Tag: Alipurduar

Alipurduar

  • BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইকের খাসতালুক কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসকদল। সেখানে বিজেপিই (BJP) কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ক্ষমতা দখলের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে শাসকদলকে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। দলের কোনও সদস্যকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে বা কোনও প্রলোভন দিয়ে শাসক দল তাদের দিকে টানতে না পারে তারজন্যই পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের অনেক আগেই রবিবার রাত থেকে দলের জেলা কার্যালয়ে সেভ জোনে রাখা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা বলেন, কুমারগ্রামে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এখানে নির্বাচিত সদস্যরা নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ড গঠন করতে যেতে পারলে বিজেপির দখলেই আসবে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের সন্ত্রাস তো চলছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে প্রলোভন দিয়ে যাতে দলের কোনও সদস্যকেই ভাঙ্গাতে না পারে তারজন্যই আমরা দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় রেখেছি।

    কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা কত?

    কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি-৮টি, সিপিএম ২টি, নির্দল-১টি এবং কেপিপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনে সিপিএম অংশগ্রহণ করবে না। নির্দল জয়ী প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে নির্দল প্রার্থী এবং কেপিপি-র জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দিকে রয়েছে। ফলে, বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) পাল্লা ভারী। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন তাদের পক্ষেই রয়েছে। তারা গেরুয়া শিবিরকেই বোর্ড গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ১৪ আগস্ট কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। তার আগে দলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা।  কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কে বিজেপি পাখির চোখ করেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই কার্যত রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে চাইছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক  বড়াইক দাবি করেছেন, কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব প্রতিপত্তি না খাটিয়েই শেষ পর্যন্ত শাসক দল সেখানে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই সেখানে নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনায় তোলপাড় আলিপুরদুয়ার। অভিযুক্ত দুই ট্রেন যাত্রী যুবককে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। গ্রেফতার দুই যুবকের নাম নয়নাল আব্দুল (২৫) ও মইনুল হক (২৬)। তারা অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। ধৃত দুই যুবককে গ্রেফতার করে রবিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে রেল পুলিশ। বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে রেল পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিফং এক্সপ্রেসে শনিবার রাতে  অসমের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে  ফিরছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। মহিলার কোলে আড়াই বছরের একটি শিশু ছিল। জেনারেল বগিতে ওই মহিলা আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু, ফকিরাগ্রাম স্টেশনে ওই বগির বেশিরভাগ যাত্রী নেমে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই সুযোগে দুই যুবক মহিলাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হলে মহিলার শিশুকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর শ্রীরামপুর স্টেশনের পরে এই ধর্ষণের (Rape) ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যরাতে ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ালে মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ জানান। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি থানার পুলিশ আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনেই ট্রেন থেকে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে। তাদের রবিবার আলিপুরদুয়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক যুই অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতা মহিলা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না।

    রেল আধিকারিকদের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনায় চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিত গৌতম বলেন, ‘আমি নতুন এই ডিভিশনে যোগ দিয়েছি। এইরকম ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এদিকে ট্রেনে ধর্ষণের (Rape) ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও রেলের আরপিএফ আধিকারিকদের ঘটনা নিয়ে তেমন সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তারা ওই দুই যুবক অসমের ফকিরাগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল বলে জানালেও অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে তারা কোকরাঝাড় স্টেশন থেকে শিফং এক্সপ্রেসে ওঠে। এই ঘটনায় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনের আরপিএফের সহকারী ডিভিশনাল কমিশনার দীপক কুমার চৌধুরী বলেন,  ওই মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ করলে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জিআরপি। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ছাড়াই দেড় মাস, দুশ্চিন্তায় পড়ুয়ারা

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ছাড়াই দেড় মাস, দুশ্চিন্তায় পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দেড় মাস ধরে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। ফলে, কার্যত অভিভাবকহীন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন নানা কাজকর্ম করছেন। পঠনপাঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও নিতে পারবেন। কিন্তু, ফল প্রকাশ করার সময় উপাচার্যের অনুমোদন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগে অনেকটা দেরি হলে পরীক্ষার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফল প্রকাশ করতে সমস্যায় পড়তে পারে। ফলে এমন একটা আশঙ্কা ছাত্র ও শিক্ষক মহলেও রয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ?

