Tag: Alipurduar

Alipurduar

  • CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের (CBI)। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির লোন রেজিস্টার পেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢাকেশ্বরী মোড়ে মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিস থেকে এই লোন রেজিস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    কী রয়েছে লোন রেজিস্টারে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই (CBI) কর্তাদের একটি বড় দল মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিসে যান। সমবায় সমিতির হিসাব রক্ষক রীনা স্যান্নাল ও সম্পাদিকা রুপা গুহ রায়কে নিয়ে সিবিআই কর্তারা সমবায় সমিতির অফিসে যান। পরে সেখানে সমবায়ের দুই লোন ক্লার্ক  সঞ্জীব দাস ও পঙ্কজ গুহ আচার্যকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে প্রথমে অফিস বিল্ডিংয়ের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই কর্তারা। তারপর চাবি এনে সমবায় সমিতির অফিসে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অফিস থেকে লোন রেজিস্টার উদ্ধার করেন তদন্তকারিরা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়,  উদ্ধার লোন রেজিস্টারে এই সমবায় সমিতির ২০ বছরের কার্যকালের মধ্যে কাকে কতটাকা লোন দেওয়া হয়েছে তার সবই আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লোন রেজিস্টার থেকেই কারা কারা এই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করেননি সেই তালিকাও পেয়ে যাবেন সিবিআই কর্তারা।

    প্রথম অভিযোগকারীর কী বক্তব্য?

    গুরুত্বপূর্ণ এই নথি উদ্ধারের নিয়ে এই মামলায় প্রথম অভিযোগকারী আরটি আই কর্মী অলোক রায় বলেন, আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তে আশাবাদী। এবার সিবিআইয়ের পদক্ষেপ করতে সুবিধে হবে। হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে সিবিআই। আমরা চাই টাকা উদ্ধার হোক। প্রতারিত গরীব মানুষেরা টাকা ফেরত পাক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। লোন রেজিস্টার খাতা পেয়ে সিবিআই কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রতারিতরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সহ বারাকপুর মহকুমার একাধিক পুর চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছুনথি। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শহর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। শনিবার সকাল থেকে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের তল্লাশি।

    সাত সকালেই সিবিআই হানা (CBI)

    শনিবার সকাল ছটা নাগাদ শিবের তদন্তকারীরা ডিআরএম অফিস সংলগ্ন এলাকায় যান। সেখান থেকে দলে দলে ভাগ হয়ে তাঁরা এদিন মূলত সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ  শুরু করেন। আর্থিক ওই তছরূপের মামলায় আগে সিবিআই (CBI) এর  তদন্তকারীরা প্রতারিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকনা চৌধুরী সহ শহরের সূর্য নগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ওই তল্লাশি অভিযান চলছে। সমবায়ের কর্মী  আধিকারিকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই এর কর্তারা। সিবিএর ওই তদন্তকারী দলে মহিলা সদস্যরাও রয়েছেন।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ২১ হাজার আমানতকারী তাঁদের টাকা গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হয়েছেন। আগে এ নিয়ে প্রতারণার একটি অভিযোগ আলিপুরদুয়ার থানায় করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা আরটিআই কর্মী অলোক রায়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ পরে সিআইডি তদন্ত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হন কল্পনা দাস সরকার নামে এক প্রতারিত মহিলা। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি ওই মামলায় সিবিআই ও ইডির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর্থিক তছরূপের  ওই মামলায় তদন্তকারীরা সমবায় সংস্থার ম্যানেজার থেকে কর্মীদের বাড়ি ছাড়াও শহরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের বাড়িতে গিয়েও তাঁকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসা বাদ করেছেন। এদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সমবায় সংস্থার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের সঙ্গে ওই সংস্থার আর্থিক যোগ ছিল তাদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। শহর জুড়ে অন্তত ১৫ টি জায়গায় এদিন  একসঙ্গে  সিবিআইয়ের (CBI) এই তল্লাশি অভিযান চলেছে। আলিপুরদুয়ার শহরের সূর্যনগর বিধানপল্লি এলাকার অনেকের বাড়িতে এদিন গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের গচ্ছিত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। ‘কোটিপতি কনস্টেবল’। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)

    রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মহিলাদের চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, কী করছে পুরসভা?

