Tag: Application

Application

  • One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত (One Nation One Application)। ভারতীয় সংসদ ও বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভাগুলিও ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (নেভা) (NeVA)-এর মাধ্যমে যাচ্ছে এক ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে কাগজবিহীন, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলা। যখন প্রশাসন ডিজিটাল পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে, তখন নেভা ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক রূপান্তরকারী প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা আইন প্রণয়ন ব্যবস্থার জন্য “এক দেশ, এক অ্যাপ্লিকেশন” প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প (One Nation One Application)

    জানা গিয়েছে, নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প। এটি ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, দেশের সমস্ত আইনসভাকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। অর্থাৎ সেগুলিকে একটি “ডিজিটাল হাউসে” রূপান্তরিত করা।  ই ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনসভার কার্যকলাপ হবে পুরোপুরি কাগজবিহীন (paperless), যেখানে বিধানসভার সদস্য ও সাংসদরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সমস্ত সংসদীয় কাজকর্ম করতে পারবেন। নথিপত্র দেখা, প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করা, বক্তৃতা দেওয়া এবং ভোট দেওয়া – এ সবই করা যাবে এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। ভারতীয় আইনসভাগুলিতে ঐতিহ্যগতভাবে বিল, বিধি, কার্যবিবরণী, প্রশ্নোত্তর, কমিটি রিপোর্ট ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ কাগজ ব্যবহার করা হয়। সংসদীয় কার্যকলাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর লজিস্টিকাল ও পরিবেশগত চাপও (NeVA) বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আইনসভা প্রক্রিয়াকে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ভারত সরকার নেভার পরিকল্পনা করেছে।

    নেভার যাত্রা শুরু

    নেভার যাত্রা শুরু হয় ‘ই-বিধান’ প্রকল্প দিয়ে, যা ২০১৪ সালে হিমাচল প্রদেশে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছিল। পরে এটি প্রথম রাজ্য বিধানসভা হয়ে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল রূপ নেয়। এই ডিজিটাল উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ২০১৯ সালে একটি কেন্দ্রীয় অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন চালু করে, যাতে এটি সারা দেশে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় (One Nation One Application)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮২তম অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্স কনফারেন্সে নেভা নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সকল সংসদের কার্যক্রমের রিয়েল-টাইম তথ্য সাধারণ নাগরিক ও দেশের অন্য সংসদগুলির জন্য সহজলভ্য হওয়া উচিত। এর জন্য একটি আধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (NeVA)।”

    নেভা কি

    নেভা কেবল কাগজের নথির একটি ডিজিটাল বিকল্প নয়। এটি একটি বিস্তৃত ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা আইনসভাগুলির জটিল চাহিদা পূরণের জন্য শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। ‘ভাষিণী’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেক্সট-টু-টেক্সট মেশিন অনুবাদ হল নেভার একটি নয়া সংযোজন, যা জাতীয় ভাষা অনুবাদ মিশনের অধীন একটি প্রকল্প। এটি নেভার পাবলিক পোর্টাল (এবং রাজ্য বিধানসভার হোমপেজগুলি)-কে সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভারতীয় ভাষা ও ইংরেজিতে অনুবাদ করতে সাহায্য করে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষাগত অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়।

    নাগাল্যান্ডে প্রথম নেভা চালু

    নাগাল্যান্ড উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম রাজ্য যারা নেভা চালু করে। পরে এতে যুক্ত হয় ত্রিপুরাও। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিও এটি বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়। কারণ এটি ৯০:১০ অনুপাতে অনুদান-ভিত্তিক মডেলে (NeVA) দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ২০২৩ সালে নেভা ইকোসিস্টেমে যুক্ত হয় এবং ২০২৪ সালে প্রথম সম্পূর্ণ কাগজবিহীন অধিবেশন করে। এই পরিবর্তনের ফলে মুদ্রণ খরচ কমে যায় এবং সাধারণ জনগণের জন্য আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্য আরও সহজলভ্য হয়। এটি আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্যকে ডিজিটালি গণতান্ত্রিক করে তোলে, ভোটার ও তাঁদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দূরত্ব ঘুঁচিয়ে দেয় (One Nation One Application)।

