Tag: America

America

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: চোখের সমস্যায় নাজেহাল শাহরুখ, হতে পারে অস্ত্রোপচার! যাবেন আমেরিকা

    Shah Rukh Khan: চোখের সমস্যায় নাজেহাল শাহরুখ, হতে পারে অস্ত্রোপচার! যাবেন আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল চলাকালীন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সেই সময় সামান্য সময়ের জন্য হাসপাতালে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার তাঁকে চোখের সমস্যার (Eye Problem) জন্য বিদেশে পাড়ি দিতে হতে পারে। চলছে সেই প্রস্তুতি। বর্তমানে চোখের সমস্যায় নাজেহাল অবস্থা তাঁর।

    সূত্রের খবর

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কিংখানের অস্ত্রোপচার হতে পারে। সেই জন্য তিনি বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সোমবার মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে চোখের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে খুব একটা লাভ হয়নি। তবে চোখের সমস্যা নিরাময় করার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে হবে।

    আইপিএল জয়ের পর উল্লাস করেননি (Shah Rukh Khan)

    গত মে মাসে আমেদাবাদে আইপিএলের ম্যাচ দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এই বলিউড বাদশা (Shah Rukh Khan)। এই ম্যাচে একদিকে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং অপর পক্ষে ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মাদের কার্যত দুরমুশ করে ফাইনালে চলে গিয়েছিল নাইটরা। তবে ম্যাচ জয়ের পর খুব একটুও উল্লাস করতে দেখা যায়নি শাহরুককে। পরেই জানা গিয়েছিল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যদিও এরপর মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে তিনি স্বপরিবারে গিয়েছিলেন। এমনকি ফারহা খানের মায়ের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে তাঁর পরনে চোখে (Eye Problem) ছিল কালো চশমা।

    আরও পড়ুনঃ রাহুল-ফেডারেশন জটে মঙ্গলবারেও স্তব্ধ টলিপাড়া! কাঠগড়ায় তৃণমূল মন্ত্রীর ভাই

    আসছে ‘কিং’ সিনেমা

    চোখের মধ্যে ঠিক কী সমস্যা হয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ সিনেমার মতো সুপার হিট মুভি দিয়েছেন তিনি। তবে খুব শীঘ্রই ‘কিং’ নামক একটি অ্যাকশন সিনেমা করছেন। ছবির পরিচালক সুজয় ঘোষ। মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan) এবং তাঁর বিপরীতে থাকবেন অভিষেক বচ্চন। শুটিং হয়েছে লন্ডনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী বলবেন একে? বিলম্বিত বোধোদয়? হয়তো তাই। তবে দেরিতে হলেও, শেষমেশ মার্কিনরা বুঝতে পেরেছেন সনাতনীদের ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) সঙ্গে কী পার্থক্য রয়েছে নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র। আমেরিকার (US) অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন দুই প্রতীকের পার্থক্য খুঁজে বের করেছে। যার জেরে স্বস্তিতে জো বাইডেনের দেশের হিন্দুরা।

    ‘স্বস্তিক’ শব্দের অর্থ (Swastika)

    সনাতন ধর্মের সঙ্গে ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের যোগ দেহের সঙ্গে আত্মার মতো। ‘স্বস্তিক’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘স্বস্তিক’ থেকে। যার অর্থ ‘মঙ্গলের জন্য সহায়ক’। ‘স্বস্তিক’ শব্দটিকে ভাঙলে দুটি শব্দ পাই। একটি ‘সু’, অন্যটি ‘অস্তি’। ‘সু’ মানে ‘ভালো’। ‘অস্তি’ শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘অস্তিত্ব’। তাই ‘স্বস্তিক’ শব্দটির মধ্যে সব ধর্মের মানুষেরই মঙ্গল বা কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কেবল হিন্দু নয়, বৌদ্ধ এবং জৈন-সহ বিভিন্ন ধর্মে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই চিহ্নটি। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নেটিভ আমেরিকান ধর্ম এবং সংস্কৃতিতেও ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।

