Tag: ajit doval

ajit doval

  • Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের (ডাব্লএএএস) (WAAS)  ফেলো মনোনীত করা হল এক ভারতীয়কে। এই পদে মনোনীত করা হয়েছে শৌর্য ডোভালকে (Shaurya Doval)। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ওপেনহেইমার এবং জোসেফ রটব্লার্টের মতো বিশ্বশ্রুত ব্যক্তিরা। তারই ফেলো পদে এবার মনোনীত হলেন শৌর্য।

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)

    মানবতার সামনে যেসব জটিল সমস্যাগুলি এসে হাজির হয়, তারই মোকাবিলায় কাজ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স। এই অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন বিজ্ঞানী, শিল্পী এবং পণ্ডিতরা, যাঁরা জ্ঞানের অগ্রগতি ও সামাজিক নানা উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শৌর্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। তাঁর এই মনোনয়নের জেরে মান্যতা পেল বৈশ্বিক চিন্তা-নেতৃত্ব এবং নীতি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শৌর্যের অবদান। উল্লেখ্য, দিল্লি ভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক হল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।

    ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্য

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্যদের মধ্যে (Shaurya Doval) ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, ডক্টর বিক্রম সারাভাই। প্রথমজন ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। আর ভারতীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিক্রম সারাভাই। মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর শৌর্য বলেন, “ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত হওয়া একটি সম্মানের বিষয়। আমি আন্তঃবিভাগীয় সংলাপ প্রচার ও মানবতার উন্নতির জন্য টেকসই সমাধান খুঁজতে অ্যাকাডেমির মিশনে অবদান রাখতে উন্মুখ।”

    আর পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    শৌর্যের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গৈরিক শিবিরের উত্তরাখণ্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। ১৯৬০ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবীরা। সংস্থার লক্ষ্য হল, আন্তঃবিভাগীয় সংলাপের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করা এবং মানবতার জয়গান গাওয়া (WAAS)। জন্মলগ্ন থেকে সেই কাজই করে চলেছে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বড় বাধা’’, বললেন ডোভাল

    Ajit Doval: ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বড় বাধা’’, বললেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচারের মতো গুরুতর সমস্যাগুলির সমাধানে নয়া কূটনৈতিক চাল অজিত অজিত ডোভালের। চলতি সপ্তাহের, মঙ্গলবার কাজাকাস্থানে এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেন ভারত ও মধ্যএশিয়ার দেশগুলির নিরাপত্তার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেখানেই অজিত ডোভাল (Ajit Doval) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘ভারত এবং মধ্য এশিয়ার প্রায় কম-বেশি প্রত্যেকটি দেশই নিরাপত্তা জনিত সমস্যায় বর্তমানে ভুগছে। এর কারণ সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার সমেত সাইবার হামলা। এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য যৌথ নেটওয়ার্ক তৈরির প্রয়োজন।’’

    আলোচনার মাধ্যমেই বিবাদ মেটানো সম্ভব

    এর পাশাপাশি কূটনীতির উপরেও জোর দিতে দেখা গিয়েছে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে (Ajit Doval)। তাঁর মতে, ‘‘বর্তমান সময়ে অনেকগুলি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে সারা দুনিয়া। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের মতপার্থক্যের জন্যই বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে।’’ এই বিবাদগুলি আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন অজিত ডোভাল। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করতে ভারত আগ্রহী বলেও জানিয়েছে ডোভাল। 

