Tag: America

America

  • S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তাৎপর্যপূর্ণ ফল মিলবে বলে শনিবার জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটাই প্রথমবার যে ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেবেন দুবার।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ডাকে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে। ওই দিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’

    জয়শঙ্কর বলেন, “রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সর্বোচ্চ সম্মান। সুতরাং, যে সম্মান তিনি পাবেন, এ পর্যন্ত খুব কম রাষ্ট্রপ্রধানই তা পেয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। অনুষ্ঠান হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির বাদাপুর এলাকায়। সেখানেই মোদির আসন্ন মার্কিন সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে দুবার ভাষণ দেননি। তাই এটাই হবে প্রথম। তামাম বিশ্বের অল্প কিছু রাষ্ট্রপ্রধান এই সুযোগ পেয়েছেন…উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা।”

    মোদির সফরসূচি

    জানা গিয়েছে, ২০ জুন আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে নেতৃত্ব দেবেন নবম ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে-র অনুষ্ঠানের। পরে তিনি যাবেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখানে ২২ তারিখ তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকায়ই থাকবেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে গ্রিন কার্ড বিলির নিয়ম শিথিল করল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের গ্রিন কার্ড হোল্ডার হতে হয়। এতদিন এই নিয়ম যথেষ্ট কঠোর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই শিথিল করা হল তা। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে থাকতে গেলেও গ্রিনকার্ডের প্রয়োজন হয়। ভারতের বহু নাগরিক হন্যে হচ্ছেন গ্রিনকার্ডের জন্য। নিয়ম শিথিল হওয়ায় এবার আর দীর্ঘদিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে না গ্রিনকার্ডের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ২১ গান স্যালুটের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত আমেরিকায়! ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের

    Narendra Modi: ২১ গান স্যালুটের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত আমেরিকায়! ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার (US) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ দৃঢ় হয়েছে ভারতের (India)। এর অন্যতম কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মোদির প্রতি আস্থা রেখে তাঁকে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ বৈঠকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই স্টেট ডিনার ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে মোদিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন বাইডেন দম্পতি।

    নেপালেও মোদিকে গান স্যালুট

    এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৪ সালে নেপাল সফরে এভাবেই মোদিকে (Narendra Modi) স্বাগত জানানো হয়েছিল। সেবার মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। ত্রিভূবন বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। নেপাল সেনা বাহিনীর তরফে দেওয়া হয়েছিল ১৯ বার গান স্যালুট। জানা গিয়েছে, এই সফরে আমেরিকায় মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে। জুনের ২১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলেও মোদি-ম্যাজিক দেখেছে আমেরিকা। এবার বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময়েও নমোর ক্যারিশমা দেখতে চলেছে বিশ্ব। দুই দেশের সম্পর্ক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

    আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী! মার্কিন কংগ্রেসে দুবার ভাষণ দিয়ে ইতিহাস গড়বেন মোদি

    চিনকে রুখতে ভারতই ভরসা

    প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই ভারত ও মোদি (Narendra Modi) স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তাদের মুখে। যার মধ্যে অন্যতম হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী পদে থাকা কার্ট ক্যাম্পবেল। এবার মোদি প্রশস্তি শোনা গেল মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কারবির মুখেও। সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জন কারবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে উৎসুক আমেরিকা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোয়াড জোটে ভারত ও আমেরিকার (US-India Relation) সম্পর্ক খুবই ভাল।” কূটনীতিকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে রুখতে ভারতই এখন আমেরিকার ভরসা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • George Soros: ভারতের গণতন্ত্রকে ভাঙাই কি আসল লক্ষ্য জর্জ সোরোসের! কে তিনি?

