Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah: ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা যেন সোনার বাংলা গড়তে পারি’, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধন অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা যেন সোনার বাংলা গড়তে পারি’, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কাছে সোনার বাংলা গড়ার প্রার্থনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। চতুর্থীর সকালে কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে এল, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর এমনকী বাংলা ভাষার প্রসঙ্গও। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বরাবরই উদ্বোধন করে থাকেন অমিত শাহ। অমিত ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আর তাপস রায়। এই বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’।

    নির্বাচনের সুরও বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে বঙ্গে নির্বাচনের সুরও বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি বেলা ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ এই পুজো মণ্ডপে পৌঁছন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সন্ত্রাস দমনে ভারতীয় সেনা যে অভিযান চালিয়েছিল, তার ঝলক দেখা যাবে এই পুজো মণ্ডপে। আগামী বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটমুখী বঙ্গে অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, দাবি করছিল ওয়াকিবহাল মহল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পরে শাহের কণ্ঠে শোনা গেল রাজনীতির সুর। তিনি বলেন, ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, এই নির্বাচনের পর বাংলার এমন সরকার তৈরি হবে যা সোনার বাংলা নির্মাণ করতে পারবে। আমাদের বাংলা আবার সুরক্ষিত, সুজলা, সুফলা, শান্ত হবে।’

    বাংলা অস্মিতাতেও শান

    এদিন বাংলা অস্মিতাতেও শান দেন অমত। এদিন সকালে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপে পৌঁছে যান শাহ। জয় শ্রী রাম, ভারত মাতা কি জয়ের স্লোগানে সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। গোটা মণ্ডপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি মণ্ডপে মায়ের পুজো এবং আরতিও করেন। পুজোর থিমের অডিও ভিজুয়ালও দেখেন শাহ। এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে বিদ্যাসাগরকেও শ্রদ্ধা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলার শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শাহের কথায়, “শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে শিক্ষার প্রগতি আর নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর যে অবদান রেখেছেন, তা ভোলার নয়। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ব্যকরণ আর নারী শিক্ষার প্রসারে পুরো জীবন সমর্পণ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ আমি আমার তরফে আর বিজেপির কোটি কোটি কর্মীর তরফে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।”

    বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের প্রতি সমবেদনা

    এই প্রথম নয়, ২০২৩ সালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে কলকাতায় এসে উত্তর কলকাতার এই মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন। সে বার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ছিল রামমন্দির। চলতি সপ্তাহেই দুদিনের ভারী বৃষ্টিতে শহর কার্যত জলের তলায় চলে গেছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কথা বলে মৃতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, বিজেপির প্রত্যেক নেতা, কর্মী তাদের পাশে রয়েছেন। ভাষণের শেষে বিকশিত ভারতের উল্লেখ করে শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাংলার অগ্রগতি ছাড়া অসম্ভব। তাই তিনি আশা রাখেন, আগামী দিনে বাংলা আরও উন্নতি করবে, উন্নয়নের পথে হাঁটবে এবং বিকশিত ভারতের স্বপ্নও পূরণ হবে।

  • Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষের অবসান শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই দেবীপক্ষেই বাংলায় দেবীমূর্তির (Durga Puja) আবরণ উন্মোচন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থীর দিন দুপুরের মধ্যে কলকাতায় আসবেন শাহ। তার পরে শহরের দু’টি নামী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দেবেন তিনি। একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, অন্যটি ইজেডসিসির দুর্গাপুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামেই বিখ্যাত।

    থিমের অভিনবত্ব সজল ঘোষের পুজোয় (Amit Shah)

    থিমের অভিনবত্বের কারণেই ফি বছর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সজল ঘোষের পুজো। কখনও অযোধ্যার রামমন্দির, কখনও আবার দিল্লির লালকেল্লা করে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এবার এই পুজোর থিম হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। মূলত এই থিমেরই উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো এবার পা দিল ৯০ বছরে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করে শাহ (Amit Shah) যাবেন ইজেডসিসির পুজোর উদ্বোধন করতে। এই পুজোর আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামের এক সংগঠন। এই পুজো শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি তখন ছিলেন বিজেপিতে। পরে তৃণমূলেই ফিরে যান দলবদলু মুকুল। পুজো হয়েছিল তার পরের বছরও। পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের হচ্ছে সেই পুজোর আয়োজন। খুঁটিপুজোর দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপ উদ্বোধনেও যাবেন শাহ

    বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপ উদ্বোধনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেটি কোন মণ্ডপ কিংবা উদ্যোক্তাই বা কারা, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রটি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর লাগোয়া এলাকায়, তা নিশ্চিত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এ বছর তড়িঘড়ি করে পিতৃপক্ষেই ‘হিজাব’ পরে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার (Durga Puja) শাহকে এনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিমের উদ্বোধন করিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছে পদ্মশিবির (Amit Shah)।

  • Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত (Amit Shah) শাহ ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিটি প্রধান প্রতিবাদ আন্দোলনের খুঁটিনাটি স্টাডি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সমীক্ষায় প্রতিবাদের ধরণ খোঁজা হবে, অনুসন্ধান করা হবে অর্থ কারা জুগিয়েছিল, নেপথ্যেই বা ছিল কারা। পর্দার আড়ালে (India) থাকা সক্রিয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। নয়া জাতীয় প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রোটোকল তৈরি করতেই এই সমীক্ষা করা হবে।

    ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’ (Amit Shah)

    ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো নয়াদিল্লিতে আয়োজন করেছিল ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’-এর। সেখানেই দেওয়া হয় এই নির্দেশ। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যুরোকে অর্ধ শতাব্দীর বিভিন্ন গণআন্দোলনের কারণ এবং এর নেপথ্যে কারা, তা বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এতে জেপি আন্দোলন, এমারজেন্সি পর্বের অস্থিরতা, সিএএ-র প্রতিবাদ ও কৃষক আন্দোলন-সহ নানা সময়ের প্রতিবাদ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অমিত শাহের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের তিন পড়শি দেশে সংঘঠিত হওয়া বিভিন্ন গণঅভ্যুত্থান। সম্প্রতি এই গণঅভ্যুত্থানের জেরেই পতন হয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের সরকারের। অশান্ত হয়েছে ভারতের বিহার ও মণিপুর রাজ্য।

    গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ

    কোনও গণঅভ্যুত্থানই একদিনে সংগঠিত হয় না। এর ছক কষা হয় অনেক আগে থেকেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নেপথ্যে থাকে বিদেশি শক্তির হাত, আবার কোনও কোনও জায়গায় আন্দোলনে ইন্ধন জোগায় বিদেশি মদতপুষ্ট কোনও শক্তি। কেবল মদত জোগানোই নয়, আন্দোলন জিইয়ে রাখতে করা হয় অর্থায়নও। সেই কারণেই জানা দরকার ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন বিক্ষোভের মূল কারণ এবং তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে কারা। গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিক্ষোভের মূল কারণ কী, উদ্দীপকগুলিই বা কী খুঁজতে। অর্থ জুগিয়েছিল কে? সেই অর্থ কোথা থেকে কোথায় গিয়েছিল? এই সব বিক্ষোভের ফল কী হয়েছে? তারা কি রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনও পরিবর্তন সাধন করতে পেরেছ? যদি তা না হয়, তাহলে খামোকা আন্দোলন কেন? সব শেষে রয়েছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (India) প্রশ্নটি। এই সব আন্দোলনে অক্সিজেন জুগিয়েছে কারা? কোনও এনজিও, বিদেশি প্রতিষ্ঠান নাকি রাজনৈতিক কর্মচারীরা (Amit Shah)?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ

    এই অর্থ জোগানের ধরনও খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে গোয়েন্দাদের। শাহের মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই কাজ করবে ইডি, ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইন্ডিয়া এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস। এই সংস্থাগুলিকে একটি স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্যই হল আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে জঙ্গি নেটওয়ার্ক শনাক্ত করা। মনে রাখতে হবে, বিক্ষোভে অর্থের জোগান দেওয়াকে জাতীয় নিরাপত্তার সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে গণ্য করা হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আলাদাভাবে এনআইএ, বিএসএফ এবং এনসিবিকে নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেটওয়ার্ককে দুরমুশ করে দিতে সৃজনশীল কোনও কৌশল প্রণয়ন করতে। এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে এই নেটওয়ার্কের জেলবন্দি মাস্টারমাইন্ডদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলায় স্থানান্তর করা, যাতে তারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জঙ্গিদের এই চাঁইদের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলতে (India) পারলেই গুঁড়িয়ে যাবে আন্দোলনের কোমর (Amit Shah)।

    ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা

    একই সঙ্গে গোটা দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা করবে বিএপিআর অ্যান্ড ডি। অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে, দানা বাঁধতে না পারে কোনও আন্দোলন। কুম্ভমেলা কিংবা ঈদের মতো বড় ইভেন্টে রিয়েল-টাইম মনিটরিং, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গোয়েন্দা-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হবে এসওপি। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে বলেন,  “একটি প্রতিবাদ শুধু প্ল্যাকার্ড দেখানো নয় — এটি প্রায়ই একটি দাবার খেলা। আমাদের জানতে হবে কে প্যাউন সরাচ্ছে, কে অর্থায়ন করছে, এবং কীভাবেই বা স্বার্থান্বেষী পক্ষের হাত থেকে ভিন্নমতের লোকজনকে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে নিরস্ত করা যায় (Amit Shah)।”

    কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে?

