Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকারের অধীনে ভারতের (India) দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা কারও নেই। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে চিনা সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের সূচনা করতে দু দিনের সফরে শাহ এসেছেন অরুণাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্তবর্তী গ্রাম কিবিথুতে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ বলেন, আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, আমাদের দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বলেন, কেউ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। তাদের বক্তব্য, সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে শাহ বলেন, এই মনোভাবই সে দিন হামলাকারীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছিল। ওই যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ((Amit Shah)) অরুণাচল প্রদেশ সফরের আগেই বিবৃতি জারি করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই এদিন চিন সীমান্তে সভা করেন শাহ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন শেষ গ্রাম নয়, প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম বদলে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি মালভূমি অঞ্চল, দুটি আবাসিক এলাকা এবং দুটি নদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, ২০১৪ সালের আগে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রীর লুক ইস্ট নীতির কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) আপাতত তিহাড় জেলের বাসিন্দা। শুক্রবার সেই জেলায়ই সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পরের দিন দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরবেন দিল্লি। শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সাজ সাজ রব গেরুয়া শিবিরে। জানুয়ারি মাসে এ রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। শেষমেশ বাতিল হয়ে যায় বঙ্গ সফর। তখনই জানিয়েছিলেন বাজেট অধিবেশনের পর আসবেন। সেই মতো চলতি সপ্তাহের শেষে দু দিনের সফরে বাংলায় আসছেন তিনি।

    অমিত শাহ (Amit Shah)…

    তাঁর এই সফরকে কাজে লাগাতে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে সভা করার কথা তাঁর (Amit Shah)। ওই দিন রাতে কলকাতায় ফিরে করবেন কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাহের এই বাংলা সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেন সিউড়িতেই সভা হবে শাহের? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বীরভূম লোকসভা আসনটির দিকে নজর রয়েছে পদ্ম শিবিরের। তাই জেলায় সংগঠন চাঙা করাই লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের। জনসভার বদলে ওই দিন সিউড়িতে শাহ কর্মিসভাও করতে পারেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    এর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্য বিজেপির নেতাদের। প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে না পারায় সেই বৈঠক হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সঙ্গে। সেই বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছিল সিএএ প্রসঙ্গ। রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতা শাহের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় সিএএ কবে চালু হবে? সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে যাবে শুক্রবার। তাই ওই জনসভায় সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলেন কিনা, এখন তাই দেখার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দু দিনের ধর্নায়ও বসেন তৃণমূল নেত্রী। সিউড়ির জনসভায় সে সম্পর্কেও কিছু বলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করবে আধা সাময়িক বাহিনী। জানাল কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্যকে অবিলম্বে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। তার আগে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা বলল উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ

    রাজ্যে অশান্তির ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। আদালতের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করাতে। সেই মামলার শুনানিতেও সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠা এলাকাগুলিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    এদিন আদালতে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) রাজ্যে পালিত হওয়া সাধারণ উৎসবের মধ্যে পড়ে না। আদালতে রাজ্য জানায়, শেষ ৫ বছর ধরে এটা শুরু হয়েছে। রাজ্যের দাবি, এ ক্ষেত্রে অপরিচিত সংগঠন অনুমতি চাইছে। পরের বছর থেকে ১৫ দিন আগে অনুমতি চাইতে হবে। রাজ্য জানিয়েছে, সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে প্রায় ২০০০ আবেদন জমা পড়েছে। সেই মিছিলগুলিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে বলেছে আদালত। বুধবার থেকেই সেই এলাকাগুলিতে পুলিশ যাতে রুট মার্চ করে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্যের অনুরোধ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহিনি মোতায়েনের ব্যবস্থা করার জন্য পৃথক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও।

    আদালতের নির্দেশিকা

    হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা কোথাও কোনও বক্তৃতা করবেন না

    হনুমান জয়ন্তীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আধা সামরিক বাহিনী চাইবে রাজ্য

    মিছিল বা শোভাযাত্রা যদি প্রশাসনের কোনও শর্ত না মেনে হয় তা হলে তার দায় সেই প্রতিষ্ঠান এবং তার আধিকারিকদের উপর বর্তাবে

    শোভাযাত্রায় কত জন থাকবেন তা আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে

    শোভাযাত্রা শুরু এবং শেষ নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যারিকেড করা হবে

    স্বেচ্ছাসেবকদের নাম এবং ফোন নম্বর দিতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় বসানো হবে সিসিটিভি

    ১৪৪ ধারা এলাকার মধ্যে কোনও হনুমান জয়ন্তী মিছিল হবে না। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রিকুইজিশন দেবে রাজ্য। 

    সারা রাজ্যে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য পুলিশ রুট মার্চ করবে। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ রিপোর্ট আকারে হাইকোর্টে পেশ করবে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    কেন্দ্রের নির্দেশ

    হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) ঠিক আগে বুধবার (৫ মার্চ) বিশেষ পদক্ষেপ করল কেন্দ্রও। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে, এমন যে কোনও বিষয়ের উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করা হয়েছে, “রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যে কোনও কিছুর উপর নজরদারি নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    Amit Shah: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলার জেরে অশান্ত বাংলা। হাওড়া, হুগলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে অশান্তি। অশান্তি থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যেই বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

    হামলার সাতকাহন…

    ৩০ মার্চ রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার কাজিপাড়া এলাকায়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। কাজিপাড়ার এই ঘটনার পরে পরেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয় হাওড়ার শিবপুরে। অশান্তি রুখতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে হুগলির রিষড়াও। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে এখানেও ছোড়া হয় ইটপাটকেল। রাতের ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ।

    উত্তেজনার আঁচ লাগে কোন্নগরেও (Amit Shah)। আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর কনভয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয় সুকান্তর। রাজ্যের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানায় বিজেপির বঙ্গ শাখা। দাবি জানানো হয় এনআইএ তদন্তেরও।

    আরও পড়ুুন: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    এদিকে, শিবপুর ও রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট নয়, কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রবাদীদের বাঁচাতে কিছু করে দেখান রাজ্যপাল, তাহলেই বোঝা যাবে। প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছ থেকে পূর্বসুরীদের ভূমিকা দেখতে পাইনি। রাজ্যের রিপোর্ট না চেয়ে, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রের পদক্ষেপ চান। শিবপুর, রিষড়া থানার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তোলার সুপারিশ করুন। তাহলেই বুঝব, শুধু বিবৃতি নয়, কিছু করে দেখাতে চাইছেন সিভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra Clash: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    Rishra Clash: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির (Rishra Clash) ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিজেপির বিমান ঘোষ। সোমবার ভোরেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিঠি লেখেন তিনি। বাংলায় অশান্তির পরিবেশের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন বিমান।

    রিষড়ায় অশান্তি (Rishra Clash)…

    শুক্রবার ছিল রামনবমী। সেই উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পদ্ম শিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী। শোভাযাত্রা সন্ধ্যাবাজার এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় অশান্তি (Rishra Clash)। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। করা হয় বোমাবাজি। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। জখম হন বিমান। রবিবারের ঘটনার বিবরণ দিয়ে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিমান জানান, শোভাযাত্রায় অশান্তি ও আক্রমণের সময় রাজ্যের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। পরে নিরাপত্তার নামে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদেরই আটকায় পুলিশ। চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন।

    রিষড়ায় কেবল বিধায়কই নন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে জখম হয়েছে রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রিষড়ায় অশান্তির (Rishra Clash) ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সূত্রের খবর, ঘটনার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন তিনি। পরে বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেন, গুন্ডা ও দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: ‘বাংলাকে সাহায্য করুন’’! রিষড়ায় হামলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রামনবমী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছিল হাওড়ায়ও। শুক্রবার হামলা হয় কাজিপাড়া এলাকায়। হামলা হয় শিবপুর এলাকায়ও। পড়শি রাজ্য বিহারের নালন্দার সাসারাম এবং বিহার শরিফেও হামলা হয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: হাওড়ার পর এবার হুগলি, রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আগুন

    Ram Navami: হাওড়ার পর এবার হুগলি, রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ার পর এবার হুগলির (Hooghly) রিষড়া। রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ফের হামলার ঘটনা। রবিবারের ঘটনার জেরে হল অগ্নিসংযোগও। ঘটনাস্থলে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ছিল রামনবমী। সেই উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। ওই শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলার জেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। তার পরেই ঘটে অগ্নি সংযোগের ঘটনা। এদিনের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় অশান্তি…

