Tag: Arms

Arms

  • Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার (Arms Recovery)। ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলা থেকে ওই অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্র ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয় মণিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর তরফে। তার পরেই মেলে অস্ত্রভান্ডারের হদিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এদিন যে জেলাগুলিতে হামলা চালানো হয়, সেগুলি হল – ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং ও থৌবল।

    আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার (Manipur) 

    অভিযানে বাহিনী সব মিলিয়ে মোট ৩২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫১টি সেল্ফ-লোডিং রাইফেল, ৬৫টি ইনসাস রাইফেল, ৭৩টি অন্যান্য অজানা রাইফেল, ৬টি একে সিরিজ রাইফেল, ১২টি লাইট মেশিন গান, ৫টি কারবাইন, ২টি এমপি৫ গান, ২টি আমোঘ রাইফেল, ১টি মর্টার, ৬টি পিস্তল, ১টি এআর-১৫ রাইফেল এবং ২টি ফ্লেয়ার গান। বাহিনী যেসব গুলি বাজেয়াপ্ত করে সেগুলির মধ্যে ছিল ৫৯১টি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ৩ হাজার ৫৩৪টি এসএলআর গুলি, ২ হাজার ১৮৬টি ইনসাস গুলি, ২ হাজার ২৫২টি .৩০৩ রাইফেলের গুলি, ২৩৪টি একে রাউন্ড, ৪০৭টি আমোঘ রাউন্ড, ২০টি ৯মিমি পিস্তলের গুলি, ১০টি গ্রেনেড, ৩টি ল্যাথোড এবং ৭টি ডিটোনেটর।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসনের কর্তারা এই অভিযানকে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংঘাতপ্রবণ রাজ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে চেষ্টা চলছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আখ্যা দিয়েছেন। প্রবীণ আধিকারিকরা বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে চলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, ফের এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Manipur) তাঁরা। পুলিশ মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে। এই প্রচেষ্টায় তারা জনগণের সাহায্য চেয়েছে। জনগণের কাছে বেআইনি অস্ত্র সংক্রান্ত যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা তথ্য স্থানীয় থানায় অথবা সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে গত দু’বছর ধরে অশান্ত উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। এই (Arms Recovery) অস্থিরততার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিনপন্থী একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী। নিষিদ্ধ সেই সব গোষ্ঠীর জঙ্গিদের ধরতে সম্প্রতি সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পুলিশ ও সেনা (Manipur)।

  • Jammu And Kashmir Clash: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    Jammu And Kashmir Clash: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ভূস্বর্গে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)! গোয়েন্দা রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, পাক সেনার প্রাক্তন অফিসারদের মদতেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir Clash) ঘটছে একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনা। পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনী স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের প্রাক্তন আধিকারিকরাই জঙ্গিদের শেখাচ্ছেন দূরপাল্লার এম৪ কার্বাইনের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে চালাতে হয়, কীভাবেই বা ব্যবহার করতে হয় বিস্ফোরক। সেনার ওপর চিনা স্টিল কোর বুলেট ব্যবহার করে কীভাবে গেরিলা হানা চালানো যায়, সেই কৌশলও শেখানো হচ্ছে জঙ্গিদের।

    মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অস্ত্র (Jammu And Kashmir Clash)

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় প্রচুর অস্ত্র ফেলে যায় মার্কিন সেনা। নেটো এবং আমেরিকার সেনাদের ফেলে যাওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্রই হাতফের হয়ে চলে আসছে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে। প্রমাণ হিসেবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে চলতি জুলাই মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছে মিলেছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন। কেন্দ্রীয় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও জানিয়েছিল, পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও রসদের জোগান দিয়েছিল পাক সেনা। তদন্তের পরে স্থানীয় প্রশাসনও জানিয়েছিল, ২০২১ সালে আমেরিকা যেসব বুলেট আফগানিস্তানে ফেলে গিয়েছিল, তারই কয়েকটা ব্যবহার করা হয়েছিল পুঞ্চ হামলার সময়।

    জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা!

    এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া বিপুল অস্ত্রভান্ডারই এখন রয়েছে তালিবানের হাতে। তালিবানের সাহায্য নিয়ে সেই অস্ত্র ব্যবহার করে উপত্যকায় (Jammu And Kashmir Clash) অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে পাক জঙ্গিরা। অত্যাধুনিক এই সব অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করা হবে, কোন কৌশলে বধ করা যাবে শত্রুপক্ষকে, এসবেরই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা।

    আরও পড়ুন: “সনাতন ধর্ম বিশ্বাস করে মানব কল্যাণে”, বললেন মোহন ভাগবত

    বিএসএফ সূত্রে খবর, ২০২১ সাল থেকে উপত্যকায় বেড়েছে একে সিরিজের রাইফেল, আইইডি-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধারের পরিমাণ। এগুলির বেশিরভাগই আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া নেটো ও মার্কিন সেনার অস্ত্র। উপত্যকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে পাক জঙ্গিদের পাশাপাশি তালিবানদের এই অস্ত্র সরবরাহকারীদের ভূমিকা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে এবং উপত্যকাবাসীকে সুরক্ষা (Pakistan) দিতে বেশ কিছু বৈঠক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে টহলদারিও (Jammu And Kashmir Clash)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে স্কুল চলাকালীন পড়ুয়ার ব্যাগে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে স্কুল চলাকালীন পড়ুয়ার ব্যাগে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যজু়ড়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মাঝে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের নজরে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্কুলের মধ্যে রিভলভার নিয়ে আসার অভিযোগ উঠল দুই স্কুল ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙ্গা -২ ব্লকের আন্দুলবেড়িয়া হাইস্কুলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা -২ ব্লকের (Murshidabad) আন্দুলবেড়িয়া হাইস্কুলে দুদিন আগে স্কুলের গেটম‍্যানে সঙ্গে অভিযুক্ত দুই স্কুল পড়ুয়ার কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা বাধে। ওই দিনই তারা স্কুলের গেটম‍্যানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে আসার সময় তারা  ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে একটি রিভলভার স্কুলে নিয়ে আসে। স্কুল ব্যাগের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার বিষয়টি ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়ারা জানতে পারে। জানা গিয়েছে, রিভলভার নিয়ে গেটম্যানকে তারা ভয় দেখাবে বলে স্কুলে রটে যায়। এরপর অন্য পড়ুয়ারা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বলে। দুই পড়ুয়ার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে রিভলভারটি উদ্ধার করে। পরে, তাদের অফিস রুমে নিয়ে এসে স্কুলের পক্ষ থেকে রেজিনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে রেজিনগর থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্কুলের পক্ষ থেকে ওই দুই ছাত্রকে রিভলভার সহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুজনেই দশম শ্রেণির ছাত্র। এরমধ্যে একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো রয়েছে। পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। সাধারন মানুষের প্রশ্ন, স্কুলে যদি এই ভাবে পিস্তল নিয়ে আসে,তাহলে শিক্ষার হাল কোথায় গিয়েছে? কোথায় এই আগ্নেয়াস্ত্র ওই স্কুল পড়ুয়া পেয়েছে তা সবার আগে তদন্ত হওয়া দরকার।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    অভিযুক্ত দুই পড়ুয়ার কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত দুই পড়ুয়ার বক্তব্য, আমরা রাস্তাতেই ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি কুড়িয়ে পেয়েছি। স্কুলে আসার পথে আমরা সেটি দেখতে পাই। তাই, স্কুল ব্যাগে করে নিয়ে এসেছিলাম। আমরা কাউকে কোনও হুমকি দিইনি। গেটম্যানের সঙ্গে আমাদের কোনও বিবাদ নেই। কাউকে ভয় দেখানোর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএসজি কমান্ডো নামিয়ে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সোমবার সেই বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। সিবিআই সূত্রে খবর, শাহজাহানের সঙ্গে অস্ত্রের কারবারের যোগ পাওয়া গিয়েছে। শুধু জমি কেনাবেচা বা জমির চরিত্র বদল করে টাকা নয়ছয় নয়, সেই টাকা বিদেশি অস্ত্র কারবারে ব্যবহার করেছেন শাহাজাহান। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় অস্ত্র আইন যোগ করা হতে পারে।

