Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেই থাকতে হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় শুক্রবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। এদিনও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁকে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের (Judicial Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আদালতে অনুব্রত

    দীর্ঘদিন পর আজ অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হয়। তিনি জামিন পাবেন কি পাবেন না,তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে ফের প্রভাবালী তত্ত্বেই তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এদিন আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রতকে হাসিখুশিই দেখায়। 

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    এদিন অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তার বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র। তিনি বলেন, অনুব্রত এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের হুমকি দেবেন, যা তদন্তকে প্রভাবিত করবে। তথ্যপ্রমাণও নষ্ট করা হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে কালীচরণ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথা উল্লেখ করেন। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে ফিরহাদ দাবি করেছিলেন, অনুব্রত বাঘ। তাঁকে কত দিন খাঁচায় বন্দি করে রাখবে! আইনজীবী এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘বুঝতেই পারছেন, অনুব্রত কতটা প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি যে, রাজ্যের মন্ত্রী পর্যন্ত তাঁকে বাঘ হিসেবে অভিহিত করছেন। তিনি বেরিয়ে এলে সাক্ষীদের হুমকি দেবেন।’’ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এছাড়াও সিবিআই জানায়, কোটি কোটি টাকা রয়েছে অনুব্রতের নামে। বেআইনি সম্পত্তিও রয়েছে তাঁর। যদিও অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্তর দাবি, এর তদন্ত তো করবে ইডি। তাহলে সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করছে কেন? তিনি জানান, গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন হয়ে গিয়েছে। অথচ, ৯২ দিন ধরে জেলে রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর সওয়াল, ‘‘যে কোনও শর্তে অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।’’ 

    দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে শুনানির পর কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। অবশেষে বেলা বাড়লে অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদও। দিল্লিতে মূল কার্যালয়ে তাঁকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তার আগেই রবিবার বীরভূম পুলিশের হাতে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা টুলুকে জেরা করতে না পারে, তাই আগেভাগে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হল? 

    জানা গিয়েছে, বীরভূমে পাথরের বেআইনি কারবারের মুল হোতা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এর আগে কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাহলে হঠাৎ এই সক্রিয়তা কেন? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল রাজ্যনীতি। যদিও এখনও কোনও মহল থেকেই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। 

    সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ অনেকেই ধারণা করেছিলেন যেকোনও দিন আবারও টুলুকেও তলব করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার আগেই এই গ্রেফতার। 

    সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় চরিচা গ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় এই পাথর ব্যবসায়ীর যোগ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, আদালত এই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই টুলু মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্টতার কথা সর্বজনবিদিত। 

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    এই ব্যবসায়ী ব -কলমে পাথরের শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলত। তাঁর সিউড়ির বাড়ি সহ পৈতৃক ভিটে ,অফিসে এই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সারাদিন ধরে তল্লাশি চালায়। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে গতকালই, এই পাথর ব্যবসায়ী দিল্লি থেকে বীরভূমে ফিরেছেন। গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে রাত্রীবাস করেছেন বীরভূমে। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। অনুব্রতহীন জেলায় তৃনমুল এখন ছন্নছাড়া। তাই অনুব্রত যাতে অন্য কারো জবানবন্দিতে ফের বিপাকে না পড়েন, তার জন্যই কি মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য পুলিশ? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তিনদিন দফায় দফায় দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (Enforcement Directorate)। ইডির তলবেই বুধবার দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন সুকন্যা। শুক্রবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। সেখানে দীর্ঘ জেরার পর বেরিয়ে সুকন্যা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও ঠিক কী বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    দিল্লিতে ইডির হেড কোয়ার্টারে বুধবার প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ইডির দফতরে ঢুকে সন্ধ্যেয় বের হন তিনি। বৃহস্পতিবার বেরোনোর সময় সুকন্যাকে জানানো হয়, শুক্রবার আবার আসতে হবে। সেই মতো শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ঢোকেন ইডির দফতরে। সূত্রমতে, পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কী ভাবে এল, সেই প্রশ্নই সুকন্যাকে করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব বার বারই এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। সুকন্যার জবাবে এখনও সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সুকন্যার পাশাপাশি বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল  অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। শুক্রবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    এদিকে মেয়ের চিন্তায় টিভির পর্দা থেকে চোখই সরছে না বাবা অনুব্রতর। টানা তিন দিন একটানা টিভির পর্দায় নজর রাখলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এমনিই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন অনুব্রত। মেয়েকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে, কার্যত দু’চোখের পাতা এক করেননি তিনি। রাতেও সেলের আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, পাহারা দেওয়ার সময়ে উঁকি দিয়ে তাঁরা দেখেছেন অনুব্রত জেগেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিনভর কারও সঙ্গে কথা বলেননি এই তিন দিন। শুধু খাবার খাওয়ার সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলেন অনুব্রত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

