Tag: Afghanistan

Afghanistan

  • Earthquake: ২ মিনিট ধরে কাঁপল দিল্লি! আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের প্রভাব উত্তর ভারতে

    Earthquake: ২ মিনিট ধরে কাঁপল দিল্লি! আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের প্রভাব উত্তর ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কের রাত কাটাল দিল্লিবাসী। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের (Afghanistan Quake) জোরালো প্রভাব পড়েছে দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতে। প্রায় ২ মিনিট ধরে কেঁপেছে উত্তর ভারত। সঙ্গে একের পর এক আফটারশক। কেবলমাত্র দিল্লিই নয়, কম্পন অনুভূত হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানাতেও। 

    কাঁপল আফগানিস্তান

    মঙ্গলবার রাত ১০টা ১৭ মিনিট নাগাদ আচমকাই কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি ও সংলগ্ন নয়ডা অঞ্চলে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান লাগোয়া হিন্দুকুশ এলাকায়। প্রায় দুই মিনিট ধরে সেই কম্পন স্থায়ী হয় বলে জানা গিয়েছে। ভারত ছাড়াও পাকিস্তান,  তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, চিন, আফগানিস্তান ও কিরঘিজস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের জুর্ম শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ৪০ কিলোমিটার দূরে। পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তের মাঝামাঝি জায়গায় ভূমিকম্পের কারণে আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  ১৫০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

    আরও পড়ুন: “দুর্নীতির টাকাতে কেউ বিশ্বভ্রমণ করেছেন, কেউ চোখের ট্রিটমেন্ট”! বিস্ফোরক সুকান্ত

    মধ্যরাত পর্যন্ত রাস্তায়

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল মূলত আফগানিস্তান হলেও টানা ২ মিনিট ধরে কেঁপেছে উত্তর ভারতের একাধিক শহর। আতঙ্কে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। দিল্লিবাসীরা সমাজমাধ্যমে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, তাঁদের বহুতল ভূমিকম্পে দুলতে শুরু করেছিল। ফলে প্রাণের ভয়ে ১১ তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে দৌড়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন বাসিন্দারা। ছোট শিশুকে কাঁথায় জড়িয়ে ঘর ছেড়ে ছুটতে দেখা গিয়েছে কাউকে। কেউ আবার ঘরে দাঁড়িয়েই সিলিং ফ্যান এবং অন্যান্য আসবাবপত্র কেঁপে ওঠার ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন। 

    গত বছরের শেষভাগ থেকেই দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী (Delhi)। এবারের ভূমিকম্পও সেইরকম হচ্ছে বলেই ভেবেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পার হয়ে যাওয়ার পরও যখন কম্পন অনুভূত হয়, তখনই বিপদ আঁচ করেন। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে নীচে নেমে আসেন বাসিন্দারা। এরপর সারা রাতই কেটেছে আতঙ্কে। ফের ভূমিকম্প হতে পারে, এই ভয়ে অনেকে মধ্যরাত অবধি রাস্তাতেই বসে থাকেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Afghanistan: আফগানিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    Afghanistan: আফগানিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) মাটিকে সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে যেসমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড নেশনসের নিরাপত্তা পরিষদ। বৃহস্পতিবার কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করল ভারত। আফগানিস্তানের মাটিতে জেহাদিদের প্রশিক্ষণ ও শিবির স্থাপন মেনে নেবে না ভারত। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নাম না করে এভাবেই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।

    রুচিরা কম্বোজের মন্তব্য

    আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের তরফে একাধিক মন্তব্য করেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। এছাড়া আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এর পাশাপাশি ভারতের তরফে আফগানিস্তানকে গত বছর যে সাহায্য করা হয়েছে তাও এই আলোচনার সভায় তুলে ধরেন তিনি।

    তিনি বলেন, “ভারত আশা করে যে আফগানিস্তানের জমিতে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ ও শিবির স্থাপন করা হবে না। বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা জঙ্গিদের ও মাদক পাচারকারীদের আফগান ভূখণ্ডে আশ্রয় দেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    আফগানিস্তানের (Afghanistan) জনগণের প্রসঙ্গ এনে রুচিরা কম্বোজ বলেন, “আফগান জনতার কথা মাথায় রেখে এবং রাষ্ট্রসংঘের আবেদনে সাড়া দিয়ে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত। আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে ভারত। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই আফগানদের নিরাপত্তা এবং সেদেশে শান্তি বহাল করার কাজই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার পাবে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ইউনাইটেড নেশনশের আর্জিতে ভারত সাড়া দিয়েছে এবং আফগানিস্তানকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম, ৬৫ টন ওযুধ সামগ্রী এবং ২৮ টন অন্যান্য সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহী ভারত বলে জানিয়েছেন রুচিরা।

    আফগান মহিলাদের প্রসঙ্গে কী বললেন রুচিরা?