    Alipurduar: মহিলাদের চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, কী করছে পুরসভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রতারণার নয়া ফাঁদ। চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল ‘স্মার্ট ভ্যালু’ নামে এক সংস্থার বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ার শহরের প্রানকেন্দ্রে একটি ভাড়াবাড়িতে রমরমিয়ে চলছে প্রতারণার কারবার। পুরসভার পক্ষ থেকে এই ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার লোকজনের দাবি। ফলে, এর পিছনে পুরসভার কর্মকর্তাদের কাটমানি রয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করছে সংস্থার কর্মীরা? (Alipurduar)

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ছাড়াও কামাখ্যাগুড়ি ও ফালাকাটাতেও এরকম অফিস করেছে ওই সংস্থা। ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা শুরু করে ওই সংস্থা। প্রথমে তারা কম্পিউটার শেখানোর নাম করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে। প্রশিক্ষিত হয়ে গেলেই চাকরি। আর  বেতন মিলবে ১৮ হাজার টাকা। গ্রাম বাংলার যুবক-যুবতীকে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে। চাকরির আশায় সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন গৃহবধূরাও। গ্রামের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করত এই সংস্থার কর্মীরা। মহিলা ও মেয়েদের স্বনির্ভর করতে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে তাঁদের কাছ থেকে অনলাইনে নেওয়া হত ১৫ হাজার টাকা। প্রতারিতদের দাবি, কম্পিউটার শেখা হয়ে গেলে তাঁদের চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। ফলে, প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পড়ুয়া ও গৃহবধূরা ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। সবমিলিয়ে ওই সংস্থা বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিল।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিত এক বধূর বক্তব্য, আমাদের পরিচিত মানুষজনের ৫০০ তালিকা তৈরি করে ফোন করতে বলা হত। আমাদেরকেও একই ভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার কথা বলা হত। পুরানো কর্মীরা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে যাঁরা ছেড়ে দিচ্ছেন, তাঁদের জায়গায় আসছেন নতুন কেউ। আমি টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি।

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, আমরা এটা সমর্থন করিনা। কেউ যদি পুরসভার নাম ভাঙিয়ে ব্যাবসা করে তা মেনে নেব না। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনব। পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আলিপুরদুয়ারে এবার প্রথম চা বাগানে হবে ‘ফুল মুন প্লাকিং’

    Alipurduar: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আলিপুরদুয়ারে এবার প্রথম চা বাগানে হবে ‘ফুল মুন প্লাকিং’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুল মুন প্লাকিং বা পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলা এবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগানে হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়। ইতিপূর্বে পরপর তিনটি দোল পূর্ণিমায় চা পাতা তুলে তা বাজারজাতও করা হয়েছে। ফুল মুন প্লাকিংয়ের চায়ের কদর রয়েছে দেশ-বিদেশেও।

    কী বললেন চা বাগানের ম্যানেজার? (Alipurduar)  

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, পূর্ণিমার রাতের তোলা চা পাতার স্বাদ ও গন্ধ বছরের অন্যান্য সময়ে তৈরি হওয়া চা-পাতাকে হার মানায়। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো চা গাছের উপর পড়ায় ওই সময় পাতা গুণমানে ভরপুর থাকে। বাজারে চাহিদা থাকায় চলতি বছরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনও পূর্ণিমার রাত। ওই রাতেই ২০০০ কেজি চা-পাতা তোলার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

    ফুল মুন প্লাকিং ওই চায়ের দাম কত?

    বাজারে সিটিসি চা পাতা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও ফুল মুন প্লাকিং-এর ওই চায়ের দর অপেক্ষাকৃত অনেকটাই বেশি। প্রতি কেজি চা পাতা পনেরশো টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষের আলিপুরদুয়ার, (Alipurduar) কলকাতা, শিলিগুড়ি, মুম্বই ছাড়াও বিভিন্ন রেল স্টেশনে তাদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র বা আউটলেট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০০ গ্রাম চা পাতা ১৫০ টাকা দিয়েও ক্রেতারা সংগ্রহ করতে পারবেন।

    কীভাবে তোলা হবে চা পাতা?

