Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সেই জেলেই ফিরতে হল বীরভূম জেলা তৃণমূ্লের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আজও কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগেই গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সেই পথ অনেকটাই প্রশস্থ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইডির আর্জির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। এবার দিল্লি হাইকোর্টের মামলাও যদি অনুব্রত হেরে যান, তাহলে ইডির কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আর আটকানো যাবে না।  

     

    কী জানা গেল? 

    ইতিমধ্যেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে আরও এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আপাতত তিনি সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন। কিন্তু পরে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে জেরা করার অনুমতি চায়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু অনুব্রত সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যান। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেও ইডির মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে মামলা করেন। দিল্লিতে অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এই জামিন মামলাটিই খারিজ করেছে দিল্লির আদালত। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা      

    দিল্লির আদালত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন খারিজ করলেও হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই অনুব্রতকে দিল্লিতে এনে জেরা করা হবে। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগলকে আগেই গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে নিয়ে এসে জেরা করেছে ইডি। এখন তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। ইডি যদি অনুব্রতকে হেফাজতে পায়, তাহলে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে দিল্লিতে জেরা করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন অপেক্ষা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Anubrata Mondal: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    Anubrata Mondal: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে, তা বিবেচনা করে এখনই ওঁর জামিন মঞ্জুর করা হচ্ছে না। ’’মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে অনুব্রতকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’বলে উল্লেখ করেন। তাদের দাবি, জামিন পেলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন অনুব্রত। এর পর মঙ্গলবার রায়দান স্থগিত রাখে উচ্চ আদালত। অবশেষে বুধবার সেই প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করে অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    সওয়াল-জবাব

    মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রত মামলার জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় সিবিআইয়ের উদ্দেশে আদালত প্রশ্ন করেছিল,গরু পাচার মামলায় বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। মূলচক্রী এনামুল হকও জামিনে মুক্ত। তাহলে অনুব্রতকে আটকে রাখার কী প্রয়োজন? কেন্দ্রীয় এজেন্সির যুক্তি ছিল,অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে এই মামলায় সাক্ষীদের উপর প্রভাব তৈরি করতে পারেন। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই এ-ও জানায়, বগটুই কাণ্ডে অনুব্রতের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

    আরও পড়ুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের  

    গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। মোট ১৪৬ দিন ধরে জেলবন্দি দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। এই মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন অনুব্রত। কেষ্ট মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দুঁদে আইনজীবী কপিল সিব্বল।  তিনি জানান, এই মামলায় ৯৫ জনকে সাক্ষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সিবিআইয়ের উদ্দেশে সিব্বলের প্রশ্ন, “বাকিদের সাক্ষ্য কবে নেওয়া হবে?” প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, রাজনৈতিক কারণেই কি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল? কেন জামিন দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে? কিন্তু সিবিআইয়ের যুক্তির কাছে থামতে হয় তাঁকে। আদালত অনুব্রতের জামিনের আর্জি এবারও খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু জেলেও কমেনি তাঁর দাপট। জেলের মধ্যে বসেও অবাধে চলেছে অবৈধ কার্যকলাপ। জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন কেষ্ট মণ্ডল। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। আর এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। 

    আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন মামলার শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। ফের প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই কেষ্টকে ‘এলাকার রাজনৈতিক দৈত্য’ বলেও মন্তব্য করে। অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করে বলেন, “একই মামলায় সতীশ কুমাররা জামিন পেয়েছেন। তখন অনুব্রত কেন ১৪৫ দিন জেলে কাটাবেন?” এই সওয়ালের বিরোধীতা করেই সিবিআই দাবি করে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে প্রায়শই ফোনে কথা হত অনুব্রতের। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ আদালতে দাবি করেন, আসানসোল জেলে থাকার সময়ও অনুব্রত এনামুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