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়। শুক্রবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ওই শোভাযাত্রা কাজিপাড়ার কাছে পৌঁছলে চালানো হয় হামলা। শোভাযাত্রায় ছোড়া হয় পাথর, বোমা, পেট্রল বোমা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রাস্তার ধারের কয়েকটি দোকানে। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তার পরে তখনকার মতো শান্ত হয় পরিস্থিতি। পরের দিন ফের অশান্তি হয় এলাকায়।কাজিপাড়ার পাশাপাশি রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে হাওড়ারই শিবপুরে। রবিবার শিবপুরে যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সুকান্তর। পরে অবশ্য যান সুকান্ত।

    আরও পড়ুুন: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    কেবল বাংলা নয়, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারেও। নালন্দার সাসারাম ও বিহার শরিফে শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার জেরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বোমার ঘায়ে জখম হয়েছেন ছ জন। এদিন সাসারামে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তবে দু দিনের বিহার সফরে গেলেও, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সাসারামে যাননি তিনি। তার বদলে এদিন তিনি সভা করেন নওয়াদায়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। নীতীশ ও লালুপ্রসাদের তুষ্টিকরণের জেরে যে রাজ্যে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল বাংলা নয়, পড়শি রাজ্য বিহারেও (Bihar) হামলা হয়েছে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায়। রবিবার দু দিনের বিহার সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নওয়াদার এক জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাসারাম ও বিহার শরিফে উন্মত্তের মতো ছোটাছুটি করছে দাঙ্গাকারীরা। ২০২৫ সালে বিহারের ক্ষমতায় এলে এদের উল্টো করে ঝোলাবে বিজেপি। শুক্রবার ছিল রামনবমী। এই উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয় নালন্দার বিহার শরিফ ও সাসারাম এলাকায়। অভিযোগ, দুই জায়গায়ই হামলা হয় শোভাযাত্রায়। রবিবার এই সাসারামেই যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ওই এলাকায় যাননি তিনি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মহাগটবন্ধনকে উপড়ে ফেলবে বলেও জানান শাহ। তিনি বলেন, বিহারবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের ৪০টি আসনেই তাঁরা মোদির পদ্ম ফোটাবেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও একহাত নেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, যে সরকারে লালু প্রসাদ যাদবের জঙ্গলরাজ রয়েছে, সেই সরকার কখনও কি বিহারে শান্তি আনতে পারবে? তিনি বলেন, নীতীশ কুমার লালু প্রসাদ যাদবের কোলে বসে রয়েছেন। কারণ ক্ষমতার লোভ। শাহ বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিহার থেকে মহাগটবন্ধনের সরকারকে উপড়ে ফেলব আমরা। তিনি বলেন, লালু প্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমার সব সময় তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে আসছেন। তাই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। শাহ বলেন, উল্টোদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন এবং কড়া হাতে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদিই।

    আরও পড়ুুন: শিবপুর যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, কী বললেন সাংসদ?

    শাহ বলেন, বিজেপি আর কখনও নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মেলাবে না। কারণ তিনি সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছেন। তিনি (Amit Shah) বলেন, নীতীশ কুমারের জন্য বিজেপির দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে নো ভ্যাকেন্সি। তাই নীতীশ কুমারের আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হল না। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নওয়াদার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহও। প্রসঙ্গত, বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ মোট ছটি দলকে নিয়ে জোটগঠন করেন। সেই সরকারেরই মুখ্যমন্ত্রী তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলা সম্পর্কে খোঁজ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ফোন করে খোঁজ নেন তিনি। হাওড়ার পুরো ঘটনা এবং প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে শাহকে অবহিত করেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ওঁকে জানিয়েছি। উনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ওঁকে আমি এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠাচ্ছি। যাতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ হয় এবং তদন্ত হয়। যাঁরা উপযুক্ত দোষী, তাঁরা যেন শাস্তি পায়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তা আমি জানিয়েছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তি…

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া শহরের একাংশ। শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকায় পাল্টা হামলায় পোড়ে দোকানপাট। রাতে হয় পাল্টা ইটবৃষ্টি। ইটবৃষ্টি হয় শুক্রবার দুপুরেও। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি প্রশাসন। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র‌্যাফ। খোলা হয়েছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। শুক্রবারও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তির ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: তিলজলা থানায় প্রহৃত এনসিপিসিআর কর্তা, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিজেপি

