Tag: Airstrike

  • Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া ইরান-ইজরায়েল (Israel Iran War) যুদ্ধেও। অপারেশন ‘স্পাইডার ওয়েবে’র কায়দায় অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ (Operation Rising Lion)। সূত্রের খবর, ইরানের মাটিতেই গোপনে ড্রোন ঘাঁটি বানায় ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। দিনের পর দিন গাড়িতে করে ড্রোন পাচার করা হয় ইরান সীমান্তের ভিতর। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে এই অপারেশনের প্রস্তুতি সেরে রাখে মোসাদ। শুক্রবার একযোগে ইরানের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

    বহু বছর ধরেই অভিযানের প্রস্তুতি

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েল (Israel Iran War) বহু বছর ধরেই এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনকি, গোপনে ইরানের রাজধানী তেহরানের নিকটে একটি ড্রোন ঘাঁটিও স্থাপন করে ফেলে তেল আভিভ। জানা গিয়েছে, সেই ঘাঁটি থেকেই অস্ত্রে সজ্জিত ড্রোন ব্যবহার করে মূল হামলা শুরু হয়। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার কর্মীরা বছরের পর বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে, বলে খবর। যার কথা ঘুণাক্ষরে জানতেও পারেনি তেহরান। শুক্রবারের এই একটা অপারেশনের জন্য বছরের পর বছর ধরে ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে গাড়িতে চাপিয়ে ড্রোন পাচার করা হয়েছে তেহরানে। একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, অল্প অল্প করে। যাতে এক আধটা ট্রাক ধরা পড়ে গেলেও অপারেশনের পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়।

    কীভাবে চলে ইজরায়েলি হামলা

    ইজরায়েলি (Israel Iran War) সেনার বক্তব্য, ইরানের মাটিতে ড্রোন জমিয়ে কার্যত স্তূপ তৈরি করে ফেলা হয়েছিল। শুক্রবার হামলার সময় রিমোটের সাহায্যে ড্রোনগুলি ইজরায়েলে বসেই সক্রিয় করা হয়। একটার পর একটা ড্রোন গিয়ে তেহরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চারে হামলা চালায়। যার ফলে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে। আর তখনই চূড়ান্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। একেএকে প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান উড়ে যায় মিসাইল নিয়ে। মিসাইলগুলি নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করে পশ্চিমী ইরানের সামরিক অস্ত্রঘাঁটিতে।

    হামলায় বিপুল ক্ষতি ইরানের

    হামলায় ইরানের (Israel Iran War) কয়েক ডজন রেডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। এমনকী, ইজরায়েলি সেনা ভিডিও প্রকাশ করে প্রমাণ দিয়েছে কীভাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল পর্যন্ত আইডিএফ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইজরায়েলের মূল টার্গেট ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগার। ইরানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট সাইট নাতাঞ্জের কাছে আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের বিমানহানা। ইজরায়েলের অভিযোগ, এখানেই বছরের পর বছর ধরে সামরিক কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছিল তেহরান। হামলায় যে তাদের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে সে কথা স্বীকার করেছে ইরান। তবে ইরানের দাবি, তিনটি নয়, একটি গবেষণাকেন্দ্রেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তির নিয়ামক সংস্থাও সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে। এখানে মাটির নিচে অনেকটা গভীরে পারমাণবিক গবেষণা চালাত ইরান। আন্ডারগ্রাউন্ড সেই এলাকার সেন্ট্রিফিউজ, ইলেক্ট্রিক্যাল রুম-সহ যাবতীয় পরিমকাঠামোই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দাবি ইজরায়েলের। ইজরায়েলের সেনার তরফে এই হামলার থ্রিডি ভিডিও অ্যানিমেশন প্রকাশ করা হয়েছে।

    মোদি-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

    পরবর্তীতে ইজরায়েলের (Israel Iran War) উপর পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। ৮০০ এর বেশি ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইরান। ক্রজ মিসাইল নিয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইরানের হামলা ব্যর্থ বলে দাবি করছে ইজরায়েল। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে গর্জে উঠেছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেই। তাঁর সাফ কথা, কঠোর সাজা পেতে প্রস্তুত থাকুক ইজরায়েল। দুই দেশের সংঘাত নিয়েই এখন মাথা ব্যথা বাড়ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। ইরানের উপর হামলার পরই ভারতের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তাঁদের মধ্যে আলোচনার প্রসঙ্গে মোদি জানান, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ”আমি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছি এবং দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি।”