    নিশানা পাকিস্তানকে

    সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে অজিত ডোভালের (Ajit Doval) আরও  মন্তব্য, ‘‘বর্তমান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এটিকে এড়িয়ে যাওয়া বা অবহেলা করা কখনও সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি মাদক পাচারকেও বন্ধ করতে হবে। কারণেই চোরা চালানোর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মজবুত হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, উচ্চ পর্যায়ের এই নিরাপত্তা আধিকারিকদের বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) সব থেকে বেশি জোর দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারকে রোখার বিষয়ে। মাদক পাচারের অর্থেই যে সন্ত্রাসবাদের ফান্ডিং হয় এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দীর্ঘদিন ধরে তালিবান জঙ্গিদের আফিম চাষের মাধ্যমেই নিজেদের ফান্ডিং মজবুত করতে দেখা গিয়েছে।  পাকিস্তানকে নিশানা করে ডোভাল বলেন, ‘‘মধ্য এশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সরাসরি সংযোগ না থাকাটা খুবই বিস্ময়ের। একটি বিশেষ দেশের ক্রমাগত নীতিগত বাধার কারণে এই সংযোগ এতদিনেও গড়ে ওঠেনি। এই বাধাদানে শুধুমাত্র ওই দেশটিই যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, সামগ্রিক ভাবে এই অঞ্চলের লোকসান হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Netaji: ‘‘নেতাজি থাকলে এদেশ কখনও ভাগ হত না’’, মত অজিত ডোভালের

    Netaji: ‘‘নেতাজি থাকলে এদেশ কখনও ভাগ হত না’’, মত অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি (Netaji) থাকলে এ দেশ কখনও ভাগ হত না। শনিবার দিল্লিতে সুভাষ বোস স্মারক বক্তৃতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    কী বললেন ডোভাল? 

    এদিন দিল্লিতে ডোভাল বলেন, ‘‘নেতাজি (Netaji) সুভাষচন্দ্র বসু দেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন। কিন্তু, স্বাধীনতা প্রাপ্তি তিনি দেখে যেতে পারেননি। নেতাজি থাকলে ভারত ভাগ হত না।’’ তাঁর এদিনের বক্তব্য উঠে আসে গান্ধী-সুভাষ দ্বৈরথের কথাও। তাঁর মতে, ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মহাত্মা গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করারও স্পর্ধা ছিল।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি ভালো বা খারাপ বলছি না। ভারতীয় ইতিহাসে খুব কম জন ছিলেন স্রোতের বিপরীতে যেতে পারতেন। নেতাজি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ভিক্ষায় কখনও স্বাধীনতা আসে না। জিন্নাও বলেছিলেন আমি একমাত্র সুভাষ বোসের কথাই শুনব।’’

    নেতাজির অন্তর্ধান… 

    অজিত দোভাল আরও বলেন, ‘‘নেতাজি (Netaji) পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস রাখতেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের স্বাধীনতা চাননি। মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তনও চেয়েছিলেন। যাতে তাঁরা আকাশে মুক্ত পাখির মতো বিচরণ করতে পারেন।’’ নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তিনি নিঁখোজ হয়ে যান। তাঁর মৃত্যু রহস্যে বহু কমিশন তৈরি হলেও, আজও বিতর্ক রয়ে গেছে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে ঘরছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরাম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কামানের গোলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের। জুন্টা সমর্থক সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের লড়াইয়ে পড়ে নাজেহাল সেখানকার বাসিন্দারা মায়ানমার ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    মায়ানমার প্রসঙ্গ

    বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।’’ বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে ইতিমধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমানহানা শুরু করেছে মায়ানমার বায়ুসেনা। পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশের বেশ কিছু জনপদে ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণও চলছে। ফলে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার। ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার–বান্দরবান এলাকার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমারের নাগরিকরা পালিয়ে চলে আসছেন দু’দেশেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

    দিল্লির মসনদে মোদিকেই চান হাসিনা

    মায়ানমার প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান, দুই দেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের মসনদে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ। হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। “

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পনেরো বছর এবং ভারতে মোদির দশ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ছাড়াও পরিকাঠামো বিনিময়ে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে।  দুই দেশ একে অপরকে তাদের বন্দর, রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের নেতৃত্বই তাই মনে করেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    Ajit Doval: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২০ সাল থেকে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ঘিরেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।” চিনা কূটনীতিক ওয়াং ইকে সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে পোক্ত করা যায়, তা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। অজিত ডোভালকে উদ্ধৃত করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিম সেক্টরে কৌশলগত বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে সেই ২০২০ সাল থেকে। রাজনৈতিক দিক থেকেও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

