Tag: Andaman Sea

Andaman Sea

  • Andaman Sea: আন্দামান সাগরে যকের ধন! খোঁজ মিলল তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডারের, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি?

    Andaman Sea: আন্দামান সাগরে যকের ধন! খোঁজ মিলল তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডারের, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ধরে ভারতে তেলের চাহিদা পূরণের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের উপর। ইরান, ইজরায়েল, রাশিয়া এবং আরব আমিরশাহির মতো মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের থেকে বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে হত ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেল। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ এবং দেশের মোট প্রয়োজনের প্রায় আশি শতাংশের বেশি তেল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা যুদ্ধের আবহ— এ সব কিছুই সরাসরি প্রভাব ফেলে ভারতের অর্থনীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার উপর। এই প্রেক্ষাপটে, এক বড়সড় সুখবর দিল ভারত সরকার (India)। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের আবহে ভারত সরকার জানাল এক চমকপ্রদ তথ্য। আন্দামান সাগরে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডার (Andaman Sea)। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

    বর্তমানে দেশের (India) কোথায় কোথায় রয়েছে তেলে ভাণ্ডার

    বর্তমানে দেশের মধ্যে অসম, গুজরাট, রাজস্থান, মুম্বই এবং কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে তেলের খনি রয়েছে। বিশাখাপত্তনম, মাঙ্গালোর ও পাদুরেও রয়েছে তেলের ভাণ্ডার। সম্প্রতি ওড়িশা ও রাজস্থানেও নতুন তেলের ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ইতিমধ্যে ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়া সেখানে অনুসন্ধান এবং খনন কার্য শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    অনেকেই গায়ানার উদাহরণ দিচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, আন্দামান সাগরে (Andaman Sea) সম্ভাব্য তেল ভাণ্ডারের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই গায়ানার উদাহরণ টেনে আনছেন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্তর্গত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ হল গায়ানা। এখানেই ২০১৫ সালে বিশাল আকারের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছিল মার্কিন সংস্থা হেস কর্পোরেশন এবং চিনের সংস্থা সিএনওওসি। প্রায় ১১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল মজুত তেল ও গ্যাস আবিষ্কারের পর রাতারাতি বদলে যায় গায়ানার অর্থনৈতিক চেহারা। তেল আবিষ্কারের আগে গায়ানা ছিল এক অর্থে অনুন্নত একটি রাষ্ট্র। কিন্তু এই আবিষ্কারের ফলে দেশটি বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে গায়ানা বিশ্বের তেল উৎপাদনে ১৭তম স্থানে রয়েছে, যা তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যে এক বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

    বদলে যেতে পারে ভারতের অর্থনীতির চেহারা

    যদি আন্দামানে (Andaman Sea) গুয়ানার মতো তেলের ভাণ্ডার পাওয়া যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে বদলে যাবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর বক্তব্য, এই অনুসন্ধান যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে ভারতের অর্থনীতি ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে এক লাফে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

    ৮৫ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, “২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে (তেল) কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। পরে আমরা নীতিগত পরিবর্তন এনে তা বদলে ফেলি।” বর্তমানে ভারত তার প্রয়োজনীয় ক্রুড অয়েলের প্রায় ৮৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে। এই খাতে ভারত হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। কিন্তু যদি আন্দামানে (Andaman Sea) তেল উত্তোলন শুরু হয় তবে তেল আমদানির উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে।

    ২০২৪ অর্থবর্ষে ওএনজিসি মোট ৫৪১টি নতুন কূপ খনন করেছে

    মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৪ অর্থবর্ষে ওএনজিসি মোট ৫৪১টি নতুন কূপ খনন করেছে, যা গত ৩৪ বছরে সর্বোচ্চ। তাঁর কথায়, ভারতের মোট ৩৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পলিভূমির মধ্যে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

    কমবে তেলের দাম, বাড়বে জ্বালানি নিরাপত্তা

    অনেকেই মনে করছেন,যদি ভারতের আন্দামান (Andaman Sea) সাগরেও তেলের বিশাল ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে তা ভারতের ক্ষেত্রেও এক ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে। এতে করে শুধু তেলের আমদানি কমবে না বরং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও অনেকটাই সুদৃঢ় হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বা ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব ভারতের অর্থনীতির উপর পড়বে না। এমন একটি আবিষ্কার শুধু ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রে যে বিরাট বিপ্লব আনবে এমন নয় বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকেও অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহর থেকে জেলা সর্বত্র ঠান্ডার মেজাজ। সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট থাকবে। এরই মধ্য়ে ডিসেম্বরের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। 

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আলিপুর হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত অচিরেই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর পর যদি সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে, তা হলে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অচিরেই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়েও। ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে তা বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মিগজাউম( ‘Michaung’ pronunciation – Migjaum)। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। ঘূর্ণিঝড় হলে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হবে।

    দক্ষিণবঙ্গের জেলায় ঠান্ডার আমেজ

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শীতের আমেজ বহাল রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও তীব্র হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমে শীতের দাপট থাকবে বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না।

    আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    কলকাতায় ঠান্ডার ব্যাটিং 

    এক ধাক্কায় কলকাতায় ১৮-র ঘরে নেমেছে পারদ। ধীরে ধীরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা ছিল এই মরশুমে সবচেয়ে কম। বৃহস্পতিবার প্রথম কলকাতার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শুক্রবারও তা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেই রয়েছে। শুক্রবার দমদম এবং আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে কম। এ ছাড়া বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল তাপমাত্রা।

    উত্তরে ঠান্ডার দাপট

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর দু’তিন দিনের মধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে শুরু করবে। ফলে আরও কমবে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গে আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী তিন চার দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকলেও শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share