    উদ্বিগ্ন ভারত

    শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের (Israel Iran War) পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান-সহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ শীর্ষ সামরিক কর্তা। মৃত্যু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীর। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের হামলার পরই নোটাম জারি করে ইরান। বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই দেশের আকাশপথ। এই আবহে শুক্রবার ৯টি দেশে বিমান পরিষেবা স্থগিত এবং বাতিল করে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগেই বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ইরান-ইজরায়েল সম্পর্কের অবনতিতে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গোটা পরিস্থিতির দিকে তাঁদের নজর রয়েছে। একইসঙ্গে ভারত দুই দেশকে ‘উসকানিমূলক কোনও পদক্ষেপ’ না করার আহ্বানও জানায়।

  • Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যেও শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ইরানের (Israel Iran War) সেনাঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল। শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের উপরে হামলা করে ইজরায়েল। ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মূলত ইরানের পরমাণু ও মিসাইল ঘাঁটিগুলিতেই হামলা করেছে ইজরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও। এই হামলার প্রত্যাঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরদিনই বড়সড় হামলা চালাল তেল আভিভ। গোটা ইজরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাতজ জানান, ইরানের পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। শুক্রবার সকালে অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) শুরু করে তেল আভিভ। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে, তা খোলসা করেনি ইজরায়েল। এই হামলায় নিহত হয়েছে ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের। ইজরায়েলি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীও।

    কেন এই অভিযান

    ইরানের (Israel Iran War) এক ডজন পরমাণু ও মিসাইল কেন্দ্রগুলিতে হামলা করেছে ইজরায়েল। তেহরানের উত্তর-পূর্বে বিস্ফোরণ ও কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নাতানজ সাইট, যেখানে ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার, সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্রের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছিল। তা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু হামলার সম্ভাবনা যতক্ষণ না প্রতিহত করা হচ্ছে, ততদিন অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এই অভিযান চলবে। এই আক্রমণ আসলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। আপাতত আগামী কয়েকদিন ইরানের উপর হামলা চলবে বলেই জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

    পালটা হামলা ইরানের

    অন্যদিকে, ইরানের (Israel Iran War) জাতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামির। এছাড়াও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি-দাভানি এবং মহম্মদ মেহদি তেহরানচির মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তেহরানের বেশ কয়েকটি জনবসতি এলাকায় ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের দাবি। প্রচুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই হামলার পালটা দেওয়ার হুঙ্কারও দিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বড়সড় শাস্তি ভুগতে হবে ইজরায়েলকে। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ইজরায়েলে ড্রোন-হানা চালায় ইরান।

    আমেরিকার ভূমিকা নেই

    যদিও দু’পক্ষের এই সংঘাতের মধ্যে জড়াতে চাইছে না আমেরিকা। একটি বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো বলেন, “আজ ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক পদক্ষেপ করেছে। আমরা এই হানার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের এখন লক্ষ্য হল ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা।” একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে রুবিয়ো বলেছেন, “ইজরায়েল আমাদের জানিয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করে আত্মরক্ষার স্বার্থে এই বিমানহানা জরুরি ছিল। আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।” ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পেন্টাগন জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন আমেরিকার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত কোথাও বা কোনও কিছুতে হামলা না-চালায়। ইতিমধ্যেই পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে বোঝাপড়া কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। এই বিষয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।

    মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ

    ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল আভিভ বিমানবন্দর। অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ ইরানের আকাশপথ। তাদের প্রতিবেশী ইরাকের আকাশসীমাও আপাতত বন্ধ। তার প্রভাব পড়তে পারে ভার‍ত থেকে ওড়া বিমানগুলির উপরেও। বাতিল হতে পারে একাধিক আন্তর্জাতিক উড়ান। মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে বিমানগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

LinkedIn
Share