    George Soros: ভারতের গণতন্ত্রকে ভাঙাই কি আসল লক্ষ্য জর্জ সোরোসের! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে ভারত (India) জোড় যাত্রা শুরু করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কট্টর সমালোচকদের অনেকেই। এঁদের মধ্যে ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বংশোদ্ভূত খ্যাতনামা ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরোসের (George Soros) ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সলিল শেট্টিও। সেকথা ট্যুইট-বার্তায় ঘটা করে তুলেও ধরেছিল কংগ্রেস। ওপেন সোস্যাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে শেট্টি ছিলেন অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক। এই অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য বিখ্যাত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেট্টির ভারত জোড় যাত্রায় যোগ দেওয়াই প্রথম নয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।   

    জর্জ সোরোসের (George Soros) দাবি…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক সোরোস (George Soros)। আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ককে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন তিনি। মোদিকে আদানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সোরোস বলেছিলেন, আদানির স্টক তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় ভারতে গণতন্ত্রের পুনরুত্থান ঘটবে। ১৯৩০ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মেছিলেন সোরোস। শিকার হয়েছিলেন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর অত্যাচারের। জাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে নাৎসিদের খপ্পর থেকে পালান সোরোস ও তাঁর পরিবার। পাড়ি দেন লন্ডনে। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে চলে যান আমেরিকায়। সেখানেই থেকে যান পাকাপাকিভাবে।

    সোরোস আমেরিকা ও বিশ্বের অনেক দেশের উদার ও প্রগতিশীল নেতাদের তহবিল জমা দেন। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রক্ষণশীল সরকারগুলির সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি (George Soros)। বহিরাগত হয়ে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ধনকুবেরের বিরুদ্ধে কারেন্সি ম্যানিপুলেশনের অভিযোগও রয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কট্টর সমালোচক সোরোস।

    আরও পড়ুুন: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য নিজের সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। সোরোসের বিরুদ্ধে অনৈতিক ব্যবসা থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ সংগ্রহের অভিযোগও রয়েছে। এজন্য ২০০২ সালে ফরাসি আদালত তাঁকে ২৩ লক্ষ মার্কিন ডলার জরিমানাও করেছিল। ১৯৯৪ সালে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর মাকে আত্মহত্যা করতে সাহায্য করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, “যিনি ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডকে ধ্বংস করেছেন এবং যাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তিনি এখন ভারতীয় গণতন্ত্রকে ভাঙতে চান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Imran Khan: ইমরানকে গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান, সেনা শিবিরে আগুন

    Imran Khan: ইমরানকে গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান, সেনা শিবিরে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবারও চলছে ভাঙচুর, সরকারি দফতর ঘেরাও অভিযান। ইমরান সমর্থকদের রোষানলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দফতরও। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরের ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলের কর্মী-সমর্থকরা। কেবল রাওয়ালপিন্ডিই নয়, পেশোয়ারের সেনা শিবির এবং লাহোর, করাচির সেনা নিবাসেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

    ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারির প্রতিবাদ…

    মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো। তার পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন খানিকটা স্তিমিত হলেও, বুধবার সকালে ফের শুরু হয়। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ ইসলামাবাদে জড়ো হন পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা। ইসলামাবাদে এদিনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ইমরানকে (Imran Khan) মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিটিআই।

    মঙ্গলবার বিকেলেই কোয়েট্টা, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে ব্যাপক আন্দোলন হয়। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের। কোয়েটায় সেনা ও পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি নয়”, নাম না করে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    পঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদেও সেনা ও ইমরানের সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই যুবকের। কোয়োটায় সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচজন। ফয়সলাবাদ, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ড এবং লাহোরেও সংঘর্ষে প্রায় ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা হেড কোয়ার্টারের ভিতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন ইমরানের (Imran Khan) দলের সমর্থকরা। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভের পাশাপাশি পেশোয়ারে রেডিও স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েছে পুলিশ। অশান্তি ঠেকাতে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। তার পরেও অবশ্য থামানো যায়নি অশান্তি।

    নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও…

    দেশ ছাড়িয়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে বিদেশেও। লন্ডনে পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছেন ইমরানের সমর্থকরা। কানাডা, আমেরিকায়ও ইমরানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমেরিকায় সিএনএনের সদর দফতরের সামনে পাক সরকারের গুন্ডামির প্রতিবাদ জানানো হয়। কানাডায়ও বিরাট জমায়েত থেকে ইমরানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে।  

    এদিকে, বুধবার ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তোলা হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। তার বদলে তাঁকে রাখা হয়েছে হেফাজতে। সেখানেই শুনানি হওয়ার কথা। ইমরানকে আপাতত ৪-৫ দিন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর হেফাজতে রাখা হবে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমরা চাই, পাকিস্তানে যে ঘটনাই ঘটুক, তা যেন আইন মেনে ঘটে। সেখানে যেন সংবিধান মেনে সবটা করা হয়। পাশাপাশি, আমরা চাই, সেখানে যেন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বজায় থাকে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India: ফের বিশ্ব জুড়ে মন্দার অশনি সংকেত! ভারতেও কি প্রভাব পড়বে?