    প্রায় দেড় মাস আগে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহেন্দ্রনাথ রায়ের কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি, পুনরায় দায়িত্ব না পাওয়ায় তিনি পুরানো কর্মস্থলেই ফিরে গিয়েছেন। এরপর প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও নতুন করে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি। উপাচার্য নিয়োগে এত উদাসীনতা কেন? তা নিয়ে নানা মহলে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর প্রথম উপাচার্য হিসেবে মহেন্দ্রনাথ রায় ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর কাজে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ২২ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ওই সময়ের পর পুনরায় নিয়োগ না করায় তিনি তাঁর পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যান। গত ২৩ শে ডিসেম্বর থেকে ৮ ই মার্চ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত উপাচার্যহীন অবস্থায় ছিল। এর ফলে কয়েক মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক কোনও বরাদ্দ আসেনি, নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে গত ৯ মার্চ মহেন্দ্রনাথ রায়কে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৮ জুন পর্যন্ত তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল। গত ৯ জুন মহেন্দ্রনাথ রায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর পুরানো কর্মস্থলে ফিরে যান। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বারবার উপাচার্য পদে শূন্যতা তৈরি হওয়ায় এখানকার পরিকাঠামো, পঠন-পাঠনের সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ কার্যত গতি হারাচ্ছে। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন উপাচার্য মহেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন সহ অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষক ছাত্র-শিক্ষা কর্মীসহ আলিপুরদুয়ারবাসীর সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। যেহেতু এখন দায়িত্বে নেই, তাই এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে বেহাল সাধারণ জনজীবন। গোটা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলে চাষের জমি, বাড়িঘর প্লাবিত। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরের বেশ কিছু  জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

    কোচবিহার

    কোচবিহারের (North Bengal) তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জলে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জ, বালাভূত অঞ্চলর অনেক মানুষের বাড়িঘর অধিক বৃষ্টিপাতে জলামগ্ন হয়ে পড়েছে। মেখলিগঞ্জে ক্ষেতের জমি, সৌরসেচ প্রকল্প, বৈদ্যুতিক ল্যাম্প ঝাউকুঠি নদীর জলে ডুবে গেছে।

    আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের (North Bengal) মেচপাড়া এলাকয় জলমগ্ন হয়ে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বায়ুসেনা একযোগে কাজ শুরু করেছে। বাঙরি নদীর জল ঢুকে ভেসে গেছে অঙ্গনঅওাড়ির এক কেন্দ্র। বৃষ্টির জলের স্তর এবং স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে লালো নাগাসিয়া নামক এক বৃদ্ধার রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    জলপাইগুড়ি

    জলপাইগুড়ির (North Bengal) বানারহাটে সবথেকে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও মালবাজার, হাসিমারায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অপর দিকে তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না নদীর জল বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। অধিকাংশ নদীর জল ঢুকে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

