Tag: Alipurduar

Alipurduar

  • Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার আবেদন জানিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জ্বালানির তেলের  টাকা দেয়নি রাজ্য। আর তাতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতেই পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) ধর্মঘট করলেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গের পাম্প মালিকেরা। সেই সুযোগে কোচবিহারে চলল তেলের কালোবাজারি। এক লিটার তেল বিক্রি হল ১৫০ টাকায়। কোথাও আরও বেশি টাকা দিয়ে তেল কিনলেন গ্রাহকেরা।

    বকেয়া নিয়ে সরব পেট্রল মালিকরা (Petrol Pump)

    পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল। যে টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগ তুলে সূত্রের খবর, পেট্রল পাম্পগুলি (Petrol Pump) তাদের বকেয়া টাকা চেয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। এ দিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। ফলে, বকেয়া টাকা কে মেটাবে তা নিয়ে চলছে টানাপডেন। ‘উত্তরবঙ্গ পেট্রল মালিক সমিতি’র কোচবিহার জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর বণিক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে শুধু কোচবিহারেই ৯০ লক্ষ টাকার তেল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সে বকেয়া কেউ মেটাচ্ছে না। এ ছাড়া, একাধিক ব্লক অফিসের লক্ষ-লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন হলে পেট্রল পাম্প চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।”

    পাম্প ধর্মঘটে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

    আলিপুরদুয়ারেও ধর্মঘটের জেরে বন্ধ পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল গোটা দিন। আলিপুরদুয়ার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সামনেই পেট্রলের কালোবাজারি চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কোথাও লিটার প্রতি পেট্রল কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হল বাড়তি কুড়ি টাকা, তো কোথাও আবার তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। সে পাম্প এ দিন বন্ধ ছিল। পেট্রল পাম্পের পাশেই রাস্তার ধারে ছোট-ছোট পাত্রে জ্বালানি তেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। লিটার প্রতি কেউ তিরিশ টাকা কেউ চল্লিশ টাকা বেশি নিয়ে পেট্রল বিক্রি করছিলেন। খোলা জায়গায় প্রায় সর্বত্র পেট্রল বিক্রির অভিযোগ রয়েছেই। এ দিন তা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দিনহাটা-মাথাভাঙা প্রধান সড়কের ধারে বোতলে পেট্রল ভরে তা বিক্রি করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    কালোবাজারির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসন বা পুলিশকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কালোবাজারির কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে কেউ করেননি। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ যায়নি। তবে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে জেলায় দুটি পেট্রল পাম্প সকালের দিকে খুলে রাখা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    Alipurduar: কালচিনির অনাহারে শ্রমিকমৃত্যুর ঘটনায় কি আমলাশোলের ছায়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অমানবিক আচরণের কারণেই কি মৃত্যু হল কালিচনি ব্লকের মধু চা বাগানের শ্রমিক ধানী ওরাওঁয়ের? এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে (Alipurduar)। বাগানের শ্রমিকদের অবশ্য দাবি, প্রশাসনের মানবিক হওয়া উচিত ছিল, অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেছে প্রশাসন। গত ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে এখনও তাঁর স্ত্রী আশারানী হাসপাতালে রয়েছেন চিকিৎসায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশাসন থেকে এখনও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য ২০০৪ সালের বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে অনাহারে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছিল। এবার এই ঘটনায় ফের অনাহারে ম্রত্যুর ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ (Alipurduar)?

    এলাকার (Alipurduar) মানুষের অভিযোগ, সরকারি কোনও রকম প্রকল্পের সুবিধা পেতেন না ওই দম্পতি। ছিল না কোনও রকম রেশন এবং ভাতা। বাগানের স্থায়ী শ্রমিক হলেও কাজে যেতে পারতেন না ধানী। মজুরি সত্যিই পেতেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাগানে তাঁদের প্রতিবেশীরা বলেছেন, “ধানীর আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা ছিল না। অসুস্থ হাওয়ায় তিনি করতে যেতে পারেন নি। ফলে রেশন মিলত না তাঁদের। ফলে রাজ্য প্রশাসনের কোনও সুবিধা পেতেন না তাঁরা।” একই ভাবে পাশের এক শ্রমিক বলেন, “ধানী নিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিজেও নানান সমস্যায় ভুগছেন। রাজ্য প্রশাসন যদি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এই সব প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিত, তাহলে এই ভাবে মরতে হত না।”

