Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Jammu And Kashmir: আরও ৫ বছর নিষিদ্ধ ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Jammu And Kashmir: আরও ৫ বছর নিষিদ্ধ ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট’-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন ইয়াসিন মালিক। যিনি বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন। সংগঠনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী (Jammu And Kashmir) নানা ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, যদি কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংগঠন দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ‘জম্মু-কাশ্মীর পিপলস লিগে’র চারটি শাখাই নিষিদ্ধ

    একটি আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, জেকেএলএফ-এর অধীনে থাকা ‘জম্মু-কাশ্মীর পিপলস লিগে’র চারটি শাখাকেই (Jammu And Kashmir) তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে। এগুলি হল— জেকেপিএল (মুখতার আহমেদ ওয়াজা), জেকেপিএল (বশির আহমেদ তোতা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান) এবং ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বাধীন জেকেপিএল (আজিজ)।

    মোদি জমানায় বদলেছে জম্মু-কাশ্মীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর পিপলস ফ্রিডম লিগ’- এই সংগঠনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা (Jammu And Kashmir) হয়েছিল আগেই। কারণ এই সংগঠন হয়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের খোলনলচে যেন বদলে গিয়েছে মোদি জমানায়। একদিকে উন্নয়ন অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের প্রতি কড়া পদক্ষেপ- দুটোই নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর থেকেই হলিউড-বলিউডের শ্যুটিং সমেত পর্যটকদের নজরকাড়া ভিড়ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, মার্কিন উদ্বেগ ‘অযৌক্তিক’, জানাল নয়াদিল্লি

    CAA: সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, মার্কিন উদ্বেগ ‘অযৌক্তিক’, জানাল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সোমবারই সিএএ (CAA) চালু করেছে মোদি সরকার। এনিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। সিএএ ভারতে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সেদিকে ওয়াশিংটন নজর রাখবে বলে জানিয়েছিল তারা। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের এই বিবৃতির পরে জবাব দিল নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতিকে ‘অযৌক্তিক’ বলা হয়েছে। সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র?

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শুক্রবার এবিষয়ে জানিয়েছেন, সিএএ (CAA) প্রসঙ্গে আমেরিকার বিবৃতি ‘অযৌক্তিক, ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত এবং ভুল জায়গায় প্রযুক্ত’। নিজের বিবৃতির পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘সিএএ মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। তা কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই আইনে মানুষের রাষ্ট্রহীনতা, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার কথা বলে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে তৈরি। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পারসিক সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মানুষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় দেয় সিএএ।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করছি, আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক সিএএ নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত, ভুল জায়গায় প্রযুক্ত এবং অযৌক্তিক।’’

    কী বলেছিল আমেরিকা?

    বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, ‘‘গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কী ভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে, আমরা তার দিকে নজর রেখেছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনে সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’’ শুক্রবার দুপুরে তারই জবাব দিল নয়াদিল্লি।

    সিএএ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, আগেই জানিয়েছে সরকার

    ভারত সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সিএএ নিয়ে মুসলিম নাগরিকদের ভীতির কারণ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও মুসলিমকেই তাড়ানো হবে না। বিরোধীদের নিশানা করে শাহ জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অহেতুক ভীতির পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এছাড়াও ভারত সরকার একটি প্রেস বিবৃতিতে ভারতীয় মুসলিম সমাজকে আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিয়েছে, সিএএ-র (CAA) ফলে তাঁদের নাগরিকত্বে কোনও প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ১৭-য় থামবে তৃণমূল! বাংলায় বিজেপি পাবে ২৫ আসন, দাবি ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষায়

    Lok Sabha Election 2024: ১৭-য় থামবে তৃণমূল! বাংলায় বিজেপি পাবে ২৫ আসন, দাবি ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। এখনও ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। দফায় দফায় প্রার্থী ঘোষণা করছে দলগুলি। তার মধ্যেই চলছে জনমত সমীক্ষা। সম্প্রতি ‘নিউজ ১৮ মেগা ওপিনিয়ন পোল’ (News 18 Mega Opinion Poll) অনুযায়ী, দেখা গিয়েছে বাংলায় মাত্র ১৭টি আসন পাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পাবে ২৫টি আসন।

    কী বলছে সমীক্ষা

    ইতিমধ্যেই বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় চমকে দেওয়ার মতো ফল চোখে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ২৫টিতে জিততে পারে বিজেপি, আর শাসক দল তৃণমূল আটকে যেতে পারে মাত্র ১৭টি আসনে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) এর মতো অন্যান্য দলগুলি তাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নজরে এখন দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারত৷