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, রুচিরা কাম্বোজ বলেছেন যে, সেদেশের জনগণের পরিস্থিতি “গভীর বেদনাদায়ক”। আবার মহিলাদের চরম দুর্দশার কথা এনে তিনি বলেন, দেশটির ভবিষ্যতের জন্য মহিলা ও সংখ্যালঘুদের একত্রিতকরণ জরুরী এবং তাদের অধিকার যথাযথভাবে রক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। ফলে আফগানিস্তানের (Afghanistan) এই পরিস্থিতির পরিবর্তনেরই ডাক দিচ্ছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম খাদ্য সঙ্কটে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান (Afghanistan)। ২০২১ সালে তালিবানের (Taliban) কাবুল দখলের পর থেকে ক্রমশই খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লি। পাকিস্তানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আফগানিস্তানকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। মঙ্গলবার দিল্লিতে পাঁচ দেশের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে। তবে পাকিস্তান হয়ে নয়, এই গম যাবে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে। এর পাশাপাশি সেদেশের মহিলা ও সংখ্যালঘু-সহ সমস্ত মানুষের অধিকার রক্ষা করতে রাজনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    তালিবান দখলের পর ভারতের সহায়তা

    ২০২০ সালে, ভারত আফগানিস্তানে ৭৫,০০০ মেট্রিক টন গম পাঠানোর জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহার করেছিল। এরপর এবারে ফের ইরানের বন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে পাঠাতে চলেছে গম। একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে “আফগান জনগণের” জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন গম বিতরণের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (UNWFP) সঙ্গে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে ভারত।

    মঙ্গলবার কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারত। ভারত-মধ্য এশিয়ার যৌথ ওই বৈঠকেই নয়াদিল্লি ঘোষণা করে ভারতের তরফে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে আফগানিস্তানে। সেই সঙ্গেই আফগানিস্তানের প্রশাসনের আরও উন্নতি ঘটানোরও ডাক দিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি ভারত জোর দিয়েছে কোনওভাবেই যেন আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা কিংবা অন্য কোনও রকম কাজে ব্যবহার না করা হয়।

    পাকিস্তান হয়ে কেন পাঠানো হচ্ছে না গম?

    এর আগে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতকে। শোনা যায়, হাজার হাজার কেজি গম চুরি করছে পাকিস্তান। ভারত থেকে গম বোঝাই ট্রাকগুলি পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। কিন্তু নির্দেশ মত সেখানে গমের বস্তা না নামিয়ে ফেরার পথে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করে সেগুলি। আর সেখান থেকেই গম চুরি করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশটিতে খাদ্যসামগ্রী ও জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গম চুরি করছে দেশটি। এই খবর নয়াদিল্লির কাছেও পৌঁছেছিল।  তাই এবার পাকিস্তান হয়ে না গিয়ে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

    ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তালিবানরা

    ভারত সেদেশের জনগণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তালিবানরা এর প্রশংসা করেছে। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, “চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে আফগান জনগণের জন্য ২০,০০০ মেট্রিক টন গম সরবরাহের জন্য আমরা এর প্রশংসা করি। এই ধরনের মানবিক পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ায় যা পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিনে বারবার ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে মাটি কেঁপেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার কাঁপল মেঘালয়। মঙ্গলবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের তুরা এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৭। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে তুরা এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। মেঘালয়ে ভূমিকম্পের ৫ ঘণ্টা আগেই উত্তর-পূর্বের আরও এক রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ কম্পন(Earthquake) অনুভূত হয়েছে মণিপুরের নোনে জেলায়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.২।