    India: ফের বিশ্ব জুড়ে মন্দার অশনি সংকেত! ভারতেও কি প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শোনা যাচ্ছে মন্দার (Recession) পদধ্বনি! সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিকস। সেখানেই মিলেছে মন্দার অশনি সংকেত। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে একবার ধাক্কা দিয়েছে মন্দা। বহু কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই করে মন্দার মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন বহু কোম্পানির মালিক। এমতাবস্থায় ফের ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা শোনাল ওই রিপোর্ট। ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিকসের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মন্দার সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ব্রিটেনে (Britain)। এখানে মন্দা হতে পারে ৭৫ শতাংশ।

    ভারতের (India) আশঙ্কা কত?

    ভারতীয় (India) বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দেশের পরেই জায়গা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। এখানে মন্দার প্রভাব হতে পারে ৭০ শতাংশ। তিন নম্বরে রয়েছে জো বাইডেনের আমেরিকা। এখানে মন্দার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ। ইউরোপের আর এক দেশ ফ্রান্সেও মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তা ব্রিটেনের মতো নয়। এখানে মন্দার প্রভাব পড়তে পারে ৫০ শতাংশ। ৬০ শতাংশ মন্দার প্রভাব পড়তে পারে কানাডা, ইতালি এবং জার্মানিতে। মন্দার অশনি সংকেত দেখা দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও। এখানে মন্দার প্রভাব ৪৫ শতাংশ।

    ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিকসের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় মন্দার আশঙ্কা রয়েছে ৪০ শতাংশ। রাশিয়ায় ৩৭.৫ শতাংশ। রাশিয়ার নীচে রয়েছে এশিয়ার দেশ জাপান। উদীয়মান সূর্যের এই দেশে মন্দার আশঙ্কা ৩৫ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ায় মন্দার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। মেক্সিকোয় এই আশঙ্কা ২৭.৫ শতাংশ। স্পেনে মন্দার আশঙ্কা ২৫ শতাংশ। মন্দার কবলে পড়তে পারে সুইজারল্যান্ডও। এখানে মন্দার আশঙ্কা ২০ শতাংশ। ব্রাজিলে এই সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ। এশিয়ার আর একটি দেশ চিনে মন্দার প্রভাব পড়তে পারে ১২.৫ শতাংশ।

    তবে এই তালিকায় নেই নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)। ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিকসের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে মন্দার আশঙ্কা শূন্য। দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় মন্দার প্রভাব পড়তে পারে ২ শতাংশ। সৌদি আরবে এটাই হতে পারে ৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, চলতি বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের প্রধান অঞ্চলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি গতিশীল হবে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে চিন ও ভারত (India)। আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের এই দুটি বৃহত্তম ও উদীয়মান অর্থনীতি চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক অবদান রাখবে। বাকি অর্ধেকের এক পঞ্চমাংশ হবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে প্রথমবার ভারত (India) সফরে আসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বাইডেনের এই সফর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদী দুই দেশই। চলতি বছর জি-২০ (G-20) সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করায় ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেনের দেশ।

    আসছেন জো বাইডেন (Joe Biden)…

    সেপ্টেম্বরেই হতে চলেছে জি-২০ লিডার্স সামিট। সেই সামিটেই যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন বাইডেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এ খবর জানান। লুয়ের মতে, চলতি বছর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। তারই প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডার্স সামিটে হতে চলেছে। সেই মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।

    লু বলেন, আমি জানি, আমাদের প্রেসিডেন্ট (Joe Biden) সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। জি-২০ লিডার্স সামিটে অংশ নিতে গিয়ে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর হতে চলেছে। তিনি বলেন, আগামিদিনে যা যা হবে, তার কথা ভেবে আমরা এখনই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    ইতিমধ্যেই ভারত ঘুরে গিয়েছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট টোনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইল্লেন এবং কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমোন্ডোরা। দিল্লির ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামেও উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। তার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক হয়েছে দৃঢ়। এমতাবস্থায় ভারতে আসতে চলেছেন বাইডেন।