    সমীক্ষা বলছে, কেন্দ্রের শাসক দলকে পূর্ব ভারত খুব একটা হতাশ করবে না। সমীক্ষা বলছে, কেন্দ্রের শাসক দলকে পূর্ব ভারত খুব একটা হতাশ করবে না। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার বাংলা থেকে গেরুয়া শিবির জিততে পারে দমদম, কৃষ্ণনগর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগা, হুগলি, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল-সহ আরও কয়েকটি আসনে। 

    আরও পড়ুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

    আগের নির্বাচনের ফল

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল এবং ১৮টি আসনে বিজেপি, বাকি ২টোয় কংগ্রেস। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে দেখা যায়, বিজেপি মাত্র ৯টি লোকসভা আসনে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। তবে লোকসভা ভোটের আগে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ছবিটা পালটে যেতে চলেছে। সম্প্রতি সমীক্ষা চিন্তায় রাখবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ সমীক্ষা অনুযায়ী (News 18 Mega Opinion Poll), তৃণমূল যদি ১৭-তে আটকে যায় তাহলে তা হবে লজ্জার। টিএমসি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলে থাকাকালীন ২০০৯ সালে ১৯টি আসন পেয়েছিল। এবার সংখ্যা তার চেয়েও কমে যাবে। সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই ৪২ শতাংশ ভোট পাবে। কিন্তু আসন কমবে তৃণমূলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দুই কমিশনার, চেনেন জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে?

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দুই কমিশনার, চেনেন জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থাকার কথা তিনজন। ছিলেন মাত্র একজন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Elections 2024) দুই শূন্য পদে নিয়োগ করা হল দুই কমিশনারকে। এঁরা হলে সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার। এঁদের নিয়োগের আগে এদিন সকালে বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা তথা সাংসদ অধীর চৌধুরীও। এই কমিটির আর এক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুখবীর ও জ্ঞানেশের নিয়োগের খবর প্রকাশ্যে আনেন অধীরই।

    চিনুন জ্ঞানেশকে (Lok Sabha Elections 2024)

    গত অগাস্টে নির্বাচন কমিশনার বিল, ২০২৩ পাশ করিয়ে কেন্দ্র জানায়, তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম বা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। জ্ঞানেশ কুমার (Lok Sabha Elections 2024) ১৯৮৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের আইএএস। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। তাঁর আমলেই ভূস্বর্গে রদ হয় ৩৭০ ধারা। কয়েকদিন আগে সমবায় মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন জ্ঞানেশ। ওই মন্ত্রক গঠনের পর থেকেই ওই পদে ছিলেন তিনি। মন্ত্রকটি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে। 

    সান্ধু কে জানেন?

    প্রাক্তন আইএএস সান্ধু ১৯৮৮ ব্যাচের উত্তরাখণ্ড ক্যাডারের অফিসার। তাঁর আদত বাড়ি পাঞ্জাব। ২০২১ সালে পুষ্কর সিং ধামি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন সান্ধুকে সে রাজ্যের মুখ্যসচিব করা হয়। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন হিসেবেও কাজ করেছেন সান্ধু। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সান্ধু কাজ করেছেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। অমৃতসরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন তিনি। অমৃতসরেরই গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেছিলেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আইনের স্নাতকের ডিগ্রিও।

    আরও পড়ুুন: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    তিনজন নির্বাচন কমিশনারকে একত্রে বলা হয় কমিশনের ফুল বেঞ্চ। একজন কমিশনার অবসর নেওয়ায় কাজ চালাচ্ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ৯ মার্চ হঠাৎই ইস্তফা দেন অরুণ। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তাই কমিশনারের দুই শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ২১২ জনের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাতজোড় করে বলছি, রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না।” বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিএএ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাই মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘শরণার্থী’ ও ‘অনুপ্রবেশকারী’র মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি।

    ভোটের রাজনীতি! (Amit Shah)

    সোমবার রাতে দেশজুড়ে লাগু হয়েছ সিএএ। যথারীতি তার পরেই ভোটে ফসল কুড়োতে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল। সিএএ নিয়ে রাজনীতি না করতে বুধবারই অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক পরের দিনই একই অনুরোধ করলেন তাঁর সেনাপতি।দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নির্বাচনে ভোট কুড়োতে সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যথারীতি খেলে দিয়েছেন চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম তাস। সিএএ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘সিএএ চালু করে ভোটের আগে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে’।

    কী বললেন শাহ?

