Tag: army

army

  • Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাক্কায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল প্রায় ৪ হাজার কিউসেক জল। এর ফলে তিস্তায় (Teesta River) জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্নও হতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    সেনাবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারে তিস্তায় ছাড়া হল জল! (Teesta River)

    গত বছরের ৪ অক্টোবর ভয়াবহ হড়পা বানের সম্মুখীন হয় সিকিমের একাধিক এলাকা। ভেসে যায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও অস্ত্র। সেই সময় সেনাবাহিনীর অস্ত্র গ্রামবাসীদের অনেকে বাড়িতে মজুত রেখেছিলেন। এমনকী রকেট লঞ্চার ফেটে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেই সময় অভিযান চালিয়ে বহু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর যা অস্ত্র সিকিম বিপর্যয়ের কারণে হারিয়েছে তা উদ্ধার হয়নি। সূত্রের খবর, ওই অস্ত্র ও গোলা-বারুদের তল্লাশি চলছে এখনও। সূত্রের খবর, সোমবার তার খোঁজেই কালীঝোড়া বাঁধ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব গোলা-বারুদ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা যায়নি, সেগুলি উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তিস্তার পারে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। খরার মরশুমে নদীতে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র খুঁজতে বিপুল পরিমাণ জলের ধাক্কায় কাজে দেবে বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর কর্তারা। জলের তোড়ে পাহাড়ি নদীর (Teesta River) গায়ে আটকে থাকা অস্ত্রগুলি নীচে নেমে আসবে বলে তাদের ধারণা। এদিকে, সোমবার সেবকের কালীঝোড়া থেকে আচমকাই এই জল ছাড়ার ঘটনায় আতঙ্কে বেড়েছে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের।

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অবশ্য জল ছাড়ার আগে নদী সংলগ্ন বাসিন্দাদের সচেতন করতে তিস্তা (Teesta River) সংলগ্ন একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চলেছে মাইকিং। এই শীতে নদী তীরবর্তী এলাকায় পিকনিকের মরশুম চলায় জল ছাড়ার আগে আলাদাভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল দেখে হতবাক প্রতারিতরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে  বারাকপুর (Barrackpore) শহরে। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে বলছি বলে সেন্টারের কর্মীকে বলা হয়, ২৭ জন জওয়ানের রক্ত পরীক্ষা হবে। শুক্রবার সকালে সেনা ছাউনিতে এসে তাদের রক্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। গেট পাশের জন্য সেন্টারের দুই কর্মীর আধার কার্ড চাওয়া হয়। কথাবার্তা দেখে কোনও সন্দেহ না হওয়ায় বিশ্বাস করে দুই কর্মী তাঁদের আধার কার্ড দিয়ে দেন। রাত নটার দিকে ফের ফোন করা হয় ওই নম্বর থেকে। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগবে, তার হিসেব চাওয়া হয়। সেন্টারের পক্ষ থেকে হিসাব দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করার দুটি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। সেই মতো সেন্টারের দুই কর্মী তাদের ফোন পে নম্বর দেন। সেই নম্বরে বেশ কিছুটা টাকাও পাঠায় প্রতারকরা। ঘণ্টা খানেক পর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকেই সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা সাফ হতে দেখে হতবাক হয়ে যান প্রতারিতরা। এরপর তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    প্রতারিত হওয়া কর্মীর কী বক্তব্য?

    সংস্থার এক কর্মী শম্পা সাহা বলেন, ওরা যেভাবে কথা বলছিল, তাতে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া আমাদের অনলাইনে অ্যাকাউন্ট নেওয়ার পর সেখানে টাকা পাঠায়। আমাদের অনেকটাই বিশ্বাস জন্মেছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যাবে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা  লুট করে নিয়েছে প্রতারকরা।

    সংস্থার মালিক কী বললেন?

    ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার মানস দে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৩ বছরের পুরনো। বহু সেনাকর্মী আমাদের কাছে রক্ত পরীক্ষা করেন। এভাবে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি না। শুধু আধার কার্ড দেওয়ার জন্য এভাবে টাকা লুট হয়ে যায়! ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Sikkim Disaster) মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। নদীর জল কমতেই সেগুলি ভেসে উঠছে। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অনেকেই সেগুলিকে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। তিস্তায় ভেসে আসা সেই সব বিস্ফোরক জমা দিলে পুলিশ মামলা রুজু করবে না। এমনই বার্তা দিলেন  জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়।

    বাড়িতে মজুত রয়েছে সেনার একাধিক মর্টার শেল!

    সিকিমের বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। সেনার বহু অস্ত্রসস্ত্র ভেসে এসেছে। সেই সব অস্ত্র, শেল সাধারণ মানুষের হাতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন। সেনার ধারণা, এরকম অনেক সাধারণ মানুষের হাতেই এই ধরনের শেল, অস্ত্র চলে গিয়েছে। কিন্তু, তা এখনও প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি। বাড়িতে মজুত করা মর্টার শেল জমা দিলে, পাছে পুলিশ গ্রেফতার করে, এই ভয়ে অনেকেই শেলগুলি জমা দিতে চাইছেন না বলে পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। যে পরিমাণ মর্টার শেল মজুত রয়েছে তা ফেরত না দিলে আরও বড় বিপদ হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

    কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, সিকিম বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বন্যার জলে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর বিস্ফোরক। যেগুলি তিস্তা পাড় থেকে উদ্ধার করে অনেকেই বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলি জমা দিলে পুলিশ তাঁদের বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করতে পারে। এমন ভয়ে সেগুলির তথ্য পুলিশকে দিতে চাইছেন না। যদিও ইতিমধ্যেই সেগুলির মধ্যে কিছু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা। বিস্ফোরকগুলি পুলিশকে দিলে মামলা রুজু করবে না। আমি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ফলে, সকলের কাছে আমার আবেদন, তিস্তা থেকে যারা সেনার মর্টার সেল সহ বিভিন্ন বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা থানায় গিয়ে জমা করে দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও জওয়ানের স্ত্রী, কাদের ‘টার্গেট’ করত জানেন?

    Siliguri: শিলিগুড়িতে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও জওয়ানের স্ত্রী, কাদের ‘টার্গেট’ করত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম হেমা তামাং। সেনা জওয়ানের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমা দার্জিলিঙের গৈরিগাঁওয়ের বাসিন্দা। কিন্তু, গত এক থেকে দেড় বছর ধরে তিনি শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন আপার বাগডোগরার স্টালিননগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন। আপার বাগডোগরায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকানও রয়েছে। এই সেনা জওয়ানের স্ত্রী কার্যত শিলিগুড়ির সেনা জওয়ানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

    সেনা জওয়ানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমা মূলত বেছে বেছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্ত্রীদের ‘টার্গেট’ করতেন। তাঁদের কাছ থেকে নানা অছিলায় টাকা ধার নিতেন। কখনও বাড়ি কেনার নাম করে, কখনও নিজের দোকানের প্রয়োজনের কথা বলে এই জওয়ান-পত্নীদের কাছ থেকে হেমা টাকা ধার নেন। কারও কাছ থেকে এক লক্ষ, কারও কাছ থেকে দুই লক্ষ, কারও কাছ থেকে আবার একযোগে ১০ লক্ষ টাকা নেন তিনি। সবমিলিয়ে জওয়ানদের স্ত্রীদের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আর এক জওয়ান-পত্নীর বিরুদ্ধে। কিন্তু, পরিশোধ করেননি কোনওটাই। গত কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত জওয়ানের স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতেরা। ১৭ জন জওয়ান-পত্নী শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানায় অভিযুক্ত হেমা তামাংয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতদের কী অভিযোগ?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, টাকা চাইতে গেলেও নানা অছিলায় তা এড়িয়ে যেতেন হেমা। গত একমাস ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। এমনকী, হেমার ফোনও বন্ধ রয়েছে। দেখা যায় এরকমভাবে বহু সেনা জওয়ানের স্ত্রীর কাছে সে টাকা হাতিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সকলে একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক পুলিশ।

