Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) বিগ্রহের। তার আগে মঙ্গলবার এনিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিটি রাজ্যের দলের দুই কর্মকর্তা।

    বিজেপির বৈঠক

    এ বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাম মন্দির উদ্বোধনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনী প্রচারে কীভাবে একে হাতিয়ার করা হবে, তা নিয়েও হবে আলোচনা। রাম মন্দির আন্দোলন ও মন্দির নির্মাণে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করা হবে। নতুন ভোটারদের সঙ্গে পরিচয় করতে বুথস্তরের কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে পদ্ম-পার্টি। মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে কীভাবে বিরোধী দলগুলি পদে পদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাও তুলে ধরা হবে ভোটারদের কাছে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আরএসএস এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদ যেসব কর্মসূচি হাতে নেবে, সেগুলিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।

    মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, মন্দিরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। এর মধ্যে ৩ হাজার জনই ভিভিআইপি। জানা গিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। প্রতি ঘরে রামের মহিমা পৌঁছে দেওয়া হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। বিজেপি নেতারা রামের ছবি নিয়েও ঘুরবেন দুয়ারে দুয়ারে।

    আরও পড়ুুন: কনভয়ে বিস্ফোরণ, নিহত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার!

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাম মন্দির দেশের পরিচয় এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” অযোধ্যায় যেদিন রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন বাংলার ঘরে ঘরেও জ্বলবে প্রদীপ। গ্রামে-গঞ্জে যত মন্দির রয়েছে, সেখানে ছোট করে হলেও, উৎসব করতে বলা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। সর্বত্র বড় পর্দায় অযোধ্যার (Ram Mandir) অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যগুলির নেতাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা উলফা (ইউএলএফএ) সংগঠনের সঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অসম সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক স্থায়ী শান্তিচুক্তি (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষরিত হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “এই চুক্তির ফলে উত্তরপূর্ব সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হবে উলফা (ইউএলএফএ)।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ULFA Peace deal)?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উলফা নেতৃত্বদের আশ্বস্ত করতে চাই। ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির (ULFA Peace Deal) প্রক্রিয়াকে সফল করবার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাবো। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর আইন এএফএসপিএ অপসারণই প্রমাণ করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ বর্তমানে সমাপ্তির পথে।”

    চুক্তি স্বাক্ষরে ২৯ জনের প্রতিনিধি

    সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপূর্ব ভারতের অসমে বিচ্ছিন্নতাবাদের উপর একটি অতি সক্রিয় সংগঠন ছিল উলফা। এদিন উলফার মোট ২৯ জনের একটি প্রতিনিধির দল দিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সংগঠনের সদস্য এবং বাকি ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। এই চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ চুক্তি কারণ, এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার বিচ্ছিন্নতাবাদ অসম রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিদ্রোহী সংগঠনকে প্রশমন করতেই উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের সাথে চুক্তিতে (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষর হল। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শুধু আসাম নয়, গোটা উত্তরপূর্বের জন্য এই চুক্তি শান্তির বাতাবরণ তৈরি করবে।

    উলফা ১৯৭৯ সাল থেকেই সক্রিয়

    এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফা, অসমে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ লড়াইকে অব্যহতি দিয়ে অসম রাজ্য সরকারের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় সম্মত হয়। এরপর থেকে এই উলফা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। একটি দলের নেতা ছিলেন পরেশ বড়ুয়া, অনুপ চেটিয়া। তাঁরা নিজেদের ভাবনায় স্থির থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে মত দেন। অপরদিকে যে দলটি আলোচনা চেয়েছেন, তাঁরা অসমের মূলনিবাসীদের পরিচয় এবং তাঁদের সম্পদের সুরক্ষায় রাজ্যের কাছে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক সংস্কার চেয়ে জমির অধিকার দাবি করেন। কেন্দ্র সরকার এই চুক্তির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে একটি চুক্তি (ULFA Peace Deal) প্রস্তাবের খসড়া পাঠিয়েছিল। এরপরে গত দুই সপ্তাহ আগে দিল্লিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে উলফার প্রতিনিধি দল আসার পর কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক পর্বে আলোচনা হয়েছিল। উত্তরপূর্বে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নাবাদকে প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে আসামের বিদ্রোহী বড়ো, ডিমাসা, কার্বি এবং বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election 2024: শৃঙ্খলা কাম্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পথে নেমে কাজ করার বার্তা বিজেপি কর্মীদের

