Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু এবং কয়লাকাণ্ডের পর এবার লটারিকাণ্ডেও জড়াতে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই লটারি টিকিট বিক্রেতাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করা হয়।

    বোলপুরে রয়েছে বাপির লটারি টিকিট বিক্রির দোকান। নাম গাঙ্গুলি লটারি। জানা গিয়েছে, ওই দোকান থেকে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল। প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এদিন বাপিকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। অনুব্রত স্বয়ং গিয়ে টিকিট কিনেছিলেন, নাকি কারও মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছিল, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। কীভাবে তিনি ওই পুরস্কার জিতলেন, এদিন তাও জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) একা নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল। এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার।

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বউও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা জানতেই বাপিকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)  দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সুকন্যাকে তলব করেছিল ইডি। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। ইডি’র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এবার আর হাজিরা এড়াননি তিনি। এবার হাজিরা এড়ালে তাঁকে হয়ত গ্রেফতারির মুখে পড়তে হত।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ মুখে কালো মাস্ক পরে সুকন্যা ইডি অফিসে পৌঁছন। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তারও মিনিট পঞ্চাশেক আগে সায়গল হোসেনকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে ইডি দফতরে নিয়ে আসা হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আলাদা আলাদা রুমে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এরপর দুজনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। পরে এক রুমে বসিয়েও জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। তাঁর সাহায্যেই হয়ত তদন্ত চলবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার তাঁকে যেতে হতই। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায় ইডি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পেলেন,তা প্রথমেই জানতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ,গরু পাচারের টাকাই সুকন্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে তাঁর এই বিপুল সম্পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ, বৃহস্পতিবারের পর এবার শুক্রবারেও! পর পর তিন দিন ইডির তলব কেষ্ট কন্যাকে (Sukanya Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিন দিন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল। বুধে আট ঘণ্টা ও বৃহস্পতিবারে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে। এর পর শুক্রবার আবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।

    ইডি সূত্রে খবর, সামান্য প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, এই নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারায় তাঁকে বার বার ডাকা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জোর দেন সুকন্যার সংস্থার উপর। সুকন্যার সংস্থা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কোটি কোটি টাকার উৎস কী? কার টাকা, কোথা থেকে এল, কীভাবে এল এসব নিয়েই ফের আজকের জেরা। ইডির দাবি, ২০১৪ সালের আগেও সুকন্যার বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ টাকার মতো। গত দু’বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছেন যে, গরু পাচারের অর্থ থেকেই সুকন্যার সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    উল্লেখ্য, গতকাল সুকন্যা ছাড়াও তলব করা হয়েছিল অনুব্রতের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি ও ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও। সূত্রের মতে, ৩ জনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না? রাজীব জানান অনুব্রতর সিএ হিসাবে তিনি মণীশকে চেনেন। অন্যদিকে, মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত? কিন্তু মণীশের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আজ ফের তলব করেছে ইডি।

    আবার অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতা নিয়ে তদন্তে আরও তৎপর হল সিবিআই৷ এবার বোলপুরের একটি লটারির দোকানে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ মিনিট পাঁচেক ওই দোকানে ছিলেন তাঁরা৷ লটারির টিকিট কীভাবে ভাঙানো হয়েছিল, এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দোকানের কর্মীদের বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দেওয়া নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷

  • Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)।  ইডি সূত্রে খবর,  সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? বোলপুরের (Bolpur) একাধিক জমি রয়েছে, যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি! শিক্ষকতার কাজ করে এত টাকার মালিক কী করে হলেন তিনি? এসব প্রশ্নই এদিন তাঁকে করা হয়। সুকন্যার পাশাপাশি এদিন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও আনা হয় ইডি দফতরে। এদিন দুজনকে একেবারে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, একক জেরায় সায়গল ও সুকন্যার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান ইডি কর্তারা। জেরা পর্বের শুরু থেকেই দুজনের বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য থাকায় তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন ইডি কর্তারা। 

