Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Pariksha Pe Charcha: পরীক্ষা চাপ নয়, উৎসব! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

    Pariksha Pe Charcha: পরীক্ষা চাপ নয়, উৎসব! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র (Pariksha Pe Charcha) মুকুটে নতুন পালক। রেকর্ড সংখ্যক নাম নথিভুক্ত করিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলে নিয়েছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিকপ্রসূত এই উদ্যোগ শুরু হয় ২০১৮ সালে। চলতি বছর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র জন্য সাড়ে ৩ কোটির বেশি নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম উঠেছে এই উদ্যোগের। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তরফে দিল্লিতে এই কথা ঘোষনা করেন ঋষি নাথ।

    মানসিক চাপ সরিয়ে পরীক্ষা শিক্ষার উৎসাহ

    কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র অষ্টম সংস্করণে এক মাসের মধেই ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-র জন্য। এছাড়াও টেলিভিশনের পর্দায় তা দেখেছেন ২১ কোটির বেশি মানুষ। এই অনুষ্ঠান পরীক্ষার মানসিক চাপ সরিয়ে পরীক্ষাকে শিক্ষার উৎসাহে পরিণত করেছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও চাপ ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে পারে, তার জন্য এই পরীক্ষা পে চর্চা শুরু হয়। এখন তা দেশজুড়ে উৎসবের আকার নিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরীক্ষা পে চর্চাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড টিমকেও ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

    অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এই উদ্যোগের সফলতার জন্য পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন, ‘এটি একটি রেকর্ড-ব্রেকিং কৃতিত্ব যা বিশ্বব্যাপী পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষার চাপ কমানোর ভূমিকা রেখেছে। এই জাতীয় একটি কর্মসূচি মানব সম্পদকে আরও উন্নত করার পথকে ত্বরান্বিত করে। এটি ভারতের জন্য সত্যিই গর্বের একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।’

    পরীক্ষা প্রেরণার উৎস

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষা পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পরীক্ষা পে চর্চাকে একটি অনন্য উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের একত্রিত করে সুস্থতা এবং চাপমুক্ত শিক্ষার প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র অষ্টম সংস্করণটি অনেকগুলো ভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, ছয় বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম এবং আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরুর মতো ব্যক্তিত্বরা যোগ দিয়েছিলেন। শুনিয়েছিলেন তাঁদের লড়াইয়ের কথা, যা প্রেরণা দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের।

  • Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) পদে থেকে রেকর্ড গড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপিরই লালকৃষ্ণ আডবাণী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ২ হাজার ২৫৬ দিন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহ। এ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ২ হাজার ২৫৮ দিন। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ১ হাজার ২১৮ দিন।

    রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক (Amit Shah)

    শাহের এই কৃতিত্ব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে শাহের এই অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আডবাণীর প্রকৃত উত্তরসূরি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন অমিত শাহ। তার আগে ওই কেন্দ্রে ছ’বার জিতেছিলেন বিজেপিরই এলকে আডবাণী। শাহ জেতার পর একে দেখা হয়েছিল একটি আদর্শগত দায়িত্বের প্রজন্মগত হস্তান্তর হিসেবে। বস্তুত, আজ সেই রূপান্তরটি প্রতীকে ও বাস্তবে সম্পূর্ণ হয়েছে। অমিত শাহ শুধু আডবাণীর দৃষ্টিভঙ্গির উত্তরাধিকারই নেননি, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন নিখুঁতভাবে। তিনি এমন এক কাজ করেছেন, যা বহুদিন ধরে বিজেপির ইডিওলজিক্যাল পূর্বসূরি – জনসংঘ, আএসএস এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো মহাপুরুষরা দাবি করে আসছিলেন।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এটি ছিল সেই ভাষণ, যা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ভাষণ হিসেবে উল্লিখিত হয়ে থাকবে। তিনি সংবিধানের ৩৭০(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এক আদেশ হাতে নিয়ে, “সংবিধান (জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগ) আদেশ, ২০১৯” উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমেই ১৯৫৪ সালের সেই আদেশ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিত। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে ছিল। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি ১২৫ ভোটে গৃহীত হয়। পরে লোকসভায় প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ৩৭০টি ভোট, বিপক্ষে মাত্রই ৭০টি। প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এরপর শাহের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুযায়ী রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় —  জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভা-সহ) এবং লাদাখ (Amit Shah)।

    বদলেছে ভূস্বর্গ

    ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর (Home Minister) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সন্ত্রাসের প্রতি শাহের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দৃঢ় সীমান্ত পারাপার অভিযানে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে এবং নজিরবিহীন পর্যটকের আগমনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