    Election 2024: শৃঙ্খলা কাম্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পথে নেমে কাজ করার বার্তা বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় অনুশাসন না মানলে অনুপম হাজরার মতোই পরিণতিও হবে। বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের নেতাদের এই বার্তাই দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Election 2024) রাজ্য থেকে ৩৫টি আসন লাভের জন্য একশো দিনের বিশেষ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করল রাজ্য নেতৃত্ব।

    মাঠে নেমে কাজ

    অমিত শাহ, জে পি নাড্ডাদের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে কীভাবে এগোবে দল, বুধবারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে (Bengal BJP) তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘরে বসে না থেকে লোকসভায় রাজ্যে কাঙ্খিত আসন সংখ্যা জিততে ১ জানুয়ারি থেকে আগামী একশো দিন মাঠে নেমে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশই দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অমিতাভ চক্রবর্তী, এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সহ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য পদাধিকারীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 

    ছুটি বাতিল

    বুধবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এ হওয়া বিজেপির বৈঠকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘‘এখন যাঁদের যা ছুটি নেওয়ার রয়েছে নিয়ে নিন। আগামী ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত ছুটি পাওয়া যাবে। পরের দিন ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে একেবারে ভোটগণনা পর্যন্ত কেউ কোনও রকম ছুটি নিতে পারবেন না।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, কোনও রকম আত্মতুষ্টিতে যেন না ভোগেন নেতারা সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আদি বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘উন্নয়নের টাকায় মোচ্ছব করছে তৃণমূলের চেয়ারম্যান’, বিস্ফোরক দলীয় কাউন্সিলাররা

    দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে

    লোকসভায় ভাল ফল করার জন্য দলের কর্মীদের মধ্যে সদ ভাব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে। মানতে হবে দলীয় অনুশাসনও। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকালের বৈঠকে অনুপমের ঘটনা উল্লেখ করে কড়া বার্তা দেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন ‘আমাদের দলের প্রথম এবং শেষ কথা হল শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা। সেটা না মানলে গতকাল রাতে কী হয়েছে সেটা দেখেছেন। সুতরাং, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। আমাদের দলে কেউ উপরে উঠতে গেলেই নীচ থেকে তাঁকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এসব করলে দলেরই ক্ষতি হবে। কেউ যদি দলীয় অনুশাসন অমান্য করেন তাহলে অনুপম হাজরার মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে দল৷’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। এমন খবর সংবাদমাধ্যমের একাংশে মঙ্গলবার পরিবেশিত হয়েছিল। বুধবার, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এমন কোনও টিমই গঠন হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, “আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য রয়েছে। রাজ্যের নির্বাচনী কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে রাষ্ট্রীয় সভাপতির নাম থাকে না। এইটুকু কমন সেন্স আপানাদের থাকা উচিত।”

    কী বলছেন সুকান্ত?  

    মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই সংবাদমাধ্যম মারফৎ প্রকাশ্যে আসে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা। এও জানা যায়, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ অনেকেরই ঠাঁই হয়নি তালিকায়। ১৫ জনের ওই টিমে বাংলার ১০ জন থাকলেও, ৫ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও রাখা হয়েছিল। এদিন ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা অস্বীকার করে সুকান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও টিম গঠন হয়নি। তিনি বলেন, “নির্বাচনের যে কমিটি টিভিতে দেখানো হচ্ছে, মাননীয় অমিত শাহজি ও জেপি নাড্ডাজির নামও নাকি তাতে রয়েছে। রাজ্য নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার নাম থাকে না।” 

