Tag: America

America

  • FIFA World Cup: ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮ টি দেশ! নিয়মে পরিবর্তন, জানাল ফিফা

    FIFA World Cup: ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮ টি দেশ! নিয়মে পরিবর্তন, জানাল ফিফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপ মধ্যগগনে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্সের মতো ফেভারিট দলগুলি দাপটে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে। তবে কাপ কাদের হতে উঠবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল। তবে ফিফা বসে নেই। পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

    ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি

    ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসবে তিনটি দেশ আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোতে। খেলবে ৪৮ টি দেশ। কাতারের ৩২ দলের শেষ বিশ্বকাপ হচ্ছে। তবে পরের বিশ্বকাপে দল বাড়লে কী ফরম্যাটে খেলা হবে তাই নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট কৌতুহল। ফিফা তিনটি ফরম্যাট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। এক, ৪৮ টি দলকে ভাগ করা হবে ১৬টি গ্রুপে। অর্থাৎ প্রত্যেক গ্রুপে তিনটি করে দল খেলবে। পরের রাউন্ডে যাবে দুটি দল। দুই, ৪৮টি দলকে ভাগ করা হতে পারে ১২টি গ্রুপে। প্রত্যেক গ্রুপে চারটি করে দল খেলবে। সেরা দুটি দল পরের রাউন্ড তথা রাউন্ড অব ৩২ তে উঠবে। এভাবে ২৪টি দল সরাসরি উন্নীত হবে পরের রাউন্ডে। এবার বাকি আটটি দলকে বেছে নেওয়া হবে সেরা তৃতীয় স্থান অর্জনের ভিত্তিতে। তৃতীয় ফরম্যাট, ৪৮টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করতে হবে। ২৪টি দলকে আবার চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। তারপর ১৬টি দলকে নিয়ে হবে পরের রাউন্ড। এবার দুই গ্রুপের সেরা দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।

    আরও পড়ুন: শেষ আটে পৌঁছে ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলেকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নেইমারদের

    বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ফুটবল বিশ্বকাপ হবে আরও বড়। এ বারের থেকে কয়েক কোটি বেশি মানুষ বিশ্বকাপের সঙ্গে জুড়বেন। কারণ টুর্নামেন্টের ফরম্যাট পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছে ফিফা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে হবে ১০৪। নকআউটে খেলবে মোট ৩২টি দেশ! বর্তমানে ১৬টি দেশ নকআউটের ম্যাচ খেলছে।পরিবর্তন শুধু ফরম্যাটেই নয়, ম্যাচের নিয়মেও হবে। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচ টাই হলে পেনাল্টি শুটআউটের মাধ্যমে জয়ী দল বেছে নেওয়া হবে। বর্তমানে গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে টাইব্রেকারের নিয়ম নেই। একমাত্র নকআউটের ম্যাচগুলিতে টাই হলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পয়েন্টে পরিবর্তন আসতে পারে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ জিতলে তিন পয়েন্ট। আর পেনাল্টি শুটআউটের মাধ্যমে জয়ী দল পাবে ২ পয়েন্ট। পেনাল্টি শুটে পরাজিত দলের ঝুলিতে যাবে ১ পয়েন্ট।

  • Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার (Mobile Phone ban)। সে দেশে ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশিকা জারি করেছে। স্কুলটি ১১৪ একর এলাকা জুড়ে। এই অতিকায় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক কিংবা স্কুলের স্টাফেরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলও মিলেছে হাতেনাতে। জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি উন্নতি হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের (Teacher Student Relation)। পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যেও সম্পর্ক হয়েছে মধুর।

