Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    Amit Shah: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সৌগত রায়কে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার সংসদে ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তৃণমূলের সাংসদ বলেন, বিজেপি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই এটা বাতিল করেছে, কাশ্মীরিদের লাভের জন্য নয়। সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলে ওঠেন, ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে!’’ প্রসঙ্গত, নিজের করা মন্তব্যের জন্য বারংবার বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সৌগত রায়কে। কখনও দলের ভিতরে, কখনও বা দলের বাইরে। দিন কয়েক আগে তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। এদিন ফের সংসদ ভবনে খোঁচা খেতে হল তৃণমূলের নারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এই সাংসদকে।

    দেশের অখণ্ডতা রক্ষার স্লোগানও সৌগতর চোখে রাজনৈতিক!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনসঙ্ঘ গঠিত হয় ১৯৫১ সালে। তারপরেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৩ সালের ১১ মে বিনা পারমিটে তিনি কাশ্মীরে প্রবেশ করতে গেলে শেখ আবদুল্লার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জেলবন্দি অবস্থায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় কাশ্মীরে ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন। ৩৭০ ধারা বাতিল যে দেশের অখণ্ডতার স্বার্থেই প্রয়োজন, তা মনে করতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জনসঙ্ঘের তখনকার স্লোগান ছিল, ‘এক প্রধান, এক বিধান, এক নিশান’। দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে দেওয়া এই স্লোগানকে এদিন রাজনৈতিক স্লোগান বলে আখ্যা দেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    সৌগতর এই কথা শুনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) উঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘‘এটা খুবই আপত্তিজনক কথা। এক দেশে এক নিশান, এক প্রধান ও এক বিধান থাকবে… একে রাজনৈতিক বিবৃতি বলা হচ্ছে! আমার মনে হয় দাদা আপনার বয়স হয়ে গিয়েছে। এক দেশে দু’জন প্রধানমন্ত্রী কী করে থাকবেন, এক দেশে দু’রকম সংবিধান কীভাবে থাকবে, এক দেশে দু’রকম নিশানই (পতাকা) বা কীভাবে থাকবে। যাঁরা এই কাজ করে গিয়েছিলেন, তাঁরা মহা ভুল করেছেন। নরেন্দ্র মোদি তা শুধরে দিয়ে ঠিকই করেছেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের (BSF) কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।’’  তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ আমাদের দেশবাসী কখনও উদ্বিগ্ন হয় না কারণ তারা জানে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখে বিএসএফ। পাকিস্তান বর্ডার হোক অথবা বাংলাদেশ বর্ডার। সবটাই বিএসএফের আওতায় আসে। যখনই শত্রুপক্ষ অনুপ্রবেশ করতে চায় তখনই সীমান্তে একটা টেনশনের পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু বিএসএফের (BSF) জওয়ানরা জানিয়ে দেন যে আপনারা শান্তিতে ঘুমোন আমরা আছি।’’

    যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই

    অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের (বিএসএফ) কাজে গর্বিত। আমি আপনাদের বলতে চাই যে সারা দেশে আমাকে ভ্রমণ করতে হয়। সারা দেশেই আপনাদেরকে নিয়ে গর্বিত এবং আমাদের সাহসী জওয়ানদের দেশবাসী স্যালুট জানায়।’’ এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে জি২০ প্রসঙ্গ এবং চন্দ্রযান-৩ মিশনও। তিনি জানান এগুলি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হতে পেরেছে, কারণ আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে বিএসএফের (BSF) হাতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘‘একটি দেশ কখনই উন্নত হতে পারে না এবং সমৃদ্ধ হতে পারে না যতক্ষণ তার বর্ডার অসুরক্ষিত থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে বিএসএফই হল ভারতবর্ষের উন্নয়নের ভিত্তি। কারণ তারা সীমান্তকে সুরক্ষিত রেখেছে।’’

    প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি এদিন বিএসএফের (BSF) প্রতিষ্ঠা দিবসে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UNLF: মণিপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ-এর আত্মসমর্পণ, কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্থাপন

