Tag: akhil bharatiya pratinidhi sabha

akhil bharatiya pratinidhi sabha

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে শততম বর্ষে পা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেই সভাতেই আরএসএসের নানা দিক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

    একজন স্বয়ংসেবক এবং সর সঙ্ঘ চালক হিসেবে আরএসএসের শততম বর্ষপূর্তিকে কী চোখে দেখেন?

    এ প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এই মিশনকে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি দেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন এবং তার যথাযথ সমস্যার সমাধানের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ করতে হবে সেটাও তিনি বাতলে দেন। ১৯৫০ সাল থেকেই সংঘের কার্যকর্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সংঘের কাজ বাড়তে থাকে। স্বয়ং সেবকরা (RSS) সমাজে কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ং সেবকরা জাতীয় জাগরণে এই কাজকেই করে চলেছেন।’’

    শততম বর্ষে সবচেয়ে বড় মাইলস্টোন কী সংঘের কাছে?

    এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন,‘‘আমাদের কাছে আলাদা করে কিছু নেই। ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেখা যায় যে আরএসএস-এর (RSS) কাজ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং হিন্দু সমাজ সংঘটিত হতে থাকে। এর পরবর্তীকালে সংঘ শক্তি আরও বহু গুণে বেড়ে যায় ১৯৭৫ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গণতন্ত্র ফেরাতে গঠনমূলক আন্দোলন করে পরবর্তীকালে একাত্মতা রথযাত্রা, কাশ্মীর সংক্রান্ত আন্দোলন, রাম জন্মভূমি মুক্তি আন্দোলন, বিবেকানন্দ সার্ধশতী- এ সমস্ত কিছুই আরএসএস করেছে এবং এর সঙ্গে সেবা কাজও চালিয়েছে।’’

    ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৭৫ সালের সংকট নিয়ে কী বলবেন?

    প্রসঙ্গত ১৯৪৮ এবং ১৯৭৫ সালে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এই দুই সময়েই এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা জানা সত্ত্বেও যে আরএসএস কোনও ক্ষতিকারক সংগঠন নয়। ১৯৪৮ সালে যখন প্রথমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তখন সংঘ প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারে তার শক্তি। এরপরে স্বয়ংসেবকরা পরিকল্পনা করেন সমাজকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যই তাঁরা কাজ করবেন। ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন শুরু করেছিল সংঘ এবং আমরা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছিলাম তাতে। জাতীয় জরুরি অবস্থা যখন শেষ হয়, তখন দেখা যায় সংঘ একটা শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’’

    দেশজুড়ে ভাষা-ভৌগোলিক বৈচিত্রে আরএসএস কীভাবে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আরএসএস স্থির করেছে যে তারা সমগ্র সমাজকে সংগঠিত করবে।’’ এনিয়ে একটি গল্পও বলেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘একবার এক নতুন কার্যকর্তা সংগঠনে আসেন। তিনি সমাজতন্ত্রের আদর্শ বিশ্বাস করেন। খুব ধূমপান করতেন। প্রথমবার তাঁকে অভ্যাস বর্গে হাজির করানো হয়। যেখানে এসে এই ধরনের ধূমপান করার সুবিধা পাননি তিনি। তখন তিনি সারাটা দিন অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে সংগঠন সম্পাদক তাঁকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁকে বলা হয় যে একটা সিগারেটের দোকানে যাও। কিন্তু কখনও যেন এটা ক্যাম্পের ভিতরে না হয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি ভালো কার্যকর্তায় পরিণত হন এবং ধূমপানও ছেড়ে দেন।’’ সংঘ প্রধানের মতে, এভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সংঘে।

    আরএসএস চলছে ডাক্তারজী, গুরুজীর দেখানো পথেই! যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে কীভাবে সেটা হবে?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার হেডগোয়ার এবং গুরুজীর যে চিন্তা ভাবনা, তা সনাতন ধর্মেরই প্রথা। হিন্দু সংস্কৃতির বাইরে নয় বা আলাদাও নয়। আরএসএসের পদ্ধতি হল এভাবেই কাজ করা। প্রথম দিন থেকে থেকে আমরা নীতি এবং আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা প্রেরণা এবং নির্দেশ পাই মহান মানুষদের কাছ থেকেই। কিন্তু দেশ কাল পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

    বর্তমান দিনে সমাজ এবং প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে নিত্য শাখা কী প্রাসঙ্গিক?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘শাখাতেই আমরা পরম বৈভাবশালী ভারত রাষ্ট্র নির্মাণের কথা বলি। এটাই হল সংঘের শাখা। এখানেই স্বয়ংসেবকরা একত্রিত হন এবং দেশ ভক্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। একজন সাধারণ মানুষ প্রথমবারের জন্য সংঘের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে নিত্য শাখার মাধ্যমে। ব্যক্তির সঙ্গে সামুহিকতার একটা বন্ধন তৈরি হয় এভাবে। শাখার সময়ের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শাখার কোনও বিকল্প নেই।’’

    বনবাসী বা জনজাতিদের মধ্যে সংঘের কাজ কীভাবে বাড়ছে?