    নেভা প্রয়োগে সমস্যা

    যদিও নেভা সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে, তবুও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার অভাব এখনও একটি বড় বাধা। কারণ সব সাংসদ এবং বিধায়ক ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। প্রশিক্ষণ মডিউল চালু করা হয়েছে। তাই বাস্তবায়নে সময় লাগবে। যেসব রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেখানে পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে রিয়েল-টাইম তথ্য প্রবাহ ও অবিরাম কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। আর একটি জরুরি সমস্যা হল তথ্য নিরাপত্তা। তথ্য চুরি এবং গোপনীয়তা রক্ষায় শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক ২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত সংসদীয় কক্ষকে নেভা প্ল্যাটফর্মে একশোভাগ যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে (NeVA)। নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে যাতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়, এআই-চালিত অনুবাদ এবং স্বয়ংক্রিয় নথি সংরক্ষণ কার্যকর হয় (One Nation One Application)।

  • Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিএড বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৮টি বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্রভর্তির অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকতার প্রশিক্ষক থেকে হাজার হাজার হবু শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। বন্ধ কলেজগুলি। সকলের নজর এখন আদালতের রায়ের দিকে। আদালত কিi ফের কলেজ অনুমোদনের বিষয় বিবেচনা করবে?

    বর্তমানে কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও আগে কলেজে অফ লাইনে ছাত্র ভর্তি হয়। কিন্তু পরে বন্ধ হলে কলেজ নতুন ছাত্রদের অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে তা সম্পন্ন করা হয়। অথচ গত মাসে রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। একই ভাবে এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়। এই মুহূর্তে ছাত্রদের পড়াশোনা অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। এক বিএড পড়ুয়া অয়ন্তিকা সর্দার জানিয়েছেন, “ভর্তি হয়ে জানলাম কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। আগে জানালে ভর্তি হতাম না।”

    কেন বাতিল অনুমোদন (Bed Colleges)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। শিক্ষকদের বেতনের নথিতে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে নেই দমকলের বিশেষ ছাড়পত্র। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী একটি বিএড কলেজে ৫০ জন ছাত্রের জন্য ৮ জন শিক্ষক রাখতে হবে। শিক্ষকদের মাসিক বেতন হবে ২১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে। দমকলের ছাড়পত্র পেতে গেলে ১০০০০ লিটারের জলের ট্যাঙ্ক বসাতে হবে। পর্যাপ্ত জল তোলার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জলের পাম্প বসাতে হবে।

    মামলা গিয়েছে হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যে এনসিটিই-র নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত শর্ত পালন করে ভর্তির প্রক্রিয়া যাতে শুরু করা যায়, সেই জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বেসরকারি বিএড কলেজগুলি (Bed Colleges)। এক বিএড কলেজের মালিক প্রভাকর জানা বলেন, “দমকলের অনুমোদন না থাকায় বাতিল হয়েছে। কিন্তু সমস্ত শর্ত পূরণ করে আমরা বিশেষ আবেদন করেছি। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

    কী বলছেন বিএড শিক্ষক?

    বন্ধ বিএড কলজের (Bed Colleges) শিক্ষক দেবাশিস পট্টনায়ক বলেছেন, “ছাত্রদের ভর্তির পর ক্লাস করার সুযোগ না মেলায় আমাদের চাকরি এখন সঙ্কটের মুখে। সমস্ত কলেজ গাইডলাইনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে রাজি হয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্ত আর এক বার বিবেচনা করুকঁ, এই আবেদন রাখছি। পাশপাশি আমরা হাইকোর্টের রায়ের দিকেও নজর রেখেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UGC NET: নেট পরীক্ষায় আবেদনের সময়সীমা বাড়াল ইউজিসি 

    UGC NET: নেট পরীক্ষায় আবেদনের সময়সীমা বাড়াল ইউজিসি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি নেট (UGC NET) পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ইউজিসি নেট ডিসেম্বর ২০২১ (UGC-NET December 2021) এবং জুন ২০২২-(UGC-NET June 2022) এর আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ মে করা হয়েছে। ugcnet.nta.nic.in ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে এই বিষয়ক সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন  পরীক্ষার্থীরা। 

    আরও পড়ুনঃ সেরা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শীঘ্রই যৌথ ডিগ্রি প্রদান ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের : ইউজিসি চেয়ারম্যান

    বিষয়টি নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে জানিয়েছেন ইউজিসি (UGC) -র চেয়ারম্যান। লিখেছেন, “ইউজিসি নেট ডিসেম্বর ২০২১ এবং জুন ২০২২- (UGC NET December 2021/June 2022) এর আবেদন দাখিল করা এবং টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন বাড়িয়ে ৩০ মে ২০২২ করা হয়েছে।” 

    [tw]


    [/tw]

    জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন নেট পরীক্ষার জন্যে: 

