Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Parliament Security Breach:  সংসদে হানার ঘটনায় ৮ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মোদি

    Parliament Security Breach: সংসদে হানার ঘটনায় ৮ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই লোকসভায় (Parliament Security Breach) স্মোক গ্রেনেড নিয়ে হানা দেয় দুই যুবক। এর জেরে লোকসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দিল্লি পুলিশের আট কর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। জানা গিয়েছে রামপাল, অরবিন্দ, বীর, গণেশ, অনিল, প্রদীপ, নরেন্দ্র এবং বিমিত এই ৮ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সংসদের এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। জানা গিয়েছে তাতে উপস্থিত থাকছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সহ অনেকেই। 

    সংসদ হামলা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ, গ্রেফতার ৫ জন

    বুধবার সংসদ ভবনে (Parliament Security Breach) যে ঘটনা ঘটে, তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ওই তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর অনীশ দয়াল সিং। অন্যদিকে সংসদ হামলার পরেই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা হল— সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি, নীলম ও আনমোল। এদের মধ্যে ভিতরে ছিল সাগর ও মনোরঞ্জন। এরপরে পঞ্চম জনকেও গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাতেই হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে। বিশাল শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে সংসদে যারা স্মোক গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং বাইরে যারা স্লোগান দিয়েছে, তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল সে (Parliament Security Breach)। গোটা ঘটনায় ৬ জনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ললিত ঝা নামের সেই ষষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিচ্ছিন্নতাবাদকেই প্রশয় দিচ্ছিল, রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিচ্ছিন্নতাবাদকেই প্রশয় দিচ্ছিল, রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই বেরিয়েছে ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়। কেন্দ্রের সিন্ধান্ত যে অসাংবিধানিক নয়, তা সাফ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পরেই ‘সুপ্রিম রায়’কে হাতিয়ার করে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় বলেন, ‘‘৩৭০ ধারাই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল।’’ তবে অমিত শাহ যে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেননি, সেটাও তিনি নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন, মুসলিমরা বেশি সংখ্যায় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও এরকম অনেক রাজ্য রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও রকমের সন্ত্রাসবাদ নেই কারণ ৩৭০ ধারাই (Article 370) সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল।

    খুশি নয় কংগ্রেস

    অমিত শাহ এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে হয়তো কংগ্রেস নেতারা খুশি নন এবং তাঁরা প্রকাশ্যেই বলছেন যে তাঁরা এই রায়ের সঙ্গে একমত নন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেয় মোদি সরকার। এর পর থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা জমা হতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে। সব মামলাগুলিকে এক করে সোমবার রায়দান করে শীর্ষ আদালত। এদিন কাশ্মীর ইস্যুতে নেহরু সরকারকেও তুলোধনা করেন অমিত শাহ।

    কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু

    সোমবার রাজ্যসভায় শাহ বলেন, ‘‘কাশ্মীর ইস্যুতে যে দুটি বড় ভুল করেছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু।’’ এরপর অমিত শাহ নেহরুর একটি উদ্ধৃতি পড়তে শুরু করেন। সেটি হল, ‘‘সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটা ভালো মনে হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়টা আমরা ঠিক ভাবে সামলাতে পারিনি। পরিস্থিতিটা বুঝতে পারিনি। আরও কিছুটা ভাবনা-চিন্তা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’’ প্রসঙ্গত, নেহরুর আমলে পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ই ভারতীয় সেনা যদি আর ২ দিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকত, তাহলে গোটা উপত্যকা ভারতের হত বলে এদিন রাজ্যসভায় শাহ জানান। শাহ দাবি করেন, তিনি যে উদ্ধৃতি পড়েছেন, সেটা বলেছিলেন স্বয়ং নেহরু। তার পরেই বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, ‘‘এবার তো ওঁর কথা মেনে নেবেন… মানবেন যে উনি ভুল করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: এবিভিপির ৬৯তম সম্মেলনে হাজির অমিত শাহ, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    ABVP: এবিভিপির ৬৯তম সম্মেলনে হাজির অমিত শাহ, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই দিল্লিতে শুরু হয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৬৯তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুক্রবারই সম্মেলনের প্রকাশ্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, ছাত্র জীবনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদেরই কর্মী ছিলেন অমিত শাহ। এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে রামমন্দির থেকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ।