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগেরও মুখের মতো জবাব দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যদি আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করেন, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেন, তাহলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। মমতা জানেন না, কাকে শরণার্থী বলে, আর কাকেই বা বলে অনুপ্রবেশকারী।” বিরোধীদের একই বন্ধনীভুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধী, মমতা কিংবা কেজরিওয়াল – সব বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    ‘‘সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না’’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব সুরক্ষিত রাখা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। আমরা তার সঙ্গে আপস করব না। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।” শাহ বলেন, “বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করছেন। বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়।” শাহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে খুব শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।”

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, এরাজ্যে সিএএ হতে দেবেন না। এদিন এই নিয়েও তৃণমূলনেত্রীকে একহাত নেন শাহ। মোদির ডেপুটি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্য সিএএ আটকাতে পারবে না। এটা তাদের ক্ষমতায় নেই। শাহ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই সিএএ-কে আটকানোর। নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় সম্পূর্ণ কেন্দ্রর বিষয়, রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।’’ একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, এখন ভোটের জন্য বিরোধিতা হচ্ছে, কিন্তু পরে সবাই সমর্থন করবেন।

    আরও পড়ুুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাশ হয় সিএএ। লাগু হয়েছে সোমবার। এই আইন অনুযায়ী, মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেউ) যদি ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নয়া এই আইন বলে (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস।” মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জনসভায় এমনই অভিযোগ করলের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন ‘বিজয় সঙ্কল্প সম্মেলনে’ যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সেখানেই সিএএ (CAA) নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘স্বপ্ন পূরণের সরকার’

    বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন মোদির সেনাপতি। ভিড়ে ঠাসা জনসভায় শাহ বলেন, “কংগ্রেস, মাজিস এবং বিআরএস সিএএ-র (CAA) বিরোধিতা করেছিল। সেই বাধা উপেক্ষা করেই মোদি সরকার প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। স্বদেশে নিপীড়িত ওই শরণার্থীরা যে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সে স্বপ্ন পূরণ করছে এই সরকার।”

    ‘সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বিজেপি’

    ‘উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তেহারে যে সিএএ-র (CAA) প্রতিশ্রুতি ছিল, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বিজেপির ইস্তাহারে সিএএ-র উল্লেখ দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে মোদিজি তাঁর ১০ বছরের রাজত্বে সমস্ত দেয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তিন তালাক বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সিএএ-রও। এসবই আমরা পূরণ করেছি। তা সত্ত্বেও ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে কংগ্রেস আমাদের বিরোধিতা করে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    সংখ্যালঘুদের শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “গতকালই (সোমবার) আমরা সিএএ-র (CAA) প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পড়শি তিন দেশ থেকে এ দেশে শরণার্থী হিসেবে এসেছেন, এই আইন বলে তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। অথচ তারা (কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল) মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমি এ দেশের সংখ্যালঘুদের বলতে চাই, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। বরং নাগরিকত্ব দেবে।”

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভি বরেলভি বলেছিলেন, “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের।” তিনিও বলেছিলেন, “ভারতের কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই আইন। মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বীজ বপন করেছেন কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র। উপত্যকাকে বিচ্ছিন্নভাবে না রেখে মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে মোদি সরকার। এর জন্যই লোকসভা ভোটের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে ‘তৎপরতা’ শুরু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রকের তরফে ‘বেআইনি কার্যকলাপে’ জড়়িত থাকার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট (Jammu Kashmir National Front) নামে একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ

    নঈম আহমেদ খানের নেতৃত্বাধীন জেকেএনএফ-কে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ভারত-বিরোধী জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার কারণেই ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। উপত্যকায় (Jammu Kashmir) আপাতত, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রণ্ট (JKNF)-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সংগঠন বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য অনুকূল নয়। 

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ‘মোদি সরকার আজ জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (Jammu Kashmir National Front) বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই দল জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, জাতির সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা ভারতের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাস বাহিনীকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: এনডিএ শিবিরে ফিরলেন চন্দ্রবাবু, বিজেপি-টিডিপি আসন রফা চূড়ান্ত

    Lok Sabha Election 2024: এনডিএ শিবিরে ফিরলেন চন্দ্রবাবু, বিজেপি-টিডিপি আসন রফা চূড়ান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতের সেই বৈঠকেই মিলেছিল রফাসূত্র। তার পরেই ছ’বছর পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরলেন তেলুগু দেশম পার্টি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে (Lok Sabha Election 2024) ওই বৈঠকেই বিজেপির সঙ্গে আসন রফাও চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ৯ মার্চ চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    চূড়ান্ত আসন রফা (Lok Sabha Election 2024)

    গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে টিডিপি সুপ্রিমোর যোগাযোগ বাড়ছিল। বিজেপি নেতা অলোকমানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে তাঁর। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সেনাপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন টিডিপি সুপ্রিমো। শেষমেশ সোমবার রাতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় চন্দ্রবাবুর। সেখানেই চূড়ান্ত হয় আসন রফা।

    জোট জন সেনার সঙ্গেও

    দেশের উত্তরাংশে বিজেপির শক্তি চোখ ধাঁধানো হলেও, দক্ষিণাংশে বেশ দুর্বল। আঞ্চলিক দলগুলিরও রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরতে প্রয়োজন বিজেপির মতো শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক দলকে। এই অঙ্কেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু। দিন কয়েক আগেই অন্ধ্রের আঞ্চলিক দল জন সেনার সঙ্গে জোট বেঁধেছে টিডিপি। এবার টিডিপি ভিড়ল এনডিএ শিবিরে। সোমবার রাতে বিজেপির তরফে শেখাওয়াত, টিডিপির তরফে চন্দ্রবাবু এবং জন সেনা সুপ্রিমো পবন কল্যাণের দীর্ঘ বৈঠক হয়। তার পরেই তিন দল যৌথ বিবৃতি দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে আসন রফার কথা জানান। অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে ৬টিতে প্রার্থী দেবে বিজেপি। চন্দ্রবাবুর দল প্রার্থী দেবে ১৭টি আসন। বাকি দুটি আসনে প্রার্থী দেবে জন সেনা।

    আরও পড়ুুন: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ”, বললেন রাজ্যপাল

    কোন দল কটি আসনে প্রার্থী দেবে তা ঠিক হলেও, কারা কোথায় প্রার্থী দেবে তা এখনও জানা যায়নি। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, তিরুপতি, আরাকু, রাজামুন্ড্রি, আনাকাপল্লি এবং নরসাপূরমে প্রার্থী দেবে পদ্ম শিবির। সমঝোতা সূত্র অনুযায়ী, বিজেপির হাতে রয়েছে আরও একটি আসন। জন সেনা লড়বে কাঁকিনাড়া ও মাচিলিপত্তনমে। বাকি (Lok Sabha Elections 2024) আসনগুলিতে প্রার্থী দেবে চন্দ্রবাবুর দল।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল টিডিপি। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ২০১৮ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান চন্দ্রবাবু। উনিশের লোকসভা ও পরের বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়ে টিডিপি। গোহারা হেরে যায় চন্দ্রবাবুর দল (Lok Sabha Elections 2024)।

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    CAA: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সারা দেশে সিএএ (Citizenship Amendment Act) কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। তিনি ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)।

    দানিশের (Danish Kaneria) ট্যুইট-বার্তা

    ভারত সরকারের সিএএ (CAA) চালুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে দানিশ কানেরিয়া এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘পাকিস্তানের হিন্দুরা এবার মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবেন।’ অপর একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (Citizenship Amendment Act) পাশের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদ।’ পাকিস্তানের মাটিতে হিন্দুরা সাধারণত থাকেন মজনু কা টিলা এলাকায়। সেখানেও আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের। সিএএ-র জন্য আবেদন করতে একটি পোর্টাল চালু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহ নিজে সেই পোর্টাল শেয়ার করেছেন। যারা সিএএ-র মধ্যে পড়বেন তাঁদের সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

    ধর্মপ্রাণ দানিশ (Danish Kaneria)

    করাচির হিন্দু পরিবারে জন্ম দানিশের। দীর্ঘ সময়ে খেলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। বেশ কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন, পাক ক্রিকেট দলে খেলতে তাঁকে মুসলিম হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। দানিশ ২০০০-২০১০ পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে ৬১টি টেস্ট (২৬১ উইকেট) ও ১৮টি ওয়ানডে (১৫ উইকেট) খেলেছেন।

    আরও পড়ুন: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    পাকিস্তান দলে খেলা এই হিন্দু ক্রিকেটার (Danish Kaneria) গত জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়ও বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, জয় জয় শ্রী রাম। শ্রী রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে মন্দির উদ্বোধনের আগে গেরুয়া পতাকা নিয়ে ছবিও পোস্ট করেছিলেন। রামলালার মূর্তির প্রথম ছবি প্রকাশ থেকে শুরু করে রাম মন্দিরের নানা ভিডিও ও ছবি তিনি নিয়মিত পোস্ট করছিলেন। এমনকী, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে কৃষ্ণ লালা প্রতিষ্ঠার দাবিকে সমর্থনের পাশাপাশি ‘জয়তু হিন্দু রাষ্ট্রম’ বলেও ট্যুইট করেছিলেন কানেরিয়া (Danish Kaneria)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share