    এনআইএ তদন্তের দাবি জানালো সিবিআই (Sandeshkhali)

    আবু তালেবের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়ি থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখান থেকে শাহজাহানের পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী, কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা কার্তুজের রসিদও পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রের মধ্যে একটি তাঁর ভাই আলমগিরের কেনা। এ ছাড়া, শাহজাহানের নামে অস্ত্রের লাইসেন্সও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই মনে করছে, সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের মজুত করা আরও অস্ত্র থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। কারণ, যে সব বিদেশি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে তা নিলামে কেনা হয়েছিল। তাঁর ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভারও ছিল। শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মামলায় এ বার অস্ত্র আইন যোগ করার কথা ভাবছে তারা। বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সঙ্গে ওই অস্ত্র তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদনও জানায়। পাশাপাশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ব্যাগ ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআই আধিকারিকরা আনেন। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের কাছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নথিপত্র সবকিছু তাঁরা দেখান। সিবিআই আধিকারিকের আইনজীবী বোঝান, বিদেশি অস্ত্র রাখার অপরাধে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার

    ২৬ শে এপ্রিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে পাওয়া যায় বেশ কিছু অস্ত্র। সেই সূত্রেই এনএসজি-কে ডেকে পাঠানো হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু বোমা। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র দিয়ে সন্দেশখালিতে আরও বোমার খোঁজে তল্লাশি চলে দিনভর। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: একেকটির দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা! মার্কিন মুলুক থেকে নিলামে কেনা হয়েছিল সন্দেশখালির বিদেশি অস্ত্র

    Sandeshkhali: একেকটির দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা! মার্কিন মুলুক থেকে নিলামে কেনা হয়েছিল সন্দেশখালির বিদেশি অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভার যেমন পাওয়া গিয়েছে, তেমনি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। দেশি আগ্নেয়াস্ত্র তো রয়েছে। সব মিলিয়ে এই অস্ত্র মজুত করার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগের অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এই আবহের মধ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় থেকে আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। আর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের সামনে উঠে এসেছে।

    মার্কিন মুলুক থেকে এসেছিল অস্ত্র! (Sandeshkhali)

    সিবিআই এর এখন সন্দেহ, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) উদ্ধার হওয়া এই সব অস্ত্রের অধিকাংশ এসেছিল মার্কিন মুলুক থেকে। আর এই সব অস্ত্র এমনই, যে বাজার থেকে কেনা যায় না। এগুলি নিলাম হয়। চড়া দামে কিনতে হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা দাম উঠে যায় একেকটি অস্ত্রের। তাহলে সন্দেহ প্রবল হচ্ছে, নেপথ্যে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্র? কীভাবে এই সব আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত? আর সব থেকে বড় প্রশ্ন এত দামি অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ কোথা থেকে আসত? কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৩টি বিদেশি রিভলবার রয়েছে, যেগুলি মার্কিন মুলুকে তৈরি এবং এই সব আগ্নেয়াস্ত্র রীতিমতো নিলাম ডেকে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। কী কারণে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র সন্দেশখালিতে মজুত করা হয়েছিল, অস্ত্র কেনার টাকাই বা এসেছিল কোথা থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, একেকটি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে কেনা হয়েছিল এই অস্ত্র? তবে কি অস্ত্র চোরাচালানেও যুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান?

