Tag: AIR

AIR

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • AIR: তানপুরা এবং বেহালা সহযোগে তৈরি হয়েছিল আকাশবাণীর সিগনেচার টিউন!

    AIR: তানপুরা এবং বেহালা সহযোগে তৈরি হয়েছিল আকাশবাণীর সিগনেচার টিউন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশবাণীর (AIR) সিগনেচার টিউন আজ ইতিহাসের পাতায়। এই মিউজিকটি কয়েক কোটি মানুষের আবেগ হয়ে আছে এখনও। সকাল বেলায় রেডিও খুলতেই বেজে উঠত এই টিউন। রেডিও এই ডিজিটাল যুগে লুপ্ত প্রায় কিন্তু রেডিও-র কিছু মুহূর্ত যা পুরনো হলেও এখনও যথেষ্ট জোরালো প্রভাব ফেলে মানুষের আবেগে। তেমনই এই সিগনেচার টিউনটি, যা এত বছরের পুরনো হলেও এখনও একটি আলাদা স্থান অধিকার করে আছে। কিন্তু এই সিগনেচার টিউনটির ইতিহাস অনেকেরই অজানা।

    কে রচনা করেছিলেন এই যুগান্তকারী টিউনটি (AIR)?

    এই টিউনটি (AIR) সবার মনে গেঁথে থাকলেও, অনেকেরই হয়তো অজানা এই আবহ সঙ্গীতটির রচয়িতা কে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই উঠে আসে একজন ইহুদি উদ্বাস্তুর কথা, তাঁর নাম ওয়েল্টার কাফম্যান।

    কে এই ওয়েল্টার কাফম্যান (AIR)?

    ওয়েল্টার কাফম্যান ছিলেন একজন সঙ্গীত শিল্পী (AIR) ও সঙ্গীত বিজ্ঞানী। একই সঙ্গে সুরকার এবং শিক্ষক। সঙ্গীত সম্পর্কে ছিল তাঁর অশেষ জ্ঞান। তিনি ১৯০৭ সালে প্রাক্তন চেকোস্লাভাকিয়ার কর্লসবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে তিনি বার্লিনের স্ট্যাটলিচ হোচশুল ফর মিউজিক নামক এক সঙ্গীত বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।

    ভারতীয় সঙ্গীতে (AIR) কীভাবে তাঁর আবির্ভাব হল?

    ওয়েল্টার ইহুদি উদ্বাস্তুদের মধ্যে একজন ছিলেন, যাঁরা নাৎসিদের কাছ থেকে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওয়েল্টার ভারতে এসে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মুম্বইয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। মুম্বই আসার কয়েক মাসের মধ্যেই কাফম্যান বোম্বে চেম্বার মিউজিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওয়েলিংডন জিমখানায় অনুষ্ঠান করত। ভারতে থাকাকালীন ১৯৩৫ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে (AIR) চাকরি পান। এবং সেই সময় ভারতীয় রাগ শিবরঞ্জিনীর ওপর ভিত্তি করে মেহেলি মেহতার সহযোগে তানপুরা এবং বেহালা ব্যবহার করে সিগনেচার টিউনটি তৈরি করেন। এর পর থেকেই (AIR) এ তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কাফম্যানের কর্মকাল (AIR) তাঁকে ভারতের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Harmonium: অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একসময় হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কেন তা জানেন?

    Harmonium: অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একসময় হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কেন তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রগুলির মধ্যে সেতার, তবলা, বীণা, সরোদ অন্যতম। হয়তো মাথায় আসতে পারে, আরও একটি প্রধান বাদ্যযন্ত্রও তো আছে, যেটি তালিকা থেকে বাদ গেল। যেটি ছাড়া ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতও অসম্পূর্ণ। হ্যাঁ, হারমোনিয়ামের (Harmonium) কথাই বলছি। কিন্তু শুনলে হয়তো একটু অবাক হবেন, হারমোনিয়াম পাশ্চাত্যের একটি বাদ্যযন্ত্র। যার উৎপত্তি বিদেশের মাটিতে। কিন্তু ভারতীয় সঙ্গীতে এটি যেন মিশে গেছে রক্তের মতো।

    হারমোনিয়ামের ইতিহাস

    হারমোনিয়াম (Harmonium) একটি বিদেশি বাদ্যযন্ত্র, যা ক্যাবিনেট অর্গ্যান’ নামেও পরিচিত। ইউরোপের প্যারিসে ১৮৪২ সালে আলেকজান্ডার ডেবিয়ান এটি আবিষ্কার করেন। সেই হারমোনিয়ামটি ছিল আকৃতিতে অনেক বড় এবং পায়ে পাম্প করতে হত। ১৮৫০ সালের পর ভারতে হাতে পাম্প করা হারমোনিয়ামের উৎপত্তি হয়। 

    ভারতে কবে প্রথম ও কীভাবে হারমোনিয়াম আসে?

