প্রোফাইলও তৈরি করেছিল এই চক্র

    শুধু তাই নয়, অনলাইন আধারের জন্য যে পোর্টাল চালু রয়েছে ইউআইডিএআই, কোডিং ব্যবহার করে তারাও এরকম একটি ফেক ইউআইডিএআই পোর্টাল তৈরি করেছিল (Aadhaar scam) জালিয়াতরা। এর মাধ্যমে প্রতারণার কাজ চলত। তদন্তের সময় বিনোদের মোবাইল পরীক্ষা করে পুলিশ। সেখানেই পুলিশ দেখে যে তাঁর বাবার নামে দুটি আধার কার্ড রেজিস্টার করা আছে। এই দুটি আধার কার্ড সে ব্যবহার করত। একটি জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৫, অপরটির জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৭৬। পঞ্চম সিংয়ের আধার কার্ড লিঙ্ক ছিল বিনোদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে (Sambhal Police)।

LinkedIn
Share