    মাও দমনে শাহের অবদান

    দেশে মাওবাদী দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ২২৫ জনের। অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে ‘লাল করিডর’ এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি জেলার মধ্যে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। শাহি জমানায়ই যেমন নিকেশ করা গিয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী চাঁইকে, তেমনই অস্ত্র ছেড়ে (Home Minister) সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন (Amit Shah) বহু মাওবাদী।

    তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ

    শাহি জমানায় ২০২৩ সালে আরও তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয় সংসদে। দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিক যুগের কলঙ্ক মুছতে পুরানো আইনগুলি বাতিল করে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়া কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এই তিন আইন হল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর পরিবর্তে চালু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এটি চালু হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির বদলে। ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Amit Shah)।

    পাশ সিএএ আইন

    অমিত শাহের জমানায়ই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০১৯। এই আইন ভারতের রাজনৈতিক (Home Minister) ইতিহাসে অন্যতম সাহসী এবং সামাজিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, যদিও মুসলমানদের এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের সভ্যতাগত কর্তব্য।” সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এছাড়া, তাঁর জমানায় তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুসলিম মহিলদের প্রতি হওয়া অন্যায় বন্ধ হয়।

  • JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (JK Statehood Bill)! অন্তত এমনই জল্পনায় ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। জল্পনার কারণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎ। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে বেরনোর পরপরই সেখানে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনিও। তার আগে শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু নেতা এবং বিজেপি প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার এনডিএর সাংসদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডেকেছেন।

    জম্মু-কাশ্মীর পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা! (JK Statehood Bill)

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৩৭০ ধারা। রাত পোহালেই ৫ অগাস্ট, ওই ঘটনার বর্ষপূর্তি। তার আগে কেন্দ্রের এই তৎপরতার জেরে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জল্পনা। জানা গিয়েছে, ৩ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অথচ, এই ধরনের বৈঠকের পর বিবৃতি প্রকাশ করে প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দু’দিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান সৎ শর্মা এবং লাদাখের উপরাজ্যপাল কভিন্দর গুপ্তার সঙ্গে। সোমবার অল জম্মু-কাশ্মীর শিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান রেজা আনসারিও সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্র-শাসিত ভূস্বর্গের বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে শাহকে অবহিত করেন আনসারি (JK Statehood Bill)।

    কী বললেন প্রাক্তন সেনাকর্তা

    প্রাক্তন সেনাকর্তা তথা লেখক কানওয়াল জিৎ সিং ধিলোঁ বলেন, “৫ অগাস্ট কী ঘোষণা হতে পারে, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে যে শান্তি ফিরে এসেছে, তা অনেক মূল্যবান মানবজীবনের বিনিময়ে এসেছে। আমাদের কোনও হঠকারী সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয়। এখন শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংহতিমূলক পর্যায় চলছে, তা স্থিতিশীল হতে দিন – আমরা যেন অস্থির হয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু না করি।” ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরতি টিক্কু সিং-ও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারে এমন গুঞ্জন জোরালোভাবে ছড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, গুজব চলছে যে কাশ্মীর ও জম্মুকে পৃথক করে দুটি আলাদা রাজ্যে পরিণত করা হতে পারে (PM Modi)। যদি এর যে কোনও একটি সত্যি হয়, তাহলে তার চেয়ে বড় বিপর্যয় আর কিছু হতে পারে না (JK Statehood Bill)।”

  • Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (বর্তমান) পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি তা ফিরিয়ে আনবে। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সাফল্যের জন্য ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানান। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, দেশে তোষণের রাজনীতি করাই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। তাদের অগ্রাধিকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা নয়, বরং ভোটব্যাঙ্ক।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর কংগ্রেসের সৃষ্টি

    ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গাফিলতিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের দখলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শাহ। বিরোধী দল কংগ্রেসের বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর, তা পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব!’’ জওহরলাল নেহরুর জমানায় সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানকে অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা কখনও পাকিস্তানকে ৮০ শতাংশ জল দেওয়ার বন্দোবন্ত করব না।’’ এ দিন রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় আগাগোড়া কংগ্রেসকে নিশানা করেন অমিত শাহ। সঙ্গে পিওকে পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে চিন্তা করতে হবে না। কংগ্রেস পিওকে-এর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সেই জমি ফিরিয়ে আনবে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতের হাতে ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনা বন্দি ছিল, সেই সময়ে চাইলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনা যেত। কিন্তু কংগ্রেস পারেনি।’’

    পাকিস্তানের মিত্র কংগ্রেস

    ইউপিএ জমানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হতো না বলেও অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান তখন ভারতকে ভয়ই পেত না। আমরা শুধু ডসিয়ার পাঠিয়ে যেতাম। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে পাকিস্তানকে ব্রহ্মোস মিসাইল পাঠিয়ে উত্তর দেওয়া হয়। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানে ভয় তৈরি করেছে। ভয় থেকেই শান্তি আসে।’’ পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অমিত শাহ। টেনে আনেন চিদম্বরমের মন্তব্য। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘চার জঙ্গি যে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল তার কী প্রমাণ আছে?’’অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে। কিন্তু মোদি সরকার চুপ করে বসে থাকেনি। যতদিন পি চিদাম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, ততদিন আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। ’’