    ফুল মুন প্লাকিং সাধারণত দোল পূর্ণিমার রাতেই গত তিন বছর ধরে করে আসছিল আলিপুরদুয়ারেরর (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে বাজারে ওই চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবার তা লক্ষ্মীপূর্ণিমাতেও করা হচ্ছে। কীভাবে তোলা হবে চা পাতা? সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বাগানের একদল চা শ্রমিক মশাল হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। পিছনে মহিলা শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব কায়দায় চায়ের কচি পাতা ঝোলায় ভরবেন। তবে, রাতের বেলা যেহেতু ওই চা পাতা তোলা হবে তাই প্রত্যেক শ্রমিকের কপালে একটি করে সার্চলাইট লাগানো থাকবে। এরপর সংগৃহীত চা পাতা চলে যাবে তাদের নিজস্ব কারখানায়। রাতের বেলাতেই চা পাতা তৈরি করে তা প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়া হবে। তবে, লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলার ওই দৃশ্য দেখতে পর্যটক থেকে শহরের বহু উৎসাহী মানুষ বাগানে ভিড় করবেন বলেই জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ!

    Alipurduar: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে শতবর্ষ পুরনো জয়ন্তীর (Alipurduar) জনপদ। সব ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের মার্চের আগেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি জয়ন্তী গ্রামের কোনও অস্তিত্ব আর থাকবে না। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ! বাঘের অভয়ারণ্যকে রক্ষা করতে স্থানীয়দের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করেছে বন দফতর। রাজি হয়েছেন এলাকার মানুষও। বাঘ ছাড়ার জন্য বন দফতর গত তিন বছরে কয়েক দফায় প্রায় হাজারের উপর হরিণ ছেড়েছে। এবার জনপদকে অভয়ারণ্য থেকে দূরে সরিয়ে বাঘেদের থাকার অনুকূল পরিবেশ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। এলাকার মানুষও এই পরিবেশ এবং জন্তুদের রক্ষায় সহমত জানিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে বক্সায় দ্রুত পর্যটকরা বাঘ দেখতে পারবেন।  

    সরানো হবে জয়ন্তীর জনপদ (Alipurduar)?

    বড় বড় সব সরকারি-বেসরকারি ডলোমাইট খননকারী কোম্পানি ছিল এখানে (Alipurduar)। এক সময় এখানে রেলপথও ছিল। ডলোমাইট কারখানা ছিল। আজ আর সে সবের কিছুই নেই! তাই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া সুন্দরী জয়ন্তী, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকা থেকে সরে যাবে। সোমবার এই মর্মে জয়ন্তীর বেশির ভাগ মানুষের সই করা ‘জয়ন্তী ভিলেজ রিলোকেশন ফর্ম’ জমা হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিসে। বিষয়টি নিয়ে ২৬ অগাস্ট জয়ন্তীতে বৈঠক করে বন দফতর।

    সারানো হবে জয়ন্তী গ্রাম

    ওই বৈঠকে জয়ন্তী গ্রামকে (Alipurduar) বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় বন দফতর। জয়ন্তীর বেশির ভাগ মানুষ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এর জন্য জয়ন্তীর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। জয়ন্তীকে সরিয়ে নিতে খরচ হবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। তবে এর সবটাই দেবে কেন্দ্র। এছাড়া রাজ্য সরকার প্রত্যেক পরিবারকে ৫ ডেসিমেল করে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসিমারার গুদাম ডাবরি এলাকায়, জয়ন্তী থেকে সরে যাওয়া পরিবারদের জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বক্তব্য

