Tag: anubrata mondal

anubrata mondal

  • Recruitment Scam: পার্থর ‘গুরুভাই’ ইনি, তাঁর ডাক এড়াতেন না কেষ্টও! কে এই বিভাস অধিকারী?

    Recruitment Scam: পার্থর ‘গুরুভাই’ ইনি, তাঁর ডাক এড়াতেন না কেষ্টও! কে এই বিভাস অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উঠে এল আরও এক নতুন নাম! চাকরি চুরিতে সিবিআই এবং ইডি সমানভাবে তদন্ত চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে একের পর এক এজেন্টের নাম। চন্দন মণ্ডল, তাপস মণ্ডল, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাহিদ ইমামের মত নাম উঠে আসার পাশাপাশি এবারে সামনে এল বীরভূমের নলহাটির এক ব্যক্তি বিভাস অধিকারীর নামও। সূত্রের খবর, নলহাটি-২ ব্লকের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি বিভাসের। জানা গিয়েছে, তিনি বর্তমানে তৃণমূল লোহাপুর ব্লক সভাপতি। যদিও বিভাসের দাবি, এই মুহূর্তে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু সূত্রের দাবি, পার্থ, মানিকের পাশাপাশি  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথা হলেন বিভাস অধিকারী।

    কীভাবে বিভাসের নাম উঠে এল?

    কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে সবার প্রথমে গোপাল দলপতির নাম উল্লেখ করেন কুন্তল। এরপর গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তা সামনে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। তারপর ‘রহস্যময়ী নারী’ অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সামনে আনেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। আর এবার কুন্তল ও গোপাল— দুজনের মুখেই উঠে এল বিভাস অধিকারীর নাম। কুন্তল দাবি করেছেন, তাপসের মত বিভাসও এক জন ‘এজেন্ট’। বিভাসকে কেন তলব করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এই প্রশ্ন করেছিলেন দুর্নীতিতে নাম জড়ানো গোপাল দলপতিও।

    কে এই বিভাস?

    সূত্রের দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুরুভাই’ এই বিভাস অধিকারী (Recruitment Scam)। শিক্ষা ‘দুর্নীতি’র সূচনাপর্বে বিভাসই নাকি পার্থর ‘গুরু’ ছিলেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সূত্রের খবর, বিভাস এমনই এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ছিলেন, যাঁর ডাক এড়াতেন না স্বয়ং কেষ্টও। সূত্রের দাবি, বিভাসের ডাকে সাড়া দিয়ে কখনও গ্রামে এসেছেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল, কখনও মুকুল রায়, কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এককথায় তাঁর কথা শাসকদলের কোনও নেতাই এড়িয়ে যেতেন না। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা দাপুটে এই বিভাস অধিকারী।

    আরও পড়ুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা

    সূত্রের খবর, বিভাস অধিকারী এলাকায় রাজনীতিক ছাড়াও ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিভাস অধিকারীর চারটি বি.এড, ডি.এলএড কলেজ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তবে সেই সকল সম্পত্তি ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিভাস অধিকারী ১৯৯১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক দেন এবং ইংরেজিতে ব্যাক পান। পরে বহরমপুর থেকে স্পোকেন ইংলিশ শেখেন। মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামে একটি বাংলা ইংরেজি টাইপ স্কুল চালান। ভাগীরথী করেসপন্ডেন্স কলেজ নামে এর একটি শাখাও গড়ে তোলেন তাঁর মামার সহযোগিতায়। এর পাশাপাশি ২০০০ সাল নাগাদ বহরমপুর থেকে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। সেই সময় থেকে একটি বেসিক ট্রেনিং স্কুল গড়ে তোলার চেষ্টা চালাতে দেখা যায় তাকে। যদিও ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারের থেকে অনুমোদন না পেলেও এনসিইআরটি অনুমোদন থাকায় তাঁর ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে এখন। সিউড়ির কাছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে (Recruitment Scam)।

    তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রাথমিক টেটে একেবারে প্রথমপর্বে ২ হাজার ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে (Recruitment Scam) এই বিভাসের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আর সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। যদিও এ নিয়ে বিভাস অধিকারী বলেন, “আমি চাই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। কোনও অবৈধ কিছু নেই। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না। আগামিদিনে ইডি বা সিবিআই ডাকলে অলওয়েজ ওয়েলকাম। প্রথম থেকে বলে আসছি। ইডি তদন্ত করেছে। আমার যাবতীয় কাগজপত্র যা চেয়েছিল, সবই জমা দিয়েছি। ওরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে আবার দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই দিল্লি হাই কোর্টে উঠবে অনুব্রতের মামলা। গরু পাচার মামলা ও অর্থ তছরুপের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করে ইডি। তবে তা ঠেকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সেই মামলার শুনানিও ১ ডিসেম্বর।

