Tag: army

army

  • Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে ভারতীয় সেনার কাজের ধরন বদল করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এত দিন সীমান্তে সংঘাতের আবহে আলাদা ভাবেই কাজ করত ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী – স্থল, নৌ এবং বিমান। এবার থেকে (India Pakistan Tensions) তারা একই কমান্ডারের নেতৃত্বে (Unified Command) এক সঙ্গে কাজ করবে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ২৭ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষেই। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলে বিলটি পরিণত হয় আইনে। আইন কার্যকর হয় চলতি বছরের ১০ মে। এবার জারি হল বিজ্ঞপ্তি।

    জারি বিজ্ঞপ্তি (Unified Command)

    বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই এই নয়া নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করলেও, তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না। জানা গিয়েছে, এতদিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন হত অত্যন্ত ধীর গতিতে। নয়া নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবেন নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না (Unified Command)।

    ডিফেন্স স্টাফের প্রধানের বক্তব্য

    এদিকে, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান রবিবার অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তর ও পশ্চিম সমরাঙ্গণে যুদ্ধ প্রস্তুতির কৌশলগত পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই দুই কমান্ডের আলাদা আলাদা সফর করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সময়মতো দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের সামগ্রিক সমন্বয় ও দক্ষতার প্রশংসা করেন জেনারেল চৌহান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি সকল স্তরের জওয়ানদের সাহস, দৃঢ়সংকল্প, নিখুঁততা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন (Unified Command)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    জেনারেল চৌহান জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ফরমেশনগুলিকে “অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের” স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৭ মে সকালের দিকে ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানা হয় ভারতের তরফে। পরবর্তী কালে পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাগুলিকেও জবাব দেওয়া হয় কঠোরভাবে (India Pakistan Tensions)। ১০ মে তারিখে সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয় বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উধমপুরে, প্রতিরক্ষা প্রধানকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় – যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শত্রুর জঙ্গি-সমর্থিত সম্পদ ধ্বংস করা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজেদের সামরিক কাঠামো ও অসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।”

    এতদিন কী হত জানেন?

    প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তে কোনও সংঘর্ষ হলে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত তিন বাহিনী। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগত। নয়া নিয়ম চালু হওয়ায় এখন একই কমান্ডারের নেতৃত্বে অপারেশন হলে, অপারেশনের গতি অনেকটাই বাড়বে। এতে অপারেশনের সময় তিন বাহিনীর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। এড়ানো যাবে বিভ্রান্তিও (Unified Command)। জানা গিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম ও উত্তর কমান্ড। সূত্রের খবর, শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ডে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এটি দেশের অন্যান্য সীমান্তেও কার্যকর করা হবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চালায় অপারেশন সিঁদুর। তাতে ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারতের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শাহবাজ শরিফের দেশ। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা পাক সেনার ওই হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে। দিন তিনেকের ওই সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। যদিও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব ভারতকে আগে দেয় পাকিস্তানই (India Pakistan Tensions)। এখনও সংঘর্ষ বহাল রয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় সেনার নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসেবেই দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Unified Command)।

  • Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ছুতোয় দেশে সাধারণ নির্বাচন না করিয়ে দিব্যি ক্ষমতায় বসে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)! সূত্রের খবর, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সম্ভাব্য সব বিকল্প পথের সন্ধান করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনূসের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন সেনাপ্রধান। তিনি চান, নির্বাচন সম্পন্ন হোক চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। সূত্রের খবর, সেনা প্রধান বিভিন্ন বিকল্পের সন্ধান করছেন, যাতে সংবিধানের ফোকর গলে চ্যালেঞ্জ করা যায় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

    বাংলাদেশের সংবিধান (Bangladesh)

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও সরকার ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান পরিকল্পনা করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচন হোক। দেশের এই দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিক বাংলাদেশবাসী। ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতার রশি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একটি ‘সফট টেকওভার’ করতে পারেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মনে করে নির্বাচনে দেরি করার অর্থ সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবউদ্দিনকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল!