    UNLF: মণিপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ-এর আত্মসমর্পণ, কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসার আগুনে জ্বলে উঠেছিল মণিপুর। রক্তপাত, হানাহানি, লুট, হত্যা এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছিল। গত মে মাস থেকে অশান্ত হতে থাকা মণিপুর এখনও বেশ খানিকটা থমথমে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে কুখ্যাত উগ্রপন্থী সংগঠন ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (UNLF) এর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই ঘটনাকে একটি মাইলস্টোন বলেও আখ্যা দিয়েছেন শাহ।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) শাহ লেখেন, ‘‘একটি মাইলফলক তৈরি হল। উত্তর-পূর্বে স্থায়ী ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মোদি সরকার যে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত হল। United National Liberationn Front আজ দিল্লিতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইউএনএলএফ মণিপুরের সবচেয়ে প্রাচীন সশস্ত্র সংগঠন। হিংসা ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে রাজি হয়েছে তারা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ওদের স্বাগত জানাই, শান্তি এবং প্রগতির জন্য শুভেচ্ছা রইল’’

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ইউএনএলএফ-এর সঙ্গে ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকার যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তাতে ছয় দশকের সশস্ত্র আন্দোলনে সমাপ্তির সূচনা ঘটল। সকলের উন্নয়নে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর-পূর্বের যুবসমাজের জন্য সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। তাঁর এই লক্ষ্য অর্জনের পথে এটি একটি মাইলফলক।’’

    কী বলছে UNLF?

    শাহের ট্যুইটের পর ইউএনএলএফ-এর চেয়ারম্যান লামজিংবা খানদোংবাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারত সরকারের সঙ্গে আজ যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করলাম আমরা।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে ইউএনএলএফ প্রতিষ্ঠা করেন এ সমরেন্দ্র সিং। গত ১৩ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আটটি মেইতেই গোষ্ঠীর জঙ্গি সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করেন। এই সংগঠনগুলির মধ্যে ছিল ইউএনএলএফ-ও। এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তিনি বলেন, ‘‘মোদিজীর নেতৃত্বে ইউএনএলএফ শান্তির পথ বাছল। আমি আশাবাদী এই রাজ্যে থাকা অন্যান্য জঙ্গি যারা অস্ত্র হাতে ধরেছে, তারাও খুব শীঘ্রই শান্তির পথ ধরে নেবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ধর্মতলায় বিজেপির ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানান। তবে নিয়ো-দুর্নীতি এবং রেশনকাণ্ড নিয়ে তাঁর গলায় ছিল আক্রমণাত্মক সুর। এমনিতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা জেলের ঘানি টানছেন। তাঁদের নিয়ে দল যথেষ্ট বিব্রত। তার ওপর এদিন অমিত শাহের আক্রমণ কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। তিনি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেন। তারপরই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। আপনি পারবেন না। যারা নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।”

    হিসাব দিয়ে জবাব (Amit Shah)

    কেন্দ্র টাকার অঙ্কে রাজ্যকে ভরিয়ে দিলেও তা যে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে না, এটা নিয়েই বাংলায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, মোদির দেওয়া টাকা রাজ্যে চুরি করছে শাসকদল। মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। যাঁর হাতে দেখা যেত আধ-পোড়া বিড়ি, তিনি এখন খাচ্ছেন দামী সিগারেট। মমতা নিজের দলের এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন। মোদি টাকা আটকে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। অমিত শাহর (Amit Shah) ভাষণে এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার দশ বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ার অভিযোগ শুধু মুখে নয়, এভাবে হিসাব দিয়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। শাহের দাবি, মোদি সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জন্যই তা বাংলার গরিব মানুষ হাতে পাচ্ছে না। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোটে সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।

    রাজ্যে দারিদ্রতা কমেনি (Amit Shah)