    বিষয়টি নিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন (Alipurduar)  বলেন, “ যে কোনও টাইগার রিজার্ভ থেকে বনবস্তিবাসীদের সরানোর জন্য এই প্যাকেজ গোটা দেশেই চালু রয়েছে। জয়ন্তী সহ বক্সাতে দুই একটি গ্রামের লোকেদের সাথে এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা বন ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে সরে যেতে চাইলে এই প্যাকেজ পাবেন।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জয়ন্তীতে লোকসংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। প্রায় ২০০ পরিবারের এই জনসংখ্যা দিন দিন কমছে। এই সব পরিবারের বেশির ভাগই জয়ন্তী থেকে সরে যেতে চাইছেন।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    জয়ন্তীর (Alipurduar) স্থানীয় বাসিন্দা তপন দত্ত বলেন, “ জয়ন্তী দিন দিন শশ্মানে পরিণত হচ্ছে। এক সময় বাইরে থেকে মানুষ জয়ন্তীতে কাজ করতে আসতেন। এখন উল্টোটাই ঘটছে। জয়ন্তী নদী যে কোনও দিন এই জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই কারণে আমরা বন দফতরের প্যাকেজে রাজি হয়ে, এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য লিখিতভাবে মত দিয়েছি।” জয়ন্তীর আরেক বাসিন্দা মনি কুমার লামা বলেন, “বনের ভিতর কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই। আমাদের জীবন এভাবে কাটল। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম এভাবে কেন থাকবে! বন দফতরের প্রচণ্ড কড়াকড়ি। এলাকায় কোনও কাজ নেই। নেই হাসপাতাল ও ভালো স্কুলও। ফলে শুধু পারিবারিক ভিটের আবেগে ভর করে আর এখানে থেকে কোআও লাভ নেই। সেই কারণে বন দফতরের প্যাকেজে আমরা রাজি হয়ে গেছি ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন (Vulture) প্রজনন কেন্দ্রে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরির উদ্যোগ নিল বন দফতর। যার পোশাকি নাম আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই রাজাভাতখাওয়ায় এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

    কৃত্রিম উপায়ে শকুনের (Vulture) ডিম ফোটানোর উদ্যোগ কেন নিল বন দফতর?

    পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের (Vulture) গুরুত্ব অপরিসীম। পচাগলা দেহ দেহাংশ খেয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু,  গত কয়েক দশকে শকুনের সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে প্রাণীটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শকুন। শকুনের বিলুপ্তির কারণে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আর সেই কারণেই পৃথিবীতে  শকুন বাঁচিয়ে রাখার নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০০৬ সালে  বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৫৪ টি শকুন রয়েছে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ টি শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছে। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে সে সব শকুনকে ছেড়েছে বন দফতর।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা?

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, আমরা শকুনের (Vulture) সংখ্যা বৃদ্ধি দ্বিগুন হারে করার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করতে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতি রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন  কেন্দ্রে চালু করা হবে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, একটি শকুন বছরে একটি মাত্র ডিম পারে। কিন্তু, ডিম পারার পরে সেই ডিম সেখান থেকে কোনওভাবে তুলে নিতে পারলে ওই  শকুনের ওই বছরেই আরও একটি ডিম পারার সম্ভাবনা থাকে। শকুনটি একটি ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধরে নিয়ে আরেকটি ডিম পারতে পারে। ফলে, এক্ষেত্রে বছরে একটি শকুন দুটো ডিম পারতে পারে। একটি ডিম কৃত্রিম উপায়ে ফোটানোর ব্যবস্থা করতে পারলে একটি শকুন থেকে বছরে দুটো ডিম পেতে পারি। আর সেই দুটি ডিম থেকে দুটো শকুনের বাচ্চার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাতে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানাতেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) একটি সমবায়ে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারিতরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায়  ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক তছরূপের ঘটনায় কয়েক বছর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের পাঁচ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত টাকা আজও ফেরত পাননি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি আমানতকারীরা। তাঁদের আশা, কোটি কোটি টাকা তছরূপে জড়িত মূল নাটের গুরুরা এবার সিবিআই ও ইডির জালে ধরা পড়বে।

    কত টাকার দুর্নীতি হয়েছিল? (Alipurduar)