    কাশ্মীরে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস

    কংগ্রেস আমলের কথা মনে করিয়ে বুধবার শাহ বলেন, “আমাদের কাছে যদি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থাকত তাহলে সন্ত্রাসবাদীরা কখনওই আসত না। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ কংগ্রেসের উপহার।” তাঁর দাবি, কংগ্রেস যেভাবে ৩৭০ ধারা সমর্থন করেছিল, তা আদতেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদ, বিচ্ছন্নতাবাদীদের হাত শক্ত করেছিল, তাঁদের উৎসাহিত করেছিল। ওই কথা বলেই থামেননি শাহ। তিনি আরও বলেন, “আমি যদি সেখানে থাকতাম, তাহলে দেশকে ভাঙতে দিতাম না। কংগ্রেস দীর্ঘ কয়েক দশক শাসন করলেও সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যার সমাধানে কিছু করেনি বলেও এ দিন অভিযোগ করেন অমিত শাহ। শাহের জোরাল দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য ১০০ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।” এদিন শাহের কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসে অপারেশন সিঁদুর থেকে অপারেশন মহাদেবের প্রসঙ্গ। কীভাবে অপারেশন চলেছিল, কীভাবে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে তার বিশদ বিবরণও দেন।

    ‘অপারেশন মহাদেব’ প্রসঙ্গ

    গত সোমবার সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতর্কের সূচনার পরেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্ত্রাসবাদী, সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা, জিবরান এবং হামজা আফগানি শ্রীনগরের অদূরে ভারতীয় সেনার প্যারাকমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। এই ঘটনা নিছক কাকতালীয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদের একাংশ। শাহ বুধবার বলেন, ‘‘ওই সন্ত্রাসবাদীদের কী আরও কিছু দিন বাঁচিয়ে রাখা উচিত ছিল? কেন ওদিন হত্যা করা উচিত হয়নি? কারণ ওদিন রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা ছিল? এভাবে চলতে পারে না। গোটা দেশ দেখছে যে কংগ্রেসের অগ্রাধিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নয়, বরং রাজনীতি, ভোট ব্যাঙ্ক।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার এবং আরও অনেকে চেয়েছিলেন, যেন তিন সন্ত্রাসবাদীর মাথায় গুলি করা হয়। অপারেশন মহাদেবে তাদের সেই পরিণতি হয়েছে।’’ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ পহেলগাঁওয়ের হত্যাকারীদের নিধনের অভিযানের ‘অপারেশন মহাদেব’ নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস এই অপারেশনের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আসলে কংগ্রেস প্রতিটি বিষয়কে হিন্দু-মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। অপারেশন মহাদেবে হিন্দু-মুসলিম খুঁজবেন না। ভুলে যাবেন না ছত্রপতি শিবাজি তাঁর সেনারা শত্রু নিধনের সময় ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতেন।’’

  • Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এ খতম জঙ্গিদের মাথারা, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ শেষ জঙ্গিরা’’, সংসদে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’ মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথাই বললেন অমিত শাহ।

    পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে খুন

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “নিরীহ পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সদস্যদের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমি এই হামলার নিন্দা করছি এবং যে সমস্ত পরিবার তাদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছে, তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি এক মহিলার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, যিনি বিয়ের মাত্র ছ’দিনের মাথায় স্বামীকে হারান। আমি ওই দৃশ্য কখনও ভুলতে পারব না। আমি এই সমস্ত পরিবারগুলিকে বলতে চাই, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গিদের মাথাদের নিকেশ করে দিয়েছিলেন। এখন ‘অপারেশন মহাদেব’-এর মাধ্যমে আমাদের সেনা ও সিআরপিএফ জঙ্গিদেরও শেষ করে দিয়েছে।’’

    প্রমাণ পেশ করলেন অমিত শাহ

    এদিন বক্তব্য পেশ করার সময় জঙ্গিরা সত্যিই পাকিস্তানি কিনা তা প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অমিত শাহ বলেন, “গতকালের অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন জঙ্গি- সুলেমান, আফগান এবং জিবরান নিহত হয়েছে। বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে? আজ আমি তার সমস্ত প্রমাণ দেব।’’ এরপরেই তিনি পহেলগাঁও হামলার স্থল থেকে প্রাপ্ত কার্তুজ, জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এমনকী জঙ্গিদের কাছে থাকা পাকিস্তানি চকোলেটের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেন।