    ২০১১ সাল থেকেই বঞ্চিত এলাকা

    এলাকায় (Alipurduar) মানুষের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। থাকার মতো ঘর নেই। ত্রিপল খাটিয়ে কোনও রকম চলছে দিন। বৃষ্টি এলেই মাথায় হাত। শ্রমিকদের অভিযোগ, দুর্দশার কথা জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানালেও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি। একই ভাবে আমলাশোলের অনেক বাসিন্দা এখনও রেশন পান না। রাজ্য সরকারের নানান ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নেতারা এলাকায় আসলে এলাকাবসীরা অভিযোগ জানালে কোনও রকম ভাবে সমস্যার সমাধান ঘটছে না। ২০১১ সালের পর একবার-দুবার কিছু রাজ্য সরকারের সাহায্য এলেও তারপর থেকে কেউ ঘুরেও থাকায় না।

    জেলাশাসকের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলাশাসক আর বিমলা বলেছেন, “অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়। মৃতের পরিবার থেকেও এমন অভিযোগ করা হয়নি। বাগানে একাধিকবার শিবির হয়েছে। বাগানে ত্রাণের কাজ করা হয়। শ্রমিকদের সমস্যার কথা শোনা হয়। আধারের সমস্যা দূর করতে ব্লকে দ্রুত শিবির করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। মন্দির দর্শন করার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় ভিড় করছেন। রাম মন্দির সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচিকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছে। এবার সেই ঐতিহ্যপূর্ণ রাম মন্দির দর্শন করাতে উদ্যোগী হল সঙ্ঘ পরিবারের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    তালিকায় কারা রয়েছেন? (Ram Mandir)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে অযোধ্যার পূজিত চাল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। উত্তরবঙ্গের ২২ লক্ষ পরিবারে চাল পৌঁছে দিয়ে জনসংযোগ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। সেই সূত্র ধরে সঙ্ঘ নেতাদের একাংশের ধারণা, তাঁরা সফল হয়েছেন। এবার রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার কথা। পরের ধাপে এনজেপি থেকে ছাড়বে আরও একটি ট্রেন। প্রথম ধাপে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’হাজারেরও বেশি মানুষকে অযোধ্যায় নিয়ে যাবে তারা। সে জন্য একটি ট্রেনও ভাড়া করা হয়েছে বলে খবর। অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযাগ করছেন। তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন করসেবকেরা। উত্তরবঙ্গে এখনও একশো জনের মতো করসেবক রয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। করসেবক ছিলেন, কিন্তু মৃত্যু হয়েছে, সে রকম পরিবারের অন্তত দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হবে রাম মন্দির দর্শন করাতে। একই সঙ্গে রয়েছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারাও। পরের ধাপে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক কী বলেন?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক (সংগঠন) অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, করসেবকদের মন্দির দর্শন করিয়ে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাকিদের নিজেদের খরচেই যেতে হবে। দক্ষিণবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আপাতত একটি করে ট্রেন ধরা হয়েছে। তবে, এখন রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। তাই, ভিড় থাকলে প্রয়োজনে রাম মন্দির যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘রাজ্যে ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা প্রয়োজন”, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘রাজ্যে ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা প্রয়োজন”, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যে সিবিআই থানা তৈরি হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর মতে, অন্তত ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা দরকার রাজ্যে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় শুনানি চলার সময় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন মোট ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসেবে খাটানো হবে। কিন্তু আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হলে দেখা যায়, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। এর জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই মামলায়।

    বিচারপতির এজলাস বয়কট

    প্রসঙ্গত, এদিনও ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার (Justice Abhijit Ganguly) অভিযোগ তোলে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা তাঁর এজলাস বয়কট করছিলেন। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি এজলাসে বসে, সেই বয়কট প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীকালে আইনজীবীরা বিচারপতির এজলাসে ফেরেন। 