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত-কন্যাকে এদিন আট ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিন ২ দফায় সুকন্যাকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। কন্যাকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।  বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রচুর নথি। সেই নথি ইডির কাছে জমা দেন তিনি। এর পর শুরু হয় জেরা। প্রথম পর্বে বেলা ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয়। তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট থেকে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে দ্বিতীয় পর্বের জেরা করে ইডি। সায়গলের দেওয়া তথ্য সুকন্যাকে দিয়ে খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ ইডির সদর দফতর থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল। বোলপুর থেকে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান সুকন্যা। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরের ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে যে ঠিকানায় এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটি হল ভোলে ব্যোম রাইস মিলের। এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক আবার অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। স্বামী হিসেবে নথিতে নাম রয়েছে অনুব্রতরও। এর আড়ালেই কি চলত গরু পাচার? সেই টাকাতেই কি এত রমরমা? খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cattle Smuggling Case: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    Cattle Smuggling Case: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবার তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। এদিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন থেকে তাঁর নতুন ঠিকানা তিহার জেল। অর্থাৎ তিহার জেলে তাঁকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

    গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। এরপর ওইদিন দুপুর ২ টোর পর নিজাম প্যালেসে যান সায়গল। দফায় দফায় চলে জেরা। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেব দিতে পারেননি তিনি। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। পরবর্তীতে ইডির হাতেও গ্রেফতার হন সায়গল।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    এখানেই শেষ নয়, তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন করেছিল ইডি। গরুপাচার মামলায় Cattle Smuggling Case) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল হোসেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতও। পরে হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর তাঁকে ২২ অক্টোবর আসানসোল জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আজকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আজই বিকালে প্রিজন ভ্যানে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হবে সায়গল হোসেনকে। সায়গলের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, সায়গলকে যেন পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলে পাঠানো হয়। যদিও তা খারিজ করা হয়। এর পাশাপাশি, তিহারে নিয়ে যাওয়ার আগেই যেন সায়গলকে লাঞ্চ দেওয়া হয়, এমন আবেদনও করা হয়েছিল সায়গলের আইনজীবীর তরফে। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, সায়গলকে তিহার নিয়ে যাওয়ার আগেই লাঞ্চ দেওয়া হবে।

  • Cattle Smuggling: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    Cattle Smuggling: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারের পর বৃহস্পতিবার। ফের ইডির (ED) সদর দফতরে হাজির হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় বুধবার টানা প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা জেরা করা হয় সুকন্যাকে। এদিন শুরু হয়েছে ফের জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন ইডির দফতরে রয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য ও অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক মণীশ কোঠারিও।

    এদিন সকাল দশটার কিছু পরে লাল রংয়ের স্কার্ট ও কালো টপ পরে গাড়ি থেকে নেমে ইডি দফতরে ঢোকেন সুকন্যা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। সূত্রের খবর, বুধবার প্রথমে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে ফের একপ্রস্ত জেরা করা হয় সুকন্যাকে।
    এদিকে, গরু পাচার মামলায় এবার স্বাধীন ট্রাস্টকে নোটিশ ধরাল সিবিআই (CBI)। ওই ট্রাস্টের সভাপতি তথা প্রধান কর্তা মলয় পিঠকে বুধবার তলব করা হয়। যদিও মলয় জানান, তিনি আসবেন না। তাঁর সাফ কথা, নোটিশ যেহেতু স্বাধীন ট্রাস্টের নামে, তাই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে যাবেন ট্রাস্টের তরফে অন্য কেউ। তিনি বলেন, আমাকেই যেতে হবে এর কোনও মানে নেই।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    প্রসঙ্গত, মলয়ের ৫০-৬০টি কলেজ রয়েছে। বোলপুর, পাথর প্রতিমা, নয়াগ্রাম, তেহট্ট, কালীগঞ্জ, মানবাজার, ত্রিপুরা এবং আন্দামানেও কলেজ রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ন কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে মলয়কে জেরা করতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা মলয়ের ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। ভোলে বোম রাইস মিলের ভিতরে যে বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি মিলেছিল, তার মধ্যে স্বাধীন ট্রাস্টের গাড়িও ছিল। ওই গাড়িগুলি ব্যবহার করতেন অনুব্রত। স্বাধীন ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে কেন ও কী উদ্দেশ্যে কোটি কোটি টাকা গিয়েছিল, সে ব্যাপারেই জানতে চাইছে সিবিআই।

