Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে,  অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে আসছেন একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ব্যবসায়ী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কে নেই অনুব্রতর বন্ধু তালিকায়! গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত ভিন্ন ভিন্ন নাম হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক পলিটেকনিক কলেজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট (Malay Peet)। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হল তাঁকে।  

    আরও পড়ুন: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। এছাড়াও রয়েছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটির অধীনেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

    এর আগে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সময় অনুব্রতকে পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির এই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্ন করা হবে সে বিষয়ে। কোন পথে হয়েছিল লেনদেন  পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান গোয়েন্দারা। গতকাল তলব করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাংক কর্মীকে। আজ নিশানায় মলয় পিট।  

    আরও পড়ুন: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
     
    বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সাংবাদিকরা মলয়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলার (Cattle smuggling case) তদন্ত দ্রুত গুটিয়ে আনাই লক্ষ্য সিবিআইয়ের (CBI)। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার থেকে ব্যাংকের নথি চেয়ে নোটিস পাঠাল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। গোয়েন্দাদের ধারণা, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়েছে মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্ট থেকে। শুধু তাই নয়, সিবিআই আধিকারিকরা আরও মনে করছেন, বিদেশি মুদ্রাও কেষ্ট কন্যার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। বোলপুরে (Bolpur) কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অস্থায়ী ক্যাম্পে গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের জেরা করেন। সেখান থেকেই গরুপাচার কাণ্ডে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের তথ্য সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    দিন সাতেক আগে বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি নজরে এসেছিল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থে বড় কোনও অর্থের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সিবিআই কর্তারা মনে করছেন, যাবতীয় লেনদেন হয়েছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআই আরও জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি সম্পত্তির মালিক অনুব্রত। কিন্তু এই সম্পত্তি কেনার অর্থ তিনি কোথা থেকে এবং কীভাবে পেলেন? আয়কর রিটার্ন জমা করার ক্ষেত্রে তথ্য গোপান করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    কেষ্ট কন্যা সুকন্যার নামেও রয়েছে একাধিক রাইস মিল সহ বিভিন্ন সম্পত্তি। প্রশ্ন উঠছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে তিনি কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন? অর্থের উৎস কোথায়? এই রহস্য উন্মোচন করাই লক্ষ্য এখন সিবিআই কর্তাদের। কারণ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত, অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল গরুপাচার কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত। ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল নেতাকে। তিনি এখন জেল হেফাজতে। সুকন্যা সুকৌশলে বার বার সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, রেহাই পাবেন না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। ফের জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই ফিরতে হল তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার ফের আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে তোলা হয় গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাওয়া হয় জামিন। জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২১ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে তোলা হবে আদালতে। তৃণমূল নেতার জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই করা যাবে না।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এদিন জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কীভাবে জড়িত অনুব্রত? তখনই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, হাট থেকে গরু যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। সেখানে শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে বাধা দেওয়া হত তাদের। শুল্ক আধিকারিকদের রীতিমতো হুমকি দিতেন অনুব্রত এসবের প্রমাণ স্বরূপ সিবিআই সিডির কথা উল্লেখ করে। যদিও বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে নেই বলেই দাবি করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের দাবি, এনামূলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রতর।

    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    এদিকে, এদিন অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও আদালাত জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে তৃণমূল নেতার যে টাকার লেনদেন হয়েছে, সে তথ্যও রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন। অনুব্রতর হয়ে টাকা তুলতেন তিনিই। সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, এর প্রমাণ রয়েছে সিডিতেই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অনুব্রত, তাঁর মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীর নামেও মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় (Cattle Sumggling Scam) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। তার ঠিক আগের দিনই খোঁজ মিলল সম্পত্তির।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। পেয়েছে রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশও। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামেও রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    জানা গিয়েছে, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে অগাস্ট মাসেও একবার মণীশকে তলব করেছিল সিবিআই। সেদিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন মণীশকে ফের জেরা করেই জানা গেল, বোলপুরে আরও সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর নামে। কেবল অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেও আরও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মেলেনি। যা মিলেছে, তা হল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে সেই সম্পত্তিরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আরও এক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সকালে বোলপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রায় দু ঘণ্টা তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে, দু ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় তাঁকে। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কনসালট্যান্টের অফিসে।

    বোলপুরে একসঙ্গে ৪ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি ছাড়াও তৃণমূল কর্মী সুদীপ রায় ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সুজিত দে- র বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এই তিনজনের নাম। সেই কারণেই এই অভিযান। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বোলপুরের বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা?

    সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির নথি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। অনুব্রতর একার নামেই ২৪টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এছাড়া অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে ২৬টি সম্পত্তির নথি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামেও ১২টি সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে ৪৭টি সম্পত্তি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি! বিদ্যুতের স্ত্রী মহুয়া গায়েনের নামে ২টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে ১৮টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।   

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    মঙ্গলবার আসানসোলে অনুব্রতকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের এত বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তার সন্ধানে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও সংশোধানাগারে জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার পর দিনই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। আজ বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তাঁকে পেশ করা হলেও হয়নি মামলার শুনানি। এক আইনজীবীর মৃত্যুতে আদালতের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত রয়েছে। শুনানি না হওয়ায় সায়গলকে আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই- এর বিশেষ আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    গত ৯ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। প্রথমে তাঁকে সিবিআই হেফাজত এবং পরে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। গত ১৮ অগাস্ট আদালতে তোলা হয়েছিল তাঁকে। সে দিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেইমতো আজ তাঁকে সিবিআই আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আজ মামলার শুনানি না হওয়ায় ফের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে সায়গলকে।

    আরও পড়ুন: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন আসানসোল আদালতে তাঁর মামলার শুনানি ছিল। এই মামলার শুনানির দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। সকলকে হতাশ করে পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। সায়গলের আইনজীবীর তরফ থেকে এদিন জামিনের আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি না হওয়ায় জামিনের আবেদন করাও সম্ভব হল না। বিনা শুনানিতেই সিবিআই- এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে ফের সেই জেলেই ঠাঁই হল সায়গলের। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ডোমকল থেকে বোলপুর, তাঁর একাধিক বাড়ি-জমির হদিশও পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনারে বন্দি সায়গল। সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় কেষ্ট মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। টানা বেশ কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতের পর অনুব্রতর বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। অর্থাৎ ফের একই জায়গায় মালিক এবং দেহরক্ষী। শোনা যায়, অনুব্রত জেলে আসার পরই তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন সায়গল। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন জামিনের আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন মেলেনি। তাই জেলেই ফিরে গেলেন সায়গল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তদন্তের ভার পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো অনুব্রত মামলায় এখনও যকের ধনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুরুপাচার মামলার বিপুল টাকা কোথায় গেল? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাই এবার মঞ্চে নামতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossian) নিজেদের হেফাজতে (Custody) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই 

    ইডি যে এই মামলায় তদন্তে নামতে পারে, এরকম জল্পনা আগেই ছিল। এবার তা সত্যি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই  সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সম্প্রতি সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এবার ইডির নজরে গরুপাচারের টাকা। 

    কোথায় গেল গরুপাচারের টাকা? তার পরিমাণ কী? কোন কোন খাতে এই টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছে? এই সব জানতেই সায়গলকে জেরা করতে চান ইডি গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত এবং সায়গলের বিষয়ে সিবিআই- এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। 

    এদিকে অনুব্রত, সায়গলের পর এবার সিবিআই- এর স্ক্যানারে অনুব্রতর ড্রাইভার আনারুল শেখ। অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভারের ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ির রহস্য কী তা জানতে চায় সিবিআই। 

    দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছেন আনারুল শেখ। এই আনারুল শেখের (Anarul Shekh) গ্রামের বাড়ি বোলপুর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে খিরুলি গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তিনি বেশ কয়েক বছর আগে বোলপুরের গুরুপল্লিতে একটি ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি বানান আনারুল। সেখানেই এখন থাকে আনারুলের পরিবার।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও! 

    আনারুলের বোলপুরের গুরুপল্লিতে যে বাড়িটি রয়েছে সেই বাড়িটি আনুমানিক তিন কাঠা জায়গার উপর তৈরি। বাড়িটির কারুকার্য চোখে পড়ার মতো। যে জায়গায় এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে সেখানকার জমির মূল্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা কাঠা। পাশাপাশি তাঁদের বোলপুর ইলামবাজার রোডের ওপর একটি এক বিঘা সমান জায়গা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই জায়গার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।   

    অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আনারুল এবং তাঁর দাদার রোজগার নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। যদিও আনারুল শেখের বৌদি দাবি করেছেন, তাঁরা গ্রামের জমি-বাড়ি বিক্রি করে এই বাড়ি তৈরি করেছেন। অন্যদিকে আনারুল শেখের দাদা আলমের দাবি, রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা জমিয়ে এই সম্পত্তি তৈরি করেছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2022)। ধুমধামের সঙ্গে এই বিশেষ দিন পালিত হচ্ছে। এর জন্য সেজে উঠেছে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple)। অতীতে, প্রতিবছর এই কৌশিকী অমাবস্যা ঘটা করে পালন করে এসেছেন মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর কালীপুজোর আয়োজনে কোনও খামতি থাকত না। জাঁকজমক করে এই উৎসব পালন হত তাঁর বাড়িতে। শোনা যায়, কালীপুজোয় প্রতিমাকে প্রায় ২৫০-৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজিয়ে পুজো করতেন অনুব্রত। আবার কখনও, সোজা তারাপীঠ মন্দিরে হাজির হয়ে যেতেন বীরভূমের একসময়ের ‘বেতাজ বাদশা’।

    কিন্তু, এবছর যেন সব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। গরুপাচার মামলায় এখন শ্রীঘরে রয়েছেন কেষ্ট। বর্তমানে, কেষ্টর ঠিকানা আসানসোল জেল (Asansol Jail)। সেখানেই ১৪ দিনের হাজতবাস কাটাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায়, কার্যত বাধ্য হয়ে জেলের মধ্যেই পুজো সারলেন কেষ্ট। সূত্রের খবর, এদিন, জেলেই পুজো দিলেন অনুব্রত। সংশোধনাগারে মায়ের কোনও বিগ্রহ নেই। তবে মা কালীর একটা ছবি আছে। সকাল সকাল স্নান সেরে আসানসোল সংশোধনাগারের হনুমান মন্দিরে মা তারার ছবিতে লাল জবা, ধুপ ও নকুলদানা দিয়ে পুজো দিলেন অনুব্রত। তাঁর প্রসাদও অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে বিতরণ করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিকে, সূত্রের আরও খবর, আসানসোল সংশোধনাগারে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেই  দু’টি ঘরের মধ্যে একটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘর লাগোয়া পৃথক কমোডযুক্ত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে তাঁর জন্য। তবে সংশোধনাগারে কেষ্টকে কোনও  বিশেষ আতিথেয়তা দেওয়া হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর হচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷ গত স্বাস্থ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তাঁর ওজন কমেছে৷ জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ৩ কেজি ওজন কমে গিয়েছে৷ ১১২ কেজি থেকে কমে এখন তাঁর ওজন দাঁড়িয়েছে ১০৯ কেজি৷ অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করে আপাতত জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে৷

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal Aide: রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    Anubrata Mondal Aide: রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের (Rajib Bhattacharya) পেশ করা নথি যত পরীক্ষা হচ্ছে, ততই যেন নতুন নতুন চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling) অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই সহযোগীকে দীর্ঘ জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। জমা দিতে হয়েছে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত হিসেবনিকেশও। আর তা পরীক্ষা করতে গিয়েই বেরিয়ে আসছে একের পর এক ‘গুপ্তধন’। 

    সিবিআইয়ের হাতে এসেছে রাজীবের চালকল সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট। তাতে দেখা গিয়েছে, সেই সময় অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলকে অগ্রিম বাবদ ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে , ওই একই সময়ে, আরেক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে? এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে কেন ব্যবসায়িক লেনদেন করা হয়েছিল? ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া ও দেওয়া হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে, রাজীবের পেশ করা তাঁর সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট দেখে সিবিআই জানতে পারে যে, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। কী কারণে সেই টাকা হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছিল, তা উল্লেখ ছিল না নথিতে। এমনকী, সূত্রের খবর, রাজীবকে প্রশ্ন করেও এই নিয়ে সদুত্তর মেলেনি। তবে, জানা গিয়েছে, ওই একই সময়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ছবি মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ছবির চিকিৎসার খরচই মিটিয়েছিলেন রাজীব। তেমনটা হয়ে থাকল, কেন?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কেষ্টর সবকটি রাইস মিলের ‘অপারেটর’ হচ্ছেন এই রাজীব। জানা গিয়েছে, একসময়ে বীরভূমের ছোট চাল ব্যবসায়ী ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই আচমকা উল্কার বেগে তাঁর উত্থানের শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সম্পত্তি মালিক হন তিনি। বর্তমানে রাজীবের আওতায় ৭টি রাইস মিল রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    আবার ঘটনাচক্রে, অনুব্রতর ছত্রছায়ায় রাজীবের মতোই উল্কার উত্থান হয়েছে বিদ্যুৎ গায়েনেরও। ছিলেন সামান্য এক পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী। সেখান থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। অনুব্রতর লগ্নি করা একাধিক কোম্পানিতে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। নাম যুক্ত রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের সঙ্গেও।

    তাহলে কি অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে রেখেছেন অনুব্রত? কেষ্টর ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধানে জোরকদমে চারদিকে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share