Tag: APJ Abdul Kalam

APJ Abdul Kalam

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

  • APJ Abdul Kalam: শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত কালামের মৃত্যুবার্ষিকী  

    APJ Abdul Kalam: শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত কালামের মৃত্যুবার্ষিকী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি (APJ Abdul Kalam)। বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানীও। আদর্শ শিক্ষকও। তিনি আবদুল পাকির জইনুলাবেদিন আবদুল কালাম। এহেন মহান মানুষটির নবম মৃত্যুবার্ষিকী (Death Anniversary) পালিত হল ২৭ জুলাই, শনিবার। কেবল দেশ নয়, বিদেশেও ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কালাম নিজেকে বলতেন ‘জনগণের প্রেসিডেন্ট’। মহাকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সব চেয়ে বড় অবদান ‘অগ্নি’ এবং ‘পৃথ্বী’ মিসাইলের বিকাশ সাধন। এই দুই ক্ষেপণাস্ত্র মজবুত করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষার ভিত্তি।

    বিজ্ঞানী কালাম (APJ Abdul Kalam)

    বিজ্ঞানী কালামকেই দেশের ১১তম প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়েছে দেশ। মহান এই মানুষটি রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছেন ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতাও কালাম। তাঁর ‘উইংস অফ ফায়ার’, ‘ইগনাইটেড মাইন্ডস’ উল্লেখযোগ্য বইগুলির অন্যতম। এই দুই বই পড়ে লাখো লাখো মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন কালাম।

    রাষ্ট্রপতি কালাম

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও জানা যায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এই বই থেকে। ভারতের তরুণ প্রজন্মের কাছে কালাম একটা সেনশেসনের নাম। তাঁর অমর কিছু উদ্ধৃতি প্রেরণা জোগায় তরুণদের। তাঁদের মনে রোপণ করেছেন স্বপ্ন দেখার বীজ। এহেন মহান মানুষটিরই নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কালাম। তার পর থেকে ফি বছর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয় তাঁর মৃত্যু দিন।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের নয়া নজির, অযোধ্যার রামলালার ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প প্রকাশ লাওসের

    বিজেপির জাতীয় সংখ্যালঘু মোর্চাও শনিবার সব রাজ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করেছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের মৃত্যু বার্ষিকী পালন নিয়ে সংখ্যালঘু সেলের বক্তব্য, তিনি (APJ Abdul Kalam) ছিলেন দেশের পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো মানুষদের মধ্যে অন্যতম। তাই তাঁর জীবনের অবদান বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চায় মোর্চা।

    কালামকে বিশ্ব চেনে ‘মিসাইল ম্যান’ হিসেবে। তাঁর উদ্ধৃতি প্রেরণা জুগিয়েছে বিশ্ববাসীকে। তিনি বলতেন, “সমস্যার সম্মুখীন হওয়া মানুষের প্রয়োজন। কারণ তাহলেই সে সাফল্যের স্বাদ পেতে পারবে।” কালাম বলতেন, “মানুষ তখনই আমাদের মনে রাখবে, যখন আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধশালী ও সুরক্ষিত ভারত উপহার দিতে পারব। এই সমৃদ্ধির মধ্যে (Death Anniversary) যেমন থাকবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তেমনি থাকবে সভ্যতার ঐতিহ্যও (APJ Abdul Kalam)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাষ্ট্রপত এপিজে আবদুল কালামের ফোন ধরতে চাননি ভারতীয় শিক্ষাবিদ, লেখিকা তথা রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) সুধা মূর্তি (Sudha Murty)। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণা করে ট্যুইটও করেছেন সুধা। তিনি ভেবেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কালাম সে সময় তাঁর স্বামী ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন কালাম তাঁকেই ফোন করেছিলেন। 

    সুধার স্মৃতিচারণা

    সুধা (Sudha Murty) বলেন, “একদিন, আমি একটি কল পেয়েছিলাম যে মিঃ আব্দুল কালাম আপনার সাথে কথা বলতে চান। আমি (অপারেটরকে) বলেছিলাম আব্দুল কালামের সঙ্গে আমার কথা হতে পারে না। ভুল হচ্ছে হয়তো কলটি নারায়ণ মূর্তির জন্য হতে পারে। মিস্টার মূর্তির পরিবর্তে, আপনি মিসেস মূর্তির সাথে সংযোগ করেছেন।” কিন্তু ওই অপারেটর তাঁকে জানান, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে চান। সুধার কথায়, তিনি ভাবতে থাকেন কেন কালাম তাঁকে ফোন করছেন। এরপর তিনি জানতে পারেন তাঁর একটি লেখার প্রশংসা করার জন্যই কালাম তাঁকে ফোন করেছেন।