    কী বললেন অমিত শাহ

    এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আমরা স্লোগান দিতাম, ‘কাশ্মীর হো ইয়া গুয়াহাটি, আপনা দেশ, আপনা মাটি।’ আজকে আমি বলতে চাই, কাশ্মীরও আমাদের। আর পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতও আমাদের।’’ এদিন অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘১৯৯০-এর দশকে যখন আমরা আন্দোলন করতাম রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে, তখন তা আমাদের কাছে স্বপ্ন ছিল কিন্তু নরেন্দ্র মোদির আমলে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং আগামী ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রামমন্দিরের।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘‘মোদি জমানায় এগিয়ে চলেছে (ABVP) দেশ এবং তার প্রমাণ ভারতের স্থান পৃথিবীর অর্থনৈতিক মানচিত্রে এগারো থেকে উঠে এসেছে সেরা পাঁচে।’’

    সারাদেশ থেকে ৮,৫০০ প্রতিনিধি হাজির

    সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ নগরে পৌঁছে যান সারা দেশ থেকে ৮,৫০০ প্রতিনিধি। সম্মেলনের আয়োজন ও ব্যবস্থায় কাজ করছেন আরও ৪ হাজার কর্মী। সম্মেলন স্থলকে মোট ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, সন্ত জ্ঞানেশ্বর, অহল্যাবাই হোলকর, লাচিত বরফুকন, ভগবান বীরসা মুন্ডা, মদনমোহন মালব্য, গুরু তেগবাহাদুর, সুব্রহ্মণ্য ভারতী, মহারানা প্রতাপ, গুরু নানক দেব, ভগবান বিশ্বকর্মা, রানি দুর্গাবতী, রানি লক্ষ্মীবাঈ, রানি মা গাইদিনলিউতে। ৬৯তম অধিবেশনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যাজ্ঞবল্ক্য শুক্ল এবং সভাপতি হিসেবে (ABVP) নির্বাচিত হয়েছেন রাজশরণ শাহি।

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজির মোট ৪৩২ জন প্রতিনিধি

    প্রসঙ্গত, দিল্লিতে চলা এই অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য সম্পাদকেরও নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সাংগঠনিক দৃষ্টিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে (ABVP) দুটি প্রান্তে ভাগ করা হয়েছে। একটি উত্তরবঙ্গ এবং অপরটি দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের সভাপতির দায়িত্ব এসেছেন বিশ্বজিৎ রায় এবং সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে দীপ্ত দে’কে। দক্ষিণবঙ্গে সভাপতির দায়িত্বে পেয়েছেন পবিত্র দেবনাথ, সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অনিরুদ্ধ সরকার। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ১০১ জন প্রতিনিধি দিল্লির অধিবেশনে হাজির হয়েছেন এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে এই সংখ্যা ৩৩১।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    Amit Shah: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সৌগত রায়কে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার সংসদে ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তৃণমূলের সাংসদ বলেন, বিজেপি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই এটা বাতিল করেছে, কাশ্মীরিদের লাভের জন্য নয়। সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলে ওঠেন, ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে!’’ প্রসঙ্গত, নিজের করা মন্তব্যের জন্য বারংবার বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সৌগত রায়কে। কখনও দলের ভিতরে, কখনও বা দলের বাইরে। দিন কয়েক আগে তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। এদিন ফের সংসদ ভবনে খোঁচা খেতে হল তৃণমূলের নারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এই সাংসদকে।