    ১। প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে যান। ntanet.nic.in

    ২। এবার‘UGC NET December 2021/June 2022 registration’- এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। 

    ৩। একটু নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে আপনাকে।

    ৪। ব্যক্তিগত তথ্য দিন এবং রেজিস্টার করুন।

    ৫। নতুন তৈরি করা রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দিয়ে লগ-ইন করুন। 

    ৬। ফর্মটি ভরুন, ছবি আপলোড করুন এবং ফর্মটি ডাউনলোড করুন।

    ৭। এবার টাকা জমা করুন।

    এর আগে আবেদনে কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করার জন্যে ২০২২ সালের ২৩ মে রাত ৯টা অবধি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ (NTA)। তারপরেই আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর এই ঘোষণা। 

    আরও পড়ুনঃ স্নাতকস্তরে একইসঙ্গে দুটো ডিগ্রি কোর্স করা যাবে, নয়া নিয়ম ইউজিসির

    বছরে দুবার হয় এই নেট পরীক্ষা। এবছরের জুনের পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ করোনা অতিমারীর কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পরীক্ষাটি এখনও নেওয়া যায়নি। পরীক্ষাটিকে পুরোনো ছন্দ ফিরিয়ে আনতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের জুনের পরীক্ষা দুটি একসাথে নেওয়ার ঘোষণা করেছে এনটিএ।     

     

  • Amarnath Yatra: দুবছর পর ফের শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Amarnath Yatra: দুবছর পর ফের শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) জন্যে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটান্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (Lt Gen Manoj Sinha)। ‘আওয়াম কী আওয়াজ’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মনোজ সিনহা বলেন, “আমরা আশা করছি এইবার আমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীর সংখ্যা অনেক বাড়বে। আগামী ৩০-শে জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসন সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত।”

    করোনা আবহে দুবছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ায় তীর্থযাত্রীদের পুনরায় এই ধাম দর্শনের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। বছরে মাত্র ৪৩ দিনের জন্যই যাওয়া যায় অমরনাথে। এ বার যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩০ জুন। শেষ হবে ১১ অগস্ট।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩০ জুন, এগুলি সঙ্গে না রাখলে পড়বেন সমস্যায়

    এই প্রথমবার শ্রীনগর থেকে সোজা হেলিকপ্টারে করে পৌঁছনো যাবে অমরনাথে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে এই পথে হেলিকপ্টার চালানোর অনুমতি পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। যারা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন না, তাঁরা চাইলে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছতে পারবেন অমরনাথে। এত দিন পঞ্চতরণীর পর থেকে ৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হত তীর্থযাত্রীদের। এ বার চাইলে হেলিকপ্টারে করে উড়েও যেতে পারবেন তাঁরা। তবে তার জন্যে অমরনাথ যাত্রার আবেদন করার সময়েই জানাতে হবে বিষয়টি।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি 

    যে যত আগে আবেদন করবেন, তাঁর অমরনাথ যাত্রার অনুমতি পাওয়ার সম্ভবনা তত বেশি। ১৩ বছরের কম এবং ৭৫ বছরের বেশি বয়স হলে এই যাত্রার অনুমতি মেলে না। অমরনাথ যাওয়ার দুটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তা দুটি দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার যাত্রী অমরনাথ যাত্রার অনুমতি পান। 

    কীভাবে অমরনাথ যাত্রার জন্যে আবেদন করবেন? 

    • আবেদন করতে সবার আগে https://jksasb.nic.in/register.aspx  -এই ওয়েবসাইটটিতে লগ-ইন করতে হবে। 
    • তারপর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। 
    • নিজের যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। 
    • এর পরে আবেদনের নম্বর পাওয়া যাবে। 
    • সেটা পাওয়ার পরে সম্মতি জানালে মিলবে অনুমতি পত্র। 
    • কেউ চাইলে সরাসরি শ্রীনগর বা জম্মু গিয়ে শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ডের দফতর থেকে অনুমতি নিতে পারেন।  

    www.shriamarnathjishrine.com – এই ওয়েবসাইটে আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে লাগবে চিকিৎসকের শংসাপত্র। সেটা অবশ্যই ২০২২ সালের ২৮ মার্চ তারিখের পরে নেওয়া হতে হবে। কোন চিকিৎসকরা শংসাপত্র দিতে পারবেন সেই তালিকাও রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। এর সঙ্গে দিতে হবে চারটে পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর আধার বা ভোটার কার্ডের ফটোকপি। 

LinkedIn
Share