    এদিকে, হাওড়াকাণ্ডে (Ram Navami) এনআইএ তদন্ত ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে তিনি আবেদন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টেও। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, হাওড়া ও ডালখোলায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা ও হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি আজ কলকাতার মাননীয় হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আমি এনআইএ তদন্তের জন্য প্রার্থনা করেছি। এবং এই ধরনের এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নিরীহ জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। মাননীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিআইএল নথিভুক্ত করার জন্য মঞ্জুর করেছেন এবং সোমবার তালিকার শীর্ষে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    Amit Shah: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলেই লাগু হতে পারে সিএএ (CAA)। মঙ্গলবার রাতে বাংলার বিজেপি (BJP) সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। সেখানেই এই আশ্বাস মিলেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ও আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে যাতে এ রাজ্যে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করা যায়, সেজন্য সংগঠন মজবুত করার নির্দেশও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল বাংলার পদ্ম সাংসদদের। বিশেষ কারণবশতঃ প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে না পারায় রাত ৯টায় শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ওই বৈঠকেই সিএএ-র পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, বুথ স্তর থেকে সংগঠন সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই যাতে বাংলায় দল শক্ত হাতে হাল ধরতে পারে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শাহি (Amit shah) দরবার…

    এদিন শাহি (Amit shah) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার ১৭ জন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। সিএএর দাবি জানান তিনি। তাঁর সুরেই সুর মেলান আরও কয়েকজন সাংসদ। সূত্রের খবর, তখনই শাহ তাঁদের বলেন, আরও ১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন তারপর কী হয়। এদিন রাজ্যের নানা দুর্নীতির কথা শাহি দরবারে তুলে ধরেন সাংসদদের কেউ কেউ। সূত্রের খবর, তাতে বিশেষ আমল দেননি অমিত শাহ। তবে বাংলার উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, তা জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সাংসদরা সকলেই উন্নয়ন করতে আশু কী প্রয়োজন, তা জানান তাঁকে। কেউ কেউ লিখিত আকারেও উন্নয়নের কথা জানান। চা বাগান এলাকা, আদিবাসী, জনজাতি ও মতুয়া সম্প্রদায় নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    সাংসদদের বক্তব্য শোনার পর বৈঠকে অনিবার্যভাবেই চলে আসে ভোটের প্রসঙ্গ। তখনই শাহ (Amit shah) বিজেপি সাংসদদের সংগঠন মজবুত করার ওপর জোর দেন বলে সূত্রের খবর। তিনি জানান, ২০২৪ আসতে সময় বেশি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে সংগঠন মজবুত করতেই হবে। বাংলায় সংগঠন তৈরি যে বিশেষ জরুরি, তা বুঝেছেন রাজ্য নেতৃত্বও। কারণ এখনও রাজ্যের সব বুথে কমিটি গঠন করা হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই যাতে ওই কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়, সে ব্যাপারে কোমর কষে নেমে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বাংলার বিজেপি (BJP) সাংসদদের। সেই মতো দিল্লি গিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বাংলার সাংসদদের ওই বৈঠক হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল হওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় শাহি সাক্ষাৎ হতে পারে বিজেপির বঙ্গ সাংসদদের। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ কারণেই মঙ্গলবার রাতে বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বাংলার সাংসদরা বারবার বলছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর সামনে জবকার্ডের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার দুর্নীতির বিষয় সহ নানা বিষয় বিশদে তুলে ধরব।

    দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সেই মতো পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। মোদিকে (PM Modi) মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও জোর কদমে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বুথস্তরের সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে, তারও দিশা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এসব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে। তবে শাহের সঙ্গে বৈঠক হবে স্থির হওয়ায় এগুলো নিয়েই আলোচনা হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতি নিয়েও হতে পারে আলোচনা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানা বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয় শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে। এদিকে, ২৯ মার্চ বুধবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে পাল্টা ধর্নায় বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপিও। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসবে পদ্ম শিবির। ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাই শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় ফিরে আসবেন বিজেপি সাংসদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share