    ‘স্বস্তিকে’র স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া

    এহেন একটি মঙ্গলের প্রতীককে জার্মানির নাৎসিদের প্রতীক ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন আমেরিকার নাগরিকরা। সেই কারণে আমেরিকায়ও অনেক ক্ষেত্রেই আড় চোখে দেখা হয় হিন্দুদের। তবে এবার বোধহয় ফুরোতে চলেছে সেই জমানা। সৌজন্যে, আমেরিকার অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন। অফিসিয়ালি তারা স্বীকার করেছে, হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ এবং নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। মার্কিন মুলুকে গড়ে উঠেছে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন। অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের এই স্বীকৃতিতে যারপরনাই খুশি তারা। তাদের বক্তব্য, এবার অন্তত মার্কিনরা পবিত্র একটি হিন্দু প্রতীককে (Swastika) মর্যাদা দেবে। গুলিয়ে ফেলবে না নাৎসিদের প্রতীকের সঙ্গে। এই সংগঠনের তরফেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে একটি পোস্ট। তাতে তারা আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি অরিগনে তাদের যারা সমর্থক রয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে। ঐতিহাসিক এই জয় (স্বস্তিকের স্বীকৃতি) পেতে যে লড়াই তাঁরা করেছেন, সেজন্যও অভিনন্দন জানানো হয়েছে অরিগনে থাকা হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সদস্যদের।

    স্বস্তিক ও ক্রসড হুডের ফারাক

    স্বস্তিক এবং ‘হ্যাকেনক্রেউজ’ – এই দুই প্রতীকের ক্ষেত্রে যে টার্ম ব্যবহার করা হয়, তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন মুলুকের এই শিক্ষা দফতর। তারা সাফ জানিয়েছে, স্বস্তিকের সঙ্গে নাৎসিদের প্রতীকের পার্থক্য রয়েছে। ‘স্বস্তিক’ নাৎসিদের ব্যবহৃত ‘হুকড ক্রস’ (‘হ্যাকেনক্রেউজ’) নয়। ‘স্বস্তিকে’র মধ্যে নিহিত রয়েছে পবিত্রতা ও মঙ্গলের ধারণার বীজ। যা নেই ‘হুকড ক্রসে’।হিন্দুদের প্রতীক বনাম নাৎসিদের প্রতীকের এই যে পৃথকীকরণ, তার গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। এতে কেবল ‘স্বস্তিকে’র পবিত্রতাই বজায় রইল না, দুই প্রতীকের পার্থক্য সম্পর্কেও সচেতন হবে আগামী প্রজন্ম। দুই প্রতীকের প্রকৃত অর্থ কী, তাও বুঝতে পারবেন মানুষ। মার্কিনদের একটা বড় অংশই ‘স্বস্তিক’কে ‘হুকড ক্রসে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে ঘৃণা এবং অসহিষ্ণুতার প্রতীক বলে মনে করত। এবার তাঁদের সেই ধারণাও ভেঙে যাবে। সম্মান করতে শিখবেন ‘স্বস্তিক’কে, ভারতীয় সংস্কৃতিকে। যে সংস্কৃতি কেবল হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান নয়, সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ কামনা করে। যে সংস্কৃতির মূল সুরই হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    ‘স্বস্তিকে’র ‘বয়স’

    ‘স্বস্তিকে’র এই স্বীকৃতিতে আরও একটি উপকার হল বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সনাতনীদের। দুই চিহ্নের মিল দেখে অনেকেই তাঁদের উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী বলে মনে করত। এবার তাদেরও সেই ধারণা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ‘স্বস্তিক’ (Swastika) কেবল মঙ্গলের প্রতীক নয়, সৌভাগ্যেরও প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ প্রতীকের জন্ম আজকে নয়। ৬ হাজার বছর আগেও পাহাড় এবং গুহাচিত্রে এই প্রতীকের দেখা পাওয়া যায়। এবং এই প্রতীকের শেকড় যে ভারতেই প্রোথিত, তাও প্রমাণিত হয় পুরাণাদি বিভিন্ন গ্রন্থের কল্যাণে। হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদেও উল্লেখ রয়েছে ‘স্বস্তিকে’র।

    বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিক’