    প্রশ্ন হল, এজন্য কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে? এই বছরেই সূচনা হয়েছিল জেপি আন্দোলনের। পরের বছরই জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের অর্থ হল, তারা বুঝতে চায় কীভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন রাজনৈতিক ভূমিকম্পে পরিণত হয় এবং কীভাবেই এগুলি বিশাল আকার ধারন করার আগে দমন করা যায়। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী এখন পুরোনো সিআইডি ফাইল ও গোয়েন্দা ইউনিটের আর্থিক ফরেনসিক শাখাকে সক্রিয় করে তুলছে। ভারত (India) আস্তিন গুটোচ্ছে তার ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রতিবাদ কর্মসূচির পশ্চাৎপর্যালোচনার কারণ জানতে (Amit Shah)।

  • Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরকারি বাসভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলল এই বৈঠক। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।

    বৈঠক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মনীয় শ্রী অমিত শাহ জির সাথে আজ ওনার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ওনার সাথে আলোচনা হয়েছে।’’ শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘ ব্যস্ততা সত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট মতো উনি আমাকে সময় দিয়েছেন এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’ শুধু রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়, বৈঠকে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণও জানান শুভেন্দু। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপুজোয় বাংলায় এসে মাতৃ আরাধনার সাক্ষী থাকতে অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমি আসন্ন দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’

    বৈঠকে উঠে এসেছে শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রসঙ্গও

    আলোচনার সময়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তা প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় তাঁকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সুরক্ষার বিষয়টিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সংগঠনকে সক্রিয় করে তোলার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও চাঙ্গা করে তোলা যায়, সেই রূপরেখা নিয়েই মূলত এদিনের বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের মতে, বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই তেলঙ্গানা পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। কয়েক দশক ধরে নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ আত্মসমর্পণ করেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেত্রী (Maoist Leader)। সুজাতা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তবে সোমবার এনকাউন্টারে খতম হল তিন মাওবাদী। এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। তিনিও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর নাম সহদেব সোরেন (Sahadev Soren)।

    ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান (Maoist Leader)

    সোমবার ছত্তিশগড়ের পর ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সহদেবের মাথার দাম ছিল কোটি টাকা। অনেক দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে তাঁর হদিশ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। এদিন সকাল ৬টায় জঙ্গলে ঢুকে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় দু’পক্ষে গুলির লড়াই। তাতেই নিকেশ হয় সহদেব। শীর্ষ এই মাওবাদী নেতা ছাড়াও এদিন নিকেশ করা হয়েছে আরও দুই মাওবাদীকে। এদের একজনের নাম রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল, আর অন্যজন হলেন বীরসেন গানঝু ওরফে রামকেলাওয়ান। রঘুনাথ ছিলেন বিহার-ঝাড়খণ্ড বিশেষ এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। বীরসেন ছিলেন ওই এলাকারই জোনাল কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা (Maoist Leader)।

    খতম সনাতন-সহ তিন মাওবাদী

    ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ সনাতন ওই এলাকায় রয়েছে শুনেই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। কোবরা ব্যাটেলিয়ান, গিরিডি থানা ও হাজারিবাগ থানার পুলিশ। তারা সটান চলে যায় সীমানা ঘেঁষা কারান্ডি গ্রামে। সেখানেই চলে অভিযান। শুরু হয় গুলির লড়াই। খতম হন সনাতন-সহ তিন মাওবাদী। এনকাউন্টার শেষে নিরাপত্তাবাহিনী গভীর জঙ্গল থেকে খতম হওয়া তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার গভীর জঙ্গলে এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত (Sahadev Soren) গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই গত চার মাসে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্যকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী (Maoist Leader)।

  • Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    Maoist Killed in Chhattisgarh: আগামী মার্চেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ, ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সাফল্যকে কুর্নিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে ফের বড় সাফল্য় পেল নিরাপত্তা বাহিনী ৷ গুলির লড়াইয়ে নিহত মাওবাদী (Maoist Killed in Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ। বৃহস্পতিবার, ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলায় একটি অভিযানে আরও ৯ জন নকশালপন্থীকে খতম করেছে পুলিশ। মাওবাদী নেতা মনোজ অনেকের কাছে মোডেম বালাকৃষ্ণ নামেও পরিচিত ছিল। তার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মনোজ থেকে শুরু করে বালানা, রামচন্দর ও ভাস্কর-সহ একাধিক নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বালাকৃষ্ণ৷ তাকে খতম করা অবশ্য়ই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য ৷ নিরপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷

    নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে খবর মেলে মইনপুর জঙ্গলে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে। রাতেই অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাওবাদীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই মোট ১০ জন মাওবাদী নিহত হয়। তার মধ্যেই অনেকেই প্রবীণ নেতা। যাদের অন্যতম হল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনোজ ওরফে মোডেম বালাকৃষ্ণ। যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এদিনই খবর এসেছে যে ছত্তিশগড়ের বস্তারে আত্মসমর্পণ করেছে ১৬ মাওবাদী। বুধবার রাতে বস্তারের নারায়ণপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।

    শাহি ফরমান

    নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ৷ কোবরা কমান্ডোদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন ছত্তিশগড় পুলিশের কর্মীরা ৷ তাতে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে ৷ এই তালিকায় ছিল মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় মডেম বালাকৃষ্ণ ওরফে মনোজ ৷ তার মাথার দাম ছিল কোটি টাকা !’’ অমিত শাহ মনে করেন, এখনও যে সমস্ত মাওবাদীরা সন্ত্রাসের পথে আছে তাদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা উচিত ৷ এদিন আরও একবার ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের সম্পূর্ণরূপে নিকেশ করার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি ৷

    মাও দমনে তৎপর কেন্দ্র

    দেশে মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্ণরূপে বন্ধ করতে ইতিমধ্য়েই তৎপরতা দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতীক অতীতেও একাধিকবার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে মাওবাদীদের অস্বিত্ব মুছে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য ৷ ঘোষণার পর থেকেই ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গায় আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে বাহিনী ৷ কখনও অভিযান করে মাওবাদীদের নিকেশ করা হচ্ছে, কখনও আবার তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে ৷ বহু মাওবদী ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে ৷ বাকিরাও যাতে দ্রুত এই পথে হাঁটে তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার ৷

  • Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camps) গড়ে তুলতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের গতি-প্রকৃতি সীমিত রাখতেই এই ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ রাখা হবে ওই ক্যাম্পে। মঙ্গলবার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫ এর প্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Amit Shah)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন বা জেলা কালেক্টর অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ জারি করে, কোনও ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হবে কি হবে না, সেই প্রশ্নটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিদেশি ট্রাইবুনালে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবে। এই বিদেশি ট্রাইবুনালে সর্বোচ্চ তিনজন আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ সদস্য থাকবেন, যাঁদের উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশি নয় বলে তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে এবং তার দাবির সমর্থনে জামিনের ব্যবস্থাও করতে না পারলে, সেক্ষেত্রে তাকে আটক করে হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে দেওয়া নাও হতে পারে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশি ভারতের কোনও পর্বতচূড়ায় আরোহণ করতে পারবেন না বা করার চেষ্টাও করতে পারবেন না। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি খাতে বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য বৈধ ভিসা থাকা কোনও বিদেশি ব্যক্তি, দেওয়ানি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুৎ বা জল সরবরাহ অথবা পেট্রোলিয়াম খাতের সঙ্গে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মানবাধিকার অথবা এ সংক্রান্ত অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশিকে নিয়োগ করতে পারবে না।”

    পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না!

    আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপাল বা ভুটানের নাগরিকদের স্থলপথে বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে এবং তারা নেপাল বা ভুটান ছাড়া (Detention Camps) অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ বা ভারত থেকে বের হলে, সে ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে চিন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান থেকে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এই নিয়ম তিব্বতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতে বসবাস করছেন বা যাঁরা ভারতে প্রবেশ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিভুক্ত করে নথিপত্র জোগাড় করেছেন, তাঁরা যদি ১৯৫৯ সালের পর কিন্তু ২০০৩ সালের ৩০ মে-র আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন (Amit Shah)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য 