    পাশাপাশি পাহাড় অঞ্চলের ভূটান, সিকিম, দার্জিলিং (North Bengal) সর্বত্র ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে জলের স্তর অনেক বেড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বর্ষণ আগামী আরও ২ দিন হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৩৯ ভোটে জেতার পরও দেওয়া হয়নি উইনিং সার্টিফিকেট। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের এক প্রার্থী। বাধ্য হয়ে উচ্চ আদালত ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের জেলা পরিষদের (Panchayat Election 2023) ওই প্রার্থী অমিতা মাহাত (চক্রবর্তী)। বিজেপির জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর অভিযোগ, প্রশাসনের লোকই ভোট গণনার পর আমাকে জয়ের কথা জানিয়ে দেয়। আমি উইনিং সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। আমাকে সেখানে তৃণমূলের লোকরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আমি যদি উইনিং সার্টিফিকেট নিই, আমাকে মার্ডার করে দেওয়া হবে। এরপরও বিডিও সাহেবের কাছে আমি বার বার বলেছি, আমাকে উইনিং সার্টিফিকেট দিন। কিন্তু আমাকে এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। বিজেপির ওই প্রার্থীর অভিযোগ, সেদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে আমার কাউন্টিং এজেন্টদের অনেককেই বের করে দেওয়া হয়। অথচ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সেখানে অবাধে বিচরণ করে। আমি কয়েকজন মাত্র এজেন্টকে নিয়ে সেখানে ভোট গণনার খোঁজখবর নিয়ে নিতে থাকি। তাতে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আমার লিড ছিল। সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকরাই অনেকে জানিয়ে দেন আপনি জয়ী হয়েছেন। অথচ সার্টিফিকেট দেওয়া হল না।

    একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আরও প্রার্থীরা (Panchayat Election 2023) 

    কুমারগ্রামের ওই ভোট গণনার দিন ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে বিজেপির আরেক প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কল্পনা নাগও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। ২০১৮ সালে কল্পনা নাগ কুমারগ্রাম থেকেই আলিপুরদুয়ারে একমাত্র জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শাসক দলের ভোট লুট থেকে অরাজকতার বিরুদ্ধে লড়েও সেবার জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু এবার যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোট গণনা হল, সেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। আমার কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা বের করে দিয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে একটা ঘরে আটকে দিয়ে তারা হুমকি দিয়ে বলছিল, আপনি এখান থেকে উইনিং সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোলে আপনার যে কী পরিণতি হবে, সেটা ভাবতে পারছেন না। সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কুমারগ্রামের বিজেপির আরেক প্রার্থী মেনকা ভক্তও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ বিজেপির প্রার্থীদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দল মিলেমিশে একাকার হয়ে জনগণের সেই রায়কে খারিজ করে দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী (Panchayat Election 2023) ঘোষণা করেছে। মানুষ যথা সময়ে এর জবাব দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

    বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

    অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

    এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

    বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গড় হল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)। গত লোকসভা ও বিধানসভায় এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসক দল। তাই এবার জেলা পরিষদ দখল করাই গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে শাসক দলের কোন্দলকেই হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। তাই জেলা জুড়ে প্রচারে আসছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কীভাবে সুবিধা পাবে বিজেপি (Alipurduar)?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা ব্লকে বিজেপির দাপট এতটাই যে, সেখানে শাসক শিবিরের তৃণমূল প্রার্থীরা রীতিমতো চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আলিপুরদুয়ার ১, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকেও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে বেশ জোরদার। তবে এখানে বিজেপির কাছে প্লাস পয়েন্ট হল শাসক শিবিরের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল। যার বাড়তি সুবিধা পাবে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এরপর শুভেন্দুর সভা হতে চলেছে। আর তাঁকে ঘিরেই রীতিমতো টগবগ করে ফুটছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Alipurduar) ভূষণ মোদক বলেন, ২ জুলাই শুভেন্দু অধিকারী আলিপুরদুয়ার জেলার তিনটি জায়গায় নির্বাচনী সভা করবেন। এছাড়াও ৪ জুলাই রাজু বিস্তা নির্বাচনী সভায় আলিপুরদুয়ারে আসছেন। তিনি জেলার তিনটি জায়গায় ওইদিন সভা করবেন। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী বীরপাড়ার জুবিলি মাঠ, কালচিনি সুভাষিনী টি গার্ডেন মাঠ, কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে ওইদিন তিনটি জনসভা করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তাঁর এই নির্বাচনী সভাগুলিকে কেন্দ্র করে সেই তাপ-উত্তাপ অনেকটাই আমজনতার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বিজেপি দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল এই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায়। নির্বাচন ঘোষণা হতেই সব আসনে মনোনয়ন জমা করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভের কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। এমনকি যাঁদের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার কথা ছিল, তাঁদের নাম শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতা শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে। এই সুযোগে ভোটে বিজেপি নিজেদের প্রচার অভিযান চালিয়ে জেলায় বাজিমাত করতে চাইছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করছেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়া ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের হিরিক শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় শাসকদলের নিচু তলায় ক্ষোভ বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অনেক জায়গায় অযোগ্য ও বিতর্কিতদের দল প্রার্থী করায় শাসকদলের এই কোন্দল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। পুরনো অনেক তৃণমূল নেতা অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে সেই দলের প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কেউ আবার নির্দল হয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কারা তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়,তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রঞ্জন রায়, বঞ্চুকামারী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জগদীশচন্দ্র রায় সহ অনেকেই দলীয় পথ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তোমার গ্রামের একসময়ের তৃণমূলের বিধানসভার প্রার্থী স্বপন কুজুর নিজে অনুগামীদের নিয়ে দুদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবারে বিরোধীদল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতা?

