Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপির ওয়াকআউট! ডিজিপিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপির ওয়াকআউট! ডিজিপিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এক পুলিশ অফিসারকে দেওয়া বীরভূমের ওই তৃণমূল নেতার সাম্প্রতিক হুমকির ঘটনায় বিধানসভায় আলোচনা দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, এই যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিজেপির বিধায়করা বিক্ষোভে শামিল হন। ওয়াকআউট করেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে, বুধবার এই দাবিতে উত্তাল হয় বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

    কেন নিশানায় অনুব্রত

    বোলপুরের আইসি-কে ফোন করে হুমকি, কদর্য ভাষায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কথা- গোটা বিষয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ঘরে-বাইরে চাপে পড়তে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। দলের নির্দেশে ক্ষমাও চেয়েছেন, দিয়েছেন হাজিরাও। কিন্তু বিষয়টি থিতিয়ে পড়তে দিতে নারাজ বিজেপি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিধানসভা উত্তাল করেন বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ইস্যুতে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। অধিবেশনের শুরুতেই মহিলা বিজেপি বিধায়করা অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, অনুব্রত মোবাইলে যেভাবে পুলিশ অফিসার ও তাঁর মা এবং স্ত্রীর প্রতি কদর্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, তাতে মহিলা সমাজ অপমানিত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের

    আইসিকে কদর্যভাষায় হুমকি দিয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে কেষ্ট। বুধবার বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) কীভাবে সরকারি কর্মচারীকে গালি দিয়েও রুরাল ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন? বিজেপি একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়করা তখন বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় ওয়াকআউট। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিজেপির হাত ধরে একটি অডিও ক্লিপ সামনে আসে। তাতেই শোনা যায় বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন অনুব্রত। ছেড়ে কথা বলা হয়নি তাঁর পরিবারের মহিলা সদস্যদেরও। এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।

     বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্ন

    এদিন অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রস্তাব পাঠ করেন ডাবগ্রাম – ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। কেন এখনও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপির মহিলা বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে শিখাদেবী বলেন, ‘যে ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের মা ও স্ত্রীর প্রতি যে নোংরা ভাষা অনুব্রত মণ্ডল প্রয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাত তাঁর মাথায় থাকায় এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কোনও মহিলার মান সম্মান বলে কিছু জানেন না উনি। অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তৃণমূল কংগ্রেস করে বলে সে সব দিক থেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে।’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অনুব্রতর অডিওকাণ্ডে (Anubrata Mondal Viral Audio Controversy) এবার রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল জাতীয় মহিলা কমিশন। ৫ দিনের মধ্যে তথ্য-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। অডিওকাণ্ডে এর আগেই পুলিশের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে অসন্তোষপ্রকাশ করেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে দেওয়া হয়নি কোনও এফআইআর কপি। রিপোর্টের সঙ্গে দেওয়া হয়নি অভিযুক্তর মেডিক্যাল রিপোর্টও।

    রিভিউ অ্যাকশন রিপোর্ট তলব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অডিও ভাইরাল হওয়ার পর ডিজিকে চিঠি পাঠায় কমিশন। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়। মহিলা কমিশনের চিঠির উত্তর দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। আর এবার রিভিউ অ্যাকশন রিপোর্ট চাওয়া হল। জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশ, অবিলম্বে অভিযুক্তর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে হবে। গোটা ঘটনায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। যা ধারা আছে তার সঙ্গে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯, ৩৫২ ও ৭৪ নম্বর ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এর মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪ নম্বর ধারা জামিন অযোগ্য। চিঠিতে জাতীয় মহিলা কমিশন উল্লেখ করেছে, ‘আইসি-র মোবাইল বাজেয়াপ্ত, অথচ অভিযুক্তর কোনও ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত হয়নি! একই অপরাধ কোনও সাধারণ নাগরিক করলে, তাকে থাকতে হত জেলে এক্ষেত্রে অভিযুক্ত খোলামেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে, আইন প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে বিপরীত হতে পারে না। উর্দি পরা বাহিনী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা অপরাধীদের থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে না পারলে, তাতে বিপজ্জনক বার্তা যায়।’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে (TMC)! অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি গ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি পরিবার। পদ্ম শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। মে মাসের শেষাশেষি নলহাটি বিধানসভার ৫৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা তুলে দেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপির দাবি ছিল, তিন দিনে হাসন ও নলহাটি বিধানসভার মোট ২৫০টি পরিবার চলে এসেছে তাদের দিকে।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কোর কমিটির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। এই আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে অশনি-সঙ্কেত। এভাবে চলতে থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কেষ্ট গড়ে পদ্মফুল ফুটবে।