    আবারও দিল্লি যাত্রা সুকন্যার

    চলতি মাসের শুরুতেই সুকন্যাকে পর পর তিন দিন দফায় দফায় দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। গত ৪ নভেম্বর শেষ বার ইডির দফতরে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও তদন্তকারীদের কাছে তিনি ঠিক কী বলেছেন, তা সবিস্তারে জানাননি তিনি। আবারও রাজধানীতে তাঁকে কেন তলব করা হল ইডি সূত্রে তা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে  তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের আগে সুকন্যার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকার মতো। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার আয় বেড়েছে তাঁর। গত দু’বছরে সুকন্যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বোলপুরে ‘ভোলে ব্যোম’ নামে একটি চালকলের যৌথ মালিকানা রয়েছে সুকন্যার। দু’টি সংস্থারই ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    লটারি দুর্নীতি

    সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে তদন্ত চলছে জোরকদমে।   তদন্ততে উঠে এসেছে, গত চার বছরে অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সুকন্যা, তাঁদের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। বীরভূমের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে  ইতিমধ্যেই তিন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। বুধবারও বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখার আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই-এর ডাক এড়ালেন কেষ্ট (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal)। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমন পরিস্থিতিতে সুকন্যা মণ্ডলকে গতকাল সিবিআই ডেকেছিল। কিন্তু তিনি সিবিআই-এর দফতরে উপস্থিত না হয়ে পাঠিয়েছেন চিঠি। কী আছে চিঠিতে? সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুকন্যা রয়েছেন রাজ্যের বাইরে। তাই তিনি সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের বাইরে থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁর সংস্থার আয়–ব্যয়ের গড়মিলের নথি নিয়েই গতকাল, সোমবার সিবিআই সুকন্যাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।

    তবে গতকাল শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকেই নয়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন-কেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। আর তিনিও সুকন্যার মতই সিবিআই-এর ডাক এড়িয়ে গেলেন। তবে গতকাল সিবিআই-এর ডাক এড়ানোর কোনও কারণ জানানো হয়নি। সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস ধরিয়ে সেটির আয়ব্যয়ের যাবতীয় নথি চেয়ে সোমবার সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণকে তলব করেছিল সিবিআই।

    জানা গিয়েছে, আইনজীবী মারফত সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুকন্যা দাবি করেছেন, তাঁর বন্ধুর চিকিৎসার জন্য তিনি এখন চেন্নাইতে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজেই যোগাযোগ করবেন তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে। ফলে তিনি সময় মত পৌঁছতে পারেননি। তবে পরবর্তীতে কবে তিনি হাজিরা দিতে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। আরও জানা গিয়েছে, সুকন্যা ই-মেল করে সিবিআইকে নিজের সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৫ সালের পর থেকে হঠাৎ সুকন্যা মণ্ডলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে মিলেছে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চাল কলের মালিকানা রয়েছে তাঁর নামেই, তাই তাঁর আয়–ব্যয়ের হিসেব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই-কে আগে যেসব নথি তিনি পাঠিয়েছিলেন তাতে অনেক তথ্য স্পষ্ট উল্লেখ নেই, তাই নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও গত সেপ্টেম্বরে সুকন্যাকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। সেসময় নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন সুকন্যা। পরে আইনজীবী মারফত নথি পাঠানো হয়েছিল। এ বারও নোটিস পেয়ে তলব এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal)। আবার সিবিআই তলবের পাশাপাশি আগামী ২৭ তারিখ দিল্লিতে সুকন্যাকে তলব করেছে ইডি-ও। ফলে সিবিআই-এর তলব এড়ানোর পাশাপাশি ইডির তলবও তিনি এড়িয়ে যাবেন কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্যে চার্জশিটে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy as Witness) নাম উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। গত শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে  সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, সাক্ষী হিসেবে ওই চার্জশিটে মোট ৯৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে তারকা সাংসদের। চার্জশিট জমা করার একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য নথিভূক্ত করা হয়। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সাংসদ। 

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের তিক্ততা কারও অজানা নয়। যদিও, অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করার পর, অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে কথা বলেছিলেন শতাব্দী ৷ শতাব্দী রায় ছাড়াও চার্জশিটে মলয় পিঠের নামও উল্লেখ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মীদের নামও সাক্ষী তালিকায় রয়েছে ৷