    বিভিন্ন তথ্যসূত্র ও ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ভারতবর্ষে প্রথম হারমোনিয়াম (Harmonium) ব্যবহৃত হয় কলকাতাতেই। উনিশ শতকের ষাটের দশকে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সখের থিয়েটার, যা জোড়াসাঁকোতে স্থাপিত, সেখানে প্রথম হারমোনিয়াম বাজান। শোনা যায়, এখান থেকেই উৎসাহ ও কৌতূহল বাড়তে থাকে হারমোনিয়ামের। এরপর থেকেই হারমোনিয়াম শিক্ষা জোরকদমে শুরু হয় ভারতবর্ষে। এমনকী সেই সময় যাঁরা হারমোনিয়াম শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাঁদের জন্য প্রকাশিত হতে থাকে হারমোনিয়াম শিক্ষা সম্পর্কিত নানান বই। সেই সময় এধরনের দুটি বইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলি যথাক্রমে সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর রচিত হারমোনিয়াম সূত্র, যা ১৮৭৪ সালে এবং কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারমোনিয়াম শিক্ষা, যা ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইগুলিতে সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া আছে হারমোনিয়াম বাদন সম্পর্কে। 

    ভারতীয় সঙ্গীতে দশটি শ্রুতি এবং ১২টি স্বর মিলে মোট ২২ টি শ্রুতি আছে। আদিকাল থেকেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিশারদরা এই শ্রুতিগুলি ব্যবহার করে এসেছেন। কিন্তু পশ্চিমের সঙ্গীতের যে কোনও ধ্বনি সীমাতে ভারতীয় ২২ এর বদলে ১২ রকমের স্বর আছে। যার জন্য এক বিশাল তফাৎ-এর সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভারতীয় সঙ্গীতে হারমোনিয়াম ব্যবহার করলে অনেক অসঙ্গতির সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ১৯৪০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ ছিল। 

    হারমোনিয়াম এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাদ্যযন্ত্র

    শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও হারমোনিয়াম (Harmonium) পছন্দ করতেন না অতটা। ১৯ জানুয়ারি ১৯৪০ তে কবি আকাশবাণী কলকাতার সেই সময়কার স্টেশন ডিরেক্টরকে একটি খোলা চিঠি দেন এবং সেখানে লেখেন, “আমি সর্বদা আমাদের সঙ্গীতজ্ঞদের উদ্দেশে তাদের হারমোনিয়ামের প্রচলিত ব্যবহারের বরাবর বিরুদ্ধে ছিলাম এবং এটি আমাদের আশ্রম থেকেও সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার বন্ধ করা হইয়াছে। আপনি যদি অল ইন্ডিয়া রেডিওর স্টুডিওতে এটির ব্যবহার বন্ধ করেন তবে আপনি ভারতীয় সংগীতের জন্য একটি খুব সুন্দরতম কাজ করিলেন বলে বিবেচিত হবে।” সেই সময় ব্রিটিশ শাসনের যুগে ব্রিটিশ সঙ্গীতজ্ঞরাও মনে করতেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সঙ্গে হারমোনিয়াম কখনও তাল মেলাতে পারে না। পরে স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহরু, কবির এই সিদ্ধান্ত মেনে চলারই আদেশ বহাল রাখেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিলীপকুমার রায়, শচীন দেববর্মণের মতো আরও সঙ্গীতজ্ঞ আকাশবাণীতে গান করা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে এত বিতর্কের পরেও হারমোনিয়াম এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাদ্যযন্ত্র হিসাবেই ব্যবহৃত হয়। এর জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতেও কমবে না, এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘন কুয়াশায় দেরিতে চলছে শতাধিক বিমান-ট্রেন, শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত

    Weather Update: ঘন কুয়াশায় দেরিতে চলছে শতাধিক বিমান-ট্রেন, শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে রেল-বিমান পরিষেবায়। মোট ১৫০টি বিমান খারাপ আবহাওয়ার (Weather Update) কারণে বিলম্বিত হয়েছে। বেশ কিছু বিমানের গতিপথও বদল করা হয়েছে। একই ভাবে বহু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। অনেক ট্রেন একটি জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে। এদিকে, উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিম হিমালয়ের জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখে তুষারপাত এবং হালাকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন।

    ব্যাহত বিমান পরিষেবা (Weather Update)

    ঘন কুয়াশার কারণে এখনও পর্যন্ত ১৬৮টি উড়ানের নির্ধারিত গতিপথের বদল করা হয়েছে। ৮৪টি উড়ান খারাপ আবহাওয়ার (Weather Update) কারণে বাতিল করা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরের তরফ থেকে যাত্রীদের উদ্দেশে ঘন কুয়াশার কারণে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। যাত্রীদের পরিবর্তিত সময় সূচির দিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দিল্লি থেকে গোয়াগামী এক যাত্রীকে ১৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং ভিস্তারার মতো প্রধান বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লি এবং কলকাতায় বিমানগুলির ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। দিল্লি-কলকাতার বিমানকে কুয়াশার জন্য হায়দরাবাদে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেরিতে চলছে ট্রেন

    পাশাপাশি ট্রেন পরিষেবাতেও ব্যাপাক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ১৮টি ট্রেন তার নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে চলছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। রেল স্টেশন প্রচুর যাত্রী আটকে পড়েছেন। আজ দিল্লিতে এই বছরের শীতলতম দিন। সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে অতরিক্ত শীতের (Weather Update) কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আজ থেকে আংশিক ভাবে স্কুল খুলছে বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৩.৯ ডিগ্রি।

    কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর

    মৌসম ভবনের (আইএমডি) সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে উল্লেখ করেছে যে, আগামী ৪ থেক ৫ দিনের মধ্যে উত্তর ভারতের কিছু অংশে তীব্র শীতের প্রভাব থাকবে। সেই সঙ্গে আকাশ ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Update) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় অতিরিক্ত শৈত্যপ্রবাহ চলবে। পাশপাশি উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে কুয়াশার প্রভাব থাকবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share