Tag: America

America

  • Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)-কে (TRF) অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” সম্প্রতি নির্লজ্জভাবে কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে টিআরএফ বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ১৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিআরএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আমেরিকার এই ‘দাওয়াই’ ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার কূটনৈতিক ও কৌশলগত একটি বড় ধাক্কা।

    কী কবুল করলেন দার (Pakistan)

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পাকিস্তান। এই অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় দু’বছরের জন্য। এদিন দার কবুল করেন, “পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানানোয় নিরাপত্তা পরিষদের জারি করা বিবৃতিতে টিআরএফের নাম মুছে ফেলতে হস্তক্ষেপ করেছিল।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাজধানী থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা কখনওই মেনে নেবে না।” তিনি বলেন, “টিআরএফের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান জিতেছে।”

    হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি টিআরএফের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে টিআরএফ নিজেই। ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও আলাদা আলাদাভাবে লস্কর-ই-তৈবার পরিকাঠামোর সঙ্গে টিআরএফের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে। তার পরেও দার (Pakistan) নির্লজ্জভাবে দাবি করেন, “আমরা টিআরএফকে অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” উল্লেখ্য যে, এই মন্তব্যগুলি শুধু পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে দ্বিচারিতা প্রকাশ করে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিনের উদ্বেগকে ফের নিশ্চিত করে যে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে (TRF)।

    আমেরিকার প্রতিক্রিয়া

    দারের মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও টিআরএফকে একটি স্বীকৃত বিদেশি জঙ্গি সংগঠন (FTO) এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসে জড়িত বিশেষভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ঘোষণা করেন। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “টিআরএফ, যা লস্কর-ই-তৈবার একটি ফ্রন্ট ও প্রতিনিধি গোষ্ঠী, ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন।” তারা আরও জানিয়েছে যে, টিআরএফ নামের এই গোষ্ঠী গত এক বছরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডকে ২০০৮ সালের পর ভারতে নিরীহ মানুষের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ভারত

    ট্রাম্প সরকারের এই পদক্ষেপকে পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি মদতদাতাদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সহযোগী টিআরএফকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণার জন্য সেক্রেটারি রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সংগঠনই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দারের এহেন মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষায় ইসলামাবাদের কূটনৈতিক ছলচাতুরির মুখোশ খুলে দিয়েছে (TRF)। তারা নিজেরাই নিজেদের ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকায় পাকিস্তানের দ্বিচারিতা এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণের মুখোমুখি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলল চিন

    এদিকে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মূলত চিনের আপত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় টিআরএফ এবং লস্করের মতো শব্দগুলি। এর পরেই পাকিস্তান আশা করেছিল, টিআরএফ ইস্যুতেও আমেরিকার অবস্থানের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে থাকবে শি জিনপিংয়ের দেশ। তবে শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাফ জানিয়ে দেন, “চিন দৃঢ়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে।”

  • Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুলাই নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর দলের নাম আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেল তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই নয়া দলের কথা। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতদ্বৈততা চরমে ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইলন মাস্কের। তার পরেই আত্মপ্রকাশ করে মাস্কের নয়া দল। ট্রাম্পের বিলটিকে মাস্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

    মাস্কের দলের তিন স্তম্ভ (Elon Musk)

    যদিও মাস্কের দলটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি, তাদের কোনও সংবিধানও নেই। তবে মাস্কের দলটি মূলত তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি হল, আগ্রাসী আর্থিক রক্ষণশীলতা – ঋণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর ওপর জোর, প্রযুক্তিগত গতি বৃদ্ধি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং বিশেষ করে জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান এবং মধ্যম ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব – রাজনৈতিক চরমপন্থীদের দ্বারা বিমুখ হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের দাবি। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাস্কের নয়া দলের প্রতি জনগণের কিছুটা আগ্রহ রয়েছে। ৪০ শতাংশ ভোটার এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে মাস্কের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাঁর অনুকূলতা সূচক বর্তমানে -১৮।