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    বিলের সূত্র থেকে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের ভান্ডারের কাছে বেশ কিছু বিল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেই বিলে কলকাতার এক অস্ত্র কারবারির হদিশ মিলেছে। বিলে কে কেনা হয়েছিল তা উল্লেখ রয়েছে। কার্তুজ কেনার তথ্য রয়েছে। আর কোথায় থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে,  শনিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) হানা দেয় সিবিআই। সেখানে একাধিক অভিযোগকারীর সঙ্গে তারা কথা বলেন। পাশাপাশি এদিনও শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সেই আবু তালেবের বাড়িতেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে, সেখান থেকে কী তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) দিকে দিকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে বীরভূমে একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার কে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এর আগে নির্বাচন হোক বা সাধারণ বিষয় রাজনৈতিক হানাহানিতে তপ্ত হয়েছে বীরভূম। তাই, একাধিক থানা এলাকায় এত বোমা বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    নানুর, কীর্ণাহার, ইলামবাজারে বোমা উদ্ধার (Birbhum)

    ভোটের আগে বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই, মারগ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুরের পর এবার কীর্ণাহার। বোমা উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য। বীরভূমে ফের বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রাম। কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রামের মাঠের ধার থেকে ৪০-৪২ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত নেমেছে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানার তাখোরা এবং ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে চার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ইলামবাজার থানার নাচুনসা গ্রামে নদীর ধারে এক ব্যাগ ভর্তি তাজা উদ্ধার করা হয়। এলাকার মানুষ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে, পুলিশ ব্যাগ ভর্তি বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এত বিপুল পরিমাণ বোমা কোথায় থেকে এল? কারা কি উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আকাল মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছে থেকে একটি ওয়ান সাটার এবং গুলি পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Egra: জলসায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচতে দিতে বাধা, বন্দুক উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন যুবক

    Egra: জলসায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচতে দিতে বাধা, বন্দুক উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে আগ্নেয়াস্ত্র। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। এই ঘটনার জ্বলন্ত প্রমাণ মিলল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় (Egra)। প্রকাশ্যেই জলসার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন এক যুবক। আর এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Egra)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা (Egra) থানার বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচক গ্রামে এক জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জলসায় নৃত্য শিল্পীদের সঙ্গে নাচ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আয়োজক কমিটির সদস্যরা তাতে রাজি হননি। আর এরপরই প্রকট হল যুবকের আসল রূপ। বন্দুক উঁচিয়ে তাণ্ডব শুরু করে দেয় জলসার মঞ্চের সামনে। আর তাতেই একেবারে হুলুস্থুল কাণ্ড। দর্শক আসনে যাঁরা বসে ছিলেন, তাঁরা সব ভয়ে ছুটে পালান। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে এগরা থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম গোপাল মাঝি। তাঁর বাড়ি এগরা থানা এলাকাতেই। যুবকের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কয়েক রাউন্ডগুলি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কীভাবে ওই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল, ওই জলসায় ঠিক কী ঘটেছিল, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে এগরা থানার আইসি অরুন কুমার খান জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই বন্দুক এল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।

    আয়োজক কমিটির সদস্যরা কী বললেন?

    আয়োজক কমিটির সদস্যদের বক্তব্য,ওই যুবক জলসার অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে যখন চলে আসেন, তখন আমরা তাঁকে পিছনে গিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করি। আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই যুবক তাতে উত্তেজিত হয়ে পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে উঁচিয়ে ধরে। এভাবে ওই যুবক পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করবে তা ভাবতে পারিনি।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাক্কায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল প্রায় ৪ হাজার কিউসেক জল। এর ফলে তিস্তায় (Teesta River) জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্নও হতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    সেনাবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারে তিস্তায় ছাড়া হল জল! (Teesta River)