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কম্পন (Earthquake)অনুভূত হয় অরুণাচলপ্রদেশে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প হয় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পাঙ্ক ছিল ৪.৪। এর অভিঘাত অনুভূত হয় উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গত রবিবার কম্পন অনুভূত হয় গুজরাটে। এর আগে সুরাটেও কম্পন অনুভূত হয়। রবিবার সকালে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

    ফের ভূমিকম্প তুরস্কে

    সোমবার ফের ভূমিকম্প (Earthquake) হয় তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অন্তত ৬৯ জন। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.‌৮। বেশ কয়েকবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবারের ভূমিকম্পের (Earthquake)কেন্দ্র ছিল মালাতিয়া প্রদেশের ইসিলিউরত শহর। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, কাহরামানমারাসে একটি কারখানা ধসে পড়ায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ইসিলিউরত শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। আটকে বেশ কয়েকজন। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান

    ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানও। মঙ্গলবার ভোরে আফগানিস্তানে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। যদিও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে এই নিয়ে গত পাঁচদিনের মধ্যে ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের মাটি। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় ভূমিকম্প (Earthquake) কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.১ এবং ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় একই সময়ে ভোর পাঁচটা নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় তাজিকিস্তানে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান! পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় প্রাণহানির শঙ্কা কম

    Earthquake: ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান! পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় প্রাণহানির শঙ্কা কম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan) ও তাজিকিস্তান (Tajikistan)। বৃহস্পতিবার সকালে চিনা সীমান্তের কাছে আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ শহর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৮। 

    প্রাণহানির সম্ভাবনা কম

    তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের (Turkey-Syria Earthquake) রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এই ধরনের ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানির খবর না মিললেও, কম্পনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকায়  ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকবার শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রথম কম্পনের ২০ মিনিট পর আবার একটি আফটার শকে কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    সম্প্রতি তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয় পূর্ব তাজিকিস্তানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০.৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।  ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল গরনো-বাদাখসান এলাকা, যা আফগানিস্তান ও চিনের সীমান্তের মাঝামাঝি স্বশাসিত অঞ্চল। পামির পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চল খুব একটা জনবহুল নয়। এই কারণে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনাও কম। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ওই অঞ্চলে খুব একটা জনসংখ্যা না থাকায়, জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষায় একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এর আগেই তালিবান (Taliban) সরকার দেশের মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এবারে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফেব্রুয়ারিতেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই এই পদক্ষেপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

    নোটিশ জারি তালিবান সরকারের

    আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের এক মাসের মধ্যেই ফের এক নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। তালিবান নিয়ন্ত্রিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি নোটিশ জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে না। মহিলাদের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার ওপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

    সে দেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী নিদা মোহাম্মদ নাদিম বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এইসব নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কিছু বিষয় পড়ানো হচ্ছে যা ইসলাম নীতিকে লঙ্ঘন করে। ফলে সেই দিক যতদিন না ঠিক করা হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য পুনরায় চালু করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    আদেশ অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ…

    উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশমি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, মহিলারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট স্তরের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারবেন না এবং যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশ অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিবান সরকার পরিচালিত মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধের কথা বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মহিলা, জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সে দেশে গিয়েছিলেন। এর পর এই সপ্তাহের শুরুতেও জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এবং দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতারা আফগানিস্তান সফর করেন। এই সফরের একই লক্ষ্য ছিল- নারী ও মেয়েদের উপর তালিবানের দমন-পীড়ন সহ, জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবিক সংস্থার জন্য কাজ করা আফগান মহিলাদের উপর থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Afghanistan: তালিবানি ফতোয়ায় বন্ধ মেয়েদের পড়াশোনা, প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত ছাত্রদের

    Afghanistan: তালিবানি ফতোয়ায় বন্ধ মেয়েদের পড়াশোনা, প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার (Taliban)। এই ফতোয়া ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্ব। আর এবারে এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) ছাত্ররাও। তালিবান সরকারের এই ফতোয়াকে নিন্দা করেছেন আফগান ছাত্ররা। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার জন্য আফগান ছাত্ররা ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাঁরা তালিবান শাসকের ফতোয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, মেয়েরা ক্লাস করতে না পারলে তাঁরাও ক্লাস করবেন না। আর যতদিন এই নিষেধাজ্ঞা না সরানো হবে, ততদিন এই বয়কট চলবে।