    লু বলেন, মার্চে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোয়াড সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে হয়েছিল ওই বৈঠক। কোয়াড বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এটাই ছিল প্রথম পাবলিক ডিসকাশন। ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাশিফিক অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমর্থনে একজোট হয়েছিলেন চার দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। তিনি বলেন, গত মাসে জি-২০ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। চলতি বছর জি-২০র আরও যেসব সম্মেলন হবে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এর মধ্যেই রয়েছে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি লিডার্স সামিট (Joe Biden)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন আমেরিকার (America) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর আগে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা সাতেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রিপাবলিকান পার্টির এই নেতার আইনজীবী ক্রিস্টোফার কিস বলেন, আমার মক্কেলের কাছে তাঁর অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্যের কাহিনি জানতে চাওয়া হয়েছিল।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)…

    কেবল ট্রাম্প নন, তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং কন্যা ইভাঙ্কাও এই মামলায় অভিযুক্ত। গত বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি দেখেছেন, একাধিকবার ট্রাম্পের সংস্থা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়েছে। আবার সেই সম্পত্তিরই দাম কম দেখিয়ে আয়করে ছাড় পেয়েছে। নানা সময়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, পারিবারিক ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্প (Donald Trump) ও তাঁর  ছেলেমেয়েদের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং বয়ান নথিভুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত,  স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ করতে তাঁকে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে, তথ্য গোপনে ব্যর্থতার অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তাঁর প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন তিনি। মাইকেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও এনেছেন ট্রাম্প।

    মিয়ামির ফেডারেল আদালতে ট্রাম্পের দায়ের করা মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন মাইকেলের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রাক্তন আইনজীবীকে ভয় দেখাতে ট্রাম্প বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ ল্যানির। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US Bank Crisis: আমেরিকায় ব্যাঙ্ক ক্রাইসিস, ভারতের পৌষ মাস?

    US Bank Crisis: আমেরিকায় ব্যাঙ্ক ক্রাইসিস, ভারতের পৌষ মাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষ মাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ব্যাঙ্ক ক্রাইসিস (US Bank Crisis)। তার জেরে সমগ্র এশিয়া মহাদেশের ব্যাঙ্কগুলি লাভবান হতে চলেছে। বিশেষত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি। দিন দুয়েক আগেই আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ড জানিয়েছিল, বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ক্রমশ নিম্নগামী হলেও, ভারত (India) এবং চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হবে তামাম বিশ্বের অর্ধেক। যার জেরে আশার আলো দেখছে মোদির ভারত। এমতাবস্থায় মিলল ফের সুসংবাদ।

    ব্যাঙ্ক ক্রাইসিস (US Bank Crisis)…

    জানা গিয়েছে, আমেরিকায় ব্যাঙ্কগুলির ক্রাইসিস শুরু হওয়ায় লাভবান হবে ভারতের ব্যাঙ্কগুলি। সিটিব্যাঙ্কের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এশিয়ার অর্থনীতির বাজার খুবই শক্তপোক্ত। অন্ততঃ আমেরিকার অর্থনীতির চেয়ে। মার্কিন ডলারের তুলনায় এশিয়ান মুদ্রার দর বাড়ছে। জাপান ছাড়া এশিয়ার অর্থনীতির সূচক মার্চের ১০ তারিখ থেকে ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। এই দিনেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক বসে গিয়েছিল। তার পর থেকে এশিয়ার অর্থনীতির সূচক ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। এই সময়সীমার মধ্যে মার্কিন অর্থনীতির (US Bank Crisis ) সূচক পড়ে গিয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনোমিক ও সিটির মার্কেট অ্যানালিসিস জোহান্না চুয়া বলেন, আমরা মনে করি এশিয়ার অর্থনীতির সূচক তুলনায় ভাল থাকবে।

    আরও পড়ুুন: সাত রাজ্যে টেক্সটাইল পার্ক গড়বে কেন্দ্র, কর্মসংস্থান হবে ২০ লক্ষ তরুণের