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার  

    এবার প্রশ্ন উঠছে, যে শতাব্দী অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন, সেই শতাব্দীই নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন? এই বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা বলছেন, “চার্জশিটে যে কাউকেই সাক্ষী করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারকের সামনে ওই সাক্ষী কী বলছেন, সেটাই বড় কথা।” শতাব্দী এজলাসে দাঁড়িয়ে কী বলেন, এবার সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে বহু টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট অনুব্রতের পরিবারের বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যে সিজার লিস্টে যে সকল ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মী সই করেছিলেন, তাঁদের নাম সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডির হানা (ED Raid)। সাত সকালেই ইডির তিনটি গাড়ি ঢোকে মন্ত্রীর নিচুপট্টির বাড়িতে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চন্দ্রনাথের বাড়ি ঘিরে রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই হানা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। তবে এটা নিশ্চিত যে নিয়োগ দুর্নীতি বা গরু পাচারের তদন্তেই এই ইডি হানা। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই জেলার রাজনীতিতে পরিচিত চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুব্রত মণ্ডলের পাড়াতেই তাঁর বাড়ি।

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চন্দ্রনাথ 

    চন্দ্রনাথ সিনহা রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প মন্ত্রী রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দেখা গিয়েছিল, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ঠিক পাশের তৃণমূলের কার্যালয়ে হানা দেয় ইডি (ED Raid)। একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল যে কালীপুজো করতেন, সেই প্রতিমার বিপুল গয়নার উৎস জানতে স্থানীয় ব্যাঙ্কেও যায় ইডির দল। এবার রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছল ইডির দল। যদিও স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নিজের বাড়িতে নেই চন্দ্রনাথ। তিনি রয়েছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি মুরারইতে। বোলপুরের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে।

    একাধিক জায়গায় ইডি হানা 

    উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে শুধু বোলপুর নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে নেমেছে ইডি। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি (ED Raid) আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, চেতলা, লেকটাউন-সহ মোট তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, চেতলায় পিয়ারীমোহন রায় রোডের বিশ্বরূপ বসু নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল। বেশ কয়েক বছর উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে গরু পাচার (Cow Smuggling) বন্ধ থাকলেও এবার ফের গরু পাচার হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদার কুলিয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এই গরু পাচার ফের শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সূত্রপাত হয়েছে। অবশ্য বিএসএফের দাবি, গরু পাচার ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    বিএসএফ সূত্রে খবর (Cow Smuggling)

    উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার (Cow Smuggling) নিয়ে বিএসএফ জানিয়েছেন, পাচার আটকাতে নিরাপত্তা আরও শক্ত করা হয়েছে। তবে গরু রোজ পাচার হচ্ছে না। সীমান্তে যাঁরা গরু পোষেন তাঁদের বাড়িতে টাকা দিয়ে সাময়িক ভাবে রেখে দেওয়া হয়। তারপর সেগুলি পাচার হয়। আবার গ্রামবাসীদের বিক্রি করা গরু পাচারকারীদের কাছে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন সুযোগ বুঝে পাচারের চেষ্টা করা হয়। এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সিসিটিভি বসানোর কথাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    আগেও হয়েছে গরু পাচারের রমরমা

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার বনগাঁ, বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত দিয়ে রমরমিয়ে গরু পাচার (Cow Smuggling) হত। বেশ কিছু এলাকাকে সেফ করিডর করে পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য এখনো বেশ কিছু এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। রাতের অন্ধকারে অন্য রাজ্য থেকে ট্রাকে করে গরু এনে ফসলের জমিতে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করা হয়। ফলে বিঘা বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় এই গরু পাচারের কারণে। অনেক সময় এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে রীতিমতো আগ্নেয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা ভারতে ঢুকে গরু নিয়ে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই ভাবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই এলাকায় এসে একই কথা বলে গিয়েছিলেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভারত-বাংলাদেশের কুলিয়া সীমান্ত এলাকায় চাষি সুভাষ সরকার বলেন, “পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে চাষের জমির মধ্যে দিয়ে গরু নিয়ে যায়। ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাচারকারীদের (Cow Smuggling) হাতে দা, কুড়ুল, ভোজালি থাকছে।” আরেক চাষি কালীপদ বিশ্বাস বলেন, “রাত তিনটে থেকে গরু পাচার হচ্ছে। আমরা চাই বিএসএফ এবং পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করল এনআইএ (NIA)। বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডে আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল ও অনুব্রত। সিবিআই, ইডির পর এবার বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র জেরার মুখে পড়লেন সায়গল।