    আগেও ছাপ ফেলতে পারেনি তৃতীয় কোনও দল

    তবে ১৭৭৬ সাল থেকে আমেরিকায় তৃতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাস মাস্কের আকাঙ্ক্ষার এক হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বরাবরই চ্যালেঞ্জারদের দমন করেছে (Elon Musk)। থিওডোর রুজভেল্টের প্রগ্রেসিভ বুল মুস পার্টি ১৯১২ সালে ২৭ শতাংশ ভোট জয়ী হলেও, অল্পদিনেই ভেঙে পড়ে। রস পেরোর রিফর্ম পার্টি ওই বছরই ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। পেরো নেতৃত্ব ছাড়ার পরেই দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে নয়া পার্টি। লিবার্টেরিয়ান ও গ্রিন পার্টির মতো ধারাবাহিক চেষ্টাগুলোও দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কংগ্রেসের ১ শতাংশ আসনও পায়নি।

    কাঠামোগত বাধাও রয়েছে। নয়া দলকে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আইনের অধীনে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই ১১ লাখ স্বাক্ষর বা ৭৫ হাজার নিবন্ধিত সদস্য লাগবে। “স্পয়লার এফেক্ট”ও একটি বড় বাধা। কারণ তৃতীয় দলগুলো প্রায়ই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট কেটে নেয়। তাই তাদের প্রতিপক্ষই জয়ী হয়। তাই মাস্কের দল আমেরিকায় পানি পাবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের রাজনৈতিক (Donald Trump) বিশেষজ্ঞরা। ভ্যালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্নার্ড টামাস বলেন, “এটা ব্যবসা চালানোর মতো নয়। এর জন্য একটি তৃণমূলস্তরের আন্দোলনের প্রয়োজন। শুধু টাকাটাই যথেষ্ট নয় (Elon Musk)।”

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকা গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বুধবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে এফবিআই পরিচালক কাশ (কাশ্যপ) প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ওই বৈঠকে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী লিখলেন জয়শঙ্কর?

    লেখেন, “আজ এফবিআই ডিরেক্টর কাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ।” এর আগে একটি বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ড বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত হলাম। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।”

    ক্রিস রাইটের সঙ্গেও বৈঠক

    মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইটের সঙ্গে। ভারতের জ্বালানি খাতে যে ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। দুই নেতা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর জ্বালানি অংশীদারত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন (S Jaishankar)। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আজ সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইটের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ভারতে বর্তমানে যে জ্বালানি ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে কথা হয়েছে।”

    জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথেরও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, যা পারস্পরিক স্বার্থ, সক্ষমতা ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে (S Jaishankar)।”

  • NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাসী ভারতীয়দের (NRI) জন্য সুখবর শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সে দেশের সেনেট ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই সংশোধনের ফলে রেমিট্যান্স (প্রবাসীরা যে অর্থ নিজের দেশে পাঠান)-এর (Remittance Tax) ওপর কর ৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এই সুখবর শোনা গেল এমন একটা সময়, যখন বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়রা ব্যাপক উদ্বেগে ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, আন্তর্জাতিক অর্থ পাঠানোয় ভারী আর্থিক বোঝা চাপবে।

    ব্যাপক উদ্বেগ (NRI)

    জানা গিয়েছে, প্রথমে বিলটিতে ৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছিল। হাউস সংস্করণে এটাই কমিয়ে করা হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ। এই হারও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ প্রবাসী ভারতীয়রা ফি বছর ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ভারতের মোট রেমিট্যান্সের ২৭.৭ শতাংশ এসেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী, এখন থেকে আমেরিকাভিত্তিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানান্তর এবং সে দেশে ইস্যু করা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে করা লেনদেনগুলি রেমিট্যান্স কর থেকে ছাড় পাবে। এই পরিবর্তন প্রবাসী ভারতীয়দের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা দেবে।

     যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য

    এই কর কেবলমাত্র (NRI) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর পরে করা যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য হবে। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই এক্সসাইজ করটি কেবল যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং গ্রিন কার্ডধারীরাও। ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দার আর্থিক সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে (Remittance Tax)।যদিও ১ শতাংশ করের হারটি সাধারণ মনে হতে পারে, তবে এর প্রভাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি এখনও উচ্চমূল্যের লেনদেনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন এনআরই অ্যাকাউন্টে জমা, সম্পত্তি বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট পুনর্বাসন কর্মসূচি ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-পরবর্তী আয়ও যদি করমুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানান্তর না করা হয়, তবে এটি এই করের আওতায় পড়তে পারে।

    স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি

    যদিও কমিয়ে দেওয়া করহার স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি এনে দেয়, তবে অনেক এনআরআই এখন আরও স্পষ্ট নির্দেশনা ও সম্ভাব্য বৃহত্তর কর-ছাড়ের দাবি জানাচ্ছেন, বিশেষ করে পরিবারের জন্য পাঠানো প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আইনটির কার্যকর রূপ চূড়ান্ত হলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আর্থিক লেনদেনের গতিপথ নির্ধারণ করবে। এদিকে, প্রবাসী ভারতীয়রা গত অর্থবর্ষে দেশে ১৩৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রকাশিত সাম্প্রতিক পেমেন্ট ব্যালেন্স ডেটা অনুযায়ী, প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো ‘ব্যক্তিগত হস্তান্তর’ এর মাধ্যমে মোট প্রাপ্ত অর্থ আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি (NRI)।

    প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক ভারত

    ভারত গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক দেশ। ২০১৬-১৭ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে আট বছরের মধ্যে তা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি (Remittance Tax)। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইনফ্লোর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে রেমিটেন্সের অংশ ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ গৌরী সেনগুপ্ত বলেন, “ক্রুড অয়েলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও রেমিটেন্সের জোরালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এর কারণ হল দক্ষ শ্রমশক্তির একটি ক্রমবর্ধমান অংশ উন্নত দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপুরে অভিবাসন করছে। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই তিনটি দেশ থেকে মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে,” তিনি বলেন, “তবে জিসিসি (GCC) দেশগুলির অংশ ক্রমেই কমে আসছে (NRI)।”

    প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব

    তেলের দাম প্রায়ই গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (GCC) দেশগুলির কাছ থেকে প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে. ভারত এখনও ২০০ মার্কিন ডলার পাঠানোর জন্য বিশ্বের অন্যতম স্বল্প-ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অন্যান্য প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার পরিষেবা আয় এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা আয়। প্রতিটিই গত অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে (Remittance Tax)। এই তিনটি উৎস (প্রবাসী আয়, সফটওয়্যার পরিষেবা ও ব্যবসায়িক পরিষেবা) মিলে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্টের আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ জোগান দিয়েছে (NRI)।

  • US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়লেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (White House)। ইরানের তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি (US Iran Conflict)। কিন্তু সে দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কোমর ভেঙে দেওয়া যায়নি। বরং যে গতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল ইরানে, তাকে কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের দেশেই প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশবাসীর নজর ঘোরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা রিপোর্ট কীভাবে ফাঁস হল, তা নিয়ে। গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস হওয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘দেশদ্রোহ’ বলে দেগে দিয়েছেন।

    কি বলছে রিপোর্ট (US Iran Conflict)

    দিন কয়েক আগে ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে দেশের সামরিক বিভাগ পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি সে দেশের ইউরেনিয়ামের ভান্ডারও। মার্কিন হামলার আগেই ইরান মজুত রাখা ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    সিএনএনের বক্তব্য

    ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা স্বীকার করলেও, হামলায় ইরানের যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তা অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোসিন লেভিট বলেন, “ওই রিপোর্ট ভুল। রিপোর্টটি গোপন থাকার কথা। কিন্তু নিম্নস্তরের কেউ সেটি ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাটো করা (US Iran Conflict), তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, যুদ্ধবিমানের বীর পাইলটদের অপমান করা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিশ্চিহ্ন করতে নিপুণ হাতে কাজ করেছেন তাঁরা। ৩০ হাজার পাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করলে কী হয়, তা সকলেই জানেন।” গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস করাকে দেশদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফও। তিনি বলেন, “অত্যন্ত জঘন্য বিষয় (White House)। এটি দেশদ্রোহ। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত (US Iran Conflict)।”

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Iran Israel Conflict) এবার জড়িয়ে পড়ল আমেরিকাও। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমানবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ (US Attacks Iran)। এদিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইরানি কাঠামোগুলির ওপর খুবই সফল হামলা চালিয়েছে। তেহরান (ইরানের রাজধানী)-কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ না করলে ইরানকে আরও বড় পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের।

    পরিস্থিতি ১ (Iran Israel Conflict)

    ইরান তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, “এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক সদস্য একটি লক্ষ্যবস্তু।” এদিকে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    পরিস্থিতি ২

    ইজরায়েল হাই অ্যালার্ট জারি করতে পারে এবং ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ওপর আগাম হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সব অঞ্চল থেকে অপরিহার্য কার্যকলাপ পরিচালিত হবে। শিক্ষাদান, জমায়েত এবং কর্মক্ষেত্র আপাতত বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র (US Attacks Iran)।”

    পরিস্থিতি ৩

    ইরান লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে হিজবুল্লা ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। হিজবুল্লা, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং গাজায় হামাস — এই গোষ্ঠীগুলো মিলে ইরানের কথিত “প্রতিরোধ অক্ষ” গঠন করেছে, যার লক্ষ্য শক্তি প্রদর্শন, আমেরিকা ও ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করা এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তবে এই মিত্র গোষ্ঠীগুলি এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের অনেকেই এখন দুর্বল, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং নিজ নিজ সমস্যার সমাধান করতেই ব্যস্ত (Iran Israel Conflict)। সম্প্রতি হিজবুল্লাহ প্রধান শেখ নাইম কাসেম ঘোষণা করে, ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সংগ্রামে তিনি সব ধরনের সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়। এই তথ্য জেরুজালেম পোস্টই প্রকাশ করেছে।

    পরিস্থিতি ৪

    চিন ও রাশিয়া এই দুই অন্যতম মহা শক্তিধর দেশ এবং যাদের বৈশ্বিক প্রভাবও অনেক, তারা হয়তো শান্তির আবেদন জানাবে। যদিও গোপনে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে সমর্থন করতে পারে। মঙ্গলবার চিন অভিযোগ করেছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে তেল ঢেলে দিচ্ছেন। কয়েকদিন পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একইভাবে রাশিয়া আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ না করে (US Attacks Iran)। রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়, তাহলে তা চেরনোবিল ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    পরিস্থিতি ৫

    ইরানের ওপর হামলার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরান একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন হামলার জেরে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালী। মনে রাখতে হবে, এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়।

    ‘দ্য কনভারসেশনে’র মতে, অনেক তেল বিকল্প সরবরাহপথে পাঠানো যেতে পারে। যেমন সৌদি আরবের বিশাল (৬ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন) পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন, যা লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে যায়, সেই পথে তেল পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি পাইপলাইন, যা হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। তবুও, বাড়তি ঝুঁকি ও পরিবহণ খরচের কারণে পেট্রোল পাম্পে দামের বড়সড় লাফ দেখা যেতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    প্রসঙ্গত, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে (US Attacks Iran)। তিনি লেখেন, অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। এখন শান্তির সময় এসেছে (Iran Israel Conflict)।