    ব্রিকস সম্মেলন

    প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে ভারতের সঙ্গে চিনের সামরিক ক্ষেত্রেও সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। ডোভাল-ওয়াং ই-র এই বৈঠকটি হয় সোমবার, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে। এর ঠিক আগের দিনই ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে (Ajit Doval) বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের অফিসের ডিরেক্টর হলেন ওয়াং। চিনের সঙ্গে ভারতের যে সামরিক স্ট্যান্ডঅফ চলছে, তা তাঁর কূটনৈতিক জীবনের সব চেয়ে জটিল একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানান জয়শঙ্কর। তিনি জানান, সীমান্তে এই উত্তেজনা চলছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। এবং ভারত বারংবার জানিয়েছে, এই সমস্যার সমাধান না হওয়া ইস্তক স্বাভাবিক হবে না চিন-ভারত সম্পর্ক।

    ভারত-চিন সম্পর্ক মেরামত জরুরি

    জানা গিয়েছে, ভারত-চিন সম্পর্কে যে কৌশলগত বিশ্বাস (Ajit Doval) ফেরানোটা খুব জরুরি, ঘনিষ্ঠ মহলে তা স্বীকারও করেছেন ওয়াং। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে এটা যে খুবই প্রয়োজন, প্রকাশ্যে তা স্বীকারও করেছেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ওই সমস্যা মিটিয়ে চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ফের পূর্বের অবস্থানে ফেরানোর ওপরও জোর দিয়েছেন ওয়াং। এদিনের বৈঠকে ভারত ও চিন দুই দেশই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে, নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠন যে কেবল দুই দেশের পক্ষেই ভাল তা নয়, তামাম বিশ্বের কল্যাণেও প্রয়োজন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    উল্লখ্য, ব্রিকস সম্মেলনে ডোভাল জানিয়েছিলেন, উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হলে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে চেষ্টা করতে হবে একযোগে। জানা গিয়েছে, আগামী মাসে ব্রিকসের আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: ‘‘চিন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’’, ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন এনএসএ

    Ajit Doval: ‘‘চিন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’’, ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন এনএসএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এবং মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ক মার্কিন-ভারত উদ্যোগের সূচনা করলেন। 

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস ট্যুইট করে জানিয়েছে, “লক্ষ্যকে কর্মে রূপান্তর করা! জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এবং জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএস-ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস – এর সূচনা করেছেন৷ আইসিইটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।”  

    একটি বিবৃতি জারি করে বলা (Ajit Doval) হয়েছে, “আমাদের দুই দেশের সরকার, ব্যবসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমাদের কৌশলগত, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাকে উন্নত ও প্রসারিত করার জন্য আইসিইটি ঘোষণা করেছিল। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মে মাসে ঘোষণাটি করেছিলেন।”  

    হোয়াইট হাউজের তরফেও একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত নিশ্চিত করছে যে প্রযুক্তির ডিজাইন, বিকাশ, ব্যবহার করার উপায়গুলি একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন। আমরা একটি উন্মুক্ত, অ্যাক্সেসযোগ্য এবং সুরক্ষিত প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক আস্থা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।”

    আরও পড়ুন: মানুষের জন্য মোদি সরকারের বাজেট পেশ আজ! জানুন কখন কোথায় দেখবেন

    আলোচনায় চিন  

    মঙ্গলবার অজিত ডোভাল (Ajit Doval) হোয়াইট হাউসে জেক সুলিভানের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেছেন। তাঁদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের সময়, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জেক বলেন, “চিন এই মুহূর্তে ভারত তথা সারা বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” 

    এদিন বৈঠকে ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। আধিকারিকরা ওয়াশিংটনে বৈঠক থেকে এই অংশীদারিত্বকে এগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। যদিও আইসিইটিতে চিনের কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। বাইডেন প্রশাসন চিনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে একটি জিরো সাম গেম হিসেবে দেখছে। চিনের সঙ্গে এই লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হারতে চায় না। আর সেটাই হবে আইসিইটি-র অন্যতম মূল পদক্ষেপ। 
     
    ওয়াশিংটনের একজন সিনিয়র প্রশাসনিক আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংলাপ একটি বহু-স্তরীয় পদ্ধতি এবং চিন এর অন্যতম একটি বিষয়। কারণ চিন নয়াদিল্লি এবং বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”  সোমবার সকালে আমেরিকা পৌঁছেছেন অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। গত বছর জাপানের টোকিওতে হয় কোয়াড সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পার্শ্ব বৈঠক হয়। সেখানেই ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ নিয়ে দুপক্ষে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়। তার জেরেই এবারের বৈঠক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ajit Doval: আমেরিকা পৌঁছলেন অজিত ডোভাল, কী নিয়ে বৈঠক করতে জানেন?