    শিলিগুড়ির (Siliguri) পুলিশ কমিশনারের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। যেহেতু এটি সেনার বিষয়, তাই সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রিয়তমার কাছে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন কাশ্মীরে নিহত বাংলার জওয়ান

    Army: প্রিয়তমার কাছে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন কাশ্মীরে নিহত বাংলার জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে মৃতদেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তি এলাকা। গ্রামের গর্ব শহিদ সেনা (Army) জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে রবিবার সকাল থেকেই ব্যস্ত পাহাড়ি এই গ্রাম। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। কারও মুখে কথা নেই। সবার দু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি হামলায় নিহত সেনা (Army) জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রী প্রায় দুমাস আগে বিয়ে করেছেন। সংসার গোছানোর আগেই ভেঙে গেল। স্বামীর শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন স্ত্রী প্রজ্ঞাদেবী। আর ছেলের মৃতদেহ আঁকড়ে কেঁদে চলেছেন বাবা খরকাবাহাদুর ছেত্রী ও  মা দেওকুমারী দেবী।

    কাঁদছে গোটা গ্রাম

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল বিয়ের পর সবাইকে হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত। পৌঁছে ফোন করে বাড়ির সকলের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। কাশ্মীরের রিজৌরি সীমান্তে অভিযানে যাওয়ার আগে পর্যন্তও ফোনে কথা  হয়েছিল স্ত্রী ও পরিবারের সকলের সঙ্গে। শেষ ফোনে জানিয়েছিলেন, অভিযান থেকে ফিরে শনিবার ফোন করবেন। একদিন আগেই তাঁর ইউনিট থেকে ফোন আসে দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তির ছেত্রীবাড়িতে। কিন্তু সেই ফোনের অপরপ্রান্তে সিদ্ধান্তের গলা শোনা যায়নি। সেনা (Army) দফতরের এক আধিকারিকের কন্ঠে ভেসে আসে সেই মর্মান্তিক সংবাদ, জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছেন ২৫ বছরের তরতাজা জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রী। শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে রাতে কিজোমাবস্তিতে সিদ্ধান্তের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছতে গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। গ্রামের গর্ব সিদ্ধান্তকে শেষবারের জন্য একটু দেখা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই সেই শোক মিছিল ক্রমশ লম্বা হতে শুরু করে। শুধু কিজোমাবস্তিই নয়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশ এলাকা থেকেও আসেন বহু মানুষ।

    কী বললেন নিহত সেনা (Army)  জওয়ানের পরিবারের লোকজন?

    সিদ্ধান্তের জামাইবাবু বিক্রম থাপা বলেন, এর আগেও সিদ্ধান্ত বহুবার অভিযানে গিয়েছে। সফল হয়ে ফিরেই আমাদের সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। দুমাস আগে বিয়ে হয়েছিল। সবার সঙ্গে মিশে হাসি-ঠাট্টা করে গত ১৪ এপ্রিল কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বলেছিল, মাসখানেক বাদে আবার ফিরে আসবে। সেই আশাতেই আমরা ছিলাম। আর সদ্য বিবাহিতা প্রজ্ঞা এক বুক স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর প্রত্যাশায় বসেছিলেন। সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। সিদ্ধান্তের দিদি চন্দ্রকলা ছেত্রী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমার ভাই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এ তো আমাদের গর্ব। কিন্তু এত অল্প বয়সে, সদ্য সংসার পাতার পরপর এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল শেষকৃত্য