    আদালতের বক্তব্য

    সিবিআইয়ের এই দাবির পক্ষে প্রমাণ চায় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ফোনের বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন? কোনও কল রেকর্ড রয়েছে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হয়েছে ওঁদের (Anubrata Mondal)। তাই তাই কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি।” বিচারপতি বাগচীর পাল্টা প্রশ্ন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা তো জানা যায়। কেন এক মাসের মধ্যেও সেটা বের করতে পারল না সিবিআই?” সিবিআই জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। দু তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পর জামিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, ৪ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    গত বছরের অগাস্ট মাসে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি আপাতত আসানসোল জেলে রয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপদ বাড়ল বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গরুপাচারের পর এবার বগটুই কাণ্ডেও (Bagtui Massacre) নাম জড়াল কেষ্ট মণ্ডলের। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আর সেই রিপোর্টেই এল এই বিস্ফোরক তথ্য। বর্তমানে গরুপাচার মামলায় হাজতে দিন কাটছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার। এই মামলায় এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তার ওপর আরও এক মামলায় নাম জড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ল।

    সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কেষ্ট মণ্ডলের। গত বছরের ২১ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিট এবং ২২ মার্চ সকালে দুবার আনারুলের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। সেই রেকর্ড রয়েছে সিবিআই- এর হাতে। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বিষয়টিতে আরও তদন্ত করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    কী ঘটে?  

    গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের পূর্বপাড়ার কাছে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তারপরই রাতে বগটুই গ্রামে (Bagtui Massacre) আগুন লাগানো হয় একাধিক বাড়িতে। সেই দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জন গ্রামবাসীর। এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করতে হয় স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল শেখকে।  

    এরপর এই মামলা হাইকোর্টে (Bagtui Massacre) ওঠে। সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। যদিও সিবিআই তদন্তের তীব্র বিরোধীতা করে রাজ্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দেয়। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর ভয় পাচ্ছিল তৃণমূল সরকার? যদিও অনেকটা সে দিকেই এগোচ্ছে সিবিআই- এর তদন্ত। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়ানোয় যে মোটেই স্বস্তিতে নেই তৃণমূল সুপ্রিমো তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    অনুব্রতর বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষ জানে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। অনুব্রত মণ্ডল যা করেন তা তার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে। বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে তারা গেলেন না। বরং মন্ত্রীমশায় একটা চক্রান্তের তত্ব ভাসিয়ে দিয়ে চলে এলেন। যারা যারা ওই মামলায় অভিযুক্ত তাদের সবার সঙ্গেই অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুর (Bolpur) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে তলব করল ইডি (ED)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রে খবর,গরু পাচার মামলায় শুক্রবার ওমরকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। যা নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে। 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে সক্ষম হবে কি না তা সময় বলবে। আগামী ৯ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার (Delhi High Court) শুনানি রয়েছে। তারই আগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমরকে তলব করল ইডি। তাকে জেরা করেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  বোলপুর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে জেরা করেই ওমর শেখের কথা জানতে পারে ইডি। এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত ওমর। জেলের বাইরে থাকার সময় সর্বদাই তাঁকে ‘কেষ্টদার’ পাশেপাশেই ঘুরতে দেখা যেত। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে অনেকেই যোগাযোগ করতেন ওমর শেখের সঙ্গে। এমনকী কেউ কোনও সাহায্য চাইলে অনুব্রতও অনেক সময়ই ওমরের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের কথা বলতেন।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, মাতৃবিয়োগের খবর ট্যুইটে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বোলপুরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে রীতিমতো কর্তৃত্ব রয়েছে ওমরের। এবার সেই ওমরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রতের বিরুদ্ধেই প্রমাণ একত্র করতে চায় ইডি। এখন দেখার এই ওমরকে জেরা করে নতুন কী তথ্য পায় ইডি। তবে তলব করলেও বোলপুরের এই ‘প্রভাবশালী’ কাউন্সিলর ইডির দরবারে গিয়ে দেখা করেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে এবং পরবর্তীতে তার ঠাঁই হয় আসানসোল সংশোধনাগারে (Asansol Jail)। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED) তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে জেরা করতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতিকে। ২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ জানুয়ারি। শিবঠাকুরের করা মামলায় অনুব্রতর জামিন হতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আসানসোল সংশোধনাগারে।

    এবার তিহারের পথে?