    তিনি বলেন, আমেরিকা কেন্দ্রিক স্লোডাউন মানে হল মার্কিন ডলারের মূল্য কমবে। যার কারণে এশিয়ায় মুলধনের প্রবাহ বাড়বে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এশিয়া প্যাসিফিকের পক্ষে একটা ফ্যাক্টর কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া, সাউথ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ইন্ডিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলি আপাতত বিশ্ব অর্থনীতির ভরকেন্দ্র (US Bank Crisis) হয়ে উঠছে। সহজ অর্থনীতির জেরে চিনই আপাতত বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠছে। কোভিড-উত্তরকালেই এটা ঘটছে। এশিয়া প্যাসিফিকের গ্লোবাল মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ডেভিড চাও বলেন, বর্তমানে লগ্নিকারীদের নজর এশিয়ার দিকে। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে মুখ ঘুরিয়ে আপাতত তাঁরা এশিয়ামুখী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন উত্তর আমেরিকায়। তার মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনা পঞ্চাশেক। ভারতের (India) বাইরে খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা নিয়ে এই ভাষায়ই প্রতিক্রিয়া জানালেন যশদীপ সিং নামে আমেরিকার এক শিখ (Sikh) নেতা।

    খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা…

    সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় শুরু হয়েছে খালিস্তানপন্থীদের দাপাদাপি। কোথাও ভাঙা হচ্ছে মন্দির, কোথাও আবার মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। আবার কোথাও পুজো করতে গিয়ে খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখে পড়ছেন ভক্তরা। ভারতীয় দূতাবাসের সামনেও তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। কোথাও দূতাবাসের সামনে থাকা ভারতের জাতীয় পতাকা টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ওড়ানো হয়েছে কল্পিত খালিস্তানের (Khalistan) ঝান্ডা। তবে এ সবই যে হাতে গোণা কয়েকজনের কাজ, তা জানিয়ে দিলেন আমেরিকার শিখ নেতা যশদীপ।

    তিনি বলেন, ভারতের বাইরে কানাডা, আমেরিকায় যা দেখানো হচ্ছে, তা মিডিয়ার অতিরঞ্জিত করা খবর। তিনি বলেন, উত্তর আমেরিকায় এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেবলমাত্র ৫০ জন ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। যশদীপ বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে ২৫০-র মতো মানুষ এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার জেরে ভারতে এবং বিদেশে বিপদে পড়ছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ তাঁরা ভারতকে ভালবাসেন, ভালবাসেন পঞ্জাবকে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    প্রসঙ্গত, পঞ্জাব প্রদেশ নিয়ে পৃথক খালিস্তান (Khalistan) রাষ্ট্রের দাবি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। প্রথমে ভারতের পঞ্জাব ও পাক পঞ্জাব নিয়ে পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলেও, আটের দশকে দাবি করা হয় হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের কিছু অংশ। সম্প্রতি এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং পৃথক খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। অমৃতপালকে পাকিস্তান মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত খালিস্তানি আন্দোলনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমি (West) বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। নাম না করে এই ভাষায়ই ইউরোপ ও আমেরিকার (America) সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে দু বছরের কারাদণ্ড হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। গুজরাটের সুরাট আদালত ওই সাজা দেয় রাহুলকে। সঙ্গে করা হয়েছে জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) উবাচ…

    কারাদণ্ড হওয়ায় লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় রাহুলের। এর পরেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং আমেরিকা এনিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, সত্যি কথা বললে বলতে হয়, পশ্চিমি বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলালেও, নিজেদের দেশ সম্পর্কে অন্য কেউ মন্তব্য করুক, সেটা পশ্চিমি বিশ্ব ভালভাবে নেয় না।

    রবিবার কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য ও সাংসদ পিসি মোহনের উদ্যোগে আয়োজিত সাক্ষাৎ ও আলোচনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই পশ্চিমি বিশ্ব সম্পর্কে কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে তর্কে আপনি অন্যদের মন্তব্য করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এতে আরও আরও মানুষ মন্তব্য করতে উৎসাহিত হবে। আমাদের বিশ্বকে খোলা আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করতে হবে যে ভারতে সমস্যা রয়েছে, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ কেন চুপ করে রয়েছে? কিছু করছে না কেন? তিনি (S Jaishankar) বলেন, যদি কেউ একথা বলেন, তাহলে তাঁরাও স্বাভাবিকভাবেই মন্তব্য করবেন। তাই সমস্যার কিছুটা অংশ তারা, আর কিছুটা অংশ আমরাও। দু পক্ষকেই নিজেদের সংশোধন করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন মোদি সরকারের। গত রবিবার তা নিয়ে নাম না করে রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সংসদের চলতি অধিবেশনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাহুল ইস্যুতে। রাহুলের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share