    তৃণমূলকে তোপ নবাগতদের

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তোপ দাগতে শুরু করেন নবাগতরা। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অচিন্ত্য দাস এবং গিরিধারী সরকারও। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে গোটা বাংলার যা পরিস্থিতি, কারও যদি বিবেক বোধ থাকে, বিবেকের দংশন হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা কখনও তৃণমূল করবেন না।” বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের অভাব এবং সংখ্যালঘু তোষণের জন্য পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই পরিবারগুলি।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, তখনই তৃণমূলে বড় ভাঙন বীরভূমে (Birbhum)। অনুব্রতর নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরেরই অনেকে। দলের তরফে তড়িঘড়ি দায় ঝেড়ে, ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্টকে। ক্ষমা চাইলেও, এখনও পুলিশের তলবে হাজির হননি (TMC) অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতেই শিবির বদল দেড়শোরও বেশি পরিবারের (Birbhum)।

  • TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন তিহাড় জেলে ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে ফিরেছেন গাঁয়ে (West Bengal)। তার পরেই তৃণমূলের কাজল শেখ গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরেরই অনুব্রত মণ্ডলের অন্তর্দ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash) চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। তার জেরে হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালি বিক্রির টাকার বখরা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। বোমার ঘায়ে পা উড়ে গিয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। নাম শেখ সাত্তার আলি। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন ও তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ।

    তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত (TMC Inner Clash)

    গত প্রায় দু’বছর ধরে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, মমতা ঘনিষ্ট অনুব্রত যতদিন জেলে বন্দি ছিলেন, ততদিন একপ্রকার শান্তই ছিল বীরভূম। তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন। অনুব্রত জেলায় ফিরতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    বেশ কয়েক জায়গায় অনুব্রত গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অনুব্রতর অবশ্য দাবি (TMC Inner Clash), বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে তৃণমূলের এই নেতা যে ঠিক বলছেন না, তা দাবি করেছেন তাঁর দলেরই একটি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল অনুব্রতের কাছের লোক। আর স্বপন, কালো শেখরা কাজল গোষ্ঠীর বলে জেলায় পরিচিত। বালির টাকার বখরা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তার জেরেই সোমবার রাতভর জেলায় হয় বোমাবাজি। যার জেরে পা খোয়ান তৃণমূলের সাত্তার।

    উজ্জ্বলের অভিযোগ, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্যেই সোমবার রাতে তৃণমূল নেতা কালো শেখের বাড়িতে জড়ো হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মহিবুল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁর দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা মজুত করা হচ্ছিল। যদিও কালোর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছিলেন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলের অনুগামীরা (West Bengal)। অশান্তি এড়াতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ (TMC Inner Clash)।

  • SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে (SSC Scam) বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের বিরুদ্ধে নানা নথি পেয়েছে সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিটের সঙ্গে কলকাতার কুন্তল ঘোষের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মলয়ও কুন্তলের মতো মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। 

    নিয়োগ-দুর্নীতিতে এনজিও যোগ

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। মলয়ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক এনজিও (NGO) কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই (CBI) জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন, যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SSC Scam) কর্মরত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। 

    সফিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ

    ইতিমধ্যেই সফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এমনকী সফিউলের ই-মেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এ থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ই-মেল (SSC Scam) পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও –পরিচালক মলয় পিটের থেকে সফিউলের আইডিতেও ঢুকেছে ই-মেল। সেখানেও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।

    আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) নাম জড়িয়েছে অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়ের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, সেই সময় তিনি নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সফিউল জানিয়েছেন, যা ই-মেল তিনি করেছেন বা তাঁর কাছে এসেছে, সবটাই মলয়ের নির্দেশে। মলয়ের নির্দেশেই তালিকা পাঠানো হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবছর পর জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের বাড়িতে ফিরলেন গরু চুরির দায়ে জেল খাটা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এদিনই বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ঘরে ফেরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ওই জেলা সফরকে ‘‘বড় মিলন উৎসব’’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    অনুব্রতর ফেরার দিনেই মমতার জেলা সফরকে কটাক্ষ (Dilip Ghosh)

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই ঘরে ফেরার দিনেই বীরভূম জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এই নিয়ে মমতার বীরভূম সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বীরভূম থেকে দলের আয় কমে গিয়েছে। আবার মালকড়ি আসার প্রস্তুতি কী হল, সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবকিছু ঠিক আছে কি না, নাকি কাজল শেখ সব খেয়ে নিল, এগুলোও দেখতে দিদি বীরভূম যাচ্ছেন। সেখানে আজ বিরাট বড় মিলন উৎসব হবে। পার্টি হবে। চুরির দায়ে জেল খাটা নেতা ছাড়া পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এরাই গর্ব। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বাঘ, সিংহ, হাতি। কারণ এদের সম্পত্তি আছে তো। যাঁরা সৎ সাধারণ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই।’’

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    বন্যা নিয়ে মমতাকে তোপ

    মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের টাউন হল এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘গত ১৩ বছরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ করেছেন? বৃষ্টি কমে গিয়েছে ওঁর কপাল ভালো। চাষ করার দরকার নেই কারণ কেন্দ্রীয় সরকার চাল দিচ্ছে। সেই চাল খেয়ে বেঁচে আছি। উত্তরবঙ্গে বন্যা হচ্ছে আর উনি বন্যা দেখতে যাচ্ছেন। গোড়ালি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে উনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে চলে আসছেন। সেটাই ওঁর দায়িত্ব। বাকি এনজিও আর কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: জামিন পেলেও এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না কেষ্ট মণ্ডল, থাকতে হবে তিহাড়েই

    Anubrata Mondal: জামিন পেলেও এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না কেষ্ট মণ্ডল, থাকতে হবে তিহাড়েই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট (Anubrata Mondal)। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশেন বেঞ্চ। এদিন সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেলেও ইডির মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে এবং সাক্ষীদের কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে পারবেন না।

    ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন(Anubrata Mondal)

    গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর তাঁকে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়। তারপর তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে স্থানান্তর করা হয়। আবার ইডি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসেই গ্রেফতার করেছিল। এরপর থেকে টানা জেলে বন্দি রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। তবে ইডির দায়ের করা মামলা দ্রুত দিল্লির আদালতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আগে বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও প্রভাবশালী বলে কেষ্টর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। 

    আরও পড়ুনঃ জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন  

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ (CBI) থেকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিনের বিরোধিতা করে আইনজীবীরা বলেন, “মামলায় অনুব্রত বেশ প্রভাবশালী নেতা। জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।” পাল্টা কেষ্টর আইনজীবী মুকুল রহতগি আদালতে বলেছেন, “এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক ইতি মধ্যে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কেন আমার মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে? এখনও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। অভিযোগ থাকলে আগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করুক।” এই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “কবে থেকে মামলা শুরু হবে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, খুব দ্রুত মামলা শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি বীরভূমে ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল? নানুরের পার্টি অফিস থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই বিষয় নিয়ে ফের চর্চা হতে শুরু করেছে। এমনিতেই কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর জেলায় কাজল শেখ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই জেলাজুড়েই অনুব্রতের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেত্রী কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রশংসা করায় লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট তিহার জেলে থাকলেও তাঁর ছবি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেননি দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। বরং, জেলাজুড়ে (Birbhum) কেষ্টর ছবিতে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Anubrata Mondal)