    ‘স্বস্তিক’ কেবল যে মঙ্গল-কল্যাণ কিংবা সুখের প্রতীক তা নয়, সূর্য এবং ব্রহ্মকে বোঝাতেও এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়। ‘স্বস্তিক’ শক্তির প্রতীক, আবার সৌভাগ্যের দেবতা গণেশেরও প্রতীক এই পবিত্র চিহ্ন। হিন্দু এবং জৈনরা হিসেবের নতুন খাতায়, বইয়ের প্রথম পাতায়, দরজা এবং ঠাকুরঘরে স্বস্তিক প্রতীক রাখেন। এতে কতটা মঙ্গল তাঁদের হয়, তা বলতে পারবেন (US) তাঁরাই। তবে এই প্রতীক যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) অর্থই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরে দেড় কোটি টাকার বেতনের চাকরি পেয়েও আমেরিকায় (Job in America) গেলেন না বাংলার এই যুবক। বললেন, ‘বাবা-মা একলা হয়ে যাবেন’। কিন্তু সাধারণত কেরিয়ার নিয়ে সকলেই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। মোটা টাকার বেতনের চাকরি তাও আবার বিদেশের মাটিতে, তাকে অস্বীকার করে ব্যাতিক্রমি দৃষ্টান্ত রেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটির ছাত্র আয়ুষ শর্মা। তাঁর এই এই সিদ্ধান্তে চোখে জল এনে দিয়েছে পরিবারের। বাবা-মায়ের জন্য মোটা প্যাকেজ এবং বিদেশ দুটোকেই ত্যাগ করেছেন তিনি।

    দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে কাজ করবনে না (Job in America)

    আয়ুষ শর্মা আমেরিকায় (Job in America) মোটা বেতনের চাকরির ডাক পেয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় সেই দেশের টাকা বছরে প্রায় দেড় কোটির সমান। কিন্তু বাবা-মাকে এই দেশে রেখে এই লোভনীয় চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হননি তিনি। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন ভীতু, বাইরে থাকার অভ্যাস নেই, ঘরের কোণে থাকতে পছন্দ করেন। রাজ্য-দেশের গণ্ডির বাইরে বের হতে পারলেন না! কিন্তু বিষয়টা তা নয়, আয়ুষ মূলত দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কোনও রকম কাজ করতে চান না। দেশে থেকে বাবা-মাকে পাশে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চান।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া দেশে ফিরলেন বিএসএফের উদ্যোগে

    দেশে কিছু করতে চাই

    আয়ুষের বাড়ি কলকাতার বাগুইআটিতে। তিনি ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করতেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মা গৃহবধূ এবং বাবা বীমা সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবার অত্যন্ত মধ্যবিত্ত। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছিল প্রথমে যে আইটি কোম্পানির কাজ, ওয়ার্ক ফ্রম হোম হবে কিন্তু পরে জানা গিয়েছে আমেরিকার (Job in America) অফিসে গিয়েই করতে হবে কাজ, তাই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কেন চাকরিতে যোগদান করেননি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন, “প্রথম কারণ হল বাবা-মা। তাঁদের বাড়িতে রেখে বিদেশে যাওয়া সম্ভবপর নয়। আমি চলে গেলে তাঁরা একলা হয়ে পড়বেন। বর্তমানে দেশে কিছু করতে চাই। এখন ওয়ার্নার্স ব্রাদার্সের চাকরিটা করবো। এখানে বাৎসরিক প্যাকেজ ২৪ লাখ। এই চাকরি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে করতে হবে। তবে দেশের মধ্যেই থাকব এটা ভালো। বাবা-মা সমস্যায় পড়লে দ্রুত ফিরতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: নিউ ইয়র্কে হালকা মেজাজে রোহিতরা! গেলেন না বিরাট, কবে যাবেন কিং কোহলি?