    দুর্নীতি ইস্যুতে শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, সব জায়গায় দারিদ্রতা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেনি। যে বাংলা সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, স্বাধীনতা, উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক নম্বরে ছিল, সেই বাংলাকে দিদি পিছিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, আপনারা একবার পুরো দেশের বিকাশ দেখুন। মোদি কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। শৌচালয়, রেশন, বাড়ি, ৫ লাখের বিমা, কোভিড টিকা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সভায় (BJP Rally) যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আসতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ক্যাম্প করে দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে সভায় হাজির হয়েছেন।

    আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে সকালের ট্রেনেই কর্মীদের ভিড় (BJP Rally)

    এদিন সকালে আসানসোল স্টেশনে আসানসোলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সকালের ট্রেনগুলিতে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় কর্মীরা মিছিল করে স্টেশনে জমায়েত হন। ভোর থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা যত গড়িয়েছে সভায় (BJP Rally) যাওয়ার জন্য ট্রেনে কর্মীদের ভিড় বেড়়েছে।

    বর্ধমানে তৃণমূলীদের বাধার মুখে বিজেপি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভার উদ্দেশে (BJP Rally) যেতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বর্ধমান শহর থেকে ট্রেন ও বাসে করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে চাপতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। জেলা বিজেপির নেতা মনোজ মাহাত বলেন, এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনপথে কোনও বাধা আমাদের আসেনি। তবে, বাসপথে দলীয় কর্মীদের বহু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তবে, অনেক জায়গায় তৃণমূলের শত বাধা পেরিয়ে কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে দশটার ট্রেনেও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    ট্রেনে আসা কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জনপ্লাবন

    বারাকপুর, বারাসত, বনগাঁ, চুঁচুড়া, কৃষ্ণনগর, গেদে, বহরমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে এদিন সকালের ট্রেনগুলিতে কর্মীদের ভি়ড় উপচে পড়ে। অধিকাংশ ট্রেনেই হাজার হাজার কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল থেকেই হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জন প্লাবনের আকার নেয়। পাশাপাশি বাস, প্রাইভেট গাড়়ি করেও হাজার হাজার কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় আজ বিজেপির ‘শাহি সভা’। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে গত কাল রাতেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কিছু পরে সেখানে হাজির হন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। বুধবার ঠিক দুপুর দুটোর সময় বিজেপির সভাতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    তফশিলি সমাজের প্রতিনিধি চন্দনা বাউড়ি

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মঞ্চে প্রথম বক্তা হিসেবে দেখা যাবে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের চন্দনাকে গত বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়ার টিকিট দেয় বিজেপি। তিনি জিতেও আসেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে শোনা যায় চন্দনার কথা। তফশিলি সমাজের এই মুখকে রাজ্য বিজেপি প্রথম বক্তা হিসেবে রেখেছে।

    বক্তব্য রাখার সময়সীমা

    জানা গিয়েছে, একেবারে শেষে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাঝখানে প্রত্যেক বিজেপি (BJP) নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের বক্তব্য রাখতে দেখা যাবে। তবে প্রত্যেকেরই বক্তব্য রাখার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষেরও। উত্তরবঙ্গের কর্মীদের ট্রেনে চাপার ভিডিও ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

    অমিত শাহকে স্বাগত জানাবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথম থেকেই মঞ্চে দেখা যাবে না। তার কারণ তাঁরা দুজনেই কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহ নামবেন ঠিক বেলা ১টার সময়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে তাঁর বিশেষ বিমান রওনা দেবে ১১ টা ৫ মিনিটে। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি হেলিকপ্টারে আসবেন রেসকোর্সের মাঠে। সেখান থেকে সড়কপথে অমিত শাহের কনভয় ঠিক দুপুর দুটোর সময় যাবে সভার স্থলে। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গী হিসেবেই দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। বেলা দুটোর সময় অমিত শাহ মঞ্চে আসার পরে বক্তব্য রাখবেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক দুপুর আড়াইটার সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর জনসভা থেকে ফের রেসকোর্সের দিকে তিনি রওনা দেবেন বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ।