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানরা, যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বৈধ নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা ভারতে ঢুকেছেন এবং বৈধ নথি ছাড়াই এসেছেন কিংবা বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করলেও, যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা আইন পুরোপুরি কার্যকর হবে না। তবে যাঁরা ছাড়ের আওতায় নেই, তাঁদের কঠোর নিয়ম মানতে হবে (Detention Camps)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তৈরি ডিটেনশন সেন্টারে তাঁদের আটকে রাখা হবে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত (Amit Shah)।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বাংলাভাষায় কথা বললেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে (Amit Shah)।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টাকে সফল ভাবে রুখে দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে নওশেরা নার এলাকায় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে, কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও কেউ সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোররাতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নওশেরা নার ৪’। গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয় এবং বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সেনার বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পর্কে পুলিশের দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুরেজ় সেক্টরে একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা ও পুলিশের একটি দল। সে সময় দুই সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে সেনা গুলি চালালে তারাও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।’’

    উপত্যকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে

    সম্প্রতি পহেলগাঁও কাণ্ড ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় (Indian Army) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দেখা হচ্ছে, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী লুকিয়ে রয়েছে কি না। গত মাসেই শ্রীনগরে (Jammu and Kashmir) ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি মুসা। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের লোকেশন জেনে নিয়েই অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা। লোকসভায় এই বিষয়ে বিবৃতিও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা চান জেল থেকে সরকার চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা। কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালালে তা গণতন্ত্রের গরিমাকে আহত করে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইস্তফার পর থেকে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে বিরোধীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানালেন, ‘অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’

    জেল থেকে সরকার চলুক

    ৩০ দিন জেলে থাকলেই ৩১ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিল নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের আবহে বিল নিয়ে অনড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “আসলে আজও এরা চেষ্টা করছেন, কখনও জেলে গেলেও জেলে বসেই সহজে সরকার চালিয়ে নেবেন। জেলকেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা প্রধানমন্ত্রীর দফতর বানিয়ে নেবেন। তারপর জেল থেকে ডিজিপি, মুখ্যসচিব, ক্যাবিনেট সচিব বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেবেন।” শাহের (Amit Shah) কথায়, “যদি জামিন পেয়ে যান তিনি শপথ নিয়ে পুনরায় পদ সামলাতেই পারেন। কিন্তু জেল থেকে সরকার চালানো কি উচিত?”

    অন্তর্ভুক্ত প্রধানমন্ত্রীর পদও

    অমিত শাহ জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে চেয়েছিলেন এই বিলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকেও অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি স্মরণ করালেন, ইন্দিরা গান্ধী ৩৯তম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের পদকে বিচারিক পর্যালোচনার বাইরে রেখেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার তার উল্টো পথে হেঁটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (130th Constitutional Amendment Bill) দেশের গণতন্ত্রের গরিমা রক্ষার জন্য আবশ্যিক।

    জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গ

    হঠাৎ সকলকে অবাক করে গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই নিয়ে তুমুল চর্চা, বিতর্কও হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে ধনখড়ের বিবাদের জল্পনাও উঠে আসে। সরকারের তরফে সে সময়ে কোনও বিবৃতি মেলেনি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন, “এই বিষয়টি দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।” সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জগদীপ ধনখড়ের কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ধনখড়জি যখন সাংবিধানিক পদে ছিলেন, তাঁর সময়কালে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ভালো কাজ করেছেন। ধনখড় সাহেবের ইস্তফাপত্রে স্পষ্ট যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও সরকারের বাকি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।”

    রাহুলের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন শাহের

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী (130th Constitutional Amendment Bill) ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতেই শাহের নিশানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ২০১৩ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলের ঘটনা প্রসঙ্গে শাহ বলেন,“লালুপ্রসাদ যাদবকে বাঁচাতে মনমোহন সিং সরকারের আনা অধ্যাদেশ কেন রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলেছিলেন? সেই দিন যদি তাঁর নীতিবোধ থেকে তিনি তা করে থাকেন, তাহলে এখন কী হলো? পরপর তিনটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কি আপনার নীতিবোধ বদলেছে? নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের কোনও সম্পর্ক নেই, বরং নৈতিক মূল্যবোধ চাঁদ-সূর্যের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।’এখানেই শেষ নয়, সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে শাহ বলেন, ‘নিজের দলের সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছিলেন যে রাহুল, তিনি এখন বিহার নির্বাচনে জেতার জন্য দোষী লালুপ্রসাদকে জড়িয়ে ধরছেন। তা হলে সেই দিন প্রতিবাদ করেছিলেন কেন। মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ইতিহাসের কাছে দোষী হয়ে গেলেন চিরজীবনের মতো।”