    বনবাসীদের মধ্যে কাজ কীভাবে বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সর সংঘচালক বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের মধ্যে থেকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরকে তুলে আনার চেষ্টা করছি। যাঁরা তাঁদের নিজেদের সমাজের জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাঁদেরকে দেখবে এবং সমগ্র জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। প্রতিটি জনজাতি অঞ্চলেই বাড়ছে সংঘের কাজ।’’

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সংঘের প্রতিনিধি সভায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছে, আপনার কী মতামত?

    এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান বলেন, ‘‘ভারতের হিন্দু সমাজ যদি সংঘটিত হয় এবং শক্তিশালী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সারা পৃথিবীর হিন্দুরা সেখান থেকে শক্তি পাবেন। এই কাজই চলছে। কিন্তু তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে একদিন হবে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন যে আমরা আর এখান থেকে পালাব না। আমরা এখানে থাকব। আমাদের অধিকারের জন্য সংঘর্ষ করব। হিন্দু সমাজের আভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে, একথা বলাই যায়। যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হোক বিশ্বজুড়ে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের কাজই করব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে।’’

    জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে সংঘের মতামত কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়, আমাদেরকে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনও নিরাপদ হয় না যদি তিনি শক্তিশালী না হন। শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্য ধর্মকে শক্তির সঙ্গে একত্রিত হতেই হবে।’’

    ভারতের ধর্মীয় ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিবিধতা সংঘ কীভাবে দেখে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষজন একসঙ্গে এসে সংঘের কাজ দেখেন। আরএসএসের যে গানগুলি রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হিন্দিতেই নেই, সেগুলো বিভিন্ন ভাষাতেই রয়েছে। বিভিন্ন ভাষাতেই সংঘ শিক্ষা বর্গে গাওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গানের মধ্যেই রয়েছে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে।’’

    আরএসএস সমর্থতার কথা বলে কিছু মানুষ একতার কথা বলে সমান অধিকারের কথা বলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘সমান অধিকার বা ইকুইটি হল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। আর সমরসতা মানে সামাজিক ঐক্যের কথা বলি। এভাবেই আমরা স্বাধীনতা এবং সমান অধিকারকে প্রচার করি। আমাদের যে সংবিধান তা জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতাপর বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানসিকভাবেই আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে।’’

    আরএসএস-এ বর্তমানে নারী শক্তির অংশগ্রহণ বাড়ছে এনিয়ে আপনার মতামত কী?

    এ নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন,‘‘১৯৩৩ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হয় রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, যা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। আরএসএসের শাখা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুরুষ মানুষের জন্যই। কিন্তু মহিলারা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেখতেও পারেন। এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শুধুমাত্র পুরস্কার কার্যকর্তার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের মাতৃশক্তিও সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে তাঁরা যোগদান করছেন।’’

    শতবর্ষে আরএসএসের প্রস্তাব পাশ হয়েছে পঞ্চ পরিবর্তন, এ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘সামাজিক সমরসতা হল আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আসে কুটুম্ব প্রবোধন, তার মানে ভারতবর্ষের সনাতন পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রথাকে মান্যতা দেওয়া। এরপর পরিবেশের সংরক্ষণ। এর সঙ্গে আসে স্ব অর্থাৎ আত্মনির্ভরতা। শেষে আসে একদম নাগরিক কর্তব্য অর্থাৎ আমরা যেন প্রত্যেকে আইন, সংবিধান এবং সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে চলি।’’

    আগামী ২৫ বছর সংঘের কার্যক্রম কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘ আগামী ২৫ বছর সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করব এবং ভারতকে একটা নতুন জায়গাতে নিয়ে যাব। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের একটা পরিবর্তন হবে।’’

    সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, ২০৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা ১০০ বছর হবে, ভারত কীভাবে বিশ্বগুরু হবে?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘এই সময় আমাদের সমাজে তিনটে ব্যধির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একটা হচ্ছে স্বার্থপরতা, দ্বিতীয় হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা আর একটা হচ্ছে আত্ম বিস্মৃতি। আমরা যদি সংগঠিত থাকি।’’

    হিন্দু সমাজের শুভচিন্তকদের জন্য আপনার বার্তা কী?