    দেশের অখণ্ডতা রক্ষার স্লোগানও সৌগতর চোখে রাজনৈতিক!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনসঙ্ঘ গঠিত হয় ১৯৫১ সালে। তারপরেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৩ সালের ১১ মে বিনা পারমিটে তিনি কাশ্মীরে প্রবেশ করতে গেলে শেখ আবদুল্লার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জেলবন্দি অবস্থায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় কাশ্মীরে ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন। ৩৭০ ধারা বাতিল যে দেশের অখণ্ডতার স্বার্থেই প্রয়োজন, তা মনে করতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জনসঙ্ঘের তখনকার স্লোগান ছিল, ‘এক প্রধান, এক বিধান, এক নিশান’। দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে দেওয়া এই স্লোগানকে এদিন রাজনৈতিক স্লোগান বলে আখ্যা দেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    সৌগতর এই কথা শুনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) উঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘‘এটা খুবই আপত্তিজনক কথা। এক দেশে এক নিশান, এক প্রধান ও এক বিধান থাকবে… একে রাজনৈতিক বিবৃতি বলা হচ্ছে! আমার মনে হয় দাদা আপনার বয়স হয়ে গিয়েছে। এক দেশে দু’জন প্রধানমন্ত্রী কী করে থাকবেন, এক দেশে দু’রকম সংবিধান কীভাবে থাকবে, এক দেশে দু’রকম নিশানই (পতাকা) বা কীভাবে থাকবে। যাঁরা এই কাজ করে গিয়েছিলেন, তাঁরা মহা ভুল করেছেন। নরেন্দ্র মোদি তা শুধরে দিয়ে ঠিকই করেছেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের (BSF) কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।’’  তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ আমাদের দেশবাসী কখনও উদ্বিগ্ন হয় না কারণ তারা জানে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখে বিএসএফ। পাকিস্তান বর্ডার হোক অথবা বাংলাদেশ বর্ডার। সবটাই বিএসএফের আওতায় আসে। যখনই শত্রুপক্ষ অনুপ্রবেশ করতে চায় তখনই সীমান্তে একটা টেনশনের পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু বিএসএফের (BSF) জওয়ানরা জানিয়ে দেন যে আপনারা শান্তিতে ঘুমোন আমরা আছি।’’

    যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই

    অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের (বিএসএফ) কাজে গর্বিত। আমি আপনাদের বলতে চাই যে সারা দেশে আমাকে ভ্রমণ করতে হয়। সারা দেশেই আপনাদেরকে নিয়ে গর্বিত এবং আমাদের সাহসী জওয়ানদের দেশবাসী স্যালুট জানায়।’’ এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে জি২০ প্রসঙ্গ এবং চন্দ্রযান-৩ মিশনও। তিনি জানান এগুলি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হতে পেরেছে, কারণ আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে বিএসএফের (BSF) হাতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘‘একটি দেশ কখনই উন্নত হতে পারে না এবং সমৃদ্ধ হতে পারে না যতক্ষণ তার বর্ডার অসুরক্ষিত থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে বিএসএফই হল ভারতবর্ষের উন্নয়নের ভিত্তি। কারণ তারা সীমান্তকে সুরক্ষিত রেখেছে।’’

    প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি এদিন বিএসএফের (BSF) প্রতিষ্ঠা দিবসে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UNLF: মণিপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ-এর আত্মসমর্পণ, কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্থাপন

    UNLF: মণিপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ-এর আত্মসমর্পণ, কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসার আগুনে জ্বলে উঠেছিল মণিপুর। রক্তপাত, হানাহানি, লুট, হত্যা এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছিল। গত মে মাস থেকে অশান্ত হতে থাকা মণিপুর এখনও বেশ খানিকটা থমথমে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে কুখ্যাত উগ্রপন্থী সংগঠন ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (UNLF) এর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই ঘটনাকে একটি মাইলস্টোন বলেও আখ্যা দিয়েছেন শাহ।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) শাহ লেখেন, ‘‘একটি মাইলফলক তৈরি হল। উত্তর-পূর্বে স্থায়ী ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মোদি সরকার যে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত হল। United National Liberationn Front আজ দিল্লিতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইউএনএলএফ মণিপুরের সবচেয়ে প্রাচীন সশস্ত্র সংগঠন। হিংসা ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে রাজি হয়েছে তারা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ওদের স্বাগত জানাই, শান্তি এবং প্রগতির জন্য শুভেচ্ছা রইল’’

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ইউএনএলএফ-এর সঙ্গে ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকার যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তাতে ছয় দশকের সশস্ত্র আন্দোলনে সমাপ্তির সূচনা ঘটল। সকলের উন্নয়নে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর-পূর্বের যুবসমাজের জন্য সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। তাঁর এই লক্ষ্য অর্জনের পথে এটি একটি মাইলফলক।’’

    কী বলছে UNLF?