    সকাল ১০টা থেকে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে বিজেপির সভা অবশ্য কাল ১০টা থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলের বিধায়ক তথা খ্যাতনামা কবিয়াল অসীম সরকার গান গাইবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজেপির (BJP) কালচারাল সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কবিতা আবৃত্তি করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজ্য নেতারা (BJP) বক্তব্য রাখতে শুরু করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি’ সভা, মঞ্চ ঘুরে দেখলেন শুভেন্দু, সুকান্ত রাঁধলেন খিচুড়ি

    BJP: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি’ সভা, মঞ্চ ঘুরে দেখলেন শুভেন্দু, সুকান্ত রাঁধলেন খিচুড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ধর্মতলায় ‘শাহি সভা’। বিজেপি কর্মীরা গতকাল রাত থেকেই কলকাতায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। জেলাগুলি থেকে রাতের ট্রেন ধরেই আসছেন বিজেপি কর্মীরা। ধর্মতলায় মঙ্গলবার রাতেই সভামঞ্চ পরিদর্শন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে দেখা যায় বিজেপির (BJP) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে, শিয়ালদা স্টেশনেই করা হয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিজেপি কর্মীদের বিশ্রাম ও খাবারের ব্যবস্থা। সেই স্থান তদারকি করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তাঁকে খিচুড়ি রান্নাতে হাত লাগাতেও দেখা যায়।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    ধর্মতলার সভাস্থানে শুভেন্দু অধিকারী জানান, দূর-দূরান্ত থেকে যে সমস্ত বিজেপি (BJP) কর্মীরা আসছেন, তাঁদের থাকার ও খাবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছয় নম্বর মুরলিধর সেন লেনের রাজ্য দফতরের সামনেও রাতে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বাঁকুড়া থেকেই রাতে পৌঁছে যায় একটি বিশেষ ট্রেন। বিজেপির (BJP) বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত উপভোক্তাদের অমিত শাহের সভায় হাজির করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বিশেষ ট্রেনে এসেছেন ১৫ হাজার লোক। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে আরও ন’টি ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি। ধর্মতলায় অমিত শাহ ঠিক ৯ বছর আগে ২০১৪ সালে ৩০ নভেম্বর সমাবেশ করেছিলেন। তখন অবশ্য তিনি শুধুই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল না। সেই সময় বিজেপি রাজ্যে উত্থান দিবস পালন করে। তারপর থেকে যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে রাজ্যে। গেরুয়া শিবির বর্তমানে বিরোধী দলের জায়গায় রয়েছে। এইরকম অবস্থায় আজকের বিজেপির সভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    সভা ঘিরে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক জনসংযোগ বিজেপির

    সভা ঘিরে ব্যাপক জনসংযোগের কর্মসূচিও গ্রহণ করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার, প্রত্যেকেই রাজ্য চষে বেরিয়েছেন সভা সফল করতে। নানা ছোট-বড় পথসভা, দেওয়াল লিখন সবটাই করেছে গেরুয়া শিবির। গতকাল মঙ্গলবারও বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে মাইক বেঁধে টোটোতে প্রচার করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির সভা সফল করতে কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল একটি থিম সং। এবার প্রকাশিত হল একটি মিউজিক ভিডিও। ওই মিউজিক ভিডিওতে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, রুদ্রনীল ঘোষ, তরুণজ্যোতি তেওয়ারি, প্রীতম দত্তদের দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তরুণ নেতারা বিজেপির সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা, ট্রেনে-বাসে জেলা থেকে দলে দলে আসছেন বিজেপি কর্মীরা

    BJP Rally: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা, ট্রেনে-বাসে জেলা থেকে দলে দলে আসছেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির (BJP Rally) বিক্ষোভসভা। সভায় যোগদান করবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও এই সভায় প্রথমে রাজ্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে মামলা হয় এবং বিচারপতির নির্দেশে এই সভার অনুমতি মেলে। বিজেপির এই সভার মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্য জুড়ে চলা তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধাকে কার্যকর না করে সাধারণ মানুষকে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদসভা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকে আসবেন বিজেপি কর্মীরা। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসবে বিশেষ ট্রেন। জমায়েত হবেন লক্ষ লক্ষ বিজেপি কর্মী।