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    বৈঠকে শাহ-নাড্ডা

    আগামী লোকসভা ভোটের রোডম্যাপ এবং দলের পরিকল্পনা স্থির করে দিতে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। দিনভর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। নিউ টাউনের একটি হোটেলে হওয়া বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকেও। তবে (Sukanta Majumdar) বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলায় বৈঠকে ডাকা হয়নি অনুপম হাজরাকে। বৈঠক শেষে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা রওনা দেন কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, “২০২৪ কে সামনে রেখে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কীভাবে এগোবে, সেই রোডম্যাপ বলে গিয়েছেন তাঁরা। সেই রোডম্যাপের কথা আমি আপনাদের বলতে পারব না। তবে তাঁদের বাতলে দেওয়া সেই রোডম্যাপ অনুসারেই আমরা চলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Bharatiya Nyaya Sanhita: আর ‘৪২০’ নয়, বলুন ‘৩১৬’, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী কী বদলেছে?

    Bharatiya Nyaya Sanhita: আর ‘৪২০’ নয়, বলুন ‘৩১৬’, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী কী বদলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে ‘বড়’ খবর পেয়েছিলেন তামাম ভারতবাসী। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita) বিলে এদিন স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি সই করার পরেই বিলটি পরিণত হয়েছে আইনে। কী আছে নয়া আইনে?

    বদলে গেল ৪২০, ৩০২ ধারা…

    প্রথমেই ধরা যাক প্রতারণার ধারার কথা। ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’ এটি ছিল ৪২০ নম্বর ধারায়। এই ধারা অবলম্বনেই ১৯৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল বক্স অফিস কাঁপানো রাজ কাপুরের ছবি ‘শ্রী ৪২০’। তার পর থেকে লোকমুখে প্রতারকদের লোকেরা বলতে থাকেন ‘ফোর টোয়েন্টি’ (৪২০)। তবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে ৩১৬ নম্বর ধারা। খুনের ক্ষেত্রে এতদিন প্রয়োগ করা হত ৩০২ নম্বর ধারা। এবার প্রয়োগ করা হবে ১০১ নম্বর ধারা। ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে ৩০২ নম্বর ধারা।

    আর ১৪৪ ধারা নয়!

    অবৈধ জমায়েতের ক্ষেত্রে এতদিন প্রয়োগ করা হত ১৪৪ ধারা। নয়া আইনে (Bharatiya Nyaya Sanhita) সেটি রয়েছে ১৮৭ নম্বরে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হত ৩৭৬ নম্বর ধারা। এবার প্রয়োগ করা হবে ৬৩ ও ৬৪ নম্বর ধারা। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে পুরানো আইনে সাজা দেওয়া হত ১২১ নম্বর ধারায়। এবার এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে ১৪৬ নম্বর ধারা। মানহানির মামলা হত ৪৯৯ নম্বর ধারায়। নয়া আইনে প্রযুক্ত হবে ৩৫৪ নম্বর ধারা।

    আরও পড়ুুন: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    চলতি বছর বাদল অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’র পরবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল ২০২৩’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল ২০২৩’ বিল তিনটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিলটি পাশ করানো হয় রাজ্যসভায়। পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদনের জন্য। বড়দিনের সকালে বিলটিতে সই করেন তিনি। তার পরেই রচনা হয় ইতিহাস। আইনে পরিণত হয় ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল’।

    দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি২০-র শীর্ষ বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ নয়, তাঁর সামনে লেখা ছিল ‘ভারত’। ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’র পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল’ (Bharatiya Nyaya Sanhita) পরিণত হোক আইনে, চাইছিলেন তিনিও। তাঁর দীর্ঘলালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতে ভোট এলে চোখে পড়ত দেওয়াল লিখন। এখন প্রচার হয় ‘ফেসবুক ওয়ালে’। জনমত গঠনে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ মাধ্যমে কাঁটাতারের বাধা নেই। এক লহমায় সাত-সমুদ্র তেরো নদীর পারেও পৌঁছে দেওয়া যায় বার্তা। তাই আসন্ন লোকসভা ভোট (Loksabha Election) প্রচারে সাইবার-যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Shah-Nadda in Bengal)। কলকাতায় দলের সাইবার টিমকে সেই রণকৌশলই বুঝিয়ে দিলেন শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    কী বললেন শাহ