    গত বছরের ৪ অক্টোবর ভয়াবহ হড়পা বানের সম্মুখীন হয় সিকিমের একাধিক এলাকা। ভেসে যায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও অস্ত্র। সেই সময় সেনাবাহিনীর অস্ত্র গ্রামবাসীদের অনেকে বাড়িতে মজুত রেখেছিলেন। এমনকী রকেট লঞ্চার ফেটে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেই সময় অভিযান চালিয়ে বহু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর যা অস্ত্র সিকিম বিপর্যয়ের কারণে হারিয়েছে তা উদ্ধার হয়নি। সূত্রের খবর, ওই অস্ত্র ও গোলা-বারুদের তল্লাশি চলছে এখনও। সূত্রের খবর, সোমবার তার খোঁজেই কালীঝোড়া বাঁধ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব গোলা-বারুদ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা যায়নি, সেগুলি উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তিস্তার পারে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। খরার মরশুমে নদীতে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র খুঁজতে বিপুল পরিমাণ জলের ধাক্কায় কাজে দেবে বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর কর্তারা। জলের তোড়ে পাহাড়ি নদীর (Teesta River) গায়ে আটকে থাকা অস্ত্রগুলি নীচে নেমে আসবে বলে তাদের ধারণা। এদিকে, সোমবার সেবকের কালীঝোড়া থেকে আচমকাই এই জল ছাড়ার ঘটনায় আতঙ্কে বেড়েছে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের।

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অবশ্য জল ছাড়ার আগে নদী সংলগ্ন বাসিন্দাদের সচেতন করতে তিস্তা (Teesta River) সংলগ্ন একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চলেছে মাইকিং। এই শীতে নদী তীরবর্তী এলাকায় পিকনিকের মরশুম চলায় জল ছাড়ার আগে আলাদাভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খেলার মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Khardah: খেলার মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে কামারহাটি এলাকায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অবাধেই আগ্নেয়াস্ত্র ঘোরাফেরা করছে দুষ্কৃতী থেকে সাধারণ যুবকদের হাতে। খড়দার (Khardah) খেলার মাঠে গন্ডগোলের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দা (Khardah) পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিবমন্দির এলাকায় রবিবার রাতে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলছিল। সেখানে অনেক দর্শকও ছিল। খেলার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আচমকা দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। গন্ডগোলের কারণে মাঝপথেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলোয়াড়রা ব্যাট, বল ছেড়ে একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। অভিযোগ, সেই সময় খেলোয়াড়দের এক পক্ষের হয়ে বাইর থেকে দলবল নিয়ে খেলার মাঠে হাজির হয়। অন্যপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন বিকাশ রাজভর নামে এক খেলোয়াড়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে বিকাশ রাজভর নামে ওই খেলোয়াড়ের উপর চড়াও হন। বন্দুকের বাঁট দিয়ে বিকাশের মাথায় আঘাত করা হয়। হামলার জেরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খড়দা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শটার বন্দুক উদ্ধার করে। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, খেলার মাঠে কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হতেই পারে, তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালাতে হবে? সেখানে প্রচুর দর্শক ছিল। গুলি চললে বড় বিপদ হতে পারত। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি অভাবের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আগামীদিনে আরও অনেক বাড়বে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র পাচারকারী বা ক্যারিয়ারকে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটছে। এতে নতুন কিছু নয়। তবে, সেই অস্ত্র পাচারকারী যদি মহিলা হয় তাহলে তো অবাক হওয়ার বিষয়। এমনই এক মহিলা অস্ত্র কারবারির হদিশ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর (Duttapukur) থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম পূজা বিশ্বাস। বছর ৪৫-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ থেকে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল পূজা নামে ওই মহিলা পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা শনিবার সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার আলগরিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান। ওই সময় এক মহিলাকে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর পাননি শুল্ক আধিকারিকেরা। তাঁরা খবর দেন দত্তপুকুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ থেকে মেলে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। দেখে পুলিশ কর্মীরা তাজ্জব হয়ে যান। পরে, পুলিশ জানতে পারে, মালদহ থেকে ওই অস্ত্রগুলি আসে মহিলার কাছে । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শনিবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। কিন্তু, বিচারপতি ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,  কার কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পেয়েছে, কাকে বিক্রি করতে যাচ্চিল, এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,  মূলত অস্ত্র পাচারের কাজ করত সে। এমনকী, ভিনরাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে হাত পাকিয়েছে অভিযুক্তা। ওই মহিলার সঙ্গে বড় কোনও অস্ত্র পাচারচক্র জড়িত থাকতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share