    T20 World Cup 2024: নিউ ইয়র্কে হালকা মেজাজে রোহিতরা! গেলেন না বিরাট, কবে যাবেন কিং কোহলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের (IPL) পালা শেষ। এবার টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024)। এবারের আইপিএলের ফাইনালে খেলেননি বিশ্বকাপ টিমে থাকা কোনও ক্রিকেটার। নাইটদের সংসারে রিঙ্কু থাকলেও তিনি এবার রয়েছেন রিজার্ভে। বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে (Team India) থাকা প্রথম ব্যাচের ক্রিকেটাররা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছেন। রোহিত-দ্রাবিড়দের সঙ্গে অবশ্য বিরাট কোহলি (Virat Kohli) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেননি। তিনি যাবেন দেরিতে। ৩০ মে আমেরিকায় যাওয়ার কথা সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, যুজবেন্দ্র চহালের ও রিজার্ভে থাকা কেকেআরের রিঙ্কু সিংয়ের। তাঁরা ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন।

    কেন গেলেন না কোহলি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলবেন না। তাঁর ৩০ মে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা। আসলে তিনি বোর্ডের কাছে কয়েকদিনের ছুটি চেয়ে নিয়েছেন। বিরাট কোহলি পরিবারকে হয়তো কিছুটা সময় দিতে চান। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি আগে থেকেই আমাদের জানিয়েছিল যে ও দেরি করে দলের সঙ্গে যোগ দেবে। তাই বোর্ডের তরফে ওর ভিসার দিন দেরি করে রাখা হয়েছে। ৩০ মে সকালের দিকে ওর রওনা হওয়ার কথা। বোর্ড বিরাটের সেই অনুরোধে রাজিও হয়েছে।’

    নিউ ইয়র্কের পথে

    রোহিত শর্মা-সহ দলের বেশির ভাগ সদস্য নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন। দলের সঙ্গে গিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়-সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফেরাও। দলের সঙ্গে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ, সূর্যকুমার যাদব, কুলদীপ যাদব, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা, শিবম দুবে, মহম্মদ সিরাজ, অক্ষর পটেল, আরশদীপ সিং, রিজার্ভে থাকা শুভমন গিল ও খলিল আহমেদ। তবে বিরাটের যেতে দেরি হচ্ছে। ৩০ মে আমেরিকার বিমানে ওঠার কথা তাঁর। হার্দিক রয়েছেন লন্ডনে। সেখান থেকে সরাসরি আমেরিকায় যাবেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়াল, যুজবন্দ্র চাহাল ও আবেশ খান। তাঁদের বিমানবন্দরে হালকা মেজাজে দেখা যায়।

    ট্রফিই একমাত্র লক্ষ্য

    ২০১৩ সালের পর ভারতীয় শিবিরে আর কোনও আইসিসি ট্রফি আসেনি। এবার ট্রফির খরা কাটাতে মরিয়া রোহিত-কোহলিরা। এটাই সম্ভবত দুজনের শেষ বিশ্বকাপ। রোহিত ৩৭ ও কোহলি ৩৫ বেশিদিন বাইশগজে বিচরণ করতে পারবেন না। তাই এবার যে কোনও মূল্যে কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব ঘোচাতে চান তাঁরা। গত একদিনের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কিন্তু শেষ ধাপ পেরনো যায়নি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় রোহিত-ব্রিগেড। ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T-20 World Cup 2024)। এবার বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা। ৫ জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমেরিকার মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। ৯ জুন মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। তার আগে ১ জুন ভারত তাদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Eric Garcetti: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    Eric Garcetti: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ৩৮০ কোটি মার্কিন ডালার বিনিয়োগ করবে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন (আইডিএফসি)। জানালেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি (Eric Garcetti)। ভারতে পরিকাঠামো এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির প্রয়োজন মেটাতে ওই বিনিয়োগ করা হবে। মুম্বইয়ের ইন্দো-মার্কিন স্পেশ কর্পোরেশনের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন গারসেট্টি।

    কী বললেন গারসেট্টি? (Eric Garcetti)

    তিনি বলেন, “পরিকাঠামোগত প্রয়োজন এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির পাশাপাশি আমেরিকা ভারতকে কৃষি, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সার্ভিস ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।” মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্টের ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব নিয়েও উৎসাহ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্টের বিষয়টি শেয়ার করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এটা (মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট) দুই বিশাল দেশের মধ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে গড়ে তুলেছে। ভারতে মহিলাদের আগাম নিরাপত্তা দিতেই এই ব্যবস্থা।” তিনি (Eric Garcetti) আরও বলেন, “দুই দেশ (ভারত ও আমেরিকা) কেবল যে উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে, তা নয়, প্রযুক্তির দিক থেকেও এগোচ্ছে।”

    একযোগে কাজের অঙ্গীকার!