    এদিকে, কলকাতায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ কেরিম খানকে জেরা করছে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে ক্রমশ ফাঁস শক্ত করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে সায়গল হোসেন, আবদুল লতিফ ও কেরিম খানের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। ওই যোগসূত্রের ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই কেরিমকে ফের তলব করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় বুধবার ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে দিল্লি গেলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত ২৭ অক্টোবর তাঁকে তলব করে ইডি। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। সেকারণে হাজিরা দিতে পারবেন না।  দ্বিতীয়বার ২ নভেম্বর (বুধবার) দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলে ইডি। তাই ৩১ তারিখ দিল্লি রওনা দেন সুকন্যা। প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ সুকন্যা মণ্ডল সোমবার সকালে বোলপুর (Bolpur) থেকে সড়কপথে অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে আকাশপথে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আহেমদপুরের চালকল মালিক তথা তৃণমূল (TMC) যুব নেতা রাজীব ভট্টাচার্যও দিল্লি রওনা হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। উঠে আসে ভোলেব্যোম রাইস মিল সহ একাধিক চালকলের নাম। তদন্তের শিকড়ে পৌঁছতে গিয়ে তদন্তকারীদের সামনে উঠে আসে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড ও নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থার নাম। এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা। সিবিআই চার্জশিটেও এই সংস্থাগুলির নাম রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। সুকন্যার মালিকানাধীন সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের আয়ব্যায়ের হিসাব চেয়েছে ইডি। আয়বৃদ্ধিতে বাবা অনুব্রত মণ্ডলকেও পিছনে ফেলেছেন সুকন্যা। দিল্লিতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেছেন ইডি গোয়েন্দারা। তাঁর থেকে সুকন্যার ধনসম্পত্তির বহু তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেই তথ্য যাচাই করতেই সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট (Anubrata Mondal) রয়েছে গারদে। দুর্গাপুজো কেটেছে আসালসোলের সংশোধনাগারে। আর এবার কালীপুজোও কাটছে সেখানেই। প্রতিবছর বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে যে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় তা কেষ্টর কালীপুজো নামে পরিচিত এলাকায়। কোনও বছরেই সেই পুজোয় এতটুকু কমতি হয়নি। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকভাবে সেই পুজো করা হত। আর মায়ের গায়েও থাকত ভরি ভরি গয়না। কিন্তু এবছর গরুপাচারে কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) হাজতবাস করছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে জৌলুস হারাল তাঁর কালী পুজো, আর কমল প্রতিমার গয়নার পরিমাণও।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রতিমা গতবছর সেজে উঠেছিল ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়, এবার সেজেছে মাত্র ৪০ ভরিতে। ২০১৮ সালে কালী প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়নায়। ২০১৯ সালে গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে সেই প্রতিমা সাজানো হয়েছিল প্রায় ৩০০ ভরি গয়না দিয়ে। আর ২০২১-এ তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৫৭০ ভরি। মাথায় ছিল সোনার মুকুট। এছাড়াও ছিল সীতাহার, চেন, গলার চিক, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, বাজুবন্ধ, টায়রা-টিকলিও ইত্যাদি। কিন্তু এবছর এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য। মাথায় সোনার মুকুট নেই, কানের দু পাশে কান বালা উধাও, বাজুবন্ধ মানতাসা কিছু পড়ানো হয়নি মাকে। কিছু সীতাহার, সোনার চেন, চারহাতে চারটি বালা, টিকলি,টায়রা পড়িয়ে পুজো করা হল কেষ্টর কালীকে।

    আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    এবছর কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় কেষ্টর কালীপুজো কে করবে? কে পরাবে প্রতিমার অলঙ্কার? জাঁকজমকেরই বা কী হবে? প্রশ্ন ছিল একাধিক। শেষে জানা গিয়েছে, কালী মূর্তিকে সোনার গয়নায় সাজালেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারী। অফিসের দোতলায় কালী মন্দিরে বিকেলেই মাকে সাজানো হল। একে একে হাজির হলেন কর্মীরা। গেটের বাইরে এলইডি আলোর গেট।

    এবারে অতিথিদের খাবারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথিদের খাওয়ার জন্য রাত্রে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি, পাঁঠার মাংস, ভাজা, তরকারি, চাটনি, পাঁপড় মিষ্টি রয়েছে। তবে বেশ কিছু পদ কমেছে। আবার ভয়ে অনেক নেতা-নেত্রীদের নিমন্ত্রনও করা হয়নি। আবার আসতে চায়নি অনেকে।  অন্যদিকে দলীয় স্তরে জেলা কমিটির সদস্যদের এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাকে সামনে রেখে বেশ কিছু নেতা ও অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে জেলা নেতাদের কাছে।

  • Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচারের (Coal and Cattle smuggling Case) পর এবার তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম জড়াল প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও (Primary TET Scam)। ইডি (ED) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পাচারের টাকায়ই নির্মাণ করা হয়ে থাকতে পারে একের পর এক বেসরকারি কলেজ।

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২ সালে মার্চ মাসে তাপস মণ্ডলের একটি ভাড়া বাড়িতে পাঁচটি বেসরকারি বিএড কলেজের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি সংগঠন গড়া হয়। নাম দেওয়া হয়, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারম্যান। ইডির অভিযোগ, বকলমে ওই সংগঠনে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কেবল এই সংগঠনটিই নয়, ওই ব্যক্তির আরও তিনটি সংস্থা রয়েছে। এই সব সংস্থার মাধ্যমে পরবর্তীকালে রাজ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিএড, পলিটেকনিক এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকায়ই ওই সব কলেজ নির্মাণ করা হতে পারে। এই কলেজগুলির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি ও প্রাথমিক টেটের বিএড ও ডিইএলইডির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করা হতে পারে। কয়েক কোটি টাকার জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে। ইডির অভিযোগ, অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজে ওই প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাথমিক টেটের অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন মানিকের কাছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইডির হাতে তুলে দিল সিবিআই। গত কয়েক মাসে তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সায়গলের সম্পত্তি ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত যে সব তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সেসব এবং চার্জশিট সহ ৫০০ পাতার নথিও তুলে দেওয়া হবে ইডির হাতে। এই সব তথ্য সামনে রেখেই সায়গলকে জেরা করবে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও বড়সড় ধাক্কা খেল গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেন। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, এমনটাই অনুমতি পাওয়া গেল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তাঁকে গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল হোসেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ  করল শীর্ষ আদালত।

    সব মিলিয়ে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সায়গলের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা সায়গলকে এই মামলার জন্য দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করবে। কিন্তু ইডি যাতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য ইডির বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেন সায়গলের আইনজীবী। আদালত সায়গলের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গল হোসেন। হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তবে এদিন শুনানি শেষে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।  শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না সায়গল।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে সায়গলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই ছিলেন সায়গল হোসেন। তবে ইডিও তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুপুর তিনটের সময় সায়গলকে বের করা হয়েছে আসানসোল জেল থেকে। আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে ট্রেনে উঠবে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। যাত্রাপথে সায়গলকে ঘিরে থাকবে সিআরপিএফ।

    সম্প্রতি সায়গলের মা ও স্ত্রী-কেও এই মামলায় তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) যে সায়গলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তা জানা সবারই। ইডি-র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে একজন দেহরক্ষী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আর এসবেরই তদন্ত করতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তৎপর ইডি।  

LinkedIn
Share