Tag: America

America

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের চড়া শুল্কহারের জেরে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত (India) ও রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুক্রবার সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করে দিল মস্কো। ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    শুল্ক আরোপ আমেরিকার (Vladimir Putin)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোকে কাঠগড়ায় তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সঙ্গে চাপিয়ে দেয় মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই আবহে ৩১ অগাস্ট দু’দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। সোমবার তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের বার্তা দিল ক্রেমলিন।

    মোদির ডাকে সাড়া

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে হয়েছিল পার্শ্ববৈঠক। সেই সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। চলতি বছরের মার্চ মার্চ মাসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যদিও সেই সময় পুতিনের ভারত সফরের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি লাভরভ। চলতি মাসে মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় (Vladimir Putin) তিনিই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরই ভারতে আসতে পারেন পুতিন। শুক্রবার সেটাই নিশ্চিত করল রাশিয়া।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিরও ভারতে (India) আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসবেন জেলেনস্কি। তিনি চান, বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করুক ভারত। তবে জেলেনস্কি ঠিক কবে নয়াদিল্লিতে আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে (Vladimir Putin)।

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Tariffs)। তার পরেই মার খেতে পারে ভারতের বস্ত্রশিল্প (Textile Exports)। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি বিশ্বের ৪০টি দেশে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এই ৪০টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। তাঁর মতে, এই ৪০টি দেশে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা হল এমন একটি কৌশল গ্রহণ করা যেখানে নিজেদেরকে উচ্চমানের, টেকসই ও উদ্ভাবনী বস্ত্রপণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি! একদিকে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির মোকাবিলা করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় বস্ত্রকে তুলে ধরাও হবে।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য (Trumps Tariffs) 

    তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পখাতের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা (যার মধ্যে ইপিসিএস এবং ওই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই ২২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে যে ৪০টি দেশের জন্য বিশেষ যোগাযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলিই বহুমুখীকরণের প্রকৃত চাবিকাঠি ধরে রেখেছে। প্রশ্ন হল, কেন এই ৪০টি দেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছে? সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, “এই ৪০টি দেশ একসঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানিতে ৫৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতের জন্য বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভারতের অংশীদারিত্ব মাত্র প্রায় ৫-৬ শতাংশ (Trumps Tariffs)। বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার এই ৪০টি দেশের প্রতিটিতে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারকেও।”

    মার্কিন চড়া শুল্ক হার

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের শুল্ক, যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রফতানিকে প্রভাবিত করবে। আধিকারিকদের মতে, ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলস্‌ (ইপিসিএস) হবে বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের মেরুদণ্ড (Textile Exports)। তারা বাজারের মানচিত্র তৈরি করবে, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য চিহ্নিত করবে এবং সুরাট, পানিপথ, তিরুপুর ও ভদোহির মতো বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ৪০টি দেশের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করবে। ইপিসিএসের কাছ থেকে আরও আশা করা হচ্ছে যে, তারা ভারতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠকে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ধারণার অধীনে বিভিন্ন খাতে প্রচারও করবে। কাউন্সিলগুলি রফতানিকারকীদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) ব্যবহারের উপায়, টেকসই মানদণ্ড পূরণ এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন পাওয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি বলেন, “এই ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এফটিএ এবং আলোচনার ফলে ভারতীয় রফতানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং এই খাতে প্রবৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে (Trumps Tariffs)।”

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে যে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা মানুষ লুকিয়ে রয়েছেন (PM Modi), তা বুঝতে পারেননি সরল সাদাসিধে মানুষটি। যখন বুঝতে পারলেন, তখন মুখের মতো জবাব দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বলছি। ভারত-মার্কিন শুল্ক-সংঘাতের জেরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে দুই দেশের। তার পর সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, একবারও ফোন ধরেননি প্রধানমন্ত্রী। জার্মান পত্রিকা ‘ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং’য়ের এক প্রতিবেদনেই এমন দাবি করা হয়েছে। পত্রিকাটির দাবি, ভারতীয় পণ্য নিয়ে ওয়াশিংটনের ধারাবাহিক উসকানিমূলক মন্তব্য এবং শুল্ক বৃদ্ধি আরোপের কারণে এমন পদক্ষেপ করেন ক্ষুব্ধ ও সতর্ক মোদি।

    জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন (PM Modi)

    ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প এর আগে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’র দেশ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে ফের একপ্রস্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৩১ জুলাই ট্রাম্প বলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারে।” এরই কয়েক দিন পর ১০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষে পাল্টা জবাব দেন ট্রাম্পকে। তিনি ঘোষণা করেন, ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে একটি হওয়ার পথে এগোচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প বাণিজ্যিক বিরোধে প্রায় সব প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে সফল হয়েছেন। ব্যতিক্রম ভারত। বরং নয়াদিল্লি পুরনো দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে এখন তার শক্তিশালী প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন (PM Modi)। এ পর্যন্ত ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ একটি নির্দিষ্ট ধারা মেনে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ, শুল্কের হুমকি, এরপর উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা যেখানে বিদেশি নেতারা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন, শেষমেশ শুল্ক কার্যকর করা হয়, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা শিথিলও করা হয়। একে নিজের সাফল্য বলেই জাহির করতে থাকেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে থাকা দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশটিকে চোখ রাঙাবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)।

    বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল। লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। আশা করা হচ্ছিল, এ বছরের শেষের দিকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তখন, যখন ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। আমেরিকার দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। তাই এই শাস্তি (PM Modi)।ভারতের বিদেশমন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে সমালোচনাকে অন্যায্য বলে নিন্দে করেছে। শুল্ক বৃদ্ধির পর ২৫ অগাস্ট নয়াদিল্লিতে যে ষষ্ঠ দফা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়।

    এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন

    বার্লিনের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক থরস্টেন বেনার এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদনটি তুলে ধরে লিখেছেন, “ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং দাবি করেছে যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ট্রাম্প মোদিকে চারবার ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মোদি ফোন ধরেননি।” পত্রিকাটি মনে করিয়ে দেয় যে ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ফোনে একটি চুক্তি নতুন করে আলোচনা করেছিলেন। তারপরে একতরফাভাবে অনলাইনে সেটিকে সফল ঘোষণা করেছিলেন। মোদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তিনি ট্রাম্পের পাতা ওই ফাঁদে পা দেবেন না (PM Modi)।

    বিপাকে ট্রাম্প

    ভারত তার মোট রফতানির প্রায় পাঁচভাগের একভাগই পাঠায় আমেরিকায়। এর সিংহভাগই হল বস্ত্র, রত্নপাথর ও অটো পার্টস। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এতে ভারতের প্রবৃদ্ধি বার্ষিক ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে (Donald Trump)। তবে অভ্যন্তরীণভাবে সমঝোতায় পৌঁছানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে। যদিও জনমত তীব্রভাবে ট্রাম্পবিরোধী হয়ে উঠেছে। জার্মান ওই পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপকে (যার মধ্যে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে একটি নৈশভোজও রয়েছে) উসকানি হিসেবেই দেখেছে ভারত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সাত বছর পর প্রথমবারের মতো চিন সফরে যাচ্ছেন এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনে অংশ নিতে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-সহ আরও অনেক নেতাও উপস্থিত থাকবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতেই ভয় পাচ্ছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তাই বোধহয় সম্পর্কের (PM Modi) বরফ গলাতে মোদিকে চারবার ফোন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

  • PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trumps Tariffs) আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার জেরে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় রফতানিকারীদের। ঘটনার মোকাবিলার ২৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার একটি জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ভারতীয় রফতানিকারীরা বুধবার থেকে কার্যকর হতে চলা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি আগের ২৫ শতাংশ শুল্ককে দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। প্রথমে এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ শতাংশ।

    শুল্কবৃদ্ধির ধাক্কা (PMO)

    ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই উল্লেখযোগ্য শুল্কবৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেসব ভারতীয় ব্যবসা করছেন, তাঁদের লাভের পরিমাণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক রফতানিকারী এবং রফতানি উন্নয়ন পরিষদগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বর্তমানে পঁচিশ বছরের শুল্ক কাঠামোর কারণে ইতিমধ্যেই যে ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতেই এই যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, আগের ২৫ শতাংশ শুল্কও তাঁদের লাভের মার্জিনকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে এবং তার জেরে মার্কিন বাজারে তাঁদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আগের চেয়ে বেশ দুর্বল হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা সার্বিক অর্থনীতিজুড়ে স্বস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ কৌশল খুঁজে দেখছেন। এখন তাঁরা মনোযোগ দিচ্ছেন খাতভিত্তিক সহায়তা ব্যবস্থার দিকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলিকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারে।

    জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প

    রফতানিকারীরা জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প (Emergency Credit Line Guarantee Scheme) চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এটি জামানতবিহীন কার্যকরী মূলধন দেবে এবং সরকারের ঝুঁকি কভারেজের আওতায় আসবে। তবে নীতিনির্ধারকেরা খাতভিত্তিক কেন্দ্রীভূত হস্তক্ষেপের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। আধিকারিকদের ধারণা, এমন লক্ষ্যভিত্তিক পদ্ধতি বিস্তৃত কর্মসূচির তুলনায় বেশি কার্যকর ফল দিতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ইদানিং সরকারের মনোযোগ বিশেষভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং রফতানিমুখী উৎপাদন ইউনিটগুলি রক্ষার দিকে। এগুলিকে বহিরাগত অর্থনৈতিক বিঘ্নের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি (Trumps Tariffs) বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে খাতভিত্তিক ঋণ সুবিধা, যা জামানত দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে, তা প্রকৃত অর্থে সাহায্য করতে পারবে (PMO)।

    সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রফতানিমুখী ইউনিট ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পগুলিকে রক্ষা করাই এখন সরকারের কৌশলের মূল লক্ষ্য। কারণ বহির্বিশ্বের ধাক্কায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রত হয় এই খাত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার (Trumps Tariffs) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। কারণ টেক্সটাইল, চর্মজাত পণ্য সামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং কেমিক্যাল খাত – সব ক্ষেত্রেই বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে নয়া শুল্কের ধাক্কা (PMO)।

  • India Post: শুল্ক-সংঘাতের আবহে কড়া পদক্ষেপ ভারতের, বিধিনিষেধ জারি আমেরিকায় পাঠানো চিঠি-পার্সেলের ক্ষেত্রে

    India Post: শুল্ক-সংঘাতের আবহে কড়া পদক্ষেপ ভারতের, বিধিনিষেধ জারি আমেরিকায় পাঠানো চিঠি-পার্সেলের ক্ষেত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের (USA Mail) জেরে এবার মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করল নরেন্দ্র মোদির ভারত। আমেরিকায় কোনও চিঠি বা পার্সেল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post)। চলতি মাসের শেষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে নয়া এই নিয়ম। কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে ডাক বিভাগ? (India Post)

    ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় পাঠানো সব ডাক পণ্যে তাদের মূল্যের ভিত্তিতে শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই শুল্ক নির্ধারণ করা হবে আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক শক্তি আইনের অধীনে। তাতে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহার সামগ্রী থাকবে শুল্কমুক্ত। গত ৩০ জুলাই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাতে বলা হয়, ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্য পর্যন্ত কোনও সামগ্রী আমেরিকার বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক গুণতে হত না। তবে এবার সেই নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে। শুল্কমুক্ত পরিষেবা স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, ২৯ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় যত ভারতীয় পণ্য ঢুকবে, সবের ওপর ইন্টারন্যাশনাল এমার্জেন্সি ইকনমিক পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় শুল্ক চাপবে। কেবলমাত্র ১০০ মার্কিন ডলার মূল্যের জিনিসপত্রই শুল্কমুক্ত থাকবে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়, আমেরিকার শুল্ক বিভাগ ও সীমান্তরক্ষা বিভাগের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনও ‘যোগ্য পক্ষ’ই শুল্ক আদায় করতে বা তা কমাতে পারবে। কিন্তু এই যোগ্য পক্ষ কারা, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি ওই নির্দেশিকায়। কী প্রক্রিয়ায় শুল্ক নেওয়া হবে, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এ সবের প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করে ভারত।