    আরএসএস প্রধান বলেন (Mohan Bhagwat), ‘‘হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত বিভেদ এবং বিবাদ আছে, তার সমস্ত কিছুকে মিটিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থ হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে এবং পেশাগতভাবে ধার্মিক হতে হবে। হিন্দুত্বের আদর্শের উপর গড়ে তুলতে হবে জীবন।’’

  • Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সভার শুরুতেই চমক। মনমোহন সিং, জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। তা-ও আবার সাধারণ কোনও সভায় নয়, অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)। বেঙ্গালুরুর সেই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও (Mohan Bhagwat) ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তবলা বাদক জাকির হুসেন, চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, বিবেক দেবরায়, প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেন্দ্র প্রধান এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ প্রমুখ ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। আর সেই কারণেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আরএসসকে চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্ট করে কংগ্রেস, তৃণমূলের মত বিরোধী দলগুলি। অথচ কংগ্রেসের নেতা মনমোহন সিং এবং ভারতের গর্ব মুসলমান পরিবারের সন্তান জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোয় আরএসএস (RSS) কী ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন হওয়ার দিকে পা এগিয়ে দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন আজ সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে।

    ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন

    এদিন আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) ২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন। তিন-দিন ব্যাপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শুরু হওয়ার প্রাক্কালে, শুক্রবার সকালে ভারত মাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে। এরপর বৈঠকের শুভারম্ভ হয়। এই বছরের অক্টোবর মাসে আরএসএস ১০০ বছর (RSS 100 Years) পূর্ণ করবে। তাই আরএসএস-এর শতবর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংঘের গত বছরের (২০২৪-২৫) বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বৈঠকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আরএসএস সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘ এবং বিবিধ ক্ষেত্রের মোট ১,৪৮২ জন প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহণ করছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্পাদিত কাজের প্রতিবেদন তাঁরা উপস্থাপন করবেন। এতে উদ্যোগের বিবরণ, বিশেষ কর্মসূচি এবং গৃহীত কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলা, নিপীড়ন এবং খুন-ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস। এবার সংঘের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সভা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। প্রসঙ্গত এবছর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ৩ দিনের বৈঠক বসছে বেঙ্গালুরুতে। আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানান আসন্ন বৈঠকে দুটি প্রস্তাবের উপর আলোচনার পর মতামত নেওয়া হবে। প্রথম প্রস্তাবে থাকছে বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, নির্যাতন নিয়ে বিশদে আলোচনা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে থাকছে আরআসএস-এর শতবর্ষ পালন কী করে হবে তা নিয়ে আলোচনা।

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিধানসভা ভোট। তার আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই দুই রাজ্যে সংগঠন জোরদার করতে পাখির চোখ করেছে আরএসএস। অতীতে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে একাধিকবার দরবার করেছে আরএসএস। এবার পদ্মা পারে হিন্দু নিপীড়ন প্রশ্নে পথে নামতে চলেছে তারা।

    আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানিয়েছেন, “বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হামলা, হুমকি, নিপীড়ন বন্ধ করতে আমাদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিশদে আলোচনার পর প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোর কমিটির কাছে তা পেশ করা হবে।” প্রেস ব্রিফিংয়ে আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তপ্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেই সঙ্গে এই সব জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, এবিপিএস-এর বৈঠকে (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) আরএসএসের ৩২টি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন, যাদের মধ্যে দেশের নানা স্থানে কার্যরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

  • RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস), ২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সংঘের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থা এবং এটি প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এবারের এবিপিএস বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চান্নেনাহল্লিতে অবস্থিত জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

    সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (RSS)

    গত বছর সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (কার্যবৃত্ত) এই বৈঠকে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। এর বিশ্লেষণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন প্রান্ত ও শাখার দ্বারা গত বছরের বিশেষ উদ্যোগগুলির প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে। ১৯ মার্চ, বেঙ্গালুরুতে জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, বৈঠকটি ২১ মার্চ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, “আরএসএসের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে গত বছরের কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন, যেখানে শাখা কার্যক্রম, বিশেষ কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলির বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা তাদের নানা প্রান্তে হয়ে যাওয়া কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন, যার মধ্যে উদ্যোগ, বিশেষ কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (Bengaluru)।”

    কী বললেন সুনীল অম্বেকার?