    এই জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার দেয় তখনই, যখন দেশে সাংবিধানিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে এই ধারা প্রয়োগ করে ইউনূসের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনাপ্রধান এখন সামরিক ঐক্য রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সমর্থন আদায় করে তার প্রভাব দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে (Muhammad Yunus) জনমত গড়ে তুলছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন (Bangladesh)।

  • Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।” বাংলাদেশের (Bangladesh Army) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে এই বার্তাই দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মায়ানমারের জন্য প্রস্তাবিত মানবিক (Myanmar) করিডর নিয়ে তাঁর যে আপত্তি রয়েছে, তা ফের মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি এও বলেন, “ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করিডর বা কোনও বিদেশি দেশের কাছে বন্দর হস্তান্তরের মতো বড় কোনও সিদ্ধান্তও নিতে পারে না।”

    করিডর চালুর প্রস্তাব (Bangladesh Army)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সময় তিনি বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিলেন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে দেশটির ভেতর দিয়ে একটি করিডর চালু করার জন্য। মায়ানমারের এই রাজ্য দখল করেছে আরাকান আর্মি। তার পর থেকে রাখাইনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের প্রস্তাবে সম্মতি জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে জানায়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সব তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই নিতে হবে। বিএনপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর একটি গাজা হতে চায় না (Myanmar)।

    কী বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

    বুধবার ঢাকার সেনাবাহিনী সদর দফতরে কর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাধারণত, সেনাপ্রধান ২০ থেকে ২৫ মিনিট বা সর্বোচ্চ আধ ঘণ্টার বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তবে বুধবার তিনি প্রায় এক ঘন্টা ২০ মিনিট সময় কথা বলেছেন। সেই সময়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত কোনও মানবিক করিডর অথবা কোনও বিদেশিকে কোনও বন্দর দেওয়া হবে না। তা করতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এমন কিছুই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মেনে নেবে না। তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেন বাহিনীর কর্তারা। সেনানিবাসে অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় সেনাপ্রধান বলেন, “ইউনূস সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রাখছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।”

    বিএনপির বক্তব্য

    প্রবল আন্দোলনের (Bangladesh Army) জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে দেশ চালাতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্বই ছিল দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনূস সরকার ক্রমাগত নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সরাসরি ইউনূস সরকারকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “এই নির্বাচন পিছানোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে (Myanmar)।” এবার ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধানও। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করতে।

    সাফ কথা সেনাপ্রধানের

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় সেনাপ্রধানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আলোচনায় সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কেন রাতে সেনা সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেন? সেনাপ্রধানকে এ ধরনের প্রশ্ন করার কারণে, তিনি বুধবার অফিসারদের ফোরামে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, ইউনূস সরকারের প্রতি নিজের ক্ষোভও ব্যক্ত করেন। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সেনার কাজে নাক না গলায়, তাও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে কিছু বিদেশি রয়েছেন, যাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁরা তাঁদের দেশে ফিরে যাবেন।” তাঁর ইঙ্গিতের অভিমুখ যে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না (Bangladesh Army)। এই খলিলুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত বছর নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই খলিলুরই মায়ানমার করিডরের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। সংবিধানে ব্যাপক সংশোধনের ডাক দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সে প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, “বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন কাম্য নয়।” সেনা প্রধান মনে করিয়ে দেন, আগামীদিনে বাংলাদেশ কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার আছে সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের।

    বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত!

    উল্লেখ্য যে, ইউনূস সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনালের কার্যকলাপ একটি বিদেশি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের শিপিং উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রশাসন টার্মিনাল পরিচালনার জন্য একজন বিদেশি অপারেটর নিয়ে আসার পক্ষে।” অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে, বিএনপি এবং জামাত ইসলামি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ১২ দলের জোটও সাফ জানিয়েছে, কোনও অবস্থায়ই নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (Bangladesh Army) বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম বন্দর কোনও বিদেশি সংস্থাকে লিজ দিলে, সেটাও মেনে নেওয়া হবে না (Myanmar)।

  • Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা (Baloch Liberation Army) হাইজ্যাক করেছিলেন পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express Hijack)। এই অভিযানের কোড নেম ছিল “দর্রা-ই-বোলান ২.০”। সম্প্রতি এই মুক্তি বাহিনীর মিডিয়া শাখা ‘হাক্কাল’ ৩৬ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে তাদের অভিযানের আদ্যন্ত চিত্র। এই ভিডিওতেই স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে অভিযানের সময় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব। ভিডিওটিতে পাকিস্তানের সরকারি দাবি-দাওয়াকে খণ্ডনও করা হয়েছে।

    ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (Baloch Liberation Army)

    ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ট্রেনের ভিতরে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছে। প্রথমেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য রয়েছে। অথচ পাক সেনা দাবি করেছিল, ঘটনাটি নৃশংস।আস্ত একটা ট্রেন হাইজ্যাক করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এক বালোচ স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের সংগ্রাম ও যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে (Baloch Liberation Army) পৌঁছেছে যেখানে আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদের তরুণরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। কারণ তারা জানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। একটি বন্দুক থামাতে আর একটি বন্দুকের প্রয়োজন। বন্দুকের গুলির শব্দ হয়তো এমন এক জায়গায় পৌঁছতে পারে।”