    সুধার কর্মজীবন

    ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং লেখক সুধা মূর্তিকে (Sudha Murty) সম্প্রতি রাজ্যসভায় সাংসদ (Rajya Sabha MP) হিসাবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ইনফোসিসের কর্তা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী সুধা শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট লেখিকা হিসাবে পরিচিত। ১৯৫০ সালে ১৯ অগস্ট কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেন সুধা। তিনি নিজে এক জন ইঞ্জিনিয়ার। নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানি’তে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিনি কাজ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বেঙ্গালুরুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবেও কাজ করেছেন সুধা। কন্নড়, মারাঠি, ইংরেজি-সহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর ৪০টির বেশিও বই আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কলম লিখেছেন তিনি। ২০০৬ সালে সুধাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি পান পদ্মভূষণ সম্মান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Technology Day: আজ জাতীয় প্রযুক্তি দিবস, ভারতে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম, জানুন ইতিহাস

    National Technology Day: আজ জাতীয় প্রযুক্তি দিবস, ভারতে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে  প্রযুক্তিগত উন্নতির (National Technology Day) দিক থেকে পৃথিবীর প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। যত সময় এগোচ্ছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে তত উন্নত হচ্ছে দেশ। জাতীয় স্তরে নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার এবং ব্যবহারের কথা স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর ১১ মে পালন করা হয় জাতীয় প্রযুক্তি দিবস। প্রতিবছর ভারত সরকার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই দিনটি উদযাপন করেন। চলতি বছর বক্তৃতা, সেমিনার, তর্ক বিতর্ক, রেডিও বা টিভিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে এই দিনটি উদযাপন করা হবে। প্রযুক্তিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করা হয়।

    জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস

    জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের (National Technology Day) একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে ভারতে। এই দিনটিকে ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কৃতিত্ব হিসেবে স্মরণ করা হয়। কারণ, ১৯৯৮ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ১১ মে পোখরানে (Pokhran Operation) সফল ভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল ভারত। প্রতি বছর এই দিনে অনবদ্য কৃতিত্বের জন্য ভারতের বিজ্ঞানীদের সম্মান প্রদান করা হয়। ভারত তার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখেছিল ১৯৯৯ সালের ১১ মে, যখন বিজ্ঞানীরা বেঙ্গালুরুতে প্রথম দেশীয় বিমান “হাঁসা ৩” উড়িয়েছিল। এই একই দিনে ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার সাক্ষী হয়েছিল দেশবাসী। ভারতের প্রযুক্তগিত অগগ্রতির কথা বিবেচনা করে ১৯৯৯ সালের ১১ মে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রতি বছর এই দিনটিকে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    পোখরান দিবস

    ১৯৯৮ সালের ১১ মে, রাজস্থানের পোখরানে সফলতার সঙ্গে দ্বিতীয়বার পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই প্রজেক্টের নাম ছিল পোখরান টু (Pokhran 2 Nuclear Test)। পোখরানের টেস্ট রেঞ্জ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা ৫টি বিস্ফোরণ করা হয়।

    এরপর ভারতের মাস্টারমাইন্ড প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নির্দেশে এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের নেতৃত্বে ‘অপারেশন শক্তি’ নামে পোখরানে একের পর এক ৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়। পরমাণু পরীক্ষার দিন তথা ১১ মে দিনটিকে ভারতের জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়। ভারতের অন্যতম রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের জন্য একটি ‘পারমাণবিক শক্তি’ দেশ হয়ে ওঠে ভারত। তাঁর নির্দেশনায় সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল পোখরান পরীক্ষা। তাই তিনি ‘ইন্ডিয়ান মিসাইল ম্যান’ নামে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথিতযশা বিজ্ঞানী (Scientist) তথা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi of Indian Science)। যাঁর সম্পর্কে তিনি একথা বলেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ডাঃ বিক্রম সারাভাই (Vikaram Sarabhai)। ভারতীয় বিজ্ঞানের পথিকৃত। ১২ অগাস্ট হয়ে গেল তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী।

    ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদে এক শিল্পপতির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। গুজরাটের কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। পরে চলে যান কেমব্রিজে। ১৯৪০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারাভাই ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটেশ রমণের অধীনে আইআইএসসিতে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৪৫ সালে ফের চলে যান কেমব্রিজে। সেখানে কসমিক রে ইনভেস্টিগেশন ইন ট্রপিক্যাল শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দেন সারাভাই। এরপর ফের দেশে ফেরেন এই প্রবাদপ্রতীম বিজ্ঞানী। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর যখন ২৮ বছর বয়স, তখনই গুজরাটে তিনি গড়ে তোলেন উন্নতমানের ফিজিক্স-ল্যাব। ১৯৬২ সালে আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব ভূমিকা নেন সারাভাই।

    আরও পড়ুন : ভাল আছেন রুশদি, এবার হুমকি দেওয়া হল হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    ছয়ের দশকের গোড়ায় ভারতে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণা। ওই সময়ই আমেরিকার স্যাটেলাইট সিনকম-৩ এর সাহায্যে টোকিও অলিম্পিকের লাইভ ট্রান্সমিশন হয়। ইসরোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি দেখেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। রাশিয়া প্রথম কৃত্রিম আর্থ স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পরেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বস্তুত তিনিই ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার কোনও আগ্রহ নেই। দেশের নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। দেশের প্রযুক্তি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও প্রয়োজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী।

    আরও পড়ুন :গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

     

LinkedIn
Share