    শাহের ট্যুইটের পর ইউএনএলএফ-এর চেয়ারম্যান লামজিংবা খানদোংবাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারত সরকারের সঙ্গে আজ যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করলাম আমরা।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে ইউএনএলএফ প্রতিষ্ঠা করেন এ সমরেন্দ্র সিং। গত ১৩ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আটটি মেইতেই গোষ্ঠীর জঙ্গি সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করেন। এই সংগঠনগুলির মধ্যে ছিল ইউএনএলএফ-ও। এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তিনি বলেন, ‘‘মোদিজীর নেতৃত্বে ইউএনএলএফ শান্তির পথ বাছল। আমি আশাবাদী এই রাজ্যে থাকা অন্যান্য জঙ্গি যারা অস্ত্র হাতে ধরেছে, তারাও খুব শীঘ্রই শান্তির পথ ধরে নেবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ধর্মতলায় বিজেপির ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানান। তবে নিয়ো-দুর্নীতি এবং রেশনকাণ্ড নিয়ে তাঁর গলায় ছিল আক্রমণাত্মক সুর। এমনিতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা জেলের ঘানি টানছেন। তাঁদের নিয়ে দল যথেষ্ট বিব্রত। তার ওপর এদিন অমিত শাহের আক্রমণ কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। তিনি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেন। তারপরই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। আপনি পারবেন না। যারা নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।”

    হিসাব দিয়ে জবাব (Amit Shah)

    কেন্দ্র টাকার অঙ্কে রাজ্যকে ভরিয়ে দিলেও তা যে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে না, এটা নিয়েই বাংলায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, মোদির দেওয়া টাকা রাজ্যে চুরি করছে শাসকদল। মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। যাঁর হাতে দেখা যেত আধ-পোড়া বিড়ি, তিনি এখন খাচ্ছেন দামী সিগারেট। মমতা নিজের দলের এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন। মোদি টাকা আটকে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। অমিত শাহর (Amit Shah) ভাষণে এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার দশ বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ার অভিযোগ শুধু মুখে নয়, এভাবে হিসাব দিয়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। শাহের দাবি, মোদি সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জন্যই তা বাংলার গরিব মানুষ হাতে পাচ্ছে না। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোটে সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।

    রাজ্যে দারিদ্রতা কমেনি (Amit Shah)

    দুর্নীতি ইস্যুতে শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, সব জায়গায় দারিদ্রতা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেনি। যে বাংলা সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, স্বাধীনতা, উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক নম্বরে ছিল, সেই বাংলাকে দিদি পিছিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, আপনারা একবার পুরো দেশের বিকাশ দেখুন। মোদি কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। শৌচালয়, রেশন, বাড়ি, ৫ লাখের বিমা, কোভিড টিকা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সভায় (BJP Rally) যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আসতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ক্যাম্প করে দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে সভায় হাজির হয়েছেন।

    আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে সকালের ট্রেনেই কর্মীদের ভিড় (BJP Rally)

    এদিন সকালে আসানসোল স্টেশনে আসানসোলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সকালের ট্রেনগুলিতে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় কর্মীরা মিছিল করে স্টেশনে জমায়েত হন। ভোর থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা যত গড়িয়েছে সভায় (BJP Rally) যাওয়ার জন্য ট্রেনে কর্মীদের ভিড় বেড়়েছে।

    বর্ধমানে তৃণমূলীদের বাধার মুখে বিজেপি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভার উদ্দেশে (BJP Rally) যেতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বর্ধমান শহর থেকে ট্রেন ও বাসে করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে চাপতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। জেলা বিজেপির নেতা মনোজ মাহাত বলেন, এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনপথে কোনও বাধা আমাদের আসেনি। তবে, বাসপথে দলীয় কর্মীদের বহু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তবে, অনেক জায়গায় তৃণমূলের শত বাধা পেরিয়ে কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে দশটার ট্রেনেও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    ট্রেনে আসা কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জনপ্লাবন

    বারাকপুর, বারাসত, বনগাঁ, চুঁচুড়া, কৃষ্ণনগর, গেদে, বহরমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে এদিন সকালের ট্রেনগুলিতে কর্মীদের ভি়ড় উপচে পড়ে। অধিকাংশ ট্রেনেই হাজার হাজার কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল থেকেই হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জন প্লাবনের আকার নেয়। পাশাপাশি বাস, প্রাইভেট গাড়়ি করেও হাজার হাজার কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share