     

  • Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন আগেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এসেছিল। অন্তত লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে লটারি বিক্রেতার (Lottery Seller) সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরে সিবিআই- এর অস্থায়ী ক্যাম্পে (CBI Camp) তলব করা হয় লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে। সেখানে এক ঘণ্টা কাটিয়ে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মুন্না। মুন্না সাংবাদিকদের জানান, কেষ্ট মণ্ডলকে টিকিটই বিক্রি করেননি তিনি।

    ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ছিল অনুব্রতর। বিক্রেতার এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করার কারাবার চলত সেখানে?

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার 

    অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলে জানান। 

    লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সাম্প্রতিক কালে লটারি বিজয়ীদের তালিকায় নাম উঠে আসছে অনেক হেভি ওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয় ঘটনা? নাকি কালো টাকা সাদা করতে এই পন্থা অবলম্বন? টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে! সেটাই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

    যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

    আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেনের নতুন ঠিকানা হয়েছে তিহার জেল। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবারই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর তারপরই ফের প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সায়গল জানিয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডে বখরা দেওয়া হত ২ বিধায়ককে। এই ২ বিধায়কের মধ্যে একজন আবার মন্ত্রীও ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী।

    সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের টাকার বখরা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। কিন্তু কারা এই বিধায়ক তা এখনও জানা যায়নি। সায়গল দাবি করেছেন, সীমান্তে পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিনিময়ে এই টাকা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। আর সায়গলের থেকে এমন বক্তব্য শোনার পর ইডি ওই ২ বিধায়ককে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে গরু পাচার কাণ্ডে এবারে ২ বিধায়কের নাম উঠে আসায়, মনে করা হচ্ছে এই মামলার নতুন মোড় আসতে চলেছে। তবে বিধায়কদের দিল্লি না কলকাতায় তলব করা হবে সে নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    আবার অন্যদিকে সায়গলকে বর্তমানে তিহার জেলে রাখার ফলে সায়গলের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁকে ইডি আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। তাই পরবর্তী শুনানিতে জামিনের আবেদনের সময় সায়গল হোসেনকে সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরার কথা বলেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী এর বিরোধীতা করে জানান, কারোর জামিনের আবেদনের জন্য তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরেই সশরীরে আদালতে পেশ করার আবেদন খারিজ করলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সায়গলকে জেরা করার জন্য ইডি আগেই দিল্লি নিয়ে যায় ও পরে তিহার জেলে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আবার শনিবারেই সিবিআই কোর্টে তাঁর এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবীও দিল্লিতেই। ফলে শনিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানি হয় তাঁর। সে সময় আইনজীবী অনির্বাণ পরবর্তী শুনানির জন্য সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করলে বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ও আগামী ১১ নভেম্বর গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান। এদিন অনুব্রত মণ্ডলেরও শুনানি রয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য কেষ্ট ও সায়গলের শুনানি একদিনে হবে।

  • Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biswajyoti Banerjee) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বোলপুরের কাউন্সিলর। এর আগে বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ডেকেও জেরাও করেছে তাঁকে। এ বার ইডির নজরেও বিশ্বজ্যোতি।  

    ২০১১ সালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এখন সেই বিশ্ব জ্যোতিই ৪৬ লক্ষ টাকার মালিক। কী করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, সবটাই হয়েছে সায়গল হোসেনের নির্দেশ মতো। এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে নেমেছে ইডি। 

    গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে তিহার জেলে রয়েছেন সায়গল। এই মামলাতে অনুব্রত কন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে জেরা করেছে ইডি। টানা তিন দিন জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সুকন্যার বয়ানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    এক কালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি ওরফে মুন। এখন তিনি বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ বার তাঁকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার সেই সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্বজ্যোতির কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন, বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sukanya Mondal: সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও ৫০ লক্ষের হদিশ! মণ্ডল পরিবারের পঞ্চম লটারি-জয়?

    Sukanya Mondal: সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও ৫০ লক্ষের হদিশ! মণ্ডল পরিবারের পঞ্চম লটারি-জয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লটারি জয় কেষ্ট কন্যার! পেল ৫০ লক্ষ টাকা! সিবিআই-এর হাতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) আরও একটি লটারি জেতার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে অনুব্রতর পরিবার মোট ৫টি লটারি জিতেছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতেই সুকন্যা এই লটারিটি জিতেছেন ও এতে পুরস্কার হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।

    সিবিআই কী জানাল?

    গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case)) তদন্ত করতে নেমেই সিবিআই এই মামলার সঙ্গে লটারি জেতার যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে। এর আগেও লটারি জেতার তথ্য উঠে এসেছে। আর এবারে আবার সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে নতুন লটারি জেতার সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কারণ সিবিআই জানিয়েছে, সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে আরও ৫০ লক্ষ  টাকার হদিশ মিলেছে। যা লটারি বিজেতা হিসাবে পেয়েছিলেন সুকন্যা (Sukanya Mondal)। উল্লেখ্য, অনুব্রত ও সুকন্যার নামে আগেই চারটি লটারির হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    উল্লেখ্য, অনুব্রতের লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা জেতার তদন্ত করতে গিয়েই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! কিছুদিন আগেই তদন্তে উঠে আসে যে, একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার (Sukanya Mondal) অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। একবার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর একবার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ মোট ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। আর এরপরেই আজ পঞ্চমবারের জন্য লটারি জেতার খবর সামনে এসেছে।

    সিবিআই-এর সন্দেহ

    বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে (Sukanya Mondal), ফলে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? তাহলে কী এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আরও কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল কিনা? এছাড়াও লটারি জেতার পিছনে আসলে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, এ সব বিষয় খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট। ‘অন্য মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাই রক্ষাকবচের এখন খুব একটা গুরুত্ব নেই’, মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের। অনুব্রতকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইতিমধ্যেই গরু-পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন অনুব্রত তাই এই রক্ষাকবচের কোনও মানে হয় না। হাইকোর্টকে মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

    কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই নির্দেশকেই একপ্রকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এই মামলায় অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় তারা, এই দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় একাধিকবার অনুব্রতকে ডেকে পাঠানো হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। ভারতীয় অপরাধ আইনের ১৪০ ধারায় অনুব্রতকে নোটিসও পাঠানো হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। সেখানে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দেয়  আদালত।

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতে শুনানি

    অবনুব্রতর (Anubrata Mondal)আইনজীবী এদিন জানান, অনুব্রতর নামে ভুল এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দূরে তাঁকে ডাকা হয়।  তাই রক্ষাকবচ দিয়ে ঠিকই করেছে হাইকোর্ট। এর পাল্টা সিবিআই জানায়, অনুব্রত ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। আদালতের রক্ষাকবচ এখন কার্যকর নয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আদালত জানায়, অন্য একটি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সিবিআই-এর হেফাজতে রয়েছেব তিনি। তাই রক্ষাকবচ ভিত্তিহীন।  আাদালতের তরফে জানানো হয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও  তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এদিন শীর্ষ আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী আরও জানান,অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। তা নিয়ে ইতিমধ্যে আবেদনও জমা পড়েছে হাইকোর্টে। শীর্ষ আদালত দ্রুত সেই পিটিশনের শুনানির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ,  অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এবার এই মামলায় অনুব্রতর জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষকে তলব করল ইডি (ED)। শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। ভোল ব্যোম রাইস মিল সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। এই রাইস মিলেরই অন্যতম মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সেই রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর করতে ডাকা হয়েছে অনুব্রতর জামাইবাবুকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ইডি স্ক্যানারে।

    তলব মলয় পিটকে 

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় ফের মলয় পিটকে দিল্লি তলব করেছিল ইডি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী বহু প্রশ্নের উত্তর দেননি বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্বাধীন ট্রাস্টের এই কর্ণধারকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। ফলে বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিতে মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীর সংস্থা স্বাধীন ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা মলয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ হয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে ওই ব্যবসায়ীর কাছে তথ্য চায় ইডি। 

    আরও পড়ুন: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    সিবিআই- এর তলব দুই কাউন্সিলরকে 

    এছাড়াও, বৃহস্পতিবার বোলপুর এলাকার দু-জন কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল। ওই সিবিআই ক্যাম্পে আজ উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ। মূলত বেআইনি কোনও সম্পত্তি আছে কিনা সেই তথ্যই জোগাড় করার জন্যই এই পদক্ষেপ। বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওমর শেখের প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। বিপুল সংখ্যক জমিজমা  এবং অপরিসীম আয়ের হদিশ মিলেছে। এই দুই তৃণমূল নেতার নামে এত সম্পত্তির উৎসের ব্যাপারটি সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই দুই ব্যক্তির দৈনিক কর্মসূচি এবং দলীয় কাজকর্মের সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করা শুরু হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। সিবিআই এর ধারণা, গরু পাচার কাণ্ডে এদের কোনও না কোনওভাবে হাত রয়েছে। কীভাবে এরা বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত, সেটাই তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

      

LinkedIn
Share