    বালোচদের বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বালোচ তরুণরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শত্রুর ওপর আঘাত হানার, কোনওরকম দ্বিধা বা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই। আজ যখন একজন ছেলে তার বাবাকে পেছনে রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে যাচ্ছে, তেমনি একজন বাবা-ও তার ছেলেকে পেছনে রেখে এই সংগ্রামের জন্য আত্মবিসর্জন দিচ্ছেন।” সংগঠনটি তাদের ফিদাঁয়ে ইউনিট মাজিদ ব্রিগেডের সদস্যদের নাম, ছবি এবং বিদায়বার্তা প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম। কারণ তাদের অভিযান ছিল শক্তিশালী এবং নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত (Jaffar Express Hijack)।

    যদিও পাক সেনার মুখপাত্র ডিজিআইএসপিআরের বক্তব্যের সঙ্গে এই বক্তব্যের বিস্তর অমিল ধরা পড়ে। কারণ পাক সেনা দাবি করেছিল, বালোচ লিবারেশন আর্মি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে (Baloch Liberation Army)।

  • Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Army) পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।” গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার কোলাভাডা গ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিশ্ব আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করছে।”

    ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী নির্মূল

    তিনি বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করেছে এবং ১৫টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করেছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জঙ্গি হামলা ঘটত, এখন আর তা ঘটছে না (Indian Army)।”

    মোদি জমানায় খেলা ঘুরেছে

    গান্ধীনগরের লোকসভার সাংসদ বলেন, “আগে সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তান থেকে আসত, আমাদের সেনা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করত এবং পালিয়ে যেত। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। কিন্তু তখন তাদের কোনও জবাব দেওয়া হত না।” তিনি বলেন, “মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে—উরি, পুলওয়ামা এবং গত মাসে পহেলগাঁও।প্রধানমন্ত্রী মোদি সবগুলির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং গোটা বিশ্ব বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখছে, আর পাকিস্তান তা আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করছে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা (পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা) অতীতে ভারতের প্রতিক্রিয়া থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি এবং ফের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আওতায় আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে এসেছি যে, আমরা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছি—জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাদের পরিবারগুলোর সামনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল (Indian Army)।”

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে (Pakistan) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।’ তার জেরেই পহেলগাঁওয়ে এই হামলা বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার (Terror Infrastructure) পরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে মূলচক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লা। ভারতের সেনা কর্তারা জানান, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় রয়েছে। তবে লঞ্চ প্যাড এখনও সক্রিয় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।

    পাক সেনা প্রধানের উসকানিমূলক বক্তব্য (Terror Infrastructure)

    এই হত্যালীলার দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট। এটা (কাশ্মীর) আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, থাকবেও, আমরা তা ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের সংগ্রামে একা ছাড়ব না।” মঙ্গলবার ঘটনার পরে পরেই সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ কর্তা বলেছিলেন, “৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসি বরাবর শক্তিশালী অন্তঃপ্রবেশ-রোধ জাল থাকায় জঙ্গিরা এখন জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার জন্য অন্য পথ ব্যবহার করছে। গত বছর এলওসিতে ১০টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। খতম হয়েছে ২৫ জন জঙ্গি।”

    বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই হামলা!

    পহেলগাঁও অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কোনও বড়ো অংশ মোতায়েন ছিল না। তবে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি বিশেষ বিপ্লব-বিরোধী ইউনিট দুপুরে নৃশংসতার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি কলাম পাঠায়। সেনাকর্তাদের মতে, এই “স্বল্পখরচে, উচ্চপ্রভাব” হামলাটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের সময় ঘটানো হয়েছে। তামাম বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই (Terror Infrastructure) এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট ইসলামিক দেশ।

    সেনাকর্তাদের মতে, গত দু’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছিল। এক সেনাকর্তা বলেন, “পাকিস্তান ও পিওকেতে জঙ্গি পরিকাঠামো, যেখানে লস্কর-ই-তৈবা(LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ(JeM), ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল(UJC), আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত অস্ত্র, জিহাদি সেমিনার ও মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়।” তিনি বলেন, “জেনারেল মুনিরের সম্প্রতি ভারত-বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য (Pakistan) থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে (Terror Infrastructure)।” প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। তার জেরে ফি বছর বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই চোখ টাটিয়েছে পাক সেনার।

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

LinkedIn
Share