    ২১ জুলাই পর ২৭ জুলাই নানুরে শহিদ দিবস পালন করা হয়। যেখান ২০১১ সালে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজে এসেছেন। এমনকী তিহার যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) তৃণমূলের এই শহিদ স্মরণ সভার প্রধান বক্তা হিসেবে গণ্য হতেন। তবে, ২০২৪ সালে দেখা গেল অন্য চিত্র। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল কার্যলয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। কেন সরে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী এসে কেষ্টর প্রশংসা করেছিলেন। এতদিন তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল না। তবে, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আবারও তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জামসেদ আলি খান বলেন,অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ছবি বা পোস্টার সরিয়ে নিলে গোটা বীরভূমের (Birbhum) মানুষের মন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। এখানে অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে কিছু নেই। কিন্তু, পার্টি অফিস থেকে কেন সরিয়ে ফেলা হল তাঁর ছবি, তা দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় বোলপুরে এবার লোকসভা ভোটে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি। জেলার দুটি কেন্দ্রে বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। কিন্তু, বোলপুর শহরে শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্কে কেন এরকম ভরাডুবি হল তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রত-চন্দ্রনাথের বুথেও লিড বিজেপির, বোলপুরে ধরাশায়ী তৃণমূল (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর শহরে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়েছিল। সেবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ওয়ার্ডেও বিজেপি পিছনে ফেলে দেয় শাসকদলকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর আসন থেকে জয় এলেও শহরের ১৪টি ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়েছিল। সেই নির্বাচনেও অনুব্রতের ওয়ার্ড থেকে জয় মেলেনি তৃণমূলের। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় দলীয় নেতৃত্বের কাছে। তবে, ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনে বোলপুরে ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। ১০টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। এমনকী, ২০২২ সালের পুর-নির্বাচনে বোলপুরে বিরাট জয় পেয়েছিল তৃণমূল। আর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ওয়ার্ডও এ বার হাতছাড়া হয়েছে। দু’বছরের ব্যবধানে কেন শহরের ভোটারদের একাংশ মুখ ফেরালেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। শুধু চর্চাই নয় শহরের একাধিক ওয়ার্ডে কেন তারা পিছিয়ে, তার কারণ অনুসন্ধানে নামতে চলেছে তৃণমূল। আগামী ১৩ জুন ও ২২ জুন বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে সব ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি, শহর সভাপতি ও শহর কমিটির দায়িত্বে থাকা সকলকে ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে কোথায় খামতি রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “কেন এই খারাপ ফল হল শহরে, তা আমরা দেখব। একই সঙ্গে শহরের ভোটারেরা কেন মুখ ফেরালেন, তা-ও সকলের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হবে। কারণ, শহরের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রচুর কাজ করেছি। তারপরও এই ধরনের ফল আশা করিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর অনুগামীরা। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Anubrata Mondal)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটে তাঁর অনুগামীরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করে। এবার ফের নতুনহাটে দলীয় কার্যালয়ের দখলকে ঘিরে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শান্ত সরকারের অভিযোগ, আমাদের নেতা অনুব্রত। দাদা এখন জেলে বলে আমরা ব্রাত্য। আমাদের অনুগামীদের চড়-থাপ্পড় মেরে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী বর্তমান উপপ্রধার ছাহিম মল্লিকের দলবল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্ত সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোটে জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন। একদা অনুব্রতর স্নেহধন্য ছিলেন। আর তাঁরাই এখন দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অনুব্রত গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ-সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষকেই কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের তরফেও তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের দরজায় আরও একটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    পুলিশ তালা দিয়েছে পার্টি অফিসে

    মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘অফিস কখনও কারও ব্যক্তিগত হয় না। তৃণমূলের অফিসে সমস্ত দলীয় কর্মীরা বসবেন। এলাকায় অশান্তি রুখতে পুলিশ ওই অফিসে তালা দিয়েছে। আবার সময় হলে অফিস খুলে দেবে। আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নেতৃত্ব যা বলবে তাই হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মেঘনাথ দাস বলেন, তৃণমূলের জঘন্য রাজনীতিতে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট লুট করেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share