    পাকিস্তানের ভোটার কার্ড, পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট

    কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, নিহত সুলেমানের আরও একটি নাম ছিল। হাসিম মুসা। পাকিস্তানি সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) কমান্ডো ছিল। পরে হাফিজ সইদের হাত ধরে নাম লেখিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনে। শাহের কথায়, ‘‘আফগান ও জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি।” এরা সবাই পাকিস্তানের নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ এদিন জানান, জঙ্গিদের পাকিস্তানি পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের ভোটার কার্ড এবং পাকিস্তানে তৈরি চকোলেট উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিদেশি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু’টি একে-৪৭ ভেরিয়েন্ট এবং একটি আমেরিকান এম-৪ কার্বাইন। এছাড়া ছিল, রোমানিয়ার মডেল ৯০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ও রাশিয়ার একেএম ৭.৬২ ভেরিয়েন্ট রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে।

    ১০০ শতাংশ ম্যাচিং পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

    এখানেই থেমে থাকেননি অমিত শাহ। এর পরেই তিনি নিহত জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অমিত শাহ জানান, হাজারের বেশি মানুষ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ হাজার ঘণ্টা তদন্ত চলেছে। তারপরেই এই জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা। এমনকি, এই সন্ত্রাসবাদীদের দেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার-পরিজনেরাও। যারা জঙ্গিদের খাবার সরবরাহ করত তাদের আগেই আটক করা হয়েছিল। জঙ্গিদের মৃতদেহ শ্রীনগরে নিয়ে আসার পর আটক হওয়া ব্যক্তিরা ওই তিন জনকে শনাক্ত করেছে। এর পর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও বন্দুকগুলি দ্রুত চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দেখা যায়, এগুলিই পহেলগাঁও হামলার সময়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। ছয়জন বিশেষজ্ঞ বলছেন—ম্যাচ ১০০ শতাংশ।”

  • Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীনগরে হওয়া ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে শাহ এও জানিয়ে দেন, নিহতরা পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও বিদেশি।

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই মঙ্গলবার, লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমত শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গি সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হয়েছে। এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

    ‘‘ভেবেছিলাম তাঁরা খুশি হবেন’’, বিরোধীদের তোপ শাহের

    সোমবার সোমবার ৩ জঙ্গি নিকেশের পরেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, এরাই কি পহেলগাঁও হামলার তিন জঙ্গি? এদের পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ কী? এই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।” এর সঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, নিহত তিন জঙ্গি যে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথমে জঙ্গিদের খাবার জোগানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দেখানো হয়। তারা সকলেই জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে।

    জঙ্গিদের বন্দুক-গুলি যায় ফরেন্সিক পরীক্ষায়

    এছাড়া, জঙ্গিদের থেকে পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে পাকিস্তানি চকোলেট।  জঙ্গিদের ডেরা থেকে তাঁদের ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্রও মিলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাতেও থেমে থাকেনি সরকার। নিহত জঙ্গিদের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারের সেনা অপারেশনে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত বুলেটের খোল এবং বন্দুক উদ্ধার করে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। মিলিয়ে দেখা হয় পহেলগাঁও হামলার ব্যালিস্টিক রিপোর্টের সঙ্গে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তিন জনের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় কেন্দ্র।

  • Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে না বিরোধীরা। অন্য দেশের বক্তব্যকে মান্যতা দেয়। বিরোধী দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আছে। তাই তারা দেশের সংসদে বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাই থাকতে হবে। সরাসরি নাম না করে সংসদেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিদেশমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এদিন বিরোধীদের তোপ দাগেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ

    সংসদে বিরোধীদের তোপ দেগে শাহ (Amit Shah) বলেন,“ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে বিশ্বাস নেই বিরোধীদের। অথচ অন্য দেশের বক্তব্যে তাদের আস্থা আছে। এই নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। তাদের দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আমি বুঝি। তার মানে এই নয়, দলের বিষয় এখানেও চাপাবে। এই কারণে তারা বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছে। এবং আগামী ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসে থাকবে।” বারবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে নিজের অবদান জাহির করে কৃতিত্বের দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সেই মর্মেই লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ ডিবেটে ভাষণ রাখতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর হট্টগোলের মুখোমুখি হন।

    জয়শঙ্করের দাবি

    পহেলগাঁও হামলার দিন অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও কথা হয়নি বলে সংসদে জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, গত ৯ জুন জেডি ভান্স প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের তরফে হামলা হবে। প্রধানমন্ত্রীও তখন বলেছিলেন, পাকিস্তান হামলা করলে তার যোগ‍্য জবাব দেবে ভারত। আর ভারত সেটা দিয়েছে বলেই উল্লেখ করেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা ১০ তারিখে ফোন পাই যে পাকিস্তান আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা জানাই, পাকিস্তান চাইলে তারা সরাসরি কথা বলুক। এটুকুই হয়েছিল।” বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদে হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। তখনই বিরোধী সাংসদদের আচরণে বিরক্ত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অমিত শাহ।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

LinkedIn
Share