    জনগনকে জবাব দিতে হবে

    বিরোধীরা সংসদে বিল পেশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করছে, এ প্রসঙ্গে শাহ (Amit Shah) বললেন,“সংসদ কি শুধু শোরগোল করার জায়গা, না কি বিতর্কের জন্য? আমরাও অতীতে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু কোনও বিলকেই উপস্থাপন করতে না দেওয়া আসলে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। এর জবাব বিরোধীদের জনগণকে দিতেই হবে।” বিরোধীরা যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলকে (130th Constitutional Amendment Bill) ‘কালা আইন’ বলছে, তখন শাহ জবাব দিলেন, “দেশ কোনও একজন মানুষ ছাড়া চলবে না, এই ধারণা আমরা একেবারেই মানি না। একজন সরে গেলে দলের অন্য সদস্য সরকার চালাবেন। আর যখন জামিন পাবেন, তখন ফের পদে ফিরতে পারবেন। তাতে আপত্তি কোথায়?” এই বিল সংসদে পাশ হবে এবং কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরেরও অনেকে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিলকে সমর্থন করবেন বলে আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

  • PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দিন তিনেক আগেই ঝটিকা সফরে বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা করেছিলেন দমদমে। এবার তিনি যেতে পারেন নদিয়ায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন। পুজোর আগে বাংলায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। পুজোর আগে তিনি ২ বার বাংলায় আসতে পারেন। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তাই পুজোর মরসুমেও রাজনৈতিক পালাবদলের অপেক্ষা রাজ্যে। মহালয়ার আগে-পরে বড় পরিকল্পনা সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া চলছে বিজেপির (BJP)।

    পুজোর মুখে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। গত কয়েকদিনে তিন বার বঙ্গসফরে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। এদিকে পুজো উদ্বোধনে শহরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কারণ মহালয়ার আগের দিন আসছেন মোদি, পরের দিন শাহ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২২ সেপ্টেম্বর মোদি-শাহের উপর্যুপরি বঙ্গসফর দেবীপক্ষের প্রথম দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ তুঙ্গে রাখবে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে, এখনই পুজোর আগে মোদি-শাহের কর্মসূচি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    বাংলায় পর পর সভা প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপি সূত্রের খবর, দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক সক্রিয়তা বিন্দুমাত্র শিথিল করার পরিকল্পনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে (PM Modi in Bengal) বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। এক একটি বিভাগে সর্বোচ্চ পাঁচটি এবং সর্বনিম্ন তিনটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং রাজ্য নেতৃত্বের যৌথ সিদ্ধান্ত, ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যেক বিভাগে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি করে জনসভা হবে। শিলিগুড়ি বিভাগের আলিপুরদুয়ারে, বর্ধমান বিভাগের দুর্গাপুরে এবং কলকাতা বিভাগের দমদমে সেই জনসভা হয়ে গেছে। বাকি এখনও সাতটি বিভাগে সাতটি জনসভা। সেগুলির মধ্যে একটি পুজোর আগেই সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাকি ছ’টি হবে পুজোর পরে। তার জন্য পুজোর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে দু’বার করে বাংলায় আসতে পারেন মোদি।

    পরবর্তী সভা নদিয়ায়

    সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নদিয়ার নবদ্বীপে জোড়া সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। একটি প্রশাসনিক সভা আর একটি রাজনৈতিক সভা করার কথা তাঁর। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় নবদ্বীপ বিভাগের অধীনে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র পড়ে। রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। তার মধ্যে একমাত্র রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রই বিজেপির দখলে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সেই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই কোথাও আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মোদির ফের বঙ্গে পা রাখার আগে ২ বার বাংলা সফরে আসতে পারেন অমিত শাহ। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে প্রধান বক্তা অমিত শাহ। তবে জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। কারণ, ১১ হাজার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে একসঙ্গে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের পর পুজোর আগে আরও একবার বাংলায় আসার কথা শাহর। মহালয়ার পরের দিন, ২২ সেপ্টেম্বরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজোর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো হিসেবে পরিচিত এই দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আগেও এসেছেন তিনি। ওইদিনই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অংশ নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দু’বছর পরে ওই পুজোর আবার আয়োজন হচ্ছে ইজেডসিসিতে। ২০২০ সালে ইজেডসিসির এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অবশ্য কলকাতায় এসে নয়। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এবার শাহ কলকাতায় এসেই সে পুজোর উদ্বোধন করবেন। রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ গোটা আয়োজনের দায়িত্বে।

LinkedIn
Share