    মারণ ভাইরাস…

    কী কারণে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ (Mobile Phone ban) হল ওই স্কুলে? এর উত্তর পেতে গেলে ফিরে যেতে হবে বছর দুয়েক আগে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনার মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল আমেরিকায়ও। করোনা দমনে সরকার জারি করে লকডাউন। এই লকডাউন পর্বে বন্ধ ছিল অফিস-কাছারি-স্কুল কলেজ। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল স্কুলগুলি। তার পরেই দেখা দিয়েছে বিপদ। হয়েছে হিতে বিপরীত। অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে পড়ুয়াদের হাতে এসেছে মোবাইল। তার পরে ক্রমেই মোবাইল-আসক্ত হয়েছে পড়ুয়ারা। মোবাইলের সঙ্গে পড়ুয়াদের সম্পর্ক যত নিবিড় হয়েছে, ততই দূরত্ব বেড়েছে পরিবারের সঙ্গে। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    করোনা পর্ব অতীত হলে ওঠে লকডাউন। খোলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখেন, ছেলেমেয়েরা এতই মোবাইল-আসক্ত হয়ে পড়েছে যে ক্লাসে তারা ইন্টারঅ্যাক্ট করছে না। সে শিক্ষক হোন কিংবা সহপাঠী। অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এর পরেই স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিটার বেক বলেন, করোনার পরে যখন ক্লাস শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে শিক্ষার্থীরা সারাদিন মোবাইলে ডুবে ছিল। তারা সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা (Mobile Phone ban) জারি করা হয়। তার ইতিবাচক প্রভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা বদলাচ্ছে। শিক্ষক কিংবা সহপাঠীদের সঙ্গে আগের মতোই ইন্টারঅ্যাক্ট করছে। তিনি বলেন, এখন তারা অনেক বেশি সময় অ্যাকাডেমিক ওয়ার্ক এবং অন্যান্য কাজ করে সময় কাটাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত চিন (India China) সম্পর্কের মধ্যে যেন নাক না গলান মার্কিন আধিকারিকরা। আমেরিকাকে এই মর্মে সতর্ক করেছে চিন (China)। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে (Congress) দেওয়া এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতের (India) সঙ্গে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন চিনা আধিকারিকরা। সঙ্কটের তীব্রতাও কমিয়ে আনার চেষ্টাও  করেছিলেন তাঁরা। জোর দিয়েছিলেন সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা।

    মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট…

    অতি সম্প্রতি পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ভারত চিন (India China) সীমান্তে কীভাবে উত্তেজনা কমানো যায়, তার চেষ্টা করছে চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে আমেরিকার বন্ধন। ওই রিপোর্টে তার পরেই বলা হয়েছে, চিনা আধিকারিকরা মার্কিন আধিকারিকদের এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তাঁরা যেন ভারত চিন সম্পর্কে নাক না গলান।

    ভারত চিন (India China) সীমান্ত নিয়ে পেন্টাগন জানিয়েছে, গোটা ২০২১ সাল ধরে চিনা সৈনিকরা সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তারা সেখানে পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে বলে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে চিন তাদের সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে। সেই বছরই জুন মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। তার পরেও ওই এলাকায় চিনের সেনা ক্রমেই তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, ভারতের একাধিক পোস্ট চিনা সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ভারতীয় সেনাকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও, সুরাহা হয়নি।

    লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও চিন সেতু, সড়ক সহ তৈরি করে পরিকাঠামো মজবুত করছে। আমেরিকা এনিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছে একাধিকবার। আমেরিকা মনে করে, চিন যেভাবে ভারতের চারপাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তা নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের। পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ভারত চিন দুই দেশই অন্যের বাহিনী প্রত্যাহার এবং প্রাক-অচলাবস্থায় ফিরে আসার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশই তাতে রাজি হয়নি। তাই জটও কাটেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! পাকিস্তানকে (Pkistan) বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি বলে দেগে দিল আমেরিকা (America)। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে।

    এদিন বাইডেন (Joe Biden) বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের এহেন মন্তব্যের ছাপ পড়েছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের জেরে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমেরিকায় গিয়ে বাইডেন সরকারকে কটাক্ষ করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আপনারা আমাদের বোকা বানাতে পারবেন না। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর বিবৃতি জারি করে শেহবাজ শরিফের দেশ বলেছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী এবং বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলিকে সম্মান করার এবং আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে ভারতকে। ভারত তার কূটনৈতিক আচরণ খতিয়ে দেখুক।