    স্বেচ্ছায় যাঁরা বিজেপির সমর্থন বাড়াতে কাজ করেন, সেই ‘সাইবার যোদ্ধা’দের উৎসাহ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আইটি-সোশাল মিডিয়া টিমের বৈঠকে বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘৩৫টি পদ্ম ফোটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সাইবার যোদ্ধারা’। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের দুর্নীতি, তোষণ, হিংসার ঘটনাকে সামনে আনার সঙ্গে কৃষক ও উন্নয়ন বিরোধী তৃণমূলের নীতিকে প্রকাশ্যে আনার নির্দেশও দেন শাহ। 

    সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ

    মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেরিয়ে জানান, সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন দুই নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সাইবার যোদ্ধাদের জন্যই বিজেপি ২০১৯ সালে ভাল ফল করেছিল, ২০২১ সালে ৩ থেকে ৭৭ (বিধায়ক সংখ্যা) হওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট।

    সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহার করে শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করার মন্ত্রই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপমকে দেওয়া নিরাপত্তা তুলে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দীর্ঘ দিন কেন্দ্রের ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’-র নিরাপত্তা পেতেন অনুপম। তখনই বোঝা গিয়েছিল অনুপমের (Anupam Hazra) দল-বিরোধী আচরণ ভালভাবে নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তাই কলকাতায় শাহ-নাড্ডার বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।

    কেন অপসারণ

    একসময়ে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন অনুপম হাজরা। পরে যোগ দেন বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসনে প্রার্থীও হন। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো ‘বেসুরো’ হয়ে উঠেছিলেন অনুপম। স্রেফ রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা নয়, বোলপুর তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনেও চলে গিয়েছিলেন। এক নাগাড়ে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করা, তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়া, সমাজমাধ্যমে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো মন্তব্য করে চলছিলেন অনুপম। এটা যে রাজ্য নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছেন না তা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা বুঝিয়ে দেন অনুপমকে। 

    আরও পড়ুন: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    দলবিরোধী মন্তব্য

    গত বিধানসভা নির্বাচনে অনুপমকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তখন থেকেই দলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করতে থাকেন অনুপম। সেই সময়ে নানা ভাবে তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। বিজেপির অনেকেই বলেন, সেই কারণে রাজ্য থেকে সরিয়ে অনুপমকে কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিহারের সংগঠন দেখতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও দলের রাজ্য নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন অনুপম। তাই আর দেরি না করে এবার, ‘দলকে অস্বস্তিতে ফেলা’ প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হল। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার নিউটাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন পদ্ম শিবিরের এই দুই কর্তা। সেখানেই তৈরি হয় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন শাহ ও নাড্ডা।

    ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম

    ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে’ রয়েছেন ১৫ জন। এঁদের মধ্যে ১০ জন বঙ্গ বিজেপির নেতা। বাকি পাঁচজন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির পাশাপাশি কোন কোন আসনে জোর দেওয়া হবে, মূলত তা-ই ঠিক করবে এই কমিটি। জানা গিয়েছে, বাংলার যে ১০ জনের ঠাঁই হয়েছে ওই কমিটিতে, তাঁরা হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রয়েছেন সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, মঙ্গল পাণ্ডে এবং সতীশ ধন্ড।