    গারসেট্টি বলেন, “প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। আমাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তির অর্থই হল আমাদের নিজেদের দেশগুলোর ভালো হবে। এবং ভারত ও মার্কিন জোট তামাম বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, আমেরিকা ও ভারত কী না করতে পারে!” ভারত এবং আমেরিকা যে খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশের ক্ষেত্রেও একযোগে কাজ করছে, সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “জেট ইঞ্জিন এবং আন-আর্মড ভেহিক্যালস এবং পৃথিবীতে এই জাতীয় গ্রাউন্ড ব্রেকিং ওয়ার্ক এটা জানিয়ে দেয় যে অদূর ভবিষ্যতে আমরা এক সঙ্গে মহাকাশেও যেতে পারি।”

    আর পড়ুন: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ বছর মহাকাশে দুই দেশই গিয়েছিল, দুই দেশই আমাদের কোম্পানিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে, আমাদের দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির, আমাদের বিনিয়োগকারীদের এবং আমাদের স্টার্টআপের ক্ষেত্রেও সম্পর্ক গড়ে উঠছে। নতুন কিছু পেতেই একযোগে কাজ করছি আমরা। মহাকাশই যে দুই দেশের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ জায়গা, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছি আমরা (Eric Garcetti)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি (Sunita Williams third space mission) দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মত সিট বেল্ট বেঁধে ‘স্পেস ট্যাক্সি’র মধ্যে বসে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কিন্তু কিন্তু মহাকাশে ওড়ার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সুনীতার যাত্রা। সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এই অভিযান। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Sunita Williams)

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবী ছেড়ে ওড়ার কথা ছিল সুনীতা এবং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী ব্যারি উইলমোরের। অত্যাধুনিক সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু উড়ানের লিফ্ট-অফের ঠিক ৯০ মিনিট আগে আগে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়, তার জেরেই অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। 

    ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান স্থগিদ 

    এরপর শুরু হয় মেরামতির কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যানের মেরামতি সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় নাসা। তার পরই স্পেস ট্যাক্সি থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতারা (Sunita Williams)। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ভাল্‌‌ভ খারাপ হয়ে গেছে। সেই সমস্যা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযান বাতিল করতে হল। মঙ্গলবার রাতে ফের অভিযান শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নয়া দিন ক্ষণের ঘোষণা হয়নি এখনও।   

    আরও পড়ুন:গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক দিক থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স-কে পাল্লা দিতে নয়া এই স্পেস ক্যাপসুলটিতে করে সুনীতা (Sunita Williams) এবং ব্যারিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল নাসার। দুবছর আগে বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলটির পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন হয়। সেবার যদিও মানুষ পাঠানো হয়নি। তবে এবার তাতে মহাকাশচারীদের চাপিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। আর এরই মধ্যে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) একটি জঙ্গি সংগঠন। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ১ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ২০ ওভারের (T20 World Cup 2024) বিশ্ব যুদ্ধ। আর এই বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালীন হতে পারে জঙ্গি হামলা। 

    জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি (T20 World Cup 2024) 

    ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,উত্তর পাকিস্তানের প্রো-ইসলামিক স্টেট (IS) এবার লক্ষ্য করছে খেলাধুলোর অনুষ্ঠানগুলিকে। আইএস-র পাকিস্তান-আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান থেকে ভিডিওর মাধ্যমে নাশকতার বার্তা ছড়াচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের জঙ্গিকাণ্ডের খবর তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সমর্থকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্টেডিয়ামগুলি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্তা

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেই কাজ তারা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভস বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। যে কয়েকটি মাঠে বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) হবে সেই স্টেডিয়ামগুলি সহ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। আমি সব দেশকে জানিয়ে দিতে চাই, যে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