    সিবিআইকে অসহযোগিতা

    আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেল না কেন?’’ এর জবাবে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী  বলেন, ‘‘পুলিশ বা রাজ্য সরকার কেউই কোনও সহযোগিতা করছে না এ বিষয়ে। এমনকী আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানা হচ্ছে না।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) তখন বলেন, ‘‘রাজ্যে সিবিআই থানা তৈরির সময় এসেছে। অন্তত তিনে-চারটি থানা তৈরি প্রয়োজন। ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল দিয়ে থানা তৈরি করতে হবে। নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ আসছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে। মানুষ পুলিশ এবং আদালতে ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছেন। তবু অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ঋণদান সমবায় সমিতির ঋণপ্রদানে বহু জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ হাতে পেল সিবিআই। সমবায় থেকে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে ওই সমবায় থেকে ঋণদানের বেশ কিছু রেজিস্টার সহ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সেই হিসেব মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। ঋণগ্রহীতাদেরও যেন মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন সমবায়ের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। পরিকল্পিতভাবে সমবায়ের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে, সমবায়ের টাকা নযছয় করার পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, সেটাই তদন্তকারীরা খুঁজতে শুরু করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়কে সিবিআই বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে, তবে এ নিয়ে তদন্তকারীরা এখনই মুখ খুলতে নারাজ।

    ঋণগ্রহীতাদের জিজ্ঞাসাবাদ (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ার সমবায় ঋণদান সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সমবায়ের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সমবায় থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, আদৌ কি তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল? এনবিএসটিসির এক কর্মী পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, সিবিআইয়ের নোটিশ পেয়ে আলিপুরদুয়ারে ছুটে এসেছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। তার অনেকটা পরিশোধ করেছি। বাকি ঋণ শোধ করতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি সমবায়ের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্তারিত সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানিয়েছি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার এক কর্মী সিবিআই নোটিস পেয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন। পৌরসভার ওই কর্মী বলেন, বাবা এক লক্ষ টাকা সমবয় থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, উনি মারা গিয়েছেন। এখন তদন্তকারীদের কাছে যে রেকর্ড দেখছি, তাতে ঋণের পরিমাণে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা লেখা রয়েছে। এতেই আমার সন্দেহ হচ্ছে, বাকি টাকা ঋণ না দিয়ে মৃত বাবার নামে লিপিবদ্ধ করে সমবায়ের কেউ সেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। চিলাপাতার একটি রিসর্টের কর্মী তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে দু’ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা কিভাবে হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কোটমোড় এলাকার এক জেরক্স ব্যবসায়ী বলেন, সমবায়ের এক কর্মী এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা আমাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই ঋণের টাকা একবারে পাইনি, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে চার হাজার টাকা সেই সমবায় কর্মী বকশিস আদায় করেছিল। পুরো বিষয়টি সিপিআই তদন্তকারীদের জানিয়েছি।

    মূল মাথার হদিশ চলছে (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ারের সমবায় দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই সমবায়ের কর্মী, আধিকারিক থেকে পরিচালন কমিটির পদাধিকারী, এমনকি এজেন্টদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি তাঁরা ঋণ গ্রহীতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক তছরুপের সুলুক সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় আরেকটি সংস্থা ইডি সম্প্রতি ওই সমবায়ের আধিকারিক ও কয়েকজন পদাধিকারীকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সমবয় (Alipurduar) বিপুল পরিমাণ অর্থ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে নয়ছয় করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন। তবে ওই আর্থিক তছরুপের পিছনে বড়সড় মাথার হাত না থাকলে এসব সম্ভব হতে পারে না। তাই কিছু কর্মী-আধিকারিকদের দুর্নীতির সরাসরি যোগসূত্র থাকলেও এখনই তাদেরকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা গ্রেফতার না করে, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালী মূল মাথার হদিশ পেতে চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে আলিপুরদুয়ারে প্রস্তুতি সভায় তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির কেন? এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এমনই প্রশ্ন তোলায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বও।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আগামী ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারে সরকারি অনুষ্ঠানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রবীন্দ্র মঞ্চে তারই প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌরভ দলের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।  যদি ও দলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন,  ৯০ শতাংশ নেতা জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও সভায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি হয় না। প্রস্তুতি বৈঠকে যে নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যেও সামনের সারিতে বসা নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে  শুরুতেই একটা বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের দুই জেলা নেতাকে তৎপর হতে দেখা যায়। যদিও এ নিয়ে জেলার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

    প্রস্তুতি বৈঠকে কোন কোন তৃণমূল নেতা যাননি?