    আফগান ছাত্রীদের পাশে ছাত্ররা

    নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করে মুজামেল নামে এক ছাত্র বলেছেন, “আমরা আমাদের বয়কট অব্যাহত রাখব এবং যদি মেয়েদের জন্য ক্লাস পুনরায় চালু না করা হয়, আমরা আমাদের ক্লাস বয়কট করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ বন্ধ রাখব।” নাভিদুল্লাহ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের বোনদের জন্য বন্ধ। আমরাও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।” মোহেবুল্লাহ নামে আরেক ছাত্র বলেছেন, “আমার দুই বোনও উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, কিন্তু তাঁদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমিও পড়াশোনা করব না।”

    আরও পড়ুন: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    আবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক তালিবানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা দুর্ভাগ্যজনক। তৌফিকুল্লাহ নামে একজন শিক্ষক বলেন, “আমরা ইসলামিক এমিরেটকে আমাদের ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবার চালু করার অনুরোধ জানিয়েছি।”

    আফগান নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা

    প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রতিবাদ করা হয় ও বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কিছুদিন আগেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছেড়ে বেরিয়ে যান আফগান ছাত্ররা। ছাত্ররা জানিয়েছিলেন, আফগান ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এবারে ক্লাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছে তাঁরা। 

  • Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালিবানরা জারি করে চলেছে একের পর এক ফতোয়া, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নারীদের অধিকার। মৌলবাদী শাসকদের আমলে খর্ব হচ্ছে মহিলাদের স্বাধীনতা। এবার গত মঙ্গলবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার (Taliban Ban)। আর এই ফতোয়া ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম।

    মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা

    গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছিল মহিলাদের উপর। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে যাওয়াও নিষেধ করে দিয়েছে তালিবানরা (Taliban Ban)। একা রাস্তায় বেরনো থেকে স্বাধীনভাবে পোশাক পরা, শিক্ষা, পেশা বেছে নেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে ধাপে ধাপে। আর এবারে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াতেও নিষেধ করল তালিবানরা। এমনকী মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলিতেও এই সিদ্ধান্তকে ইসলাম বিরোধী, এমনকী ‘মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় তালিবান সরকার।

    নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    যখন তালিবানদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। আর সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে দেখা গেল তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমকে। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা পডুয়ারা সরকারের নিয়মবিধি অনুসরণ করছে না। পোশাকবিধি থেকে শুরু করে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। সেই কারণেই আপাতত মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    “১৪ মাস কেটে গেলেও মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে সব নিয়মগুলি রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।” সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন নাদিম। তিনি আরও বলেন, “মহিলারা এমন পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয় আসেন, দেখে মনে হয় যেন কোনও বিয়েবাড়িতে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে আসা মহিলারা বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার নিয়মও মানেন না।” নাদিম আরও জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের মত বিষয় মহিলাদের জন্য নয়। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি সহ বেশ কিছু বিষয় মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আফগানিস্তানের সংস্কৃতিও তাই বলে।” এখানেই শেষ নয়, নাদিম আরও জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ মহিলাদের শিক্ষার জন্য তৈরি মাদ্রাসাগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে (Taliban Ban)।

    নিষেধাজ্ঞার পর আন্দোলন আফগান মহিলাদের

    গত বছরের অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে তালিবান সরকার। তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার নারী অধিকার নিয়ে বিক্ষোভ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বড় আকারে আন্দোলন হতে দেখা গেল কাবুলে। উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারা। জমায়েত করেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকজন আফগান মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশরা। পরে তাঁদের কয়েকজনকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের হেফাজতে নিয়েছে তালিবান পুলিশ।

  • Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশিক্ষায় ফতোয়া জারি করল তালিবান। মহিলাদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাই আর ঢুকতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রাজ্যে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠি দিয়ে এই ফরমান জারি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমের বক্তব্য , ‘‘যত দিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি আবহ তৈরি না-হচ্ছে, তত দিন আমি মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।’’