    দলের নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে আমাকে দল প্রার্থী করবে বলে অনেক আগে থেকেই সেখানে সাংগঠনিক কাজকর্ম ও রাজনৈতিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছিলাম।  কিন্তু, শেষ মুহূর্তে দেখা যায় বাইরে থেকে একজনকে এনে সেখানকার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী করা হয়। দলের নীচু তলার কর্মী সমর্থকরা কেউ এটা মানতে পারছেন না। তাদের কাছে আমাকেও জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছি। সুরেশবাবু দলীয় পদ থেকে সরে যেতেই ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শাসকদলের ভোটারদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। সুরেশবাবু রাজবংশী সমাজের একজন বুদ্ধিজীবী মানুষ। রাজবংশী সমাজে আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। ফলে, সামনের পঞ্চায়েত ভোটে সুরেশবাবুকে দল টিকিট না দেওয়ায় তার ফল শাসক দলকেই  ভোগ করতে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    শাসক দলের এই ভাঙন এবং ক্ষোভ, বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যথেষ্টই চাপে ফেলে দিয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। যদিও তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, দল যাদেরকে প্রার্থী করেছে তাদেরকেই মানুষ সমর্থন করবেন। আমরা দেখে শুনে বিচার বিশ্লেষণ করেই দলের সমস্ত প্রার্থী ঠিক করেছি। ফলে এই সময় যারা দলের বিরোধিতা করছেন তারা কেউ দলকে ভালবাসতে পারেন না। মানুষ তাদেরকে যোগ্য জবাব দেবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের (TMC) দুই  গোষ্ঠীর লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালতলা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের ওই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আলিপুরদুয়ার বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালতলা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের (TMC) কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে শাসক দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দলের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের নেতৃত্বে একদল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা সেখানে চলে আসেন। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে, বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মী সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, “দীর্ঘদিন এলাকা থেকে নির্বাচিত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির বেশ কিছু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিকে এবারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন প্রার্থী করা হয়েছে, যাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা না করলেও প্রার্থী নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে দল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। দলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি বিদায়ী জনপ্রতিনিধিকে এবারে দল টিকিট দেবে না। পারফরম্যান্স বিচার করেই প্রার্থী চয়ন করা হয়েছে। ফলের শাসকদলের টিকিট না পেয়ে এবারে অনেকেই দলের বিরুদ্ধেই যেমন লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি শাসক শিবিরও কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে শুধু প্রচার নয়, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, “দল যাদেরকে প্রার্থী করবে,তাদের হয়েই সকলে লড়বেন। কেউ দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়তে পারেন। এ নিয়ে শাসক দল বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই মানুষ ভোট দেবেন, এবং আমরা দলের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করব।” আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বড় কাঁটা শাসক দলই। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে পারেন বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share