    জামিন মিললেও এখনই অস্বস্তি কাটছে না অনুব্রত মণ্ডলের। গরু পাচার মামলাতে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনকী এরপর জেলের মধ্যেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে আরও এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার মামলাতে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য জানতেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এজন্যে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইলেও আইনি লড়াই জারি রয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলার নথিপত্র দুবরাজপুর আদালত থেকে নিয়েছে ইডি। বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর। গত সোমবার তিনি অনুব্রতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, ২০২১ সালে অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি। তাদের আবেদনে সায়ও দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু শিবঠাকুরের করা এই অভিযোগের পর আপাতত অনুব্রতের দিল্লিযাত্রা থমকে যায়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন, পুলিশের তরফে আদালতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়। পুলিশের গত্রফে সরকারি আইনজীবী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তেমন কোনও তথ্য দেননি অনুব্রত। কিন্তু আজ সকালে মুখ খোলেন তিনি। বেশ কিছু তথ্য দেন। ফলে এই বিষয়ে আরও তথ্য এবং উত্তর জানার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এমনকী এদিন পুলিশের তরফে আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করা হয়। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে জায়গাতে এই ঘটনা সেখানে এখনও পুলিশ যায়নি। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে যদিও আদালত অনুব্রতকে জামিন দেয়। এবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন জেলে। আর অন্যদিকে তাঁরই গড়ে ভাঙন! দল ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এদিন সকালেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এই নেতা। আর বিকালেই তাঁকে দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। এখানে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝার কথা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বিপ্লব ওঝা। শুধু তাই নয়, দল ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সভার মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে থাকতে দেখা গেল বিপ্লব ওঝাকে। আর এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের বিপ্লব ওঝা

    আজ, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব ওঝা। আবার এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটিতে। আর তাঁকে সেখানকার সভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। এর পরেই বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়ে গেল।

    এদিন বিপ্লব ওঝা দাবি করেন, গত একবছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য। দল কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকে না। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। দলের কাছে তাঁর কোনও দাম নেই। আর এ সবের কারণেই তাঁর দলত্যাগ। তিনি দল ছাড়ার পর বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে পারি, তৃণমূলের সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। বিগত এক বছর ধরে আমি দেখছি যে তৃণমূল আমার সম্পর্কে একটা অন্য মনোভাব পোষণ করছে। মিটিং, মিছিল কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ রেখেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম।”

    বিপ্লবকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী

    মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দুর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আসন পরে একেবারে প্রথমের সারিতে তিনি বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি পতাকা তুলে নেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

    কে এই বিপ্লব ওঝা?

    একসময় বীরভূম (Birbhum) জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনিই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোনও পদে রাখা হয়নি। এর পর বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু নিজেই। আর এতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। 

     
  • Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি! আপাতত বছরের শেষে আর দিল্লি যেতে হচ্ছে না গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতের  দিল্লি যাত্রার বিষয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেই আদালতে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি। এর ফলে শুধু বছরের শেষই নয়, আগামী বছরের শুরুটাও নিজের রাজ্যেই থাকতে পারবেন কেষ্ট।

    আদালতের স্থগিতাদেশ

    গরু পাচার মামলায় জেরার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী। বুধবার সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা। জানানো হল, আপাতত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রথমে মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জয়রাম ভাম্বানির বেঞ্চে উঠেছিল। পরে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বলের আর্জি মেনে মামলার বেঞ্চ বদল হয়। বুধবারই বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে শুনানি হয়। এদিন বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানির দিন যা রায় দেওয়া হবে, তা জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে ই মেল করে দিল্লি হাইকোর্টকে লিখিত ভাবে জানায় যে, তারা এখনই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কাজে লাগাবে না। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    আগামী শুক্রবার থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বড়দিনের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি যশমীত সিং নিজেও ছুটিতে যাচ্ছেন। অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে না। তাই শুনানির দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। ফলে এবছর আর অনুব্রতর দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রইল না। বছরের শুরুটাও তিনি নিজ ভূমেই কাটাতে পারবেন। এর ফলে অনুব্রত অনেকটা সময় পেয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share