    ভারতীয় ডাক বিভাগের খবর

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় ডাক বিভাগ ২৯ অগাস্ট থেকে পরিষেবা স্থগিতের কথা জানালেও, সোমবার ২৫ অগাস্টের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও চিঠি বা সামগ্রীর বুকিং হবে না। বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ২৫ অগাস্টের পরে তারা আমেরিকায় আর কোনও পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে না। জানা গিয়েছে, সেই কারণেই ভারতীয় ডাক বিভাগ আমেরিকার জন্য সব রকমের সামগ্রীর বুকিং স্থগিত রাখছে (USA Mail)। সম্প্রতি আমেরিকা শুল্কনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন করেছে। এটি কার্যকর হওয়ার কথা চলতি মাসের শেষের দিক থেকে। এহেন আবহে ভারতও (India Post) আমেরিকার সঙ্গে আপাতত ডাক যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    বুকিং ফি ফেরত

    ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, যেসব উপভোক্তা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পার্সেল পাঠানোর জন্য বুকিং করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কার্যকর হচ্ছে নয়া নিয়ম। ওই সব উপভোক্তার পার্সেল পাঠানো যাবে না বলেই জানিয়েছে ডাক বিভাগ। তবে বুকিং বাবদ তাঁদের যা খরচ হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ডাক বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে। ডাক বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব আমেরিকায় পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে (USA Mail)।

    শুল্ক-সংঘাত

    শুল্ক-সংঘাতের জেরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে ভারত ও আমেরিকার। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে নিয়মিত অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তাই শাস্তিস্বরূপ দু’দফায় ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক তথা ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ, ২৫ অগাস্ট থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা নয়া ওই শুল্ক হার। সেই প্রেক্ষিতেই আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। ভারতীয় ডাক বিভাগের (India Post) তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন নয়া শুল্কনীতির জেরে আপাতত ডাক পরিষেবা বন্ধ থাকলেও, চিঠি, নথি এবং ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহার পাঠানো যাবে আমেরিকায়। ডাক বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগ ও সে দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের তরফে কিছু জানানো হলে, সে ব্যাপারে সকলকে অবহিত করা হবে।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত

    এদিকে, কেবল ভারত নয়, আমেরিকায় ডাক পরিষেবা স্থগিত করেছে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলিও। ব্রিটেনের রয়্যাল মেইলও জানিয়েছে, তারাও ২৫ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় চালান পাঠানো বন্ধ করবে। এই দেরি হওয়ার কারণ হল, নয়া শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পৌঁছনো পার্সেলগুলির জন্য কিছুটা সময় দেওয়া। নর্ডিক লজিস্টিকস কোম্পানি পোস্টনর্ড ও ইতালির ডাক বিভাগ ঘোষণা করেছে, ৩০ অগাস্ট থেকে একই ধরনের (USA Mail) স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। পোস্টইউরোপ (৫১টি ইউরোপীয় সরকারি ডাক সংস্থার সমিতি) জানিয়েছে, যদি ২৯ অগাস্টের মধ্যে কোনও সমাধান সূত্র না মেলে, তবে এর সব সদস্যই সম্ভবত একই পদক্ষেপ করবে (India Post)।

  • S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মার্কিন প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন যে জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করছেন অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনিই ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছিলেন, তা ঠিক নয়।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “তাদের মধ্যে একটি ইতিহাস আছে। এবং তারা সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করারও ইতিহাস রাখে। এটা প্রথমবার নয় যে আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখছি। মজার বিষয় হল, যখন আপনি কখনও কখনও সেই সার্টিফিকেটগুলি দেখেন যা কেউ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়, তখন মনে রাখতে হবে, এটাই সেই একই সেনাবাহিনী যারা অ্যাবোটাবাদে গিয়ে আপনি জানেন কাকে খুঁজে পেয়েছিল। আসল বিষয় হল, এই দেশগুলি কেবল সুবিধার রাজনীতি করতে মনোযোগী হয়। তারা বারবার এমনটা করার চেষ্টা করে। এর কিছুটা কৌশলগত হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্য সুবিধা বা হিসেব-নিকেশও থাকতে পারে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। সেখানে তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।  ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তেলের মজুত উন্নয়নের জন্য একটি বড় চুক্তিও ঘোষণা করেছিলেন এবং আরও অনেক কিছু।” তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে (Pakistan) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। সেখানে ফের একবার “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ অঙ্গীকার” করা হয়েছে (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share