    আরও পড়ুন: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    এর পর এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে চার বছর ধরে ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। সেই কলঙ্ক মোছার কথা ছিল খুব শীঘ্রই। বাইডেনের এই মন্তব্যের জেরে শাহবাজ শরিফের দেশ যে বেশ বেকায়দায় পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন। যেসব মহিলার সন্তান রয়েছে, তাঁদের চাকরিতে না নেওয়াই ভাল। বয়স যদি পঞ্চাশের কোঠা পেরয়, তাহলে ওই কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। বেঙ্গালুরু-বেসড আইটি কোম্পানি (IT Company) ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ওই কোম্পানির নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আদালতে এই মর্মে মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। ইনফোসিসের বিরুদ্ধে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রাক্তন আধিকারিক।

    ইনফোসিসের (Infosys) নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল প্রিজিন। তাঁর দাবি, আমেরিকায় ওই কোম্পানিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ করতে বারণ করা হয়েছিল। যেসব মহিলার ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাঁদেরও কোম্পানিতে নিয়োগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক কোনও নারী কিংবা পুরুষকেও চাকরিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জিল। প্রাক্তন এই ইনফোসিস (Infosys) আধিকারিকের অভিযোগ, ড্যান অলব্রাইট এবং জেরি ক্রৎজের নিয়োগ সংক্রান্ত এই বেআইনি আবদার মেনে না নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ জিলের।

    আরও পড়ুন : স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    শেষমেশ আমেরিকার নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কোম্পানির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দায়ের করেন মামলা। আদালতের দায়ের করা অভিযোগপত্রে ইনফোসিসের (Infosys) প্রাক্তন আধিকারিক জিল জানান, ২০১৮ সালে ইনফোসিসে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে সংস্থার বেআইনি নিয়মনীতি দেখে হতবম্ব হয়ে যান তিনি। চাকরিতে যোগদানের মাস দুয়েকের মধ্যেই সংস্থার এই নীতি বদলানোর চেষ্টা করেন তিনি। জিলের অভিযোগ, এর পরেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে খোয়া যায় চাকরি। জিলের আরও অভিযোগ, নিউইয়র্কের মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে আমেরিকায় নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে ইনফোসিসের প্রতিক্রিয়া পেতে চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। যদিও কোম্পানির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ভ্রমণ সংক্রান্ত উপদেশাবলী প্রকাশ করল আমেরিকা (America)। চলতি বছরের জন্য ওই উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে ভারতকে লেভেল ২ তকমা দেওয়া হয়েছে। তাই মার্কিন পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে ভারত ভ্রমণ করতে বলা হয়েছে।

    ফি বছর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট পর্যটকদের জন্য একটি করে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করে। দেশের নাগরিকরা যাতে বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে বিপদে না পড়েন, তাই এই উপদেশাবলী প্রকাশ করা হয়। চার ধরণের কালার কোড দিয়ে কোন দেশ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এক নম্বর কালার কোড হল সাদা। এর অর্থ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে দেশটি একেবারেই নিরাপদ। দেশটিকে যদি লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, তাহলে বিপদের সীমা নেই। এর অর্থ, মার্কিন নাগরিকরা যেন ওই দেশে ভ্রমণে না যান। ভারতের জন্য প্রায়ই লেভেল ২ ও লেভেল ৩ উপদেশাবলী (US Advisory)  জারি হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত, তখন দেশটিকে লাল রংয়ে দেগে দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতের জায়গা হয় তিন নম্বরে। সম্প্রতি সেটা হয়েছে ২ নম্বরে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত থাকছে ২ নম্বরে। কোনও দেশকে ৩ নম্বরে রাখার অর্থ, ওই দেশ ভ্রমণ করতে হলে মার্কিন নাগরিকদের অন্তত দু বার ভাবতে হবে।

    আরও পড়ুন :জয়শঙ্কর এফেক্ট! ভারতীয়দের জন্য ১ লক্ষ ভিসা স্লট খুলছে আমেরিকা, কমবে অপেক্ষাও