    শনিবার বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে কফিনবন্দি হয়ে সিদ্ধান্তের দেহ পৌঁছতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও সেনা (Army) বিভাগের তরফে গান স্যালুট দিয়ে সিদ্ধান্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর কফিনবন্দি দেহ রওনা হয় পাহাড়ের বিজনবাড়ির কিজোমাবস্তির উদ্দেশে। রাতে মৃতদেহ পৌঁছতেই শোকস্তব্ধ গ্রাম কান্নায় ডুকরে ওঠে। সিদ্ধান্তের বাবা খরকাবাহাদুর, মা দেওকুমারী দেবী সারা রাত ছেলের কফিনবন্দি দেহ আগলে বসেছিলেন। এদিন সকালেও তাঁদের সেখান থেকে সরানো যায়নি। এদিকে সেনা (Army) ও জেলা প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই চিরতরে হারিয়ে যাবে সিদ্ধান্ত। গান স্যালুট, তোপধ্বনি এই পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ছড়িয়ে দেবে শেষ শোকবার্তা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক বাহিনী এবং প্যারামিলিটারি ফোর্স অর্থাৎ আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে সুদান (Sudan Clash)। রাজধানী খার্তুম এবং আশপাশের এলাকায় অহরহ চলছে গোলাগুলি। রবিবার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখমের সংখ্যা ৫৯৫। তবে অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ রাজধানীর খবর যেভাবে আসছে, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ‘এমন ভয়াবহ দৃশ্য তাঁরা আগে কখনও দেখেননি’

    এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সর্বত্র গোলাগুলি চলছে, বাদ যাচ্ছে না ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাও। এমন ভয়াবহ দৃশ্য (Sudan Clash) তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান, আরব লিগের প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান সহ শীর্ষ কূটনীতিবিদরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিলেও লড়াই কিন্তু এখনও জারি রয়েছে। আক্রমণ চালানো হয়েছে বিমানবন্দরেও। সেখানে বিমান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মৃত্যুও হয়েছে দুই সাধারণ নাগরিকের। 

    প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও

    দুই বিবদমানের প্রকাশ্য লড়াইয়ে (Sudan Clash) প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। ডক্টর এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহত ভারতীয়ের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার জন্য দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে। খার্তুমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ওই ব্যক্তি সুদানের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রকাশ্য রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। 

    দাবি-পাল্টা দাবি অব্যাহত

    প্যারামিলিটারির সাপোর্ট ফোর্সেস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, সেনাবাহিনীর প্রধানের বাড়ি, স্টেট টেলিভিশন স্টেশন এবং বিমানবন্দর তারা দখল করে নিয়েছে। যদিও সেনার পক্ষ থেকে এইসব দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সেনার পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাজধানীর কাছে প্যারামিলিটারির ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সুদানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে কয়েক মাস ধরেই ক্ষমতা দখলের দড়ি টানাটানি (Sudan Clash) চলছে। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতি এই যুদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে যেমন যাবতীয় সমঝোতার পথ বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি আধাসেনার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘ক্রিমিনাল’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, যুদ্ধ এখনই থামার নয়।

    নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে

    অন্তর্ন্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সুদান। উত্তর আফ্রিকার এই রাষ্ট্রটি নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে। একদিকে অনগ্রসর এবং অন্যদিকে মুসলিম অধ্যুষিত এই রাষ্ট্রে শুরু হয়েছে সেনা এবং আধা সেনাবাহিনীর লড়াই (Sudan Clash)। ২০২২ সালের অক্টোবরে ভয়ংকর জাতিসংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল এই সুদান। জমি নিয়ে বিবাদে জাতিসংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ১৭০ জনের। এবার প্রকাশ্য লড়াইয়ে সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সময় যে আধাসেনা ছিল তাদের সাহায্যকারী, আজ তারাই লড়েইয়ের ময়দানে তাদের প্রতিপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো এবারেও দীপাবলীতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে উৎসবে মাতবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গত আট বছর ধরে দীপাবলী কাটিয়ে আসছেন।তার আগে পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ (Kedarnath) ও বদ্রীনাথ  (Badrinath) তীর্থ দর্শনে।কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর কেদারনাথ (Kedarnath)  ও বদ্রীনাথ যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে সরকারি সূত্রে কিছুই না জানানোয় প্রধানমন্ত্রী উওরাখন্ড সফর ঘিরে ধোঁয়াশা ছিল। 

    এবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অক্টোবর কেদারনাথে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির পরিদর্শনের পর তিনি ওই একই দিনে বদ্রীনাথে যাবেন।কেদারনাথে  পুজো দেবেন তিনি। এছাড়াও কেদারনাথ প্রকল্পের (Kedarnath Project) কাজ পরিদর্শন করবেন। সেদিনই যাবেন বদ্রীনাথ মন্দির (Badrinath Temple) দর্শনে। বদ্রীনাথ মাস্টার প্ল্যানের (Badrinath Master Plan) কাজ ঘুরে দেখবেন। তবে ২৪ অক্টোবর প্রতিবারের মতো দিওয়ালি উৎসব উপভোগ করবেন ভারতীয় সেনার সঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

    সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttrakhand) সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম মান্নাতে (Manna) যাবেন মোদি। সেখানকার  গ্রামবাসীদের সঙ্গেও সময় কাটাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর  মোদী ২০১৪ সালে সিয়াচেন সফর দিয়ে দীপাবলিতে  সেনাদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় দুবার সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করেছিলেন ২০১৯ এবং ২০২১ সালে। সংবাদ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে,কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দির আরতি-দর্শনের পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যও সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে গুজরা্টের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিজ রাজ্য গুজরাটে আজ ও কাল অর্থাৎ ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর থাকবেন ।সেখানে ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। আজ, ১৯ তারিখে তিনি গুজরাটের গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে ডেফএক্সপো ২০২২-র উদ্বোধন করবেন। এরপর মিশন স্কুলস অব এক্সিলেন্সের উদ্বোধনও করবেন তিনি। জুনাগড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজকোটেও একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। ২০ তারিখে তিনি গুজরাট থেকেই সূচনা করবেন মিশন লাইফের। এরপর কেভাদিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগদান ও ভ্যারায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, উৎসবের মরসুমে বড়োসড়ো নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজধানী দিল্লী। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) মঙ্গলবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লী এই পাঁচটি রাজ্যের ৫০ টির বেশী স্থানে অভিযান চালিয়ে একজন আইনজীবী সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এনআইএ জানিয়েছে, অভিযানের সময় দিল্লির বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আসিফ খান এবং হরিয়ানার রাজেশ ওরফে ‘রাজু মোতা’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আসিফ খানের বাড়ি থেকে  গোলাবারুদ সহ চারটি অস্ত্র এবং কয়েকটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর ক্রমেই ছন্দে ফিরছিল ভূস্বর্গ। ছবির মতো সাজানো এই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক, তা কখনওই চায়নি পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশটির এই অংশে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। সেই কারণেই ভূস্বর্গে ফের বেড়েছে জঙ্গি উপদ্রব। জঙ্গিদের এই বাড়বাড়ন্তে পাকিস্তান ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’ (Operation Sarvashakti) চালু করতে চলেছে সেনা বাহিনী। দু’ দশক আগে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে চালু হয়েছিল অপারেশন সর্বশক্তি। ভূস্বর্গে জঙ্গি নির্মূলে এবার সেই ধাঁচেই চালু হচ্ছে অপারেশন সর্বশক্তি।

    ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ

    ইদানিং পাকিস্তানের মদতে ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। বিশেষত, রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরের দক্ষিণ পির পাঞ্জাল রেঞ্জ এলাকায়। এই অঞ্চলে শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সর্বশেষ জঙ্গি-সেনা লড়াইয়ের ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে, ডেরা কি গলি এলাকায়। সেদিন শহিদ হন চার জওয়ান (Operation Sarvashakti)। সেনা সূত্রে খবর, ২০০৩ থেকে ২০২১ এর অক্টোবর পর্যন্ত এই এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।  

    কী বলছেন সেনাকর্তা?

    নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্তা বলেন, “পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণে বিশেষ করে রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতে এবার আমরা চালু করছি অপারেশন সর্বশক্তি। আশা করছি, ২০০৩ সালের মতো এবারও সাফল্য পাব আমরা।” ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে এবং জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে শুক্রবার পুঞ্চে বৈঠকে বসেছিলেন সেনার পদস্থ কর্তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সহ পদস্থ কর্তারা। বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “কাশ্মীরে যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে তাতে এই ধরনের অপারেশন ছাড়া জঙ্গিদের নির্মূল করা অসম্ভব। তাই এই পদক্ষেপ।”

    আরও পড়ুুন: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে”, বললেন ধনখড়

    অন্য এক সেনাকর্তা বলেন, “জঙ্গি দমনে পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দু’দিক থেকেই চালানো হবে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’। এই অভিযানে শামিল হবে শ্রীনগরস্থিত সেনার চিনার কোর এবং নাগরোটায় স্থিত হেডকোয়ার্টারের হোয়াইট নাইট কোর।” সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একযোগে চালাবে অভিযান (Operation Sarvashakti)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জানুয়ারি, রবিবার সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে (Bangladesh Election)। নির্বাচনী ময়দানে দেশের শাসক দল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ হাজির থাকলেও, খালেদা জিয়ার দল ডাক দিয়েছে ভোট বয়কটের। দেশের অন্য দলগুলি অবশ্য যথারীতি রয়েছে ভোট-ময়দানে। যেহেতু জিয়ার দল বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না অশান্তির আশঙ্কা। এহেন প্রেক্ষিতেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটাই কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই কারণে গুচ্ছ পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বুধবার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

    সেনা থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত    

    নির্বাচনোত্তর (Bangladesh Election) অশান্তি এড়াতে বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, কী কী দায়িত্ব পালন করবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এই সশস্ত্র বাহিনী। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনীর সদস্যদের। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতেই মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

    কী বলছে কমিশন?

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গির আলম বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনা। প্রতিটি আসনের বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে থাকবে তারা। কোনও ধরনের অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তারা যাবে ঘটনাস্থলে। কাজ করবে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো।” তিনি জানান, কোন কেন্দ্রের কোথায়, কতগুলি নোডাল পয়েন্ট থাকবে, তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন। আর সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ৩৮৮টি উপজেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার নিয়োগ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি। জানা গিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়াতে পারবেন রিটার্নিং অফিসাররা (Bangladesh Election)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদ থেকে কেন্দ্রীয়  আধিকারিকদের বাঁচাতেই এবার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ (Security Force Rule) দেওয়া হল অনলাইনে কোনও রকমের বন্ধুত্ব যেন না পাতান। এছাড়াও ইউনিফর্ম পড়ে সোশ্যাল মাধ্য়মে ছবি আপলোড বা সাজেশনে আসা কোনও প্রোফাইলে যেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠান, তার কথাও বলা হয়েছে।

    কী কী করতে মানা

    অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে যৌনতার ফাঁদে ফেলার মতো ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসায় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেছে বেছে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদেরই বাছা হচ্ছে। ‘যৌনতার ফাঁদ’ পেতে অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতানো, ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করার মতো ঘটনা ঘটছে। এমন বেশ কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই ফাঁদে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা পা না-দেন, তাই তাঁদের সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের থেকে এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশের আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশকর্মীদের সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে।

    কেন এই নিষেধাজ্ঞা

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকরাই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন। স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও চ্যাট করেও বিপদ ডেকে আনছেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকেই এবার বিরত থাকতে বলা হল আধিকারিকদের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, প্য়ারামিলিটারি ও পুলিশ বাহিনীকেও এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বিএসএফ ও আইটিবিপির তরফেও বাহিনীকে এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা তাঁর বাহিনীর সমস্ত কর্মীকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে কোনও উস্কানিমূলক, কোনও কুরুচিকর মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, যত ক্ষণ কাজ করবেন তত ক্ষণ কোনও সমাজমাধ্যম ব্যাবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও সংবেদনশীল ছবি পোস্ট না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share