    উত্তরবঙ্গ থেকে আসবে বিশেষ ট্রেন (BJP Rally)

    উত্তরবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের আনার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের। মঙ্গলবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্রেনে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে দলে দলে বিজেপি কর্মীরা কলকাতার সভায় যোগদান করবেন। এদিন রাতেই মালদা থেকে আরও একটি ট্রেন বিজেপি (BJP rally) কর্মীদের নিয়ে আসবে। এই ট্রেনে দক্ষিণ মালদা, উত্তর মালদার সাংগঠনিক কার্যকর্তা এবং কর্মীরা আসবেন বলে জানা গিয়েছে। সাড়ে চার হাজার কার্যকর্তা এই ট্রেনে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনে মোট ২২টি বগি থাকবে। মালদা থেকে ট্রেনটি ফরাক্কা হয়ে একে একে জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, কাটোয়া, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছবে ভোর পাঁচটায়। পাশাপাশি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থেকে মঙ্গলবার রাত দশটায় একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়া হবে। ট্রেনটি গঙ্গারামপুর, গাজোল, মালদা, আজিমগঞ্জ কাটোয়া, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে ভোর ছ’টায় শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাবে। এই ট্রেনে আসবেন বিজেপির(BJP Rally) বুথ, মণ্ডল এবং জেলাস্তরের অসংখ্য কর্মী।

    দক্ষিণবঙ্গেও ব্যবস্থা করা হয়েছে ট্রেনের

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, আসানসোল, নদিয়া থেকে একটি করে ট্রেনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও মেদিনীপুর থেকে ২টি বিশেষ ট্রেনে বিজেপি (BJP Rally) সমর্থকরা কলকাতায় পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, বীরভূমের বোলপুর থেকে একটি পৃথক ট্রেনে করে গেরুয়া সমর্থকরা আসবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কলকাতা সংলগ্ন শহর-শহরতলি থেকে বহু বাস, লরি, ম্যাটাডোর ভাড়া করা হয়েছে। আসবেন লক্ষ লক্ষ বিজেপির কর্মী সমর্থরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছর বাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করতে চলেছে বিজেপি (BJP Rally)। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ধর্মতলায় চলছে মঞ্চ বাঁধার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাস্থলের কাজ খতিয়ে দেখতে সেখানে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ‘শাহি’ সমাবেশ

    সভায় বঞ্চিতদের নিয়ে আসতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সুকান্ত বলেন, “বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী।” ওয়াই চ্যানেলের সামনে এর আগে ‘শাহি’ সমাবেশ হয়েছে ২০১৪ সালে। তবে তখন অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। সেই সভায়ও তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সেবারও ইস্যু ছিল তৃণমূলের দুর্নীতি। এই ন’ বছরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজ্যে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছে বিজেপি।

    কলঙ্কের কালি তৃণমূলের গায়ে 

    ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের গায়ে লেগেছে একাধিক কলঙ্কের কালি। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, তেমনি রয়েছে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি। কয়লা ও গরু পাচারের আঁশটে গন্ধও লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। এহেন আবহে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির (BJP Rally) রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই সরকারের দুর্নীতির শেষ নেই। চাল চুরি, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে কয়লা চুরি, সব কিছুই দেখেছেন রাজ্যবাসী। শিক্ষিত ছেলেদের চাকরি নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি কর্মীদের সব কিছু থেকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেই আগামিকাল আমাদের সমাবেশ।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা। সুকান্ত বলেন, “গেরুয়া সমর্থকরা ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাতেও অনেকে চলে আসবেন। আগামিকাল রাজপথে গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন শহরবাসী। স্তব্ধ হয়ে যাবে গোটা কলকাতা।” তিনি বলেন, “আগেরবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এবার যদি ফের পুলিশ বাধা দেয়, তবে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। আমাদের কর্মীরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কাল কিছু হয়, তাহলে আমরাও প্রতিবাদ জানাব (BJP Rally)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share