    চলতি বছরে তিনবার মার্কিন ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। একটি মার্চের ২৮, পরেরটি জুলাইয়ের ২৫ এবং সর্বশেষটি অক্টোবরের ৫ তারিখে। শেষ যে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসবাদ, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি দিক খতিয়ে দেখে তবেই কোনও দেশকে কোনও একটি লেভেলে চিহ্নিত করে আমেরিকা। ভারতের পড়শি দেশ আফগানিস্তান ও মায়ানমারকে ৪ নম্বর ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের স্থান হয়েছে ৩ নম্বরে। এক নম্বরে রয়েছে ভারতেরই একটি প্রতিবেশী দেশ ভুটান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi Putin Meet: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    Modi Putin Meet: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit 2022) যোগ দিতে সমরখন্দে (Samarkhand) গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আগামিকাল, শুক্রবার উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) আলাদা করে বৈঠক করতে চলেছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। ক্রেমলিন সূত্রেই এ খবর জানানো হয়েছে। পরস্পর বন্ধু  এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাণিজ্য এবং ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। একটি বিবৃতি জারি করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি ও খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে দু দেশের মধ্যে।

    স্ট্র্যাটেজিক স্টেবিলিটি, এশিয়া-প্যাশিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) ও জি-২০তে (G-20) দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ান নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি, রাষ্ট্রসংঘ, জি-২০ এবং এসসিও-য় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উষাকভ বলেন, দুই দেশের এই সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিসেম্বরে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করবে। ২০২৩ সালে ভারত নেতৃত্ব দেবে এসসিও-র। ওই বছরই ভারতের সভাপতিত্বে হবে জি-২০ বৈঠকও।

    আরও পড়ুন : বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

    ক্রেমলিনের তরফে এসব বলা হলেও, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও মোদি-পুতিন বৈঠকের (Modi-Putin Meet) ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দুই দেশের এই বৈঠকটি যে গুরুত্বপূর্ণ তা মানছে আন্তর্জাতিক মহলও। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) আবহে রাশিয়া (Russia) থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত (India)। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই রাশিয়া থেকে ওই তেল কিনছে নয়াদিল্লি। ভারত যে জ্বালানির জন্য চড়া দর দিতে অপারগ, সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ, যেখানে মাথা পিছু আয় দু’হাজার মার্কিন ডলার। তাই আমরা চড়া দরে জ্বালানির মূল্য চোকাতে পারব না। তিনি বলেন, এটা আমার বাধ্যবাধকতা এবং নৈতিক কর্তব্য যে যেখানে কমে পাব, সেখান থেকেই জ্বালানি কিনব। তিনি বলেন, ভারতের এই অবস্থানের কথা জানে আমেরিকাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাটোর (NATO) সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়ে গিয়েছে ভারতের (India)। এটাই ছিল প্রথমবার। তবে ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা চলবে বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই বৈঠক হয়েছিল। শীঘ্রই আবার এ নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নয়াদিল্লি।

    ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল গড়ে ওঠে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ন্যাটো। এই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জানা গিয়েছে, ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের প্রথম বৈঠকে নয়াদিল্লির (New Delhi) তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকই হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ন্যাটোয় ভারতকে যুক্ত করতে আগ্রহী খোদ আমেরিকা (America)। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কয়েকটি দেশের কাছে ন্যাটোর সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক অংশীদারিতে কাজ করার প্রস্তাব দিতে চলেছে সামরিক এই জোট। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল ভারতও।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংসদ রো খান্না বলেন, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মূলক চুক্তি করতে চান ন্যাটো নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি চাই সেই তালিকায় যোগ হোক ভারতের নামও। সেটা হলে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়িত করতে সুবিধা হবে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। খান্না বলেন, দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। বিশেষত, চিন ও রাশিয়া খুবই আগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সমঝোতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    রাজনৈতিক মহলের মতে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত প্রাসঙ্গিক। কারণ এর ভূরাজনৈতিক অবস্থান। সেই কারণেই ভারতকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের দেশ।

     

LinkedIn
Share