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন করেছে আরও এক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan)। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, আদতে তা নয় বলেই (Viral Posts) দাবি সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক ভাইরাল হওয়া পোস্টে। এই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ালেও, আসলে গোপনে বন্ধু ইরানকে পিছন থেকে ছুরি মারতে চায় ইসলামাবাদ! ভাইরাল হওয়া কোনও কোনও পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান আসলে আমেরিকাকে সাহায্য করছে ইরানের ওপর নজরদারি চালিয়ে।  এ নিয়ে কিছু প্রমাণও দেখানো হয়েছে। ওই সব পোস্টের বক্তব্য, ইজরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইরানকে সমর্থন করার পর পাকিস্তান ছুরি মেরেছে ইরানের পিঠে।

    ইউজারের পোস্ট (Pakistan)

    এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার একটি পোস্টে বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটেলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোড ব্যবহার করে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে দিচ্ছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলির একটিতে, ফ্লাইটরাডার২৪-এ বিএসিএম ১১-৯০০১ বিমানটি দেখা যাওয়ার একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ, সোমবার ইজরায়েলি হামলার জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র আইআরআইসি-র তেহরানে অবস্থিত সদর দফতরের স্থানাঙ্ক পাকিস্তানের সহায়তায় সরবরাহ করা হয়েছে ইজরায়েলিদের। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারের তরফে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ব্যাটলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোডকে একটি উড়ন্ত গেটওয়ে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোরকাস্ট ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসিএন হল একটি সামনের সারির বিমানে রাখা যোগাযোগ পুনঃপ্রেরণ এবং নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম, যা বহু সামরিক, সরকারি ও বেসরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে (Pakistan)।

    ইরানের পিঠে ছুরি!

    পাকিস্তান ইরানের পিঠে ছুরি মারতে পারে এমন কিছু ভাইরাল পোস্ট সামনে এল ঠিক সেই সময়, যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা। মুনির বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সফরে মুনিরকে আমেরিকায় পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। পাক নাগরিক এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের একটা অংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান (Viral Posts)। মুনির “পাকিস্তানের অপরাধী স্বৈরাচার” ও “ফ্যাসিবাদের সমর্থক” বলেও স্লোগান দেন তাঁরা। মুনিরকে “গণহত্যাকারী” বলেও দেগে দেন বিক্ষোভকারীরা।

    মুনিরকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে বলা হয়, “ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী পাকিস্তানি-আমেরিকানরা ফোর সিজনস হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জেনারেল আসিম মুনিরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর করা অপরাধের কথা (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, এর আগে এই সপ্তাহেই ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজায়ী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি ইজরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালাবে। এই মন্তব্যের পর পাকিস্তান অবশ্য দ্রুত তা অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয়, তারা এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি ইরানকে দেয়নি।

    পাকিস্তানের বক্তব্য

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের এক সিনিয়র অফিসার এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য বলেন, “ইজরায়েল যদি ইরানের ওপর পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে — এমন আশ্বাস আমাদের দিয়েছে পাকিস্তান।” যদিও এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ বলেন, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের পারমাণবিক সক্ষমতা আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য, শত্রুদের শত্রুতামূলক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে (Viral Posts)। আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের কোনও নীতি নেই, যা ইজরায়েল বর্তমানে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করছে (Pakistan)।”

    ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশে ৯০৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরান-পাকিস্তানের। গত বছরের জানুয়ারি মাসে সেই বালুচিস্তান সীমান্তেই সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ইরান ও পাকিস্তান। ওই প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-আল-আদেলের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করে মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। পাকিস্তানও পাল্টা মিসাইল ছোড়ে ইরানে। যদিও ইরানে বালুচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেই সেই সময় দাবি করেছিল ইসলামাবাদ।

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েলের সম্প্রতিক বিবাদে মূলত বালুচিস্তান নিয়েই শঙ্কিত পাকিস্তান। এমনিতেই সেখানে বালুচ বিদ্রোহীদের কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের। তার ওপর যদি প্রাণ বাঁচাতে ইরান থেকে বহু মানুষ দলে দলে সেখানে ভিড় করে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান (Viral Posts)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তাই আমেরিকাকে চটানো পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় (Pakistan)।

    অতএব, …

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

LinkedIn
Share