    Ajit Doval: আমেরিকা পৌঁছলেন অজিত ডোভাল, কী নিয়ে বৈঠক করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা (US) পৌঁছলেন ভারতের (India) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভাল (Ajit Doval)। সোমবার সকালে তিনি ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। জানা গিয়েছে, ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ নিয়ে আলোচনা হবে দু পক্ষের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দোভালের এ নিয়ে এটাই হতে চলেছে প্রথম বৈঠক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই বৈঠক হবে। ভারতের তরফে যেমন উপস্থিত থাকবেন ডোভাল, তেমনি আমেরিকার তরফে হাজির থাকবেন জ্যক সুলিভান। বৈঠক হবে হোয়াইট হাউসে।

    মাইলস্টোন…

    ভারত মার্কিন নানা আলোচনা নিয়ে যাঁরা খবরাখবর রাখেন সেরকমই এক আধিকারিক বলেন, ভারত মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের পরবর্তী সব চেয়ে বড় মাইলস্টোন হল ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ। দোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে এই আলোচনার পর ফের হবে পরবর্তী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেই আলোচনায় উঠে আসবে ভারতের স্বার্থের নানা বিষয়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে গিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল। পাঁচজনের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ভারতের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার, ইসরোর চেয়ারম্যান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার, টেলি কমিউনিকেশন দফতরের সেক্রেটারি এবং ডিআরডিওর ডিজি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেলিগেশনের একটি দলও গিয়েছে আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে।

    আরও পড়ুুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    জানা গিয়েছে, গত বছর জাপানের টোকিওতে হয় কোয়াড সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পার্শ্ব বৈঠক হয়। সেখানেই ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ নিয়ে দুপক্ষে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়। তার জেরেই হচ্ছে এবারের বৈঠক। হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকে ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির আলোচনার মূল কেন্দ্রে থাকবে স্ট্র্যাটেজিক, কমার্সিয়াল এবং সায়েন্টিফিক অ্যাপ্রোচ। বিশেষ জোর দেওয়া হবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। এক আধিকারিক জানান,  ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজের মাধ্যমে ভারত একটা বার্তা পাঠাতে পারে। ভারত যে আমেরিকার বিশ্বস্ত একটি পার্টনার, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হবে। ভারত এবং আমেরিকা দুই গণতান্ত্রিক দেশ কীভাবে আরও মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশা, ভারত এবং আমেরিকা সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে এই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

               

  • Ajit Doval: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    Ajit Doval: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসে যারা আর্থিক মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভারত-মধ্য এশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার গোটা এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন তিনি।  

    বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বলেন, “আফগানিস্তান একটি বড় ইস্যু। এই রিজিয়নে সন্ত্রাসবাদের উপস্থিতি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। অর্থনৈতিক যোগান সন্ত্রাসবাদকে পুষ্ট করে। সেই ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদকে যারা অর্থনৈতিকভাবে মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটাও আমাদের প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?    

    এই বৈঠকে ভারতের পাশাপাশি কাজাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আরও বলেন, “মধ্য এশিয়া আমাদের সম্প্রসারিত প্রতিবেশী। যাদের সঙ্গে আমাদের সভ্যতার যোগসূত্র ছিল। এই রিজিয়নের ব্যাপারটা আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়া সকলের কাম্য।”

    বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? 