    কেন জেরা

    এনআইএ সূত্রের দাবি, বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক-সহ ডিটনেটর উদ্ধারের তদন্তে সায়গল হোসেনকে জেরা করে মিলতে পারে বিভিন্ন তথ্য। ২০২২ সালে মুরারই থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নেয় এনআইএ। পুলিশের একাংশের মদতে বিস্ফোরক সরবরাহকারীরা ডিটোনেটর-জিলেটিন স্টিক হাত বদল করতেন। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করেই সায়গলের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনআইএর। যে জায়গায় মজুত করে রাখা হয়েছিল ওই ডিটোনেটর, তার মালিক সায়গলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই দাবি এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ

    ২০১০ সালে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সায়গল হোসেন। ২০১৬ থেকে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বত্র দেখা যেতে থাকে সায়গল হোসেনকে। আর তারপরই তাঁর এই উত্থান। গরু পাচার, কয়লা পাচার-এর পর এবার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার। বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) যোগাযোগ ছিল? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সায়গলকে জেরা করে এনআইএ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জেরা-পর্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রতের জামিনের আর্জি প্রত্যাখ্যাত হল সুপ্রিম কোর্টেও। মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলা। ২২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। চার্জ গঠনের আগে জামিন মামলার শুনানি নয় বলেই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    মাস্টারমাইন্ড নই

    এদিন সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীন বিশেষ মন্তব্য করেন কেষ্ট তথা অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার জামিন পেয়েছে। আমি গোটাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই। তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?’

    পুলিশ ওনার হাতে

    পাল্টা অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে শীষ আদালতে এদিন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, শাসকদলে তাঁর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জেলায় রাজার মতো থাকেন অনুব্রত। তিনি এই মামলার অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সিবিআইয়ের গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি জেলার পুলিশ অফিসারদের ট্রান্সফার এবং পোস্টিং ঠিক করেন। পুলিশ তাঁর পকেটে। জামিনের জন্য আদালতের স্পেশাল জাজকে ভয় দেখিয়ে চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হবে।

    আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার বেশি জি-পে, ফোন-পে করতে লাগবে ৪ ঘণ্টা! জানেন কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, পাঁচটি চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আগে চার্জ গঠন করা হোক। তারপর জামিনের প্রসঙ্গে ভাবা যাবে। অতএব আরও একটি বছর  জেলেই শেষ হবে অনুব্রতের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। এই মামলাতে তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কথা বলতে চাইলেন কেষ্ট, নিজের জায়গায় বসে রইলেন মণীশ! কী হাল অনুব্রতর? 

    Anubrata Mondal: কথা বলতে চাইলেন কেষ্ট, নিজের জায়গায় বসে রইলেন মণীশ! কী হাল অনুব্রতর? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা তিনি ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। এখন বোলপুরের দেওয়ালে খুঁজে পাওয়া যাবে না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এবারের কালীপুজোও জেলেই কাটাতে হবে তাঁকে (Anubrata Mondal)। ফের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, সায়গল হোসেন-সহ তিহাড়ে থাকা গরু পাচারে-যুক্ত (Cow Smuggling Case) বাকি বন্দিদের। এমনই নির্দেশ দিল্লির রাউজ এভিনিউ কোর্টের। 

    একা হচ্ছেন অনুব্রত?

    এখন তিহাড় জেলে দিন কাটছে কেষ্টর। আগের থেকে বেশ খানিকটা ওজন ঝরেছে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। শরীরিক অবস্থা দর্শিয়ে মঙ্গলবার জামিন পেতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু হয়নি। মঙ্গলবারও জামিন খারিজ হয়ে যায় তাঁর। এদিন কোর্ট রুমে একসময়ের তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে কথা বলতে চান অনুব্রত। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন সদ্য জামিনপ্রাপ্ত মণীশ। ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। কিন্তু এখন সে সব অতীত। অনুব্রতের থেকে দূরত্ব বাড়াতে সচেষ্ট একদা তাঁর ঘনিষ্ঠেরা। তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিমণ্ডলে বীরভূম জেলায় অনুব্রত মণ্ডলের ছায়া ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়-কন্যার সই করা বিজ্ঞপ্তি বদল! দুর্নীতির আঁচ থেকে দূরে থাকতে চাইছে শিক্ষা সংসদ?

    পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে

    সূত্রের খবর, আজও অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বারেবারে পায়ে ব্যথার কথা বলেন। এ দিন,আইনজীবীদের জানান, তাঁর পায়ের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। ডান দিকের পায়ে ব্যথা। যার জেরে পা ক্রমশ রোগা হয়ে যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি জামিন পেতেই প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কেষ্টও শীঘ্রই জামিন পাবেন? কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে এলে যা ইচ্ছে তাই করবেন, ক্ষতি হবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।’ মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share