Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি ফাঁস করলেন তাঁর ফিট থাকার রহস্য। কীভাবেই বা তিনি দিনে এত পরিশ্রম করতে পারেন (Weight Loss Mantra), তাও খোলসা করলেন বিজেপির এই নেতা। শনিবার বিশ্ব লিভার দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি জানান তাঁর ফিট থাকার রহস্য।

    শাহি পরামর্শ (Amit Shah)

    সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুব সমাজকে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম ও ছ’ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন। নিজে কীভাবে ওজন কমিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন শাহ। বলেন, “২০২৯ সালের মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আমি অনেক বড় পরিবর্তন করেছি। সঠিক পরিমাণে ঘুম, বিশুদ্ধ জল পান, খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে আমি জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছি। গত সাড়ে চার বছরে আমি সমস্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ থেকে মুক্ত হয়েছি।” তিনি বলেন, “এটি আমার কাজ করার, চিন্তা করার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।”

    কার্টুন উপভোগ করেন!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) এদিন আইএলবিএসে একটি লিভার প্রতিস্থাপন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। একটি কার্টুন গ্যালারিও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমি কার্টুনগুলো উপভোগ করি, যার মধ্যে আমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি কার্টুনগুলোও রয়েছে।” লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তৈরি গ্যালারি ও ইনস্টিটিউটের অন্যান্য উদ্যোগের জন্য আইএলবিএস পরিচালক ডঃ এস সারিনের প্রশাংসাও করেন তিনি।

    এর পরেই দেশবাসীকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘুমকেও গুরুত্ব দিতে বলেন। কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে লিভারের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব প্রচার করার ও লিভারের চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে কাজ করছে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেগুলিকে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন প্রতিদিন তাঁদের শরীর সুস্থ্য রাখতে দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম করেন এবং তাঁদের মস্তিষ্কের জন্য ছ’ঘণ্টা ঘুমোন (Amit Shah)। এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা (Weight Loss Mantra)।”

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্রহ্মাকুমারীরা (Brahma Kumari Sansthan) যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষের শান্তি ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এখানে প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত ভালো গুণকে জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন।” শাহ জানান, এখানে এসেই একজন অবিশ্বাস্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুভব করতে পারেন, যা এই স্থানের আধ্যাত্মিক শক্তির ফল।

    আলোর পথে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “যখন কেউ তাঁর জীবনে একজন গুরু খুঁজে পান, তখন তিনি ধার্মিকতার পথে চলতে সক্ষম হন। এর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কিছু মানুষ এমন কাজ করেন যা প্রতিটি মানুষের আত্মাকে আলোর প্রদীপে রূপান্তরিত করে এবং তাঁদের আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যান।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মাকুমারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লেখরাজ কৃপালনীজি প্রতিটি মানুষের আত্মাকে একটি প্রদীপে পরিণত করে আলোর পথে এগিয়ে চলার এক মহান আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজ সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।”

    ব্রহ্মাকুমারীদের ত্যাগ-তপস্যা

    তিনি বলেন, “ব্রহ্মাকুমারীরা তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা ও মেধার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সরলতা, সংযম ও সহযোগিতার (Brahma Kumari Sansthan) এক অনন্য পরিবেশ গড়ে তুলেছেন (Amit Shah)।”
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ এখানে এক সঙ্গে দুটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে – প্রথমত, ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের ২০২৫-২৬ সালের থিম “ধ্যান: বিশ্ব ঐক্য ও বিশ্ববিশ্বাসের জন্য” চালু করা, এবং দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আত্ম-শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ জাগরণ বিষয়ক জাতীয় সংলাপের সূচনা।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা তৃতীয় স্থান অধিকার করব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্য রাখছি। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম, প্রতিটি মানুষের আত্মাকে ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত করতে এবং প্রতিটি জীবনকে সদগতির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম আমাদের (Brahma Kumari Sansthan) ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেওয়াই ভারতের লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং এই দিকে ব্রহ্মাকুমারীসের মতো সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে (Amit Shah)।”

  • Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই একদিনের সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে ও অন্যান্য সহযোগী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি। অমিত শাহ আরও জানান, জাতীয় স্তরে এই নির্বাচন লড়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং রাজ্যস্তরে এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামীর নেতৃত্বে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিঃশর্তভাবেই এই জোট সম্পন্ন হয়েছে।’’ এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই কর্মসূচির ভিত্তিতেই জোট চলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা,  এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট হওয়াতে বেশ ভালোই চাপে পড়ল ডিএমকে। আগামী বছরেই রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তার আগেই দুই দল ফের একসঙ্গে হল।

    ১৯৯৮ সাল থেকেই এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতা (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। সেই তখন থেকেই এনডিএ-র শরিক ছিল জয়ললিতার দল। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের এই সম্পর্কে ছেদ পড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গে জোটে ভাঙন ধরে এআইএডিএমকে-র।

    অমিত শাহের মুখে পুরনো দিনের কথা, মনে করালেন ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোট (Tamil Nadu)

    তখন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের (AIADMK) জেনারেল সেক্রেটারি ই কে পালানিস্বামী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসাবে লড়াই করবেন তাঁরা। তারপর ২০২৫ সালের ফের দুই দলের এক হওয়ার খবর সামনে এল। পুরনো দিনের কথা এদিন উঠে আসে শাহের সাংবাদিক বৈঠকেও। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে লোকসভায় বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র জোট বিরাট জয় পেয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বিজেপি-এআইএডিএমকে (AIADMK) জোট ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল।

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Amit Shah: জঙ্গিদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: জঙ্গিদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার শ্রীনগরের রাজভবনে একটি উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। সম্প্রতি কাঠুয়া-জম্মু সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং জম্মু বিভাগের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের পরিস্থিতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

    উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা (Amit Shah)

    এর আগে এদিনই শাহ আর একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে বিভিন্ন পরিকাঠামো ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাঁকে জানানো হয় যে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের আপগ্রেডেশন, একাধিক নতুন সেতু নির্মাণ এবং রাস্তা চওড়া করার ফলে দুই প্রধান শহরের মধ্যে সফরের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। আগে জম্মু থেকে শ্রীনগরে যেতে আট ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগত। চেনানি ও বানিহাল টানেল এবং রাস্তা চওড়া করায় এখন এই সময় কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে (Terrorists)।

    ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন

    আগামী ১৯ বা ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাটরা-শ্রীনগর ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন করতে পারেন। এটি একটি পরিকাঠামো প্রকল্প, যার লক্ষ্য রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করা। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে কাশ্মীরে নিয়মিত ট্রেন চলাচল পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এটি এখনও শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই পর্যটকরা ট্রেনে করে কাশ্মীর ভ্রমণ করতে পারবেন (Amit Shah)।

    বৈঠকে যাঁরা ছিলেন

    এদিনের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেন। বর্তমানে যে সব অভিযান চলছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন। সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ রোধ করার উপায় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। শাহ নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেন, তারা যেন অসাংবিধানিক উপাদান এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আস্থা পেতে তাদের অপারেশনে জনবান্ধব পদক্ষেপ বজায় রাখার ওপরও জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই নিরন্তর হতে হবে। কিন্তু জনগণের প্রতি সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে হবে।”

    জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

    জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Terrorists)। তাই কেন্দ্র সরাসরি এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। শাহ বলেন, “এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।” লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও (Amit Shah)। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ভূমিকা আর আগের মতো নেই। গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত নতুন প্রোটোকল গড়ে উঠেছে। তার ফলে এখন এই অঞ্চলের বিষয়গুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তদারকি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

    উন্নয়ন নিশ্চিত করার নির্দেশ

    এর আগে উন্নয়ন পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার অধীনে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ  সিনহাও অংশ নেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্র ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চপদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল পরিকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, পর্যটন বৃদ্ধি, সংযোগ সুবিধা উন্নত করা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে কল্যাণমূলক (Terrorists) প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। শাহ বলেন“জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত ও সমৃদ্ধিশালী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হল জম্মু ও কাশ্মীর উভয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা (Amit Shah)।”

    তিনদিনের ভূস্বর্গ সফরের সময় শাহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। শাসন ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তিনি স্থানীয়দের মতামতও নেন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া জেলার হীরানগর সেক্টর পরিদর্শনের সময় শাহ বিএসএফ কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। একটি অভিজাত সীমান্ত সুরক্ষা ইউনিট (Terrorists) হিসেবে বাহিনীর প্রশংসাও করেন তিনি (Amit Shah)।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

LinkedIn
Share