     
    উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ২০টি দেশ খেলবে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ম্যাচগুলি হবে অ্যান্টিগা ও বারবুডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসে শহরেও হবে টি-টোয়েন্টির মহাযুদ্ধ। ৫ জুন নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। আর ৯ জুন নিউ ইয়র্কে রয়েছে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) হাই টেনশনের ম্যাচ। তবে এই ম্যাচের দর্শকদের উন্মাদনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও নজরে থাকবে আয়োজকদের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত জেনোফোবিক (যারা বিদেশিদের ভয় পায়)। কারণ তারা অভিবাসীদের স্বাগত জানায় না।” দিন কয়েক আগে একথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্যই খোলা রয়েছে ভারতের দ্বার।”

    জয়শঙ্করের জবাব (S Jaishankar)

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট এও বলেছিলেন, “ভারতের অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে। খুব ভালো করছে না। যদিও মার্কিন অর্থনীতির নিত্য শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে।” এরও উত্তর দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “প্রথমত, আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে না। ভারত সব সময়ই একটি অনন্য দেশ। তার আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। বিশ্বের ইতিহাসে ভারতই এমন একটি দেশ, যা সর্বদা অভিবাসীদের সাহায্য করেছে। বিভিন্ন সমাজের মানুষ ভারতে আসেন।” ভারত যে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দেশ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এই দশকের শেষের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে এই তালিকার তিন নম্বরে।”

    কী বলেছিলেন বাইডেন?

    ২ মে এক নির্বাচনী জনসভায় আমেরিকার অর্থনৈতিক বিকাশ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাইডেন বলেছিলেন, “আমাদের অর্থনীতির বিকাশের অন্যতম কারণ হলেন আপনারা এবং আরও অনেকে। কেন? কারণ আমরা বিদেশিদের স্বাগত জানাই। আমরা এটা নিয়ে ভাবি। কিন্ত চিনের অর্থনীতি কেন এভাবে থমকে গেল? কেন জাপান সমস্যার মুখে পড়ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা বিদেশিদের চায় না।”

    আরও পড়ুুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সপাটে এরই উত্তর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “তামাম বিশ্বে ভারতীয় সমাজ এমন একটি সমাজ, যেটা ভীষণ মুক্তমনা। ভিন্ন ভিন্ন সমাজ থেকে মানুষ ভারতে আসেন।” সিএএ-র প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।” বিদেশিদের এ দেশে স্বাগত জানাতেই যে এহেন বড় পদক্ষেপ, তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day)। এই দিন মে দিবস নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পিছনে তা জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

    সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের দিন এই শ্রমিক দিবস। কাজ তো করতেই হবে। কিন্তু সারাদিন ধরে কাজ করা তো সম্ভব নয়। তাই কাজ যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাওয়া। এই সহজ কথাটাই নতুন করে মনে করার দিন ১ মে। আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস (Labour Day)। আর এরই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।

    আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

    ১৯ শতকের শ্রমিক আন্দোলন থেকে শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি। শ্রমিকরা আরও ভাল কাজের পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত কাজের সময় এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৮৮২ সালে সেন্ট্রাল লেবার ইউনিয়নের (Central Labour union) আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম শ্রমিক দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৮৮৬ সাল থেকে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে।

    ১৮৮৬ সালে আমেরিকার (America) শিকাগো শহরের হে মার্কেটে আন্দোলনের বলিদান হওয়া শ্রমিকদের আত্মত্যাগকে মনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। সেদিন দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা (workers) হে মার্কেটে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি কেউ একজন বোমা ছোঁড়ে। তার পরে পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন।

    এই দিনটির তাৎপর্য

    বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি দেশে শ্রমিক দিবস পালিত হয়, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অনন্য উপায়ে দিবসটি পালন করে।  অনেক দেশে, শ্রমিক দিবস একটি জাতীয় সরকারী ছুটির দিন (National Holiday) হিসাবে পালন করা হয়, যার ফলে শ্রমিকরা তাদের কাজের থেকে প্রাপ্য বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।

    আরও পড়ুন:কোভিশিল্ড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! করোনাকালে টিকা নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের কতটা বিপদ?

    সচেতনতা বৃদ্ধি

     শ্রমিক দিবসের দিন অনেক জায়গাতেই প্যারেড বা সমাবেশ হয়, যেখানে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলি তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হতে এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আসলে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও উন্নত কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share