    কমিটিতে জায়গা হয়নি যাঁদের

    কমিটিতে (BJP) জায়গা হয়নি চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লার। ঠাঁই পাননি গেরুয়া শিবিরের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী, মনোজ টিগ্গা এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ওই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি তাঁরও। এদিনের বৈঠকেও ডাকা হয়নি তাঁকে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে বঙ্গ সফরে এসে শাহ লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলার নেতারা কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই সোমবার ফের বাংলায় এসেছেন বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    এ রাজ্যে আক্ষরিক অর্থেই শূন্য থেকে শুরু করেছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যের ১৮টি আসনে জেতে। তার পর থেকে বাংলায় ক্রমেই শক্ত হয়েছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি। তাই বেড়েছে প্রত্যাশাও। সেই কারণেই এবার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩৫। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দেশজুড়ে ৪০০-র বেশি আসনে পদ্ম (BJP) ফোটাতে চায় তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    Amit Shah: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাট মন্দিরে (Kalighat Tample) পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ৷ মঙ্গলবার বেলা ১২টা বেজে ৯ মিনিটে মন্দিরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি। পুজো দিয়ে বেলা ১২টা ১৮ মিনিটে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন শাহ-নাড্ডা। এরপর নিউটাউনের হোটেলে ফিরে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। এদিন সকালে প্রথমে জোড়াসাঁকোর বড়া শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে প্রার্থনা সারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নাড্ডা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালের মতো বঙ্গ বিজেপি-নেতৃত্ব।

    শাহ-নাড্ডাকে স্বাগত

    বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সঙ্গে জেপি নাড্ডা। সোমবার রাতে ঝটিকা সফরে বাংলায় আসেন শাহ। তাঁর নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকেরা। এদিন সকালে নিউটাউনের হোটেল থেকে বেরিয়ে জোড়াসাঁকোর বরা শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপরে উত্তর থেকে দক্ষিণে কালীঘাট মন্দিরে যান শাহ-নাড্ডা। বিশেষ লাল গালিচা পেতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালীঘাট মন্দিরে স্বাগত জানানো হয়। কালীঘাটে পুজো দিয়েই নিউটাউনের হোটেলে ফিরে যান শাহ-নাড্ডা। সেখানেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে হাজির থাকবেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। 

    শাহ-নাড্ডার বৈঠক

    আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য বিজেপির নেতৃ্ত্বের সঙ্গে শাহ-নাড্ডার এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক সেরে আলিপুরের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারে হবে দ্বিতীয় বৈঠক। সেখানে বিজেপির জেলা ও জোন নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অমিত শাহ নন, একইসঙ্গে সোমবার রাতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতি নিয়ে জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও দুই নেতাই মূলত আসছেন একটি গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। তাঁরা কালীঘাটে পুজোও দেবেন। এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের দায়িত্ব ও করনীয় প্রসঙ্গে পাঠ দেবেন শাহ-নাড্ডা।

    কখন আসবেন দুই নেতা

    বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ একই বিমানে কলকাতায় নামার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার। এর পরে তাঁদের যাওয়ার কথা নিউ টাউনের একটি হোটেলে। সেখানে মধ্য রাতেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন শাহ-নাড্ডা। বিমান বন্দরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানাতে যাবেন। 

    কী কী কর্মসূচি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্রদের ‘বীরাগাথা’ উদযাপন করতে ২৬ ডিসেম্বর ‘বীর বাল দিবস’ পালন করা হবে। সেই উদযাপনের অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার সকালে মহাত্মা গান্ধী রোডের গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা শাহ ও নাড্ডার। ‘বীর বাল দিবসে’র কর্মসূচি সেরে তাঁরা কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন। সেখানেও দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে থাকার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন।

    আরও পড়ুন: রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে অযোধ্যায় আসছে নানা উপহার! কী কী থাকছে?

    বিজেপি সূত্রের খবর, ওখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। ওই বৈঠকে রাজ্য নেতা, মোর্চার পদাধিকারী ছাড়াও এমন কিছু ব্যক্তিকে ডাকা হতে পারে, যাঁদের কাউকে কাউকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকের পরে নড্ডাদের নিউ টাউনের হোটেলে ফিরে যাওয়ার কথা। সেখানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আবার এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন বিজেপির দুই সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা। বৈঠক শেষে মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share