    সুনীল আম্বেকার বলেন, “২০২৫ সালে বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাখা সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যগুলির পর্যালোচনা করা হবে। ২০২৫-২০২৬ সালটি আরএসএসের (RSS) শতবার্ষিকী বছর হিসেবে পালিত হবে। এই সভায় সেই সময়কালে আয়োজিত কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর, সংঘ চিন্তা ও কাজের প্রসার এবং এতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালানো হবে।” তিনি বলেন, “পঞ্চ পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তনের পাঁচটি মূল বিষয়, যথা সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন, পরিবেশ সচেতনতা, ‘স্ব’ এর ওপর জোর এবং নাগরিকদের দায়িত্বগুলিও আলোচনা করা হবে।”

    দুটি প্রস্তাব

    সুনীল আম্বেকর জানান, বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন। তিনি বলেন, এই সভায় দুটি প্রস্তাব গৃহীত হবে- প্রথম প্রস্তাবটি বাংলাদেশে ঘটে চলা উদ্বেগজনক ঘটনাবলী, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হবে আরএসএসের গত ১০০ বছরের যাত্রা, শতবর্ষ উদযাপনকালীন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। প্রতিনিধি সভায় রানি আবাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অবদান নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

    আরএসএসের (RSS) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে স্বয়ংসেবকদের জন্য ৯৫টি প্রথম বর্গ ও দ্বিতীয় বর্গ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭২টি বর্গ ৪০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এবং ২৩টি বর্গ ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য হবে। প্রতিনিধি সভায় সর সংঘচালক মোহন ভাগবতজির জাতীয় পর্যায়ের প্রবাস পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রতিনিধি সভায় আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করবেন (Bengaluru)।

    শতবর্ষ উদযাপন

    গত কয়েক বছরের কাজ সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর বলেন, “গত চার বছর ধরে, আমাদের শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষিতে, আমাদের স্বয়ংসেবকরা দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছেছেন, শাখার সংখ্যা বাড়িয়েছেন এবং আরএসএসের কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ‘Join RSS’ লিংকের মাধ্যমে প্রতি বছর ১.২ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।” হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়, আরএসএস বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গর্ব ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষত যেখানে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হয়।”

    হিংসার নিন্দা

    সুনীল আম্বেকর নাগপুরের হিংসারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনও ধরনের হিংসা সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আমি মনে করি পুলিশ এই ঘটনাটি লক্ষ্য করেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত করবে।” ঔরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ঔরঙ্গজেব) আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক নন।” জানা গিয়েছে, আরএসএসের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ বাকি ছয় সহ-সরকার্যবাহ এবং নির্বাহী সমিতির সকল সদস্য এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মোট ১,৫০০ কর্মী, মূলত প্রান্ত ও ক্ষেত্র পর্যায় থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৩২টি আরএসএস প্রভাবিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন সম্পাদকও উপস্থিত থাকবেন (Bengaluru)।

  • RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শতবর্ষপূর্তি আরএসএসের (RSS)। এই উপলক্ষে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণ হতে আরও কিছুটা বাকি। তার ওপর আগামী বছরই রয়েছেন মহারণ। লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানো প্রয়োজন। সামনেই ৬টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এসবের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। বিরোধীদের মাত দিতে তৈরি করা প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। এই রণকৌশল স্থির করতেই চলতি মাসের ১২-১৪ তারিখ পর্যন্ত হরিয়ানার পানিপথে বৈঠকে বসতে চলেছে আরএসএসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)।

    আরএসএস (RSS)… 

    গত বছর আরএসএসের বৈঠকে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে খোলা হয়েছে ৮০ হাজার কেন্দ্র। আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি হবে ২০২৫ সালে। তার আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই যে বাকি ২০ হাজার শাখা কীভাবে খোলা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে তিনদিনের ওই বৈঠকে। বৈঠকে যোগ দেবেন প্রায় ১৪০০ কর্মী।

    বুধবার আরএসএসের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর বলেন, গত এক বছরের কার্যকলাপের রিভিউ হবে তিনদিনের ওই সভায়। ২০২৩-২৪ সালের পরিকল্পনা ও রণকৌশলও ছকা হবে। আরএসএস সূত্রে খবর, কর্মকর্তা তৈরি করা এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়েও আলোচনা হবে। সুনীল বলেন, আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ উৎসব শুরু হতে চলেছে। তাই শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের রূপরেখা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে সেখানে। আরএসএসের এই তিনদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত সহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আরএসএসের একটি সূত্রের খবর, বৈঠকে দেশে হিন্দুত্বের বিকাশ, মুসলিমদের ভূমিকা, ধর্মান্তকর ছাড়াও বিলগ্নিকরণের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুুন: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আরএসএস (RSS) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পানিপথের এই সভা থেকেই রাজ্যওয়াড়ি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী এক বছর সংঘের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই সভায় বাংলা থেকে ৮৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন। এর মধ্যে তিনটি প্রান্ত থেকে ৩২ জন প্রতিনিধি এবং ৫৪ জন বিভাগীয় কর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বাংলায় শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত স্বয়ং। তবে তাতেই থেমে থাকতে রাজি নন আরএসএস কর্তারা। এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে সংগঠনের বিস্তার চান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share