    বৈঠকের পরে একটি যৌথ বিবৃতিতে (Ajit Doval) উল্লেখ করা হয়েছে, ৬টি দেশ একটি ব্যাপারে সহমত হয়েছে যে জঙ্গি সংগঠনের প্রসার, জঙ্গি দলে নিয়োগ, অর্থ যোগানের চেষ্টা গোটা রিজিয়নে একটা উদ্বেগের বিষয়। এক্ষেত্রে জঙ্গিদের রুখতে যৌথ উদ্যোগের উপরেও জোর দেওয়া হবে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, অস্ত্র ও মাদক পাচার, আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ, বিকৃত তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে সাইবার স্পেসের অপব্যবহার, মানববিহীন এরিয়াল সিস্টেমের ব্যবহার জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ।  

    উল্লেখ্য মধ্য এশিয়াতে নিজের থাবা বসাতে উদ্যোগী চিন। চিনকে নিরস্ত্র করতে এবার মধ্য এশিয়ার সুরক্ষার দিকে জোর দিচ্ছে ভারতও (Ajit Doval)। আফগানিস্তানের তালিবান শাসনও গোটা বিশ্বের জন্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

    ৬টি দেশের পদস্থ আধিকারিক কড়া ভাষায় সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করেছেন (Ajit Doval)। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও তার জেরে এই রিজিয়নের নিরাপত্তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বর্তমানে রাশিয়ায় (Russia) আছেন। বুধবার তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    আরও পড়ুন: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    আলোচনায় কী উঠে আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ? দুই দেশের মধ্যে ভারতই কী হয়ে উঠবে শান্তির দূত? গোটা বিশ্বের এখন একটাই প্রশ্ন।    

    ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর ডোভাল এবং পাত্রুশেভের (Patrushev) মধ্যে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক। আফগানিস্তানসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ডোভালের সফর বা বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি রিডআউটে বলা হয়েছে যে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি পাত্রুশেভ এবং ডোভালের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

     

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    রাশিয়ার তরফে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রগতিশীল উন্নয়নের উপরও জোর দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, একই সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দুই দিনের বৈঠকের একদিন আগে এই বৈঠক করলেন অজিত ডোভাল।

    এখন অবধি শুধু পাত্রুশেভের সঙ্গেই কথা হয়েছে ডোভালের। আগামীতে পুতিন বা অন্য কোনও নেতার সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্ভবনা রয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপ, ইউএসের মতো দেশগুলি রাশিয়াকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে রাজী করানোর বিষয়ে নয়া দিল্লির মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে চাপ দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ডোভালের এই আকস্মিক সফর শান্তির বার্তা বয়ে আনবে। কিন্তু আদতে কী হবে তা সময়ই বলবে। 

    কিছুদিন আগেই জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারও কিছু জেতার নেই। সবটাই হারাবে। একমাত্র উপায় শান্তি প্রতিষ্ঠা।” মোদির এই বক্তব্যের পরেই  ডোভালের এই সফরে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। 
     

  • Amit Shah: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ভারত-পাক সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে কী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধান এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কর্তারা।     

    জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে ভূস্বর্গ এখন অনেক শান্ত। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি হয়েছে ইতিউতি। পরে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করে উপত্যকার প্রশাসন। সম্প্রতি শুরু হয়েছিলে টার্গেট কিলিং। বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছিল হিন্দু এবং শিখদের। বাদ যাননি এই দুই ধর্মের পরিযায়ী শ্রমিকরাও। প্রশাসন কড়া হাতে রাশ ধরতেই ভূস্বর্গে ফিরেছে কাঙ্খিত শান্তি। তবে এই সব হত্যা কীভাবে চিরতরে নির্মূল করা যায়, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    ভারত-পাক সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন শাহ বলেন, সীমান্ত পারাপারের ভয় দূর হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাচার। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব বন্ধ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এদিন বৈঠকে বসেছেন শাহ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর অমরনাথ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য তিনি বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু বছর সম্পন্ন হয়নি অমরনাথ যাত্রা।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পরিকল্পনা মাফিক কাজ ও পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের যৌথ প্রচেষ্টায় সন্ত্রাস বিরোধী অপারেশন জারি রাখতে হবে। যাতে করে উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূল হতে পারে। ইউএপিএ ধারায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলাগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামনেই শীতকাল। প্রতি বছরের মতো এবারও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রশ্নে কোনও ধরনের গাফিলতি যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতেও বলেছেন শাহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share