    যদিও বাম আমলে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। শুরুর দিকে ওই ওই সংস্থার কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই সংস্থার প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক ছিল। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সমিতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালেই বন্ধ হয়ে যায় সমিতির দফতর। এখনও সেই দফতর বন্ধই রয়েছে। ওই সময় অলক রায় নামে এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সমবায় কর্তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে ২০২২ সালে সার্কিট বেঞ্চে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও ই ডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা কেউ বাদ যায়নি প্রতারণার হাত থেকে। আদালতের নির্দেশে যে কোন দিনই আলিপুরদুয়ারে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা এসে ওই আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করবে। প্রতারিত আমানতকারীদের বক্তব্য,আসল রাঘব বোয়াল যারা তারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার রয়েছেন। যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের কিছু নেতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা মানুষের গচ্ছিত ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রতারিত মানুষরা তাদের টাকা ফেরত পাবে। অন্যদিকে,  সিপিএমের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সম্পাদক কিশোর দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল জামাতেই যারা মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের অনেকেই শাসক দলের ছাত্র ছায়ায় রয়েছেন। সিবিআই ও ইডি তদন্ত হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপির জেলা নেতা মিঠু দাস বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল জড়়িত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: পুজোর মুখে আলিপুরদুয়ারে এনবিএসটিসি-র বহু বাস উধাও, ভোগান্তি, সরব বিজেপি

    Alipurduar: পুজোর মুখে আলিপুরদুয়ারে এনবিএসটিসি-র বহু বাস উধাও, ভোগান্তি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাসে চেপে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে কলকাতা যাওয়া এখন জেলাবাসীর কাছে স্বপ্ন। কারণ, মাসখানেক ধরে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বন্ধ হয়েছে অসম বঙ্গাইগাও পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র সরকারি বাস। ফলে, পুজোর মুখে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীর পাশাপাশি জেলার হাজার হাজার বাসিন্দা। অবিলম্বে কলকাতা সহ বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবা স্বাভাবিক না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    কোন রুটে কত বাস বন্ধ রয়েছে? (Alipurduar)

    পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)  ডিপোর ১৫ বছরের বেশি পুরানো ১৯ টি বাস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ১৫-২০ বছরের ওই পুরানো বাসগুলো দিয়ে বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হত। এতে ঝুঁকি তো থাকত, মাঝেমধ্যে বাসগুলি মাঝ রাস্তায় অকেজো হয়ে পড়ত। ফলে, যাত্রীরা নানা সমস্যারও সম্মুখীন হতেন। সম্প্রতি, রাজ্যের পরিবহণ দফতর থেকে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে ১৫ বছরের বেশি পুরানো কোনও বাস রাস্তায় নামানো যাবে না। বিকল্প বাসের ব্যবস্থা না করেই বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ওই বাসগুলি বসিয়ে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসযাত্রীরা। আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি রুটে প্রতিদিন দশটি করে বাস চলাচল করত, বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ওই রুটে আটটি করে বাস চলছে। কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার রুটে প্রতিদিন ১০ টি করে বাস চালানো হত, এখন সেখানে মাত্র ছয়টি বাস চলাচল করছে। এতে দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এই রুটে ১৫-২০ মিনিট অন্তর বাস চলাচল করলেও তাতে বাস ভর্তি যাত্রী নিয়েই সরকারি বাসগুলি নিয়মিত পরিষেবা দিত। কিন্তু, এখন বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্কুল, অফিস টাইমে বাদুরঝোলা হয়ে নিত্যযাত্রী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রুটগুলি ছাড়াও আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াতের বাস প্রায় মাসখানেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময় আলিপুরদুয়ার শহরের ব্যবসায়ীরা কলকাতা থেকে পুজোর বিভিন্ন মালপত্র আনার জন্য বাসে যাতায়াত করেন। তাঁরা ধর্মতলা থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে চেপেই আবার আলিপুরদুয়ারে ফিরে আসেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, জেলায় আন্দোলনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায়ও সরব হব। এক সময় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান দাবি করতেন, রেলের থেকেও উত্তরবঙ্গে বাসের পরিষেবা ভালো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পরিষেবা কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রী ভোগান্তির অভিযোগ আসছে।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান?

    পুজোর সময় পর্যটনের মরশুমে ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রী সরকারি বাসে চেপে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে আসেন। ফলে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে ওই সরকারি বাসের চাহিদা পর্যটনের মরশুমে অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এবার মরশুমের অনেক আগে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে, খুব শীঘ্রই বেশ কিছু নতুন বাস রাস্তায় নামানো হবে। তাহলে আর এই সমস্যা আর থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share