    প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিরা। তৃণমূলের ওই প্রস্তুতি সভা থেকেই সৌরভ বলেন, দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা সক্রিয়, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে সেই সক্রিয়তার অভাব দেখা গিয়েছিল। তাই আমরা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিততে পারিনি। দলের কেউ কেউ যদি ভাবেন পঞ্চায়েত ভোটে দিতে গিয়ে নিজের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার করবেন, তারপর নিষ্ক্রিয় থাকবেন, সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। দল সকলের উপর নজর রাখছে।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতির কী বত্তব্য?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)  জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে। যদিও সবাইস্থল এখনও ঠিক হয়নি।  বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, গত পাঁচ বছরে বিজেপির সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজে পাননি। তাই সামনের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এখানে জয়ী হবেন।’ লোকসভা ভোটের মুখেও আলিপুরদুয়ারে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar:  চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    Alipurduar: চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলের ছন্নছাড়া অবস্থা। আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে দলত্যাগ করেছেন। প্রবীণ এই নেতার দলত্যাগের ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দলীয় নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। এবার আলিপুরদুয়ারের রণকৌশল ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সাত বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে কী আলোচনা হয়? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে তিনটি ধাপে বৈঠক শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) আসনটি বিজেপি দখল করতে পারে তার রুপরেখা তৈরি করা। বুথ ভিত্তিক দলের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কর্মীদের কী কী করা দরকার তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচনে জন্য রণকৌশল ঠিক করা হয়। চা বাগান,পুরসভা ও বস্তিকেন্দ্রিক এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূলত চা বাগানের শ্রমিকেরা এই এলাকায় মস্তবড় ভোট ব্যাঙ্ক। তাই, বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে থেকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সভাপতি মনোজ টিজ্ঞা বলেন, বাগানে অনেক ইস্যু রয়েছে। চা বাগানের জন্য রাজ্য সরকার কিছু করছে না। শ্রমিকদের পিএফ এর টাকা দিচ্ছে না। এফআইআর হলেও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের চা শ্রমিকদের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার সম্প্রতি টিএমসি দলত্যাগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিজেপিতে এলে স্বাগত জানানো হবে। তাতে লাভ হবে আমাদের। আর আলিপুরদুয়ারে টিএমসি চালাচ্ছে বিজেপি। টিএমসি বিজেপি নেতাদের ধার করে নিয়ে দল চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: দুর্নীতির তদন্তে আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করবে সিবিআই, রাজ্যকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল আদালত

    CBI: দুর্নীতির তদন্তে আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করবে সিবিআই, রাজ্যকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় সমিতিতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। এবার সমবায়ের দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতেই এবার আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করতে চায় সিবিআই। বুধবার আদালতে সেই মর্মে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে এবিষয়ে রাজ্যকে তাঁদের থাকার ঘর ও যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    সমবায় দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে কী আবেদন রাখল সিবিআই? (CBI)

    আলিপুরদুয়ারে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই (CBI) একাধিকবার হানা দেয়। বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সমবায় থেকে রেজিস্ট্রার বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। ফলে, তদন্তে অনেকের জড়িত থাকার তথ্য তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে আসে। বুধবার আদালতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের অফিসাররা অন্যান্য অনেক মামলার সঙ্গে যুক্ত। বারংবার কলকাতা থেকে তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ারে যাওয়া-আসার কারণে সময় নষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের কাছে সিবিআই-এর আইনজীবী সুপারিশ করেন, তদন্তের স্বার্থে উত্তরবঙ্গে গিয়ে ক্যাম্প করার জন্য ঘর ও গাড়ির ব্যবস্থা করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অস্থায়ীভাবে রাজ্যের কাছ থেকে ২ জন এসআই, ৮ জন কনস্টেবল, মহিলা কনস্টেবলও দেওয়ার আবেদন করেছে তারা।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    সিবিআই-এর এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যকে এক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে এই নির্দেশ রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পাঠাতে হবে। ১৮ ডিসেম্বর এই মামলা ফের শুনানির জন্য এলে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে(CBI)। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটির বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত ২৪ অগাস্ট ইডি এবং সিবিআই-কে তদন্তে নামার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share