    তালিবান আছে তালিবানেই

    আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসার পর তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সময় পাল্টেছে। ২০ বছর আগে যেমন নিয়ম ছিল, তেমন না-ও থাকতে পারে। তবে যা-ই হোক না কেন, হবে শরিয়তি আইন মেনে। ক্ষমতায় আসার পরে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দিলেও নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেমন–ক্লাসঘরে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করতে পারবে না ছেলেমেয়েরা, স্কুল, কলেজে মেয়েদের পড়াবেন শুধু শিক্ষিকারাই।  তবে শিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার তাই হল। পার্ক, জিমের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাও বন্ধ হয়ে গেল মেয়েদের জন্য। 

    আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাতে যে তালিব (Taliban) শাসকদের কিছু যায় আসে না, তা স্পষ্ট করে দিল তারা। মেয়েদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ হওয়ার পর আমেরিকা সাফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে নীতি পরিবর্তন প্রয়োজন। তাহলেই তালিবান শাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব। নাহলে তালিবান প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণায় পর রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড জানিয়েছেন, “তালিবান কখনও আশা করতে পারে না আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য হব অথচ আফগানদের অধিকার হরণ করব। বিশেষ করে, মহিলা এবং শিশুদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার হরণ করা অনুচিত।” তালিবান এই নীতি আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ আফগানিস্তান তৈরির পথে আরও একটা বাধা সৃষ্টি করল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা?  আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর তালিবানরা (Taliban Horror) দাবি করেছিল, আগের থেকে অনেকটাই বদল হয়েছে তাদের চিন্তা ভাবনায়। এবারের তালিবান সরকার হবে জনসাধারণের জন্যে। তবে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই ফিরে এল সেই ৯০- এর দশকের তালিবানি বিভীষিকা। আফগানিস্তানে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তালিবান সরকার। বুধবার তালিবানের তরফে সরকারিভাবে ওই মৃত্যুদণ্ডের কথা জানানো হয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “ওই ব্যক্তির নাম তাজমির। ২০১৭-য় এক ব্যক্তিকে খুন করে সে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।” আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্তের ফারাহ অঞ্চলে প্রকাশ্যে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, উপ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল ঘানি বরাদর, এছাড়াও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিও।। ওয়াকিবহাল মনে করছে,  তালিবানরা যে শরিয়া আইন থেকে সরে আসেনি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হল। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে চাবুক মারার অভিযোগ উঠেছিল তালিবানদের বিরুদ্ধে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। 

    জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Taliban Horror) আরও বলেন, “অনেক ভেবেচিন্তেই মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তিনটি আদালত এই শাস্তির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাবায়তুল্লা আখুনজাদা। তিনিই প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর দেন।” 

    আরও পড়ুন: কার দখলে গুজরাট, হিমাচল? আজ দুই রাজ্যে ভোট গণনা

    প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডের সাজা যাকে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম তাজিমুর। তিনি আফগানিস্তানের হেরাটের বাসিন্দা। মুস্তাফা নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর জেলের সাজা হয়েছিল। খুন ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং মোটর বাইক চুরির অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

    মুজাহিদের দাবি, খুনের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। কবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, নয়ের দশকেও একই ভাবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিত তালিবানরা (Taliban Horror)। ফাঁসি ছাড়াও পাথর ছুড়ে মারার সাজারও প্রচলন ছিল।  

    আরও একবার বেলাগাম তালিবান 

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণের পর ক্ষমতা হারায় তালিবানরা (Taliban Horror)। প্রায় ২০ বছর পর ২০২১-র অগাস্টে ফের আফগানিস্তানের মসনদ দখল করে তারা। এবার ক্ষমতায় আসার পর মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান সরকার। নরম পন্থায় সরকার চালানোর দাবিও করেছিল তারা। কিন্তু কথা রাখেনি তালিবানরা। ক্ষমতা দখলের পর বারবার তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক কড়া নিয়ম চাপানো হচ্ছে এবং তা ভঙ্গ হলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। চুরির মতো ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে অবৈধ সম্পর্কের জন্য মহিলা ও পুরুষদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার মতো ভয়ঙ্কর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। এছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পোশাক বিধি চালু করেছে তারা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদও করতে দেখা গিয়েছে আফগান মহিলাদের। সম্প্রতিই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগের তরফেও আফগান সরকারকে জনসমক্ষে নাগরিকদের মারধর ও শাস্তি দেওয়া বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে যে আদেও কোনও লাভ হয়নি তার প্রমাণ এই মৃত্যুদণ্ডই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share